♣ বিধবা ♠
{ The insane love }
Writer : Nabila Ishq
Part : 15
ধিরে ধিরে সেই দিন এসে পরলো যেদিন ইছমি _ইম্রেত _মহিনি আর কিমরান এর এনগেজমেন্ট হবে।……….
সারারাত ঘুমুতে পারে নি ইছমি। কেমন এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলো। ভরে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর দরবারে দু _হাত মেলে কান্না করছে।
মোনাজাতে সে তার ইম্রেতের শুরুক্ষা চাচ্ছে। কেনো এমন অদ্ভুত স্বপ্ন সে দেখছে। সে মরতে ভয় পায় না। মরতে তো হবেই। অনেক আগেই মরে যেতো কিন্তু তখন জীবনে ইম্রেত এলো। ভালোবাসা শিখালো, বাচতে শিখালো এখন ওকে ফেলে মরতেও ভয় পায় ইছমি। ওর কিছু হলে যে ইম্রেত জিন্দা লাস হয়ে যাবে বেচে থাকতে ভুলে যাবে।
জীবনটা ইছমির সাথে বড্ড খেলেছে অনেক পরিক্ষা দিয়েছে সে। আচল দিয়ে ঘাম মুছে দেওয়ার মানুষ ছিলো না। জড় করে কোলে বসিয়ে খাইয়ে দেওয়ার মানুষ ছিলো না। প্রিন্সেস ডাকার মানুষ ছিলো না। সব চাওয়া পুরন করার মানুষ ছিলো না। সবাই টিফিন খেতো আর ছোট্ট ইছমি তাদের দেখতো। কষ্ট তো কম সজ্জ করে নি। কেদে কেদে প্রত্যেকটা রাত পার করেছে। ভালোবেসে মা_বাবা ডাকার মানুষ ছিলো না। এতিম কথাটার সাথে ইছমি পরিচিত। সবাই তাকে এতিম বলতো। অন্যের বাসায় বড় হয়েছে। লাত্থি উষ্টা খেয়ে বড় হয়েছে ইছমি।
টেক_কেয়ার করার মতো কেউ ছিলো না।
জায়নামাজে বসে চিন্তা করছে আর কাদছে ইছমি আর হারাতে চায় না সে। প্রিয় মানুষ হারাতে হারাতে নিস্তেজ হয়ে গেছে ইছমি। কাউকে হারানোর আগে নিজে পৃথীবি ত্যাগ করতে চায়।
“” মরন জালা সইতে পারবে কিন্তু ইম্রেতকে ছেড়ে থাকতে পারবে না সে। “”
মোনাজাত সেশ করে চোখ পুছে ফনটা হাতে নিলো, ইম্রেত কে কল করলো…
কিছুক্ষন পর ঘুমু কন্ঠে ফোনটা রিছিভ করলো ইম্রেত। ইছমি বলে উঠলো….
” এখনো ঘুমিয়ে যে?
নামাজ টা পরে আসেন না প্লিজ।
টাইম আছে এখনো।
ইম্রেত কিছু না বলে কলটা কেটে ওয়াস্রুম চলে গেলো। ওযু করে পোষাক পরে মাসজিদ এর জন্য বেরোলো। রাস্তা দিয়ে হাটছে ইম্রেত মনে পড়লো তার খারাপ স্বপ্নের কথা যেখানে ইছমি এক অন্ধকারে হাড়িয়ে যাচ্ছে। ইম্রেত ও চাচ্ছিলো আল্লাহর কাছে বলে তার কষ্ট কমাতে।
সময় নষ্ট না করে নামাজ আদায় করছে ইম্রেত। মনের দুঃখ গুলি চোখের এক ফোটা পানি হয়ে বেড়িয়ে মোনাজাতের হাতের উপড় পরলো। আজ কিছুদিন ধরে খারাপ স্বপ্ন দেখছে ইম্রেত। কেমন এক অদ্ভুত কষ্ট হচ্ছে। ইছমিকে ছাড়া বাচার কথা মাথায় আসছে না ইম্রেতের।
চোখ বুঝে আল্লাহর নাম নিয়ে শুধু একটাই কথা বলল ইম্রেত…
” আমি আমার সুইটির সাথেই মরতে চাই। আর ওর সাথেই বাচতে চাই।
মোনাজাত সেশ করে চোখের কোনার পানি পুছে নিলো ইম্রেত। বাসায় এসে বিছানায় হতাস হয়ে বসলো। আজ ওদের এনগেজমেন্ট খুশি তো হচ্ছে কিন্তু মনের খরক যে খুশি হতে দিচ্ছে না।
সময় সময়ের মতো যাচ্ছে। সন্ধ্যায় ইম্রেতদের ফার্ম হাউসে এনগেজমেন্টের সব এরেঞ্জমেন্টস করা হলো। ধিরে ধিরে প্রতিবেশী, আপনজন সবাই উপস্থিত হচ্ছে। বড় বাড়িতে তেমনি গার্ড সিস্টেমে প্লাস সি,সি,টিভি কেমেরা লাগিয়েছে ইম্রেত। সদা চেক করার জন্য কিছু মানুষ ও হায়ার করেছে।
সবাই অপেক্ষা করছে ইছমি, ইম্রেতের মহিনি আর কিমরান এর। গান, নাচ খাওয়া দাওয়া কথা বার্তা হাসি ঠাট্টা সব চলছে। কিছুক্ষন এর মদ্ধে ইম্রেত আর কিমরান এর এন্ট্রি হলো। গেট দিয়ে ঢুকছে ইম্রেত আর কিমরান। ভিডিও করা হচ্ছে তাদের এন্ট্রি। দু_ভাই ছেম ড্রেস পড়েছে। সাদা কোর্কড করা ফোল্ডারিং ছুট ।
সবাই কথা বলছে ইম্রেত আর কিমরান এর সাথে। নজর জেনো না লাগে তার জন্য কাজল লাগিয়ে দিচ্ছে তাদের মা।
ইম্রেত মুচকি হেসে খুজছে তার সুইটিকে এখনো এসে পৌছায় নি। তার সুইটিকে দেখার জন্য সে উতলা হয়ে উঠেছে। নিজের পোশাকের সাথে মেচ করে সাদা গ্রাউন কিনেছে ইম্রেত তার সুইটির জন্য। সাদা পরি কে দেখবে।
কখন থেকে কল করছে ইম্রেত ফোনটা ওফ আসছে বুকের ভেতর তিব্র ব্যাথা হচ্ছে। নিজের শক্তি আগলিয়ে রেখে গার্ডকে বলল…
” দেখো মহিনিরা এখন কোথায়।
গার্ডরা জানতে বের হয়েছে। না কিছু জানা যাচ্ছে না। কেমন অসস্থি লাগছে ইম্রেতের। ফোন করলো মহিনিকে না মহিনির ফোন ও বন্ধ। নিজের শশুড়বাড়ির লোকদের ফোন করলো ইম্রেত না ফোন পিক করছে না।
এখন ইম্রেতের মুখ দিয়ে ঘাম ছুটছে হাত_পায়ের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত এক ভয় কাজ করছে ইম্রেতের মাঝে।
ইম্রেত দেড়ি না করে গান-চিল্লাচিল্লি সব বন্ধ করতে বলল। পাগলের মতো চিল্লিয়ে বলে উঠলো গাড়ি নিয়ে বের হও দেখো ইছমিদের গাড়ি কোথায় আছে। ইম্রেত আর ওয়েট না করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে। হাত_পা কাপছে ইম্রেতের ফোনটা বের করে যে কল করবে সেই শক্তিটা পাচ্ছে না। নিজের হাতের মুঠি শক্ত করে ধরে চোখ বুঝে আল্লাহর নাম নিচ্ছে ইম্রেত। অর্ধেক রাস্তা পৌছাতেই গাড়ি থামালো ড্রাইভার। ড্রাইভার বলল…
” স্যার রাস্তায় কিছু হয়েছে মনে হচ্ছে?
ইম্রেত দরজা খুলে অবশের মতো হেটে সামনে যাচ্ছে হাত _পা কাপছে এমন সময় কিছু হলেই খারাপ চিন্তা মাথায় আসে। ধিরু পায়ে সামনে যাচ্ছে ইম্রেত মানুষ সাইড করে একটু ভিতরে ঢুকতেই ইম্রেত চিল্লিয়ে বলে উঠলো….
” আংকেল আর ইউ ওকে।
আংকেল আংকেল… ইম্রেতের হাত_পা কাপছে। কোনো রকম পানি খাইয়ে দিয়ে মুখে ছিটে দিলো। মাথায় কেউ সজরে বাড়ি মেরেছে যার কারনে রক্ত খুবি বের হচ্ছে।
ইম্রেত পাগলের মিতো জিজ্ঞাস করছে ইছমি কোথায়। ইছমির বাবা মুখটা খুলে বলল….
” রু…. রুবেল।
ইম্রেতের হাতটা নিচে পরে গেলো। গার্ডদের কল করে আংকেলকে হস্পিটাল পাঠিয়ে দিলো। কি করবে ইম্রেত মাথায় কিছুই আসছে না। ভয়ে আত্তা কেপে উঠছে ইম্রেতের। রুবেল তো সেই ছেলেটা যাকে ২০_২৫ দিন আগে মেরেছিলো। ইম্রেত পারছেনা চিৎকার করতে।
নিজেকে সামলিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে কামিশনার কে কল করলো ইম্রেত….
হাতটা কাপছে ইম্রেতের কোনো ভাবে কথা বলল ইম্রেত…
” হ হেলো আংকেল।
আমার পুরো পুলিশ ফোর্স লাগবে আমার ওয়াইফ কে কিডন্যাপ করা হয়েছে। পুরো এড়িয়া সব লাইন স্টাফ হোম হাউস পারকিং প্লেস রোড প্লেস… সব প্লেসে পুলিশ লাগান আমি ছবি সেন্ড করছি। প্লিজ আং…আংকেল
” বেটা ইম্রেত কিচ্ছু হবে না। আমি অর্ডার করে দিয়েছি সব প্লেসে চেকিং এর জন্য বলে দিচ্ছি আর আমি গাড়ি নিয়ে আসছি। আমি বের হচ্ছি।
ইম্রেত সেখানেই ঠাই দাঁড়িয়ে আছে চোখে শুধু ইছমির হাসিমাখা মুখটি ফুটে উঠছে। আশা নিয়ে ছিলো সাদা পরি কে দেখবে। নিজের সাথে মিলিয়ে একসাথে দাঁড়িয়ে আংটি পড়াবে। ইম্রেতের সাদা পরি কোথায়। ইম্রেত আর পারছে না। ড্রাইভার খবর পাঠিয়ে দিয়েছে পুরো পরিবারকে।
কামিশানার আংকেল আসতেই ইম্রেত তাড়াহুড়া করে গাড়িতে বসে নিজেই চালানো শুরু করে। রিসাবকে ফোন লাগায় রিসাব না ধরায়। আবার কল দিয়ে জিজ্ঞাস করে কোথায় আছে??
ইম্রেত তাড়াতাড়ি ফার্ম হাউসে পৌছায়। গিয়ে রিসাবের কলার ধরে চেচিয়ে বলে…
” তোর বন্ধু কু****চ্চা কই ওর অল ডিটেইলস দে।
রিসাব এর কলার ধরে গাড়িতে বসিয়ে কামিশানার কে নিয়ে বেড়িয়ে পরলো রুবেলের বাসার উদ্দেশ্যে। বাসায় গিয়ে লাত্থি মেরে গেট খুলল ইম্রেত।
কোনো কথা না বলে পুরো বাড়ি চেক করে রুবেল এর মা _বাবা কে জিজ্ঞেস করে উ উনারা জানে না বললে…. ইম্রেত তাদের পুলিশ স্টেশান পাঠিয়ে দেয় আর বলল…
” যতক্ষন ওই জ***রে আমি না পাচ্ছি ততক্ষন কাউকে ছাড়বেন না।
ইম্রেত রুবেল আর ইছমির নাম্বার ট্রেস করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। পাগলের মতো পুলিশরাও খুজচ্ছে ইম্রেতের পাগলামি দেখে।
হসপিটাল এসে ইম্রেত ইছমির বাবার কেবিনে চলে যায়। তাড়াতাড়ি করে বলে উঠলো…
” আংকেল আমার সু,,,,,,সুইটি ক কোথায়??
ইছমির বাবার চোখে পানি এসে জমে রয়েছে। সে বলল…
আমি আর ইছমি গাড়িতে করে আসছিলাম আগে আর তোমার আন্টিরা অন্যগাড়িতে আর অনেক পিছনে। হঠাত সামনে একটা গাড়ি এসে ইছমির মুখ বেধে নিয়ে গেলো আর আমার মাথায় লোহা দিয়ে বারি মারলো। ওটা রুবেল ছিলো। রিসাবের বন্ধু ও আগে থেকেই ইছমির দিক খারাপ নজর দিতো৷
ইম্রেতের হাত_পাও কাপছে কিছু করে ফেলবে নাতো তার ইছমির। পুলিশদের সব ধরনের ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে গাড়ির কালার ও বলে দিয়েছে। ইম্রেত পাগলের মতো করছে গাড়ি নিয়ে খুজতে ব্যস্ত তার ইছমিকে।
ফোন বেজে উঠতেই ইম্রেত তাড়াতাড়ি ফোনটা রিছিভ করলো। ওপাশ থেকে বলে উঠলো…
” স্যার রুবেল এর ফোন ট্রেস হয়েছে।
১১ নাম্বার রিভার সাইডে।
ইম্রেত পাগলের মতো ড্রাইভ করছে পুরো পুলিশ ফোর্স গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরেছে।
প্লিজ রু….. রুবেল ভাই… য়া। আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ ভাইয়া তোমার পায়ে পরছি। দে…দেখো ভাইয়া প্লিজ এখানে কেনো এনোছো আমায় ভাইয়া প্লিজ প্লি…জ।
” এতো সহজে তোকে ছেড়ে দিবো ভাবলি কি করে। আমায় মেরেছে তোর লাভার বয়। ওর পিরিতি আমি ছুটাবো। তোর পুরা ইজ্জত খাইয়া ছাড়মু। তোরে টাচ করতে মানা করছে না। তোরে পুরা খামু একা আমি না আমার সাথের সব গুলি ছেলে।
ইছমির সাদা ফ্রোকে অনেক জায়গার রক্তের দাগ। অনেক মারা হইসে মেয়েটাকে। 😭 মুখ ফুলে আছে হয়তো অনেক থাপ্পড় মেরেছে।
রুবেল ইছমির ওরনা টেনে খুলে ফেলে। রুমের মদ্ধে আরো ২ টা ছেলে। রুবেল ইছমির দিক আগুচ্ছে আর বলছে…
” আজ তোকে ভোগ করে মজা পাবো যা লাগছে না তোকে।
ইছমি কাদতে কাদতে হয়রান হয়েগেছে। ইছমি কাপতে কাপতে বলল…
” ভাইয়া আপনার পায়ে পরি। আমায় ছেড়ে দাও। ভাইয়া আমার…. ভাই…ভাইয়া আমার কিছু হলে আমা..র ইম্রেত যে ম…মরে যাবে। ভাইয়া এমন বড় ক্ষতি করো না আমার। রুবেল ২ পলারে ইশারা করতেই দুজন ইছমির হাত চেপে ধরে। রুবেল ইছমির সাইড হিজাবের কাপড় খুলে ফেলে দেয়।
রুবেল সয়তানের মতো পুরো বডি দেখছে ইছমির। জামায় হাত দিতেই ইছমি চিৎকার করে কাদতে কাদতে বলল….
” আল্লাহুর কসম আমাকে ছেড়ে দেন প্লিজ ভাইয়া। আমা…।আমাক…. ইছমি আর কথা বলতে পারছেনা।
ইছমি বাচার আর কোনো ইচ্ছে দেখছে না। নিজের ইজ্জত এই ৩_৪ ছেলে মিলে ভোগ করবে। সে যে বাচার আর কোন রাস্তা দেখছে না। রুবেল ইছমির জামা খুলার চেষ্টা করছে। ইছমি আল্লাহর নাম নিয়ে দু-হাতে কামড় দিয়ে সামনে দৌর দেয় কিন্তু দরজা লক করা আর পালানোর রাস্তা নেই তাহলে কি ভোগের সিকার হতে হবে। ইছমি চিৎকার করে বলল….
” ইম্রেত….. ইম্রেত [ কাদতে কাদতে ]
রুবেল ইম্রেতের নাম শুনে আরো হিংস্র হয়ে গেলো ইছমির চুল ধরে মাথটা ওয়ালের সাথে ধাক্কা মারে। সাথে সাথে ইছমি ছিটকে নিচে পরে। রক্তে সাদা জামা লাল হচ্ছে। চোখ বুঝলেও ভোগ করবে তাকে। ছিড়ে খাবে ওরা মিলে। নাহ আর ভাবতে পারছেনা।
কোনো রকম উঠে দৌরিয়ে রুমের লাগানো বারান্দায় চলে গেলো। ইছমি কিছু না ভেবেই ৩ তালা ফ্লাট থেকে লাফ দেয়।
নিচে পড়তেই পুরো রাস্তায় রক্তের আবাশ এসে ভেসেছে।
রুবেল কল্পনাও করে নি যে ইছমি এমন কিছু করবে।
ইছমি নিচে পরেও আকাশ পানে চেয়ে আছে। উবুত হয়ে পরেছে ইছমি সম্পুর্ন মাথাটা গিয়ে পরেছে রাস্তায়। চাঁদ আর তারা দেখা যাচ্ছে রাত্রের আকাশে । চোখ দুটি বন্ধ করতে করতে ইম্রেতের হাসি ভরা চেহেরা আর বুকে হাযার কষ্ট নিয়ে বলল….ভালোবাসি ইম্রেত নিজের থেকেও বেশি। চাঁদ দেখেই চলে যাচ্ছি। আপনার সম্পত্তি আমি সেইখানে অন্যকেউ হাত দেওয়ার আগে আমার মৃত্যু শ্রেয়। ভালোবাসে আপনার সুইটি আপনকে বলতে পারলাম না তো।
চোখ দুটি বন্ধ হয়ে গেলো। আশে_পাশে মানুষ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে আর ফ্লোরে রক্তাক্ত ইছমি পরে আছে কারো সাহস হচ্ছে না ইছমিকে হসপিটাল নেওয়ার বা তুলার।
ইম্রেত পাগলের মতো গাড়ি নিয়ে পৌছালো। ধরফর করে নামলো গাড়ি থেকে পুলিশ ওলরেডি চারপাশে খুজা শুরু করে দিয়েছে। রাস্তার পিছনের সাইডে ইম্রেত গিয়ে থেমে যায়। অনেক মানুষ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ইম্রেত ধিরু পায়ে যাচ্ছে বাক্রুদ্ধ হয়ে গেছে ইম্রেত চলার শক্তি পাচ্ছে না। আল্লাহর নাম।নিয়ে সামনে তাকিয়ে হাটতে লাগলো। পিছনে ইম্রেতকে দেখে এভাবেই সবাই সাইড দেয়। কিছু মানুষ ইছমিকে তুলার চেষ্টা করছে। সবার মদ্ধে ইম্রেত ভিতরে ঢুকে স্তব্দ হয়ে বসে পরলো।
ইম্রেতের সাদা পরি লাল হয়ে মাটিতে পরে আছে। পাশে রক্ত হাজারো। নিস্তেজ ভাবে পরে আছে তার সুইটি। এতোক্ষনের ভয়, আতংকা, সব মিলে ইম্রেত চিৎকার করে উঠলো পাগলের মতো ইছমির সামনে গিয়ে হাত মেলে চিৎকার করতে থাকলো…
” এই সুইটি এই… এই তাকাও… এইতো আমি এসে পরেছি সুইটি প্লিজ তাকাও।
ইম্রেত চোখের পানি মুছে তাড়াহুড়ো করে ইছমিকে কোলে নিয়ে চোখে রক্তের মতো রাগ নিয়ে বলল…
” অফিসার পুরো বিলিডিং ছিল মারুন আর ওই খান**** মা*** ওরে খুজে কাস্টাডি তে নিন। ওকে কেউ টাচ করবেন না। ওকে আমি দেখবো।
এতক্ষণে এম্বুলেন্স এসে পরেছে। ইম্রেত দৌরিয়ে ইছমিকে এম্বুলেন্স বেডে শুইয়ে দিয়ে নিজেও উঠে পরে।….
ইছমির দিক তাকিয়ে আছে ইম্রেত। চিৎকার করে কাদতে পাচ্ছে না। চোখের পানি গুলি দু_পাশ দিয়ে বেয়ে চলছে। কোনো কথা বলার শক্তি নেই ইম্রেতের। ইছমির মুখে আস্তে হাত দিয়ে নিজেই চিতকার করে উঠলো। লাল রক্তে মুখটা ফুলে রয়েছে। তার সাদা পরি রক্তে লাল হয়ে আছে। 😭
ইম্রেত নিজের পেন্ট নিজের শক্তি দিয়ে চেপে ধরে রয়েছে চিৎকার করে কাদছে ইম্রেত কিন্তু আওয়াজ আসছে না। পগলের মতো কাদছে ইম্রেত নিজের মনের গহিনে। মিনিটে পৌছালো এম্বুলেন্স পাগলের মতো দৌরে অপরেশান থেয়াটারে ঢুকিয়েছে ইছমিকে। ইম্রেত পাগলের মতো ইছমির হাত ধরে চিৎকার করছে। ইছমিকে অপারেশন থেয়াটারে ঢুকানো হয়েছে। অভিজ্ঞ থেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার আনা হয়েছে।
লান্ডান থেকে ডাক্তার ইয়াজ জিবস ভিডিও কলের মাদ্ধমে চিকিৎসার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
ইম্রেত ঠাস করে ফ্লোরে বসে পরলো। টি_সার্ট শরীর, হাত রক্তে লাল হয়ে আছে। তার ভালোবাসার মানুষের রক্ত। যাকে সে আজ আংটি পড়িয়ে নিজের করতে চেয়েছে।
সবাই কান্না করছে। ইম্রেত ফ্লোড়ে বসে আছে। ইম্রেতের মা ফ্লোরে পাশে বসলো ছেলের। ছেলের মুখটা নিজের দিক নিয়ে বলল…
” কিচ্ছু হবে না ইছমির।
ইম্রেত হাউমাউ করে কেদে দেয়। মা কে জড়িয়ে কাদছে ইম্রেত। ইম্রেতের কাদা দেখে আশে_পাশের মানুষজন ও কাদছে। ইম্রেত আর সজ্জ করতে পারছে না।
ইম্রেতের মায়ের চোখে জলের বন্যা। ২৫_২৬ বয়সে ছেলেকে কখনো চোখের পানি ফেলতে দেখে নি সেখানে চিৎকার করে কাদছে তার ছেলে। ইম্রেত উঠে দাঁড়িয়ে পরলো। এশারের আজান দিচ্ছে। চোখের পানি মুছে উঠে চলে যাচ্ছে ইম্রেত। আজান শুনে মহিনি, ইছমির, মাম
,ইম্রেতের মা নামাজে দাঁড়ায়।
ইম্রেত কোনো ভাবে জামা ছেড়ে ওযু করে নামাজে দাড়ালো। চোখের পানি ঝড়ছে ইম্রেতের। চোখে ইছমিকে হাড়িয়ে ফেলার ভয়।
চলবে……..