♣ বিধবা ♠
{ The insane love }
Writer : Nabila Ishq
Part : 17
পিছনে ডাকছে কিমরান। বাট ইম্রেত কোনো সারা না দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরলো। চোখে আগুন বেরোচ্ছে ইম্রেতের। জলদি পৌছালো পুলিশ স্টেশন…..
পুলিশ স্টেশানে বসে আছে রুবেলের ফেমিলি। জেলের খাচায় বন্ধ রুবেল সহ ২ ব্যক্তি।
ইম্রেতকে দেখে উঠে দাড়ালো অফিসার সাথে রুবেলের ফেমিলি।
ইম্রেতকে দেখা মাত্রই রুবেলের মা দৌরিয়ে ইম্রেতের হাত ধরে কান্নাকাটি করতে লাগলো। আর বলে উঠলো…..
” কি করেছে আমার ছেলে এইবার এর মতো মাফ করে দাও না বাবা।
সবাই ইম্রেতের দিক তাকিয়ে আছে আর ইম্রেত রাগী চোখে তাকিয়ে আছে রুবেলের দিক। ইম্রেত নিজেকে কান্ট্রল করে রুবেলের আম্মুকে একটি চেয়ারে বসিয়ে দিলো। নিজে তার সামনে হাটু গেরে বসলো। সবাই অবাক চোখ তাকিয়ে আছে ইম্রেতের দিক। ইম্রেত শান্ত গলায় বলল….
” আন্টি আপনি একজন মা। আপনার ছেলের জন্য আপনার কষ্ট হচ্ছে এটাই সাভাবিক। কিন্তু আন্টি আমি আপনার ছেলেকে মাফ করতে পারবো না। ও আমার জানে হাত দিছে। ও আমার সুইটি কে….. রে….রেপ করতে চেয়েছে। আমার ভাবতেই কলিজা ছিরে যাচ্ছে। আজ ওর জন্য আমার সুইটি ফ্লাট থেকে লাফ দিয়েছে নিজের ইজ্জত বাচাতে। যদি লাফ না দিতো তাহলে যে কি হতো তা আমাকে বুঝাতে হবে না নিশ্চয়ই আন্টি।
আমাকে খুন করলেও আমি এতো কষ্ট পেতাম না।
ও ভুল করে নি আন্টি ওহ গুনাহ করেছে বড় পাপ করেছে। আমার সুইটির দিক ও খারাপ নজর দিয়েছে।
কথাগুলি বলে ইম্রেত উঠে দাড়ালো। রুবেলের পরিবার রুবেলের দিক তাকিয়ে সবাই কান্না করতে করতে বেরিয়ে যায়। আর ওদিকে রুবেল চেচাচ্ছে….
” মা… বাবা.. ভাইয়া প্লিজ আমাকে মাফ করো। আমাকে বের করো এখান থেকে।
ইম্রেত অফিসার এবং বাকি সবার উদ্দেশ্যে বলল…
” অফিসার কানে হেডফোন গুজে বসে থাকুন আর আপনারাও [ বাকি পুলিশদের উদ্দেশ্যে ]
ইম্রেত হাতে লাঠি নিয়ে কারাগার খুলে ভিতরে প্রবেশ করে বসা থেকে উঠে দাঁড়ায় রুবেল সাথে সেই ২ ছেলে। ইম্রেত নিজের কোর্ট খুলে হাতা ফোল্ড করে নিলো। চোখ দিয়ে আগুন বেড়চ্ছে ইম্রেতের। এখনো ইম্রেতের কানে তার সুইটির কান্না ভেজা আর্তনাদ শুনা যাচ্ছে।
রুবেলের কলার ধরে মুখের মদ্ধে কয়েকটা ঘুষি দিলো। আর বলতে লাগলো….
” তোকে বলেছিলাম আমার সুইটির থেকে দূরে থাকবি। তুই শুনিস নি। [ বলেই আরো কয়েকটা ]
আমার সুইটি টাচ করতে চেয়েছিলি এই হাত দিয়ে [ হাতে মচর দিয়ে ][ রুবেল ব্যথায় আহ বলে চিৎকারে করে উঠলো ]
হুম কর চিৎকার আমার সুইটি ও চিৎকার করেছিলো শুনেছিলি তুই শুনিস নি। [ বলেই সেকেন্ড হাত মচর দিলো ]
লাঠি হাতে নিয়ে বলল….
” আমার সুইটিকে রে….[ আর বলতে পারলো না ইম্রেত ]
লাঠি তুলে রুবেলের মেইন পার্টসে লাঠি দিয়ে ৪_৫ টা বাড়ি দিলো। রুবেল চিৎকার করছে সেই চিৎকার কানে হেডফোন দাওয়া পুলিশদের কানেও পৌছাচ্ছে।
ইম্রেত ধুম ধাম বিনা ব্রেকে পিটাচ্ছে রুবেল সহ বাকি ২ কুত্তাগুলোকে। যারা তার সুইটিকে ছিরে খেতে চেয়েছিলো। নিচে লাশের মতো পরে আছে রুবেল আর তার ২ সাথী। নিজের পা দিয়ে জড়ে লাথি মেরে বেড়িয়ে এলো কারাগার থেকে। কানের থেকে হেডফোন খুলে দাঁড়িয়ে পরলো অফিসার। টেবিলের উপড় পানি গড গড করে খেয়ে নিলো ইম্রেত কড়া শুরে বলল….
” অফিসার উঠলে খাওয়া দাওয়া করিয়ে আবার ধলাই করবেন। অন্যকোনো মেয়েদের দিকে যদি না তাকাতে পারে সেই ভাবে পিটাবেন।
রাগে গজগজ করতে করতে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে এলো ইম্রেত। গাড়ি চালিয়ে হসপিটাল পৌছালো। ইছমির কেবিনের সামনে যেতেই দেখতে পেলো। ইছমি আধশোয়া হয়ে বসে কথা বলছে কিমরান এর সাথে। অক্সিজেন মাক্স খোলা হয়েছে। এখন নিজেই সাশ নিতে পারছে ইছমি।
ইম্রেত হালকা পায়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই ইছমি ইম্রেতের দিক তাকালো। ইম্রেত না পেরেও মুচকি হাসলো। কিমরান বেড়িয়ে গেলো কেবিন থেকে। ইছমি একটু নড়ে বসলো। ইম্রেত ইছমির পাশে বসতেই ইছমি বলে উঠলো….
” কোথায় গিয়েছিলেন আর বাসায় যান নি?
” এইতো আশেপাশেই ছিলাম।
তুমি রেষ্ট নাও।
ইছমিকে ধরে শুইয়ে দিলো ইম্রেত। ইম্রেত নিজের হাত দিয়ে ইছমির মাথায় আদর করে দিচ্ছে। আর ইছমি ইম্রেতের দিতিয় হাতটি পেচিয়ে ধরে ইম্রেতের দিক শুয়ে তাকিয়ে আছে। এখন নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে ইছমির কাছে। এতোকিছু হওয়ার পর ও ইম্রেত তাকে আগের মতোই ভালোবাসে৷
একফোটা জল বেয়ে পরলো চোখ থেকে ইছমির। বুকটা ছেত করে উঠলো ইম্রেতের। কপালে চুমু খেয়ে ইম্রেত বলল…..
” আর কাদতে হবে না আর ভাবতে হবে না। দুস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাও। আজ থেকে কখনো একা ছাড়বোনা তোমায় ভালোবেসে আগলে রাখবো। কাউকে তোমার ধারে কাছে ঘেষতে দেবো না।
ইছমি মুচকি হেসে ইম্রেতের হাত আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। ধিরে ধিরে ঘুমিয়ে পরলো ইছমি ইম্রেতের হাতের স্পর্শে।
এভাইবেই কেটে গেলো ১ মাস। এই এক মাস ইম্রেত ইছমির সাথেই ছিলো পাশে পাশে ছিলো ইছমির। এখন সুস্থ ইছমি। আজ ৪ দিন হচ্ছে বাসায় নিয়ে এসেছে। ইম্রেতদের বাসায় উঠিয়েছে ইছমিকে। কারো কোনো কথা শুনে নি ইম্রেত।
আজ ইছমি _ইম্রেতের এনগেজমেন্ট এবং বিয়ে একসাথে। ইম্রেতদের বাংলা বাড়িতে রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইম্রেত কিমরান তাদের হবু বউ দের উদ্দেশে। সবাই চেচাচ্ছে বউ দেখার জন্য। উপড় থেকে সিড়ি বেয়ে নামছে মহিনি। কিমরান বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মহিনিকে কিমরান এর পাশে দাড় করানো হলো। ইম্রেত মুড ওফ করে দাঁড়িয়ে আছে। সে চেচিয়ে বলে উঠলো….
” মা আমার সুইটি কোথায়?
সবাই হো হো করে হেসে দেয়। ইম্রেত আবার কিছু বলবে তখনি সবাই উপড়ে তাকায় তাই ইম্রেত তাকিয়ে ধুপ হয়ে যায়। হুম তার সাদা পরি নামছে। বড় সাদা গ্রাউন পরে। ইম্রেত হা করে তাকিয়ে আছে তা দেখে শরম পাচ্ছে ইছমি। নিচে নেমে একসাথে দাড়িয়েছে দুজন। ইম্রেত ইছমির দিক তাকিয়ে থেকেই ইছমির হাত উঁচু করে চুমু খায়। সবাই তালি আর শিশ বাজিয়ে উঠে আর ইছমি শরম পেয়ে নিচে তাকিয়ে থাকে।
দুজন দুজনের হাতে আবেশে আংটি পড়িয়ে দেয়। ইম্রেত ইছমির হাতে আংটি পড়িয়েই জড়িয়ে ধরে। আর ইছমি ইম্রেতের বুকে মাথা রাখে। ইম্রেত কানে কানে বলল..৷
” নেশাক্ত লাগছে দেখতে।
ইছমি আরো খামচে ধরে ইম্রেতকে। ইম্রেতের বুকে ঘেষে মুখ লুকায়।
রাত ৯;৫৬ তে ইম্রেত_ইছমি এবং কিমরান_মহিনির বিয়ে সম্পুর্ণ হলো। ইছমি পুরোপুরি তার ইম্রেতের হয়ে গেলো। মিসেস…. “এমোরেরতি লিনোর। ” সবাইকে রাস্তা থেকে সড়িয়ে নিজের বউকে দেখার জন্য রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হলো ইম্রেত। রুমের সামনে আসতেই দরজায় দাড়ালো শিলা সহ আর কাজিনারা। বউ দেখতে হলে ডিমান্ড ফুলফিল করতে হবে। নিজের পকেট থেকে ১০ হাযার টাকা বের করে দিয়ে দিলো। সবার মুড ওফ হয়ে গেলো কারন মজাই করতে পারলো না তার আগেই টাকা দিয়ে দিলো।
সবাই হনহন করে বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে। রুমে প্রবেশ করেই ইম্রেত তার সুইটিকে বেডে দেখতে পায়। লালটুকটুকে শাড়িতে ঘুমটা দিয়ে বসে আছে। ইম্রেত আসতেই উঠে দাড়ালো ইছমি। ইম্রেতের পায়ে ধরে সালাম করলো। ইম্রেত ইছমিকে উঠিয়ে জড়িয়ে নিলো নিজের বুকে।আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরলো সাথে ইছমিও।
বুক থেকে শরিয়ে ঘুমটা উঠালো ইম্রেত। ইছমি চোখ বুঝে খিচে দাঁড়িয়ে আছে। ঘুমটা টা ফ্লোরে ফেলে দিলো। মন ভড়ে দেখছে তার সুইটি কে। ভালোবেসে কপালে চুমু খেলো। ধিরে ধিরে নিজের ঠোঁট জড়া নেয় ইছমির ঠোঁটের দিক। ইছমি জামা আকড়ে ধরে ঘুড়ে একটু দুড়ে সরে যায়।
ইম্রেত আর কিছুই বলল না। ইছমির কমড় ধরে টেনে নিজের দিক ঘুরিয়ে ইছমির ঠোট নিজের আয়েত্তে নিয়ে নেয়। ঠোঁটে ঠোট ছুয়ে দিচ্ছে ইম্রেত সাথে তাল মিলাচ্ছে ইছমি। ভালোবাসার পুর্নতা পাচ্ছে তাদের।
সকালে কিচিরমিচির পাখির আওয়াজ আর তাজা রোদে ঘুম ভাংগে ইছমির। নিজেকে খালি খালি লাগায় কেমন অসস্থি লাগছে। হালকাভাবে চোখ মেলে আশেপাশে তাকালো। কাল রাত্রের কথা মনে পড়তেই লজ্জায় ইছমির গাল লাল হয়ে যাচ্ছে। পাশে তাকাতাই দেখতে পায় খালি শরীরের ইম্রেতকে বেঘোড়ে তাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। কোনো বাচ্চার থেকে কম নিস্পাপ দেখাচ্ছে না তাকে। ইছমি নিজের হাত দিয়ে ইম্রেতের চুল গুলি আবেশে টেনে দিচ্ছে। নিজের চোখ বুঝে ইম্রেতের গালে, কপালে চুমু খেলো ইছমি। ইম্রেত ঘুমের ঘরেই মুচকি হেসে দিলো। ইছমি নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে চলে গেলো ওয়াস্রুম এ। গোসল সেরে শাড়ি পরে বেড়িয়ে পরলো। চুল মুছছে আর ঘুমোন্ত ইম্রেতকে দেখছে। ইম্রেত নিজের পাশে হাতাচ্ছে কাউকে না পেয়ে লাফ দিয়ে উঠে বসলো।
নিজের দিক তাকিয়ে দেখলো চাদর ছাড়া গায়ে কুছুই নেই তাহলে সব সত্যি তো আমার সুইটি কই।
মাথা চুল্কাতে চুলকাতে সামনে তাকিয়ে আটকে যায় ইম্রেতের চোখ। ভিজা চুলে সিল্কি শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে ইছমি। নিজের চুল মুচ্ছে মাথা নিচু করে। পুরো ভেজা ফোর্সা কমড় দেখা যাচ্ছে।
ইছমি মাথা উঁচু করতেই দেখে ইম্রেত তার দিক তাকিয়ে আছে। ইছমি শরম পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে। ইম্রেত উঠতে নিলে আবার নিজের অবস্থার কথা মনে পরে। ইছমি ভাবলো উঠবে না এমন অবস্থায়। কিন্তু না ইম্রেত উঠতে নিলে ইছমি দৌরে ওয়াস্রুম এ ঢুকে পরে।
ইম্রেত অবাক হয়ে নিজের ভ্রু নাচাচ্ছে। কি হলো সে বুঝলোই না। তাও মুচকি হেসে পেন্ট পরে নিলো। বেডে বসে ফোন টিপাচ্ছে অনেক কল এসেছে তার অফিস থেকে। ইছমি উকি মেরে দেখে কেউ নেই তাই বের হয়। কিন্তু কর্নারে চোখ পরতেও দেখে ইম্রেত।
ইম্রেত সেল্ফোনটা পাশে রেখে ইছমির কমড়ে হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। চুলের পিছে চুমু খায়। নিজের দিক ঘুরিয়ে গালে চুমু খায়। আর ধিরে ধিরে ঠোঁটে করতে নিলে ইছমি মুখে হাত দিয়ে বলে….
” ছিঃ আপনি ফ্রেস হন নি। দাত ও মাজেন নি।
” তাই আচ্ছা ঠিকাছে।
বলে ইম্রেত জড়পুর্বক কিস করে ইছমির ঠোটে। লাগাতার কিস করে অনেক্ষন যাবত। তারপর ছেড়ে বলল….
” সব রকম ঠোঁটের টেষ্ট করে রাখা ভালো। 😉
ইছমি লজ্জা পেয়ে যায়। ইম্রেতের বুকে মাথা গুজে দেয়। ইম্রেত হালকা হেসে জড়িয়ে নিয়ে বলল…
” আমার পিচ্চি সুউইটির শরম যদি কখনো না ভাংগে। কারন আমি আমার সুইটির শরমকে বেশি ভালোবাসি। মাথায় চুমু খেয়ে।
এভাবেই চলতে থাকে তাদের #the_insane_love.
#বিধবা পিচ্চি মেয়েকে ভালোবাসে ২৬ বছরের ইম্রেত। ভালোবেসে আগলে রাখে তার মাঝে। প্রতিবেশী সমাজ সব উপেক্ষা করে নিজের করে নেয়। ভালোবেসে ভড়িয়ে দেয় পিচ্চি বিধবার জীবন। নিজের ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দেয় তার সুইটিকে। টুকটাক আবদার ছোটোখাটো ঝগরা আর ইম্রেতের পাগল করা ভালোবাসা দিয়ে চলতে থাকে তাদের জীবন।
এভাবেই হাসি_খশি থাকুক তারা সেই আশাতে বিদায় নিচ্ছি আমরা। থাকতে দি ইম্রেত_ইছমিকে নিজের মতো করে।
সমাপ্তি….. ♥ #বিধবা [ the insane love ]
[ সবাইকে ধন্যবাদ আমার পাশে থাকার জন্য। স্টোরিটা পড়ার জন্য। এতো ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন সবাই। ]