#বিলম্বিত_বাসর
#পর্ব_২৩(শেষ_পর্ব)
#Saji_Afroz
.
.
.
ফাতেমা বেগমের ঘরভর্তি মেহমান। কাল সকল ঝামেলার অবসান হয়েছে, তার বংশধর আসতে চলেছে ঘরে। সব মিলিয়ে ভীষণ খুশি তিনি। তাই আজ ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তিনি। খুব বেশি কাউকে না বললেও আদুরের পরিবার, লামিয়ার পরিবার, পরীর পরিবারসহ ঘনিষ্ঠ আত্নীয়দের তিনি দাওয়াত করেছেন।
দুপুরে খাবার শেষে আবেশ, আদুরে, আয়ান, লামিয়া, পরী, আদুরের ভাইসহ কয়েকজন কাজিন একসাথে বসেছে গল্প করার জন্য।
কথায় কথায় পরীর দিকে তাকিয়ে আয়ান বলে উঠলো-
আজ পরীর পড়া নেই? ছুটি নাকি?
-হু ছুটি তো!
-আমি হলে অন্য রুমে পড়তে বসিয়ে দিতাম তোকে। ভাবীর জন্য পার পেয়ে গেলি। সামনে কিন্তু তোর এস.এস.সি।
.
মুখটা বাঁকিয়ে পরী বললো-
নিজে এখানে বসে মজা করতে আর আমাকে অন্য রুমে বাচ্চার মতো অ আ ক খ ১ ২ লিখতে দিতে।
.
পরীর কথা শুনে সকলে হেসে উঠলেও লামিয়া জিজ্ঞাসা করলো-
এস.এস.সি পরীক্ষার্থীতে এসব লিখতে দাও কেনো তুমি? পড়াতে ইচ্ছে করেনা বলে?
-আরে জেনারেল নলেজ আছে কিনা দেখেছিলাম। আমি কি ওকে সবসময় এসব পড়িয়েছি নাকি!
-হু! এসব কে না পারে! নার্সারীর একটা বাচ্চাও পারবে।
-তাই নাকি! দেখি বলোতো ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?
-৩৯।
-সবটা বলতে জানবে?
.
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে লামিয়া বললো-
কেনো নয়!
-তবে বলোতো?
-তোমার শান্তির জন্য না হয় বললাম!
-হুম হুম বলো।
-ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম তারপর….উম্ম… তারপর….
.
লামিয়ার অবস্থা দেখে হেসে দিলো সকলে।
লামিয়া গম্ভীরমুখে বললো-
মনে করছি তো! এরপর হচ্ছে ট ঠ…
.
আয়ান বিছানার উপর গড়াগড়ি খেয়ে বললো-
একবার বলেছো তো!
.
সকলকে এভাবে হাসতে দেখে মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো লামিয়ার। তা বুঝতে পেরে আদুরে বললো-
হয়েছে হয়েছে!
.
আয়ান হাসতে হাসতেই বললো-
হয়নি ভাবী! আমার উপর তো বড়ই হেসেছিলো সে, এখন দেখো নিজে আটকে গেলো!
.
মুখটা ফুলিয়ে আয়ানের উদ্দেশ্যে লামিয়া বললো-
সরি! এখন বুঝলাম কেনো তুমি এসব লিখতে দিয়েছো।
.
.
.
রাত ১১টা……
বিছানার উপরে চুপচাপ শুয়ে আছে আবেশ।
আদুরে তার বুকে মাথা রেখে বললো-
কি হয়েছে?
-কই নাতো! কিছুনা।
-তুমি আমাকে বিশ্বাস করোনা?
-নিজের চেয়ে বেশি। কিন্তু এই কথা কেনো বলছো?
-আমার কিচ্ছু হবেনা। এটা মানতে কেনো পারছোনা তুমি?
-ভয়টা কাটছে না যে।
-কচুর ভয়! ভালোভাবে খেয়াল রাখবে আমার। তাহলেই হবে।
-হু। কাল থেকে কোনো কাজ তুমি করবেনা বাড়ির।
-নিজের কাজ তো আছে।
-তোমার আমার কাপড় ধোয়া, আমাদের রুম গোছানো?
-হু।
-এসব আমি করে দিবো। বাড়ির কাজের জন্য মা, খালা, লামিয়া তো আছেই! সম্পূর্ণ আরামে থাকবে তুমি।
-এতো ভাবছো কেনো বলো তো তুমি! এতো এতো বাচ্চা কি আর হয়না মানুষের?
-সবার কপাল আমার মতো খারাপ না আদু।
-আচ্ছা আবেশ? তোমাকে তোমার মা আর বোন তো কথা দেয়নি যে তারা তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেনা। তাইনা?
-মায়ের দেখা তো পেলামই না। আর বোন! সেতো আগেই অন্য একটা ছেলের সাথে পালিয়েছিলো আর পরে…
.
থেমে গেলো আবেশ৷ আদুরে তার বুকের উপর আলতো করে চুমু খেয়ে বললো-
আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি আজ। আমি এবং আমাদের বেবির কিচ্ছু হবেনা। সুস্থ থাকবো আমরা।
.
আদুরেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আবেশ বললো-
বিশ্বাস আছে আমার তোমার উপর।
-এখন বলোতো? ছেলে হলে বাবুর নাম কি রাখবে?
-আমার ছেলে মেয়ে দুটোই চাই।
-আমার পেটকে ড্রাম বানানোর শখ হয়েছে তোমার?
-হু তাই হয়েছে! তুমি বলো এখন, বাবুর নাম রাখার দায়িত্ব আমার?
-হুম।
-তাহলে ছেলের নাম আদর আর মেয়ের নাম আদরিণী।
-ছেলে হলে আদর, মেয়ে হলে আদরিণী! বাহ! অনেক সুন্দর নামগুলি।
-হলেনা দেখবে এমনি হবে।
.
মৃদু হেসে আদুরে বললো-
দেখাই যাক!
.
.
.
.
-সরি, আমরা মা শিশু কাউকেই বাঁচাতে পারলাম না!
.
ডাক্তারের কথা শুনে যেনো আবেশের শরীরটা মাটির সাথে মিশে যেতে চাইলো। যে ভয়টা সে পাচ্ছিলো সেটাই সত্যি হয়ে গেলো!
মেঝেতে বসে পড়লো আবেশ।
চিৎকার করে কেঁদে সে বলে উঠলো-
আদু…..!
.
ঘুমটা ভেঙে গেলো আদুরের। শোয়া থেকে বসে পাশে তাকিয়ে দেখলো, আবেশ ঘুমের মাঝেই হাউমাউ করে কাঁদছে।
আদুরে তাকে ডেকে বললো-
আবেশ! কি হলো তোমার?
.
আদুরের ডাকে চোখ জোড়া খুলে তাকে দেখতে পেয়ে যেনো প্রাণ ফিরে পেলো আবেশ!
তার মানে সে স্বপ্ন মানে বাজে স্বপ্ন দেখছিলো!
-এই আবেশ!
.
আদুরে অনেকটা ঘাবড়ে গিয়েছে বুঝতে পারলো আবেশ। তাই সে উঠে বসে নিজের বুকে টেনে নিলো আদুরেকে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আদুরে বললো-
কি হয়েছে তোমার? বলোনা প্লিজ!
-কিছুনা।
-স্বপ্ন দেখেছো তাইনা? আমি মরে গিয়েছি?
.
আদুরেকে নিজের বুক থেকে সরিয়ে তার চোখে চোখ রেখে আবেশ বললো-
এসব বাজে স্বপ্ন!
-আজ ৫মাস হচ্ছে গর্ভে আমাদের সন্তান এসেছে। দিন যত এগিয়ে আসছে আমারও ভয় কাজ করছে আবেশ!
.
আবেশ বুঝতে পারলো আদুরের দূর্বলতা সে। সে যদি দূর্বল থাকে তাহকে আদুরেও দূর্বল হয়ে পড়বে। তাই সে মুহুর্তেই সিদ্ধান্ত নিলো, যত ভয়ই মনে কাজ করুক না কেনো আদুরের সামনে তা আর প্রকাশ করবেনা।
আদুরের চোখ জোড়া মুছে দিয়ে আবেশ বললো-
কিসের ভয় পাগলি! আমি যেখানে ভয় করছিনা তুমি কেনো করবে? আমি না তোমার শক্তি?
-হু।
-তাহলে কোনো ভয় নেই।
-সত্যি তুমি ঠিক আছো?
-একদম।
-তাহলে তুমি বসে থাকো। তোমার কোলে মাথা দিয়ে ঘুমোবো আমরা।
-আমরা?
-তোমার বেবিটাসহ।
.
আদুরের কথা শুনে মৃদু হেসে আবেশ বললো-
এসো।
.
আবেশের কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো আদুরে। আজ পাচ মাস হতে চললো সে গর্ভবতী। এতোদিনেও আবেশের ভয়টা কাটেনি, উল্টো বেড়ে চলেছে। আবেশ যে এভাবে দেখলে তার নিজেরও যে কষ্ট হয়!
.
.
.
আরো প্রায় ৫মাস পর…..
ফাতেমা বেগমের বাড়িতে যেনো খুশির সীমা নেই আজ!
তার ঘর আলো করে এসেছে তার নতুন অতিথি। তবে একজন নয়, দুইজন!
আদুরে জমজ বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। একজন ছেলে অপরজন মেয়ে! আদুরেও সুস্থ আছে। এর চেয়ে খুশির বিষয় আর কি হতে পারে!
আর আবেশ সেই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার পর একটিবারের জন্যও তাদের পাশ থেকে সরেনি। দুই বাচ্চাকে দোলনার উপর রেখে বিছানার পাশে বসে আছে সে। তার ঠিক পাশেই শুয়ে আছে আদুরে।
ভাগ্য করে এই মানুষটাকে নিজের জীবনে পেয়েছে সে। এতো ভালোবাসা এই মানুষটার কাছ থেকে কখনো সে আশাও করেনি! কারণ তাকে তো সে সর্বদা ম্যান্দামার্কাই ভাবতো! ভাবতেই নিজের মনে হেসে উঠলো আদুরে।
.
.
সারা বাড়ির মেহমানদের দেখভাল করতে ব্যস্ত লামিয়া। হঠাৎ তার হাত ধরে আয়ান তাকে নিজের রুমে এনে জড়িয়ে ধরলো। লামিয়া নিজেকে আয়ানের কাছ থেকে সরিয়ে বললো-
হঠাৎ প্রেম উতলে পড়ছে কেনো?
-ভাইয়ার টুইন বেবি দেখে। কি কিউট না?
-হু অনেক।
-ভাইয়া বিলম্বিত বাসর করেও দুই বাচ্চার বাবা হয়ে গেলো। আর আমি আকদ হবার পরেই কাজ সেরেও এক বাচ্চার বাবাও হতে পারলাম না। সব তোমার জন্য। “এখন না সোনা, আরো পরে”, এসব কথা শুনতে শুনতে শেষ!
.
আয়ানের কথা শুনে মুখ টিপে হেসে চলেছে লামিয়া।
লামিয়াকে আরো কাছে টেনে তার কোমর চেপে আয়ান বললো-
এবার আমরাও ফ্যামিলি প্লানিং করি চলো?
-মন্দ বলোনি। তবে ভাইয়ার মতো খেয়াল রাখতে পারবে তো?
-কেমন খেয়াল?
-ভাইয়া দেখোনি কত যত্ন করেছে ভাবীকে? ভাবীর কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে তাকে খাইয়ে পর্যন্ত দিয়েছেন এতোদিন।
-আরে এসব! আবেশ ভাইয়া কার ভাই? আমার তো! তাই এতোটুক ভরসা রাখতে পারো আমিও তোমার যত্ন করবো এমন।
-হুম! তাহলে বেবির প্লানিং করাই যায়।
-তাহলে চলো?
-কোথায়?
-কেনো বিছানায়!
.
চোখ জোড়া কপালে তুলে লামিয়া বললো-
এখন!?
-হু! কেনো?
-বাড়ি ভর্তি মানুষ বাসায়, দিনের বেলা এসব করতাম?
-আমার বাড়ি, আমার বউ, আমার বিছানা সমস্যা কি?
.
হাসতে হাসতেই লামিয়া বললো-
এখন নয়, ধীরে সুস্থে রাতে। মা এখন কাজের জন্য ডাক দিতে পারেন।
-হু ঠিক বলেছো। তাহলে এখন ছোটখাটো কিছু দিয়ে দাও।
-চোখ বন্ধ করো।
.
আয়ান চোখ জোড়া বন্ধ করতেই লামিয়া তার ঠোঁটের উপরে আলতো করে কামড় বসিয়ে দিয়ে নিজেকে তার কাছ থেকে সরিয়ে দ্রুত যেতে থাকলো দরজার দিকে।
নিজের ঠোঁটে হাত দিয়ে আয়ান বলে উঠলো-
লাম্মু? তুই আমাকে ধোকা দিলি কিন্তু।
.
দরজার পাশে এসে থেমে গেলো লামিয়া। পেছনে ফিরে চোখ টিপ দিয়ে বললো-
রাতে পুষিয়ে দিবো আয়ানু!
.
কথাটি বলেই মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে সেখান থেকে প্রস্থান নিলো লামিয়া।
আর আয়ান বিড়বিড় করে বললো-
তোর এই মিষ্টি হাসির প্রেমে আমি বারবারই পরি রে লাম্মু!
.
.
.
আবেশ দোলনায় থাকা বাচ্চাদের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। আর তার দিকে তাকিয়ে আছে আদুরে। তার চোখের কোণা পানিতে জমে আছে। এটা যে সুখের অশ্রু কোণা!
.
-আসবো রে?
.
ফাতেমা বেগমের কথায় আবেশ বললো-
আসো মা!
.
আদুরে উঠে বসতে চাইলে ফাতেমা বেগম বলে উঠলেন-
এই রে কি করছো! উঠোনা। তুমি শুয়ে থাকো। আমি তোমাকে দেখতে এসেছি। ঠিক আছো তুমি?
-জ্বী আছি আপনাদের দোয়াতে।
-আমার আবেশ কেমন ভাগ্যবান দেখেছো? তার আশা পূরণ করেছেন আল্লাহ।
-আমি আরো ভাগ্যবতী মা, আপনার আবেশকে পেয়ে।
.
আদুরের এই কথাটি শুনে যেনো মন, প্রাণ সবটা ভরে গেলো ফাতেমা বেগমের।
মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে তিনি বললেন-
কদিন পরেই হুজুর এনে বাচ্চাদের নাম রাখবো। তোমরা কি কোনো নাম ঠিক করেছো?
-আবেশ সেই কবেই ঠিক করে রেখেছে। আদর ও আদরিণী।
-মাশাআল্লাহ! অনেক সুন্দর নামগুলি। তোমার পছন্দ হয়েছে তো?
-অবশ্যই।
-তাহলে তো হলোই! আমি তবে যাই এখন৷ কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে বলো আমাকে।
-জ্বী মা।
.
ফাতেমা বেগম রুম থেকে বেরুতেই উঠে বসলো আদুরে।
তার পাশে এসে বসতে বসতে আবেশ বললো-
মা না তোমায় উঠতে বারণ করলো?
-একটু বসিনা!
-তোমার ইচ্ছে।
-এই আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলছোনা কেনো? কি হয়েছে? এখন তো সব ঠিকঠাকই আছে। আমি….
.
আদুরেকে আর কিছু বলতে না দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আবেশ বললো-
ডাক্তার যখন বললেন সিজার করতে হবে, অপারেশন থিয়েটারে যখন তুমি ছিলে বিশ্বাস করবে না আদু আমি কতোটা ভয়ে ছিলাম! আমি আর আমার মাঝে ছিলাম না। তবুও মনে সাহস রেখেছি একটা কথা মনে করে। তুমি আমাকে কথা দিয়েছো তোমাদের কিছু হবেনা।আর এই বিশ্বাসেই নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি।
.
আবেশের বুক থেকে মাথা তুলে তার কপালে চুমু এঁকে আদুরে বললো-
অনেক ভালোবাসি তোমাকে।
-আমিও।
-চলো, বাবুদের কাছে যাই। আমিতো এখনো তাদের ভালোভাবে দেখতেই পারলাম না।
.
.
দোলনার পাশে দাঁড়িয়ে মন ভরে বাচ্চাদের দেখে চলেছে একইসাথে আবেশ ও আদুরে।
দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে আদুরে বললো-
আমি তোমাদের আম্মু আর আমার পাশে যে ম্যান্দামার্কা কে দেখছো? সে হলো তোমাদের আব্বু।
.
কথাটি বলেই আদুরে হেসে চলেছে এক নাগাড়ে।
আবেশ তার এক হাত টেনে নিজের খুব কাছে এনে বললো-
আদু? তোমার আবেশ ম্যান্দামার্কা নয়, পুরাই জেন্টলম্যান।
-আমি জানি, তবুও তোমাকে ম্যান্দামার্কাই ডাকবো। কোনো সমস্যা?
.
মৃদু হেসে আবেশ বললো-
নাহ!
.
আবেশ নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে জড়িয়ে নিলো নিজের বুকে আদুরেকে।
আদুরেও তাকে জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে বললো-
আজীবন আমার ম্যান্দামার্কাই থেকো।
.
(সমাপ্ত)
.
বি:দ্র: ব্যস্ততার কারণে বিলম্বিত বাসর লিখতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। তাই আমি আবারো দুঃখিত।
অবশেষে শেষ হলো গল্পটা। কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু…😊