#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৪৭………….🌼
#সারপ্রাইজ🦋
“কালো রঙের স্লিক শাড়ির সাথে সাদা হিরের নেকলেস ,কানে ভাড়ি দুল,চোখ দুটোতে গাঢ় মোটা কাজল আর হাত ভর্তি কালো কাঁচের চুড়ি পড়েছে আয়ানা।সাদা শরীরে কালো রংটা অসাধারণ সুন্দর লাগছে আয়ানাকে একদম অপ্সরা লাগছে তাকে।দূর থেকে নজরে পরা সুন্দরী লাগছে,যে কেউ দেখলে চোখ ফেরানো দায় হবে। কোনো সাজসজ্জা ছাড়াই তাকে খুব সুন্দর এবং গর্জিয়াস লাগছে তাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব ভাড়ি গর্জিয়াস ভাবে সেজেছে সে।। আজকে পার্টির থিম হচ্ছে কালো তাই সকল কিছু কালো রঙে সজ্জিত হয়েছে। সকলের পোশাকের রং কালো।ইরফানের পছন্দের রং কালো তাই সব কিছু কালো রঙে ডেকরেট করা হয়েছে।। ইরফান কিছুক্ষণ আগে রেডি হয়ে নিচে গিয়েছে আর যাওয়ার আগে আয়ানাকে নিজের হাতে রেডি করতে চেয়েছিল কিন্তু আয়ানা জোর করে বলেছে আজকে সে নিজের মতো সব করতে চায় তাই বাধ্য হয়ে ইরফান আর কিছু বলেনি আয়ানাকে আধঘন্টা সময় দিয়েছে রেডি হওয়ার জন্য তারপর নিচে চলে যায় গেস্টদের সাথে কথা বলার জন্য, এতোক্ষণে সম্পূর্ণ বাড়ি গেস্টে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে এখন শুধু আয়ানা উপস্থিত হলে পার্টি শুরু করা হবে।।।
“মিররের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ভালো করে দেখে নিল আয়ানা। শাড়িতে তাকে অসাধারণ লাগছে দেখতে। চুলগুলোকে সুন্দর করে ব্রাশ করে এক গুচ্ছ সাদা গোলাপ চুলে সুন্দর ভাবে লাগিয়ে নেয়। আজকে শুধু এই গোলাপ আর জুয়েলারি ছাড়া তাঁর শরীরে সব কিছু কালো। আজকে সে তাঁর এরোগেন্ট ম্যানের রঙে নিজেকে সাজিয়েছে। তাঁর এরোগেন্ট ম্যানের ভালোবাসা,রাগ, হিংস্রতা সব রঙে নিজেকে আজকে রাঙিয়ে তুলবে সে। আজকে থাকবে না কোনো দ্বিধা,ভয়, লজ্জা। আজকে এই কালো রঙ তাঁর ভালোবাসার রঙ তা সে খুশি মনে গ্ৰহন করবে।। ভেবে হেসে দিলো আয়ানা হঠাৎ মিররে ইরফানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়ে তাঁর দিকে ঘুরে তাকালো।।। ইরফান নেশা ভরা দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে।আয়ানা কখনো এই দৃষ্টিতে চোখ মেলানোর সাহস হয়নি তাই প্রতিবারের মতো লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
“ইরফান আয়ানাকে নিতে রুমে আসে আর এসে নিজের জানকে দেখে হার্ট বিট খুব দ্রুত চলতে শুরু করে।। ইরফান আজ সম্পূর্ণ কালো রঙে নিজেকে সাজিয়েছে। সবসময় সে কালো রঙের পোশাক আশাক পরে কিন্তু আজকে তাকে জেনো অন্য দিনের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগছে।।কালো রঙের শার্টের উপরে কালো রঙের কোর্ট যার মাঝখানের শুধু একটা বোতাম লাগানো,হাতা গুলো কনুই পর্যন্ত গোটানো। পায়ে ব্লাক “সু”,বাম কানে ব্লাক টপ,চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা, চোখে সুরমা দেওয়া,কালো ঠোঁট দুটো একদম অন্যরকম সুন্দর লাগছে তাকে।। একদম ব্লাক কিং,সকল মেয়েদের ড্রিম বয়।।। ইরফান আয়ানার সামনে গিয়ে আয়ানার কোমরে হাত রেখে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো চুলে গুজা গোলাপ ফুলগুলোতে নাক দিয়ে চোখ বন্ধ করে হালকা নিঃশ্বাস টেনে নিলো।নিচু হয়ে আয়ানার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,,,
—–আজকে কী আমাকে মারার প্ল্যান আছে মেরি জান! নেশা ভরা কন্ঠে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জা পেয়ে যায়। ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে আলতো হাতে আয়ানার কোমর জড়িয়ে বললো,,,
—-এখন আর লজ্জা পেতে হবে না!যা লজ্জা পাওয়ার পার্টি শেষে পেও কেমন। বাঁকা হেসে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জার কারনে মাথা সোজা করতে পারছে না ইরফান মৃদু হেসে আয়ানাকে নিয়ে নিচে চলে যায়।।।
“ইরফান আয়ানা শিড়ি বেয়ে নিচে নামতে দেখে সবাই সেদিকে তাকালো, মিডিয়ার লোক ছুটে এসে ভিড় জমালো শিড়ির কাছে। বিভিন্ন পোজে ছবি তুলতে ব্যস্ত ক্যামেরা ম্যান, আজকে দু’জনের দিক থেকে কেউ চোখ সড়াতে পারছে না কিন্তু বাধ্যে হয়ে সড়াতে হচ্ছে ।। মাথার উপর থেকে কালো গোলাপের পাপড়ি পড়ছে দুজনের উপর , আয়ানা আলতো হতে তা স্পর্শ করছে তাঁর মুখে রয়েছে মন ভোলানো হাসি সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে তাঁর কাছে। নিচে নামতে এক এক করে সকলে ইরফানকে জম্মদিনের শুভেচ্ছা জানালো।। সবার সাথে কথা বলার মাঝে দুজন র্সাভেন্ট বড় একটা কেকের ট্রলি নিয়ে হাজির হলো তাদের সামনে ।।সবাই চারিদিকে উপস্থিত হতে ইরফান কেক কাটলো। ইরফান কেক কেটে আয়ানাকে খাইয়ে দিল তাঁর খাওয়া কেকের কিছু অংশ ইরফানকে খাইয়ে দেয় আয়ানা।।সবার নজর ইরফান আর আয়ানার দিকে তাদের মুখে হাসি ছোট ছোট খুনসুটি সকলের নজর কাড়ার মতো। দুজনকে দেখলেই বুঝা যায় তাঁরা কতো সুখী এবং সুন্দর দম্পতি।।কেক কাটার পর ফটোসট তার পর পার্টি শুরু হয়।।সকলে সকলের মতো নাচ গান খাওয়া দাওয়া নিয়ে ব্যস্ত।। ইরফান আয়ানার কোমর জড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের বিজনেস পার্টনারদের সাথে কথা বলছে আয়ানা বিরক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর পাশে।। তাঁর কাছে বিরক্ত লাগছে এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে,আল্লাহর কাছে দোয়া করছে তারাতাড়ি জেনো পার্টি শেষ হয়ে যায়। কখন উপরে যাবে তাঁর আর তর সইছে না উপরে যাওয়ার জন্য। সাফিয়া কে খুঁজছে কিন্তু আশেপাশে কোথাও সাফিয়া নেই, সাফিয়া কে যা কাজ দিয়েছে তা কমপ্লিট হয়েছে কিনা তা সে জানে না ভেবে আরো বিরক্ত লাগছে একটু নড়তেও দিচ্ছে না ইরফান।। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখলো আয়ানা এদিক ওদিক তাকাচ্ছে তাঁর যে বিরক্ত লাগছে ইরফান ভালো করে বুঝতে পেরেছে তাই কথা বলা শেষ করে আয়ানাকে নিয়ে অন্যদিকে চলে গেলো। আয়ানার কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলতে লাগলো,,,,
—-কী হয়েছে মেরি জান? তোমার কী পার্টি ভালো লাগছে না। শরীর খারাপ লাগছে। উত্তেজিত কন্ঠে।।।
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে বললো,,,
—-না আমি ঠিক আছি! একটু বোর হচ্ছি ঠোঁট উল্টিয়ে।।।
—তোমার ভালো লাগছে না! তাহলে পার্টি এখনি শেষ করে দিচ্ছি কেমন।।আয়ানার গালে হাত রেখে।।।
—-না-না আমি ঠিক আছি।পার্টি শেষ করতে হবে না।।।
এখন উপরে যাওয়া চলবে না তাহলে সব প্ল্যান ভেস্তে যাবে। মনে মনে।।।
—-সিওর তো।ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করলো ইরফান।।
—-হুম।
—-ওকে।চলো ডান্স করবে বলে আয়ানাকে নিয়ে ডান্স ফ্লোরে চলে যায়।।।ডিজে কে ইসারা করতে একটা সফট রোমান্টিক গান প্লে করে সেই গানের সাথে তাল মিলিয়ে খুব ক্লোজ হয়ে খুব সুন্দর করে কাপাল ডান্স করতে লাগলো দুজনে। সকলের নজর তাদের উপর হালকা পার্টি লাইটের আলোতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে দুজনকে।। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে খুব সুন্দর করে ডান্স করে তাদের ডান্স শেষ হলে সকলে ভীষণ প্রশংসা করে।।নাচ গান শেষ হতে সকলে খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ হওয়ার মাধ্যমে পার্টি শেষ হয় রাত ১০:৩০ বাজে।।সবাই বিদায় নিয়ে চলে যায়। সকলে চলে যেতে ইরফান আয়ানাকে নিয়ে উপরে যেতে নিলে আয়ানা চিৎকার করে বলে উঠলো,,,
—-না-না এখন উপরে যাওয়া যাবে না।।
আয়ানার চিৎকার শুনে সবাই ভরকে যায় সবাই অবাক চোখে আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে। ইরফান ভ্রু কুঁচকে আয়ানাকে পর্যবেক্ষণ করছে কখন থেকে এই মেয়ে অদ্ভুত ব্যবহার করছে। ইরফান আয়ানার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভালো করে স্কেন করে বললো,,,,
—-কী হয়েছে?
আয়ানা ঠোঁট ফুলিয়ে ধিরে গলায় বলল,,
—একটু পরে উপরে যাবো প্লিজ!
—-কেনো! শান্ত গলায়।।
—-না মানে! একটু পর যাই না।আর দশ মিনিট।।।হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে।
ইরফান আয়ানার কথা শুনে কিছুক্ষণ আয়ানার দিকে তাকিয়ে থেকে কোর্টের বোতাম খুলে সোফায় বসে পরে তা দেখে আয়ানা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তাঁর পাশে ধপ করে বসে পরে।। তাদের কথা শুনে বাকি সবাই মৃদু হেসে যার যার রুমে চলে যায়।বেশ কিছুক্ষণ পর আয়ানার মোবাইলে মেসেজ আসতে আয়ানা সেদিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো তা দেখে ইরফান ভ্রু কুচকালো ইরফান কিছু বলতে যাবে তাঁর আগে আয়ানা ইরফানের হাত ধরে বললো,,,
—-উঠুন উঠুন!
ইরফান আয়ানার কথা মতো সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরলো কিছু বলতে যাবে তাঁর আগে আয়ানা মুখ বন্ধ করে দিলো।।।
—-কোনো কথা বলবেন না প্লিজ!যা প্রশ্ন একটু পর তাঁর উত্তর পেয়ে যাবেন।একটা কালো কাপড় চোখে বাঁধতে বাঁধতে।।
ইরফান চোখে হাত দিয়ে শান্ত গলায় জিজ্ঞাসা করলো,,,
—-বাচ্চাদের মতো কী করছো আয়ু!
—–আজকে আপনাকে কিডন্যাপ করে বেঁচে দিবো।কাপড় বেঁধে ফিক করে হেসে দিল আয়ানা।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান মৃদু হেসে আলতো হাতে আয়ানার কোমর পেঁচিয়ে বললো,,,,
—–আমি তো কিডন্যাপ হতে চাই আমার আয়ু জানের হাতে। বাঁকা হেসে।
আয়ানা ইরফানের কথা শুনে মুচকি হেসে ইরফানের এক হাত জড়িয়ে ধরে বললো,
—-চলুন। হাঁটতে অসুবিধা হবে না আমি ধরে রেখেছি।।
—চোখ বন্ধ করে এই বাড়ির কেনো আমার চেনা সব জায়গায় একা একা যেতে আমার কোনো অসুবিধা হবে না।আর তোমার হাত ধরে তো আমি মারতেও রাজি আছি।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।। ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জা পেয়ে মৃদু হেসে বলল,,
—-খুব ইন্টেলিজেন্ট!
—–তোমার বর।।
দুজনে কথা বলতে বলতে নিজেদের রুমে চলে আসে।আয়ানা ইরফানের হাত ধরে নিজেদের রুমের ছোট মিনি ছাদে এসে থামলো। ইরফান বাতাসের সাথে আসা সুন্দর মিষ্টি গন্ধে অনুভব করতে পারছে তাঁর জান কী করেছে, ইরফান মুচকি হেসে বলল,,
—-তো আমার জানের বুঝি তাঁর বরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এখানে নিয়ে এসেছে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা হেসে দিল আসলে ইন্টেলিজেন্ট ম্যান। আয়ানা মৃদু হেসে ইরফানের পেছনে গিয়ে আলতো হাতে চোখের কালো কাপড় টা খুলে দিল।। ইরফান চোখ খুলে সামনের দিকে তাকাতে চোখ মুখ চকচক করে উঠলো।
🖤🖤টিমটিম আলোয় আলোকিত হয়েছে মিনি ছাদের প্রতিটা কোণা। আকাশে আজ বিশাল বড় চাঁদ যা আলোকিত করে রেখেছে চারিদিক। জম্মদিন উপলক্ষে লাগানো লাইটের আলোতে দূরদূরান্তের সব কিছু পরিষ্কার ভাবে দেখা যাচ্ছে।। ইরফানের জম্মদিন উপলক্ষে আয়ানা মিনি ছাদে ছোট খাটো একটা সারপ্রাইজের আয়োজন করেছে।। কালো রঙের গোলাপ দিয়ে ডেকরেট করেছে সম্পূর্ণ ছাদ।।কালো রঙের নেটের মাঝে আটকে রেখেছে শুভ জন্মদিন মি.এরোগেন্ট ম্যান লেখার বেলুন গুলো।কালো রঙের ছোট ছোট প্রদিপ গুলো ভেসে যাচ্ছে মস্ত বড় মোটা স্লিভারের হাঁড়ি ভর্তি পানির মাঝে। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য কালো গোলাপ আর বেলুন।। টেবিলে মস্ত বড় কেক আর এতে রয়েছে শুভ জন্মদিন মি.হ্যাসভেন্ট লেখা তাঁর সাথে রয়েছে অসংখ্য ক্যানডেল।। ইরফান চারিদিকে তাকিয়ে হেসে দিল আনন্দ গুলো শূন্যে ভেসে বেরাচ্ছে, নিজেকে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।প্রিয় মানুষের থেকে পাওয়া ছোট ছোট উপহার গুলো পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি মনে হয়।। তাঁর জীবনে কোনো কিছুর কমতি নেই কিন্তু তবুও সে এতো সুখী নিজেকে কখনো মনে করেনি ভালোবাসার থেকে সুখ কিছু নেই এটা মানুষের সবচেয়ে বড় পাওয়া এটা পেলে গরিবও নিজেকে ধনী মনে করবে।। হঠাৎ কানের কাছে স্লো ভয়েসে শুভ জন্মদিন মি.হ্যাসবেন্ট কথা টা শুনে আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো।। বেশ কিছুক্ষণ পর আয়ানার দিকে ঘুরে তাকাতে আয়ানা ইরফানকে আবাক করে দিয়ে একগুচ্ছ কালো সাদা গোলাপ নিয়ে ইরফানের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে ইরফান বিষ্ময়ের জন্য কিছু বলতে পারছে না তার জেনে সব কথা গলায় আটকে গেছে নিজেকে অন্য দুনিয়া আবিষ্কার করছে।।আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে মায়া ভরা কন্ঠে বলতে লাগলো,,,
🖤 সবার কাছে ভালোবাসা কী আমার জানা নেই। ভালোবাসার মানে কি জানি না।ছোট বেলায় যখন রূপকথার গল্পে রাজকুমার আর রাজকন্যার ভালোবাসার গল্প শুনেছি তখন খুব করে ইচ্ছে করতো ইশ্ আমারও যদি এমন রাজকুমার থাকতো তাহলে সেও আমাকে এমন করে নিশ্চয়ই ভালবাসতো।আবেগে তখন অনেক কিছু ভেবে নিতাম, কিন্তু ব্যস্তব জীবনে যে আমি রাজকুমার নয় এক ভালোবাসায় পরিপূর্ণ এক রাজা পাবো ভাবতে পারেনি।।সবাই বলে ভালোবাসা রঙ্গিন হয় ভালোবাসার রং লাল হয় নীল হয় কিন্তু আমি বলবো ভালোবাসার রং কালো আমার ভালোবাসার রং কালো যে রঙে আমি নিজেকে রাঙাতে চাই।।সব ভালোবাসা এক হয় না কিছু ভালোবাসা সবার থেকে ভিন্ন হয়, সব ভালোবাসা পরিপূর্ণ হয় না কিছু ভালোবাসা অপূর্ণ থাকে তাই বলে কি ভালোবাসা হয় না!ভালোবাসা সবার জন্য জায়েজ।যে ভালোবাসাকে আমি দূরে রেখেছি সেই ভালোবাসাটা আমি আপন করতে চাই সে ভালোবাসায় নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে চাই।।রোজ নিয়ম করে নাহয় আপনার মতো ভালোবাসি কথাটা না বলি তবুও খুব ভালোবাসি। আপনার মতো ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব নয় কারণ আপনার মতো করে কখনো কেউ ভালোবাসতে পারবে না কিন্তু আমিও ভালোবাসতে চাই ঠিক আপনার মতো না হলেও নিজের মতো করে গুছিয়ে ভালোবাসতে চাই।ভালোবাসা নিয়ে নিজের মনের কোনে তৈরি করা স্বপ্ন গুলো আপনার হাত ধরে বাস্তবায়ন করতে চাই। চলতে চাই ওই অন্ধকার পথ যেই পথে একলা আমাকে ভয় দেয় কিন্তু আপনার হাত ধরে পারি দিতে না থাকাবে ভয় না সংকোচ কারন ভালোবাসি আপনাকে। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত থাকতে চাই আপনার হাত ধরে।। ভালোবাসতে চাই আমার রাগি ভিলেনটাকে। খুব করে চাই তাকে।।ভালোবাসতে দিবেন তো ঠিক আমার মতো করে।। হাঁসি মুখে কথা গুলো বললো আয়ানা চোখে তাঁর শিশিরের বিন্দুর মতো চিক চিক করছে পানি।। ইরফান এখনো ভাব শূন্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঠোঁট দুটো কাঁপছে চোখ বেয়ে পরছে সুখের অশ্রুজল। আজকে কেউ তাঁর চোখের পানি দেখলে জীবনে সবচেয়ে বেশি অবাক হতো সকলের কাছে বাঁধিয়ে রাখার মতো ছবি হতো।।। ইরফান খুশিতে আটখানা হয়ে মাথা নেড়ে হ্যা বলল।।আয়ানা ইরফানের দিকে ফুল গুলো বাড়িয়ে দিয়ে এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললো,,,,,
—-আই লাভ ইউ 🖤 মি. এরোগ্যান্ট ম্যান।। খুব ভালোবাসি আমার #The_Villain বরকে।আয়ানার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইরফান আয়ানার হাত ধরে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়। খুব শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে আয়ানাকে।।আয়ানার ঘারে মুখ গুজে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে তাঁর চোখের পানিতে ভিজে যাচ্ছে আয়ানার ঘারের কাছে অনেক অংশ। আয়ানা মৃদু হেসে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তাকে।।। ইরফান আয়ানার মুখটা নিজের মুখের কাছে এনে অসংখ্য চুমু খায় সারা মুখে।। খুশিতে কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছে না। খুব সহজে কিছু পাওয়ার আনন্দ তাকে দিশেহারা করে দিয়েছে।কম কাঠখড় পোড়াতে হয় নি তাকে, ভেবেছে আরো কষ্ট করতে হবে আরো অপেক্ষা করতে হবে কিন্তু তাঁর অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। আজকে তাঁর জান তাঁর ভালোবাসার ডাকে সাড়া দিয়েছে, পৃথিবীতে আজকে সে সবচেয়ে বেশি খুশি সে পেরেছে নিজের জানের মনে ভালোবাসার জম্ম দিতে । লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।
ইরফান আয়ানার গালে হাত রেখে নাকে নাক ঘষে বলতে লাগলো,,,,,
—-তোমার যেমন করে ইচ্ছে তেমন করে ভালোবাসাও। শুধু একটু ভালোবেসেও আমার আর কোনো চাহিদা নেই। খুব ভালোবাসি আমার পিচ্চি পরীকে খুব বেশি।।
—আমিও ভালোবাসি আমার ভিলেন এরোগ্যান্ট ম্যানকে।। মৃদু হেসে।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান হেসে দিলো। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে আয়ানার ঠোঁট দুটো নিজের ঠোঁটের বাজে নিয়ে গেলো। আজকে আয়ানাও ইরফানের ভালোবাসায় সাড়া দিচ্ছে আবেশে আঁকড়ে ধরলো ইরফানের গলা।বেশ কিছুক্ষণ পর ইরফান আয়ানাকে ছেড়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। জোরে নিঃশ্বাস টেনে নিয়ে বললো,,,,,,
—-ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা গিফটের জন্য। আমার জীবনের সবচেয়ে দামি গিফট ছিল। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ সারাজীবন মনে থাকবে।। ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জায় ইরফানের বুকে মুখ লুকালো।।।বেশ কিছু সময় পর দুজনে মিলে কেক কাটলো এবং একে অপরকে খাইয়ে দিলো।।।।
🖤”১২:০০ বাজে শেষ হয়ে গিয়েছে ইরফানের জম্মদিন আর জম্মদিনের উপহার হিসেবে দিয়ে গিয়েছে সবচেয়ে বড় গিফট আয়ানার ভালোবাসা।এই বছরের জম্মদিনে সে সবচেয়ে দামি গিফট পেয়েছে।।।
ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে আয়ানা আর তাঁর পেছন তাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে ইরফান দুজনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। ইরফান হাতে থাকা গোলাপ গুলোর দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল,,,,
—আয়ু জান এখানে সাদা আর কালো গোলাপ কেনো?
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা গোলাপের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল,,,,
—–কারন আমাদের ভালোবাসা ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট লাভ সবার থেকে ভিন্ন তাই।।আয়ানার কথা শুনে ইরফান হেসে দিলো। সত্যি তাদের ভালোবাসা ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট লাভ সবার থেকে ভিন্ন।ব্ল্যাক কিং আর হোয়াইট এনজেলের লাভ। ইরফান আয়ানাকে সামনে ঘুরিয়ে বলতে লাগলো,,,,,
—তাই! তাহলে ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট লাভের সূচনা শুরু করি কী বলো। বাঁকা হেসে।। ইরফানের কথা শুনে আয়ানা অবাক চোখে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। ইরফান চট করে আয়ানাকে কুলে তুলে নিলো আয়ানা ভয় পেয়ে শক্ত করে আকড়ে ধরলো ইরফান কে। ইরফান মুচকি হেসে বলল,,,
—মে আই ।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জা পেয়ে ইরফানের বুকে মুখ গুজে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো তা দেখে ইরফান মুচকি হেসে রুমের দিকে পা বাড়ালো।। রুমে প্রবেশ করে ইরফান আরেক দফা অবাক হলো। রুমটাকে ঠিক তাদের বিয়ের দিনের মতো করে সাজানো হয়েছে ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,
—-এগুলো কী তুমি করতে বলেছো।ভ্রু নাচিয়ে।
ইরফানের বুকে মাথা রাখা অবস্থায় আয়ানা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো তা দেখে ইরফান হেসে দিয়ে বললো,,
—–বাহ্ মেরি জান আমার আর কষ্ট করতে হলো না। বিয়ের দিনের বাসরটা আজকেই সেরে নেওয়া যাবে কী বলো!
ইরফানের কথা শুনে আয়ানার ইচ্ছে করছে দৌড়ে রুম থেকে পালাতে কিন্তু পারছে না। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে বিছানার দিকে পা বাড়ালো।।।।
(গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন।।। পরবর্তী পর্ব থেকে ইরফান আয়ানার প্রেম শুরু সবাই আয়ানা কেনো মনের কথা বলছে না এসব বলছিলেন তাদের জন্য বিশেষ করে আজকের পর্ব আশা করি সবার ভালো লাগবে।। পরবর্তী পর্ব দিতে দেরি হবে। ধন্যবাদ সবাইকে ❤️)
#To_be_Continued…………🌼
#Happy_Reading🦋
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵