#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৪৮……….🌼
“রাত পেরিয়ে নতুন সকালের সূচনা হয়েছে।একটি নতুন দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। আকাশের কালো আঁধার বিলিন হচ্ছে আলোর বুকে আবার রাত হওয়ার সাথে সাথেই আলো মিশে যায় আঁধারের বুকে। দুটো দুই মেরুর জীনিস যাদের অমিল অনেক, যাদের কোনো কিছু কখনো মিল নেই। একে অপরের বিপরীত কিন্তু ঠিকই দিন শেষে আঁধারকে ভালোবেসে আলো আঁধারের মাঝে নিজেকে বিলীন করে আবার রাত শেষ হলে আঁধার নিজেকে মিলিয়ে দেয় আলোর মাঝে।।।আঁধার আলো একে অপরের পরিপূরক।।ভালোবাসা রং দেখে হয় না কোনো একটি সময় হয়ে যায় আর সব ভালোবাসা সাধারণ হয় না কিছু ভালোবাসা বিষাক্ত
হয় 🖤।।
“সকাল আটটা ঘুম ভাঙ্গে আয়ানার। ঘুম ঘুম চোখে এদিক সেদিক তাকিয়ে নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে লজ্জায় লাল হয়ে গেলো সে। ইরফান আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে তাকে, মাথাটা উচু করতে দেখতে পায় ইরফান নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে তা দেখে আয়ানার লজ্জা আরো বেড়ে গিয়েছে তাই তাড়াতাড়ি করে আবার মুখ লুকালো ইরফানের বুকে, তা দেখে ইরফান বিনা আওয়াজে হেসে দিল।।। কালকের কথা মনে পরতে আয়ানা আরো লজ্জা নিজেকে ইরফানের বুকে আরো গভীরে ভাবে লুকিয়ে নিলো। কালকে সে ইরফানকে প্রপোজ করেছে ভাবতে মনের মাঝে আলাদা প্রশান্তি অনুভব হচ্ছে সাথে একরাশ লজ্জা।বড্ড নির্লজ্জের মতো তো গটগট করে সব বলে দিল কিন্তু এখন মাথা সোজা করতে পারছে না।। ইরফান আয়ানার অবস্থা দেখে বাঁকা হেসে আয়ানাকে নিজের বুক থেকে বালিশে শুইয়ে দিয়ে একহাতে ভর দিয়ে নিজে আয়ানার উপর আধশোয়া হয়ে শুয়ে পরলো।আয়ানার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললো,,,,,
—-গুড র্মনিং মেরি জান! কালকের ঘুম কেমন হয়েছে।আমার তো বেশ ভালো ঘুম হয়েছে কালকে। বাঁকা হেসে আয়ানার গালে স্লাইট করতে করতে বললো।। ইরফানের কথা শুনে আয়ানা আরো লজ্জায় নিজেকে ইরফানের দিকে আরেকটু আড়াল করে নিল।। ইরফান আবার বলতে লাগলো,,,,,
—-এতো সুন্দর গিফট দিয়েছো তাঁর জন্য তো তোমাকে কিছু দিতে হয় কী চাই আমার আয়ু জানের।নাকে নাক ঘষে। ইরফানের কথা শুনে আয়ানা মৃদু হেসে বললো,,
—–আজকে রাতে ঘুরতে নিয়ে গেলেই হবে।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান উচ্চ স্বরে হেসে দিল।।এই মেয়েকে বলছে কী চায় সে বলছে ঘুরতে নিয়ে যেতে।।। ইরফান আয়ানার থুতনিতে আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে বললো,,,,
—-এতো এতো ভালোবাসার জন্য শুধু একটু ঘুরতে যেতে চাও।আর কী চাই আমার আয়ু জানের আমি সেইটা যাই হোক নিয়ে আসবো আমার পিচ্চি পরীজানের জন্য। মায়াভরা কন্ঠে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা কিছুক্ষণ ভেবে বলল,,,,
—-এখন আমার খুব ক্ষুধা লেগেছে, কিছু মাথায় আসছে না! ঠোঁট উল্টিয়ে।।।
আয়ানার কথায় ইরফান হেসে কপালে চুমু খেয়ে বললো,,
—ওকে জলদি করে ফ্রেশ হয়ে নাও বলে কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দিলো।। কপালে চুমু খেয়ে বের হয়ে যায়।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।আয়ানা মুচকি হেসে ফ্রেশ হয়ে লাল রঙের একটা গ্ৰাউন পরে বের হয়ে আসে। ইরফান মিনি ছাদে সকালের এক্সারসাইজ করছে। প্রতিদিন আয়ানা ঘুম থেকে উঠার আগেই ইরফান এক্সারসাইজ করে তারপর ফ্রেশ হতে যায়।।আয়ানা একবার ইরফানের দিকে চোখ বুলিয়ে মৃদু হেসে মিররের সামনে গিয়ে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখছে।। কেমন জানি নিজেকে পরিপূর্ণ লাগছে তাকে নিজের কাছে। হালকা হেসে তাওয়ালে দিয়ে চুল মুছে তা রেখে দিয়ে ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে চুড়ির বাক্স থেকে চুড়ি নিয়ে হাতে পরে নিলো গলায় ইরফানের দেওয়া হিরের পেনডেন্টা পরে নিলো তারপর নিজেকে একবার মিররে দেখে উরনাটা জড়িয়ে মিনি ছাদের দিকে পা বাড়ালোলো।।
“ইরফান আয়ানাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আয়ানার সামনে এগিয়ে এসে আয়ানার কোমর জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।আয়ানার কপালের চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে বললো,,,,
—-গাল দুটো লাল হয়ে আছে কেনো। আমার আয়ু জান কী লজ্জা পাচ্ছে।ভ্রু নাচিয়ে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা লজ্জা পেলো কিন্তু উপরে তা প্রকাশ না করে বললো,,,
—-উহু একদমি না।।।
—-তাহলে গাল দুটো এমন লাল কেনো হয়ে আছে স্ট্রবেরির মতো ইচ্ছে করছে কামড়িয়ে খেয়ে ফেলি। বাঁকা হেসে।।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা আরো লজ্জা পেয়ে গেলো কোনো রকমে নিজেকে সামলিয়ে বললো,,,,
—–উফফ্ ক্ষুধায় পেটের ভেতরের সব চেঁচামেচি করছে।আর পারছি না। ঠোঁট ফুলিয়ে।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান উত্তেজিত কন্ঠে বললো,,,
—-স্যরি মেরি জান। খুব ক্ষুধা পেয়েছে কষ্ট হচ্ছে নিশ্চয়ই।দশ মিনিট অপেক্ষা করো একক্ষুনি নিয়ে যাচ্ছি বলে আয়ানার হাত ধরে রুমে নিয়ে আসে ড্রয়ার থেকে কয়েকটা চিপসের প্যাকেট দিয়ে কপালে চুমু খেয়ে জলদি আয়ানার চুল গুলো হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে দিলো আয়ানা আবাক চোখে তাকিয়ে আছে আর চিপস খাচ্ছে। মাঝে মাঝে ইরফানের ভালোবাসা দেখে অবাক না হয়ে পারে না। একজন মানুষ কি করে এতো ভালোবাসতে পারে। ইরফান চুল শুকিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে তারপর ফ্রেশ হয়ে নীল রঙের শার্ট আর প্যান্ট পরে বের হয়ে আসে। শাওয়ার নেওয়ার ফলে চুল গুলো কপালে লেপ্টে আছে সারা মুখে বিন্দু বিন্দু পানি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে তাকে।।আয়ানা চিপস খাওয়া বাদ দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে।।চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে তাকে।এতো দিন তাকানোর সাহস হয়নি আর আজ জেনো চোখে ফেলছেই না।।আয়ানা মনে মনে নিজের কাজে অবাক লজ্জা দুটো হলো বিরবির করে বলতে লাগলো,,,,
—-ছিহহ আয়ু তুই এরোগেন্ট ম্যানকে এই ভাবে হা করে দেখছিস যদি দেখতে পায় তাহলে কী ভাববে?
পরক্ষনেই আবার বলতে লাগলো,,
কী ভাববে?আমার স্বামীড়আমার এরোগেন্ট ম্যান, আমার ভালোবাসা শুধু তাকিয়ে কেন গলায় ঝুলে থাকব ইচ্ছে হলে চুমুও খাবো হু।।
আয়ানাকে বিরবির করতে দেখে ইরফান হাতের তাওয়ালে বিছানার উপর রেখে আয়ানাকে টেনে বিছানার উপর থেকে তুলে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো তারপর ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,,,,
—–কী বিরবির করছো আয়ু জান।হাতের তালুতে হাল্কা ঠোঁট ছুঁইয়ে।আয়ানা আনমনে বলে ফেললো,,,
—-ইচ্ছে হলে চুমু খাবো। সমস্যা আছে!
আয়ানার কথা শুনে ইরফান ভরকে যায়। ধীরে গলায় বললো,,
—কী?
ইরফানের কথা শুনে আয়ানার হুঁশ ফিরে আসে।কী বলেছিল বুঝতে পেরে আয়ানা লজ্জায় লাল হয়ে যায়।। ইরফান বুঝতে পেরেছে বিষয়টা তাই শব্দ করে হেসে দেয় তা দেখে আয়ানা আরো লজ্জা পেয়ে ঠোঁট ফুলিয়ে নখ খুঁটতে লাগলো তা দেখে ইরফান বাঁকা হেসে বলল,,,,
—–আর কী কী করতে ইচ্ছে করে আয়ু জান।আমি কিন্তু কিছু মনে করবো না। বাঁকা হেসে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানার লজ্জা রাগ দুটো হয়। ইরফান আয়ানাকে আরেকটু লজ্জা দেওয়ার জন্য বলে উঠলো,,,,
—–আর কী কী করতে ইচ্ছে করছে মেরি জান। তোমার যদি লজ্জা লাগে সমস্যা নেই আমি করি কেমন হেসে দিয়ে।।ইরফানের কথা শুনে আয়ানা এবার রেগে গিয়ে বলল,,,,
—-আপনাকে কামড়িয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। এখন কামড়িয়ে দিবো।গাল ফুলিয়ে।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান এবার জোরে হেসে দেয় ইরফানের হাসিতে মুখরিত হয় শব্দহীন রুমটা।। এতো মন খুলে হাসতে কেউ কখনো দেখিনি আয়ানা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। ইরফান হাসি থামিয়ে বললো,,,,
—-তাই! একদিনে এতো রোমান্টিক হয়ে গিয়েছে আমার আয়ু জান।।।
ইরফানের কথা শুনে বুঝতে পারলো ইরফান আজকে কথার জালে ফাঁসাতে চাইছে কিন্তু সে এটা হতে দিবে না তাই মনে মনে বললো,,,,
—আপনি বাঘ হলে আমি আপনার বাঘিনী।
হুট করে আয়ানা ইরফানের গলা জড়িয়ে ধরলো তা দেখে ইরফানের হাসি উধাও হয়ে গিয়েছে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে আয়ানার দিকে তা দেখে আয়ানা ঠোঁট চেপে হাসি আটকে রেখে মনে মনে বললো,,,,
খুব জ্বালিয়েছেন এবার আমার পালা। সবসময় পারবো না কিন্তু মাঝে মাঝে সু্যোগ হাত ছাড়া করতে নেই। আপনাকে কিভাবে হেনস্তা করতে হয় আমার জানা হয়ে গিয়েছে কথা গুলো ভেবে আয়ানা মনে মনে ডেবিল হাসলো।।। ইরফান এখনো আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে তা দেখে আয়ানা ইরফানকে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,
—-খেয়ে ফেলি আপনাকে। নেশা জরানো কন্ঠে।আয়ানার এমন কথা এবং কাজ দেখে ইরফানের শরীরে কারেন্ট ভয়ে যায়। ইরফান শুকনো ঢোক গিলে কিছু বলতে যাবে তাঁর আগে আয়ানা আঙ্গুল দিয়ে থামিয়ে দেয় আর ফিসফিস করে বলতে লাগলো,,,,,
—-আমি কিন্তু খুব ভালো কামড়াতে পারি ঠিক ভ্যাম্পায়ের মতো বলে ফিক করে হেসে দিল।আয়ানার মুখে ভ্যাম্পায়ের কথা শুনে ইরফান আয়ানার হাত ধরে পেছনে মুচড়ে দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বললো,,,,
—আবার ওই ভ্যাম্পায়েরের নাম নিয়েছো ভুলে গিয়েছো আগের বারের শাস্তি।।।
শাস্তির কথা শুনে আয়ানা দমে গেল এতোক্ষনের সব সাহস হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে।।আয়ানা ঢোক গিলে মেকি হেসে বললো,,,,
—-ভুল করে মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছে আর বলবো না সত্যি।।। আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে খুব জলদি খেতে হবে নাহলে আমার কান্না চলে আসবে। ঠোঁট উল্টিয়ে।।। ভয়ে আবোল তাবোল বকছে।।
আয়ানার কথায় ইরফান চুপ করে গেলো নিজেকে শান্ত করে আয়ানার হাত সামনে এনে এতে অসংখ্য চুমু খেলো আর বলতে লাগলো,,,,
—-কেনো বারবার ভুল করো আয়ু। তোমার কি আমাকে কষ্ট দিতে ভালো লাগে, তুমি জানো তোমাকে আঘাত করে এর থেকে দিগুন আঘাত আমি নিজেকে দেই তবু এমন ভুল করো।। শান্ত গলায়।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা মনে মনে নিজেকে বকলো খুব খারাপ লাগছে এখন সে তো মজা করছিল কিন্তু মজার ছলে বিষয়টি উল্টো হয়ে গেল।। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইরফানকে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,,
—আর বলবো না। আমি আপনাকে কষ্ট দিতে চাইনি সত্যি বলছি। ঠোঁট উল্টিয়ে।।
ইরফান মুচকি হেসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,
—-আমি জানি আমার আয়ু জান আমাকে কষ্ট দিতে চাইনি। আমার কষ্ট হবে এমন কাজ আমার আয়ু জান কখনো করবে না।।।
আয়ানা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বলে।সে মনে মনে ঠিক করে ইরফান যেমন তাঁর কষ্ট হবে এমন কাজ কখনোই করে না ঠিক সেও এমন কাজ করবে না যাতে ইরফান কষ্ট পায়। অনেক ভালোবাসবে তাঁর এরোগেন্ট ম্যানকে।।এতোটা ভালোবাসবে যে তাঁর মুখে হাসি বিরাজ করবে প্রতিনিয়ত।।
🌸 খাবার টেবিলে সকলে অপেক্ষা করছে ইরফান আর আয়ানার জন্য। দুজনকে শিড়ি বেয়ে হাসি হাসি মুখ করে নামতে দেখে সকলের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।। বিশেষ করে আয়ানার মুখে বিশাল হাসির রেখা সে হাসি হাসি মুখ করে নিজের চেয়ারে বসে পরলো। ইরফান নিজের চেয়ারে বসে আয়ানাকে খাবার খাইয়ে দিতে লাগল।সাফিয়া একবার আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চোখ দিয়ে ইশারা করলো সাফিয়ার ইশারা বুঝতে পেরে লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলো আয়ানা। সাফিয়া ইশারা করে বললো,, কেমন কেটেছে কালকের রাত হুম।।
আয়ানা খাবার চিবাছে আর চোখ ঘুরিয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে।ইসাহাকের দিকে চোখ পড়তে দেখতে পেলো ইসাহাক খাচ্ছে আর তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসছে তা দেখে আয়ানা ঠোঁট উল্টিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করলো কি হয়েছে হাসছে কেনো।। ইসহাক আরেকবার আয়ানার দিকে তাকিয়ে হেসে নিজের খাবারে মনোযোগ দিল এমন ভাব সে সাফিয়া আর আয়ানার ইশারা বুঝতে পেরে গেছে। হঠাৎ থুতনিতে শক্ত হাতের স্পর্শ পেয়ে সেদিকে তাকালো আয়ানা। ইরফান শক্ত হাতে ধরে রেখেছে তাঁর থুতনি ।আয়ানা গোল গোল চোখে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে, ইরফান মুখে খাবার দিতে দিতে বললো,,,,
—-সবসময় আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। অন্য দিকে নজর গেলে কী হবে তোমার অজানা নয়।। শান্ত গলায় শক্ত হুমকি।।আয়ানা চটপট মাথা নাড়িয়ে খেতে লাগলো আর বিরবির করে বলতে লাগলো,,,,
—-হিংসুটে।।।
—-তোমার জন্য।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা চমকে তাঁর দিকে তাকালো তারপর কিছু না বলে তাড়াতাড়ি খাবার ফিনিশ করে নিলো।।। মনে মনে হাসলো বটে।।
(সকলের গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি গল্প ছোট হয়েছে পরবর্তী পর্ব বড় করে দিবো ইনশাল্লাহ সবাই সঠিক মন্তব্য করবেন ধন্যবাদ ❤️)
#to_be_continue ………..🌼
#Happy_reading🦋
- লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵