#বিষাক্তময়_আসক্তি (The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#বোনাস_পর্ব🦋
“দুই হাত ভর্তি মেহেদী নিয়ে বারান্দা বসে আছে আয়ানা তাঁর পাশে ইরফান আয়ানার দুই হাত আগলিয়ে ধরে রেখেছে যাতে হাত ব্যথা না করে কিংবা কোনো অসুবিধা না হয়।। মৃদু বাসাতে আয়ানার চুল গুলো বারবার চোখে মুখে লাগছে বারবার বিরক্ত হয়ে মুখ কুঁচকে নিচ্ছে আয়ানা।।ইরফান এক হাত দিয়ে চুল সরিয়ে দিচ্ছে,আয়ানার কুঁচকে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে রুমের ভেতর থেকে ছোট ভ্যান্ট এনে চুলে লাগিয়ে দেয় যাতে করে চুল গুলো তাঁর জানের বিরক্তির কারন না হয় তাঁর জানের বিরক্তির কারণও সে হবে আর ভালোবাসারও।। ঘড়িতে ১২:৩০ মিনিট বাজতে আয়ানা ঘুমে ডুলে ডুলে ইরফানের উপর পরছে তা দেখে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে আয়ানাকে জাগিয়ে রাখার জন্য নানা কথা বলতে লাগলো।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। মোবাইল বের করে একজন গার্ডকে কল করে বললো ডিনার নিয়ে আসতে ,ডিনারের কথা শুনে আয়ানা ঘুম ঘুম চোখে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলে,,,,
—-আমি এখন খাবো না! আমি এখন ঘুমাবো বলে ইরফানের উপর ঢলে পড়ে। ইরফান আয়ানার কান্ড দেখে হেসে দেয়।গত দুই দিন না ঘুমানোর ফলে আয়ানা এখন চোখ খুলে রাখতে পারছে না ঘুমে।।। ইরফান আয়ানাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো , হাতের মেহেদী গুলো ভালো করে দেখে দেখলো মেহেদী গুলো শুকিয়ে গেছে।। ইরফান আবার মোবাইল বের করে কল করে পানি নিয়ে আসতে বলে।।। মোবাইলে কথা বলা শেষ করে আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখলো, এতোক্ষণে আয়ানা ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গিয়েছে।।। ইরফান মৃদু হেসে বললো,,,
–আমার ঘুম পরী! বলে আয়ানাকে কোলে করে রুমের ভেতরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।।আয়ানাকে ভালো ভাবে শুইয়ে দিয়ে আয়ানার কপালের টিকলি,কানের দুল সব ভারি জিনিস গুলো খুলে রেখে দিলো।।।
কিছুক্ষণ পর গার্ড এসে দরজায় নক করতে ইরফান আয়ানার শরীরে কাঁথা জড়িয়ে দিয়ে দরজা খুলে দেয়।।।
“কাঁচের বল ভর্তি পানির মধ্যে সাদা ছোট তাওয়াল ভিজিয়ে আস্তে আস্তে আয়ানার মুখ মুছে দেয় ইরফান।।মুখ গলা মুছে দিয়ে,হাতের মেহেদী গুলো তুলে দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে দেয়।।। ধুঁয়া শেষ হলে পানির বল ছোট টেবিলের উপর রেখে আয়ানার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে আয়ানার হাতে চুমু খেলো।।।আয়ানার হাতের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হাত দুটো নিজের মুখের কাছে নিয়ে নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস টেনে নেয়, অসম্ভব সুন্দর মেহেদীর সুগন্ধ আসছে।আয়ানার সাদা হাত দুটোতে টকটকে লাল রঙ ধরেছে, অসম্ভব সুন্দর লাগছে হাত দুটো। ইরফান হাতের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ছোট ছোট চুমুতে ভরিয়ে দেয় হাত দুটোতে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।। টেবিলের উপর থেকে খাবার নিয়ে ধীরে ধীরে খাইয়ে দেয় আয়ানাকে।।।খাওয়া শেষ হলে মুখ পরিষ্কার করে পানি খাইয়ে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায় ইরফান।।।ফ্রেশ হয়ে ল্যাপটপে কিছু কাজ করে খেয়ে আয়ানাকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরে।।।
“সকাল বেলা🌸”
আয়ানা ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলেই দুই হাত উঁচু করে মেহেদীর রং দেখে নিলো।।মেহেদীর রং অসম্ভব সুন্দর হয়েছে রাতের তুলনায় এখন আরো বেশি হয়েছে লাল রং থেকে লাল খয়েরীতে রুপান্তরিত হয়েছে।।আয়ানা হাসি হাসি মুখ করে ইরফানের দিকে তাকালো, সে এখনো ঘুমিয়ে আছে।।আয়ানার গতকাল রাতে শীতলের কথা মনে পড়ে যায়,যার হাতে বেশি রং হবে এবং বেশি দিন থাকবে তাঁর স্বামী তাকে বেশি ভালোবাসবে।আয়ানার হাতে অনেক রং হয়েছে এবং পাতা মেহেদী হওয়ায় ধীরে ধীরে আরো রং হচ্ছে।। নিঃসন্দেহ ইরফান তাকে প্রচুর ভালোবাসে যাকে বলে অতিরিক্ত ভালোবাসা। এখানে মেহেদীর রং তাদের ভালোবাসার প্রমাণ দিতে হবে না।।।আয়ানা নাকের কাছে হাত নিয়ে জোরে নিঃশ্বাস টেনে নিলো,মেহেদীর গন্ধ তাঁর বরাবরই বেশি পছন্দের এবং ভালো লাগে।।। ইরফানের মুখের দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে থাকতে আয়ানা আবারও পারি জমালো ঘুমের রাজ্যে।।।
❀১২:১০মিনিটে ঘুম ঘুম চোখে কোনো রকমে নাস্তা করে আয়ানা। আজকে তাকে নাস্তা করাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে ইরফানের।ঘুমের কারণে চোখে কিছুই দেখছে না বারবার হেলে দুলে পরছে ইরফানের উপর।। ইরফান একহাত দিয়ে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আয়ানাকে সকালের নাস্তা খাইয়ে কোলে নিয়ে নিজেদের রুমে চলে যায় আর যাওয়ার সময় বলে তাঁর নাস্তা উপরে পাঠিয়ে দিতে। তাঁর কথা মতো তাঁর নাস্তা একজন গার্ড ওপরে পাঠিয়ে দেয়।।।
আজকে সারাদিন কেটেছে আয়ানার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে।। গত দুই দিন না ঘুমানোর ফলে ঘুম জেনো শেষই হচ্ছে না।। বিয়েতে আসার এক্সাইটমেন্টের কারনে সারা রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে আবার এখানে যেদিন এসেছে সেদিনও রাতে দেরী করে ঘুমিয়েছ তাই এখন সব ঘুম একসাথে জেকে ধরেছে তাকে সারা দিন ঘুমিয়ে বিকেলের দিকে উঠেছে সে।।আজ প্রত্যেক কাজ ইরফান তাকে জোর করে করিয়েছে ঘুমের কারণে তাঁর জেনো কোনো হুসই ছিলো না শুধু ইরফান যেমন বলেছে তেমন করেছে লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
বিকালের দিকে ঘুম থেকে উঠে চুপচাপ বসে ছিল ইরফানের পাশে।আজকেও তাকে রুম থেকে বের হতে দেয়নি ইরফান , একবার তুতুলের রুমে গিয়ে তুতুলকে দেখে এসেছে সেখানে যেতে সবাই তাঁর হাতের মেহেদীর বেশ প্রশংসা করেছে।আয়ানার একটা কাজিন নাম নীলা সে আয়ানার হাত ধরতে আসবে পেছন থেকে ইরফানকে আসতে দেখে ভয়ে পাঁচ কদম পিছিয়ে যায় তা দেখে আয়ানার বেশ হাসি পায়, শুধু সে নয় প্রত্যেকেই ইরফানকে ভয় পায় নীলার মুখখানি একদম দেখার মতো ছিল ভয়ে কেমন কাচুমাচু করছিল সে।।।।।।।
———————————————————————
“সন্ধ্যায় হতে সবাই তারাতাড়ি করে নিজেদের কাজ শেষ করে রেডি হয়ে হলরুমে উপস্থিত হয়। আজকের হলুদের অনুষ্ঠান কমিনিউটি সেন্টারে হওয়ার কথা থাকলেও তা ক্যান্সেল করা হয় এবং বিয়েও বাড়িতে হবে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।। মূলতঃ তুতুলের ইচ্ছে বিয়ে সে নিজ বাড়ি থেকে করতে চায় প্রথমে লজ্জার কারনে নিজ বিয়ে নিয়ে কি প্ল্যান তা বলতে পারেনি, কিন্তু আকাশ জানতো সেই সবাইকে কথাটা বলে।।।
হলরুম থেকে তুতুলকে নিয়ে সকল মেয়েরা বাগানের দিকে রওয়ানা হয় আজকের হলুদ সন্ধ্যা বাগানের দিকে হবে সেখানে সুন্দর করে স্ট্রেইজ করা হয়েছে এবং সব ব্যবস্থা।।
“আজকে তুতুলকে হলুদ সাজে খুব সুন্দর লাগছে।
তুতুলকে নিয়ে স্টেইজে বসিয়ে দিয়ে সবাই উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়।।।
“হলুদ রঙের পাঞ্জাবির সাথে কালো রঙের উরনা পেঁচিয়ে রেখেছে ইরফান।চেইন সিস্টেম পান্জাবিটা বুকের কাছে বেশ কিছু অংশ উন্মুক্ত, হাতে দামি ওয়াচ বিড়াল চোখ দুটোতে হালকা সুরমা পরেছে পায়ে দামি “সু” মুখে ঘায়েল করা বাঁকা হাসি চুলগুলো সব সময়ের মতো জ্যাল দিয়ে সেট করে রেখেছে ,, আজকে যদি তাঁর দিকে তাকানোর অনুমতি থাকতো শতশত মেয়ে তাকে দেখে জ্ঞান হারাতো কিন্তু সেই ভাগ্য আয়ানা ছাড়া আর কারোর হয়নি।।।ইরফান কানে ব্লুটুথ অন করে কথা বলছে ,,,
—কাজ হয়েছে। বাঁকা হেসে।
__________________________(অপর পাশে)
—-গুড! যাতে কোনো ধরনের ভুল না হয় তাহলে কি হতে পারে তা ভালো করেই জানা আছে।।। বলে গট করে মোবাইলটা কেটে দেয়।।
“এক হাতে হলুদ বাটি নিয়ে আর অন্য হাত দিয়ে হলুদ লেহেঙ্গা টা উঁচু করে ইরফানের দিকে এগিয়ে আসছে আয়ানা মুখে তাঁর মিষ্টি হাসি, ইরফান নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে আয়ানার দিকে আজকে আয়ানাকে ঠিক প্রথম দিনের মতো লাগছে যখন সে প্রথম তাঁর আয়ু জানকে দেখেছিলো।।সেইদিনও আয়ানা এই রকম হলুদ লেহেঙ্গা পরেছিল কিন্তু সেদিন থেকেও আজকে তাকে বেশি সুন্দর লাগছে তাঁর সুন্দরের প্রশংসা ইরফান কিংবা কোনো কবি জ্ঞানিজ্ঞোনী করতে পারবে না এতোটা সুন্দর লাগছে তাকে।।দিন দিন এই সৌন্দর্য যেনো বেরেই চলছে।।এই সুন্দর পরীটা শুধু মাত্র তাঁর আর কারোর না ভাবতেই মুখের হাসির রেখা আরো চওড়া হয় ইরফানের।আজকেও নিজ হাতে সাজিয়েছে ইরফান তাঁর জানকে, সে ভেবে রেখেছে এখন থেকে রোজ নিজ হাতে সাজিয়ে দেবে তার জান কে।।।লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। আয়ানা এসে সামনে দাঁড়াতে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানার কপালে পড়ে থাকা চুলগুলো আলতো হাতে কানের পেছনে গুঁজে দেয়।। কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতে আয়ানা আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়। মাথা নিচু করে ইরফানের দিকে হলুদের বাটি এগিয়ে দেয়।। ইরফান মুচকি হেসে বাটি থেকে অল্প একটু হলুদ নিয়ে আয়ানার দুই গালে ছুঁইয়ে দেয়। হলুদ লাগানো শেষ হলে ইরফান আয়ানার কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,,,
—-আমাকে হলুদ ছুয়াবে না আয়ু জান।
আয়ানা লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে,আলতো হাতে বাটি থেকে কিছুটা হলুদ নিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে ইরফানের দিকে এগিয়ে নিতে ইরফান চটপট মাথা নিচু করে আয়ানার মুখ বরাবর নিয়ে আসে আয়ানা আলতো হাতে ইরফানের গালে হলুদ ছুঁইয়ে দেয়, ইরফান জোরে নিঃশ্বাস টেনে আয়ানার শরীরের মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি নেয়।।আয়ানা হলুদ ছুঁইয়ে তারাতাড়ি হাত সরিয়ে নিয়ে আসতে নিলে ইরফান আয়ানার হাত শক্ত করে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো, আলতোভাবে আয়ানার কোমরে হাত রেখে নিজের দুই গাল আয়ানার দুই গালের সাথে ঘসে দিলো এতে করে দুইজনের গালের হলুদ দুজনের গালে একই ভাবে লেগে যায়।। ইরফানের খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলো আয়ানার গালে লাগাতে চোখ দুটো শক্ত করে বুজে নিলো।।
🌸কিছুক্ষন আগে আকাশের পরিবার থেকে লোক আসার সাথে সাথে হলুদের অনুষ্ঠান আগের তুলনায় আরো বেশি জমে গিয়েছে নাচ গান হই-হুল্লোড়ে মেতে উঠেছে সবাই।।আয়ানা ইরফানের বুকে মাথা রেখে সবার নাচ গান দেখছে,সবার হাঁসি খুশি আনন্দ দেখতে খুব ভালো লাগছে বড় ধরনের অনুষ্ঠান ছাড়া কারোর সাথে দেখা হয় না বললেই চলে।এসব নাচ গান হই-হুল্লোড়ে বরাবরই বেশি একটা ভালো লাগে না আয়ানার তাই চুপচাপ বসে সবার কান্ডকারখানা দেখছে সে। ইরফান আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে মোবাইলে কাজ করছে তারও এসব ভালো লাগে না শুধু মাত্র আয়ানার খুশির জন্য বাধ্য হয়ে বসে আছে এখানে।।।
“রাত বারোটার দিকে খেয়ে সব প্রতিবেশী এবং তুতুলের শশুর বাড়ীর লোকেরা চলে যায় এখন শুধু আয়ানার কাজিনরা আর বাড়ির লোকেরা বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে।।বড়রা সবাই বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছে আর ছোটরা নাচ গান নিয়ে ব্যস্ত।।।
জায়েদ আহাম্মেদ মুখ কালো করে চেয়ারের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে।আজকে আয়ানার ফুফি আনিশা বেগম সাবিহা লাবিহাকে নিয়ে আসার কথা ছিল কিন্তু আসেনি এবং জানিয়েছেন আসবেনও না তাঁর পর থেকে জায়েদ আহাম্মেদ সহ সবাই অনেক কল মেসেজ করেছেন কিন্তু কোনো রিপ্লাই আসেননি এতে করে সবাই আনিশা বেগমের উপর অসন্তুষ্ট এবং রেগে আছেন বিশেষ করে জায়েদ আহাম্মেদ ছোট মেয়ের বিয়েতেও সময় মতো উপস্থিত পাননি আনিশা বেগমের, এসেছিল আয়ানার রিসিপশনে কিন্তু তাও আবার হঠাৎ করে চলে জান কাউকে কিছু না জানিয়ে।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।এসব বিষয় নিয়ে জায়েদ আহাম্মেদ খুবই রেগে আছেন বড় বোনের উপরে।তুতুল তো কান্না পর্যন্ত করেছে আনিশা বেগম আর সাবিহা লাবিহার জন্য। নিজের বিয়েতে নিজের ফুফি থাকবেনা সেইটা আশা করেনি সে। এককথায় হাজারো আনন্দের মাঝে একটুখানি ত্রুটি।তারউপরে জিসান আসেনি বিয়েতে তা নিয়ে তুতুল অনেক রেগে আছে। বন্ধু আর ভাই দুটোই জিসান সে কতো কি বলতো তুতুল তোর বিয়েতে আমি এই করবো সেই করবো কিন্তু দেখো এখন তুতুলের বিয়ে হচ্ছে কিন্তু সেই আসেনি,যার সবচেয়ে বেশি বিয়ে নিয়ে আনন্দ ছিল সেই নেই তবুও তুতুলের মন বলেছে জিসান কাল বিয়েতে উপস্থিত হবে প্রত্যেকবারের মতো শেষ মুহূর্তে তাকে চমকে দিবে কিন্তু এটা কি আদৌ সম্ভব কাল কি আছে সবার ভাগ্যে তা কেউই জানে না।।।
“ইরফানের বুকের সাথে লেপ্টে ঘুমিয়ে আছে আয়ানা ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে উঠলো,
এই মেয়ে বসে বসে ঘুমিয়ে পরেছে, সত্যি একটা ঘুমপরী বলে মুচকি হেসে আয়ানাকে কুলে নিয়ে নিজেদের রুমে গিয়ে আয়ানাকে শুইয়ে দেয় নিজেও ফ্রেশ হয়ে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে।
কালকের দিনের অপেক্ষায় আছে সকলেই ।।কী হতে চলছে কালকে??
“আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে তুতুল বারবার হাতের দিকে তাকাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে হাতের মেহেদী দিয়ে খুব বড় বড় করে দুই হাতে A লিখা।।কালকে থেকে সম্পূর্ণ ভাবে আকাশের হয়ে যাবে সে, নিজের ভালোবাসার মানুষকে সারাজীবনের জন্য পেতে চলেছে ভেবেই মনের মাঝে শীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে তাঁর।।।বেশ কিছুক্ষণ ধরে সাফিয়ার সাথে কথা বলেছে তুতুল,সাফিয়া ইসহাক ইরফানের বাড়ির কেউই আসবে না বিয়েতে ইমরান খানের ইলেকশনের কারণে খুব বড় করে বাড়িতে পার্টি রাখা হয় তাই। ইরফান চলে এসেছে তাই ইমরান খানকে পার্টিতে থাকতে হবে।সাফিয়ার আসার ইচ্ছে থাকলেও ইসহাকের জন্য আসা হয়নি, ইসহাক হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পরে তাই।।
কেমন জানি সব কিছু ভয় হচ্ছে তুতুলের। কালকে ভালোই ভালোই সব হলেই ভালো ভেবে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে রুমের ভেতরে চলে যায়।।।
(গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন কেউ next nice লিখবেন না ধন্যবাদ ❤️)
.
#To_be_continued………..🌼
#Happy_Reading
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵