বৃষ্টিশেষে প্রেমছন্দ পর্ব-৪৫

0
1171

#বৃষ্টিশেষে_প্রেমছন্দ
#মুমুর্ষিরা_শাহরীন

৪৫.
ছাদের পাটাতনে বসে থাকতে থাকতেই সন্ধ্যা পেরিয়ে রজনীর আগমন ঘটলো। নিস্যন্দ নিশি বেলার ঝিঁঝি পোকাদের কোলাহল। বাতাসের গুঞ্জন। বাদুর পেঁচাদের ডানা ঝাপটানো। নিভা আস্তে করে উঠে দাড়ালো। টলমলে পায়ে ঘরে যেতেই বসার ঘর থেকে ডাক পরলো। নিভা ভালো করে চোখ মুছলো। মুখটা যথাসম্ভব স্বাভাবিক করে বসার ঘরে গেলো। নিভাকে দেখেই আর্দ্র চোখ মুখ শক্ত করে উপরে চলে গেলো। চোখে তার ভীষণ রাগ। নিভা প্রশ্নবোধক চোখে মায়ের দিকে তাকাতেই মায়ের থেকে শুনতে পেলো, ‘তার এবং আর্দ্রের বিয়ে। ঘরোয়া ভাবে বিয়ে হবে এবং আগামী শুক্রবার তাদের বিয়ে দিন ঠিক করা হয়েছে।’

নিভা স্তব্ধ হয়ে গেলো। পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো। গোটা আকাশটাএক নিমিষেই ভেঙে পড়লো মাথার উপর। অবিশ্বাস্য চোখে বলল,

‘কিহ্?’

আমিনা বেগম এবং মনোয়ারা খান কে ভীষণ
খুশি দেখাচ্ছে। মনোয়ারা খান উঠে এসে নিভার থুতনি ধরে চুমু খেয়ে বললেন,

‘আমার অনেক দিনের সাধ ছিলো তোকে এই বাড়ির বউ করবো।’

নিভা কোনো কথা খুঁজে পেলো না। ফ্যালফ্যাল নয়নে তাকিয়ে থাকলো প্রাণপ্রিয় খালার দিকে। এ সবকিছুই তার কাছে অপার্থিব ঠেকছে। যেনো এসব ঘটনা মিথ্যে, কাল্পনিক, স্বপ্ন বৈ আর কিছুই না। একটু পরই এই ভয়ংকর স্বপ্ন ভেঙে যাবে। সবকিছু আবার আগের মতোই নিজ গতিতে চলতে থাকবে। একটার পর একটা ভয়ংকর সারপ্রাইজ কি আজ শুধু নিভার জন্যই অপেক্ষা করছিল? নাহ…এসব হয়না। কোনোমতেই হয় না। এ অবাস্তব। অসম্ভব। আদর আর্দ্রকে নিজের ভাই ব্যতীত অন্য কোনো নজরে সে কোনোদিন তাকায় নি। কীভাবে সম্ভব? আর্দ্রর সাথে সে? ছি!

আজিম খান থমথমে গম্ভীর মুখে বসে ছিলেন। বড় ছেলের আগে ছোট ছেলের বিয়ে ঠিক করা নিতান্তই সমাজ বিরোধী কাজ। কটুক্তিময় কথা শুনারও কাজ। তবুও তিনি নিজ সীদ্ধান্তে অটল। তিনি খবর লাগিয়ে খোঁজ পেয়েছেন জামিলুর রেজার মেয়ে টিকলির বিয়ে আগামী শুক্রবার। তাই আর্দ্রের বিয়েও ঠিক করেছেন বেছে বেছে শুক্রবারে।

আদর সিড়ি দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে নামছে। নিভার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ গলা চেপে ধরেছে৷ এইতো… এক্ষুণি এক্ষুনি নিভা মারা যাবে। এই ধরণী থেকে তার বিদায়বেলা এসে গেছে। এই বসুন্ধরায় ষাট বছর বাঁচার ইচ্ছেটা বোধহয় তার পূরণ হয়েও হলো না। নিভা রুদ্ধশ্বাসে জড়ানো কণ্ঠে বলল,

‘বাসায়.. বাসায় যাবো।’

নিভা আর এক মুহুর্তও দাড়ালো না। কারোর কথা শুনার আগেই এক ছুটে এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো।

________________________________

রাতের আকাশে গোল চাঁদ উঠেছে। অজস্র নক্ষত্র তাঁরার ভিড়ে চাঁদমামা বসে আছে রাজা রাজা ভাব নিয়ে। তাঁরাগুলো যেনো তার সৈন্যদল। তার পাহারাদার। সবথেকে বড় তাঁরাটা হলো তার সেনাপতি। তারা চাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে, কোনোভাবেই যেনো অমাবস্যা তাকে ছুতে না পারে। আর চাঁদ নিশ্চিন্তে চারিপাশে বিকোচ্ছে জ্যোৎস্নার আলো। জ্যোৎস্নার সেই কোমল আলোয় টিকলির দখিন মুখী ঘরটা তখন মাখামাখি। দাঁত দিয়ে নখ কামড়িয়ে টিকলি চপল পায়ে ঘরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পায়চারি করছিলো। ভীষণ মাত্রায় অস্থিরতা থেকে বলল,

‘আমি কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারছি না টায়রা। আমার মনে হয় উনাকে এখনি জানানো প্রয়োজন। বাবা-মা কোনোমতেই রাজি হচ্ছে না।’

টায়রা কপালে ভাঁজ ফেলে একদিকে তাকিয়ে থাকলো। টায়রার জবাবের অপেক্ষা না করেই টিকলি ফোন লাগালো আদরকে।
টিকলি যখন আদরকে ফোন করায় ব্যস্ত তখন টায়রার ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো। টায়রা বিরক্ত মুখে কেটে দিলো। কেটে দেওয়ার দু মিনিট না গড়াতেই আবার ফোন আসলো। টায়রা বারান্দায় চলে গেলো। ফোন রিসিভ করেই প্রথমে ঝাড়ি দিলো,

‘এই কোন আবাল রে? ফোন কেটে দেই চোখে দেখোস না? আল্লাহ চোখ দেয় নাই?’

ওপাশ থেকে করুণ স্বরে প্রথম যেই কথাটা ভেসে এলো তাতে টায়রা থমকে গেলো৷ শরীরটা কেমন অসাড় হয়ে এলো। অনুভূতিশূন্য দেহে শুনতে লাগলো তার প্রতিটি কথা।

‘টায়রা আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।’

টায়রা ভ্রু বাকালো। ফোন যে আর্দ্র করেছে তা বুঝতে আর বাকি নেই।

‘তো? মেয়েদের মতো কথা বলছেন কেনো? বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে বিয়ে করে নিবেন।’

‘কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই না।’

‘বিয়ে করতে চান না তো নিজের বাবা-মাকে বলুন। আপনার হয়ে কি এখন আমি বিয়ে ভাঙবো? আর কেনোই বা ভাঙবো?’

‘এইসময় ঝগড়া না করলে চলবে না?’

‘না চলবে না। কারন আমি তো ঝগড়ুটে চাপাবাজ ফুটা টায়ার ভুলে গেছেন? ভুলে গেলেও সমস্যা নেই মনে করিয়ে দিয়েছি।’

টায়রা আবার বলল, ‘এখন আমাকে ফোন দিয়েছেন কেনো? আমি কি আপনাদের সবার হ্যাল্পিং হ্যান্ড? নাকি হ্যাল্পিং সার্ভেন্ট?’

‘টায়রা বুঝার চেষ্টা করুন….’

আর্দ্রকে মাঝপথে থামিয়েই টায়রা বলল, ‘সত্যি বুঝলাম না বড়টাকে রেখে ছোটটাকে নিয়ে টানাটানি কেনো?’

আর্দ্র এতোক্ষণে সুযোগ পেলো কথা বলার। কাদো কাদো গলায় বলল, ‘কিছু করুন না! আমি বাবা মাকে বলেছি। তারা তো ভাইয়ার উপর ক্ষেপে আছে। আমি আরেকবার বললে হতে পারে ধুমধাম করে দু-চারটে লাগিয়ে দিলো।’

টায়রা ভীষণমাত্রায় বিরক্তি নিয়ে বলল, ‘ভাই আপনি কি ছেড়া না ছেড়ি? ফ্যাচফ্যাচ করে কাইন্দে আমারে ফোন দিছেন। তারউপর আবার বাপ মায়ের হাতে মাইর খাওয়ার ভয়ও পান। রাখেন তো মিয়া। মেজাজ এমনিতেই হাই লেভেলের গরম আছে।’

আর্দ্র ভ্রু কুচকে বলল, ‘ইনসাল্ট করছেন?’

‘সন্দেহ আছে? যাক গে, পাত্রী কে? কবে বিয়ে?’

আর্দ্র সময় নিয়ে বলল, ‘পাত্রী নিভা। বিয়ে আগামী শুক্রবার।’

টায়রা থমকালো কিছুক্ষণের জন্য। নিস্পন্দ হৃদয়ে শূন্যে তাকিয়ে রইল। খানিক বাদে মৃদুস্বরে হেসে বলল,

‘ভালোই তো! বিয়ে করে ফেলুন। সমস্যা কি? অপরিচিত কারোর সাথে তো আর বিয়ে হচ্ছে না।’

আর্দ্র আর কিছু বলার আগেই টায়রা ফোন কাটলো। ফোন কেটেই ঠোঁট চেপে বাইরে তাকিয়ে থাকলো। চারিপাশে জ্যোৎস্নার আলো। রাস্তার ধারে ফ্লুরোসেন্ট এর আলো। আশেপাশের বড় বড় ফ্ল্যাটগুলো থেকে ভেসে আসছে আলো। এতোসব আলোর মাঝেও টায়রার মনে হলো প্রকৃতি আজ বড্ড কালো। চারিদিকে খুব করে আধার নেমেছে। নৈঋতের এই অন্ধকারেই হয়তো হারিয়ে যায় পৃথিবীর কেউ না কেউ। টায়রার মনে হলো হঠাৎ করেই তার বুকে নৃশংসু কষ্টরা দামাল তবলা বাজাচ্ছে। চাপা এক প্রকার কাদতেও ইচ্ছে করছে কিন্তু কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাই কান্না বেরুতে চেয়েও বেরুলো না।

,

আজিম খানের মুখোমুখি বসে প্রচণ্ড আক্রোশে আদর বলল, ‘তুমি নাকি আর্দ্রের বিয়ে ঠিক করেছো বাবা? তাও নিভার সাথে?’

আজিম খান অবহেলার সুরে বললেন, ‘হুম’

আদর টেবিলে থাবা বসিয়ে ক্রোধান্বিত হয়ে প্রশ্ন করলো, ‘কেনো? ওর বিয়ের বয়স হয়েছে?’

আজিম খান নির্বিকার কন্ঠে বললেন,

‘হয়েছে। তোমার ওতো আমার ছেলেকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই।’

আদর তাক লাগা কণ্ঠে বলল, ‘ও আমার ভাই!’

আজিম খান পায়ের উপর পা তুলে বসে বললেন,

‘আনফরচুনেটলি।’

আদর বিস্ময়তা নিয়ে বলল, ‘বাবা…?’

‘তুমি বিয়ে করবে না তাহলে তো এবার ছোট ছেলের দিকেই এগোতে হবে তাই না? আর কতদিন তোমার পথ চেয়ে বসে থাকবো? বুড়ো হয়েছি নাতি-নাতনির মুখ দেখতে হবে না?’

আদর দাঁত চেপে রাগ নিয়ন্ত্রিত করে আজিম খানের দিকে তাকালো। বলল, ‘এবার বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে বাবা। নিভাকে আমরা আপন বোনের চেয়ে কোনো অংশে কম দেখিনি। তাকে কীভাবে তুমি এ বাড়ির বউ করতে চাও?’

আজিম খান বসা থেকে দাঁড়িয়ে পড়লেন। উঁচু গলায় বললেন, ‘তোমার কি? তোমার সাথে তো আর বিয়ে হচ্ছে না। নিজেও বিয়ে করবে না অন্যকারোর বিয়েও হতে দিবে না। সমস্যা কি তোমার?’

‘আমার অনেক সমস্যা। আর্দ্রর বিয়ে হবে না।’

‘দেখি কে আটকায়!’

‘ও বিয়ে করবে না।’

‘ও করবে না ওর দাদা করবে।’

‘ঠিকাছে, তবে তোমার কথাই থাক। আমি দাদুকে ফোন করছি। দাদু এসে নিভাকে বিয়ে করবে।’

আজিম খান ছেলের দিকে কটমট করে তাকালেন। বাপ-ছেলের তর্ক গড়ালো বহুদূর পর্যন্ত। মনোয়ারা খান উপরে গেলেন আর্দ্রের উদ্দেশ্যে। গিয়ে দেখলেন আর্দ্র ফোনে কারো সাথে কথা বলছে। তিনি আর ঘাটালেন না। চলে আসতে নিলেই শুনতে পেলেন আদরের ঘর থেকে ফোন বাজার শব্দ। মনোয়ারা খান কৌতুহল নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। বিছানায় আদরের ফোন পড়ে আছে। তাতে ভেসে উঠছে ‘শুকতাঁরার মনতাঁরা।’ মনোয়ারা খান বেশ অনেক্ক্ষণ নাম্বারটার দিকে তাকিয়ে থাকলেন।

,

টায়রা থমথমে মুখে ঘরে আসতেই টিকলি হতাশ কণ্ঠে বলল, ‘উনি তো ফোন ধরলেন না।’

টায়রা গম্ভীর মুখে উত্তর দিলো, ‘হয়তো বিজি। পরে ফোন করে নিবে দেখিস।’

‘হুম’ বলে টিকলি আবার ঘরময় পায়চারি শুরু করলো। খানিক পরে টায়রার দিকে ভ্রু কুচকে বলল,

‘কি হইছে? মুখটা ওরম কেনো? মন খারাপ?’

টায়রা মাথা দুলিয়ে না করলো। টিকলি সচেতন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

‘কেদেছিস?’

টায়রা চোখ পাকিয়ে বলল, ‘কাদবো কেনো?’

‘না মানে…’ পুরো কথা সম্পন্ন করার আগেই টিকলির ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো। টিকলি ফোন কানে ধরে বলল,

‘হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম। কে বলছেন?’

‘ওয়ালাইকুম আসসালাম। তুমি কি টিকলি রেজা?’

‘জি। আপনি?’

‘আমি আদরের মা। মনোয়ারা খান।’

টিকলি চোখ বড় বড় করে নাম্বার টায় আরেকবার চোখ বুলালো। কিছুক্ষণ থম মেরে ফোন হাতে দাড়িয়ে থাকলো। ওপাশ থেকে দুই তিনবার হ্যালো বলার পর ভয়ে তোতলানো স্বরে সে বলল,

‘জি জি বলুন আন্টি।’

‘তুমি আর তোমার বোন কি কাল আমার সাথে দেখা করতে পারবে?’

টিকলি অবাক হলো। তবুও বলল, ‘জি চেষ্টা করবো। কোথায়?’

মনোয়ারা খানের থেকে এড্রেস নিয়ে টিকলি ফোন রেখে টায়রার দিকে তাকালো৷ টায়রা ভ্রু কুটি করে জিজ্ঞেস করলো,

‘কে?’

‘উনার মা।’

‘এ্যা?’

‘হুম।’

‘তোকে ফোন দিছে? নাম্বার কই পাইলো? ‘

‘জানি না।’

‘কি বলল?’

‘কাল তোকে আর আমাকে দেখা করতে বলল।’

টায়রা চোখ কুচকে বলল, ‘তোকে দেখা করতে বলছে ঠিকাছে। কিন্তু আমি কেন? থিওরী টা কি? যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুধু ঝামেলা দেখতে পাই।’

টিকলি চিন্তিত মুখে বলল, ‘সব বাদ দে। আগে এটা বল। আমরা বের হবো কি করে? আমাদের তো বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ। বিকাল চারটায় দেখা করতে বলছে।’

‘আগে কাল আসুক। তারপর ভাবি।’

টিকলি টায়রা গভীর চিন্তায় মশগুল হলো। হিসাব মিলাতে গিয়ে দেখলো অংকই মিলছে না। অগোছালো সবকিছু গোছানোর কোনো পথই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সব চিন্তা ছাপিয়ে একটা কথাই টায়রার মাথায় ঘুরঘুর করছে। অত্যন্ত ক্রোধানলে জ্বলে মন বলছে, ‘নিভার বাচ্চা কেমনে ভাদ্র রে বিয়ে করতে রাজি হইলো? তার মানে কি ও আগে থেকে ভাদ্রকে পছন্দ করতো? এর জন্যই এতো ঘেষাঘেষি করতো!’

সমস্ত চিন্তাভাবনা গুলোকে লণ্ডভণ্ড করে দিলো টিকলির ফোন। বাজখাঁই গলায় বেজে উঠলো এই যন্ত্র। টায়রা চমকে উঠে টিকলির দিকে কুশন ছুড়ে বলল,

‘বালের এতো ফোন দেয় কে তোরে?’

টিকলি ফিসফিস করে বলল, ‘চুপ থাক। উনি ফোন দিয়েছে।’

টায়রা মুখটানা মেরে বলল, ‘হুহ..আসছে উনি..। বিয়ে করা জামাইয়ের লগেও মানুষ এম্নে কথা কয় না। তুই যেমন সারাক্ষণ কানের কাছে উনি উনি করস।’

‘কানের নিচে চটকানা খাবি।’

‘হ। এখন তো আমারেই মারবা। আমি পড়ছি মাইনকা চিপায়।’

‘চুপ থাক। উনাকে কি সবকিছু বলবো?’

টায়রা কিছু বলার আগেই টিকলি বলল, ‘নাহ থাক। আগে উনার মা কি বলে শুনে আসি। তারপর ধীরে সুস্থে সব বলা যাবে।’

‘হুম। বিয়ে করার পরে বইলো আমার কোনো সমস্যা নাই। নো চিন্তা ডো ফুর্তি। তোমার কপাল তুমি নিজে পুড়বা।’

‘চুপ থাক তুই।’

‘থাকলাম।’

টিকলি ফোন রিসিভ করে বলল, ‘কতগুলা ফোন দিলাম কোথায় ছিলেন?’

আদর রাগে দাঁত কিড়িমিড়ি করে বলল, ‘আর্দ্রের বিয়ে ঠিক হয়েছে। নিভার সাথে।’

টিকলি আশ্চর্য চোখে অবিশ্বাস্য গলায় বলল, ‘হ্যাঁ?’

চলবে❤️

লেখার তাল কেটেছে অনেক। আমি অসুস্থ। প্রচুর মাত্রায় ঠান্ডা লেগেছে তবুও গল্প লিখেছি। সবার সাড়া কাম্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here