# বোকা ছেলে
# পাঠ ১২
তুমি এতো রাতে কেনো আসছো
নিলা=তোমার সাথে রুমান্স করতে
অভি=পাগল হইছো না কি, কি আবল তাবল বলছো
নিলা=যা সত্যি তাই বলছি,
অভি= এখন কতো রাত জানো,আর রুমে আসলে কেমনে
নিলা=এই নিলা পারে না এমন কিছু নেই
অভি=বুজলাম এবার যেদিক দিয়ে আসছো সেই রাস্তা দিয়ে যাও, কেও দেখলে সমস্যা হবে
নিলা=তাতে আমার কি, এতো দিনে একটা সুজুক পেয়েছি আর তা কেমন করে ছারি বলতো
অভি=কিইই বলতে চাইছো
এমন সময় দরজায় টোকা পরে
অভি অনেকটা ঘাবড়ে যায়, এদিকে নিলা হাসছে, অভি কিছুই বুজতে পারছে না,
বাহিরে থেকে এই দরজা খোল তাড়াতাড়ি, আমার বোনের কিছু হলে তোকে ছাড়বো না বলে দিলাম,অভি আর বুজতে বাকি রইলো না, এটা নিলার কোনো চাল,
এমন সময় দরজা বেঙে ফেলার সম্ভবনা দেখে নিলা বলে এবার দেখি কি করে বাঁচাতে পারিস নিজেকে, তারপর নিলা অজ্ঞান হওয়ার নাটক করে, এরি মাঝে দরজা বেঙে ফেলা হয়, সেই বড় ভাই এসেই অভির কলার ধোরে তুই আমার বোনের সাথে কি করছিস বল তাড়াতাড়ি, অভি=বিশ্বাস করেন ভাই আমি কিছুই করিনি, বড় বাই=আগে আমার বোনটাকে বাচিয়ে নেই তারপর তোকে দেখছি, তারপর ছেলেটা নিলার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়, তারপর নিলা চোখ খলে, আর বলতে থাকে আমি এখানে কি করে আসলাম, আর এটা কার বাড়ি, আর অভি তুমি এখানে, অভি কথা গুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় কি বলবে ভাষা খুজে পাচ্ছে না, নিজেকে আজ খুব অসহায় মনে হচ্ছে, বড় বাই, বল তুই আমার বোন কে কি খাইয়ে নিয়ে এসেছিস, মাড়তে মাড়তে অন্যদিকে অভির বাবা শুধু চোখের জল ফেলে যাচ্ছে, সে ভালো করেই বুজতে পারছে তার ছেলে আজ খুব বড় কোনো ষড়যন্ত্র তে আটকে গেছে, কিছু বলতেও পারছে না, তারপর অভির বাবা কে কয়েকজন লোক ধরে রাখে আর অভি কে মাড়তে থাকে, আর বলতে থাকে আমার সাথে পাংগা নিতে চাস, সেদিন বলেছিলাম না আমাকে চিনিস, আজ তোকে চিনিয়ে দিচ্ছি আমি কে, অভি নিরবে কেদে যাচ্ছে, চাইলেও যে কিছু করতে পারছে না তার হাত পা যে বন্ধি তার মার কাছে, একপর্যায় আশেপাশের লোক আসে য়ারপর তারা থামিয়ে দেয়, সবার চোখে জল কারন তারা জানে অভি এমন ছেলে না, কেউ কিছু বলতেও পারছে না, অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে অবির দিকে,তারপর তারপর অভিকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়, রেপ কেসে ডুকিয়ে দিতে চাইলে নিলা তখন বলে
(পরবর্তী পর্ব পেতে ফলয়িন করুন প্লিজ)
নিলা=আগে ওকে শুস্থ হতে দাও, এখন ত হস্পিটালে নিতে হবে মার ত আর কোম খেলো না,হিংসার হাশি দিয়ে, বুজাতে চাইছে দেখ এখন কেমন লাগে আমাদের সাথে লরতে আসা,এখন হারে হারে বুঝতে পারবি, তারপর নিলারা সবাই চলে যায়, আর একটা হাসি দিয়ে এটা যে তাদের জয়ের হাসি, হুম আজ তারা জয়ী হয়েছে,
নিলরা জাওয়ার সাথে সাথে, অভির বাবা অভি কে জরিয়ে ধরে কেদে যাচ্ছে, এক পর্যায় অভি জ্ঞান হারায়, তারপর কিছু মানুষ এর সাহায্য নিয়ে অভি কে হসপিটালে নিয়ে যায়, কিছু ক্ষন পরে ডাক্তার
ডাক্তার=আচ্ছা এমন কি হয়েছিলো, যে কারনে এমন নিশঙ্ক ভাবে মারলো,
বা=আমি সত্যি কিছু জানি না,তবে এটা বলতে পারি আমার ছেলে কখনো কোনো খারাপ কাজ করতেই পারে না,আমার ছেলের কি অবস্থা
ডাক্তার=আল্লাহ কে ডাকেন, বলা যাচ্ছে না কিছু, আসলে তারা আপনার ছেলেকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তেই মেরেছে, এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না
বা=আমার ছেলে বাছবে ত ডাক্তার
ডাক্তার=আমি আমার সব টুক চেষ্টা করবো, বাকিটা অপর ওলার হাতে
তখনি অভির বাবা মনে মনে বলে, অভি যদি বেচে যায় তাহলে ওদের কাউকে বাচতে দেবো না, পায় পায় হিসাব নিবো,
প্রায় ২ দিন পরে অভির জ্ঞান ফেরে
বা=বাবা এখন কেমন আছিস
অভি=নিশ্চুপ
বা=কথা বলছিস না কেনো,
এমন সময় ডাক্তার চলে আসে
আমার যতো টুক মনে হয় আপনার ছেলে, কাউকে ভালোবেসেছিলো আর তার সামনেই এই ঘটনা ঘটে ছিলো, আর তার সাথে মেয়েটাও জরিত,তাই শকট একটু বেশি খেয়েছে, দুই দিক থেকে শকট মেনে নিতে পারে নি, তাই সৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলেছে
বা=তাহলে কি কোনোদিন সুস্থ হবে না
ডা=সেটা আমি জানিনা, হয়তো ফিরতেউ পারে নাও পারে, আর একটা খারাপ খবর আছে, আর সেটা হলো ও বাচ্ছা ছেলেদের মতো আচারন করবে, মেমুরি সব গেছে, ও যে বড় এটা ও কখনো মনে হবে না
বা=হুম,এটাই ভালো হয়েছে, এখন আর পুরনো সৃতি মনে পরবে না মনে মনে,আচ্ছা ওকে বাসায় কবে নেওয়া যাবে
ডা=২/৩ দিন পরে নিতে পারে
তারপর অভিকে ভাসায় নিয়ে আসি, কিন্তু সবার টিটকারি থেকে বাচতে না পেরে, ওকে নিয়ে এই সহরে নিয়ে আসি,নতুন করে জীবন চলার জন্য, এভাবে কিছুদিন চলে যায়, ওর পাগলামি গুলো খুব ভালো লাগতো, মাঝে মাঝে অভির বাবা হাসতে হাসতে মরে জাওয়ার অবস্থা হয়ে যেতো,অভি পুরনো কথা ভুলে গেলেও অভির বাবা ভুলে যায়নি, তাই তার সৃতি আনার জন্য একটা তোমাকে বিয়ে করিয়ে আনি( বাস্তবে এখন)ভেবেছিলাম অভি যদি কাওকে সত্যি সত্যি ভালো বেসে থাকে তাহলে কোনো মেয়ের সাথে চললে হয়তো সৃতি ফিরে আসতেও পারে এই আসায়, এদিকে জিম চোখের পানি ছাড়ছে নিরবে, বা=সবি ত শুনলা, এখন বলো, আমি এই ছাড়া কি করতে পারি, কেঁদে কেঁদে
জিম=আপনার আর কিছুই করতে হবে না বাবা, যা করার আমিই করবো, আমার স্বামীর সাথে অন্যায় হয়েছে তা আমি কি করে সজ্জ করি বলেন, আজ থেকে এ লড়াই শুধু আপনাদের না, এ লড়াই আজ থেকে আমারও,
তারপর জিম ঘরে চলে আসে, দেখে অভি ঘুমিয়ে পরেছে, মনে হচ্ছে নিশপাপ একটা ছেলে ঘুমিয়ে আছে, আর এর মাঝে এতো বড় ঝোর বয়ে গেছে কেউ বুজতেই পারলাম না, তারপর জিম আগের নিয়মে ঘুমিয়ে পরে
—– চলবে ——
(যারা আগের পর্বগুলো পড়েন নাই তারা আমার টাইমলাইন থেকে পড়ে নিবেন। সবাই ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন আর পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন)