গল্পঃ ভাবি যখন বউ
#পর্ব_১৫_ও_শেষ (জুয়েল)
(১৪তম পর্বের পর থেকে)
আমি গিয়ে অবন্তীর পাশে বসলাম। অবন্তী আমার কানের কাছে ওর মুখ এনে বললো….
অবন্তীঃ এই যে মি.জুয়েল!!!
আমিঃ জ্বি ম্যাম বলেন।
অবন্তীঃ তোমার খবর আছে,,
আমিঃ কেন আমি কি করেছি?
অবন্তীঃ তুমি অন্য মেয়ের দিকে তাকাইছো কেন?
আমিঃ আরে আজব আমি কখন তাকালাম।
অবন্তীঃ আমি নিজের চোখে দেখেছি, দাঁড়া বিয়েটা শেষ হোক তারপর তোমার ১২ টা বাজাবো।
আমিঃ ওকে ম্যাম দেখা যাবে! আপনি আমার ১২ টা বাজান নাকি আমি আপনার ১২ টা বাজাই।
অবন্তীঃ হুম দেখবো।
আমিঃ আব্বু আম্মুর ইচ্ছার কথা মনে আছে?
অবন্তী লজ্জায় আরো লাল হয়ে যায় আমি অন্যদিকে তাকিয়ে হাসছি।
একটু পর বড় প্লেটে করে খাওয়ার নিয়ে আসা হলো। আমি অবন্তীকে খাইয়ে দিচ্ছি অবন্তী আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আহ! কি এক ভালো লাগা সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
এতো আনন্দ বিয়েতে আগে জানা ছিলো না। খাওয়াদাওয়া শেষ, আমাদের আবার বিয়ে পড়ানো হবে না। কারন আমরা আগে থেকেই স্বামী স্ত্রী।
আগে যেহেতু কালিমা পড়ে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে অবন্তীকে বিয়ে করেছি এখন নতুন করে এগুলো লাগবে না। শুধু অনুষ্ঠান টা করে নিলাম।
এরপর শুরু হলো ছবি তোলা, যদিও এর মধ্যে কয়েক হাজার ছবি উঠানো হয়ে গেছে।
ছবি তোলা শেষে আমি আর অবন্তী সবার সাথে কথা বলে নিলাম।
একেবারে শেষ মুহূর্ত অবন্তীকে গাড়িতে তোলা হচ্ছে আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছি। হারামী গুলা আসলো আমার কাছে।
হাকিমঃ জুয়েল! বন্ধু,,,
আমিঃ হুম বল।
হাকিমঃ অবন্তীকে দেইখা রাখিস, বেশি কিছু করিস না।
ফাহাদঃ হুম অবন্তী তোর ভাবি লাগে। সো রেসপেক্ট দিয়ে সব কিছু করবি।
আমিঃ আরে হারামখোর! ভাবি আগে ছিলো এখন তো বউ।
হাকিমঃ তবুও ভাবির দৃষ্টিতে দেখিস।
আমিঃ চুপ থাক হারামি।
আয়মানঃ ওই জুয়েল তুই গাড়িতে যা। অবন্তী উঠে গেছে
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে তোরা অন্য গাড়িতে বাসায় চলে আয়। আসলে দেখা হবে।
আয়মানঃ আচ্ছা ঠিক আছে যা।
তারপর আমি গাড়িতে গিয়ে বসলাম। অবন্তীর সাথে একদম গা লাগিয়ে বসলাম।
অবন্তীঃ ওই আরো দূরে যাও।
আমিঃ কেন সমস্যা কি?
অবন্তীঃ ড্রাইভার আর ওরা দেখতেছে।
আমিঃ দেখকে দেখুক। আমার কি? আমি আমার বউয়ের সাথে কিভাবে বসবো সেটা আমি বুঝবো।
আমি অবন্তীর একটা হাত ধরলাম, ও আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো।
গাড়ি চলছে তার আপন মনে। আমি অবন্তীর হাত ধরে স্বপ্নে হারিয়ে গেলাম।
অনেকক্ষণ পর বাসায় আসলাম। আমার এক খালাতো ভাইয়ের বউ অবন্তীকে কোলে করে বাসায় নিয়ে যায়।
আমি বের হয়ে ড্রেস চেইঞ্জ করে বাইরে চলে আসলাম। তারপর হাকিম, ফাহাদ, আয়মান আর সাদ্দাম ওদের সাথে বাইরে বের হলাম।
রাত ৯.০০ টার সময় সবাই বাসায় আসলাম। এসে খাওয়াদাওয়া করে সবাই ছাদে চলে গেলাম। অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম।
১০.০০ টার দিকে আব্বু ছাদে আসলো।
আব্বুঃ জুয়েল তুই এখানে?
আমিঃ জি আব্বু।
আব্বুঃ এতো রাতে এখানে কি করিস।
আমিঃ এই তো ওদের সাথে বসে আছি।
আব্বুঃ আচ্ছা এবার রুমে যা। অবন্তী অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে।
আমিঃ আচ্ছা যাচ্ছি, আপনি নিচে যান আমি আসছি।
আব্বুঃ তাড়াতাড়ি আয়।
আব্বু চলে গেলো। হারামী গুলা আমারে নিয়ে ট্রল করতে শুরু করে দিলো।
হাকিমঃ যা বন্ধু যা। এই যুদ্ধে তুই যেন জয়ী হতে পারিস এ দোয়াই রইলো।
ফাহাদঃ পানি লাগলে আমারে বলিস।
আয়মানঃ সব কিছু ঠিক ভাবে করিস। (মুছকি হেসে)
ফাহাদঃ জুয়েল বন্ধু তোর লাইফটা অনেক দারুণ দুইবার বাসর। তাও আবার একই বউয়ের সাথে।
আমি মনে মনে বললাম ওটা বাসর ছিলো না। আমার লাইফের সবচেয়ে বড় বাঁশ ছিলো।
আমিঃ আচ্ছা তোরা যা। ঘুমিয়ে পড়, আজকে অনেক খাটাখাটি করেছিস।
ফাহাদঃ আরে আমরা কি করেছি করবি তো তুই এখন।
আমিঃ দূর শালা তোদের সাথে কোনো কথাই নাই।
আমি নিচে চলে আসলাম। রুমের সামনে গিয়ে দরজায় হাত দিবো এমন সময় ভাইয়ার কথা মনে পড়ে গেলো।
আজকে তো আমি ভাইয়ার সাথে দেখা করিনি। দরজার সামনে থেকে নিজেকে ঘুরিয়ে নিলাম।
বের হয়ে হাটা দিলাম ভাইয়ার কাছে। ভাইয়ার কবরের পাশে গিয়ে বসলাম।
“ভাইয়া কেমন আছিস। প্লিজ রাগ করিস না আমার আসতে দেরি হয়ে গেলো। তুই আবার এটা ভাবিস না আমি বিয়ে করে তোকে ভুলে গেছি। আরে পাগল তুই সব সময় আমার পাশেই আছিস।
জানিস ভাইয়া আমি যখন বিয়ের পেড়িতে বসেছি তখন চোখের সামনে তোকে দেখতেছি। আমার মনে হচ্ছে তুই আমার বিয়ের সব কাজ করছিস।
ভাইয়া আজকে আমার বাসররাত, তুই থাকলে হয়তো আরো বেশি মজা হতো বিয়েতে। আমি জানি তোর অবন্তীকে আমি বিয়ে করেছি দেখে তুই আমার উপর রাগ করে আছিস। কিন্তু কি করবো বল আমি না করলে অবন্তীর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যেতো।
ভাইয়া আমি অবন্তী কে তোর মতো করে ভালো রাখার চেষ্টা করবো। তুই আমার জন্য দোয়া করিস ভাইয়া। “”
এমন সময় অবন্তী কল দিলো। আমি কল কেটে দিলাম, আরো কিছুক্ষণ থেকে তারপর বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় ডুকে যেই রুমের দিকে পা বাড়ালাম তখনই লিমা আর সানি আমার পথ আটকিয়ে দাঁড়ালো।
লিমাঃ এই যে মি. জুয়েল! কোথায় যাওয়া হচ্ছে?
আমিঃ তোর ভাবি অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে।
লিমাঃ কিন্তু আমাদের পাওনা।
আমিঃ তোর আবার কিসের পাওনা?
লিমাঃ বাহ ভুলে গেলি।
সানিঃ এই যে এতো কষ্ট করে আপনার বাসরঘর সাজালাম। সেটার পাওনা।
আমিঃ লিমা বোন আমার, সানি ভাই আমার আমাকে এখন মাফ করে দে। অন্যদিন ডাবল দিবো।
লিমাঃ জি না মি. এখন মাফ করা যাবে না।
আমিঃ আচ্ছা এই নে। (৫০ টাকা দিলাম)
লিমাঃ এটা কি দিলি?
আমিঃ তোদের বখশিশ।
লিমাঃ ফকিন্নি ৫ হাজারের কমে এক টাকাও নিবো না।
আমিঃ ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। এটা কি বললি? পুরো বিয়েতেও তো ৫ হাজার খরচ হয়নি। আর বাসর ঘরের জন্য ৫ হাজার দিবো?
সানিঃ জি ভাইয়া, বাসর ঘরটাই তো আসল।
শালা মাইনক্যা চিপায় পড়ে গেলাম। পরে ১ হাজার দিয়ে কোনমতে ভিতরে গেলাম। যাক আল্লাহ বাঁচাইছে।
ভিতরে গেলাম দেখলাম অবন্তী গাল ফুলিয়ে বসে আছে। আমি জানি দেরি করার কারনে এমন ভাবে গাল ফুলিয়ে রাখছে।
আমি ওর সামনে গিয়ে বললাম….
আমিঃ এই সরি সরি।
অবন্তীঃ তোমার কোনো ক্ষমা নাই।
আমিঃ এই সরি বললাম তো। আচ্ছা যাও কান ধরলাম।
অবন্তীঃ উঠবস করো।
আমিঃ এই না প্লিজ এটা করো না।
অবন্তীঃ তাহলে তোমার সাথে কথা নাই।
আমিঃ প্লিজ কথাটা শোনো।
অবন্তীঃ কি শুনবো, এতোক্ষন কোথায় ছিলা?
যদি সত্যিটা বলি, আমি ভাইয়ার কাছে গিয়ে ছিলাম তাহলে অবন্তীর মন খারাপ হয়ে যাবে। হয়তো ভাইয়ার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে যাবে তাই বললাম….
আমিঃ আরে ওই হারামী গুলার সাথে ছিলাম আসতে দিচ্ছিলো না। তারপর এখানে আসার সমন লিমা আর সানি আক্রমণ করে। সব কিছু ঠিকঠাক করে আসতে একটু সময় লেগে গেছে। প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দাও আর হবে না।
অবন্তীঃ মনে থাকে যেন। এবার রুমের বাইরে যাও।
আমিঃ বাইরে কেন?
অবন্তীঃ আমি কাপড় চেইঞ্জ করবো।
আমিঃ তো আমার সামনে করলে সমস্যা কি?
অবন্তীঃ তুমি বাইরে যাবে নাকি মাইর খাবে।
আমিঃ আচ্ছা বাবা যাচ্ছি।
বাইরে চলে এলাম। প্রায় ১০ মিনিট হবে কিন্তু এখনো দরজা খুলছে না। আমি কল দিলাম,,,
আমিঃ এই কি হলো!
অবন্তীঃ আর ২ মিনিট।
ধুর বাসরঘর এমন হয় নাকি। বিরক্ত লাগছে। আরো ৭ মিনিট মোট ১৭ মিনিট পর অবন্তী দরজা খুলে দিলো।
আমি ভিতরে গেলাম। অবন্তী পাশে গিয়ে বসলাম। একটা হালকা নীল রঙ্গের শাড়ী পড়ে নিলো একটু অন্যরকম লাগছে।
অবন্তীঃ এই তোমার অজু আছে?
আমিঃ ছিলো বাট এখন নেই।
অবন্তীঃ যাও অজু করে আসো।
আমি ওয়াশরুমে গিয়ে অজু করে নিলাম।
যখন অবন্তীর সামনে আসলাম তখন অবন্তী পা ছুঁয়ে সালাম করতে যাবে এমন সময় আমি ওর হাত ধরে ফেললাম। ওরে বুকে জড়িয়ে বললাম।
আমিঃ তোমার জায়গা পায়ে নয়, আমার এই বুকে।
অবন্তীঃ আসো ২ রাকাত নামাজ পড়ে নিই।
আমিঃ হুম।
তারপর দুজনে নামাজ পড়ে নিলাম। আমি গিয়ে খাটের উপর বসলাম, অবন্তীও আমার পাশে এসে বসলো।
আমিঃ এই আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
অবন্তীঃ মাইর দিবো। আজকে ঘুমটুম কিছু হবে না। আজকে সারা রাত গল্প করবো।
আমিঃ এতো গল্প কোথায় থেকে আসবে?
অবন্তীঃ চুপচাপ শুনতে থাকো।
আমিঃ এইভাবে গল্প শুনে মজা নাই।
অবন্তীঃ তো কিভাবে শুনবে।
আমিঃ এই যে মনে করো আমি কারো কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকবো আর সে আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে গল্প করবে।
অবন্তী মুছকি হাসলো, আমি ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে গেলাম। আর অবন্তী আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আমাদের ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন গুলো বলতে শুরু করলো।
অনেকক্ষণ পর আমি উঠলাম। তারপর অবন্তীর একটা হাত ধরে বললাম।
আমিঃ মনে আছে।
অবন্তীঃ কি?
আমিঃ আব্বু আম্মুর ইচ্ছে!!!
অবন্তীঃ এই জুয়েল না একদম না।
আমি অবন্তীর কোনো কথা না শুনে ওর হাত ধরে একটা টান দিলাম, সাথে সাথেই আমার সামনে চলে আসলো। আমি একটু একটু আগাচ্ছি আর অবন্তী পিছাচ্ছে। ওর ঠোট গুলো কাঁপতেছে। আমি আস্তে আস্তে ওর মুখের কাছে গেলাম। তারপর চার ঠোট এক হয়ে গেলো। দুজনেই হারিয়ে গেলাম অন্য এক জগতে। শুরু হলো আমাদের নতুন জীবনের নতুন অধ্যায়,,,,,
****** ৫ বছর পর ******
অনাঃ আব্বু, এই আব্বু উঠো। অফিসে যাবে না?
আমিঃ না মা আজকে অফিসে যাবো না। তোমাদের নিয়ে ঘুরতে যাবো।
অনাঃ ও কি মজা কি মজা। আচ্ছা আব্বু কোথায় যাবে?
আমিঃ সেটা নাহয় পরে বলবো। তোমার আম্মু কোথায়?
অনাঃ আম্মু তো নাস্তা রেড়ি করছে। তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো।
আমিঃ ওকে মামুনি। তুমি যাও আমি আসছি।
ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের কাহিনী টা বলে দিই। এই যে একটু আগে যে কথা বললো সে হচ্ছে আমার মেয়ে অনা। হুম, আমাদের কন্যা সন্তান হয়েছে। অনার চেহারাটা ভাইয়ার সাথে প্রায় মিল। ওর মধ্যেই আমরা ভাইয়াকে খুঁজে পাই।
এই ৫ বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আর অবন্তী একসাথে মাস্টার্স কমপ্লিট করি, তারপর আমি আগের অফিস মানে লিমাদের ওখান থেকে ভালো একটা অফিসে ম্যানেজার পদে চাকরি পাই।
ইচ্ছা ছিলো লিমাদের ওখানেই থেকে যাবো। আমাদের বিয়ের কিছুদিন পর লিমারও বিয়ে হয়্র যায় সানির সাথে। তারপর তারা দেশ ছেড়ে চলে যায়। লিমার কোনো ভাই বোন না থাকায় তার আব্বু কোম্পানি বিক্রি করে লিমার ওখানেই চলে যায়। আমি অন্য একটা কোম্পানিতে চাকরি নিই।
আয়মানও খুব ভালো একটা চাকরি পেয়েছে তবে আফসোস আমার ফ্রেন্ডটা আমার সাথে নেই। চাকরীর কারনে দুইজন দুই প্রান্তে। কিন্তু সব সময় কথা হয়। আর হাকিম ফাহাদ সাদ্দাম ওরাও চাকরি করে বিয়ে সাদি করে যে যার মতো সেটেল। মাঝেমধ্যে কথা হয়।
আমার আর অবন্তীর সম্পর্কটা আরো গভীর হয়, ভালোবাসা দিনে দিনে অনেক বেড়ে যায়।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম। আমি আব্বু আম্মুকে রেড়ি হতে বললাম। উমারা সবাই রেড়ি হলো।
তারপর নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে উনাদেরকে ঘুরানোর জন্য নিয়ে গেলাম।
আসলে আমি ভাইয়ার কাছে যাচ্ছি। আমি গাড়ি নিয়ে সোজা ভাইয়ার কবরের পাশে গেলাম।
আমরা সবাই গাড়ি থেকে নামলাম, নেমে ভাইয়ার কবর জিয়ারত করলাম। অনা বললো…
অনাঃ আব্বু এখানে কি?
আমিঃ এখানে তোমার বড় আব্বু আছে।
অনাঃ উনাকে বলো না আমাদের সাথে ঘুরতে বের হতে!
আমিঃ হুম আম্মু বলেছি। রাতের বেলা আমাদের বাসায় আসবে।
আব্বু আম্মু আর অবন্তীর দিকে তাকিয়ে দেখি ওদের চোখে পানি এসে গেছে। হয়তো ভাইয়া থাকলে আমাদের ফ্যামিলিটা আরো সুন্দর হতো। আজকে সব আছে আমার। টাকা আছে, সুখ আছে, ফ্যামিলি আছে, সম্মান আছে কিন্তু নেই শুধু আমার কলিজার ভাইটা।
যদি আমার জীবনের বিনিময়ে ভাইয়াটা আবার ফিরে আসতো তাহলে হাসতে হাসতে জীবনটা দিয়ে দিতাম। নিজেকে সান্তনা দিতাম আমার ভাই, আমার কলিজা আবার ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। কবর থেকে হয়তো আমার ভাই বলতেছে “জুয়েল কাঁদিস না ভাই, আমাদের আবার দেখা হবে, খুব শীগ্রই দেখা হবে। ইহকালে না হোক পরকালে দেখা হবে। তখন আমরা আবার একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঘুরবো। কাটাবো অনেকটা সময় তোর কাছে। বসবো দুজন একসাথে। ভালো থাকবি সব সময় দেখে রাখবি আব্বু আম্মুকে আর সুখে রাখবি আমার মামুনি অনাকে সাথে তোর অবন্তীকে।
ভাই-ভাই সম্পর্কটা থাকবে চিরকাল অটুট হয়ে।
****** সমাপ্ত ******
@এম.এইচ.জুয়েল (দুলাভাই)
বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক ছিলো। বাস্তবে কিছুই হয়নি। গল্পে জুয়েল টা আমি নিজেই, অবন্তী কাল্পনিক। সানি, আয়মান, হাকিম, ফাহাদ, সাদ্দাম, ফারুক, ইউসুফ এরা হচ্ছে আমার খুব ভালো বন্ধু।
জানিনা এই গল্পটা আপনাদের কেমন লাগলো, আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি এই গল্পে।
ভালোবাসি প্রত্যেক পাঠক/পাঠিকা ভাই বোনদের, আপনাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান সব সময় থাকবে। নিজেদের সময় নষ্ট করে, অনেক দিন ওয়েট করে, কষ্ট করে গল্পটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই……….