#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
পর্ব – ৩
প্রেনা পূর্ণতা কে টেনে টেনে ৩০৫ নাম্বার কক্ষের দিকে ছুটছিল , কিন্তু তখনই হঠাৎ পূর্ণতা প্রেনাকে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে বলল ,
– প্রেনা , কোথায় যাচ্ছিস !! তোর ফোনটা দিয়ে ভাইয়াকে কল দে । আর এই মূহুর্তে আর একটা প্রশ্ন ও করবি না , তোকে আমার দিব্যি ।
প্রেনা ওর কথা শুনে ঠায় দাঁড়িয়ে গেল । কিছু আর বলতে পারলো না । নিজের ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে পূর্ণতার দিকে বাড়িয়ে দিল । পূর্ণতা ফোনটা নিয়ে জিব্রানকে কল দিল । দুইবার রিং হতেই ওপাশ থেকে জিব্রান কল রিসিভ করল ,
– হ্যা , পুচকি । কোথায় আছিস ?
– ভাইয়া , আমার অনুষ্ঠান শেষ । আমি মেডিক্যাল এর মেইন গেইটে আছি । তোমার আসতে কতক্ষন লাগবে ?
– আমি শহীদ মিনারের সামনে আছি , ১০ মিনিট ওয়েট কর । I’m on my way …..
তারপর কলটা কেটে গেল ।
পূর্ণতা ফোনটা প্রেনার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল ,
– ভাইয়ার আসতে ১০ মিনিট লাগবে । তুই চাইলে চলে যেতে পারিস ।
– তুই পাগল ! তোকে এভাবে একলা ফেলে আমি চলে যাবো ?
– না , আমি তো ভাইয়ার সাথে যাবো । তোর একা যেতে হবে , তাই আর কি !
– আমার বাসা কাছে , তুই ই তো আজিমপুর থাকিস । দশ হাত দূরে ।
– আচ্ছা , তাহলে তুই স্কুটি নিয়ে উল্টো পথে আমাকে নিতে যাবি প্রতিদিন ?
– দরকার হলে যাবো ।
– এত কেন ভালোবাসিস আমাকে ?
– কারন তুই আমার সেই ছোট্ট বেলার বেষ্টি । তোর কিছু হলে আমিও …….
– হয়েছে , নেগেটিভ কথা বাদ দে …….
– আচ্ছা , একটা কথা বলি , রাগ করিস না ।
– আমি জানি , কি বলবি !! তা ও তুই ই বল ।
– তোকে আজ এভাবে অপমানিত হতে দেখে নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না , তাই তো ভাইয়ার কাছে বিচার দিতে চাইছিলাম ।
– বিচার দিলে লাভ নেই , তখন শুনলি না সে কি বলল ? সে ভাইয়ার হবু ফিওন্সে !! আমরা বিচার দিলে তো ভাইয়া বিলিভ করবে না । দরকার কি বাড়া বাড়ির । যেমন আছি থাক না ।
– তুই সব সময় ই এমন ম্যান্দা মার্কা । জিব্রান ভাইয়া ঠিকই বলে ..
এরই মধ্যে জিব্রান চলে এলো !!
ও প্রেনার কথা কিছুটা শুনতে পেয়ে বাইক থেকে নেমে বলল ,
– আমি কি ঠিক বলি রে প্রেনা ??
প্রেনা হেসে বলল ,
– এই যে , তোমার বোন একটা ম্যান্দা মার্কা ।
জিব্রান হেসে দিল । প্রেনা ও হাসতে শুরু করলো ।
পূর্ণ গাল ফুলিয়ে বলল ,
– হ্যা হ্যা , যত খুশি হাসো !!
জিব্রান বলল ,
– ঠিক আছে , চল এখন !
প্রেনা বলল ,
– আচ্ছা , তোমরা যাও । আমি আসছি ।
জিব্রান বলল ,
– তুই কোথায় যাচ্ছিস ? আমাদের সাথে চল , আমি ড্রপ করে দিচ্ছি ।তোর চেয়ে ভালোই পারি বাইক চালাতে ।
পূর্ণতা বলল ,
– হ্যা , চলনা । একসাথেই যাই ।
প্রেনা আর না করল না । এরপর জিব্রান বাইক স্টার্ট দিয়ে ওদের উঠতে বলল । পূর্ণতা প্রথমে উঠলো , তারপর প্রেনা উঠে বসল । তারপর রওনা হলো গন্তব্যের দিকে ।
……………………………………………..
আবরন বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে পাঞ্জাবি চেঞ্জ করে একটা ট্রাউজার আর টি শার্ট পড়ে নিল । বাহিরে গেলে আবরনের জাতীয় পোশাক পাজামা – পাঞ্জাবি আর শাল হলেও বাসায় সে টিশার্ট ট্রাউজারেই অভ্যস্ত ।
নিজের বিছানায় বসে নিজের মাকে ডাকতে লাগলো ,
– আম্মু , আম্মু …… ও আধিরা আনজুম …….
ছেলেকে এভাবে ডাকতে শুনে আধিরা আনজুম নিজের রুম থেকে এক প্রকার দৌড়েই ছেলের রুমের দিকে গেল ।
– কি হয়েছে ? এভাবে নাম ধরে ডাকিস কেন বলতো ??
– আম্মু বলে ডাকলে তো শোনো না , তাই বাবার মতো নাম ধরে ডাকলাম যেন জলদি জলদি হাজির হতে পারো ।
আধিরা আনজুম ছেলের কথায় হেসে বললেন ,
– তা কি এমন জরুরি তলব শুনি ?
আগে বসো এখানে । আধিরা আনজুম ছেলের বিছানায় বসে বললেন ,
– এখন বল !
আবরন নিজের মায়ের কোলে মাথা রেখে বললেন ,
– মাথাটা প্রচন্ড ব্যথা করছে ! একটু চুল গুলো টেনে দাও না ।
আধিরা আনজুম ছেলের কথা শুনে সিল্কি চুল গুলো বিলি করে করে চুল টেনে দিতে দিতে বললেন ,
– আর কত আমি চুল টেনে দেব বল ? কোথায় একটা বিয়ে করবি তা না , এখনো আমার আচল দিয়ে মুখ মুছিস , আমার গামছা দিয়ে চুল মুছিস , আমাকেই বলিস সব কিছু করে দিতে ।
আবরন চোখ বন্ধ করে মায়ের চুল টেনে দেওয়া অনুভব করছিল । মায়ের মুখে এসব কথা শুনে হঠাৎ বন্ধ চোখের মাঝেই যেন সকালের ঘটনা গুলো ছবির মতো ভেসে উঠছে । সেই কাজল কালো চোখ থেকে বেয়ে পরা পানি , কাপা কাপা ঠোঁট এসব কিছুই মনে আসতে লাগল । তারপর হঠাৎ করে জলের কথা মনে হতেই রাগে চোখ খুলে ফেলল ।
আধিরা আনজুম বললেন ,
– কি রে , কি হলো ?
আবরন বলল ,
– আম্মু , জানো আজকে কি হয়েছে ?
– না বললে কেমন করে জানবো ?
– জল আজকে অনেক গুলো অন্যায় করেছে । ও বরাবরই আমার সাথে ঘেষে ঘেষে চলে । বিলিভ মি , আমার ওকে আর সহ্য হচ্ছে না । প্লিজ , তুমি বিষয়টা বাবাকে জানিয়ে একটু হ্যান্ডেল করো না ।
– তোর বাবাকে এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যায় ? বললেই তো সে বলবে , তার একমাত্র ছোট বোনের একমাত্র মেয়ে , তার নামে কোনো বাজে কথা সে শুনতে চায় না ।
আবরন মায়ের কোল থেকে মাথা উঠিয়ে বসে চিন্তিত ফেস করে বলল,
– বাবা কি চাচ্ছে জলকে এ বাড়ির বউ করে আনতে ??
-তা জানি না , কিন্তু জলকে তোর বাবা অনেক ভালোবাসে ।
– ধুর !! বাবা যদি কখনো এ কাজ করে তাহলে আমি সোজা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো ।
আধিরা আনজুম কিছুটা রাগ করে বললেন ,
– চুপ কর তো । এসব কথা মুখে আনতে নেই ।
আর তোকে তো আমি সেই কবের থেকেই বলছি যে নিজের পছন্দ মতো একটা মেয়েকে বিয়ে করে এই বাড়ির বউ করে নিয়ে আয় , তাহলেই দেখবি সব সমস্যার সমাধান হবে । আর একথা বলছি কারন হচ্ছে , তোর উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে তুই একজন পারফেক্ট গার্লকেই এ বাড়ির বউ করে আনবি ।
– তা বুঝলাম । কিন্তু এখনো তো নিজের পায়ে দাড়াই নি । আর একটা বছর , তারপর নিজের একটা চেম্বার খুললেই দেখবে বিয়ে করে নিব ।
আধিরা আনজুম মুচকি হেসে বললেন ,
– তা আমার ভবিষ্যত ডাক্তার ছেলে বুঝি কাউকে পছন্দ করে রেখেছে !!
আবরন আধিরা আনজুমের দিকে তাকিয়ে বলল ,
– ধুর !! কি যে বলো না আম্মু !!
এই মা ছেলের দুষ্টু মিষ্টি গল্প চলতেই থাকবে সারাদিন ।
……………………………………………
সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জিব্রান একটা বড় স্যুটকেস এনে পূর্ণতার খাটের উপর রাখলো । পূর্ণতা খাটে বসে বালিশের সাথে হেলান দিয়ে বই পড়ছিল । হঠাৎ খাট কেপে উঠতেই চোখের সামনে থেকে বইটা সরিয়ে দেখলো , জিব্রান ওর দিকেই তাকিয়ে ভ্রু নাচাচ্ছে আর খাটের উপর একটা বিশাল স্যুটকেস । পূর্ণতা বইটা পাশে রেখে স্যুটকেসের দিকে ইশারা করে জিব্রানকে জিজ্ঞেস করলো ,
– এর ভেতর কি আছে ভাইয়া ??
জিব্রান দাঁত কেলিয়ে বলল ,
– তোর জন্য কক্সবাজার থেকে এক স্যুটকেস শুটকি নিয়ে এসেছি ।
পূর্ণতা জিব্রানের কথা শুনেই চেহারা কুচকে বলল ,
– ছি , ইয়াক 🤢 , এটা আমার বিছানার উপর কেন রাখলে , জলদি রান্নাঘরে নিয়ে যাও ।
জিব্রান বলল ,
– কেন !এগুলো রান্না ঘরে রাখতে এনেছি নাকি ?? এগুলো তোর আলমারি তে , ড্রেসিং টেবিলে থাকবে ।
– ছি , গন্ধে তো মরেই যাবো । ভাইয়া প্লিজ , সরাও এগুলো । আমি আম্মুকে এখনি ডাকছি ।
জিব্রান বলল ,
– ডাক , আই ডোন্ট কেয়ার ।
পূর্ণতা মিলি রহমানকে ডাকতে শুরু করলো ,
– আম্মু , আম্মু । দেখো তোমার ছোলে আমার বিছানায় কিসব রেখেছে !!
মিলি রহমান বসার ঘর থেকে উঠে এসে পূর্ণতার রুমে এসে বলল ,
– কি হয়েছে ?
– দেখো , তোমার ছেলে কি এনেছে আমার জন্য ! ( কাদো কাদো ফেস করে )
জিব্রান ভ্রু কুচকে বলল ,
– কি এনেছি ?? তোর প্রিয় চকলেটস আর কিছু অলংকার এনেছি । কি সব আজে বাজে বকছিস তখন থেকে ?? এখন আবার আম্মুকেও ডেকে বিচার দিচ্ছিস !
জিব্রান কথাগুলো এমন ভাবে বলল যেন কিছুক্ষন আগের বলা কথাগুলো সম্বন্ধে ও কিছুই জানে না ।
মিলি রহমান পূর্ণতার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালেন । পূর্ণতা মিলি রহমানের এমন দৃষ্টি দেখে ঠোঁট উল্টে বলল ,
– বিশ্বাস করো আম্মু , ভাইয়া মিথ্যে বলছে । ও এটার ভিতর শুটকি এনেছে । বলে কিনা আমার আলমারি , ড্রেসিং টেবিলে এসব রাখতে ।
জিব্রান বলল ,
– এহহহ !! আমি কখন বললাম এ কথা ?? আম্মু তোমার বিশ্বাস না হলে আমি তোমাকে ব্যাগ খুলে দেখাচ্ছি !
মিলি রহমান বললেন ,
– খোল ।
পূর্ণতা ও আগ্ৰহ নিয়ে তাকালো । জিব্রান স্যুটকেস খুলতেই দেখা গেল , এত্ত এত্ত চকলেটস আর এত্ত এত্ত অলংকার আর কিছু স্যান্ডেলস ও আছে ।
এসব দেখে পূর্ণতার মুখ টা শুকিয়ে গেল ।
জিব্রান দাঁত কেলিয়ে বলল ,
– হুহ , নিজের চোখেই দেখে নাও ।
মিলি রহমান বিষয়টা বুঝতে পেরে বললেন ,
– উফফফফ !! তোরা এখনো সেই বাচ্চাদের মতো পাগলামি করিস !! আমি আর পারি না তোদের নিয়ে । তোদের বাবা তো ফ্রান্সে গিয়ে ই পড়ে থাকে , তোদের এসব কাহিনী আমারই দেখতে হয় !!
এসব বলতে বলতে পূর্ণতার রুম থেকে মিলি রহমান বেরিয়ে গেলেন ।
মিলি রহমান চলে যেতেই , জিব্রান হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খেতে লাগলো । পূর্ণতা গাল ফুলিয়ে ওকে বালিশ দিয়ে মারতে শুরু করলো । জিব্রান ও কম না , সে ও বালিশ হাতে নিয়ে পাল্টা মাইর দিতে শুরু করলো । এই পিলো ফাইট আর থামবে না ।
কিছুক্ষণ পর দুজনেই হরান হয়ে বসে হাসতে লাগলো । হাসতে হাসতে হঠাৎ পূর্ণতা হাসি থামিয়ে দিয়ে বলল ,
– ভাইয়া !! তুই সত্যিই চলে যাবি বাবার কাছে ফ্রান্সে ??
জিব্রান ও হাসি থামিয়ে দিয়ে বলল ,
– না গিয়ে উপায় আছে । বাপ দাদার ব্যবসা তো এখন আমাকেই ধরতে হবে । আমাদের তো আর কাকু নেই যে সে ব্যবসা ধরবে ।
পূর্ণতা বলল ,
– তুমি চলে গেলে আমি আরো একা হয়ে যাবো । তুমি ঠিক ই বলো , আমি ম্যান্দা , আমাকে কেউ কিছু বললে আমি পাল্টা জবাব দিতে জানি না । তুমি চলে গেলে আমাকে কে বাঁচাবে রাস্তা ঘাটে চলতে গেলে ।
– কেন ? নিজেকে রক্ষা করতে শিখবি ! সেল্ফ ডিফেন্স !!
– সেটা কিভাবে সম্ভব ! আমি তো আর মারা মারি জানি না তোমার মতো !
-কেন শিখবি ? কারাতি তে ভর্তি করিয়ে দেব !
-আমার মতো মেয়ে কারাতি শিখবে ?
– তোর চেয়ে বড় বড় মহিলারাও শিখে ! আর তুই তো পুচকি ! কালই ভর্তি করিয়ে দেব !! এখন এসব বাদ দে !!
– কিন্তু !!
– কোনো কিন্তু না ! এখন স্মাইল কর আর এসব গুছিয়ে রাখ ।
পূর্ণতা ভাইয়ের কথা মতো হেসে তারপর স্যুটকেস থেকে সব বের করে গুছাতে লাগল ।
………………………………………………..
আবরন সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়েছে । আয়মান , ফাহিম আর তাসিনকে বলেছে দেখা করতে ।
আয়মান , ফাহিম আর তাসিন ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় উপস্থিত হয়ে আবরনের জন্য অপেক্ষা করছে ।
ফাহিম বলল ,
– আজকের দিনটা একটা কুফা ছিল ।
– ঠিকই বলেছিস ! ( তাসিন )
আয়মান ভ্রু কুচকে বলল ,
-কেন ? কি হয়েছে ?
ফাহিম সকালের সব কাহিনী বর্ণনা করতেই আয়মান বলল ,
– জল তো আমার কাছে এসে জানতে চেয়েছিল আবরন কোথায় ! আমি তো ওকে বলি নি , তাও কি করে খুঁজে পেল ??
– আরে , ও তো লোহা , আর আবরন চুম্বক , তাইতো যেখানেই থাকুক না কেন এসে লেগে পড়ে !! ( তাসিন )
আয়মান বলল ,
– ও তাহলে ওই মেয়েটাই পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিল যার কাছে আবরন আমাকে দিয়ে মলম পাঠিয়েছিল ।
ফাহিম বলল ,
– সিরিয়াসলি ! আবরন কবে থেকে মেয়েদের ব্যাপারে এতোটা কেয়ার নিতে শুরু করলো । তা নাহয় বুঝলাম , কোনো ছেলে কোনো মেয়ের সাথে বাজে ব্যবহার করলে তাকে ও ছেড়ে দেয় না , কিন্তু এসব ছোট খাটো বিষয়ে তো আগে কখনো এত কেয়ার করতো না । কতই মেয়েই তো কত ভাবে আঘাত পায় , ও কি তাদের গিয়ে মলম এগিয়ে দেয় ??
আয়মান বলল ,
– ধুর , নেগেটিভ চিন্তা করিস না তো ।
এরই মধ্যে আবরন কার নিয়ে হাজির ।
কারের গ্লাস নামিয়ে ওদের বলল ,
– ভিতরে আয় । ঘুরতে যাবো ।
ওরা একে একে গাড়িতে উঠে বসতেই আবরন ড্রাইভ করতে লাগলো ।
আয়মান বলল ,
-কিরে , কোথায় ঘুরতে যাচ্ছি ?
– এই যে কাছেই , ভিক্টোরিয়া পার্কে ( বর্তমানে বাহদুর শাহ পার্ক নামে পরিচিত )
– হঠাৎ !! ( তাসিন )
– এমনি , মন চাইলো । অনেক দিন যাই না ।
……………………………………………….
জিব্রান সন্ধ্যা ৭:৪৫ এর দিকে প্রেনাকে হঠাৎ আসতে বলে নিজে গিয়ে রেডি হয়ে পূর্ণতা কে রেডি হতে বলল ।
পূর্ণতা বলল ,
– এখন আবার কোথায় যাবো ?
– ৭ দিন পর ফিরলাম বাসায় , তাই চল তোদের ফুচকা খাওয়াবো ।
ফুচকার নাম শুনে প্রেনা যেমন ফোনে নিষেধ করে নি যে সে আসবে না , ঠিক তেমনি পূর্ণতা ও নাচতে নাচতে রেডি হতে শুরু করলো ।
৮ টা ৩০ এর দিকে জিব্রান , পূর্ণতা আর প্রেনা এসে উপস্থিত হলো ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ।
অন্যদিকে আবরন তার দলবল নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দাড়ালো ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে ……………..
#চলবে ♥️
বিঃদ্রঃ কাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় গল্প দিতে পারি নি । এখন কিছুটা সুস্থতা বোধ করছি । তাই দেড়ি না করে ঝটপট লিখে ফেললাম । সবাই জানাবেন গল্পটা কেমন এগোচ্ছে । আর প্লিজ কেউ “নেক্সট নেক্সট” না করে আমাকে আগ্ৰহী করে তুলতে গঠনমূলক মন্তব্য করুন , তাহলে খুশি হবো । কারন , আমি এই প্রথম গল্প লিখছি । যত সাপোর্ট পাবো , তত এগিয়ে যেতে পারবো । আর ভুল ত্রুটি হলেও অবশ্যই জানাবেন । আমি শুধরে নিতে চেষ্টা করবো । ধন্যবাদ । ❤️