#ভালোবাসার_রঙ ‘১১’
#Jerin_akter_nipa
বিয়ের পর কয়েকটা দিন এভাবেই কেটে গেল। ইহফাজ ভেবে নিয়েছে, রায়া নিজে থেকে নতুন করে কোন বাঁদরামি করলে তবেই ইহফাজও কিছু করবে। তার আগে ও রায়াকে ইচ্ছে করে জ্বালাবে না। ইহফাজ নিয়ম করে অফিসে যাচ্ছে। বাড়িতেও সবাইকে সময় দিচ্ছে। সেদিন রায়াকে নিয়ে শপিংয়ে যাবার কথা ছিল। ইহফাজ ব্যস্ত থাকায় আপুকে আর রায়াকে শপিংমলে ছেড়ে এসেছে। রায়াও ভদ্র মেয়ের মত শ্বশুর শাশুড়ির সব কথা শুনে চলছে। মাঝে মাঝে মন খারাপ হলে বাবা মা’কে গিয়ে দেখে আসছে। বাকি সময়টা নিউজের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। কিন্তু তার মনে মনে কী চলছে এটা শুধু সে-ই জানে। বিয়ের রাতের কথা এখনও ভুলেনি সে। ইহফাজ রাতে ভিজিয়ে দিয়েছিল তাকে। ঠান্ডায় কতক্ষণ কষ্ট করেছে। এর শোধ তো তুলবেই রায়া। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে রায়ার মাথায় অস্থির একটা বুদ্ধি এলো। মনে মনে নাচতে নাচতে সক্কাল সক্কাল একগাদা কাপড় ভিজিয়ে বালতিতে করে ছাদে নিয়ে গিয়ে রেখে আসল। ইহফাজ অফিসে যাবার জন্য রেডি হয়ে খাবার টেবিলে এসেছে। রায়া আগে থেকেই বসে ছিল। ইহফাজ চেয়ার টেনে ওর পাশে বসল। পরোটা ছিড়ে মুখে দিতে দিতে মনে মনে রায়া বলল,
-অফিসে যাবার জন্য জামাই সাজ সেজে এসেছ চাঁদু। ওয়েট করো না। তোমার সাজ ছুটে যাবে। সেই ব্যবস্থা করে রেখেছি আমি।’
ভেতরে ভেতরে হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে রায়া। ইহফাজ আড়চোখে রায়াকে দেখল।
-এর আজ আবার কী হলো? মুখের মধ্যে শয়তানির ছাপ ফুটে উঠেছে। নিশ্চয়ই মনে মনে কোন বাঁদরামি প্ল্যান এটেছে। আমার সাথে লাগতে আসলে গায়ে চামড়া রাখব না। বিয়ের পরদিন থেকে জ্বালাতন শুরু করেছ। নেহাত ভদ্র লোক বলে মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছি।’
খাওয়া শেষ হলে ইহফাজ উঠে পড়ল।
-মা আমি যাচ্ছি।’
-ইফু শোন, আজ একটু তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস বাবা। ইভার শাশুড়ি অসুস্থ। আমি আর তোর বাবা উনাকে দেখতে যাব। রায়া একা বাড়িতে থাকবে। আজ অত দেরি করিস না। একা বাড়িতে ভয় পাবে মেয়েটা।’
-হুম।’
মুখে হুম বললেও মনে মনে বলল,
-আজ তো বারোটার আগে বাড়ি ফিরছি না আমি। ভূত প্রেত আসলেও এই মেয়ে একা থাকলে ভয় পাবে না। বরং ভূতকে ভয় দেখিয়ে জ্বর আনিয়ে ফেলবে।’
ইহফাজ বেরিয়ে যেতেই রায়া দৌঁড়ে এসে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে উঁকি দিয়ে দেখল। পায়ের শব্দ হচ্ছে। নেমে যাচ্ছে বদটা।
-এই বদ তিনতলা থেকে নামতে নামতে আমি ছাদে যেতে পারব তো? যা জিরাফের মত লম্বা পা। এক ধাপে পাঁচ সিঁড়ি পেরিয়ে যাবে।’
আর দেরি না করে রায়া ছাদের দিকে ছুটে গেল। ছাদে পানি ভর্তি বালতির কাছে এসে বুকে হাত রেখে হাঁপাতে লাগল।
-আহ। এসে গেছি। বদের হাড্ডি চলে গেল নাকি? ‘
উঁকি দিয়ে রাস্তার দিকে দেখল। না, যায়নি। বালতি হাতে নিয়ে ঠিক সময়টার জন্য দাঁড়িয়ে রইল রায়া। ইহফাজ বের হয়ে রাস্তায় নামার সাথে সাথেই বালতি কাত করে দিল। ঝপাৎ করে এক বালতি পানি ইহফাজের মাথায় গিয়ে পড়ল। রায়ার ওড়নাটা ওর মাথার উপর এমন ভাবে পড়ল যেন নতুন বউ ঘোমটা দিয়েছে। ওড়নার ভেতর দিয়েই ইহফাজ উপরের দিকে তাকাল। ইহফাজ দেখার আগেই রায়া সরে গেছে। রায়াকে না দেখলেও ইহফাজ জানে এটা কার কাজ। কাকে দিয়ে এই কাজ হবে।
ডান হাতে অফিসের ফাইলপত্রের ব্যাগ। বাঁ হাতে মুখের উপর থেকে ওড়না সরিয়ে এনে কিড়মিড় করে উচ্চারণ করল।
-রায়া! আমি তোমাকে ছাড়ব না। আমার সাথে বাঁদরামির ফল মোটেও ভালো হবে না।’
এই অবস্থায় ভেজা কাপড়ে অফিসে যাওয়া সম্ভব নয়। ফ্ল্যাটে ফিরে এল ইহফাজ। রায়া আগেই এসে শাশুড়িকে হাত করে রেখেছে। দরজার সামনে ইহফাজের ডাক শুনে মায়ের পেছনে গিয়ে দাঁড়াল রায়া। ইহফাজ চেঁচাচ্ছে।
-রায়া! রায়া! বেরিয়ে এসো। এই মেয়ে বেরিয়ে এসো বলছি।’
ইহফাজের গলায় সত্যিকারের রাগের আভাস পেল রায়া। এই রাগ যে সে রাগ না। সামনে পেলে তাকে এক আছাড় মেরে ভর্তা করে দিতে দ্বিধা করবে না লোকটা। রায়া শাশুড়ির শাড়ির আঁচল ধরে বিরত করে বলল,
-মা আমি ইচ্ছে করে কিছু করিনি। সত্যি বলছি।’
রায়াকে এতো ভয় পেতে দেখে মা তাকে সাহস দিলেন।
-আমি জানি মা। তুমি ইচ্ছে করে কিছু করোনি। ইফুটা তো শুধু শুধু রাগারাগি করে।এটা ওর অভ্যাস হয়ে গেছে। ভয় পেয়ো না তুমি।’
ইহফাজ এখনও গলা ফাটিয়ে ডাকছে।
-এই মেয়ে বেরিয়ে এলে তুমি? নাকি আমি ঘাড় ধরে বের করে আনব।’
মা ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে বললেন,
-ষাঁড়ের মত চেঁচাচ্ছিস কেন তুই? কী হয়েছে?’
-কী হয়েছে! আমাকে জিজ্ঞেস করছো তুমি কী হয়েছে! তোমার আদরের বৌমাকে জিজ্ঞেস করো আমার কী হয়েছে? একটু আগে কি ঘটিয়ে এসে এখন তোমার পেছনে লুকিয়ে আছে।’
-ও ইচ্ছে করে কিছু করেনি। ভুল করে হাত থেকে বালতি ফসকে পড়ে গেছে। এতে তুই এত চেচাঁমেচি করছিস কেন? দেখ তো মেয়েটা কত ভয় পেয়েছে।’
অবাক হবার ভাব করল ইহফাজ।
-হাহ্! ভয় পেয়েছে! কে ভয় পেয়েছে মা? ইশশ রে তোমার আদরের বৌমা আমাকে ভয় পেয়েছে।’
-তা নয়তো কি? তুই মেয়েটাকে এভাবে ধমকালে ওর তো ভয় পাওয়াই স্বাভাবিক। আমি বলছি, কিছু বলিস না ওকে। মনে থাকে যেন ইফু।’
মনে মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিল রায়া। বলতে লাগল।
-হায়! কত ভালো শাশুড়ি আমার। শাশুড়ি মা আপনাকে চুমো খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই যাত্রায় আপনার জন্য বেঁচে গেলাম। নইলে এতক্ষণে আপনার বদ ছেলের হাতে আমার ইন্নালিল্লাহ হয়ে যেত।’
ইহফাজ রায়ার দিকে তাকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
-না। না। কিছুই করবো না। একদম কিছু বলব না। ভুল হয়েছে তাই না? আচ্ছা ঠিক আছে। কোলে তুলে দু’তিনটা চুমো খাব শুধু।’
রায়া মা’র পেছন পেছন যেতে লাগল। বেঁচে গিয়েছে বলে হাসল একটু। যখন দেখল ইহফাজ তাকে দেখছে আবার সাথে সাথে হাসি মুছে গেল। ভ্রু নাচিয়ে ইহফাজ নিজে নিজে বলতে লাগল,
-খুব হাসি পাচ্ছে! ভেবেছ আমাকে জব্দ করতে পেরেছ। হাসো, হাসো। আমিও দেখব তোমার এই হাসি কতক্ষণ থাকে।’
একটু পরেই বাবা বাড়িতে এলে মা আপুদের বাসায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে যান। যাবার আগে রায়াকে বলে যান।
-ইফু তো আজ বাড়িতেই আছে। আর ভয় নেই তোমার।’
রায়া মনে মনে বলল,
-বাড়িতে আছে এটাই তো ভয়, মা। আল্লাহ জানে আমাকে একা পেয়ে আপনার ছেলে কেমন প্রতিশোধ তুলবে। একটু আগে যা করেছি তার কোন ক্ষমা নেই। আপনার ছেলে তো মরে গেলেও ক্ষমা করবে না।’
-রান্না করে রেখে গেছি। দুপুরে দু’জনে খেয়ে নিও। রাতে আমরা চলে আসব। আর আসতে না পারলে ফোন করে বলে দিব।’
-হুম।’ করুণ মুখ করে রায়া বলল,
-চলে আসবেন মা। থাকতে হবে না। একা একা আমার ভালো লাগবে না।’
মা হাসলেন। বললেন,
-দূর পাগলী! একা একা ভালো না লাগলে তোমার মা’র কাছে চলে যাব। আমি ইফুকে বলে যাব। আজ নাহয় তোমাদের ওখানে থাকবে।’
এই কথা শুনে রায়া খুশি হয়ে উঠল। যাক, বদটার সাথে একা একা থাকতে হবে না। মায়ের ওখানে থাকলে ইহফাজ কিছু করতে পারবে না। বেঁচে যাবে রায়া। রায়ার তো ভয়ে এতক্ষণ দম বন্ধ হয়ে ছিল।
-আচ্ছা।’
মা বাবা চলে গেছে। ইহফাজ বাড়িতে নেই। দুপুরে গোসল করে রুমে এসে আয়নার সামনে দাঁড়াল রায়া। মাথা থেকে তোয়ালে খুলে চুল মুছছিল। এমন সময় ইহফাজ ঘরে ঢুকে। ওকে দেখেই রায়ার গলা শুকাতে শুরু করে দিয়েছে। ইহফাজ সোজা এসে রায়ার পেছনে দাঁড়াল। ঘুরে দাঁড়াতে গেলে ইহফাজের সাথে ধাক্কা খেল রায়া। শান্ত কন্ঠে ইহফাজ বলল,
-তোমাকে না করেছিলাম আমার সাথে লাগতে এসো না।’
ভয়ে ভয়ে রায়া কিছু বলার চেষ্টা করেও পারল না। মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।
-আমি জানি সকালে যা করেছ তা তুমি ইচ্ছে করেই করেছ।’
-ইচ্ছে করে করিনি, বিশ্বাস করুন। হাত ফসকে…
-তুমি আমার মা’কে বোকা বানাতে পারো। কিন্তু আমাকে না। আচ্ছা ধরে নিলাম তুমি ইচ্ছে করে করোনি৷ ছাদে তুমি কাপড় শুকাতে গিয়েছিলে। তাহলে তো বালতিতে শুধু ভেজা কাপড় থাকার কথা ছিল। শুধু শুধু এক বালতি পানি বয়ে ছাদে গেলে কেন তুমি? গেলেই বা, বালতি নিচে রেখেই তো কাপড় ধুতে পারতে৷ তুমি পানি ভর্তি বালতি ছাদের রেলিংয়ের উপর তুললে কেন? আর আমি বের হবার সাথে সাথেই বালতিটা তোমার হাত ফসকে পড়ে গেল! আজব, না?’
রায়া মনে মনে ভাবল,
-এইরে, এই ছেলে অত গভীরে গিয়ে ভাববে এটা কে জানত? ব্যাটা আমার পুরো প্ল্যান ধরে নিয়েছে। এখন তো আমাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়া বাকি আছে।’
ইহফাজ রায়ার ডান হাত ধরে বলল,
-বলেছিলাম পানি ঢালাঢালি তুমি শুরু করেছ। ওটার শেষ আমিই করব। এখন দেখো এর জন্য তোমার কী শাস্তি হয়।’
শাস্তির কথা শুনে রায়া পুরো চুপসে গেছে। তোতলাতে তোতলাতে বলল,
-শা… শাস্তি! কী করবেন আপনি আমার সাথে? মারবেন নাকি? ‘
-দেখতেই পারবে কী করি। আমাকে পানিতে ভিজিয়েছিলে। এবার তোমাকে…
কথা শেষ না করে ইহফাজ রায়াকে কোলে তুলে নিল। হঠাৎ এমন কাণ্ডে চোখের সামনে অন্ধকার দেখছে রায়া। যখন বুঝলো এই ছেলে যা খুশি করতে পারে, তখন হাত পা ছুড়তে লাগল।
-প্লিজ আমাকে মারবেন না। ছাদ থেকে ফেলে দিলে আমি সত্যিই মরে যাব।’
ইহফাজ এই পাগলের কোন কথায় কান দিচ্ছে না। রায়াকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ওকে নামিয়ে দিল। শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে রায়াকে ধাক্কা দিয়ে পানির নিচে দাঁড় করিয়ে দিল। কিছুই বুঝতে পারছে না রায়া। এই লোক তাকে আবার কেন গোসল করাচ্ছে?
-আমি তো একটু আগেই গোসল করেছি। আপনি আবার কেন আমাকে গোসল করাচ্ছেন? ‘
-গোসল করাচ্ছি না। এটাই তোমার শাস্তি। দেখি কতক্ষণ পানির নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে পারো। ভাগ্য ভালো আশেপাশে পুকুর নেই। নইলে তোমাকে পুকুর থেকে চুবিয়ে আনতাম।’
রায়ার ডান হাত এখনও শক্ত করে ধরে রেখেছে ইহফাজ। নিজে ভিজছে না। কিন্তু রায়াকে পানির নিচে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। রায়ার সামনের দেয়ালে বাঁ হাতে এমন ভাবে আটকে রেখেছে যেন রায়া যেতে না পারে। রায়া ভাবল,
-পাগলের কাণ্ড। মাথা খারাপ লোকের শাস্তি এমন উদ্ভটই হবে।’
রায়ার কী? সে তো সারাদিন ভিজতে পারবে।
ইহফাজ নির্বিকার দাঁড়িয়ে রায়াকে দেখছে। মেয়েটা অন্য গ্রহের প্রাণী নাকি? মনে ডর ভয় কিচ্ছু নেই? কত আনন্দ করে ভিজছে। চোখ ঘুরিয়ে এদিক ওদিক দেখছে। সামনে আসা চুল পেছনে সরিয়ে দিচ্ছে। বাঁ হাতে পানি নিয়ে খেলছে। ডান হাত ছাড়াবার একটুও চেষ্টা করছে না। দেখতে দেখতে ঘন্টা দুই পার হয়ে গেল। এবার রায়ার একটু একটু শীত লাগছে। শীত না, আসলে মাথা ব্যথা শুরু হয়েছে। বেশিক্ষণ ভিজলে ওর এমন হয়। এবার রায়া মুখ খুলল,
-হাতটা ছাড়বেন? ‘
ইহফাজ পরিষ্কার উত্তর দিল।
-না।’
-শাস্তি কি এখনও শেষ হয়নি?’
ইহফাজ টিটকারি মেরে বলল,
-কেন? ভিজতে ভালো লাগছে না?’
-এতক্ষণ ভালো লাগছিল। এখন মাথা ব্যথা করছে। এবার উঠতে দিন প্লিজ। নইলে আমার জ্বর এসে যাবে।’
-আসুক।’
-তখন আপনাকেই সেবা যত্ন করতে হবে।’
-দেখা যাবে।’
আরও ত্রিশ মিনিট কেটে গেল। মাথায় অসহ্য যন্ত্রনা হচ্ছে রায়ার। দুই শিরা ফেটে পড়তে চাইছে। চোখেও যেন কেমন ঝাপসা দেখছে। সরে যেতে চাইল রায়া। ইহফাজ ধাক্কা দিয়ে আবার পানির নিচে নিয়ে এলো।
-যেতে দিন প্লিজ।’
এবার ইহফাজ লক্ষ করল৷ মেয়েটার কথা কেমন অস্পষ্ট। যেন গলায় জোর নেই। ঠোঁট নীলচে হয়ে গেছে। দুই ঠোঁট হালকা কাঁপছে। চোখ আধবোজা।
মরে টরে যাবে নাকি? ইহফাজ কিছু বলার বা করার আগেই রায়া ঢলে তার বুকের উপর পড়ে গেল। ব্যস্ত হয়ে রায়াকে ধরে ফেলল সে।
-এই মেয়ে, কী হয়েছে তোমার? রায়া! এই রায়া!’
জ্ঞান হারিয়েছে। ইহফাজ ওকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে এলো৷ ভেজা কাপড়েই বিছানায় শুইয়ে দিল। রায়ার অবস্থা দেখে মনে মনে নিজেকে ধমকাচ্ছে।
-একটু বেশিই করে ফেলেছিস ইহফাজ। এখন ওর কিছু হয়ে গেলে সবার কাছে কী জবাব দিবি তুই? নিজের কাছেই বা মুখ দেখাবি কী করে? ও নাহয় পাগল, তাই বলে তোরও ওর সাথে পাগল হতে হলো?’
পরমুহূর্তে আবার নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে।
-আমি জানতাম নাকি এমন কিছু হয়ে যাবে। মেয়েটা জ্ঞান হারাবে এটা কে জানত? কিছু হবে না ওর। সব ঠিক হয়ে যাবে।’
চলবে….
গল্প তো আপনাদের জন্যই লিখি। এখন আপনারা গল্প পড়েও কমেন্ট না করলে কীভাবে হবে? নাইস,নেক্সট না লিখে গঠনমূলক মন্তব্য করবেন।