#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়
#Sohani_Simu
পর্ব:৫২
নির্ভীক ভাইয়া সবাইকে ট্রিট দিতে একটা রেস্টুরেন্টে গেলেন।খাওয়া শেষ করেই উনি আমাকে নিয়ে বাসায় আসলেন।বাসায় এসে দেখি টোয়া আপু আর খালা দুপুরের খাবার খাচ্ছে।টোয়া আপুকে দেখেই নির্ভীক ভাইয়া রেগে গিয়ে বললেন,
নির্ভীক:তুই এখানে?(ভ্রু কুচকে)
টোয়া:হুম।(ভাব নিয়ে)
নির্ভীক:কেন এসেছিস?(ডাইনিং এর দিকে এগিয়ে গিয়ে)
টোয়া:আমি একা আসিনি,আম্মু আর তরীও এসেছে।বড় আম্মু আমাদের ইনভাইট করেছে,রাতে বাবাও আসবে।আজকে আমরা এখানেই থাকবো।(খেতে খতে)
উনি কিছু না বলে রাগী মুখ করে আমার হাত ধরে উপরে আসলেন।উপরে এসে ছাদের সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুই ডগি সিঁড়িতে বসে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।উনি আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে ফিসফিস করে বললেন, নির্ভীক:ডাকবো নাকি ওদের?
আমি:ডাকুন,ওরা আমার কাছে আসলেই আমি বাসায় চলে যাবো আর এখানে আসবোনা।(মুচকি হেসে)
আমার কথা শুনে উনি জোড়ে জোড়ে হেসে বললেন,
নির্ভীক:তুমি ওই বাসায় চলে যাবা আর আমি তোমাকে যেতে দিবো?ভেরি ফানি।
সঙ্গে সঙ্গে কুকুর দুটো মাথা তুলে আমাদের দিকে তাকালো।আমি রেগে বললাম,
আমি:আপনার জন্য ওদের ঘুম নষ্ট হলো,খারাপ লোক একটা!
নির্ভীক:আমি খারাপ লোক?দাঁড়াও,হেই টাইগার কাম হেয়ার।(কুকুরের দিকে ইশারা করে)
আমি এক দৌড়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলাম
উফ্ লোকটা সত্যি অনেক খারাপ আর একটু হলেই ডগিটা আমার কাছে চলে আসতো।ব্যাগ সোফায় রেখে টেবিলের উপর থেকে পানির গ্লাস নিয়ে ঢাকনা সরিয়ে ঢক ঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলাম।সোফায় বসে ভাবলাম আজকে তরীর সাথে অনেক মজা করা যাবে,মেয়েটাকে আমার খুব ভাল লাগে।ব্যাগ থেকে ফোন নিয়ে ফ্রেন্ডদের নক দিলাম।অনেকেই অনলাইনে আছে,তাই ওদের সাথে চ্যাটিং শুরু করলাম কিন্তু মাথাটা কেমন ঝিম ধরছে,ঘুমও পাচ্ছে তাই বেডে গিয়ে শুয়ে পরলাম আর সাথে সাথেই ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুমানোর কিছুক্ষণ পরই দরজা ধাক্কা ধাক্কির শব্দ পেয়ে চোখ খুললাম।দরজার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে দেখি দরজা এখনই ভেঙ্গে যাবে এমন অবস্থা। নির্ভীক ভাইয়ার আওয়াজও পেলাম,
নির্ভীক:অন্ত,আমি কিন্তু এবার রেগে যাচ্ছি দরজা খোল নাহলে এখনই দরজা ভেঙ্গে ফেলবো টাইগার নেই,আমি একা এসেছি ভয় দেখাবো না খোল বলছি!!(একদমে)
আমার মাথায় এখন ডগিদের চিন্তা নেই।আমি এখন শান্তিতে ঘুমোতে চাই কিন্তু এই নির্ভীক ভাইয়া এত চেঁচামেচি করছে জন্য ঘুৃম ভেঙ্গে যাচ্ছে তাই আমি ধীরে ধীরে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলাম আর তখনই নির্ভীক ভাইয়াও মনে হয় দরজায় ধাক্কা দিয়েছেন।আমি জোড়ে দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে ফ্লোরে পরে গেলাম।বিরক্ত হয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি দুটো নির্ভীক ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছেন আর ব্যস্ত হয়ে বলছেন,
নির্ভীক:অন্ত?কোথাও লাগেনি তো তোমার?এত বোকার মত কাজ কর কেন তুমি?কখন থেকে ডাকছি,ফোন করছি কোন কথা বলছিলে না। আমি কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।কি করছিলে তুমি?দেখি কোথায় লেগেছে?
আমি ভ্রু কুচকে উনাকে ঠিক করে দেখার চেষ্টা করছি কিন্তু উনাকে দুটোই দেখতে পাচ্ছি।এই দিকে আমার হাইপোথ্যালামাস আমাকে ঘুমানোর জন্য তাড়া দিচ্ছে।উনি আমাকে টেনে তুলছেন কিন্তু আমার উঠতে ইচ্ছে করছে না। মন চাইছে ফ্লোরেই ঘুমিয়ে পরি।উনি আমাকে বেডে বসিয়ে দিতেই আমি হাত পা মেলে বালিশ ছাড়ায় শুয়ে পরলাম।আহ্ এখন শান্তি মতো ঘুমোনো যাবে।চোখ বন্ধ করতেই আমার গালে ছোট ছোট ব্যাথাহীন থাপ্পড় পরতে লাগলো।আমি বিরক্ত হয়ে নির্ভীক ভাইয়ার হাত ধরলাম যাতে উনি আর বিরক্ত করতে না পারেন কিন্ত উনি চেঁচামেচি করছেন তাই উনাকে বললাম,
আমি:উফ্ থামুন তো,এত চিৎকার করছেন কেন?ঘুম পাচ্ছে আমার,ডোন্ট ডিস্টার্ব।(চোখ বন্ধ রেখে)
উনি আমার কথা শুনলেন না।কন্টিনুয়াসলি আমাকে বিরক্ত করলেন,আমিও উনার কোন কথায় সাড়া না দিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।
ঘুম ভাঙলে তাকিয়ে দেখি আমি উপুর হয়ে শুয়ে আছি।ধীরে ধীরে একপাশ ফিরে শুলাম।হাত ব্যাথা করছে পাও কেমন লেগে গিয়েছে তাই অন্যপাশ ফিরে শুলাম।সামনে তাকিয়ে দেখি নির্ভীক ভাইয়া সোফায় বসে পায়ের উপর পা তুলে ফোন টিপছেন।উনার মুখ কেমন শুকিয়ে আছে।উনাকে দেখেই আমি উঠে বসলাম।আমাকে উঠতে দেখেই উনি ব্যস্ত হয়ে আমার কাছে এগিয়ে আসতে আসতে বললেন,
নির্ভীক:উঠেছো?এখন কেমন লাগছে তোমার?
আমি:ভাল কিন্তু এখনও সন্ধ্যা হয়নি?(ভ্রু কুচকে আশেপাশে তাকিয়ে)
নির্ভীক:এখন সকাল আটটা বাজে।একটা বিকেল একটা সন্ধ্যা,একটা রাত এই দিয়ে মোট আঠারো ঘন্টা ঘুমিয়েছো তুমি।(আমার হাত ধরে)
আমি:আহ্।
নির্ভীক:কি হল?ব্যাথা পেয়েছো?লাগছে এখানে?(আমার হাত ধরে)
আমি:হুম একটু একটু।
আমার কথা শুনে উনি ড্রয়ার থেকে একটা স্প্রে নিয়ে এসে আমার পাশে বসে হাতে স্প্রে করে দিয়ে বললেন,
নির্ভীক:এখানে মনে হয় কাল দরজা লেগেছে। আর কোথাও ব্যাথা করছে?
আমি:না কিন্তু আমি এত ঘুমালাম কেন?(ভ্রু কুচকে)
নির্ভীক:কাল রুমে এসে তুমি যেই পানি খেয়েছিলে টোয়া ওটাতে স্লিপিং পিল দিয়ে রেখেছিল।এসবের জন্যই ওর সাথে আমার খারাপ ব্যবহার করতে হয়।(রেগে)
আমি:কি বলছেন?আপু কেন এসব করবে?(অবাক হয়ে
নির্ভীক:ওর কাজই এসব করা।আমার বউকে মেডিসিন দেওয়া না?আমিও ওকে মেডিসিন দিয়েছি।এখন ঘুমোক দু চারদিন।(আমাকে জড়িয়ে ধরে)
আমি:কি?আপনিও মেডিসিন দিয়েছেন?(অবাক হয়ে)
নির্ভীক:আস্তে।বলো না কিন্তু কাউকে।(লো ভয়েসে)
আমি:আপনার তো দেখছি সত্যি মাথা খারাপ আছে।(উনার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে)
নির্ভীক:এত দিনে বুঝলা আমার মাথা খারাপ আছে?যাইহোক, চলো তো ফ্রেশ হও ক্ষুধা পেয়েছে আমার,
কাল থেকে শুধু কয়েকটা কিস খেয়ে আছি আর তুমি তো একদমই না খেয়ে আছো।একবার উঠেছিলে কত করে খেতে বললাম খেলেনা শুধু ড্রেস চেন্জ করে শুয়ে পরলা।(ড্রয়ারে স্প্রে রাখতে রাখতে)
উনার কথা শুনে আমি ড্রেসের দিকে তাকালাম।কালো প্লাজো আর সাদা শার্ট পরে আছি।এই শার্ট আবার কবে কিনলাম।এত ঢলঢলে কেন?আমি কি আরও বেশি চিকন হয়ে গেলাম নাকি।শার্টে এতগুলো বোতাম দেখেই আমি চমকে গিয়ে বললাম,
আমি:এটা কার?আমি এটা কখন পরলাম ?(চিল্লিয়ে)
নির্ভীক:ওটা আমার আর রাতে ভুল করে পরেছো,ইটস্ ওকে।ঘুমের মধ্যে কি করেছো কিছুই মনে নেই দেখছি তোমার।(মুচকি হেসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে)
উনার কথা শুনে আমি এক দৌঁড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।কি যে করেছি রাতে কিছুই তো মনে পরছেনা আর এই ড্রেস কি আমি চেইন্জ করেছি নাকি উনি মিথ্যা বলছেন।উনি আমাকে কখনও মিথ্যা বলেন না।উনি আমার ঘুমানোর সুযোগ নিয়ে কিছু করবেন না, আই নো।আত্মবিশ্বাসের সাথে এসব চিন্তা করতে করতে ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে আসলাম।
বিকেলে তরীর সাথে ছাদে বসে পেয়ারা খাচ্ছিলাম তখনই পেছন থেকে কেউ ভাও বলে চিল্লিয়ে উঠলো আর আমার হাত থেকে পেয়ারা পরে গেল।আমি রেগে পেছনে তাকিয়ে অবাক।
আমি:তুই এখানে?দুদিন পর না তোর বিয়ে?
ইচ্ছে:বিয়ে দুমাস পিছিয়ে গেছে। কাল রাতে এসেছি,
রাতেই তোকে ফোন করেছিলাম কিন্তু নির্ভীক ভাইয়া বললেন তুই ঘুমোচ্ছিস তাই তোর সাথে কথা হলো না।(হাসিখুশি মুখে)
আমি:ওয়াও,বিয়ে ক্যান্সেল হলে আরও বেশি খুশি হতাম।(আনন্দিত হয়ে)
ইচ্ছে:না না ক্যান্সেল হওয়ার দরকার নেই,ছোকরা টা ভালই আছে।খুবই নম্র ভদ্র ছেলে। (মুচকি হেসে)
আমি:কি বলছিস?প্রান্ত ভাইয়াকে এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলি?এই তোর ভালোবাসা?(রেগে)
ইচ্ছে:উফ্ বদ মহিলা চুপ যা(রেগে আমার দিকে তাকিয়ে)।….এই তরী,কেমন আছো আপু?(তরীর দিকে তাকিয়ে)
তরী:ভাল তুমি?(মিষ্টি হেসে)
ইচ্ছে:আমি তো অনেক ভাল আছি।চলো আইসক্রিম খাবো,অন্ত তুই ও চল।ভাইয়া নিচে ওয়েট করছে।(আমার আর তরীর হাত ধরে)
আমি:যাবোনা তোরা যা।(হাত ছাড়িয়ে নিয়ে)
ইচ্ছে:আরে চল নির্ভীক ভাইয়াও আছেন।(আবার আমার হাত ধরে)
আমরা রেডি হয়ে নিচে এসে দেখি আরাফ ভাইয়া আর উনি গাড়িতে ওয়েট করছেন।আমরা গিয়ে গাড়ির পেছন সিটে বসলাম।লুকিং গ্লাসের দিকে চোখ যেতেই আরাফ ভাইয়ার চোখ দেখতে পেলাম,আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।আমি গ্লাসের দিকে তাকিয়েই বললাম,
আমি:কেমন আছো ভাইয়া?(মুচকি হেসে)
আরাফ:এই তো যাচ্ছে।(অন্যদিকে তাকিয়ে)
নির্ভীক:প্রান্ত?জিরো পয়েন্টে দাঁড়া।আমরা আসছি। (ফোন কানে ধরে)
নির্ভীক ভাইয়ার কথা শুনে আমি ইচ্ছের দিকে তাকালাম ভেবেছিলাম ও মন খারাপ করবে কিন্তু না এর মধ্যে কোন রিয়েকশন নেই।আমি এবার নির্ভীক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,
আমি:আমরা কোথায় যাচ্ছি?
নির্ভীক:নদীর পাড়ে।
বিকেলে নদীর পাড়ে বসে থেকে আইসক্রিম খাচ্ছি একটু দূরেই নির্ভীক ভাইয়া,প্রান্ত ভাইয়া আর আরাফ ভাইয়া ঘাসের উপর বসে গল্প করছে।আমরাও গল্পের পসরা নিয়ে বসেছি।সন্ধ্যা শুরু হতেই আরাফ ভাইয়া বলল,
আরাফ:এখন তাহলে বাসায় ফেরা যাক?(সবার দিকে তাকিয়ে)
আমি:এখনি?ওইদিকে কাশফুল আছে ওখানে তো যাওয়ায় হলো না।(নির্ভীক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে)
নির্ভীক:এখন ওসব ঝোপঝাড়ের মধ্যে যাওয়া যাবেনা,সাপ থাকতে পারে।অন্য একদিন নিয়ে আসবো(আমার দিকে তাকিয়ে)।চলো তোমরা গাড়িতে উঠো।(ইচ্ছে আর তরীর দিকে তাকিয়ে)
আমি:তাহলে পানিতে একটু পা ভিজিয়ে আসি?(নির্ভীক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে)
নির্ভীক:না,পানির ধারের কাছেও যাবানা।(হালকা রেগে)
কিন্তু আমি ততক্ষণে জুতো খুলে ফেলেছি।পানির দিকে দৌঁড় দিবো তখনই উনি আমার হাত ধরে বললেন,
নির্ভীক:দাঁড়াও, আমার সাথে যাবা।
বলেই উনি জুতো খুলতে লাগলেন।জুতো খুলে প্যান্ট একটু ফোল্ড করে আমাকে নিয়ে পানিতে আসলেন।উনি আমার দুই হাত শক্ত করে ধরে আছেন।পানিতে দাঁড়িয়ে খুব ভাল লাগছে তাই আনন্দিত হয়ে ইচ্ছেকেও আসার জন্য ডাকলাম কিন্তু ওদের দিকে তাকিয়ে দেখি ওরা গাড়িতে বসে আছে, প্রান্ত ভাইয়া দাঁড়িয়ে থেকে ফোন টিপছেন আর আরাফ ভাইয়া গাড়িতে হেলান দিয়ে বুকে হাত গুজে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।দেখে তো মনে হচ্ছে রেগে নেই মন খারাপ করেও নেই,খুশিই আছে।এখানে আসার পর থেকে আরাফ ভাইয়াকে হাসিখুশিই দেখাচ্ছে।নির্ভীক ভাইয়া বলেছেন আরাফ ভাইয়াকে ভাল রাখার দায়িত্ব উনার।উনি কি সত্যি আরাফ ভাইয়াকে ভাল রাখতে পারবেন?আমি চাই সবাই ভাল থাকুক,আরাফ ভাইয়া মুভ অন করুক।
নির্ভীক ভাইয়া আর প্রান্ত ভাইয়া আমাদের গাড়িতে তুলে দিয়ে চলে গেলেন।আমার খুব রাগ হলো।উনি আমাকে আরাফ ভাইয়ার সাথে একা ছেড়ে গেলেন তাও এই সন্ধ্যায়?উনি কি আরাফ ভাইয়াকে চিনেন না।পুরো রাস্তা আমি মুখ ফুলিয়ে থাকলাম।আরাফ ভাইয়া আমাকে আর তরীকে বাসায় নামিয়ে দিল।ভেতরে যাওয়ার আগে আরাফ ভাইয়া গাড়ি থেকে নেমে মোটামুটি দূরুত্ব রেখে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বলল,”ভালোবাসি জানপাখি”
বলে আর একটুও দেরি না করে চলে গেল।আমিও রাগে ফুসতে ফুসতে ভেতরে আসলাম আর মনে মনে ভাবলাম,নির্ভীক ভাইয়াকে একটা উচিত শিক্ষা দিবো।আমি উনাকে আগেই বলেছি আরাফ ভাইয়ার সামনে যেতে চাইনা তাও উনি আমাকে বার বার আরাফ ভাইয়ার সামনে দাঁড় করাচ্ছেন।আর কথায় বলবোনা উনার সাথে,হুহ্।
চলবে………