ভালোবাসি তোকে ❤ #লেখিকা: অনিমা কোতয়াল #পর্ব- ৪৯

#ভালোবাসি তোকে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ৪৯
.
ওইসব গায়ে পরা মেয়েদের কাছে ওকে ফেলে রেখে যাওয়া ঠিক হবে তো। এরকম নানারকম উদ্ভট চিন্তাভাবনা করতে করতে এগিয়ে যেতে যেতেই ও পেছন থেকে বলে উঠল,

— ” অনি আর ইউ শিউর আমি এদের সাথে সাঁতার কাটবো? দেখো ওরা কিন্তু আমায় ডাকছে।”

এটা শুনে সাথেসাথে থেমে গেলাম আমি। পেছন ঘুরে চোখ মুখ কুচকে রেগে উল্টোঘুরে হনহনে পায়ে এগিয়ে যেতে যেতে বললাম,

— ” খবরদার আদ্রিয়ান। একদম ওদিকে যাবেনা তাড়াতাড়ি উঠে এসো বলছি।”

আদ্রিয়ান টিশার্ট টা খুলে ভেজা চুলগুলো ঝাড়া দিয়ে জল ঝড়াতে ঝড়াতে জোরে বলল,

— ” বাহরে তুমিই তো বললে যে ওদের সাথে এনজয় করতে, মিনিটে মিনিটে রঙ বদলাও কীকরে?”

আমি মুখ ফুলিয়ে রাগী কন্ঠে চেঁচিয়ে বললাম,

— ” আদ্রিয়ান উঠে এসো বলছি।”

— ” আচ্ছা বাবা আসছি।”

বলে উঠে আসতে নিলেই ওই ফরেইনার তিনজন মেয়ে ওকে ঘিরে ধরল। কী বলছে শুনতে পারছিনা তবে একটা ফোন হাতে নিয়েছে, নিশ্চয়ই সেলফি তুলবে? আদ্রিয়ান আমার দিকে তাকালো আমি চোখ কটমট করে তাকালাম ওর দিকে ও কোনোরকমে একটা মেকী হাসি দিয়ে মেয়েগুলোকে সামলে নিলো সরিয়ে একটু এগিয়ে এলো। আরে বাহ মেয়ে সামলানোর ট্রেনিং ও খুব ভালো করে নেওয়া আছে দেখছি। একবার ফিরি হোটেলে দেখাচ্ছি হুহ। ও পারে দিকে এসে বলল,

— ” আনি হাত দাও উঠবো।”

আমি হাত ভাজ করে মুখ ঘুরিয়ে বললাম,

— ” আমি পারবোনা, নিজে উঠে নাও।”

— ” ওকে ফাইন। তাহলে আমি আবার ওদের কাছেই যাচ্ছি।”

আমি তাড়াতাড়ি আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে বললাম,

— ” দেখো ভালো হবেনা কিন্তু।”

ও হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

— ” তাহলে তোলো।”

আমি আর উপায় না পেয়ে হাত বাড়িয়ে দিলাম ওর দিকে। ও আমার হাত ধরে সাথে সাথেই জোরে টান দিলো আর সোজা পানিতে গিয়ে পরলাম। ভয় পেয়ে ওকে জাপটে ধরে আছি আমি। আমি বিরক্তির সাথে অবাক হয়ে বলল,

— ” এটা কী হলো?”

ও মুচকি হেসে বলল,

— ” শুধু আমি একাই ভিজবো তুমি ভিজবেনা সেটাতো হবেনা জানপাখি।”

আমি ইচ্ছামতো কিল মারলাম ওর বুকে। ও হাসিমুখে নিরবে আমার এই মারগুলো সহ্য করল। জলে কিছুক্ষণ কাটানোর পর আমরা উঠে এলাম ওখান থেকে তবে ওর প্রতি আমার বিরক্তি আর রাগ একচুল পরিমাণও কমেনি। ইফাজ ভাইয়ারা এসে আমাদের এরকম কাকভেজা অবস্হায় দেখে আপি আর ভাইয়া দুজনেই অট্টহাসি দিলো। আমি বিরক্তি নিয়ে আদ্রিয়ানের দিকে তাকালাম। আদ্রিয়ানও ঠোঁট চেপে হাসছে। আপি হাসতে হাসতে বলল,

— ” কী ব্যাপার। তোমরা দুজন ভিজলে কীকরে?”

আদ্রিয়ান মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল,

— ” আর বলোনা বউমনি তোমার এই বোন কী পরিমাণ ক্লামজি তুমি তো জানো। হুট করে পানিতে পরে গেলো আর ওকে তুলতে গিয়ে আমিও পরে গেলাম।”

ইফাজ ভাইয়া বলল,

— ” সিরিয়াসলি ইয়ার তুই পারিসও।”

আদ্রিয়ান চুল ঝাড়তে ঝাড়তে বলল,

— ” সব তোমার বোন প্লাস শালিকে বলো। সব ওর জন্যেই হয়েছে।”

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। কী মিথ্যাবাদী এই ছেলে। না জানি আর কী কী করে বেড়ায় কোথায় কোথায়। ওখানে আর না থেকে আমরা সবাই সোজা হোটেলে চলে গেলাম।

__________________

রাতে রুমের বেডে বসে বসে রাগে ফুসছি আমি। তখন থেকে একটাও কথা বলিনি আদ্রিয়ানের সাথে। প্রচন্ড রেগে আছি ওর ওপর, একটা বদের হাড্ডি এই ছেলে। আদ্রিয়ান একটু বাইরে গেছে, কখন আসবে কে জানে। হঠাৎ দরজা লাগানোর শব্দে তাকিয়ে দেখি আদ্রিয়ান এসছে। আমি বেডে হেলান দিয়ে হাত ভাজ করে মুখ ঘুরিয়ে বসে আছি। ও আমার দিকে একপলক তাকিয়ে মুচকি হেসে ওয়াসরুমে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে একটা টু কোয়ার্টার প্যান্ট আর চিকন স্লিভস এর গেঞ্জি পরে বেড়িয়ে আয়নায় দেখে চুলটা ঠিককরে আমার পাশে হেলান দিয়ে শুয়ে পরল। কিছুক্ষণ আমায় পর্যবেক্ষণ করে বলল,

— ” হুমম। আকাশে আজ মেঘ জমেছে। পরিস্থিতি ভালো নয়। ম্যাডামের হেব্বি রাগ হয়েছে না?”

আমি ভ্রু কুচকে একবার ওর দিকে তাকালাম কিন্তু আমি কিছুই বললাম না। আদ্রিয়ান আবার বলল,

— ” তুমিযে আমাকে নিয়ে এতটা জেলাস সেটাতো আগে জানতাম না? জানলে আর…”

আমি ওকে আর কথা বলতে না দিয়েই বালিশ দিয়ে ওকে হিট করতে করতে বললাম,

— ” জানলে কী হ্যাঁ? জানলে কী? অসহ্য লোক একটা। আমার সামনেই এতো কিছু করে না জানি আমার আড়ালে কী সব করে বেড়ায়। ইউকে থেকে থেকে মেয়েদের সাথে কত ফ্লার্ট করেছে আল্লাহই জানে।”

— ” জ্ জানপাখি থামো। আচ্ছা সরি। আরে সরি বলছি তো ইয়ার। থামো প্লিজ। আরেহ্।”

আমি হয়রান হয়ে বালিশটা নামিয়ে রেখে চুপচাপ শুয়ে পরলাম। একটু পরেই ও আমায় পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,

— ” আরে আমি তখন মজা করছিলাম। আর তাছাড়াও আমি নিজেতো আর ওদের কাছে যাইনি ওরা নিজেরাই এসছিলো। আমি যথাসম্ভব ইগনোর করে সরিয়ে দিয়েছি।”

আমি তবুও কিছুই বললাম না। ও এবার আমাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে আমার ওপর আধশোয়া হয়ে বলল,

— ” কথা বলছোনা কেনো?”

কিন্তু আমি তবুও কোন শব্দ করলাম না। ও আমার ঠোঁটে হালকা করে ঠোঁট ছুইয়ে বলল, ‘কথা বলো’ কিন্তু আমি কিছুই বললাম না। আমি চোখ বন্ধ করে রইলাম কিন্তু কিছু বললাম নাভ ও এবার আমার ঠোঁটে হালকা করে কামড় দিলো। আমি হালকা কেঁপে উঠলাম। ও আমার নাকে নাক ঘষে দিয়ে বলল,

— ” এখনও রেগে আছো?”

আমি কিছু না বলে জড়িয়ে ধরলাম ওকে শক্ত করে। ওর ওপর রেগে কোন কালেই থাকতে পারিনা আমি আর না কখনও পারবো।

_________________

পরেরদিন ঘুরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কানের দুল খুলছি হঠাৎ গলার দিকে তাকিয়ে চমকে গেলাম। আমার গলায় আদ্রিয়ানের দেওয়া লকেটটা নেই। বুক কেঁপে উঠলো আমার। ওটা আমার কাছে কী শুধূ আমিই জানি। আদ্রিয়ান এখনও রুমে আসেনি। আমি গোটা রুম জুড়ে পাগলের মতো খুজলাম, ওয়াসরুমেও খুজলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না। কেঁদেই দিয়েছি আমি। ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সব খুজছি কিন্তু পাচ্ছিনা। আদ্রিয়ানের দেওয়া ভালোবাসার এই উপহার হারিয়ে ফেললাম আমি? কীকরে? এতোটা কেয়ারলেস কীকরে হলাম তাও এই বিষয়ে? আদ্রিয়ানের এসে আমায় এরকম করতে দেখে অবাক হয়ে আমার কাছে এসে বলল,

— ” কী হয়েছে অনি? এরকম করছো কেনো? বলো?”

আমি করুণ চোখে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বললাম,

— ” ল্ লকেট টা সারা রুম খুজেছি পাচ্ছিনা ..”

আদ্রিয়ান আমার গলার দিকে একবার তাকিয়ে এরপর নিজেও একটু খুজলো কিন্তু না পেয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,

— ” হারিয়ে ফেললে ওটা?”

আমি অসহায়ভাবে ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে শব্দ করে কেঁদে দিলাম। ও আমার কাঁধে হাত রেখে বলল,

— ” আরে কাঁদছো কেনো? কিছূ হয়নি।”

— ” আমি তোমার ভালোবাসার যোগ্যই না আদ্রিয়ান। একদম যোগ্য না।”

বলে ওকে ছাড়িয়ে ব্যালকনিতে চলে গেলাম। দূরের দিকে তাকিয়ে নিশব্দে কাঁদছি। কিছুক্ষণ পর গলায় কালো স্পর্শে চমকে উঠলাম। আদ্রিয়ান আমার গলায় সেই লকেটটা পরিয়ে দিচ্ছে। পরানো শেষ হলে আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,

— ” এটা..”

ও মুচকি হেসে বলল,

— ” করিডরে ফেলে এসছিলে। আমি তুলে রেখে দিয়েছি। তুমি আমার ভালোবাসা হেলায় হারিয়ে ফেলে রাখলে কী হবে। আমি ঠিক সেটাকে যত্ন করে তুলে আবার তোমায় মুরিয়ে দেবো। প্রমিস। কিন্তু এতোটাও দূরে ফেলে রেখোনা যেখান থেকে তুলে আনা সম্ভব নয়।”

আমি কিছু না বলে ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলাম। কীকরে এত ভালোবাসে কেউ কাউকে? সেই প্রশ্নের উত্তর আমি আজও পাইনি হয়তো কখনও পাবোও না।

জেনেভার সুন্দর পরিবেশ আর আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্হান ঘুরে দেখে আর আদ্রিয়ানের সাথে নিজের খুব ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে এক সপ্তাহ পর ফিরে এলাম বাংলাদেশে। বাড়ির সবার জন্যে সবার পছন্দের জিনিসপত্র কেনাকাটা করেও নিয়ে এসছি। এরপর আমাদের বাড়ি থেকেই কয়েকদিন ঘুরে এসছিলাম। দেখতে দেখতে আরও একমাস কেটে গেলো। এই একমাসে আমার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হয়েছে। এতো ভালোলাগা, এতো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আদ্রিয়ান আমাকে উপহার দিয়েছে যে আমার নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুখী ব্যাক্তি বলে মনে হয়। আমি যখন পড়তে থাকি তখন নিজের হাতে খাইয়ে দেওয়া, রোজ রাতে চুল বেঁধে দেওয়া, মাঝে মাঝে চুলে তেল দিয়ে দেওয়া, আমার ছোট ছোট বিষয়গুলিকেও খুব যত্ন আর গুরুত্বসহকারে দেখা, আর সবচেয়ে বেশি ইম্পর্টেন্ট আমায় এতো এতো ভালোবাসা। বাবা মামনী, বড় আব্বু, বড় আম্মু, দাদী সবার কথা আর নাই বললাম। একটা মেয়ের আর কী চাওয়ার থাকতে পারে কিন্তু আমার ভয় হয়। কথায় আছে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। আদ্রিয়ানের এই অতিরিক্ত ভালোবাসা আমার সহ্য হবেতো?

মেডিকেল থেকে ক্লাস থেকে বেড়োতে বেড়োতে অরুদের বললাম অনেকদিন হলো ফুচকা খাইনা। আরু, ইসু, ঐশি চারজনেই আমার কথায় সম্মতি প্রকাশ করল। আসলেই অনেকদিন যাবত ফুচকা খাওয়া হয়না। ফুচকার দোকানে গিয়ে ফুচকাওয়ালা মামাকে বললাম,

— ” মামা। চার প্লেট ফুচকা দাও আর টক জলটা জেনো বেশি টক হয়।”

অরুমিতা পিঞ্চ করে বলল,

— ” আরে বাস। একমাস হলো হানিমুন সেরে এলি এখনই এতো টক খাওয়ার ইচ্ছা? গুড নিউস পাবো নাকি?

আমি বিরক্তি নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,

— ” এই সবসময় এত ভাট বকিস নাতো। সেরকম কোনো চান্স এখন নেই।”

ইশু একটু অবাক হয়ে বলল,

— ” আরেহ। তুমি এতোটা সিউর কীকরে?”

আমি দাঁতে দাঁত চেপে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে বললাম,

— ” এখন সেটাও তোদের এক্সপ্লেইন করতে হবে আমার?”

ওরা সাথে সাথেই চুপ হয়ে গেলো। আমিও আর কিছু বললাম না। চারজন মিলে ফুচকা খাচ্ছি হঠাৎ করেই পেছন থেকে কেউ ডাকল। আমি ফুচকা মুখে পুরেই চিবুতে চিবুতে পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি রূপ দাঁড়িয়ে আছে। আমি ভ্রূ কুচকে ফেললাম। রূপ মুচকি হেসে বলল,

— ” ভালো আছো?”

তুমি করে বলাতে বিরক্ত হলাম আবার। আদ্রিয়ান না করার পরেও তুমি করে বলছে আমায়। লজ্জা নেই নাকি এর। তবুও সৌজন্যতার খাতিরে বললাম,

— ” জ্বী ভাইয়া।”

— ” তোমার সাথে একটু কথা ছিলো। একদিন সময় দিতে পারবে? বেশিক্ষণ নেবোনা।”

এর কথা শুনে আমি চরম অবাক অরু ওরাও একে ওপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। আমি ইতস্তত করে বললাম,

— ” সরি ভাইয়া। কিন্তু..”

— ” প্লিজ অল্প সময়। খুব ইম্পর্টেন্ট কথা বলার আছে তোমাকে। তোমার জানা দরকার।”

আমি মুচকি হেসে বললাম,

— ” সরি ভাইয়া। আপনার সাথে আমার এমন কোনো কথা থাকতে পারেনা যেটা আলাদা করে বলতে হবে। কিছু বলার থাকলে এখানেই বলুন।”

রূপ অধৈর্য হয়ে বললেন,

— ” অনিমা তুমি বুঝতে পারছোনা এটা খুব জরুরি কথা। তোমার সেফটির প্রশ্ন আছে এখানে।”

— ” তাহলে আপনি আমায় না বলে আমার স্বামীকে বলুন কারণ আমার সেফটির চিন্তা আমার চেয়ে অনেকগুন বেশি তার আছে। তাই তাকে বললেই বেশি কাজে দেবে।”

উনি কিছু বলতে যাবেন তার আগেই আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম,

— ” প্লিজ। আপনি আসতে পারেন।”

রূপ চলে যেতে নিয়েও পেছন ফিরে বলল,

— ” যত কাছের লোকই হোক তাকে অন্ধের মত বিশ্বাস করাও ঠিক নয়। ঠকে যাবে। আর হ্যাঁ প্লিজ আদ্রিয়ানকে বলোনা এসব কথা তাহলে ও আবার আমায় ভুল ভাববে। ইটস আ রিকোয়েস্ট।”

বলে রূপ চলে গেলেন। আমি ওনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি কী এমন বলতে চাইলেন উনি আমাকে? কী আছে যা আমার অজানা? আর বিশ্বাসের কথাই বা কী বললেন? কাকে অন্ধবিশ্বাস করছি? আমার কী একবার রূপের কথা শোনা উচিত ছিল? আর ঠকে যাবো এটাই বা কেন বললেন? কিছুতো হচ্ছে আমাকে ঘিরে যেটা অনেকে জানলেও আমি জানিনা? কী এমন আছে যেটা আমি জানিনা।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here