ভালোবাসি তোকে ❤ #লেখিকা: অনিমা কোতয়াল #পর্ব- ৫৭

#ভালোবাসি তোকে ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ৫৭
.
অভ্র আর আদিব ভাইয়ার কাশির আওয়াজ শুনে আমি আর আদ্রিয়ান একে ওপরকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ালাম। দুজনেই হালকা মিটমিট করে হাসছে। আমি আড়চোখে একবার আড়চোখে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে দিলাম। অভ্র বলল,

— ” স্যার চলুন তাহলে?”

আদ্রিয়ান আমার একহাতে জড়িয়ে নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে বলল ‘চলো’। এরপর আদ্রিয়ানকে নিয়ে আমরা হসপিটালে গেলাম ওর হাত ব্যান্ডেজ করিয়ে ডক্টরের কাছ থেকে ঔষধ নিয়ে বাংলোতে ফিরে এলাম।

দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়া করে আদ্রিয়ান আর আমি দুজনেই ঘুমিয়েছি কারণ দুজনেই বেশ ক্লান্ত ছিলাম। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ঘুম ঘুম চোখে পাশে হাত রেখে ফাঁকা পেয়ে ভ্রু কুচকে চোখ খুলে তাকালাম পাশে আদ্রিয়ানকে দেখতে পেলাম না। একটা ছোট্ট হাই তুলে উঠে বসে ধীরপায়ে ব্যালকনির দিকে গিয়ে দেখি আদ্রিয়ান ব্যালকনিতে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে দৃরের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি গিয়ে আদ্রিয়ানের হাত জড়িয়ে ধরে বললাম,

— ” কী ভাবছ?”

ও আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,

— ” উঠে গেছ?”

— ” হুম।”

আদ্রিয়ান কিছু না বলে আমায় একহাতে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রইল। আমি ওর পেটের ওপর হাত রেখে বললাম,

— ” সবটা কত অদ্ভুত ছিল তাইনা? আর সবকিছুই খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেল তাইনা?”

— ” হ্যাঁ। আর এসব কিছু তোমার জন্যেই হয়েছে। তুমি এতটা হেল্প না করলে কাজটা এতো সহজ হত না।”

আমি কিছুক্ষণ চুপ করে ভেবে বললাম,

— ” কিন্তু রূপ? ও কীকরে আমার ওপর এতটা ভরসা করে ফেলল? মানে ও কীকরে ভেবে নিল যে আমি ওকে হেল্প করব? ওর কথা শুনব?”

আদ্রিয়ান স্বাভাবিকভাবেই বলল,

— ” সিম্পল। ও জানতো তুমি খুব ইমোশনাল। আর তোমার ইমোশনকে হাতিয়ার করাটা সহজ হবে। তাই ইশরাকের মৃত্যু, আমার ভালোবাসা এসব বলে তোমার উইক পয়েন্টে আঘাত করে তোমার ব্রেইন ওয়াস করতে চেয়েছে। সেদিন যদি আমি তোমাকে সত্যিটা না বলতাম তাহলে হয়ত সত্যিই তুমি একটা ভুল করে বসতে।”

আমি একটা লম্বা শ্বাস ফেলে বললাম,

— ” রূপতো সব আমায় আলাদা করে বলেছিল। কিন্তু তুমি কীকরে জানলে এসব কথা?”

আদ্রিয়ান একটা ছোট্ট শ্বাস নিয়ে বলল,

— ” আসলে ওর ওপর আমাদের কিছু অফিসারস্ দের সারাক্ষণ নজর ছিল। তাই এইসব প্লানস্ আমরা সবই জানতাম।”

আমি এবার হালকা ধরা গলায় বললাম,

— ” জানো? কাল সারারাত আমার কতটা ভয়ে কেটেছে? প্রতিটা মুহূর্ত তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয়টা মনে যেকে বসে ছিল। খুব বেশিই ভয় করছিল। ছাড়তেই ইচ্ছে করছিল না আজ সকালে তোমাকে! তুমি যাওয়ার পর প্রতিটা সেকেন্ড বিষের মত কেটেছে আমার। আজ বুঝতে পারছি নূর আপু কতটা কষ্ট পেয়েছে আর আজও পাচ্ছে।”

আদ্রিয়ান শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,

— ” জানো? ওদের জেরা করে যা বুঝলাম তাতে ইশরাক ওর মৃত্যুর পনেরো মিনিট আগেই বুঝতে পেরেছিল টেরোরিস্টরা ওকে টার্গেট করেছে। ও আমাদের ফোর্সকে জানিয়েছিল কিন্তু আমায় জানায়নি। কারণ ও জানতো আমি জানতে পারলে কিছু না ভেবেই একাই চলে যাবো ওখানে। ও সেটা চায়নি, তাই আমাকে মেসেজটাও হোয়াটসঅ‍্যাপে করেছে কারণ ও জানতো আমি ওই মুহূর্তে অনলাইন যাবো না। কিন্তু সব অফিসারস্ তাদের ফোর্স নিয়ে পৌছতে পৌছতে ওখানে গিয়ে ইশরাককে আর খুজে পায়নি। আর পরে যখন পেলো তখন ও আর..।”

আমি চুপ করে আছি। আদ্রিয়ান একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,

— ” আমাদের বাঁচিয়ে দিয়ে গেল। কিন্তু এটা বুঝলো না যে সারাজীবন ওর মৃত্যুর এই দায় এই গ্লানিবোধ বয়ে বেড়াতে বেড়াতে কেটে যাবে আমার। চাইলেও নিজেকে ক্ষমা করতে পারছিনা আমি।”

আমিও ভাঙা গলায় বললাম,

— ” দায় তো আমারও আছে! তুমি যত যাই বল। সবটা তো আমার জন্যে হয়েছে তাইনা। না হলে তো ওদের জানার কথাই না ফাইলটা আপনাদের কাছে আছে?”

আদ্রিয়ান এবার আমার দুই বাহু ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলল,

— ” আর এসব কথা বলবে না। তুমি তো এসবের কিছু জানতে না, আর না এসবের মধ্যে ছিলে।”

আমি কিছু বললাম না শুধু নিরব ধারায় দু-ফোটা চোখের জল বিসর্জন দিলাম। আদ্রিয়ান আমার দুটো চোখ মুছে দিয়ে বলল,

— ” যা হয়ে গেছে সেটা আমরা বদলাতে পারবোনা। কিন্তু তোমাকে একটা কথাই বলছি, আমায় কখনও ছেড়ে যেওনা প্লিজ। ইশরাক চলে যাওয়ার পর তুমি আমাকে সামলে নিয়েছিলে। কারণ আমায় সামলানোর ক্ষমতা তোমার ছাড়া আর কারোর নেই। কিন্তু তুমি আমায় ছেড়ে চলে গেলে আমি শেষ হয়ে যাবো।”

ও আমার দুই হাত নিজের দুই হাত নিজের দুই হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,

— ” প্লিজ আমাকে একা ফেলে কোনদিন ছেড়ে যেওনা। প্লিজ!”

আমি কিছু না বলে আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরলাম, আদ্রিয়ানও আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। আদ্রিয়ান আর আমি একে ওপরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছি। আমার এমন মনে হচ্ছে যেন কত যুগ পর ওকে কাছে পেলাম আমি, ছেড়ে দিলেই আবার কোথাও একটা হারিয়ে যাবে।

পরেদিন সকাল বেলা আমরা খাওয়া-দাওয়া করছি খেয়ে বেড়িয়ে যাবো। আদ্রিয়ান খেতে খেতে বলল,

— ” অভ্র চল আমাদের সাথে ঢাকা?”

অভ্র মুচকি হেসে বলল,

— ” না স্যার এখন আর না। পরে একসময় যাবো। প্রমিস!”

আমি ভ্রু কুচকে বললাম,

— ” আজ অবধি তো এখনও যাওনি আমাদের বাড়িতে। আর তোমার গার্লফ্রেন্ডকেও তো দেখা হলো না।”

— ” যাবোতো ম্যাম! সুযোগ করে গার্লফ্রেন্ডকেও দেখিয়ে নেব। যদিও এখনও গার্লফ্রেন্ড বলা যায়না, আবার গার্লফ্রেন্ড না সেটাও বলা যাচ্ছে না।”

আদ্রিয়ান মাথা তুলে তার সেই বিখ্যাত স্টাইলে ভ্রু জোড়া বাঁকিয়ে নিয়ে বলল,

— ” হাফ গার্লফ্রেন্ড পাতিয়ে বসে আছো নাকি?মেয়েটাকে দেখার ইন্টারেস্টতো দিন দিন বেড়ে চলেছে!”

আদিব ভাইয়া আর অভ্র দুজনেই শব্দ করে হেসে দিল। আমি একটু হাসলাম কিন্তু কিছু বললাম না। সত্যি বলতে এখন আমারও মেয়েটাকে দেখতে ইচ্ছে করছে।

__________________

এরমধ্যেই দুইদিন কেটে গেল। গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা চলে এসছি আমরা। আসার পর আদ্রিয়ানে ব্যান্ডেজ করা হাত দেখে সবাই উত্তেজিত হয়ে গেছিল এটা ওটা প্রশ্ন করছিল। পরে আদ্রিয়ান নিরবিলি বসে সবটা বলেছে। সবটা শুনে সবাই তো মারাত্মক অবাক হয়েছে, আবার আমাদের একটু ওপর রাগও করেছে কেন আমরা নিজেরা এত বড় রিস্ক নিতে গেলাম। আদ্রিয়ান আর আমি বহু কষ্টে এদের সবাইকে ম্যানেজ করে নিয়েছি ঠিকই, কিন্তু কাজটা সহজ ছিল না। আর সবার ভয়ের একটা বিশেষ কারণ ছিল রূপের পালিয়ে যাওয়াটা। হ্যাঁ! রূপ পালিয়েছে। কীভবে পালালো তার জন্যে আদ্রিয়ান বেশ রেগেও গেছিল প্রচুর। যদিও খোঁজা হচ্ছে ওকে। কিন্তু গোটা ব্যাপারটা আমার কাছে ক্লিয়া নয় কারণ আমার আর এত প্রেশারগুলো আর ভালো লাগছিল না। তাই আদ্রিয়ানও আমার সাথে এসব নিয়ে কোন আলোচনা করে নি। সন্ধ্যায় আমি,আপি,জাবিন মিলে ছাদে বসে পাকোরা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছি। আপি খেতে খেতে একটু বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” আমাদের কাউকে কিছু না বলে চিটাগং গিয়ে যে এমন কান্ড ঘটিয়ে চলে এলি যদি কিছু হয়ে যেতো?”

জাবিনও সায় দিয়ে বলল,

— ” হ্যাঁ ভাবি! একদম সত্যি কথা কিন্তু। কতটা রিস্কি ছিল। তারওপর ঐ টেরোরিস্টটা নাকি আবার পালিয়ে গেছে।”

আমি কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললাম,

— ” করতে তো হতই বল কিন্তু তোমাদের আগে বললে কী লাভ হত? শুধু টেনশন বাড়তো। যাই হোক বাদ দেও এসব। তো আপি বেবির নাম ঠিক করল ভাইয়া? ”

আপি একটু বিরক্ত হওয়ার ভান করে বলল,

— ” থামবি তুই! সবে চারমাস হল।”

জাবিন ফোন দেখতে দেখতে বলল,

— ” হ্যাঁ সেই। দেখতেই তো পাই কী কী চলে চারপাশে।'”

বলে জাবিন আর আমি দুজনেই হেসে দিলাম। কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর জাবিনের দিকে তাকিয়ে দেখি ফোনের দিকে তাকিয়ে মিটমিটিয়ে হেসে যাচ্ছে। আমি আর আপি ভ্রু কুচকে একে ওপরের দিকে তাকালাম। জাবিনকে জিজ্ঞেস করতেই বেশ সুন্দরভাবে এড়িয়ে চলে গেল এই মেয়ে। কিন্তু কিছু যে ঘোট পাকিয়ে বসে আছে সেটা আপি আর আমি দুজনেই বেশ ভালো করে বুঝতে পারলাম।

_________________

সময়ের খুব দ্রুতই প্রবাহমান। দেখতে দেখতে দুটো বছর পার হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। দুই বছর পর আজ এই ডায়রিতে লিখছি। মাঝখানে ডায়রিটা হারিয়ে গেছিল। আজ হঠাৎই ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মনি উদ্ধার করল এটা। তাই ভাবলাম বাকি লেখাটা এখানেই লিখি। নূর আপুর সাথে যেচে আর দেখা করতে যাইনি আমি। নিজেকে অপরাধী মনে হয় ওনার চোখের দিকে তাকালে। মনে হয় ওনার এই অবস্থা শুধু আমার জন্য। দু-বছরে অনেক কিছু বদলে গেছ আপির ছেলে বাবু হয়েছে। নাম রেখেছি হিয়াজ। আপি আর ইফাজ ভাইয়া দুজনের ঠিক করা নাম এটা। এখন দেড় বছর হয়েছে ওর। আমাদের সকলের ভীষণই আদরের। এখনও মনে পরে সেই দিনটা যেদিন হিয়াজ এল। আপিকে ডেলিভারির সময় আপির বেশ কষ্ট হয়েছিল। সেদিন রাতে মুঘোতে যাওয়ার সময় আদ্রিয়ান আমারয় পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে মুখ গুজে কাঁপা কন্ঠে বলেছিল,

— ” যখন আমাদেরও বেবি হবে তোমারও এরকমই কষ্ট হবে তাইনা?”

আমি ঘুরে ওর বুকে মাথা রেখে বলেছিলাম,

— ” তা তো হবেই। মা হওয়া তো এত সহজ নয় তাইনা? দীর্ঘ ন-মাসের প্রতিটা মাস আলাদা আলাদা রকম অসহনীয় কষ্ট, এরপরে ডেলিভারির সময় সেই চরম কষ্টের ফলেই একটা মেয়ে মা হয়, পূর্ণ হয়।”

ও অসহায় কন্ঠে বলেছিল,

— ” আচ্ছা একটা বাচ্চা এডপ করে নিলে হয়না?”

আমি অবাক কন্ঠে বলেছিলাম,

— ” কী?”

— ” একটা বাচ্চা হলেই তো হয় তাইনা? আমরাতো একটা এডপ করতেই পারি?”

আমি মাথা তুলে ওর গালে হাত রেখে বলেছিলাম,

— ” সব মেয়েকেই এই কষ্টটা সহ্য করতে হয়। আর আল্লাহ এই কষ্ট সহ্য করার শক্তি ঐসব মেয়েদের মধ্যে এমনিই দিয়ে দিয়েছেন। সবাই করে, আমিও করে নেব আদ্রিয়ান। কিন্তু সন্তান গর্ভে ধারণ করার যে সুখ সেটা থেকে আমায় বঞ্চিত করবেন না। আজ দেখেছেন এত কষ্ট পাওয়ার পরেও যখন বাচ্চাটাকে আপির কোলে দেয়া হয়েছিল তখন আপির মুখে তৃপ্তির এক হাসি ছিল।”

ও একটা ছোট্ট শ্বাস নিয়ে বলেছিল,

— ” হু বুঝলাম!”

— ” কী বুঝলে?”

— ” আমার পিচ্চি বউটা বড় হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।”

আমি বরাবরের মত লজ্জা পেয়ে ওর বুকে মুখ লুকিয়ে ছিলাম আর ওও কাছে টেনে নিয়েছিল আমায়।
সেদিনের কথা মনে পরতেই হাসলাম আমি। হ্যাঁ এখন বড় হয়েছি বটে। তখন উনিশের ছিলাম এখন একুশ হলো।
হঠাৎ করেই আপির ডাক পরল। আমি এখন মামুর বাড়িতে আছি। আমরা সবাই আছি। আসলে আজ সজীব ভাইয়ার গায়ে হলুদ। হ্যাঁ দীর্ঘ কয়েক বছরের পর কাল সৃষ্টি আপুর সাথেই ভাইয়ার বিয়ে হবে। আমি নিচে চলে গেলাম। নিচে গিয়ে আদ্রিয়ান, ইফাজ ভাইয়া, কাব্য আমার সব কাজিন ভাইরা সবাই কোমর বেঁধে লেগে পরেছে কাজে। ইফাজ ভাইয়া আর আদ্রিয়ানকে দেখলে কেউ বুঝতেই পারবেনা এরা বাড়ির জামাই। দুজনেই ঘরের ছেলের মত লেগে পরে কাজ করে যাচ্ছে। আমিও ওড়নাটা বেধে আপিদের সাথে কাছে হাত লাগাচ্ছি। কিন্তু আমার শরীরটা তেমন ভালো নেই। সকাল থেকেই কেমন লাগছে মাথা। মাথা ঘুরে উঠছে মাঝেমাঝে। কিছু খেতেও ইচ্ছে করছেনা।কাউকে বলিনি কারণ বিয়ে বাড়িতে সবাই এখন আবার আমায় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরবে। আপি আমায় ফলের ঝুড়িটা আনতে বলল। আমিও ফলের ঝুড়ি নিয়ে বেড়িয়ে এসে আরেকটু এগোতেই মাথাটা ভীষণ জোরে ঘুরে উঠল। সবটা অন্ধকার হয়ে আসছে। ঝুড়িটা আর ধরে রাখতে পারলাম না, পরে গেল হাত থেকে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কী হল জানিনা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না লুটিয়ে পরলাম মাটিতে।

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here