ভালোবাসি_বলেই_তো পর্ব – ৩০

0
1118

#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
পর্ব – ৩০

পূর্ণতা রেডি হয়ে বসে আছে মেডিক্যালে যাবে বলে ।

সকালে বাসায় পৌঁছে মিলি রহমানকে জড়িয়ে ধরে তার কোলেই মাথা রেখে ঘুমিয়েছে পূর্ণতা । সাড়ে দশটার দিকে ঘুম ভাঙতেই পূর্ণতা দেখল মিলি রহমান নাস্তা নিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে । মিলি রহমান বলছে ,

– তোকে ছাড়া এই কয়দিন যে কিভাবে কেটেছে আমার !! প্রথমদিন তো আধিরা এসে জোর করে ওদের বাসায় নিয়ে গিয়েছিল । কিন্তু পরদিন আবার বাসায় আসতেই ফাঁকা বাসায় নিজের‌ই কেমন যেন লাগছিল ।

পূর্ণতা উঠে বসে মিলি রহমানের হাত থেকে প্লেট টা নামিয়ে রেখে মিলি রহমান কে জড়িয়ে ধরে বলল ,

– আমিও তোমাকে মিস করেছি আম্মু । এই প্রথম তোমাকে ছাড়া কোথাও গিয়েছি , আলাদা রকমের ফিলিংস কাজ করছিল জানো । কিন্তু মনে হয়েছে তুমি বাসায় একা থেকে নিশ্চয়ই বোর হচ্ছো ।

– হু । এই দুইদিনে হারে হারে টের পেয়েছি তোরা আছিস বলেই আমি এখনো বেঁচে আছি ।

– আমাদের জন্য ই তো বাঁচতে হবে তোমায় !

– হু । এখন যা ফ্রেশ হয়ে আয় । তারপর আমি খাইয়ে দিচ্ছি ।

– ঠিক আছে , ঠিক আছে । তুমি বসো , আমি এক্ষুনি আসছি ।

ব্রেকফাস্ট পূর্ণতা মিলি রহমানের হাতেই সাড়ল । তারপর শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এলো ভার্সিটিতে যাবে বলে । বের হতেই দেখল বিছানার ওপর রাখা ফোনটা বাজছে ।

জলদি দৌড়ে গিয়ে কিছু না দেখেই ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করে নিল ।
কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে শোনা গেল একজন চেনা জানা প্রিয় মানুষের গলা ,

– গুড মর্নিং পূর্ণতা জামান । আপনি দয়া করে রেডি হয়ে থাকুন , আমি আপনাকে নিতে আসছি ।

পূর্ণতাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই আবরন কলটা কেটে দিল ।

পূর্ণতা ভ্রু কুচকে কান থেকে ফোনটা নামিয়ে মনে মনে আবরনকে একশ এক টা গালি দিয়ে তারপর রেডি হতে শুরু করল ।

রেডি হয়ে সেই কখন থেকে বসে আছে । আবরনের আসার কোনো নাম গন্ধ নেই । এদিকে প্রেনা ও কল তুলছে না ।

প্রেনা কল না রিসিভ করাতে ওর মেজাজ আরো খারাপ হলো । তার মধ্যেই প্রেনার দুর্ঘটনা জনিত কথা গুলো মনে হতে শুরু হলো ।

– কি ভাবে করবো আমরা এর সমাধান ?? প্রেনা আমাকে একবারো কথা গুলো শেয়ার করার কথা ভাবল না । আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ই এত বড় একটা ভুল করলো আর আমাকেই জানালো না । জানাবেই বা কিভাবে !

ভাবনার মাঝেই ফোন বেজে উঠল ।
ফোনের দিকে তাকাতেই দেখল প্রেনা কল করছে । ভাবনা বাদ দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পূর্ণতা কলটা রিসিভ করে কানে দিতেই ওপাশ থেকে প্রেনার গলা শোনা গেল ।

– কল দিয়েছিলি ??

– হু । দিয়েছিলাম ।

– বল , কি বলবি ?

– আজ ভার্সিটিতে যাবি না ?

– যাবো । কিন্তু মনটা ভালো নেই ।

পূর্ণতা খুবই স্বাভাবিক কন্ঠে জিজ্ঞেস করল ,

– কেন ??

– আজ না কাল বলবো ।

– কি বলবি কাল ??

– অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা ।

– ঠিক আছে । কিন্তু আজ কেন নয় ??

– না , আজ না । কাল । আর প্রশ্ন করিস না ।

– ঠিক আছে । যেমন তোর ইচ্ছা ।

প্রেনা বলল ,

– হু , তাহলে ভার্সিটিতে দেখা হচ্ছে ।

– ওকে , সাবধানে থাকিস । আল্লাহ হাফেজ ।

– আল্লাহ হাফেজ ।

………………………………………………..

আবরন ক্যাম্পাসের মাঝে দাঁড়িয়ে চারপাশে তাকিয়ে দেখছে সব ঠিক ঠাক আছে কিনা ।

ফাহিম বলল ,

– আবরন , সব রেডি । এখন শুধু পূর্ণতা ই আসা বাকি ।

– গেইটের দিকটা যেভাবে বলেছি সেভাবেই করেছিস তো ??

– হু সব পারফেক্ট আছে ।

– আজকে ও যদি কোনো আকাম করিস না তাহলে তোদের খবর আছে !

ফাহিম হু হা করে হেসে বলল ,

– ঐ দিন যদি আকাম না করতাম তাহলে তো তোর সাথে পূর্ণতার দেখা ই হতো না । আমার ভুলের জন্যই কিন্তু ঐদিন তোদের দুইজনের উপর ফুল পড়েছে ।

আবরন ও মুচকি হেসে বলল ,

– হু । ঠিক আছে । আমি তাহলে যাচ্ছি ওকে নিয়ে আসতে । ম্যাডাম আবার নাহলে রাগ করবে ।

– ঠিক আছে তুই যা !

আবরন মেডিক্যাল থেকে বের হতেই তাসিনের সাথে দেখা ।

– আবরন , পূর্ণতা কে আনতে যাচ্ছিস ?

– হ্যা , তোকে যা বলেছি সব ঠিক ভাবে করিস কিন্তু ।

– তুই কোনো টেনশন নিস না ব্রো ! আমি আছি তো । সব সামলে নেব ।

– থ্যাংকস রে ।

– থ্যাংকস এর কি আছে ?? বুকে লাগ ।

আবরন হেসে তাসিনের সাথে HUG করল ।

তারপর ওকে বিদায় জানিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ল পূর্ণতা কে আনতে যাবে বলে ।

মিনিট ১৫ এর মধ্যে আবরন পূর্ণতা দের বাসার নিচে পৌঁছে ওকে কল দিল ।

পূর্ণতার প্রেনার সাথে কথা শেষ হতেই আবার ফোন বেজে উঠল । স্ক্রীনে ‘ ‘ ‘আবরন ‘ লেখা দেখেই কলটা রিসিভ করল ।

আবরন বলল ,

– আমি নিচে আছি । জলদি এসো ।

পূর্ণতা বলল ,

– এতক্ষন লাগল আসতে ? নিজেই দেড়ি করে এসে এখন আমাকে বলছেন জলদি করতে ? বাহ , ভালোই ।

আবরন বলল ,

– আচ্ছা , সরি । এসো ।

– ইটস ওকে । আসছি ।

আবরন গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে গেইটের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পূর্ণতার জন্য অপেক্ষা করছে ।

এর‌ই মধ্যে পূর্ণতা বাহিরে বেরিয়ে এলো । আবরন দেখল , আজকে পূর্ণতা কে অন‍্য দিনের চেয়ে একটু ব্যতিক্রম লাগছে । পূর্ণতার পরোনে গাঢ় সবুজ এর সাথে হলুদ মিশ্রিত একটা লং ড্রেস । আজ ও হলুদ রং হিজাব পড়েছে ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে আর এক কাধে ম্যাচিং করে সবুজ আর হলুদ শেডের ওরনা পড়েছে । ঠোঁটে ন্যুড কালার লিপস্টিক দিয়েছে শুধু । এতেই অনেকটা অন্য রকম লাগছে ।

পূর্ণতা বের হতেই দেখল আবরন গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে । নিত্যদিনের মতো আজ ও তার গায়ে পাঞ্জাবি আর গরমের মাঝেও কাশ্মীরি শাল তো আছেই । আজ আবরন ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি পড়েছে আর কালোর মাঝে মাল্টিকারের কাশ্মীরি সুতো কাজের শাল পড়েছে । দেখতে একদম বাদশাহ দের মতো লাগছে ।

পূর্ণতা আবরনের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই আবরন গাড়ির দরজা খুলে ওকে বসতে জায়গা করে দিল । পূর্ণতা ভিতরে উঠে বসতেই আবরন ও এসে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ল ।

পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে দেখল ও সিট বেল্ট বাঁধেনি । তাই মুচকি হেসে নিজেই ওর সিট বেল্টটা বেঁধে দিল ।

তারপর নিজের সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে র‌ওনা হলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশ্যে ।

আবরন ড্রাইভিং করতে করতে পূর্ণতা কে জিজ্ঞেস করল ,

– কেমন লাগছে আজ আবার প্রথম বারের মতো ভার্সিটির উদ্দেশ্য নিয়ে যেতে ?

– কোনো ফিলিংস কাজ করছে না ।

– তাই ??

– হু ।

– কেন ??

– কারন , আমার ব্রেন রিকভারি করে ফেলেছে ।

– হু , তা ঠিক । এই জন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ।

– হুম ।

– আজকে তোমাকে দেখতে ভালো লাগছে ।

– কেন অন্যদিন লাগে না ??

– লাগে কিন্তু আছে না গুডের মধ্যে বেষ্ট ! আজকে বেষ্ট লাগছে ।

– ধন্যবাদ ।

– এখন থেকে হিজাব পড়বা । আর বোরকা ও পড়বা ।

– ঠিক আছে । চেষ্টা করবো ।

– উহু , শুধু চেষ্টা না । বাধ্যতামূলক ।

পূর্ণতা বলল ,

– ওকে । পড়বো ।

আবরন বলল ,

– আমরা এক্ষুনি ভার্সিটির এরিয়ায় ঢুকছি । তুমি বাহিরের দিকে দেখো । ওকে ?

– কেন বলুন তো ?

– দেখোই না ।

– ঠিক আছে ।

বাহিরে তাকানোর ১ মিনিটের মধ্যে মোড় ঘুরতেই আবরন গাড়ির স্পীড একদম স্লো করে দিল ।

পূর্ণতা দেখতে পেল রোডের দুইপাশে শত স্টুডেন্ট হাতে ফুলের থালা আর ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাথে স্লোগান তো আছেই ।

সবাই গাড়ির ওপরেই ফুল ছিটাচ্ছে আর মুখে বলছে ” Welcome Back Purnota Jaman ” .

আর ব্যানারেও লিখা , ” Welcome back Purno ”

“Welcome back to our campus purno ”

“Welcome purnota . We miss you a lot ”

“Welcome purno . We’re always with you ”

“Welcome Purnota . We love you all ”

এমন আরো বিভিন্ন লেখার ব্যানার হাতে নিয়ে রাস্তার দুই পাশ থেকে সবাই চিল্লাচিল্লি করছে আর হৈ হুল্লোর করছে ।

এসব দেখে পূর্ণতা বিশ্বাস ই করতে পারছে না । খুশিতে ওর চোখ টল টল করছে । টলটলে চোখ নিয়ে আবরনের দিকে তাকাতেই আবরন এক গাল হেসে পূর্ণতা কে বলল ,

– welcome back purnota jaman . All of the students and professors love you a lot and missed you too much . So , don’t cry … Give a smile and accept their infinity love . ♥️

গাড়ি গেইটের সামনে দাঁড় করিয়ে আবরন গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে পূর্ণতা কে নামার জন্য দরজা খুলে দিল ।

পূর্ণতা নেমে দাঁড়াতেই রোডে উপস্থিত সবাই ওর পেছনে এসে জড়ো হলো ।

পূর্ণতার চোখ থেকে টল টল করে পানি ঝরছে । পেছনে তাকিয়ে সবাইকে দেখে খুশিতে আরো পানি ঝরাতে লাগল নিজের চোখ থেকে । আবরন বলল ,

– সামনে চলো পূর্ণতা । তোমার জন্য পুরো ভার্সিটি অপেক্ষা করছে । আর প্লিজ কেদো না । কাদলে সবাই কষ্ট পাবে ।

পূর্ণতা চোখ মুছে বলল,

– আমি খুশিতে কাদছি । ভিতরে চলুন ।জলদি ।

-হু , চলো ।

মেইন গেইটের কাছে এগোতেই গেইটের দুইপাশে পুরো ক্যাম্পাস ভর্তি স্টুডেন্টস দের দেখা যাচ্ছে । গেইটের প্রবেশ পথ খালি রেখে সবাই দুইপাশে ভিড় জমিয়েছে । গেইটের বাম ও ডানের শুরুতেই তাসিন , আয়মান , প্রেনা আর ফাহিম কে দেখা গেল ।

গেইট দিয়ে প্রবেশ করার সময় আবরন পেছনে দাঁড়িয়ে পূর্ণতা কে বলল ,

– পূর্ণতা জামান । সবাই তোমাকে বরণ করতে দাঁড়িয়ে আছে । এই পথ টুকু তুমি একাই পার করো । আমি আছি বাকি সবার মতো তোমার পেছনে ।

পূর্ণতা পেছনে তাকিয়ে আবরনের কথা শুনে আবারো কাদছে ।

ওর কথা মতো গেইট দিয়ে প্রবেশ করতেই ফাহিম আগে থেকে বেঁধে রাখা দড়িটা খুলে দিতেই গেইটের ওপর থেকে ডালা কাত হয়ে এক ঝুড়ি ভর্তি গোলাপের পাপড়ি পড়লো ওর উপরে ।

ফুলের বৃষ্টি তে ভিজে পূর্ণতা থেমে দাড়িয়ে উপরে তাকিয়ে আবারো সামনে পেছনে তাকালো ।

এত এত সারপ্রাইজ ও একসাথে নিতে পারছে না । এত খুশি আর এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে ওর ভেতর যে খুশিতে কেদেই চলেছে ।

আবরন দৌড়ে এসে ওর পাশে দাঁড়াতেই আয়মান , তাসিন , ফাহিম , প্রেনা ও এসে ওকে চারপাশ থেকে গোল করে ঘিরে ধরলো ।

ওদের সবার ওপর একসাথে পেপার বোম্ব ফাটানো হলো ।

সারা ক্যাম্পাস একসাথে বলে উঠল ,

Three cheers for purno …… Hip hip hurray !!!

Three cheers for coming back ….Hip hip hurray !!!

পূর্ণতা খুশি হয়ে কি করবে বা কি বলবে বুঝতেই পারছে না ।

সবাই হঠাৎ নীরব হয়ে গেল । এর‌ই মধ্যে মাইকে আবরনের গলা শোনা গেল ।

পূর্ণতা ওর চারদিকে তাকিয়ে দেখল আবরন নেই । মনে মনে ভাবল ,

– একটু আগেই তো সাথে ছিল । হঠাৎ কখন চলে গেল খেয়াল‌ও করি নি ।

তারপর হেসে আবরনের কথা শোনায় মনোযোগ দিল ।

আবরন বলছে ,

– ক্যাম্পাসে উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । সবাই ১ মিনিট নীরবতা পালন করি ।

১ মিনিট পর ….

আবরন বলল ,

– আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।

সবাই বলল ,

– ওয়ালাইকুমুসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।

আবরন বলতে শুরু করল ,

– প্রথমেই ক্যাম্পাসের সকলের প্রতি র‌ইল আমার পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অবিরাম ভালোবাসা ।

আজকের এই সারপ্রাইজের আয়োজন
শুধু মাত্র তোমাদের জন্যই সম্ভব হয়েছে । এই প্ল‍্যানের পেছনে মূলত ৩ জন বিশেষ মানুষের হাত আছে এবং তাদের ধারনাকে কাজে লাগিয়েই আজকের এতো আয়েজন ।

আমি তাদের নামটা বলবো কিন্তু তার আগে পূর্ণতা জামানকে স্টেজে উপস্থিত হ‌ওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হলো ।

সবাই চিল্লিয়ে উঠল । পূর্ণতা আস্তে আস্তে স্টেজের দিকে এগিয়ে গেল ।

আবরন এসে স্টেজের উপর থেকে হাত বাড়িয়ে দিল পূর্ণতার দিকে । পূর্ণতা আশেপাশের সকলের দিকে একবার তাকিয়ে আবরনের দিকে তাকালো । আবরন মাথা নেড়ে ইশারা করলো হাতটা ধরার জন্য ।

পূর্ণতা ভাবনা বাদ দিয়ে আবরনের হাতে নিজের কাপা কাপা হাতটা তুলে দিতেই আবরন নিজের হাতের মাঝে পূর্ণতার হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে ওকে আস্তে টেনে নিল স্টেজের উপর ।

পূর্ণতা স্টেজে উঠতেই ক্যাম্পাসে উপস্থিত সকলে আরেক দফা চিল্লিয়ে উঠল ।

আবরন বলল ,

– ওকে । এখন আমি সেই তিনজনে স্টেজে ডাকতে চাই যারা আমাকে প্রথম এই প্ল‍্যান সম্পর্কে ধারনা দেয় ।
তবে তাদের স্টেজে ডাকার পর আমি চাই , কেউ তাদের কে অপমানিত করবে না এবং তাদের কে খারাপ চোখে দেখবে না । আগে সবাই প্রমিজ করো ।

সবাই কিছুক্ষণ ভেবে চিন্তে প্রমিজ করল । কিন্তু পূর্ণতা খুব‌ই চিন্তিত হয়ে গেল । ও মনে মনে ভাবছে ,

– আবরন কাদের কথা বলছে ? কোন তিনজন ? সবাই কি তাদের চিনে ?? আর তাদের দেখলে সবাই অপমানিত ই বা কেন করবে ?? কারা তারা ?? কারা ?? আবার কোনো সমস্যা আসতে চলছে না তো ?? সবাই যদি প্রমিজ ব্রেক করে তাদের অপমান ক‍রে বসে ! কি হবে তখন ??

আল্লাহ মাফ করো । আজ যেন কোনো খারাপ কিছু না হয় । সব তুমি ঠিক করে দিও । তোমার উপর ছেড়ে দিলাম আল্লাহ । এই খুশির দিনটা তুমি নষ্ট করো না আল্লাহ । প্লিজ , দয়া করো । সব ঠিক ভাবে হতে দাও । প্লিজ ।

সবার প্রমিজ শুনে আবরন সেই তিনজনকে স্টেজে ডাকল একসঙ্গে । তাদের দেখে ক্যাম্পাসের সকলে নীরব হয়ে গেল । এমনকি পূর্ণতা ও ।

সবার একটাই প্রশ্ন !!

– এই তিনজন ?? কেন ওদের ডাকা হলো ?? কেন ??

#চলবে ♥️

বিঃদ্রঃ 👇

কেমন লাগল আজকের পর্ব অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ! আর কিছু রিডার্সদের কে উদ্দেশ্য করে বলছি , আপনারা প্লিজ Next , Nice Next , next next next না করে গঠনমূলক কমেন্ট করুন । এতে করে আমার গল্প লেখার আগ্ৰহ বেড়ে যায় ।

কারন আপনারা নেক্সট না বললেও আমি আপনাদের কে খুশি করতে গল্পটা কান্টিনিউ করবোই । so , প্লিজ রিকোয়েস্ট করছি , কেউ next next করবেন না । আশা করি , ছোট বোনের কথাটা রাখবেন । ধন্যবাদ । ♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here