#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
পর্ব – ৬
আবরন সকালে ঘুম থেকে জেগে নাস্তা খেয়ে গোসল করে একটা হালকা গোলাপি পাঞ্জাবি , সাথে সাদা চুরিদার পাজামা আর একটা গ্ৰে কালারের শাল গায়ে পেচিয়ে সিল্কি চুল গুলো সেট করে একটা ব্ল্যাক ইউনিক সানগ্লাস পড়ে নিল । তারপর পৌনে এগারোটার দিকে , ফাহিম কে কল করতে করতে গাড়ি গ্যারেজ থেকে বের করতে লাগল । গাড়ি গ্যারেজ থেকে বের করে গাড়ি থেকে নেমে আধিরা আনজুম কে উদ্দেশ্য করে বললেন ,
– আম্মু ! আমি একটু বের হচ্ছি । কাজ আছে । সন্ধ্যায় ফিরব ।
আধিরা আনজুম বললেন ,
– সাবধানে যাস ।
ফাহিমকে ২ বার কল দেওয়ার পর না পেয়ে আবরন তাসিনকে কল দিল । তাসিন ফোন রিসিভ করতেই আবরন বলল ,
– আমার এই মূহুর্তে পূর্ণতার বাসার এড্রেস চাই ।
তাসিন বলল ,
– ও আজিমপুর থাকে । কত নাম্বার বাসা আমি খোঁজ নিয়ে তোকে ম্যাসেজ করছি ।
– ওকে । জলদি কর ।
– হঠাৎ ওর বাসার ঠিকানা কেন চাইছিস বলতো?
– এমনি । কাজ আছে ! তুই এড্রেস সেন্ড কর ।
– ফাইন ।
এই বলে তাসিন কল কেটে দিতেই আবরন ফোনটা পাশের খালি সিটে রেখে ড্রাইভ করতে শুরু করল । গন্তব্য আজিমপুর ।
মিনিট দশেকের মধ্যেই তাসিন এড্রেস আবরনকে সেন্ড করতেই আবরন মুচকি হেসে ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিল ।
………………………………………………..
গাড়ি রোডের এক সাইডে পার্ক করে আবরন এখন দাঁড়িয়ে আছে একটা দোতলা ভবনের সামনে । আবরন নিজের মোবাইলে তাসিনের পাঠানো ম্যাসেজটা দেখে ভাবলো ,
– এড্রেস অনুযায়ী এই বিল্ডিংয়ের কথাই তো বলা হয়েছে । কিন্তু যাবো কি করে !!
এসব ভাবতে ভাবতেই বিল্ডিং টা একবার নিচ থেকে উপর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করছিল , হঠাৎ ছাদের উত্তর দিকের কোনায় চোখ পড়তেই আবরনের বুঝতে বাকি রইল না পূর্ণতা ছাদে দাঁড়িয়ে । তাই মনে মনে খুশি হয়ে ছাদের দিকেই গেল ।
ছাদের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই দেখল পূর্ণতা নিজের লম্বা চুল গুলো বাতাসে উড়তে দিয়ে কারো সাথে কথা বলায় ব্যস্ত । আবরন ওর আরেকটু কাছে এগিয়ে যেতেই শুনতে পেল পূর্ণতা কাউকে বলছে ,
– উনি একটা কুফা !
– ……………..
– কারন , উনার সাথে ধাক্কা খেয়েই প্রথমদিন পড়ে গিয়েছি , আবার কালকে উনার কথা শুনেই ফুচকা গিলতে পারি নি , আবার কাল রাতে উনার জন্যই ঘুমাতে পারি নি । মানে উনার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকেই একটার পর একটা কুফা লেগেই আছে !! হুহ !!
-…………………………..
কথা শেষ হতেই পূর্ণতা ফোনটা কান থেকে নিচে নামিয়ে পেছনে ঘুরতেই দেখল আবরন রাগি রাগি ফেস করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে ।
পূর্ণতা আবরনকে এখানে দেখে জিহ্বে কামড় দিয়ে আবার পেছনে ফিরে গেল । তারপর একটা ঢোক গিলে মনে মনে ভাবতে শুরু করল ,
– আয়হায় !! এই লোকটা এখানে কি করে এলো !! আমি স্বপ্ন দেখছি না তো ?? একবার কি নিজেকে চিমটি কেটে দেখবো ??
ভাবতে ভাবতে নিজের হাতে নিজেই জোরে চিমটি কাটলো । তারপর বুঝলো আজকে ও শেষ ।
আবরন পূর্ণতা কে এভাবে রিয়েক্ট করতে দেখে বলল ,
– কি ভয় পেলে নাকি !! ভয় তো পাওয়ার কথা না !! আর কি কি যেন বলছিলে , আরেকবার যদি বলতে তাহলে তোমার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম আরকি !!
এইটুকু বলে আবরন থামতেই পূর্ণতা ওর দিকে ভয়ে ভয়ে ঘুরে তাকালো । তারপর বলল ,
– আ আ আপনি এ এখানে কি করছেন ভা ভা ……
পূর্ণতা আবরনকে ‘ভাইয়া’ ডাকতে যাচ্ছিল , তার আগেই আবরন ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল ,
– হয়েছে আর বাকিটা বলতে হবে না । আর আমার জানা মতে তুমি তো তোতলা না , তাহলে এভাবে কেন কথা বলছো !!
আবরনের ধমকের সুরে কথা বলা শুনে পূর্ণতার জান যায় যায় অবস্থা । তারপর ও নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলল ,
– আমি বাসায় যাচ্ছি । আপনি চলে যান ।
এই বলে এক প্রকার ছুটেই চলে যেতে নিচ্ছিল পূর্ণতা , কিন্তু তার আগেই আবরন পূর্ণতার হাত ধরে ওকে টান দিয়ে থামিয়ে দিয়ে বলল ,
– সে কি ! প্রথম তোমাদের বাড়িতে এলাম ! আপ্যায়ন করবে না ?? তোমরা কি অতিথি এলে খালি মুখে ফিরিয়ে দাও নাকি ??
আবরনের এমন আচরনে পূর্ণতা কি বলবে ভেবে না পেয়ে বলল ,
– ঠিক আছে , বাসায় চলুন ।
আবরন ঠোঁটে বাকা হাসি দিয়ে বলল ,
– এখানে আরেকটু থাকি ??
আবরনের রিয়েকশন দেখে পূর্ণতার কেমন কেমন যেন লাগছে , তবুও বিষয়টা চাপা দিয়ে বলল ,
– তো থাকুন , আমি গেলাম ।
এই বলে পূর্ণতা চলেই যাচ্ছিল । তখন আবরনও পূর্ণতার পিছু পিছু ছুটে গিয়ে বলল ,
– এই দাঁড়াও , আমিও আসছি ।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিং বেল বাজাতেই মিলি রহমান এসে দরজা খুলে দিয়ে দেখলেন পূর্ণতা দাঁড়িয়ে, সাথে একটা ছেলে । পূর্ণতা বলল ,
– আম্মু , তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিই । উনি হচ্ছেন শাহরিদ আহনাফ আবরন । আমাদের মেডিক্যালের ভিপি ।
আর আবরন ভাইয়া , উনি আমার আম্মু ।
আবরন সালাম দিতেই মিলি রহমান সালাম নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন ,
– কেমন আছো বাবা ? এসো ভেতরে এসো । বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি ?
আবরন ভিতরে ঢুকতেই পূর্ণতা পেছন থেকে ভিতরে ঢুকে দৌড়ে নিজের রুমে ঢুকে গেল ।
মিলি রহমান ওকে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে বলল ,
– বাবা , তুমি কোন বর্ষে কি বিষয়ে ডাক্তারি পড়ছো ?
– এই তো আন্টি মেডিসিন বিষয়ে ইন্টার্নি করছি বর্তমানে ।
– বাহ , খুব ভালো । তা একা এলে যে , বাবা মা কে নিয়ে আসতে !!
– আম্মু তো বাসায় ব্যস্ত , আর বাবা তো অফিসের কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছে ।
– ওও , কি করে তোমার বাবা ??
– বাবা তো চৌধুরী গ্ৰুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক , তাই কাজের সূত্রে অনেক জায়গায় যেতে হয় ।
মিলি রহমান অবাক হয়ে বললেন ,
– সেকি !! মিঃ চৌধুরীর ছেলে তুমি ??
– হ্যা । উত্তেজিত হবেন না আন্টি , আমার মা আমাকে অন্য ভাবে বড় করেছেন তাই আমি চৌধুরীর ছেলে হওয়া নিয়ে গর্ববোধ করি না । আমাকে যেমন দেখছেন আমি তেমনি ।
– মাশাআল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ । আল্লাহ তোমার ভালো করুক । আচ্ছা তুমি বসো , আমি একটু খাবারের ব্যবস্থা করি ।
আবরন হেসে বলল ,
– তা করতে পারেন । আমি নিষেধ করবো না । তবে জিব্রান ভাইয়া কোথায় যদি একটু বলতেন !
– জিব্রানের সাথে আগেই পরিচয় বুঝি ?
– হ্যা , আন্টি ।
– জিব্রান তো ওর রুমে , মনে হয় শাওয়ার নিচ্ছে । আমি পূর্ণ কে বলে দিচ্ছি , ও তোমাকে ঘর ঘুরিয়ে দেখাবে ।
এই বলে মিলি রহমান পূর্ণতা কে ডাক দিল ।
পূর্ণতা নিজের রুমে গিয়ে সবেই শাওয়ার নিবে বলে বাথরুমে ঢুকছিল ।
মিলি রহমানের ডাক শুনে থেমে গিয়ে তার ডাকে সাড়া দিতেই দেখল মিলি রহমান রুমে এসেছে । মিলি রহমান পূর্ণতার কাছে এসে বলল ,
– আবরনকে একটু জিব্রানের রুমে নিয়ে যা তো !
পূর্ণতা ভ্রু কুচকে বলল,
– ভাইয়া তো শাওয়ার নিচ্ছে ।
– তুই নিয়ে যা । বের হলে কথা বলবে ।
পূর্ণতা মনে মনে ভাবছে ,
– আয়হায়, কি এমন কথা বলবেন উনি !! আমি যে উনাকে কুফা বলেছি তা আবার বলে দেবেন না তো !!
– কিরে !! কি এত ভাবছিস ! আমি গেলাম । এখন লাঞ্চ টাইম , ছেলেটাকে খালি মুখে তো আর যেতে দেওয়া যায় না ! তার উপর আবার চৌধুরীর ছেলে এবং সেই সাথে তোদের ভার্সিটির ভিপি ।
পূর্ণতা মিলি রহমানের কথা শুনে যেন ৪৪০ ভোল্টের ঝটকা খেল ।
মিলি রহমান চলে গেলেন রান্না ঘরের দিকে ।
পূর্ণতা বসার ঘরের দিকে ধীর পায়ে হেঁটে গিয়ে দেখল আবরন ফোনে স্ক্রলিং করছে ।
তারপর ওকে কি করে ডাকবে সেই বিষয়ে দাঁড়িয়ে গবেষণা করছিল ঠিক তখনই আবরন মুচকি হেসে বলল ,
– কিছু বলবে ?
পূর্ণতা হকচকিয়ে গিয়ে দেখল আবরন ওর দিকেই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । পূর্ণতা বলল ,
– চলুন , ভাইয়ার রুমে । ভাইয়া এতক্ষনে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে ।
আবরন সোফা থেকে উঠে বলল ,
– চল ।
জিব্রানের রুমের দরজা পর্যন্ত গিয়ে পূর্ণতা থামল । আবরন ওর পিছনে ছিল । পূর্ণতা পিছনে ঘুরে তাকাতেই আবরনের থিতুনির সাথে বারি খেল ।
পূর্ণতা কপালে ব্যথা পেয়ে কপাল ডলতে শুরু করল ।
আবরন হেসে পূর্ণতার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল ,
– নিজের দোষে নিজে ব্যথা পেয়েছো । এখন আবার আমাকে “কুফা” বলো না যেন !!
পূর্ণতা গাল ফুলিয়ে সাহস করে বলেই ফেলল ,
– আপনি সত্যিই একটা কুফা ।
এই বলে সেখান থেকে চলে যাচ্ছিল কিন্তু আবরন ওর হাতের ড্যানা ধরে টেনে ধরে চোখ পিট পিট করে বলল ,
– ভাইয়ার দরজা কি আমি নক করবো ! বিষয়টা কেমন দেখায় না ??
পূর্ণতা আবরনের কথা মতো জিব্রানের রুমের দরজায় টোকা দিয়ে বলল ,
– ভাইয়া ! ভাইয়া !
জিব্রান ভেতর থেকে পূর্ণতার গলা শুনে বলল ,
– হ্যাঁ পুচকি , ওয়েট কর । খুলছি ।
আবরন জিব্রানের কথা শুনে দাঁত কেলিয়ে পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে বলল ,
– তা পুচকি ! তোমার ভাইয়া কি জানেন তার বোন যে বড় হয়ে গিয়েছে ? তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে ?
– হুহ ! আমি বিয়ে করবো না । আগে ভাইয়ার বিয়ে খাবো । আর সব ভাইদের কাছে তার বোন বড় হলেও ছোটই থাকে ।
– তাই নাকি ! যদি ভাইয়ার বিয়ের আগে তোমাকে কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলে !!
পূর্ণতা আর জবাব দিতে পারল না তার আগেই জিব্রান দরজা খুলে ওদের কে বাহিরে দেখে হেসে বলল ,
– আরে , কে এসেছে আমাদের বাসায় ??
আবরন জিব্রানকে বলল ,
– ভাইয়া , আপনার বোন নাকি আপনাকে বিয়ে করিয়ে তারপর নিজে বিয়ে করবে !!
জিব্রান পূর্ণতা কে চেতাতে হেসে বলল ,
– ধুর , আমার বোনকে আমি বিয়ে দিয়ে দেব !
পূর্ণতা ঠোঁট উল্টে বলল ,
– বাহ ! এখনই পর করে দেওয়ার কথা ভাবছো ?
আবরন আর জিব্রান একসাথে হেসে উঠলো ।
– হাসো হাসো আমার উপরেই তো হাসবে !
এই বলে নিজের রুমের দিকে চলে গেল গোসল করবে বলে ।
………………………………………………..
দুপুরে সবাই লাঞ্চ করতে বসেছে । মিলি রহমান নিজে আবরনকে বেরে খাওয়াচ্ছেন । তারপর বললেন ,
– অনেকদিন পর আমাদের বাসায় মেহমান এসেছে !
আবরন বলল ,
– কেন ! ঢাকায় কোনো রিলেটিভ থাকে না ?
জিব্রান বলল ,
– না । আমাদের চৌদ্দ গোষ্ঠীর সবাই ফ্রান্সে স্যাটেলড । শুধু আমার আম্মু ই আমাদের নিয়ে বাংলাদেশ পড়ে আছে । আর নানা নানু অনেক বছর আগে মারা গিয়েছেন । তখন পূর্ণ হয় নি । আমি ছোট ছিলাম । একমাত্র ছোট খালা আছে , সে সিলেট থাকেন । বছরে এক বার সময় করে গিয়ে ঘুরে আসি । আম্মুরা এই দুইবোন ই ।
আবরন বলল ,
– আপনাদেরও কি ফ্রান্সে সেটেলড হওয়ার ইচ্ছা ?
মিলি রহমান বললেন ,
– না । আমার পূর্ণকে ঢাকা মেডিক্যাল এ পড়াবো বলে আমি কোথাও যাই নি , ভবিষ্যতে যাবো কি না জানি না । তবে জিব্রান যাবে ওর বাবার সাথে বিজনেস দেখা শোনা করতে । তবে তার আগে আমরা চাই পূর্ণতা কে এমন একজনের হাতে তুলে দিতে যে ওর পড়াশোনা টা চালিয়ে যেতে দিবে , ওকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে দিবে । ওর পাশে থেকে ভালোবেসে আগলে রাখবে ।
পূর্ণতা খাচ্ছিল , হঠাৎ মায়ের মুখে এমন কথা শুনে খাবার তালুতে উঠে যেতেই কাশি দিতে শুরু করলো । জিব্রান জলদি পানি এগিয়ে দিতেই পূর্ণতা ঢক ঢক করে সব পানি খেয়ে নিল । জিব্রান বলল ,
– রিল্যাক্স !!
পূর্ণতা পানি খেয়ে কান্না করে দিয়ে বলল ,
– বাহ ! সবাই দেখছি আমাকে পর করে দিতে উঠে পড়ে লেগেছো ! আমি আর একটুও খাবো না । তোমরাই খাও ।
এই বলে পূর্ণতা কাদতে কাদতে উঠে চলে গেল ।
জিব্রান বলল,
– যাস না পূর্ণ । কথা শোন !
মিলি রহমান ও ডাকলেন , কিন্তু পূর্ণতা কারো কথায় কান দিল না । নিজের রুমের দরজা ভিতর থেকে লক করে কাদতে শুরু করলো ।
আবরন খাওয়া ছেড়ে উঠে বলল ,
– আপনারা যদি অনুমতি দেন , আমি ওকে আবার এখানে নিয়ে আসতে পারি । কারন ভার্সিটির সিনিয়র হিসেবে ও আমাকে ভয় পায় ।
জিব্রান বলল ,
– দেখো , পারো কিনা !
আবরন হাত টা ধুয়ে পূর্ণতার রুমের সামনে গিয়ে দরজা টোকা দিয়ে বলল ,
– জুনিয়র , তুমি নিশ্চয়ই শুনেছো সিনিয়দের রেস্পেক্ট না করলে আমি তাকে কি কি করতে পারি ! এখানে এখন আমি সিনিয়র, তুমি জুনিয়র । আমার কথা শুনতে তুমি বাধ্য । এই মূহুর্তে রুম থেকে বের হয়ে আবার আগের জায়গায় গিয়ে খেতে বসবে । নাহলে আমি কিন্তু এক্ষনি বরপক্ষ ডেকে তোমার বিয়ে ব্যবস্থা করবো ।
তোমার সামনে দুইটা রাস্তা । ২ মিনিট সময় দিচ্ছি । ভেবে নাও । আমি এখানে আছি ।
পূর্ণতা আবরনের কথা শুনে………….
#চলবে ♥️
বিঃদ্রঃ অনেক কষ্টে সময় ম্যানেজ করে এইটুকু লিখলাম । প্লিজ , কেউ অভিমান করবেন না । পূর্ণতা আবরনের এই জল কতদূর গড়ায় তা দেখতে সাথেই থাকুন । আর ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ । ♥️