#ভিলেন
#পর্বঃ১৫
লিখনীঃ Gazi Snigdha Hossain Mona (মনা)
মেয়েগুলি মেঘলাকে নিয়ে গেলেও মেঘলা সাজতে রাজি না…তাই মেয়েগুলি নীরব কে ডেকে আনলো।
নীরবঃ সমস্যা কি? সাজতে চাইছো না কেন?
মেঘলাঃ কেন সাজব?
নীরবঃ কারন আছে তাই সাজবে…
মেঘলাঃ সেই কারনটা কি?আমি সেটাই জানতে চাচ্ছি.
নীরবঃ বাসায় গেলেই জানতে পারবে…
মেঘলাঃ আমি জানতে চাই না,সাজতেও চাই না
নীরবঃ ন্যাকামু বন্ধ করো আমি আকাশ নই যে তোমার ইশারায় চলব.. এমন কেন করছো? চুপচাপ রেডি হয়ে নাও…
মেঘলা সামনে থাকা জিনিসপত্র গুলি ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলল আমি বল্লাম না আমি সাজব না…??
নীরবঃ তাহলে কি তুমি চাচ্ছো আমি তোমার ড্রেস চেঞ্জ করে দেই…???
মেঘলাঃ ম ম ম মা মানে কি?
নীরব মেয়েগুলিকে উদেশ্য করে বলল আপনারা বাইরে যান আমি নিজেই রেডি করে নিচ্ছি…
মেয়েগুলি চলে যেতে চাইল
মেঘলাঃ না…..তোমরা যেও না। আমি সাজব।
নীরব শয়তানি হাসি দিয়ে বলল গুড গার্ল..
নীরব বাইরে চলে গেল…
কিছুক্ষনের মধ্যেই মেঘলা রেডি হয়ে গেল।
নীরবঃ বাহ খুব দেখাচ্ছে তোমাকে…
চলো এবার যাওয়া যাক..
মেঘলাঃ ভাইয়া যদি থাকত আমার সাথে এমন করার জন্য আপনাকে মেরে ফেলত…
নীরব হেসে বলল সে জন্যেই তো নেই…
আজ যে তোমার জন্মদিন সেটাও তো ভুলে গেছে তোমার ভাইয়া…
কথাটা শুনে মেঘলা যেন প্রাণ ফিরে পেল…
মেঘলাঃ তারমানে আমায় বিয়ে করতে নিয়ে যাচ্ছে না…এটা ভেবে মনে মনে শান্তি পেল মেঘলা
নীরবঃ এবার যাই…??
মেঘলা আর আপত্তি করল না।
নীরব মেঘলার বাসায় না গিয়ে নিজের বাসায় গেল আর বাসার সামনে এসে মেঘলাকে বলল,
নীরবঃ বাড়ি ভর্তি গেস্ট আমি চাইনা তুমি কোন সিনক্রিয়েট করো। চুপচাপ কেক কাটবে মজা করবে চলে যাবে।তাহলে আমি তোমাকে কোন জোর করব না তানাহলে এমন কিছু হবে যার জন্য আমি দায়ী থাকব না। তাই নিজের ভাল চাইলে কোন ঝামেলা করবে না বলে দিলাম…
আর তোমার বাবা মা এখানেই আছেন তারা তুমাকে পার্টির ব্যাপারে আগে জানায় নি কারন তুমি হয়ত এই বাসায় পার্টিতে রাজি হতে না…
মেঘলাঃ না কোন ঝামেলা করব না…
বিয়ে তো হচ্ছে না তাহলে ঝামেলা কেন করব (মনে মনে)
মেঘলাকে নিয়ে নীরব ভিতরে গেল…
মেঘলা এখানে কাওকেই চিনে না আর সে সাজগোছ করেছে তাই একটু অস্বস্তিতে পড়ে গেল…
নীরব ফিসফিস করে বলল খারাপ লাগলে আমার রুমে আসতে পারো…!!
মেঘলা কিছু বলল না।
নীরব মেঘলার হাত ধরে উপড়ে নিয়ে গেল।
নীরবঃ তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি বলে বাইরে চলে গেল..
নীরব তার মার রুমে গেল গিয়ে দেখল মেঘলার বাবা মাও সেখানে…
নীরবের মাঃ কিরে কিছু বলবি?
নীরবঃ না মানে আমি একটু ফ্রেশ হতে এসেছিলাম…
নীরবের মাঃ তোর রুমে কি হয়েছে?আর তুই মেঘলাকে আনতে যাস নি…?? কিছুক্ষন পরেই তো পার্টি তুই না গেলে গাড়ি পাঠিয়ে দে..
নীরবঃ মেঘলা আমার রুমে তাই এখানে এসেছি বলে নীরব ওয়াশরুমে চলে গেল..
মেঘলার বাবাঃ দেখো দেখো নীলু কত ভাল ছেলে তোমার মেয়ে ঘরে আছে বলে ওয়াশরুমে পর্যন্ত যায় নি কত সম্মান করে মেয়েদের…
মেঘলার মার মুখে কোন কথা নেই..
।
।
।
।
এদিকে মেঘলাঃ তুই কিভাবে আমার জন্মদিনেত কথা ভুলে গেলি ভাইয়া…?? বিদেশে গিয়ে কি তুই আমায় ভুলে গেলি একটা বারো আমার কথা তোর মনে পড়ে না?এতদিন তো কল দিস নি আজকে তো অন্তত দিতি।
আকাশ বদলে গেছে এটা ভেবেই মেঘলার কান্না করতে শুরু করল।
কিছুক্ষন পর নীরব ফ্রেশ হয়ে নিজের ঘ ম্রে এসে দেখল মেঘলা ঘুমিয়ে পড়েছে… মেঘলা সোফায় বসে বসে ঘুমাচ্ছে…নীরব দেখেই বুঝতে পারলো মেঘলা এতক্ষন কেঁদেছে…
নীরবঃ পাগলি কেঁদে কেঁদে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
নীরব মেঘলাকে ডাকল…
নীরবঃ মেঘলা এই মেঘলা উঠো…
মেঘলা চোখ খুলতেই…
নীরবঃ তোমার কি ক্লান্ত লাগছে?
মেঘলা কিছু বলল না,
নীরব মেঘলার হাত ধরে বিছানায় নিয়ে গিয়ে বলল একটু বিশ্রাম নিয়ে নাও…
মেঘলাঃ আমি আপনার বিছানায় শুব?
নীরবঃ কেন কি হবে সমস্যা কি?
মেঘলাঃ না মানে ভাইয়া তো তার বিছানায় আমি ছাড়া কোন মেয়েকে এলাউ করত না আপনিও যদি তেমন হন..
নীরবঃ তোমাকে তো এলাউ করত..তাই আমিও তুমাকে করছি শুয়ে পড়ো..
মেঘলার ক্লান্ত লাগছিল তাই তর্ক না করে শুয়ে পড়ল।
নীরব রেডি হয়ে বাইরে চলে গেল নীরব এর সব ফ্রেন্ডরা এসেছে নোরব সব ফ্রেন্ডদের সাথে মজা করছিল।
দেখতে দেখতে পার্টির সময় হয়ে গেল।
মেঘলার বাবাঃ মেঘলা কোথায় নীলু ওকে ডেকে আনো…
নীরবঃ আংকেল ও তো ঘুমাচ্ছে আর একটু ঘুমাক তারপর না হয় আসবে…
মেঘলার বাবাঃ না বাবা শুভসশীঘ্রম ভাল কাজ তাড়াতাড়ি করতে হয়….
মেঘলার মা মেঘলাকে ডেকে আনল,আর মেঘলা কেক কাটল।
কিন্তু কেক কাটার পরেই বিপত্তি ঘটল,
আকাশের বাবা হটাৎই এনাউন্সমেন্ট করলেন নীরব আর মেঘলার এনগেইজমেন্ট এর কথা…
সাথে সাথেই মেঘলা নাকুচ করে বসল…
মেঘলাঃ আমি কিছুতেই এই বিয়ে করব না…
মেগলার বাবা মেঘলার কথায় রেগে গিয়ে মেঘলাকে থাপ্পড় মারতে চাইল সাথে সাথেই নীরব তার হাত ধরে বলল আংকেল ওর সাথে আমি একটু একা কথা বলতে চাই….
আন্টি আপনি মেঘলাকে নিয়ে ভিতরে যান…
মেঘলার মা মেঘলাকে নিয়ে ভিতরে গেল…
মেঘলাঃ মাম্মাম কেউ না জানুক তুমি তো জানো আমি আকাশকে কত ভালবাসি তবুও কেন এমন করছো?
মেঘলার মাঃ আমি জানি মা কিন্তু কখনো কখনো আমরা সবাই অসহায় হয়ে যাই… আমিও চাই তোর আকাশের সাথেই বিয়ে হোক তাই বলছি তুই এই এনগেজমেন্ট এ রাজি হয়ে যা।দেখ মা তোর বাবা তোকে বিয়ে দিয়েই ছাড়বে তাই এটাই ভাল হবে যে তুই এনগেইজমেন্টে রাজি হয়ে যা।
তাহলে অন্তত আকাশকে সারাজীবনের জন্য হারাতে হবে না…
মেঘলাঃ তার মানে কি আমি তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না…!!!
নীরবঃ আন্টি ঠিকি বলছে মেঘলা তুমি এই এনগেইজমেন্টে রাজি না হলে তোমার বাবা জোর করে হলেও তোমাকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে তার ধারনা তোমাকে এ বাড়িতে পাঠাতে পারলে তুমি আমার সাথে থাকতে থাকতে সব মেনে নিবে।
কিন্তু আমি তোমার আর আকাশের কথা ভেবে আংকেল কে বলেছি যেন শুধু এনগেইজমেন্ট করে তাহলে তুমি আরো কয়েক বছর সময় পাবে তার মধ্যে আকাশ চলে আসবে…
বিয়ে আর এনগেইজমেন্ট তো এক কথা নয় তাই না?
এবার তুমি ভেবে নাও তুমি কি করবে? তুমি ত জানই তুমি এখন কত টা অসহায় আর আকাশও দেশে নেই তাই মৃত্যু ছাড়া তোমার বিয়ে আর কেউ আটকাতে পারবে না।আর মরে গেলেও তো আকাশ কে পাবে না তাই না?এখন বলোত আমার বউ হয়ে আমার বেড পার্টনার হওয়াটা ভাল নাকি সোসাইড করে কবরে থাকা ভাল নাকি আকাশকে নিজের করে পাওয়ার জন্য কয়েকবছর একটা রিং পড়ে থাকা ভাল?
মেঘলার মাঃ নীরব তোকে এতটা সুযোগ দিতে চাচ্ছে মা তুই আর মানা করে নিজের বিপদ নিজে আর বাড়াস না মা।
মেঘলাঃ আমি আকাশের জন্য সব করতে পারব ওর জন্য শুধু আংটি কেন গলায় ফাঁস পড়তেও রাজি….আমি এনগেইজমেন্টে রাজি….
।
।
।
।
।
চলবে…!!!
(নীরব কি সত্যিই এতটা ভাল নাকি এর পিছনেও কোন উদ্দেশ্য আছে)