#ভিলেন
#পার্টঃ৩০
#লেখনীঃ Gazi Snigdha Hossain
মেঘলা ঘুম থেকে উঠেই আকাশের ঘরে গেল…
আকাশ গভীর ঘুমে কিন্তু মেঘলার সেদিকে কোন খেয়াল নেই মেঘলা গিয়ে আকাশ কে টানতে শুরু করল।
মেঘলাঃ উঠ বলছি উঠ…
আকাশ ঘুম ঘুম অবস্থায় চোখ বন্ধ রেখেই বলল,
আকাশঃ উফফ কি হচ্ছে কি মেঘলা? যা এখান থেকে
মেঘলাঃ উঠ বলছি
আকাশ এবার রেগে গিয়ে উঠে বসল.
আকাশঃ তোর সাহস হয় কি করে আমার ঘুম ভাংগানোর? তোকে বলেছি না আমার রুমে আসবি না…তবুও এসেছিস তাও আবার আমার ঘুম ভেংগে দিলি।
মেঘলা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আকাশ চেঁচাতে শুরু করে দিয়েছে…
আকাশঃ মা, ছোট মা, নাবিল কোথায় সবাই একবার আমার ঘরে এসো ত…
মেঘলাঃ ওদের ডাকছিস কেন আমি ত একটা কথা বলতে এসেছি…
আকাশ মেঘলার কথায় কান না দিয়ে সবাইকে ডেকে আনল…
আকাশের মাঃ কি হয়েছে আকাশ?
আকাশঃ কি হয়নি সেটাই বলো… নিজের ঘরে একটু শান্তিতে ঘুমানো যায় না কেমন বাসা এটা.
আকাশের মাঃ কেন ঘুমাতে মানা করেছে কে? যত ইচ্ছা ঘুমা।
আকাশঃ এমন জনজেন্ত একটা আপদ থাকলে কিভাবে ঘুমাব…এত খারাপ মেয়ে আমি কখনো দেখি নি।
নাবিলঃ আকাশ কি সব বলছিস?
আকাশঃ কি ভুল বলেছি? ওকে বারবার নিষেধ করার পরেও এখানে কি চায় জিজ্ঞাস কর। শরীরে এতই যদি চাহিদা থাকে রাতে সেজেগুজে রাস্তায় দাঁড়ালেই ত পারে..আমার কাছে কি?
মেঘলা এতক্ষনে কেঁদে ফেলেছে…
আকাশের কথাগুলি আর সহ্য হল না তাই চলে গেল…
কিন্তু তাতেও শান্তি পেল না আকাশের ঘর থেকে বের হতেই নিলিমার সাথে দেখা..
নিলিমাঃ তোমার কি লজ্জা নেই?
মেঘলা কোন উত্তর দিল না।
নিলিমাঃ আকাশ এত এত অপমান করে তাও ওর কাছেই যাও আমাকে এভাবে একবার বল্লে সারাজীবন আর ওর মুখ দেখতাম না তোমার কি কোন আত্মসম্মান নেই।
মেঘলাঃ আকাশ আমাকে ভালবাসে খুব ভালবাসে তাই ওর অপমান আমার গাঁয়ে লাগে না।
নিলিমাঃ লাইক সিরিয়াসলি?আকাশ তোমাকে ভালবাসে? তা কি দেখে তোমার এটা মনে হল।
মেঘলাঃ সেটা দেখার মত চোখ তোমার নেই আদর যে করে অপমান করার যোগ্যতাও সে রাখে..আশা করছি বুঝাতে পেরেছি
নিলিমাঃ আকাশ তোমায় নয় আমায় ভালবাসে
মেঘলাঃ আকাশ কুসুম চিন্তাভাবনা করা বাদ দাও, আমি জানি ভাইয়া কখনই তোমাকে বিয়ে করবে না ও শুধু আমাকে ভালবাসে
কথাগুলি বলেই মেঘলা চলে গেল..
।
।
।
।
।
কিছুক্ষন পর মেঘলা নিচে কাজ করছিল আর সবাই বসে ছিল তখন আকাশ আসল।
রুবিনা বেগমঃ আকাশ আয় বস তোর কথায় হচ্ছিল।
আকাশঃ আমার কি কথা।
রুবিনা বেগমঃ তুই ত তোর কম্পানির উদ্বোধন করতে যাচ্ছিস তো পার্ট দিবি না?
আকাশঃ আমার কোম্পানি আরও দুই বছর আগেই লঞ্চ হয়েছে মা.তখন আমি ছিলাম না এখন এসেছি এটাই শুধু নতুন,এক্সপার্ট ইমপোর্ট এর বিজনেস যেকোন দেশ থেকেই অপারেট করা যায় তাই আসার প্রয়োজন হয় নি আগে মেইন অফিদ uk তে ছিল এখন এখানে হবে এই তো আর কিছু না তার জন্য পার্টির কি দরকার?
রুবিনা বেগমঃ সে যাই হোক তুই সাকসেস হয়ে দেশে ফিরেছিস তার একটা পার্টি আমি দিবই।
আকাশঃ তুমি চাইলে দিতেই পারো তাতে আমার কি বলার আছে…
বলে আকাশ বাইরে চলে গেল।
নিলিমাঃ থাংক্স খালামনি..
রুবিনা বেগমঃ চিন্তা করিস না এই গেট টুগেদার এই আমি তোর আর আকাশের বিয়ের এনাউন্সমেন্ট করে দিব(ফিসফিস করে)
বাড়িতে সাজ সাজ রব সবাই খুব খুশি বাড়িতে সব আত্মীয়রা আসতে শুরু করেছে। আকাশের একটু সন্দেহ হল কারন পার্টিতে ২ দিন আগে থেকে সব আত্মীয়রা আসছে…কিন্তু এতটা গায়ে মাখল না ভেবেছে তার মা সবাইকে ছেলের সাকসেসটা দেখাতে চায়…
মেঘলাও খুব খুশি সবার সাথে বেশ মজা করছে কারন সে সহ বাড়ির কেউ এই জানে না এই পার্টি কিসের জন্য হচ্ছে..
।
।
।
।
পার্টির আর একদিন বাকি..বাড়িভর্তি আত্মীয় স্বজন…
মেঘলা এদিক দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ দেখল নিচে সবাই বসে আছে আর একজন অনেক কাপড় চোপড় নিয়ে এসেছে।
মেঘলা যখন নিচে যেতে চাইল তখন নিলিমা এসে মেঘলার হাত ধরল।
মেঘলাঃ নিচে কি হচ্ছে আপু..??
নিলিমাঃ পার্টির জন্য সবার শপিং হচ্ছে
মেঘলাঃ ওহ আচ্ছা..
নিলিমাঃ তুমিও একটা ড্রেস নিবে নাকি?
মেঘলাঃ না আমার ড্রেস আছে তো..
নিলিমাঃ আচ্ছা মেঘলা একটা গেম খেলবে..
মেঘলাঃ কি গেম?
নিলিমাঃ চল আজ প্রমান হয়ে যাক আকাশ তোমায় ভালবাসে নাকি আমাকে?
মেঘলাঃ মানে?
নিলিমাঃ সেদিন ত খুব বড় মুখ করে বললে আকাশ নাকি তোমায় ভালবাসে..
মেঘলাঃ বাসেই তো…
নিলিমাঃ ঠিক আছে চল তাহলে আজ তুমি আর আমি সেইম ড্রেস পছন্দ করব তারপর দেখব আকাশ কাকে কিনে দেয় যদি তোমায় দেয় বুঝব তোমায় ভালবাসে…
মেঘলাঃ এটা কেমন চ্যালেঞ্জ..??
নিলিমাঃ ভয় পাচ্ছো নাকি? আরে যে যাকে ভালবাসে তার পছন্দের জিনিস নিশ্চুই অন্য কাউকে দিয়ে দিবে না আর যদি চ্যালেঞ্জ নিতে না পারো তাহলে মেনে নাও আকাশ তোমায় নয় আমায় ভালবাসে…
যদিও মেঘলা এসব চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি ছিল না কিন্তু নিলিমার চাপে পরে রাজি হল…
তারপর ২ জন মিলে একটা ড্রেস পছন্দ করল…
মেঘলাঃ এটা আমি নিব
সাথে সাথেই নিলিমাও একই ড্রেস ধরে বলল না এটা আমি নিব..
২ জন মিলে টানাটানি শুরু করে দিয়েছে…
নেহাঃ আহ তোরা এসব কি করছিস বাচ্চাদের মত অনেক তো ড্রেস আছে একজন এটা নে আরএকজন অন্যটা নে…
মেঘলাঃ আমি এটাই নিব।
রুবিনা বেগম রেগে গিয়ে বলল এটা নিলিমা পছন্দ করেছে তাই এটা নিলিমাই নিবে।
মেঘলাঃ না আমি দিব না বলে ড্রেস টা নিজের দখলে নিয়ে নিল।
নিলিমাঃ মেঘলা জামাটা দাও বলছি আমার এটা চাই ই চাই।।
মিলিঃ উফফ মেঘলা দিয়ে দে না।
নাবিলের মা দেখল সবাই মেঘলার উপড় ক্ষেপে যাচ্ছে তাই মেঘলার কাছে এসে বলল,
ছোট মাঃ এমন করে না মা দেখ বড় মা রাগ করছে নিলিমা আমাদের গেস্ট না এটা দিয়ে দে আমরা বাইরে গিয়ে আরও ভাল ড্রেস নিয়ে আসব কেমন?
মেঘলাঃ না না না আমার এটা চাই।
চেঁচামেচি শুনে আকাশ আর নাবিল ২ জনে সেখানে আসল।
আকাশঃ কি হয়েছে এত চেঁচামেচি কিসের?
নেহাঃ দেখ না নিলিমা একটা ড্রেস পছন্দ করেছে মেঘলা বলছে ওটা নাকি মেঘলা নিবে।
মেঘলাঃ মিথ্যা কেন বলছো আমি আগে নিয়েছি।তাই এটা আমার।
আকাশঃ আগে নিয়েছিস ত কি হয়েছে..??
মেঘলাঃ আমার পছন্দ হয়েছে আমি নিব।
আকাশঃ এটাকে পছন্দ বলে না জেদ বলে সবাই চাচ্ছে নিলিমা নিক তাহলে দিয়ে দে একটা ড্রেস না নিলে কি এমন হবে?
মেঘলাঃ আমি দিব না…
আকাশঃ বাচ্চাদের মত এসব কি করছিস মেঘলা?
মেঘলাঃ বলেছি না আমি দিব না…
রুবিনা বেগমঃ মেঘলা বাড়াবাড়ি করছিস ওটা নিলিমায় নিবে।
আকাশঃ দিয়ে দে মেঘলা…
মেঘলা প্রায় কেঁদে ফেলেছে দেখে আকাশ ক্ষেপে গেল।
আকাশঃ তুই কি এখনো ছোট আছিস? যতসব তুই কখনো কাওকে কিছুর ভাগ দিতে চাস না একদম একরুখো সেক্রিফাইস করতেই শিখিস নি এগুলা একদম ঠিক না..
মেঘলাঃ সবাই শুধু আমাকে দিতে বলছে কেউ ত একবারো বলছে না মেঘলা নিক নিলিমা আপু অন্যটা নিক.আমি কারোর কথা শুনব না এটা আমি নিব।
আকাশঃ টাকা আছে তোর? নিতে পারবি ড্রসটা কিনতে পারবি?সেই ত কারোর দয়া ভিক্ষা করতে হবে তাও এত বড় বড় কথা কি করে বলছিস?
মেঘলাঃ আমি এটা নেই প্লিজ ভাইয়া তুই এটা আমাকে কিনে দে… কথা দিচ্ছি আর কখনো কিছু চাইব না।
আকাশ মেঘলার কথা না শুনেই মেঘলাকে একটা থাপ্পড় মারল।
আকাশঃ আমার কথার উপড়ে কথা বলার সাহস হয় কি করে তোর ফকিন্নি কোথাকার…
মেঘলা এক হাতে গাল ধরে আছে অন্য হাতে ড্রেসটা।
আকাশ মেঘলার কাছ ড্রেস টা কেড়ে নিয়ে নিলিমাকে দিয়ে দিল।
নিলিমাও হাসতে হাসতে ড্রেস টা নিয়ে নিল।
মেঘলার কান্না পাচ্ছে তাই সেখান থেকে চলে গেল।
নাবিল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব টা দেখল..
তারপর আকাশের কাছে এসে বলল,
নাবিলঃ কাজ টা ঠিক করলি না আকাশ জানিস ত মেঘলা এমনই পরিস্থিতি হয়ত বদলে গেছে তাই বলে মেঘলার মন টা বদলায় নি…আর বাকি রইল বাচ্চাদের মত আচারন.. মেঘলা নিলিমার চেয়ে অনেক ছোট নিলিমা চাইলেই পারত ড্রেস টা ওকে দিতে।।
বলে নাবিল মেঘলার ঘরে চলে গেল।
আকাশ কি বলবে বুঝতে পারছে না…সেও নাবিলের পিছন পিছন গেল
।
।
।
।
নাবিলঃ আসব..
মেঘলা চোখ মুছতে মুছতে বলল, হ্যা আয় কিছু লাগবে ভাইয়া…?
নাবিলঃ তুই কাঁদছিলি..
মেঘলাঃ কই নাতো।
নাবিলঃ তোর চোখে পানি দেখতে পাচ্ছি।
মেঘলা অভিনয় করে বলল, চোখে কিছু একটা পড়েছে জানিস ভাইয়া
নাবিলঃ আমার সাথে মিথ্যা বলছিস মেঘলা?
মেঘলা এবার হাওমাও করে দিল।
নাবিল এগিয়ে এসে মেঘলার কাছে গিয়ে বলল, বোকা মেয়ে একটা ড্রেসের জন্য কেউ কাঁদে চল তোকে আমি এর চেয়ে ভাল ড্রেস কিনে দিব।
মেঘলা নাবিলকে জড়িয়ে ধরে বলল আমার ড্রেস চাই না রে ভাইয়া আমি হেরে গেছি আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পরাজয় হল…
নাবিলঃ বুঝলাম না একটা ড্রেসের জন্য জীবনের পরাজয়?
মেঘলাঃ আকাশ আমাকে নয় নিলিমাকে ভালবাসে..
নাবিল ব্যাপার টা বুঝল তাই মেঘলার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল ধুর পাগলি ও আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছে না তাই দিয়েছে।মন খারাপ করিস না।ও তোকেই বেশি ভালবাসে।
মেঘলাঃ সত্যি বলছিস..??
নাবিলঃ হুম সত্যি।
আকাশ দরজার পাশ থেকে দেখছে আর জ্বলছে কারন সে দেখতে পাচ্ছে নাবিল মেঘলাকে আদর করছে কিন্তু তারা কি বলছে সেটা শুনতে পাচ্ছে না…আকাশ রাগে নিজের ঘরে চলে গেল
মেঘলাঃ কিন্তু আমি যে বাজি ধরেছিলাম,
নাবিলঃ কি…?? অবাক হয়ে বলল,
হায় খোদা এই জন্যেই ত বলি ম্যাডামের এত মন খারাপ হল কেন..??
মেঘলাঃ নিলিমা শাকচুন্নি আমায় হারিয়ে দিল আমি এসব চ্যালেঞ্জ নিতে চায় নি বিশ্বাস কর…
নাবিলঃ তুই জিততে চাস?
মেঘলাঃ আর কি করে জিতব..?? হেরেই ত গেছি।
নাবিলঃ আমি তোকে জিতিয়ে দিব চিন্তা করিস না..
মেঘলাঃ সেটা কিভাবে..??
নাবিলঃ ওই শাড়ি আকাশ নিজে তোকে পড়িয়ে দিবে।
মেঘলাঃ সত্যি..
নাবিলঃ হুম,যা নিলিমাকে বলে আয় তুই চ্যালেঞ্জ এ এখুনো হারিস না।
মেঘলাঃ যাব..??
নাবিলঃ অবশ্যই চল আমিও যাচ্ছি…
নাবিলের কথা শুনে মেঘলার মন ভাল হয়ে গিয়েছে তাই মেঘলা নাবিলের সাথে হাসতে হাসতে যাচ্ছে..
মেঘলাঃ আমি জিতব কি মজা হবে..
নাবিলঃ তুই আমার বোন না তুই কখনো হারতে পারিস?তুই ই জিতবি
আকাশ রুমে বসে বসে নিজে নিজের মাথার চুল ছিড়ছে..
আকাশঃ এমন মেয়ে জীবনে দেখি নি একটু আগেই কেঁদে সমুদ্র বানিয়ে ফেলেছিল আর এখন দেখো হাসি যেন আর ধরছে না।ঠিকি আছে একটা ড্রেস দেই নি জন্যে আমি ভাল না নাবিল ভাল হয়ে গিয়েছে…
আকাশের আর সহ্য হল না,তাই মেঘলাকে ডাকল।
আকাশঃ মেঘলা আমার ঘরে আয় তো
নাবিলঃ বল পারব না…(ফিস ফিস করে)
মেঘলাঃ ডাকছে গিয়ে একটু শুনে আসি তারপর নিলিমার কাছে যাই…
নাবিলঃ না ও তোকে কষ্ট দিয়েছে না? তুই ও এবার দে।
মেঘলাঃ হুম ঠিক বলেছিস যাব না ওর কাছে।
নাবিলঃ এই ত সাহসী মেয়ে..?
আকাশঃ কিরে ডাকছি কথা কানে যায় না..??
মেঘলাঃ ব্যাস্ত আছি এখন পারব না বলে চলে গেল।
আকাশঃ আমাকে ত এখন ভালই লাগবে না দাঁড়া মজা দেখাচ্ছি।
।
।
।
।
নাবিল গিয়ে মেঘলাকে নিলিমার দিকে এগিয়ে দিল
নিলিমাঃ তারপর বলো মেঘলা হেরে কেমন লাগছে? আরো চ্যালেঞ্জ নিবে?
নাবিল মেঘলাকে ইশারা দিতেই মেঘলা বলে উঠল
মেঘলাঃ আমি হারি নি
নিলিমাঃ মানে কি..??
মেঘলাঃ ওই শাড়িটা আমিই পড়ব আর আকাশ নিজে আমাকে পড়িয়ে দিবে চ্যালেঞ্জ রইল
নিলিমাঃ তাই নাকি তা সেটা কি করে সম্ভব হবে? ম্যাজিক করবে নাকি?
মেঘলাঃ চ্যালেঞ্জ ত চ্যালেঞ্জই ম্যাজিক হবে কেন
নিলিমাঃ আবার হারবে
মেঘলাঃ দেখা যাক.
নাবিল এবার আকাশের ঘরে গেল.
নাবিলঃ আসব..
আকাশঃ না আসবি না
নাবিল ঘরে ঢুকে গেল..
আকাশঃ মানা করলাম না..?? তবুও আসছিস কেন?
নাবিলঃ দরকার আছে তাই
আকাশ নাবিল আর মেঘলা ২ জনের উপড়েই ক্ষেপে আছে,
আকাশঃ তোর সাথে আমার কোন কথা নেই যা এখান থেকে।
নাবিলঃ এখনী চলে যাব শুধু একটা অনুরোধ করতে এসেছি
আকাশঃ কিসের অনুরোধ?
নাবিলঃ ওই শাড়িটা মেঘলাকে দিয়ে দে প্লিজ।
আকাশঃ ও এই জন্য এসেছিস..
ভালো ভালো একেই বলে মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি তাহলে কান খুলে শুনে নে আমি মরে গেলেও ওই শাড়ি মেঘলাকে দিব না আর তোকেও দিতে দিব না দেখি তুই কি করে দিস..
নাবিলঃ আকাশ প্লিজ..
আকাশঃ চুপ কর আর এখান থেকে বিদায় হ আমি তোদের ২ জনের মুখ দেখতে চাই না বলে নাবিল কে ঘর থেকে বের করে দিল।
নাবিলঃ আমি ত ভেবেছিলাম আকাশ আমার অনুরোধ ফেলবে না কিন্তু ও ত আমার কোন কথায় শুনল না এখন কি করব আমি পারব ত মেঘলাকে জিতাতে?
।
।
।
।
(কি মনে হয় নাবিল কি পারবে আকাশ কে দিয়ে শাড়ি পড়াতে নাকি মেঘলা আবারও হেরে যাবে?)