#ভিলেন
#পার্টঃ৩৪
#লেখনীঃ Gazi Snigdha Hossain Mona
নাবিল ভাইয়ার সাথে বাসায় ফিরে আসলাম ঠিকি কিন্তু মনটা খুব খারাপ আমি এমনটা চাই নি।আকাশ ভাইয়া আমাকে যতই অপমান করোক ওকে অপমান করার কথা আমি চিন্তাও করতে পারি না।আমি যে ওকে ভালবাসি।
রাত হয়ে গিয়েছে ঘরে একা একা বসে আছি ভাইয়ারা এখনো ফিরে নি নাবিল ভাইয়াও আমাকে নামিয়ে দিয়ে কোথায় যেন চলে গিয়েছে।
তখনী কারোর পায়ের আওয়াজ পেলাম। পরক্ষনেই দরজা লকের শব্দ পেলাম।
ভাইয়ারা এসেছে ভেবে এগিয়ে গেলাম কিন্তু আমি ভাবতেও পারি নি গিয়ে এমন কিছু দেখব।
যে এসেছে তাকে দেখে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে সেই কালো পোষাক,মুখে মাস্ক পরা হ্যা ঠিক ধরেছেন আমি যাকে ভিলেন বলে ডাকি সেই এসেছে।
আমি উপড়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি সে বাসায় ঢুকে বাড়ির মেইন দরজা লক করে দিয়েছে…
আজ আমি বাসায় একা আর কেউ নেই এটা ভেবেই গাঁয়ে কাঁটা দিচ্ছে কি করব বুঝতে পারছি না। দেখলাম ছেলেটা এক পা এক পা করে উপড়ে উঠে আসছে কিছু ভেবে না পেয়ে তাড়াতাড়ি গিয়ে আলমারির পিছনে লুকিয়ে পড়লাম।
কিন্তু ছেলেটা উপড়ে এসে অন্যকোন দিকে না গিয়ে সোজা আমার দিকেই এগিয়ে আসছে তাহলে কি ও আমাকে দেখে ফেলেছে..?? ভয়ে হাত পা কাঁপছে…
ইঁদুরের মত গুটিশুটি হয়ে বসে আছি যেন কাপড়ের আড়ালে আমাকে দেখা না যায়।
কিন্তু ছেলেটা একদম আমার কাছে এসে আলমারির ফাঁক দিয়ে আমার দিকে একটা চিরকুট এগিয়ে দিল..
আমি ত অবাক ও কি আমায় দেখেই চিরকুট টা দিল..?? কিন্তু আমি তো কাপড় চোপড়ের ভিতরে লুকিয়ে আছি কিভাবে দেখবে আমায়?আমি আরও গুটিয়ে গেলাম।
ছেলেটা কাগজ টা ধরে রেখেই নিজের বাম হাত নিচু করে দিল। আর তার হাতের দিকে তাকিয়ে আমি যা দেখলাম তাতে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।কারন তার হাতের ঘড়িতে আমার চারপাশের সবকিছু দেখাচ্ছে আমি যে জামার পিছনে লুকিয়েছি সেটার নড়াচড়া প্রমান করছে আমি কোথায়, আমি বোকা হতে পারি কিন্তু এত বোকা নই এটার মানে আমি বুঝি।
বুঝলাম আমার গাঁয়ে কোন স্পাই ক্যামেরা আছে যা এই ঘড়ির সাথে এড করা তাই আমি যেখানে যাই না কেন এই ঘড়িতে সেটা দেখা যাবে বুঝে গেলাম এই ছেলে এতদিন কিভাবে আমার সব খবর রাখত
সাথে এটাল বুঝলাম পালানোর আর কোন উপায় নেই
অতঃপর চিরকুট টা হাতে নিলাম তাতে লিখা
” যা ভাবছো ঠিক তাই তোমার গলার চেইনে ক্যামেরা আছে তুমি কখন কোথায় যাও কি করো সবি আমি দেখি তাই শুধু শুধু লুকিয়ে লাভ নেই বের হও এখানে থাকলে গরমে সিদ্ধ হয়ে যাবে”
মেঘলাঃ না আমি এভাবে হেরে যাব না এই ছেলের উদ্দেশ্য যে খারাপ সেটা তো আমি জানি যেভাবেই হোক নিজেকে রক্ষা করতেই হবে…
তাই আলমারি টা এক ধাক্কায় খুলে ছেলেটা কিছু বোঝে উঠার আগেই দিলাম দৌড় ছেলেটাও আমার পিছন পিছন আসছে আমি দৌড়তে দৌড়তে ছাদে চলে আসলাম।
ছাদের একদম কিনারে দাঁড়িয়ে আছি। আমি একদম ছাদের গাঁ ঘষে দাঁড়িয়ে ছেলেটাকে উদ্দেশ্য করে বল্লাম
মেঘলাঃ না আসবেন আপনি আমার কাছে একদম আসবেন না আর এক পা ও আমার কাছে আসতে চাইলে আমি এখান থেকে ঝাঁপ দিব।
বুঝলাম ওষুধ কাজে লেগেছে কারন ছেলেটার চোখে আমি ভয়ের ছাপ দেখতে পেলাম।ছেলেটা একটু থেমে গিয়ে আমাকে ইশারাতে বুঝাতে চাইছে ও আমার ক্ষতি করবে না আমি যেন কিনার থেকে সরে আসি..
আমি মনেপ্রানে সিধান্ত নিয়েছি ছেলেটা বাড়াবাড়ি কিছু করলে আমি আজ নিজেকে শেষ করে দিব।
আমি সরে আসছি না দেখে ছেলেটা একটু এগিয়ে আসতে চাইল তখনী আমি আরো একটু পিছিয়ে গেলাম সাথে সাথেই ছেলেটা এই প্রথমবারের মত কথা বলল,
ভুল বল্লাম না সে কথা বলে নি বরং চিৎকার করে উঠল।সে ভেবেছিল আমি পরে যাচ্ছি।আমিও পরে যাওয়ারেই ভাব নিয়েছিলাম।
ছেলেটার প্রথম বলা শব্দ টা ছিল চিৎকার করে বলা
না মেঘলা…!!
এবার যখন আমি পড়ে যাই নি দেখে ছেলেটা আমাকে ধমকের শুরে বলে উঠল
ছেলেটাঃ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করিস সবসময়…
তার কথা শুনে আমি ত হাওয়ায় ভাসছি কারন
আমি পড়ে যাচ্ছি দেখে সে ভয়ে সব ভুলে গিয়ে নিজের আসল রুপে ফিরে এসে আমাকে ধমকাতে শুরু করে দিয়েছে।
আমার মনে ত লাড্ডু ফুটছে কারন আমার প্লেন সাকসেস হয়েছে আমি আগে থেকেই জানতাম এই ভিলেন মহাশয় কে,তার মুখোশ খুলার জন্যই পড়ে যাওয়ার অভিনয় করার প্লেন করেছিলা। আর আমার ওষুধ ম্যাজিকের কাজ করেছে দেখে খুশিতে একটা নাগিন ড্যান্স দিতে ইচ্ছে করছে না এবার আর নিজেকে আটকাতে পারলাম দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম।
ছেলেটাঃ কি হচ্ছে কি এটা..?? অসভ্য মেয়ে..
মেঘলাঃ হয়েছে হয়েছে এবার অভিনয় টা নিজের পকেটেই রেখে দে। তুই কি ভেবেছিলি আমি তোকে চিনব না…??তুই মুখ ঢেকে রাখলে কি হবে তোর চোখ আমি চিনি না? তোর টাচ, তোর কিস সবি আমি চিনি বুঝেছিস? শুধু অপেক্ষায় ছিলাম তোর নিজের মুখে স্বীকার করার। এবার বল কাহীনি কি? আমার সাথে এমন করার কারন কি?
আমি তো অনেক আগেই তোকে চিনে গিয়েছি আজ ইচ্ছে করে পড়ে যাওয়ার ভাব নিলাম যাতে তুই নিজে স্বীকার করিস।
আকাশ এবার নিজের মুখোশ টা খুলল..
আকাশঃ তুই জানতি এটা আমি..??
মেঘলাঃ শুধু তুই না তোর সাথে নাবিল ভাইও ছিল কখনো ও আসত আবার কখনো তুই…
আকাশঃ মানে কি..??
মেঘলাঃ আমাকে কি তুই পাগল পেয়েছিস নাকি? তুই আমাকে এত অপমান করিস তাও আমি তোর পিছনেই পরে থাকি এর কারন কি বুঝিস না?
আকাশঃ কি কারন..??
মেঘলাঃ আমি খুব ভাল করেই জানতাম তুই আমাকে ভালবাসিস তাই প্রতিদিন আমাকে কষ্ট দেয়ার পর আবার আদর করতে আসতি এটাও জানি তুই আমাকে মেরেছিলি জন্যে নিজেই ইচ্ছে করে নিজের হাত ভেংগে ছিল আর নাবিল ভাইয়াকেও তুই এই বলেছিলি ভিলেন সেজে আমাকে হেল্প করতে…
তুই সবার আড়ালে আমাকে আদর করতি তোর কি মনে হয় একটা ছেলে একটা মেয়েকে এসে আদর করবে আর মেয়েটা সেটা বুঝতে পারবে না? সবি বুঝেছিলাম কিন্তু কিছু বলি নি সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম তা না হলে তুই অস্বীকার করতি।
আকাশঃ তুই নাকি খুব বোকা কিছুই বুঝিস না তাহলে এখন এত ফাউল বুদ্ধি আসল কোথা থেকে?
মেঘলাঃ আকাশের কাছ থেকে ধার নিয়েছি…ওর মাহায় ফাউল বুদ্ধি ভরপুর ত তাই।
আকাশঃ কি..??
মেঘলাঃ যাক সেসব কথা শোন মেঘলা আর যাই হোক না কেব ও যে ছ্যাচড়া না সেটা তুই সেটা ভাল করেই জানিস।তুই আমাকে যে অপমান করেছিস যদি তুই ভিলেন সেজে না আদর করতে আসতি এতদিনে আমি নিরুদ্দেশ হয়ে যেতাম বুঝেছিস?
রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতাম তাও এই বাসায় থাকতাম না।তোকে এই মুখ কখনো দেখাতাম না।মেঘলার পরিস্থিতি বদলে গেলেপ মেঘলা বদলায় নি আগের টাই আছে।
আকাশঃ আমিও ত ভাবি এত গন্ডগোল কারী,রাগি বদমেজাজি, জেদি মেয়ে কিভাবে এত সহ্য করছে…?? কাহিনি কি?
মেঘলাঃ এই চুপ একদম চুপ আমি মোটেও এগুলি না আমি শান্ত,শিষ্ট নম্র ভদ্র একটা মেয়ে একদম কিউটের ডিব্বা
আকাশঃ হ্যে শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট একটা মেয়ে।
মেঘলাঃ হিংসা করে লাভ নেই এসব ছাড় আর বল ভালই যখন বাসিস বলতে অসুবিধে কিসের…আর এত অপমানেই বা করিস কেন..???
আকাশঃ ভালবাসা..?? আমি কেন তোকে ভালবাসব?
মেঘলাঃ মানে কি..??
আকাশঃ না কিছু না।।।আমি তোকে ভালবাসি না এর বেশি কিছু শুনতে চাস না কষ্ট পাবি।
মেঘলাঃ কিসের কষ্ট সবটা বলবি আমি শুনতে চাই তি এখনী বলবি
আকাশঃ আচ্ছা শুনতে যখন চাচ্ছিস তখন বলি আমি তোকে ভাল টাল কিছু বাসিনা।বিদেশ থেকে এসে দেখলাম তুই বেশ বড় হয়ে গিয়েছিস দেখতে ত আগেই সুন্দরী ছিল এখন অনেক সেক্সিও হয়েছিস তাই লোভ হল ভাবলাম বিয়ে ত নিলিমাকে করব কিন্তু ছোট থেকে যেটাকে আমি বড় করলাম সেটাকে আমি খেতে পারব না অন্যকেও খাবে…??
মেঘলাঃ ছি ছি ছি কিসব বলছিস খাবে মানে কি..
আকাশঃ খাওয়ার মানেটা তুই বুঝেছিস না বুঝলে ছি ছি বলতি না আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলতে পারি না তাই সরাসরি বলেছি।
তোকে দেখে লোভ হয়েছিল তাই মুখোশ পড়ে মজা নিতে চেয়েছিলাম ভেবেছিলাম তুই আমার কেয়ার দেখে প্রেমে পড়বি তখন ভিলেন হয়েই তোর সাথে মজা নিব আর মজা নেওয়া শেষ হলে তোকে ছেড়ে দিয়ে হারিয়ে যাব…
ভালবাসলে ত সবার সামনেই বলতাম তোকে ভালবাসি আর বিয়েও করেই যা মজা নেয়ার নিতাম কিন্তু ভাল ত আমি নিলিমাকে বাসি কিন্তু তোর লোভ টাও ছাড়তে পারছিলাম না।আসলে তোর সাথে সারাজীবন থাকার কোন ইচ্ছা আমার নেই কিন্তু তোর যৌবনের লোভ টা কিছুতেই সামলাতে পারছিলাম না তাই এমন করেছিলাম।
আকাশ কথাটা শেষ করার আগেই মেঘলা আকাশের গালে ঠাস করে থাপ্পড় মারল।
আকাশঃ বলেছিলাম না সত্যিটা জানতে চাস না কষ্ট পাবি।
মেঘলাঃ তুই ত একসময় ভালবাসতি…
আকাশঃ হুম বাসতাম কিন্তু তুই যেদিন নীরবের হাতে রিং পড়লি সেদিন তোকে কবর দিয়ে দিয়েছি…আমার মেঘলা মরে গেছে।তোকে যদি ভালই বাসতাম তুই কোমায় আছিস জেনেও তোকে কেন দেখতে গেলাম না বুঝিস না…
মেঘলাঃ না এটা হতে পারে না কিছুতেই হতে পারে না ভাইয়া তুই মিথ্যে বলছিস তাই না?বল না তুই আমাকে ভালবাসিস…
আকাশঃ বাসি না আমি তোকে ভালবাসি না।
তোকে আমার কখনই ভাল লাগত না নেহাৎ তুই আমার জন্য মরতে বসেছিলি তাই একটু মায়া লাগত তাই তোকে একটু কেয়ার করতাম তারপর আস্তে আস্তে সেই মায়াটা একটু বাড়ল ভাবলাম কাওকে না কাওকে তো বিয়ে করতে হবেই তাহলে তোকে করলে কি সমস্যা। তাই তোকে ভালবাসার কথা বললাম।কিন্তু প্রেমিকার চোখে তোকে আমি কখনই দেখি নি প্রেমিকার জন্য যে একটা টান থাকে তোর প্রতি সেটাও কখনো আমি ফিল করি নি।
মেঘলাঃ তো কাওকে না কাওকে ত বিয়ে করবিই তাহলে আমাকে করলে কি সমস্যা…
আকাশঃ হা হা হা কি বলতে চাচ্ছিস একটা চরিত্রহীন মেয়েকে আমি বিয়ে করব..???
মেঘলাঃ কে চরিত্রহীন…??
আকাশঃ অবশ্যই তুই… ৩ টা বছর নিরবের সাথে ছিলি কি কি হয়েছে কে জানে,
শোন দুনিয়ায় যদি মেয়ের অভাবও পড়ে যায় তবুও আমি তোকে বিয়ে করব না।
মেঘলা সহজে ভেংগে পড়ার মেয়ে নয় তাই নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
মেঘলাঃ এত রাগ করেছিস.??আরে আমি ত তখন অসুস্থ ছিলাম আমি কি জানি কার সাথে ছিলাম..
আকাশঃসেই জন্যেই ত বল্লাম গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবি নিরবের সাথে তোর কিছু হয় নি…??
মেঘলাঃ কি হবে..??
আকাসগঃ আমি যদি বলি নিরব তোকে দিনের পর দিন ব্যবহার করেছে… প্রমান করতে পারবি আমি ভুল বলছি…স্বার্থ ছাড়া কোন ছেলেই এতদিন কোন মেয়ের কাছে থাকবে না…
মেঘলাঃ ভাইয়া…
আকাশঃ চুপ একদম চুপ একটা কথাও বলবি না। আর শোন আজ তোর সাথে আমার কি কি কথা হল সেটাও কাওকে বলিস না বললে তোকে বাসা থেকে বের করে দিব।
মেঘলার মুখ দিয়ে আর কোন কথা বের হচ্ছে না। কারব সে এই ধাক্কার জন্য প্রস্তুত ছিলনা।
কথাগুলি বলে আকাশ চলে গেল।
মেঘলার এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদার কথা কিন্তু সে কাঁদছে না কারন আর ৫ টা মেয়ের মত মেঘলা নয়।এত সহজে ভেংগে পড়াবে না সে।এতদিন সে কান্নার অভিনয় করত। মুলত সে কারোর অপমানেই গায়ে মাখে নি কারন সে জানে তার জন্য অনেক ছেলে পাগল শুধু মুখ দিয়ে একবার বল্লেই রানী করে রাখবে তাই সে অসহায় নয় আর সে এটাও জানে তার বাবার কোটি কোটি সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধীকারী সে তাই সবাই সারাদিন বল্লেও সে ফকিন্নি হবে না। তাই কারোর কথা সে মাথায় নেয় নি। সে এই বাসায় থেকে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছে তার বাবার কাছ থেকে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল মেঘলা।
মেঘলাঃ হেরে যাওয়ার জন্য আমি পৃথিবীতে আসি নি।ভাইয়া তুই তো আমাকে শিখিয়েছিলি যুদ্ধে জিততে হলে কখনো কখনো নিজেকে পিছিয়ে নিতে হয় যাতে প্রতিপক্ষ নিজেকে বিজয়ী ভেবে অন্যনবস্ক হয়ে যায় সেই ফাঁকে শক্তি সঞ্চার করে নিয়ে সঠিক সময়ে নিজের সর্বোচ্ছ ক্ষমতা ব্যবহার করে বিজয়ী হতে হয়।আমি তোর শিক্ষা ভুলি নি আমিও এই যুদ্ধে জয়ী হব যারা যারা আমার সাথে অন্যায় করেছে আমি সব শোধ নিব ভাইয়া।
আমাকে শুধু শুধু কেন বোকা বানানোর চেষ্টা করছিস তোর যদি আমাকে ভোগ করারেই ইচ্ছে থাকত তাহলে এতদিন ভোগ করলি না কেন? যদি আমাকে ভাল নাই বাসে নাবিল ভাইয়ের সাথে আমাকে দেখে তোর কেন হিংসা হবে…?? যে আমি তোর চোখের সামনে ছেলেদের সাথে প্রেম করতাম তখন আমার সাথে থাকতি আমি মা হতে যাচ্ছি জেনেও আমাকে ছাড়তে পারিস নি আর আজ আমি অসুস্থতার সময় কার সাথে ছিলাম সেটার কথা ভেবে তুই আমাকে ছেড়ে দিবি আর আমি সেটা বিশ্বাস করব মেঘলা এতই মাথা মোটা হয়ে গেছে?
মেঘলা এতই বদলে গেছে নাকি যে তোর মনের কথা না শুনে মুখের কথা শুনবে? তোকে কেউ না বুঝলেও মেঘলা বুঝে জানিস না সেটা….??আমি তোর চোখে আমার পড়ে যাওয়ার ভয় দেখেছি তোর চোখ বলছিল তুই আমায় ভালবাসিস তোর মন বলছিল তুই আমাকেই ভালবাসিস কিন্তু মুখে কেন বলছিলি না সেটাই শুধু বুঝলাম না…
তুই আমার সাথে রাগ করেছিস তাই না? কিন্তু কি নিয়ে এত রাগ করলি..??আচ্ছা ব্যাপার না তুই যদি ত্যাড়া হোস আমিও তবে ঘাড় ত্যাড়া
আমি তোর মনের কথা টানতে টানতে বাইরে নিয়ে আসব আমি তোর মুখে বলিয়ে ছাড়ব তুই মেঘলাকে ভালবাসিস শুধু মেঘলাকেই ভালবাসিস….!!!
।
।
।
চলবে…!!!