ভিলেন পার্টঃ৬২

0
3999

#ভিলেন
#পার্টঃ৬২
#লিখনীঃ mona hossain

(অবাস্তব,অসামাজিক,অবান্তর গল্প পড়ার মন মানসিকতা যদি তাকে তবেই গল্পটা পড়ুন অন্যথায় প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আসতে পাড়েন গল্পটি আপনার জন্য উপযুক্ত নয় তাই গল্পটি পড়ে নিজের সময় আর আমার লিখার মোড কোনটাই নষ্ট করবেন না প্লিজ )

আকাশঃ কোন নাটক করবি না চুপচাপ থাকবি বুঝেছিস?

মেঘলাঃ আচ্ছা চল

মেঘলা আকাশের কথা মত কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেও বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর,

মেঘলাঃ জানিস আমার সৎ মা খুব খারাপ আমাকে সারাদিন কাজ করাবে আমাকে দিয়ে আসিস না প্লিজ তারচেয়ে আমাকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দে…

আকাশঃ হোস্টেলের খরচ কে দিবে? তোর পিছনে আমি আর এক টাকাও খরচ করব না।

মেঘলাঃ তুই এটা বলতে পারছিস?

আকাশঃ আচ্ছা মেঘলা তোর কি লজ্জা বলতে কিছু নেই এমন একটা ঘটনা করার পরেও কি করে এত কথা বলছিস?

মেঘলাঃ আচ্ছা তাহলে তুই আমাকে নিরবের কাছে দিয়ে আয় আমি ওখানে থাকব তাও বাসায় যাব না।

মেঘলার কথা শুনে আকাশ গাড়ী থামিয়ে দিল।

আকাশঃ কোথায় যাবি…??

মেঘলাঃ নীরবের বাসায়…

আকাশঃ তাই নাকি বেশ নাম গাড়ি থেকে তারপর যেখানে যেতে চাস যা।

মেঘলাঃ মানে কি এখানে নামব কেন এখানে ত কোন গাড়ি নেই যাব কি করে…??

আকাশ চোখ রাঙ্গিয়ে বলল নামতে বলেছি তোকে…
মেঘলা নামছে না দেখে আকাশ মেঘলাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে নিল।

মেঘলাঃ এই তুই সত্যি চলে যাচ্ছিস নাকি? এই ভাইয়া থাম থাম আমাকে একা রেখে কোথায় যাচ্ছিস আমি যাব কি করে?

আকাশঃ নিজের রাস্তা নিজে খুঁজে নে।বলে আকাশ মেঘলার ব্যাগ ফেলে দিয়ে আকাশ চলে গ

মেঘলাঃ যাক বাবা সত্যি সত্যি চলে গেল?আমি এখন কি করব আমার সাথে ত ফোন ও নেই…




আকাশ হাই স্পীডে ড্রাইভ করে অনেক টাই ফিরে আসল।
কিন্তু কিছুক্ষন মাথা ঠান্ডা হওয়ার পর আকাশের মাথায় চিন্তা ঢুকল।

আকাশঃ সত্যিই তো মেঘলা এখান থেকে যাবে কি করে? তার উপড় যে ড্রেস পরে আছে লোকে দেখলে কি ভাব্বে…?? না যতই হোক ওকে বাসায় দিয়ে আসা আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে।

আকাশ আবার ফিরে আসল কিন্তু যেখানে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল সেখানে মেঘলা নেই।

আকাশঃ কোথায় গেল মেঘলা ভর দুপুরে এই নির্জন রাস্তায় তো গাড়ি পাওয়ার কথা না তাহলে কোথায় যাবে? আকাশ গাড়ি থেকে নেমে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগল কিছুক্ষন খোঁজার পর এগিয়ে গিয়ে দেখল মেঘলা রাস্তা থেকে নেমে মাঠের মাঝখানে হাঁটছে।

আকাশঃ ওহ গড এই কি কোনদিন বড় হবে না?ওদিকে কোথায় যাচ্ছে….?? আকাশ চিৎকার করে মেঘলাকে ডাকল।

মেঘলা আকাশ কে দেখে আরও তাড়াতাড়ি হাঁটতে শুরু করল।

আকাশঃ এই মেঘলা আমি ডাকছি শুনতে পাচ্ছিস না..??মাথা কি খারাপ হয়ে গিয়েছে নাকি ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস?

মেঘলাঃ তোর না জানলেও হবে বলেছিস না নিজের রাস্তা নিজে খুঁজে নিতে তাই করছি।

আকাশ এবার মেঘলার পিছু নিল
আকাশঃ সেটা তো খুব ভাল কথা কিন্তু তোর নিরব কি মাঠের মাঝখানে থাকে?

মেঘলাঃ একটাও কথা বলবি না।

আকাশঃ আচ্ছা বল্লাম না পাগলামি বাদ দিয়ে গাড়িতে যা।
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল আকাশ এদিকেই আসছে।

মেঘলাঃ তুই আসছিস কেন আসবি না বলছি বলে আকাশের দিকে কাঁদা ছুড়ে মারল মেঘলা

আকাশঃ কি করছিস এসব? মেঘলা তুই সত্যিই পাগল হয়ে গিয়েছিস। এবার তোকে পাগলাগারদে পাঠাতেই হবে দেখছি।

মেঘলা তোকে আসতে বারন করছি তবুও আসছিস কেন…??

আকাশ মেঘলার কাছে চলে এসেছে দেখে মেঘলা দৌড়াতে শুরু করল আর কিছুদূরে গিয়ে কাঁদায় পড়ে গেল।

আকাশঃ হা হা হা….. বেশ হয়েছে।
দেখা আরও জেদ দেখা..

মেঘলাঃ ফেলে দিলি আবার হাসছিস..??আমি তোকে….

আকাশঃ যাক বাবা আমি কি করলাম…তুই নিজেই তো পড়ে গেলি আমি কি করে ফেল্লাম।

মেঘলাঃ তুই ফেলে দিয়েছিস…

আকাশঃ হ্যা আমি ত ভুত এখান থেকে ধাক্কা দিয়ে ওখানে ফেলে দিয়েছি।

মেঘলাঃ তুই হেসেছিস এই অনেক আমি তোকে কস্ট দিতে চাই নারে…কিন্তু আমার ভাগ্যটাই যে খারাপ।

আকাশঃ তো কাঁদায় বসে বসে ভাবনা চিন্তা করবি নাকি যাবি…??

মেঘলার ঘোর কাটল,

মেঘলাঃ হ্যা.. কিছু বললি..??

আকাশঃ এভাবেই গড়াগড়ি খাবি নাকি যাবি জিজ্ঞাস করলাম।

মেঘলাঃ এই অবস্থায় যাব কি করে

আকাশ হাত বাড়িয়ে দিয়ে বল উঠ।
মেঘলাও আকাশের হাত ধরে উঠে আসল।

আকাশঃ ওদিকে মেবি নদী আছে চল…

মেঘলাঃ নদী দিয়ে কি হবে..??

আকাশঃ তোকে কি এভাবে নিয়ে যাব…?? ফালতু কোথাকার চল।

মেঘলাঃ না আমি যাব না।

আকাশ টানতে টানতে মেঘলাকে নিয়ে গেল।

আকাশ একটা ডোবার কাছে এসে বলল

আকাশঃ যা…

মেঘলাঃ যা মানে কি আমি এখানে নামব…??

আকাশঃ তো কি আমি নামব?

মেঘলাঃ হ্যা অবশ্যই

আকাশঃ মেজাজ খারাপ করিস না

মেঘলাঃ আমি ওখানে যাব না।

আকাশঃ তুই যাবি তোর ঘাড় যাবে,যা বলছি না হলে ঘাড় থাক্কা দিয়ে ফেলে দিব…

মেঘলা বাধ্য হয়ে নিচে নামল।

মেঘলাঃ আমার ভয় লাগছে..😞

আকাশঃ ন্যাকামি না করে তাড়াতাড়ি কর তানাহলে সত্যি সত্যি কুমির এসে তোকে নিয়ে যাবে।

আকাশের কথা শুনে মেঘলা উপড়ে চলে আসল।

আকাশঃ আজব চলে আসলি কেন..??

মেঘলাঃ এখানে কুমির আছে…??? পরিষ্কার আগে নাকি জীবন আগে..??

আকাশঃ ইডিয়েট,আমি এমনি বলেছি এখানে কুমির আসবে কোথা থেকে যা বলছি।

মেঘলাঃ মরে গেলেও যাব না।

আকাশ অসহ্যকর মেয়ে একটা চল আমি নিয়ে যাচ্ছি।

আকাশ মেঘলার সাথে পানির কাছে গেল।

আকাশঃ তাড়াতাড়ি কর।

মেঘলা এবার কাঁদা মুছতে লাগল।

আকাশঃ এই থাম কি করছিস এটা…?? পরিষ্কার করছিস নাকি নোংড়া করছিস সেটাই ত বুঝতে পারছি না

মেঘলাঃ তাহলে তুই করে দে…

আকাশঃ উফফ….আচ্ছা এদিকে আয় দিচ্ছি। তানাহলে এই জীবনে তোর পরিষ্কার হওয়া হবে না ছোট থেকেই তুই একটা অপর্দাথ।

মেঘলাঃ বাজে কথা বলবি না যা তোর ধোয়ে দিতে হবে না।

আকাশঃ আমাত ভুল হয়ে গিয়েছে ম্যাডাম প্লিজ আসুন।
মেঘলা এগিয়ে গেল আকাশও মেঘলার কাঁদা ধুয়ে দিচ্ছে…

মেঘলাঃ তুই এত ভাল তোর মা এত খারাপ কেন…??
(মনে মনে)

আকাশঃ কিছু বললি..??

মেঘলাঃ কই নাত…

আকাশঃ তাহলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারিছিস না..??এত নাড়াচাড়া করছিস কেন?

মেঘলাঃ আমার কাতুকুতু লাগছে।

আকাশঃ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আর লাগবে….. আ আ আ…

আকাশের কথা শেষ হওয়ার আগেই মেঘলা আকাশকে নিয়ে পানিতে পড়ে গেল।কারন আকাশ ওর পা ধুয়ে দিচ্ছিল আর সে আকাশকে ধরে রেখেছিল নাড়ানাড়ির কারনে নিজেও পড়েছে আর আকাশকে ধরে রাখার কারনে আকাশও পড়েছে।

আকাশ প্রচন্ড রেগে,কি হল এটা…

মেঘলাঃ তুই পড়ে গিয়েছিস সাথে আমাকেও ফেলে দিয়েছিস।

আকাশঃ আমি বসে থেকে পড়ে গেলাম…??

মেঘলাঃ তো কি…??

আকাশ কিছু না বলে উঠে যেতে লাগল।

মেঘলাঃ আ আমাকে রেখে কোথায় যাচ্ছিস কুমিরে নিয়ে গেলে…

আকাশঃ তাহলে আকাশ বেঁচে যাবে বলে চলে যেতে লাগল

মেঘলা গাল ফুলিয়ে পানিতে নেমে যেতে লাগল।

আকাশঃ সমস্যা কি…?? ওদিকে কোথায় যাচ্ছিস সাঁতার পারিস..??

মেঘলাঃজানি না আর জানি না বলেই যাচ্ছি যা তোকে বাঁচিয়ে দিচ্ছি যা।

আকাশঃ আর এক পা বাড়ালে সত্যি সত্যি ধরে চুবাব।

মেঘলাঃ তোকে আমি ভয় পাই নাকি…??

আকাশঃ চ্যালেঞ্জ করলি..?? আচ্ছা যা দেখি

মেঘলাও নেমে গেল।

আকাশঃ জেদ…?? এতকিছুর পরেও জেদ কমে নি..??
আচ্ছা এবার দেখ কেমন লাগে।

আকাশ বিদ্যুৎগতিতে গিয়ে মেঘলার হাত ধরে টেনে গলা পানিতে নেমে গেল। আর মেঘলা কিছু বলার আগেই মেঘলাকে পানিতে ডুবিয়ে ধরে রাখল আবার একটু পর টেনে তুলল।

মেঘলার পানি খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে।
মেঘলাঃ অমানুষের বাচ্চা আমার সাথে এমন করতে খারাপ লাগল না?

আকাশঃ মাফ চা…

মেঘলাঃ আমি কেন মাফ চাইব ভুল তুই করেছিস……

আকাশ আবার মেঘলাকে পানিতে ডুবিয়ে দিল।

এবার মেঘলা ভয় পেয়ে গেল আকাশ ওকে উপড়ে তুলতেই মেঘলা ভয়ে আকাশকে জড়িয়ে ধরল।

আকাশঃ আর কখনো জেদ দেখাবি…???
মেঘলা কেঁদে দিল।কিন্তু আকাশের তাতে কোন রিয়েকশান নেই মেঘলা আকাশকে সর্বোচ্চ শক্তিতে জড়িয়ে ধরে আছে কারন সে ভয় পেয়েছে।

আকাশঃ মাফ চাওয়ার আর একটা সুযোগ দিব শুনলে ভাল না হলে ফেলে চলে যাব।
মাফ চা….

মেঘলাঃ…..

আকাশ জোর করে মেঘলাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিতে লাগল।

মেঘলা চাচ্ছি চাচ্ছি মাফ করে দে…

আকাশঃ বল আর কোনদিন জেদ দেখাব না।

মেঘলাঃ দেখাব না

আকাশঃ কি দেখাবি না?বল জেদ দেখাব না

মেঘলাঃ জেদ দেখাব না।

আকাশ এবার মেঘলাকে কোলে নিয়ে উপড়ে উঠে আসল।মেঘলার চোখ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে তার মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।

মেঘলাঃ আমি কষ্ট পেলাম তবুও তোর খারাপ লাগল না..??

আকাশঃ না লাগল না তুই যা করেছিস তারপর তোকে ক্ষমা করা আমার পক্ষে অসম্ভব তাই তুই যদি ভেবে থাকিস আকাশ আগের মতই তোর কেয়ার করবে তাহলে ভুল ভাবছিস আজকের পরে তুই আমার সাথে কোন যখন যোগাযোগ রাখবি না।

মেঘলাঃ আকাশ….

আকাশ কিছু না বলে মেঘলার ব্যাগ থেকে টিশার্ট আর প্যান্ট বের করে গাড়িতে চলে গেল।মেঘলা প্রায়েই ছেলেদের ড্রেস পড়ে সেগুলো থেকেই একটা নিল।

মেঘলা বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল আকাশ চেঞ্জ করে এসে বলল।

আকাশঃ ২ মিনিট সময় দিলাম এর মধ্যে চেঞ্জ করবি।
আর যদি না করিস কি করব বুঝতেই পারছিস।

মেঘলা কথা না বাড়িয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে নিল
বাকি রাস্তা মেঘলা আর কথা বলে নি কারন সে বুঝেছে আকাশ সত্যিই রাগ করেছে এই রাগ ভাংগানো তার পক্ষে সম্ভব না।

যেতে যেতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেল মেঘলা গাড়িতে ঘুমিয়ে গিয়েছিল হঠাৎ আচমকা নিচে পড়ে গিয়ে মেঘলার ঘুম ভাংগল তাকিয়ে দেখল সে বাসার সামনে আকাশ ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে সেটাও বুঝতে পারল।

মেঘলা উঠে দাঁড়ানোর আগেই আকাশ মেঘলাকে টেনে বাসার ভিতরে গেল।

মেঘলা আর আকাশকে দেখে মেঘলার নতুন মা আর বাবা ২জনেই এগিয়ে আসল।

মেগলার মাঃ কি চাই…??

আকাশঃ চাই না দিতে এসেছি বলে মেঘলাকে তার মা বাবার পায়ের কাছে ফেলে দিল।

মেঘলা অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।

মেঘলার বাবাঃ এসবের মানে কি…??

আকাশঃ আপনার দুশ্চরিত্র মেয়েকে আপনার কাছে বুঝিয়ে দিয়ে গেলাম এর পর ও মরুক বাঁচুক তার দায় আমাদের না।

মেঘলার বাবাঃ এসবের মানে কি..??

আকাশঃ মানে হল আজ আপনার মেয়ে ছেলের সাথে রাত কাটিয়েছে এবং ধরা পড়েছে

মেঘলার বাবাঃ কি সব যাতা বলছো আমি জানি মেঘলা একটু স্বাধীনচেতা কিন্তু এমন জঘন্য কাজ মেঘলা করতে পারে না।

আকাশঃ কি পারে আর কি পারেনা তার জবাব দিতে আমি এখানে আসি নি আমি আপনাকে সাবধান করে দিতে এসেছি এই মেয়ে যেন আর কোন ভাবে আমাদের পরিবারের কাউকে বিরক্ত না করে।আজকের পর আপনাদের সাথে আমাদের সমস্থ সম্পর্ক শেষ।

মেঘলার বাবাঃ তোমাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে

আকাশঃ ওহ তাই নাকি তাহলে কোন লজিকে আপনার মেয়েকে ওই বাসায় রেখেছিলেন..??

মেঘলার বাবাঃ আমি রাখতে চাই নি তোমরাই মানি নাবিল নিয়ে গিয়েছিল আমি মেঘলাকে বহুবার বলেছিলাম চলে আসতে ও আসেনি।

আকাশঃ তারমানে মেয়েকে লেলিয়ে দিয়েছিলেন যাতে নাবিল অথবা আমার ঘাড়ে চাপতে পারে..??

মেঘলাঃ তুই এসব কি বলছিস..??

আকাশঃ এই চুপ একদম চুপ তোর নোংড়া মুখ থেকে আর কোন কথা শুনতে চাই না।যা যা বল্লাম মাথায় থাকে যেন আমার সাথে ত দূর নাবিল বা ছোট মার সাথেও যোগাযোগ রাখবি না যদি রাখিস তবে সেদিনই তোর জীবনের শেষ দিন হবে কথাটা মনে রাখিস। তোকে আমি চিনতাম এটা ভাবতেই আমার গা ঘিন ঘিন করছে
ছি ইয়াক থু…

মেঘলা ছল ছল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু আকাশ মেঘলাকে রেখে চলে গেল যাওয়ার সময় একবার পিছনেও তাকাল না।
মেঘলার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

আকাশ চলে যাওয়ার পর.

মেঘলার বাবাঃ মন খারাও করিস না মা যা ঘরে যা একটু বিশ্রাম নে।

মেঘলাঃ বাবা আমি কিছু করি নি বিশ্বাস করো আমি এসব করু নি…আমি বাধ্য হয়েছি এই নাটক টা করতে।মেঘলা তার বাবাকে সবটা খুলে বলল।

মেঘলার বাবাঃ জানি মা সারা পৃথিবী এক হয়ে বল্লেও আমি এটা মানব না যে মেঘলা এমন কিছু করতে পারে। একটা মেয়েকে তার বাবা সবচেয়ে বেশি চিনে তুই আর যাই করিস এটা করতে পারিস না। তুই কোন ভুল করিস নি মা। যা করেছিস একদম ঠিক করেছিস আকাশ যদি তোকে ভালবাসত তাহলে তোর এমন করার কারন টা ঠিকি খুঁজে বের করত তা না করে তোর সাথে এত বাজে ব্যবহার করল।
একদিন তোকে বলেছিলাম আকাশ তোর যোগ্য না মনে আছে…?? তখন তুই আমার কথা শুনিস নি।
তখন তুই আর তোর মা আমাকে বিরোধী দল ভেবেছিলি আজ প্রমান পেলি…? এসব ছেলেদের আমি চিনি এদের মোহ যাস্ট কিছুদিনেই থাকে তারপর নতুনদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এই আকাশ তোকে ভুলভাল বুঝিয়েছে আসলে ও জেনির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে, বাসায় কিছু করতে পারে না তাই বাইরে নিয়ে রেখেছে আর তোর প্রতি ওর মোহ কেটে গেছে তাই তোকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

মেঘলাঃ না বাবা ও এমন না…

মেঘলার বাবাঃ তুই এখনো ছোট তাই জগতের অনেক কিছুই বুঝিস না মা।আর তোকে ত ও ছোট থেকে দেখছে ও তো জানত তোর রাগ একটু বেশি তারপরেও কি করে ভেবে নিল তুই এমন টা করেছিস..?? যদি ধরেও নেই করেছিস তবুও ও কি পারত না তোকে ক্ষমা করে দিতে? তোর এমন করার কারন টা জানতে না চেয়ে তোকে ছেড়ে চলে গেল।শোন মা যে যাকে ভালবাসে সে যদি ধর্ষিতাও হয় তবুও তাকে ছেড়ে যায় না…ও জেনির প্রেমে পড়েছে তাই তোকে বিদায় করে দিয়েছে।

মেঘলা আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে ঘরে চলে গেল।

মেঘলার সৎ মাঃ কি করছো এসব কোথায় মেয়েকে বুঝিয়ে আবার ওই বাড়ি পাঠাবে তা না মেয়ের জন্য দরদ একদম উতলে পড়ছে দেখছি…শোন এই মেয়েকে আমি কিছুতেই এখানে রাখব না বুঝেছো..??

মেঘলার বাবাঃ তা নাহয় রেখো না কিন্তু সুযোগ যখন পেয়েছি কাজে লাগাব না?

মেঘলা মাঃ সুযোগ মানে কিসের সুযোগ..??

মেঘলার বাবাঃ আকাশ দেশে ফিরেছে থেকে আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। মেঘলার মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে উঠেপড়ে লেগেছিল আমার পিছনে।
আকাশ একে একে আমার সব প্রজেক্ট কেড়ে নিয়েছে আমার ব্যাবসাকে একদম অচল করে দিয়েছে। ওর জন্য আমার কোটি টাকা ঋন হয়েছে। আজ ও নিজেই আমাকে প্রতিশোধ নেয়ার এত বড় সুযোগ করে দিয়েছে আমি সেটা কাজে লাগাব না? আকাশ নিজের প্রানভমরা কে আমার হাতে তুলে দিয়ে গেল এখন আমি ওর কাছ থেকে প্রতিটা হিসাব নিব।মেঘলাকে তুরুপের তাস বানিয়ে আকাশ কে ব্লেকমেইল করে ওর কাছ থেকে এক এক করে সব কেড়ে নিব আমি।
তারপর মেঘলাকে দিয়ে আকাশ কে এত যন্ত্রনা দেয়াব যা মরার আগে পর্যন্ত ভুলতে পারবে না।তবেই না আমার শান্তি হবে।একমাত্র মেঘলাই পারবে আকাশের ঘুম কেড়ে নিতে।

মেঘলার মাঃ কিন্তু ও ত মেঘলাকে পছন্দ করে না মেঘলাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।বলেছে আর যেন যোগাযোগ না করে।

মেঘলার বাবাঃ আরে এটা ত রাগের কথা। মেঘলাকে আকাশ নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসে। মেঘলার জন্য আকাশ করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই। বলাই বাহুল্য আকাশের মত পাগল আমি কখনো দেখি নি। ও নিজের স্থাবর অস্থাবর সব কিছি মেঘলার নামে লিখে দিয়েছে কত ভালবাসলে সেটা সম্ভব বোঝ…মেঘলাকে ছাড়া আকাশ থাকতে পারবে না
আজ রাগ করে রেখে গেলেও ২,১ দিনের মধ্যেই আবার নিতে আসবে কিন্তু আমি আর মেঘলাকে যেতে দিব না মেঘলাও যেন আর ফিরে না যায় তাই মেঘলাকে উস্কে দিলাম। আকাশ এবার বুঝবে কত ধানে কত চাল।

মেঘলার মাঃ তার মানে মেঘলা এখন এত এত টাকার মালিক..??

মেঘলার বাবাঃ হ্যা ঠিক তাই মেঘলা সোনার ডিম পাড়া হাঁস





চলবে…!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here