#ভিলেন
#ভিলেনঃ৬৬
#লেখনীঃ #মনা
আকাশঃ নাবিল আমি কিছুদিন বাসায় যাব না বাসায় তুই একটু সামলে নিস।
নাবিলঃ সেসব নিয়ে তোর ভাবতে হবে না কিন্তু একটা কথা বলি আকাশ বিয়েটা যেহেতু করেছিস আর মেঘলাকে ছাড়া তুই থাকতেও পারবি না সেটাও বুঝেছি তাই এবার ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে নে। মেঘলা যদি ভুল করে থাকে ক্ষমা করে দে রাগ পোষে রেখে নিজেও কষ্ট পাস না ওকেই দিস না।
আকাশঃ তোর কি মনে হয় আমি মেঘলাকে কষ্ট দিতে চাই? আমি মেঘলাকে ভালবাসি নাবিল কিন্তু ও সবসময়েই বেশি বুঝে আর জেদ দেখায় এবার আমিও দেখতে চাই ওর ঠিক কতটা জেদ আছে।
নাবিলঃ যা ভাল বুঝিস কর কিন্তু মনের মধ্যে রাগ পোষে রাখিস না।
আকাশঃ চল মেঘলার সাথে দেখা করবি।
নাবিলঃ না আমি গেলেই মেঘলা এক ঢালা অভিযোগ নিয়ে বসবে না পারব তোকে কিছু বলতে আর না পারব মেঘলাকে কিছু বলতে তারচেয়ে আমার দূরে থাকাই শ্রেয় আমি বরং এখন যাই পরে আবার আসব।
আকাশঃ আমিও বাইরে যাব চল একসাথে যাই।
নাবিল আকাশ একসাথে বাইরে চলে গেল এদিকে মেঘলা খাঁচায় বন্দি পাখির মত ছটফট করছে।হাত পা মুখ সব বাঁধা।
বেশকিছুক্ষন বাদে আকাশ ফিরে আসল,বাইরে থেকে মেঘলার পছন্দের কিছু খাবার এনেছে আকাশ।
খাবার দেখেই মেঘলার ক্ষিদে টা বেড়ে গেল গত একদিন সারাদিন সারারাত না খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে মেঘলার।সে আকাশের বলার অপেক্ষা করছে কখন আকাশ বলবে আর সে খাওয়া শুরু করবে।
আকাশ এসে খাবার নিয়ে মেঘলার সামনে বসল। সে ভালই বুঝতে পারছে মেঘলার ক্ষিদে পেয়েছে। সে এসে মেঘলার মুখ খুলে দিল কিন্তু হাত পা এখনো বাঁধা
মেঘলা কিছু বলতে যাবে তার আগেই
আকাশ বলে উঠল,
তোর জন্য খাবার আনি নি, নিজের জন্য এনেছি তাই রাতের মত খাব না বলার দরকার নেই।
আকাশের কথা শুনে মেঘলা অবুঝ মুখটা শুকিয়ে গেল সে অসহায় চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে,
_আমি কখন বললাম খাব না ক্ষিদেয় পেটে ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি করছে আর বলছে কিনা আমি নাকি খাব না (মনে মনে)
আকাশ প্যাকেট থেকে খাবার বের করছে আর আড়চোখে মেঘলার অবস্থা দেখে মুচকি মুচকি হাসছে।
আকাশঃ দেখি জেদ কতক্ষন ধরে রাখতে পারিস রাতে না খাওয়ার মজা এবার বুঝবি (মনে মনে)
আকাশ প্যাকেট থেকে খাবার টা বের করে প্লেটে তুলে নিল।
মেঘলা পিটপিট করে আকাশের দিকে তাকাচ্ছে
আকাশ মেঘলা কে পাত্তা না দিয়ে খাওয়া শুরু করল।
আকাশঃ উম…মুরগীর ঝোল টা যা হয়েছে না এত ভাল তো ছোট মাও রান্না করতে পারে না।
– আমার যে মুরগীর ঝোল পছন্দ সেটাও ভুলে গিয়েছে নাকি? আমি যে সামনে বসে আছি দেখতে পাচ্ছে না?
আকাশঃ আহা সবজিটা তো আরও ভাল হয়েছে মাশরুম আছে দেখি।হোটেল টা সত্যিই ভাল।
আকাশ মুরগী চিবাচ্ছে আর এদিকে মেঘলার মনে হচ্ছে আকাশ তার কলিজা চিবাচ্ছে বেশ কষ্ট করে কিছুক্ষন স্থীর থাকার চেষ্টা করেও অবশেষে মেঘলা ঠোঁট কামড়ে বলে উঠল আমিও খাব…
আকাশ এতক্ষন এটার জন্যই অপেক্ষা করছিল কিন্তু মেঘলাকে বুঝতে দিল না।
আকাশঃ কিছু বললি…?
মেঘলা কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল আমাকেও একটু দে…
আকাশঃ কি বললি বুঝলাম না তুই খাবি বলেছিস নাকি..?? ধ্যাত আমি কি থেকে যে কি শুনি,তুই ত রাতেই বলেছিস তোর ক্ষুধা পায় না।
আমি ভুল শুনেছি তুই খেতে চাইতেই পারিস না বলে আকাশ আবার খেতে শুরু করল।
মেঘলা গাল ফুলিয়ে বলল আমি খাব।
আকাশঃ এত আস্তে বললে হবে?
মেঘলাঃ আমার ক্ষুদা পেয়েছে বলছি শুনতেই পাচ্ছে না?
আকাশঃ ওলে ওলে আমার বউ টার খিদে পেয়েছে আগে বলবি না।এই যে এক্ষনী দিচ্ছি।
আকাশ মেঘলাকে খাবার দিতে গিয়ে আবার থেমে গেল।
মেঘলাঃ কি হল দিবি না তাই না..??
আকাশঃ তা না হয় দিব কিন্তু বেবি তুমি কিভাবে খাবে? তোমার হাত ত খোলা যাবে না।
মেঘলাঃ কেন খোলা যাবে না কেন?
আকাশঃ কারণ তুই বিশ্বাসের যোগ্যই না তাই.
মেঘলাঃ একটু খুলে দে পরে আবার বেঁধে রাখিস।
আকাশঃ না না তা হবে না তোর কোন ভরসা নেই আমি হাত খুলে দিব তারপর দেখা গেল তুই আমাকে মেরে পালিয়ে গেলি আমিতো সেটা হতে দিতে পারিনা।
মেঘলাঃ পালাবো না সত্যি…
আকাশঃ না হাত খোলা যাবে না।
একদিনেই সোজা হয়ে গিয়েছে। এখন কেমন লাগে হুম… আমার সাথে তেজ দেখানো তাই না?( মনে মনে)
মেঘলাঃ আমি কি তাহলে খেতে পারব না?
আকাশঃ একটা উপায় অবশ্য আছে যদি তুই রাজি থাকিস তো।
মেঘলাঃ কি উপায়
আকাশঃ আমি যদি তোকে খায়িয়ে দেই তবে।
মেঘলাঃ তাহলে তাই দে
আকাশঃ কেন দিব? তাতে আমার কি লাভ হবে? শুধু শুধু সময় নষ্ট হবে।
মেঘলাঃ একটু খায়িয়ে দিলে কি হয় খুব খিদে পেয়েছে।
আকাশঃ দিতে পারি তবে বিনিময়ে আমি যতবার তোকে খায়িয়ে দিব ঠিক ততবার তোর আমাকে কিস করতে হবে।
মেঘলাঃ কি…??
আকাশ নিজের মুখে খাবার দিয়ে বলল যা বল্লাম তাই রাজি থাকলে বল না হলে আমি পারব না।
মেঘলাঃ সব খাবার তো নিজেই খেয়ে নিচ্ছে এখন না রাজি হলে সত্যি খেতে দিবে না।
তাই মন খারাপ করে বলল রাজি।
আকাশ এগিয়ে এসে বলল,হুম শুরু কর তাহলে
মেঘলাঃ আগে খাই তারপর একসাথে দিব তুই গুনে রাখ।
আকাশঃ মির জাফর বেঁচে থাকলে তাকেও বিশ্বাস করে ফেলতাম কিন্তু তোকে করা সম্ভব না।বুঝেছি তোর খিদে নেই শুধু শুধু ঝামে…..
আকাশের কথা শেষ করার আগেই মেঘলা আচমকা আকাশের ঠোঁট মিলিয়ে আবার নিজের জায়গা ঠিক হয়ে নিল।
আকাশঃ এত তাড়াতাড়ি…??
মেঘলাঃ এবার তুই চিটারি করছিস।
আকাশঃ আচ্ছা বেশ করলাম না চিটারি নে খা।
মেঘলাঃ মাসরুম তুলে দে..
আকাশঃ দিলাম…
মেঘলাঃ হা..
আকাশঃ উম আগে কিস তারপর…
মেঘলাঃ ভাল হচ্ছে না কিন্তু
আকাশঃ কথা কথাই যা বলেছি সেটাই করতে হবে।
মেঘলা এক চামচ করে খাচ্ছে আর আকাশ একটা করে কিস আদায় করে নিচ্ছে।
আকাশঃ কি কপাল আমার বউ এর আদর পেতে বউ কে ব্লেকমেইল করতে হয়।
মেঘলাঃ তোর মত হতচ্চারার বউ কে হবে হ্যা আমি তোর বউ না। যা আমার খাওয়া শেষ আর খাব না।এবার তুই এটা বল পাপা এসেও আমাকে রেখে গেল কেন কি বলেছিস তুই উনাকে?
আকাশঃ সেটা তোকে বলব কেন?
মেঘলাঃ পাপার ত আমাকে রেখে যাওয়ার কথা না জাফর সাহেব বাবাকে অনেক টাকা দিয়েছে এই বিয়ের জন্য তার পরেও রেখে গেল?
আকাশঃ আকাশ তো তোর বুদ্ধি নিয়ে চলে না বুঝিস নি? আমার শিকার অন্য কেউ নিয়ে যাবে আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখব…?? যাক সেসব কথা আমি তোকে খয়ফত দিব না তাই অযথা প্রশ্ন করে লাভ নেই তুই বরং তোর জীবন যাপনের রুলস গুলো দেখে নে।
মেঘলাঃ রুলস মানে কি…??
আকাশঃ আমার কাছে তো জংলির মত থাকা যাবে না। তোর ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত আমার রুটিন মত চলতে হবে তা নাহলে একটা মার ও মাটিতে পরবে না।এমন কি এখন থেকে তুই কি খাবি কখন খাবি কি ড্রেস পরবি সেটাও আমি ঠিক করব।
আর একটা কথা তোর জন্য গার্ডস নিযুক্ত করা হয়েছে বাসায় থাকা কালীন ত পায়ে শিকল থাকবেই স্কুলে যাওয়ার সময় গার্ডস তোকে নিয়ে যাবে এবং নিয়ে আসবে তাই পালানোর চিন্তা মাথা থেকে বের করে দে।
মেঘলাঃ হা হা হা আমি কি মৃত্যু দন্ড প্রাপ্ত আসামি নাকি?
আকাশঃ তার চেয়েও বড় আসামি তুই। কাগজ টা নে যা যা লিখা আছে সব টাইম টু টাইম করবি তানাহলে এর শাস্তি ভয়ংকর হবে।
আকাশ মেঘলার হাত খুলে দিয়ে একটা লম্বা শিকল পরিয়ে দিল মেঘলার পায়ে।
মেঘলাঃ তুই সত্যি সত্যি…??
আকাশঃ তুই না আপনি এখন থেকে তুই আমাকে আপনি করে বলবি ভুলে যতবার তুই বলবি ততবার থাপ্পড় খেতে হবে।
মেঘলাঃ মানে কি…
আকাশঃ যে আকাশ কে তুই চিনতি সে তোর ভাই ছিল এখন তোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে সে তোর বর।তাই আগের সম্পর্ক ভুলে যা।
মেঘলাঃ তোর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে আমি নাকি ওকে আপনি বলব।
আকাশ মেঘলার গাল লাল করে বলে উঠল তুই বলতে নিষেধ করেছি।
মেঘলা গালে হাত দিয়ে অবাক চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
আকাশঃ মেঘলা আমার অফিসের সময় হয়ে গিয়েছে আলমারিতে আমার জামা কাপড় আছে যাও নিয়ে এসো।
মেঘলাঃ তুই আমাকে মারলি..??
আকাশঃ মেঘলা তোমাকে আমি মারতে চাই না আমাকে রাগিও না স্ত্রী এর দায়িত্ব পালন করো যাও।
মেঘলা যাচ্ছে না দেখে আকাশ এসে মেঘলা চুল ধরে আলমারির কাছে নিয়ে গেল।
মেঘলার রিয়েক্ট করতে ইচ্ছে করছে কিন্তুর রাগে লাল হয়ে যাওয়া আকাশের মুখ দেখে আর কিছু বলতে পারল না ভিতু হাতে শার্ট প্যান্ট বের করে আকাশ কে দিল।
আকাশঃ আর ইউ হ্যাব এনি সেন্স? এই শার্টের সাথে এই প্যান্ট?
মেঘলাঃ আমার টা পছন্দ না হলে নিজে নিয়ে নিলেই হয়।
আকাশঃ এতদিন তো নিজেই করেছি এখন সারজীবন যদি আমাকেই করতে হয় তাহলে বিয়ে করেছি কেন?
আমার পছন্দ অপছন্দ,আমার পার্সোনালিটি সম্পর্কে যদি আইডিয়া না থাকে তবে শিখতে হবে বুঝাতে পেরেছি ধমক দিয়ে কথাগুলি বলল আকাশ।
আকাশের ধমকে মেঘলা কেঁপে উঠল।
আকাশ মেঘলার কাছে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে গম্ভির গলায় বলল,ভয় পাওয়ার দরকার নেই পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখো। বিয়ের পর সব মেয়েকেই তার পুরোনো জীবন যাপন কে ভুলে নতুন করে সব শুরু করতে হয় এটাই নিয়ম নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয় যে মেয়ে ১১ টার আগে ঘুম থেকে জাগত না বিয়ের পর তাকেও সকাল ৮ টায় নাস্তার টেবিল সাজাতে হয়। যে মেয়েকে মা মুখে তুলে না খায়িয়ে দিলে খেতে পারত না তাকেও শ্বাশুড়ির মন জোগাতে হাত পুড়িয়ে রান্না করতে হয়।
তোমার কপাল ভাল আমি তোমাকে শ্বশড়বাড়িতে নিয়ে যায় নি আবার কাজ করতেও বলছি না শুধু স্বামীর দায়িত্ব নিতে শিখতে বলেছি। যদি সেটাও না পারো তাহলে নিজেকে মেয়ে বলে পরিচয় দিও না।আর একটা কথা খেয়াল করেছো নিশ্চুই আমি তোমাকে তুই করে বলছি না তুমি করে বলছি সো পরিবর্তন টা তোমারো বুঝা উচিত।
কথাগুলি বলে আকাশ ওয়াশরুমে চলে গেল।
মেঘলার কাছে ব্যাপার টা এখনো পরিষ্কার না.
আকাশের কথা গুলি তার কানে ঢুকলেও মাথায় ঢুকে নি।
আকাশ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখল মেঘলা যেখানে ছিল সেখানেও দাঁড়িয়ে আছে।
আকাশ এসে মেঘলার কাছে দাঁড়িয়ে বলল
টাই টা বেঁধে দাও…
মেঘলাঃ তুই আমার সাথে মজা করছিস তাই না…??
আকাশ আবার মেঘলাকে থাপ্পড় মারল।
আকাশঃ আমি সারকাসের জোকার নই যে কাউকে মজা দিব। টাই টা বাঁধো
মেঘলার হাত কাঁপছে এই মুহুর্তে আকাশ কে তার সম্পুর্ন আলাদা কোন মানুষ লাগছে এর আগে আকাশ তাকে মারলেও সাথে সাথে আদর করত কিন্ত আজ তা হচ্ছে না আকাশের চোখে মুখে অনুশোচনার কোন ছাপ নেই।
আকাশঃ এক কথা কতবার বলতে হবে?
মেঘলাঃ আ আ আমি টাই বাঁধতে পারি না…
আকাশঃ চেস্টা না করে আজ পর্যন্ত কেউ কিছু পেরেছে?হাত দাও…???
মেঘলার কাঁপা কাঁপা হাত ২টি বাড়িয়ে দিল।
আকাশঃ আমি যেভাবে যেভাবে বলছি ঠিক সেভাবে করো তাহলেই হবে।
এক টাই বাঁধতে মেঘলার কয়েক বার গলা শুকিয়ে গিয়েছে।
আকাশঃ আজ সারাদিন টাই বাঁধার ট্রাই করবে এত সময় লাগলে চলবে না
আশা করছি কাল থেকে আর ভুল হবে না।
মেঘলা কিছু বলল না…
আকাশ কাকে যেন ডাকল।আকাশ ডাকার সাথে সাথে ৩ জন কালো পোশাক পরা লোক আসল।
আকাশঃ আমি অফিসে যাচ্ছি আমি না থাকা অবস্থায় বাসায় কাউকে এলাউ করবে না কোন ইমার্জেন্সি হলে সাথে সাথে আমাকে জানাবে আর ম্যাডাম যেন কোন ভাবেই রুমের বাইরে যেতে না যেতে পারে।
– জ্বি স্যার আপনি যেমন টা বলবেন।
মেঘলা অবাক হয়ে আকাশের কর্ম কান্ড দেখছে।
আকাশঃ হুম এবার ডিউটি তে যাও।
লোকগুলো চলে গেল
মেঘলাঃ এরা…??
আকাশঃ গার্ড ভয় পাওয়ার কিছু নেই একটু পর একটি মেয়ে আসবে সে তোমার সাথে থাকবে।
মেঘলাঃ এসবের কি খুব দরকার ছিল?
আকাশঃ ছিল বলেই করেছি দরকার না হলে করতাম না।যাই হোক এবার কাছে এসো এসে বলো সাবধানে যাবেন আর তাড়াতাড়ি ফিরবেন আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করব।
মেঘলাঃ একটা ভিলেনের জন্য অপক্ষা করতে আমার বয়ে গেছে।
আকাশ মেঘলার কপালে চুমু এঁকে বলল ভাল হই বা ভিলেন যা হয়েছি শুধু মেঘলার জন্যই হয়েছি…
।
।
।
চলবে..!!