#ভিলেন
#পার্টঃ৭৫
#লিখনীঃ #মনা
মেঘলাঃ আমার কি করা উচিত…?? আকাশের কাছ থেকে পালিয়ে যাব? তারপর বাচ্চা নিয়ে ফিরে আসব ব্যাপারটা কেমন হবে? আকাশ নিশ্চুই খুশি হবে তাই না?
কিন্তু কোথায় যাব আমার তো কেউ নেই।
ধুর বাবা কিসব উল্টা পাল্টা ভাবছি আমি বাচ্চা নিয়ে আসতে আসতে ততদিনে আমাকে না পেয়ে আকাশ তো পাগল হয়ে যাবে। তারউপর যদি মরে যাই তখন কি হবে?
একুল ওকুল দুকুলই যাবে যে কটা দিন বেঁচে থাকতাম সেটাও আকাশের সাথে থাকতে পারবো না।
না না জীবনে অনেক ভুল করেছি এবার আমি আর কোনো ভুল করবনা। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে আকাশকে আর কষ্ট দিব না।আমি কোনদিনও আকাশকে সুখ দিতে পারিনি সবসময় অন্যের কথা শুনে গিয়েছি ওকে কষ্ট দিয়েছি। অনেক হয়েছে আর নয় যতদিন বেঁচে আছি আমি আকাশের সাথেই থাকব জীবনের শেষ কয়েক টা দিন হলেও আমি ওকে সুখী করব।
আমি ওকে বাচ্চার কথা বললে ও হয়ত মানবে।
আমি আকাশকে বোঝাবো ও নিশ্চয়ই আমার কথা শুনবে আমাদের বাচ্চাকে মেরে ফেলতে চাইবে না।
হ্যাঁ সেই ভালো হবে আমার এখন কোনো উল্টা পাল্টা চিন্তা না করে বাসায় ফিরে যাওয়া উচিত।
আমি যে এখানে এসেছিলাম সেটা আকাশকে কিছুতেই জানতে দিলে চলবে না।
মেঘলা খুব সাবধানতার সহিত বাসায় ফিরল। বাসায় ঢোকার সময় শুনতে পেল আকাশ চেঁচামেচি করছে নেহা মিলি সহ বাসার সব কাজের লোকদের বকাঝকা করছে।
মেঘলাঃ আজ আমার আর কোন রক্ষা নেই ভাইয়া না জানি কি করবে আমার সাথে। কোথায় গিয়েছিলাম প্রশ্ন করলে কি উত্তর দিব?যাই হোক আগে ভিতরে যাই এই অবস্থাতে ও নিশ্চুই আমাকে মারবে না। সে জানে আকাশ তাকে মারবে না তবুও ভয়ে মেঘলার জান যায় যায় অবস্থা সে পা টিপে টিপে ঘরে ঢুকলো। মেঘলাকে দেখা মাত্র আকাশ তার কাছে গেল তারপর রক্তরাঙ্গা চোখে মেঘলার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল কোথায় গিয়েছিলি?তোকে এতবার বারণ করার পরেও তুই বাইরে বেরিয়ে ছিলি?
মেঘলা আমতা আমতা করে বলল আমিতো কোথাও যাইনি।
আকাশঃ আবার মিথ্যা বলিস?একটা থাপ্পর মারব। যাসনি তো এতক্ষন কোথায় ছিলি?
মেঘলাঃআমিতো এখানেই ছিলাম।
আকাশঃ একদম মিথ্যা কথা বলবি না আমি সারা বাড়ি খুজে দেখেছি তুই কোথায় ছিলিস না।
মেঘনাঃ আমি বাসায় ছিলাম না আবার কোথাও যাইওনি একটু সামনে গিয়েছিলাম।
আকাশঃ তা কোন দুঃখে সামনে গিয়েছিলি শুনি? কোন নাগরের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলি?
আকাশের কথা শুনে মেঘলার মন খারাপ হওয়ার কথা হলেও তার খারাপ লাগছে না কারন সে এখন জানে আকাশ তার ভালর জন্যই এত চিন্তা করে।
নাবিলঃ কি সব যা তা বলছিস আকাশ? আর মেঘলা তুই ও এত জ্বালাস কেন বলতো?আকাশ যখন নিষেধ করেছে তার বাইরে যাওয়ার কি দরকার ছিল কেন শুনিস না কথা।
মেঘলাঃ আমি কারো সাথে দেখা করতে যাইনি বুঝেছিস।
নাবিলঃ তাহলে কোথায় আর কেন গিয়েছিলি?
মেঘলাঃ এটা আনতে গিয়েছিলাম বেশীদূর যায়নি আকাশ রাগে গজগজ করতে করতে বলল কি এটা?
মেঘলা আকাশের সামনে আচারের একটা বৈয়াম ধরে বললো আচার।
আকাশঃ আচার….??
মেঘলাঃ হুম বাসায় মাংস, রোস্ট, পোলাও এসবের গন্ধে আমার বমি পাচ্ছিল খুব আচার খেতে ইচ্ছে ছিল কিন্তু কোথাও পায়নি তাই কিনতে গিয়েছিলাম।
আকাশঃ আমাকে বললে কি হতো আমি এনে দিতাম না?
মেঘলাঃ তুই ব্যস্ত ছিলে কিন্তু আমার তখনই খেতে ইচ্ছে হয়েছিল তাই গিয়েছিলাম।
আকাশঃ এবার থেকে যাস দেখবো তোর কত ক্ষমতা? ঘরের বাইরে এক পা বের হলে আমি তোর ঠ্যাং ভেঙে দেবো.
মেঘলাঃ আচ্ছা বাবা আর যাবোনা।
আকাশঃ এক্ষুনি ঘর যা..
মেঘলাঃ আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে।
আকাশঃ ঘরে যা আমি খাবার পাঠাচ্ছি।
মেঘলাঃ আমি এসব খাবার খাব না চল বাইরে থেকে খেয়ে আসি।
আকাশঃ আবার বাইরে..??
মেঘলাঃ একা ত যাব না তোর সাথে যাব আগেই ত বল্লাম এসব খাবারের গন্ধে আমার বমি পাচ্ছে।
আকাশঃ আমি জানি তুই এসব খাবিনা তোর জন্য ছোটমা আলাদা করা রান্না করেছে আমি আগেই বলে দিয়েছিলাম তুই ঘরে যা আমি খাবার নিয়ে আসছি।
মেঘলা আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল কিছুক্ষণ পর আকাশ খাবারের প্লেট হাত নিয়ে রুমে আসলো
আকাশঃ খেয়ে নে
মেঘলা প্লেট টা হাতে নিতেই আকাশ চলে যাচ্ছিল
মেঘলাঃ কোথায় যাচ্ছিস..??
আকাশঃ কাজ আছে
মেঘলাঃ কি কাজ…??
আকাশঃ আরে মাত্র ৩ দিন পর নেহার বিয়ে যানিস না? ওহ তুই জানবি কি করে তুই ত আর ঘরে থাকার মেয়ে না বাইরে বাইরে থাকলে কি আর ঘরের খবর রাখা যাবে?
মেঘলা কোন উত্তর না দিয়ে মিষ্টি হেসে আকাশের হাত ধরল।
আকাশঃ কি ব্যাপার বল তো বকা দিলাম তাও ঝগড়া করলি না যে…
মেঘলাঃ অনেক ত ঝগড়া করলাম আর কত?মনে রাখার জন্য কিছু ভাল স্মৃতিও তো দরকার তাই না?
আকাশ বেশ অবাক হয়ে বলল,
মানে..??
মেঘলাঃ ক ক কিছু না আয় ত কাছে এসে বস।কাজ সে পরে করা যাবে।
আকাশ দাঁড়িয়ে আছে দেখে মেঘলা আকাশকে টেনে বসিয়ে দিল আকাশ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেঘলার দিকে।
মেঘলা প্লেট হাতে নিয়ে খাবার মাখতে শুরু করেছে। আকাশ এর আগে কখনো মেঘলাকে এত শান্ত থাকতে দেখে নি তাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
মেঘলা খাবার মেখে প্রথমেই আকাশের মুখের সামনে ধরল।
আকাশঃ কি করছিস এসব মেঘলা? তোর কি হয়েছে বলতো এত শান্ত থাকার মেয়ে ত তুই না।
মেঘলাঃ ধুর বাবা কি আবার হবে তুই ত বলেছিলি তোকে না খায়িয়ে যেন আমি না খাই তাহলে এখন উল্টো গান গাইছিস কেন?
আকাশ কোনো জবাব দিল না।
মেঘলাঃ নে হা কর… ক্ষিদে পেয়েছো তো আমার।
আকাশ খাবার টা মুখে নিয়েই মেঘলাকে জড়িয়ে ধরল।আর নিজের অজান্তেই বলে উঠল তোকে আমি কোথাও যেতে দিব না মেঘলা তুই সবসময় আমার সাথেই থাকবি।
আকাশ কেন এমন বলছে মেঘলা বুঝতে পেরেও না বুঝার ভান করতে চেয়ে নিজেকে সামলে নিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত পারল না কেঁদে দিল।
মেঘলার কান্না দেখে আকাশের সন্দেহ হল..
আকাশঃ কি ব্যাপার তুই কাঁদছিস কেন? মেঘলা সত্যি করে বল তুই কোথায় গিয়েছিলি।
মেঘলা সাথে সাথে চোখ মুছে বলল কিসের কোথায় গিয়েছিলাম?
আকাশঃ তুই কাঁদছিস কেন?
মেঘলাঃ তোকে আমি কত কষ্ট দিয়েছি তবু তুই আমায় কত ভালবাসিস সেটাই ভাবছিলাম।
আকাশঃ থ্যাংকস গড আর আমি কি না কি ভাবছিলাম
মেঘলাঃ কি ভাবছিলি তুই…
বলে দে আমাদের বাচ্চার ব্যাপারে বলে দে প্লিজ যাতে আমি বাচ্চার ব্যাপারে কথা বলতে পারি তানাহলে আমি তোকে কিভাবে নিষেধ করব বাচ্চাটা নষ্ট না করতে? আমি যদি নিজে থেকে বলি তাহলে তুই জেনে যাবি আমি সব যেনে গিয়েছি তখন তুই নতুন প্লেন করবি। অন্য কোন ভাবে আমাকে না জানিয়ে বাচ্চাটা নষ্ট করে দিবি আমি তোর বুদ্ধির সাথে পেরে উঠব না। প্লিজ নিজে থেকে বলে (মনে মনে)
মেঘলাঃ কি ভাবছিলি বল…??
আকাশঃ এই তো এতদিন পরে হলেও বুঝেছিস যে আমি তোকে ভালবাসি।
মেঘলাঃ না তুই মিথ্যা বলছিস তুই এসব ভাবছিলি না অন্য কিছু ভাবছিলি।
আকাশঃ তোর মাথা ভাবছিলাম খেতে বসে সারা দুনিয়ার গল্প করে ফেলছিস চুপচাপ খা।
মেঘলাঃ তুই খাইয়ে দে…
আকাশঃ আমার ত খেয়ে দেয়ে কাজ নেই নিজে নিজে খা।
মেঘলাঃ দে না প্লিজ…
আকাশঃ তোর ব্যাপার ত বুঝতে পারছি না কখনো তো আমার হাতে খেতে খেতে চাস না,আমি জোর করে দিলেও খেতে চাস না আজ হঠাৎ আমার হাতে খেতে চাইছিস ঘটনা কি আবার কোনো কুবুদ্ধি করছিস তাই না?
মেঘলাঃ ধুর বাবা আমি কুবুদ্ধি ভাবছি না তোর মাথায় কুবুদ্ধি গিজ গিজ করছে তাই এসব ভাবছিস। আমার যাস্ট ইচ্ছে হয়েছে তাই বলেছি খাইয়ে দিবি কিনা সেটা বল।
আকাশ তাকিয়ে আছে
মেঘলাঃ এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?না দিলে খাবার নিয়ে বিদায় হো আমি খাব না.. কি হল যা।
আকাশঃ আমি বারণ করেছি নাকি? আয় খাইয়ে দিচ্ছি।
মেঘলাঃ ভালো করে খাস যেন কাঁটা না লাগে।
আকাশঃ ওরে বাপরে পৃথিবীর সবচেয়ে কেয়ারলেস মেয়ে আমাকে শেখাচ্ছে কিভাবে মাছ খাওয়াতে হয়.. আগে কে খাওয়াতো বল সেদিন ও ত ইলিশ খায়িয়ে দিলাম সব ভুলে গেছিস?
মেঘলা আকাশের গলা জড়িয়ে আকাশের গালে চুমু খেয়ে হি হি করে হেসে দিল।
মেঘলাঃ আসলে তোকে রাগাতে আমার ভাল লাগে তাই বলেছি।
আকাশ মেঘলার কর্মে পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল।
মেঘলা তুই ঠিক আছিস? কিসব করছিস কিছুত বুঝে উঠতে পারছি না।
মেঘলাঃ এত বুঝে কি হবে বলতো দুনিয়া টা কতদিনের? হুট করে একদিন আজরাইল এসে বলবে এই চলো সাথে সাথে চলে যেতে হবে তাই বেঁচে থাকতে এত বুঝাবুঝির দরকার নেই মন যখন যা করতে চায় তাই করা উচিত।চুমু খেতে ইচ্ছে করছিল করে ফেলেছি।
আকাশ আবারো জবাব দেয়ার ভাষা পেল না।
মেঘলাঃ নে হা কর তো সারাদিন খাস নি দেখেই বুঝা যাচ্ছে মুখ টা একেবারে শুকিয়ে গেছে। নে নে আমি খায়িয়ে দিচ্ছি।
হাজার টা কথা বলতে বলতে মেঘলা আকাশ কে খায়িয়ে দিতে লাগল।আকাশ নিজের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলল যে সব ভুলে মেঘলার তালে তাল মিলাতে লাগল কারন মেঘলা এত মিষ্টি করে আকাশের সাথে কথা বলে নি।
মেঘলা আকাশকে খায়িয়ে দিচ্ছে মুখ মুছে দিচ্ছে আবার কখনো কখনো আকাশের চুল ও ঠিক করে দিচ্ছে মেঘলার মুখে যেন খই ফুটছে গাল ভর্তি হাসি তার।
খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই নাবিল রুমে আসল।
নাবিলঃ কিরে আকাশ কখন এসেছিস?বের হওয়ার নামেই নিচ্ছিস না কালকে মেহেন্দী পরদিন গায়ে হুলুদ মানে বুঝিস একদি ও বাকি নেই কাল থেকে বাড়িতে বিয়ে সব এরেঞ্জ করব কখন আর সবাইকে দাওয়াত করবই বা কখন তাড়াতাড়ি চল।
আকাশঃ না মানে….
নাবিলঃ উফফ কিসের মানে মানে চল তো…
আকাশের কথা শুনেই নাবিল আকাশ কে টেনে নিয়ে চলে গেল।
নাবিল আর আকাশ সব এরেঞ্জ করতে করতে রাত হয়ে গেল। রাত ১০ টা বেজে গিয়েছে।
আকাশঃ নাবিল অনেক হয়েছে এবার বাসায় যাই চল।
নাবিলঃ তোর ব্যাপার কি বলতো আজ শুধু বাসায় যেতে চাইছিস।
আকাশঃ টায়ার্ড লাগছে।
নাবিলঃ না না বস এত সহজে টায়ার্ড হওয়ার পাত্র ত তুমি নও কি হয়েছে শুনি..??
আকাশঃ ধুর বাবা কিছু হয় নি…
তোকে কি করে বলব এতদিন পর মেঘলা আমার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছিল কি যে ভাল লাগছিল শালা তোর জন্য ঠিকমত প্রেম করতে পারলাম না। মেঘলাটা নিশ্চুই রাগ করেছে।
নাবিলঃ কি এত ভাবছিস বল ত
আকাশঃ ওরে ভাই এর কথা না বলে একটু তাড়াতাড়ি কর তো… আর কি কি বাকি আছে বল।
নাবিলঃ এই তো ক্যাটারিং এর জন্য লোক রেডি করতে হবে।
আর মেহেন্দীর জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনতে হবে…
আকাশঃ তারমানে ১২ টার আগে তো শেষ হবে না তাই না..??
নাবিলঃ তুই কি মেয়ে যে ১২ টাকে ভয় পাচ্ছিস?
আকাশ বাধ্য হয়ে নাবিলের সাথে কিনাকাটায় লেগে পড়ল।বাসায় ফিরতে ফিরতে সত্যিই ঘড়ির কাঁটা ১২ টা পেরিয়ে গেল।
বাসার সবাই সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছে।নাবিলো নিজের রুমে চলে গেল।
আকাশ গিয়ে মেঘলার ঘরে উঁকি মারল মেঘলাও ঘুমিয়ে গিয়েছে দেখে আকাশের মন খারাপ হল।
আকাশঃ নিশ্চিত মেঘলা রাগ করেছে আমার সাথে প্রেম ত দূর ঠিক মত কথাও বলবে না।যা জেদ মেঘলার।
আকাশ হতাশ হয়ে ঘরে ফিরে ফ্রেশ হয়ে এসে লাইট অফ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল।কিন্তু ঘুম আসছে না চোখ বন্ধ করে মেঘলার কথা ভাবতে লাগল ঠিক তখনী বুঝতে পারল কেউ এসে তার পাশে শুয়েছে।
আকাশঃ নাবিল এসব ফাযলামি আমার ভাল লাগে না তুই ড্রেয়িং রুমে যা আমার সাথে ঘুমারে পারবি না।
নাবিলের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর এল না।
আকাশঃ কিরে কথা কানে যাচ্ছে না বলেই নাবিলের দিকে হাত বাড়াল।
সাথে সাথে ২ জনেই চিৎকার করে উঠল।আকাশ তাড়াতাড়ি করে গিয়ে লাইট জ্বালাল তাতে সে অবাক হল।কারন তার সামনে নাবিল নয় নাক মুখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে মেঘলা।
আকাশঃ ত ত তুই এখানে কি করছিস…??
মেঘলাঃ তার আগে বল তুই এটা কি করলি…?
আকাশঃ ক ক কি করেছি?
মেঘলাঃ আবার প্রশ্ন করছিস কি করেছিস লজ্জা করছে না?
আকাশঃ আরে বাবা আমি কি করে জানব এটা নাবিল নয় তুই।
মেঘলাঃ হাত দিয়ে তো বুঝেছিলি নিশ্চুই কোথায় হাত দিয়েছিস তারপরেও ছেড়ে না দিয়ে আরো শক্ত করে ধরলি ছিঃ কি বাজে ছেলে তুই। তোর রুমে আসাটাই ভুল হয়েছে আমার।
বলে হন হন করে চলে যেতে চাইল।
আকাশঃ আরে বাবা এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমি কি করে বুঝব যে আমি কারো বুকে হাত দিয়েছি?
মেঘলা পিছন ফিরে বলল,
ইডিয়েট মুখটা বন্ধ রাখ নাহলে জুতা খুলে মারব।তোকে আমি চিনি না মনে করেছিস?লুকিয়ে লুকিয়ে মেয়েদের শরীর দেখিস সুযোগ পেলে চেপেও ধরিস। আমি জানি
হাত দিয়ে তুই ঠিকি বুঝেছিলি তারপরেও মজা নিচ্ছিলি।
আকাশঃ গড প্রমিস আমি বুঝি নি। বুঝি বলেই নিশ্চিত হওয়ার জন্য এভাবে ধরেছিলাম…
মেঘলাঃ না বুঝলে চেঁচালি কেন?
আকাশঃ ডেম ইট.. ছি আকাশ তুই এটা কি করলি…??(মনে মনে) আচ্ছা ধরলেই বা কি হয়েছে হুম তুই আমার বউ না?
মেঘলাঃ অসভ্য জানুয়ার কেরেক্টার লেস ছেলে। তোকে যেন আমি আমার চোখে সামনে আর কখনো না দেখি বুঝেছিস বলে চলে গেল।
আকাশঃ যত দোষ সব সময় আমারেই হয় ভুতের মত তোকে এখানে আসতে কে বলেছিল?
কি কপাল আমার এটা নাকি আবার আমার বউ?আর আমিই বা এটা কি করলাম আমি ত নিজেই বিশ্বাস করতে পারছি না এই হাত দিয়ে আমি ছি ছি ছি আকাশ লজ্জা হওয়া উচিত তোর 😧
।
।
।
চলবে..!!!