মন গহীনের গল্প পর্ব- ৩১

0
1001

#মন_গহীনের_গল্প
পর্ব -৩১
#রূবাইবা_মেহউইশ
💞
ঢাকায় শ্যুটিং এর কাজ শেষ করেই তিশমা আবার এসেছে কক্সবাজারে। কাজের প্রয়োজনেই গত মাসে তাকে আসার দ্বিতীয় দিনেই তাকে রাতের ফ্লাইটে ঢাকায় যেতে হয়েছিলো। আজ ফ্রী হয়েই আবার ফিরে এসেছে, মূলত সে ম্যানেজারকে ঠিকঠাক জ্বালাতে না পারায় আবার এসেছে। হোটেলে পৌঁছে প্রথমেই সে রিশাদের খোঁজ নিলো। রিশাদ চট্টগ্রাম গেছে হয়তো বিকেলের আগে ফিরবে না তাই ম্যানেজারকে প্রথম কাজ দিলো তাকে রিশাদের বউ আর ফুপির রুম দেখিয়ে দেওয়া। তিশমাকে দেখেই বিরক্তিতে লোকটা ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিলো। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অপ্রিয় ব্যাপারগুলোকে আলাদা সাইডে রাখা জরুরি বলেই সে তিশমা সহ্য করার চেষ্টা করছে। প্রথমে মেহউইশের দরজায় করাঘাত করলো কিন্তু দরজা খুলল রেহনুমা। তিশমা প্রথমেই স্লামালিকুম বলতেই রেহনুমা গোমড়া মুখ করে বলল, ‘সালাম ঠিক করে দাও মেয়ে।’ ম্যানেজার সাহেব তখনও দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। রেহনুমার কথা শুনে সে মুচকি হাসলো, খুশি হয়েছে খুব সে আর তিশমার মুখখানিও দেখার মত হয়েছিলো।

-‘আপনি এখনও দাঁড়িয়ে আছেন কেন? নিজের কাজে যান।’ ম্যানেজারকে বলতেই সে চলে গেছে। তিশমাকেও ডেকে রুমের ভেতরে নিলেন রেহনুমা। মেহউইশ বেলকোনিতে বসে নির্জনকে বসানোর চেষ্টা করছে। বাচ্চাটাও কেমন হেলে দুলে এদিক ওদিক করে পরে যাচ্ছে ফ্লোরে বিছানাো ম্যাট্রেসের ওপর। গ্রিলের ফাঁক গলে সকালের সূর্যের আলো আর সামুদ্রিক হাওয়া এসে লুটোপুটি খাচ্ছে মেহউইশ, নির্জনের গায়ে। বর্তমান সময় মেহউইশের এখানে মন্দ কাটছে না শুধু মা আর ভাইকে অনেকদিন ধরে না দেখায় মনটা খারাপ থাকে মাঝে মাঝেই। ইভান এখন স্মৃতি ছাড়া কিছুই নয় তার জীবনে। ইভানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টাও সে কম করেনি। কিন্তু কোথাও একটু ত্রুটি থাকায় যোগাযোগটা আর হয়ে উঠেনি। দু’বছরের সম্পর্ক এত সহজেই মলিন হওয়ার নয় তবুও বিয়ের পবিত্রতাও শক্তিশালী এক বাঁধন। মনের মিল ছাড়াও দুজন মানুষকে একসাথে বেঁধে রাখার মত অলৌকিক শক্তি শুধু মাত্র বিয়েতেই আছে হয়তো। মেহউইশ অবাক হয় নিজেকে নিয়ে ভাবতে গেলেই। কখন যে সে অসহ্যবোধ করা রিশাদকে সহ্য করা শিখে গেছে নিজেও জানে না। শুধু জানে নির্ঘুম রাতে সে আবছা আলোয় রিশাদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। রিশাদের মুখের প্রতিটা অংশ তার এখন মুখস্ত। ঘুমন্ত অবস্থায় রিশাদের ঠৌঁটের বা দিকে কোণায় একটুখানি রেখার সৃষ্টি হয়। হঠাৎ দেখলে মনে হয় লোকটা মুখ বাঁকিয়ে হাসছে বুঝি!

রেহনুমা বেলকোনিতে এসে তিশমাকে বসার জন্য কাউচ দেখিয়ে মেহউইশকে বলল, ‘ রিশাদের বান্ধবী এসেছে কফি বানাও।’ মেহউইশ কফির কথা শুনে সামনে তাকাতেই তিশমাকে দেখে প্রথমেই ভ্রু কুঁচকালো। পরে হুঁশ এলো এই মডেল কন্যা রিশাদের বন্ধু তাই ভদ্রতা দেখিয়ে হ্যালো বলল। তিশমা যেচে পড়ে অনেকক্ষণ গল্প করলো যা রেহনুমা কিংবা মেহউইশ কারোই ভালো লাগেনি। তিশমাও হয়তো বুঝতে পেরেছে তাদের মনের ভাব তাই নিজেই উঠে গেল। সন্ধ্যার পর রিশাদ হোটেলে ফিরলে মেহউইশ গম্ভীর মুখে অন্যদিকে ফিরে বলল, ‘ আপনার বান্ধবী এসেছে। রুমেও এসেছিলো হয়তো আপনার খোঁজেই না পেয়ে চলে গেছে।’ রিশাদ শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে ঈষৎ ঠোঁট টেনে মুচকি হাসলো। তার মনে হলো মেহউইশের এ কথাতে কিছুটা হিংসা মিশ্রিত ছিলো অনেকটা টিপিক্যাল বউদের মত। মন্দ না এমন হিংসা। মেহউইশ সেই হাসি খেয়াল করেই হয়তো রেগে গেছে। নির্জনকে কোল থেকে বিছানায় নামিয়ে কিচেনে চলে গেছে। রিশাদ প্রায় দিনই বাইরে কোথাও গেলে এসেই কফি চায় তাই আজ আর রিশাদের বলার অপেক্ষা না করে কফি বানায় মেহউইশ। কাপড় পাল্টে রিশাদ বাথরুমে ঢুকবে বলে মেহউইশকে ডাকলো, ‘ মেবিশ, আমি বাথরুমে ঢুকছি নির্জন কিন্তু বিছানায় রইলো।’

মিহাদ একটু আগেই একটা ফেসবুক একাউন্টে পেইজ ক্রিয়েট করেছে।অনলাইন সেল পেইজ সেটা। মাইমুনা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর তা বাস্তবায়ন করতে মিহাদ এবং তাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। মিহাদ শুরু থেকেই চায় না রিশাদের টাকা পয়সায় চলতে। কিন্তু বাধ্য হয়ে রিশাদের দেওয়া বাড়িতে থাকতে হচ্ছে, খাওয়া,পরা,পড়াশোনা সবই রিশাদের টাকায়। মাইমুনা যখন মিহাদকে বললেন, ‘ বাবা চল আমরা নিজেরা কোন কাজ করি। নিজেদের কাপড়ের ব্যবসাটা আবার শুরু করি। তুইও পারলে আমায় একটু সহযোগিতা করলি৷ এতে যেটুকু কামাবো ততটুকু দুজনের খাওয়া, পরাটা চললেও ঢের। মিহাদও সাথে সাথে বলল, ‘ হ্যাঁ মা চলো আমরা নিজেরাই কিছু করি। আমারও ভালো লাগে না ওই শয়তান লোকের টাকায় পড়াশোনা করতে।’

‘একদম এভাবে কথা বলবি না মিহাদ।ও তোর চেয়ে বয়সে অনেক বড়।’ ধমকে উঠলেন মাইমুনা ছেলেকে।

‘ যত বড়ই হোক ওই লোক সম্মানের অযোগ্য।’

‘এক থাপ্পড়ে গাল ফাটিয়ে দেব ছেলে। সে তোর বোনের স্বামী সম্পর্কে আর লোকটা যা তার শাস্তি হয়তো সে পেয়েই যাবে আমরা অসম্মান করি বা সম্মান করি সেটা ফ্যাক্ট নয়।তোকে তো মন্দটা শেখাইনি তবে তুই কেন তোর আচরণ মন্দ করবি!’

মায়ের কথা মিহাদের পছন্দ হয়নি৷ সে চুপচাপ তার মায়ের সামনে থেকে উঠে চলে গেল৷

রাগে গজগজ করতে করতেই ডাইনিং টেবিলটাকে গুছাচ্ছে মেহউইশ । কারণে অকারণে থালা বাসন শব্দ করে রাখছে এখান থেকে ওখানে। রেহনুমা কিচেনে দাঁড়িয়ে সবটা লক্ষ্য করেই বেশ অবাক হলেন। এই মেয়ে আজ অব্দি কখনো এমন ঝগড়াটে বউদের মত আচরণ করেনি। আজ কি হলো!

‘কি হয়েছে মেহউইশ এমন রেগে আছো কেন!’

‘আমি আবার কখন রাগ করলাম? রাগই’বা করবো কেন আর কার সাথে?’ স্পষ্ট করে রেহনুমাকে জবাব দেওয়ার পর মেহউইশ নিজেও চমকালো। সে এ কোন স্বরে কথা বলছে! রিশাদের হোটেলের এই ঘরে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা তার বেলকোনি। জায়গাটা যেমন প্রশস্ত তেমন সুন্দর করে সাজানো। সাজানোর ক্রেডিট যদিও মেহউইশের । সে নিজেই গত একমাসে ইনিয়েবিনিয়ে রিশাদকে শুনিয়ে এটা ওটা বলেছে রেহনুমাকে। আর তা শুনে সব ব্যবস্থা রিশাদ করে দিয়েছে। একপাশে কাউচ, অন্যপাশে ম্যাট্রেস বিছানো, উপর থেকে ঝুলানো ছোট ছোট লাইটস, কাঁচঘেরা স্লাইড জানালা। যখন ইচ্ছা কাঁচ সরিয়ে দিলেই সমুদ্রের নোনা হাওয়া এসে আলোয়ানের মত জড়িয়ে নিতে পারে। মেহউইশের রাগ সেই বেলকোনির দিকে তাকিয়েই বাড়ছে। রিশাদ কাউচে হেলান দিয়ে বসে নির্জনকে বুকের উপর রেখেছে। আর তার সামনেই ম্যাট্রেসে হাঁটু মুড়ে তিশমা বসে রিশাদের সাথে হাসিঠাট্টা করছে। রাগটা মূলত এ কারণেই বেড়ে চলছে তার। কেন বাড়ছে তা তার নিজেরও অজানা। খাবার সাজানো হতেই মেহউইশ বলল, ‘ খাবার রেডি ফুপু স্যার, মেডামকে বলুন খেয়ে আমাকে উদ্ধার করতে।’

এবার হয়তো রেহনুমার ধারণা হলো মেহউইশের রাগের কারণ। তার হাসি পাচ্ছে। মেয়েটা যে ওই দুজনের মায়ায় পড়ে গেছে তা হয়তো সে নিজেও জানে না। রেহনুমার ভালো লাগলো মেহউইশের এই আচরণ। শুরু থেকেই মনে হতো এই মেয়েটা নীলিমার মত প্রেমিকের কাছে ফিরে যাওয়ার পথ খুঁজবে না। সে দ্বায়িত্ব আর সম্পর্কের মূল্য সারাজীবন পাশে থেকে দেবে।

রাতের খাবারে হুলস্থুল কান্ড বাঁধিয়েছে মেহউইশ । রিশাদ খেতে খেতে এটা সেটা তিশমার প্লেটে তুলে দিচ্ছিলো। এরই মাঝে ম্যানেজার সাহেব এসেছিলেন কোন কাজে। তাই রিশাদ তাকেও খেতে বসিয়ে দিলে মেহউইশের বসার জায়গা থাকে না। গোল ছোট টেবিলটাতে একসাথে চারজন মানুষ খাওয়া সম্ভব হয়। আগে থেকেই তিন চেয়ারে রিশাদ,তিশমা আর রেহনুমা বসা ছিলো। বাকি চেয়ারটাতে ম্যানেজারকে বসিয়ে দেয় রিশাদ। মেহউইশের একটু খারাপ লাগলেও তার বেশি খারাপ লাগে তিশমার সাথে রিশাদের আদিখ্যেতা নিয়ে৷ অন্যদিকে ম্যানেজারও প্রচণ্ড বিরক্ত হয় তিশমাকে দেখে। এই মেয়েটা হোটেলে এসেই তাকে আজও অনেক জ্বালিয়েছে। হোটেলে হাজরটা স্টাফ থাকা সত্ত্বেও মেয়েটার সব কাজ তাকে দিয়ে করিয়েছে এমনকি বিচে ঘুরতে যাওয়ার জন্যও তাকে নিয়ে গেছে। খাওয়ার পর্বটা একরকম বিরক্তি আর রাগের মিশ্রণেই শেষ হয়েছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে রিশাদ একটু হাঁটতে বেরুচ্ছিলো। তা দেখে রেহনুমা বলল, ‘মেহউইশকে সাথে নিয়ে যা।’

‘না না আমি ঘরেই থাকি নির্জনের ঘুমানোর সময় হয়েছে। ‘ মেহউইশ আপত্তি জানালো তা শুনে রিশাদ মেহউইশের কোল থেকে নির্জনকে টেনে নিজের কোলে নিলো। যার অর্থ মেহউইশও হাঁটতে বের হতে পারে। মেহউইশ তাই রেহনুমাকে বলল, ‘ ফুপু আপনিও আসুন। ‘

-না রে বাবা, তোরা যা আমি ঘুমাবো।

রেহনুমা নিজের ঘরে ঘুমাতে গেলো। রিশাদ পকেটে নিজের ফোন সাথে মেহউইশের ফোনটাও ঢুকিয়ে নিলো। মেহউইশ খেয়াল করেনি সেটা। রিশাদ ঘর থেকে বের হয়ে মেহউইশকে বলল, ‘ ভালো করে লক করো দরজা।’ মেহউইশ বের হতে গিয়েও দৌড়ে একবার আয়নার সামনে গেল। চুলগুলো পাঞ্চ ক্লিপে অর্ধেক বাঁধা ছিলো হুট করে সেটা খুলে দিলো। হাতের কাছেই ছিলো তার শালটা সেলোয়ার-কামিজ এর ওড়নাটাকে মাথা ঢেকে গলায় পেঁচিয়ে রাখলো। শালটাকে চাদরের মত গায়ে জড়িয়ে একবার খুঁজলো লিপস্টিক কোথায় তার! শুষ্কতা শুধু তার চিকন পাতার মত ঠোঁট দুটোকেই বেশি শুকিয়ে গেছে। লিপস্টিক খুঁজে পাওয়া মুশকিল এখন তাই নির্জনের জনসন ক্রিমটা সামনে পেয়েই সেটাই একটু ছুঁইয়ে নিলো ঠোঁটে। আজ তার কি হলো কে জানে নিজের মুখশ্রীটাকে পরিপাটি করার শখটা যে কোথা থেকে এলো!

হোটেল ছেড়ে বেরিয়েছে মেহউইশ, রিশাদ। কোলে ঘুমে ঢুলুঢুলু নির্জন বাবার গলা আঁকড়ে ধরেছে। পাশাপাশি হাঁটছে দুজন, পায়ে পা মিলিয়ে চলছে সৈকতে। জোয়ার এসে পানি অনেক উপরে চলে এসেছে। চোখ সওয়া অন্ধকারে খোলা আকাশের নিচে সমুদ্রের বিবাগী হাওয়ায় মন বেসামাল হতে চাইছে কারো কারো। সৈকতে এই রাতের প্রথম ভাগে মানুষের কমতি নেই। মেহউইশ চলতে চলতে গাড় বাঁকিয়ে রিশাদকেও দেখার চেষ্টা করছে। আজ থেকে প্রায় দু’মাস আগে এই লোকটাকে সে জমের মত ভয় পেত আবার সময়ে অসময়ে তাকে খুন করার প্রবল এক ইচ্ছাও জাগ্রত হতো। রাতের অন্ধকার কিংবা দিনের মরা আলোয় তার মনে ইভানকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা তাকে আত্মিকভাবে অসুস্থও করে তুলছিলো। আর আজ বুকের মাঝে ইভানের শূন্যতা থাকা সত্ত্বেও এই লোকটার প্রতি অভ্যাসের এক অদৃশ্য পরত পড়ে গেছে। পারতপক্ষে এখন আর লোকটাকে ভয় পায় না সে। আর নির্জন! নির্জনটাকে তো এখন আর কাছ ছাড়া করারই সাহস হয় না। মায়া,অভ্যাস সবেতেই ছেলেটা জড়িয়ে গেছে। যেই মা আর ভাইকে ছাড়া ছোট বেলা এক রাতও কোথাও থাকা হয়নি সেই তাদেরকেই সামনে থেকে প্রায় দু মাসে দেখা হয় নি। অভ্যাস সবই অভ্যাস। আজ বুঝতে পারছে মানুষ প্রিয় মানুষের মৃত্যুর পর কিভাবে বেঁচে থাকে। বালু ভূমিতে চলতে চলতে তারা কখন যে ঝাউগাছের দিকে চলে এসেছে খেয়াল নেই। রিশাদের ডাকে মেহউইশের ভাবনা থেকে মন সরে। রিশাদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে নির্জন৷ অনেকটা পথ তো রিশাদ ছেলেটাকে কোলে নিয়ে হাঁটছে তার হাতে কি ব্যথা লাগছে!

‘নির্জনকে আমার কোলে দিন৷’

‘কেন?’

-এমনি

-প্রয়োজন নেই। তোমার ফোন বাজছে সেটা চেক করো।

‘আমি ফোন নিয়ে আসিনি।’

‘আমার পকেটে বাজছে।’

‘আপনার পকেটে আপনার ফোন বাজছে।’

‘আমার ফোন সাইলেন্ট থাকে না। তোমার ফোন আমার পকেটে ভাইব্রেট হচ্ছে। ‘

-কিন্তু আমার ফোন তো,,,

-‘রাইট পকেটে ফোন আছে বের করো।’ মেহউইশকে কথা শেষ করতে না দিয়ে রিশাদ দাঁত চিবিয়ে বলল কথাটা। মেহউইশের মনে হলো আজকে তার ভাবনাগুলো চরম ভুল ভাবনা ছিলো। লোকটা কখনও বদলাবে না। ভয়ে ভয়ে রিশাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তার পকেটে হাত দিলো মেহউইশ। রিশাদের তপ্ত নিঃশাস মেহউইশের চোখে,মুখে আছড়ে পড়ছে ঠিক যেমন ঢেউ এসে সৈকতে আছড়ে পড়ে।হাওয়া বড্ড মাতলামো করছে নিঃশ্বাসের সাথে তাল মিলিয়ে। মেহউইশের হাত পকেটে যাওয়া পর্যন্তই থেমে গেছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই রিশাদের ঠোঁট স্পর্শ করলো মেহউইশের কপাল।

চলবে

(অনেক অনেক গুলো দিন পর আজকে একটা সকাল হলো আমার পুরোপুরি সুস্থভাবে। কোনরকম ব্যথা,জ্বর ছাড়া। দুঃখিত আমি সত্যিই। গল্পটা শেষের দিকে এসে এতোটা গ্যাপ সত্যিই অপ্রত্যাশিত। দোয়া করবেন সবাই আমার জন্য যেন আর কোনরকম অসুস্থতা ছাড়া গল্পটা শেষ করতে পারি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here