মন মুনিয়া পর্ব-৪২

0
889

#মন_মুনিয়া
তন্বী ইসলাম -৪২

মনি ডুবে আছে নীলের মায়ায়। নীলও আজ মনিতে মগ্ন। আকস্মিক নীলের কি হলো, সে কোনো কিছু না ভেবে হটাৎ মনির কপালে আলতো করে এক চুমু দিয়ে বসলো।

মনি চমকে উঠল। সাথে সাথে ঘোরও ভেংগে গেলো তার। খানিক বাদেই দু পা পিছিয়ে গেলো সে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে এই মুহূর্তে। কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলো সে? হটাৎ কি হয়ে গেছিলো তার? চোখের কোন দিয়ে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো মনির। নীল এগিয়ে আসলো মনির কাছে। নীলকে দেখে মনি আরো দু পা পিছিয়ে গেলো। সামনে হাত দিয়ে বারণ করে বললো
-প্লিজ, আসবেন না আমার কাছে।
নীল বারণ শুনলোনা। সে মনির কাছে গিয়ে ওর দুপাশে দুই হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরলো। শক্ত গলায় বললো

-কেন আমার কাছ থেকে এভাবে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাও?
-উপায় নেই, আপনার সাথে সংসার কথার ইচ্ছে থাকলেও সেটা সম্ভব না।
-কেন সম্ভব না?
-এটা দৃষ্টিকটু। আপনার ফ্যামিলির সবাই জানে আমক ধর্ষিতা। আমার মেয়ে আছে। আমি কি করে সবার সামনে আপনার বউ হয়ে থাকতে পারি?
-আমার ফ্যামিলি কেমন তা নিশ্চিয়ই তোমাকে নতুন করে বলতে হবেনা।
-আমি জানি উনারা অনেক ভালো। বরং ভালোদেরও উর্ধে। তাই আমি নিজের স্বার্থে উনাদের ঠকাতে পারবোনা।
-এইসব কথা কেন আসছে মনি?
-সব বাবা মায়েরাই চায়, তার ছেলে কোনো যোগ্য বউ ঘরে আনুক। আপনি বড় মাপের মানুষ। ভবিষ্যত আপনার দোড় গোড়ায়। এক মুহুর্তের আবেগে নিজের ভবিষ্যত জলাঞ্জলি দিবেন না দয়া করে।

নীল মনিকে আবারও বললো
-আমার ভবিষ্যৎ তুমি মনি। তুমি ছাড়া আমি অন্ধকার। সেটা তুমি উপলব্ধি করতে কেন পারছো না? আমি সত্যিই তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।
-আমি এইসব শুনতে চাই না।
-শুনতে তোমাকে হবেই।

মনি নীলের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে চায়। ঠিক সেই মুহূর্তে নীল আচমকা মনিকে হ্যাচকা টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। মনি নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে, কিন্তু পারেনা। নীল আবেশে বলে
-আমাকে ছেড়ে যাবার কথা ভুলেও মাথায় এনো না মনি। মারা পরবো।
মনির কন্ঠস্বর বসে আছে। কি বলার আছে তার? এই মুহূর্তে কি বলা উচিত? ভেবে পায়না কিছুই।

এভাবে কয়েক মুহূর্ত কেটে যাবার পর মনি বলে
-আমি বাড়ি যাবো। মুনিয়ার কাছে যাবো।
নীল এক কথাতেই মনিকে ছেড়ে দেয়। গম্ভীরমুখে বলে
-এসো।
মনি খেয়াল করে, নীলের চোখদুটো লাল হয়ে আছে। চোখেমুখে স্পষ্ট বিষাদ। অসহায় গলায় মনি বললো
-আমাকে মাফ করবেন প্লিজ।
নীল উত্তর দেয় না কোনো।

বাসায় আসতে আসতে বিকেল হয়। মনি ধীরপায়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে। নীল চলে গেছে তার রুমেই। মনি অবাক হয়, ওর মাঝে কি এমন আছে যার কারণে তিনি এতোটাই উতলা হয়ে আছেন? মুনিয়া কাঁদছে। মনি ছুটে যায় মুনিয়ার কাছে। রাবেয়া খুব করে তাকে থামানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছেনা। পাশে হিমা আর আশাও অনেক কিছু করে যাচ্ছে। মনি দূর থেকে অবলোকন করে সবটা। আজকাল নিজের পরিবারেও মেয়েরা তুচ্ছতাচ্ছিল্য হয়। আপন মানুষও অনেক কষ্ট দেয়। মুনিয়া ভাগ্য করে এই মানুষগুলোর ভালোবাসা পাচ্ছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

মনি এগিয়ে যায় ওদের দিকে। মনিকে দেখে আশা বলে
-এসেছিস মনি। এতো দেরি হয়েছে যে। ভাইয়া তো অনেক আগেই গিয়েছিলো তোকে আনতে।
-আমার ক্লাস ছিলো আরো দুইটা। তাই দেরি হয়ে গেছে।

মনির মলিন কন্ঠে সবাই কিছুটা অবাক হয়। তবে রাবেয়া সামনে থাকার আশা আর হিমা সেটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলে না। পাছে তিনি কিছু আগাম জেনে যান। রাবেয়া বলেন
-তুই কি অসুস্থ মনি?
-কেন আন্টি?
-গলা টা এমন শোনা যাচ্ছে যে?
-কিছু হয়নি তো আমার। মুনিয়ার জন্য চিন্তায় ছিলাম, তাই হয়তো। ও কাঁদছে কেন?
-কি জানি। অন্যদিন তো এভাবে কাঁদে না মেয়েটা। আজ কিছুতেই কান্না থামাতে পারছিনা।
-ওহ। আজ ও অনেক কষ্ট দিয়েছে আপনাদের। দেন আমার কাছে।

মনি মুনিয়াকে কোলে নেবার আগেই আশা বলে উঠে
-তুই বাইরে থেকে এসেছিস মনি। আগে ফ্রেশ হয়ে আয়। পরে নিবি মুনিয়াকে।
-কিন্তু ও তো কাঁদছে আশাপু।
-কাঁদুক। তুই ফ্রেশ হয়ে আয় তো। হাতে জীবানু থাকতে পারে।

মনি পা বাড়ায় ওয়াশরুমের দিকে। এমন সময় নীলের বাবা এসে উপস্থিত হয় সেখানে। মুনিয়াকে কাঁদতে দেখে তিনি প্রশ্ন করেন
-কি ব্যাপার, আজ আমার দাদুমনি কাদছে কেন? কি করেছো ওর সাথে তোমরা? আমার দাদুভাইটাকে কষ্ট দিয়েছো নাকি, দাও ওকে আমার কাছে। তিনি রাবেয়ার কাছ থেকে মুনিয়াকে নিয়ে কপালে চুমু খেয়ে আধো আধো গলায় বলেন
-কে মেরেছে তোমায় দাদুভাই? ওরা মেরেছে? আমি ওদেরকে মেরে দিবো, বকে দিবো সবাইকে। কান্না থামাও প্লিজ দাদুভাইটা।

মনি থমকে দাঁড়ায় উনার কথায়। কানের কাছে বার বার যাদুমাখা দাদুমনি আর দাদুভাই ডাকটা ভেসে আসছে। আজ যেখানে ওর থাকার কথা ছিলো, সেখানে সে অবহেলিত। জন্মদাতা বাপটা পর্যন্ত ওকে অস্বীকার করেছে। আর যাদের সাথে ওর কোনো সম্পর্ক নেই, তারাই ওকে কতোটা কাছে টেনে নিয়েছে। মনি দোটানায় ভোগে, সে কি তাহলে নীলকে ফিরিয়ে দিয়ে ভুল করছে? অন্তত মুনিয়ার কথাটা তাকে ভাবা উচিৎ ছিলো।

মনি ভাবতে পারেনা আর কিছু। মাথাটা প্রচন্ড রকম ব্যাথা করে। এমন সময় মুনিয়ার কান্নার আওয়াজ আরো বেড়ে যায়। মনি সমস্ত চিন্তাভাবনা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে ওয়াশরুমে ঢুকে।

সন্ধ্যার আগে রান্নাবান্নার পাট চুকিয়ে ফেলে হিমা। আজ সবাই মিলে জম্পেশ আড্ডা হবে। রান্নাঘরের কাজকর্ম শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে হাতমুখ ধুয়ে বেরিয়ে আসে। রাবেয়া সন্ধ্যার নামাজের জন্য অযু করছে, আশা আর মনি মুনিয়ার পাশে বসে আছে। নিলয় আর ওর বাবা বাড়ি নেই এই মুহূর্তে । নীল নিজের ঘরে কিসব করছে কে জানে। মনি আর আশা মিলে গল্পগুজব করার ফাঁকে হিমা হাসিমুখে ঢুকলো ঘরে। আশা আর মনির সাথে সেও গিয়ে বসলো বিছানায়। আশা বললো
-রান্না শেষ ভাবি।
-হুম।
-আজ কি রাধলে?
-ইলিশ আর বেগুনের ঝোল রেধেছি আজ।। আর আছে ডাল, আলু ভর্তা।
-ওয়াও, সো সুইট ভাবি। এজন্যই ভাইয়া তোমাকে এতো ভালোবাসে।

হিমা হাসলো আশার কথায়। মনি বললো
-ভালোবাসা পেতে হলে ভাগ্য লাগে। হিমা ভাবির ভাগ্য এতো ভালো যে শুধু স্বামীর ভালোবাসা নয়, পরিবারের সবার ভালোবাসাই তার কপালে জুটেছে।
-এটা ঠিক বলেছো মনি। আমি সত্যিই ভাগ্যবতী। ভাগ্য করে এমন সংসার পেয়েছি।
-আমি একটা ডিসিশন নিয়েছি ভাবী?
-কি ডিসিশন? আশা আর হিমা একসাথে বলে উঠলো।
-ভাবছি কাল থেকে আবার কোচিং এ জয়েন করবো। অনেকদিন তো হয়ে গেলো। মনিও বড় হচ্ছে ধীরে ধীরে। আর কতো বসে বসে খাবো।

-তুই চাইলে কোচিং করাতেই পারিস। আমাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে এই যে বললি আর কতো বসে বসে খাবি, এই কথাটায় আপত্তি আছে।।
-কেন আশাপু?
-তুই নিজেও জানিস, তুই আমার ভাইয়ের বউ। যেভাবেই হোক, বিয়েটা তোদের হয়েছে। হয়তো মা বাবা এখনো জানেনা, তবে হয়েছে তো। এইভাবে কথাটা না বললেও পারতি।
মনি হেসে বললো
-যে বিয়ের কোনো ভিত্তি নেই, সে বিয়ে নিয়ে আমি লাফাই কি করে বলোতো।
আর তাছাড়া, তোমরা জানো আমার অতীত সম্পর্কে। আমি কিভাবে এটা মেনে নেই। আমি চাইনা আমার কলংক অন্য কারো জীবনে প্রভাব ফেলুক।

হিমা এতোক্ষণ শুনে যাচ্ছিলো ওদের কথোপকথন। এ পর্যায়ে সে মুখ খুললো। খুবই শান্তভাবে সে মনিকে উদ্দেশ্য করে বললো
-তোমার বয়স কম মনি, তাই এই ধরনের কথা বলছো। হয়তো ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তুমিও এতোটা অবগত নও। একটা মেয়ের বর্তমান, ভবিষ্যৎ হচ্ছে তার স্বামী। স্বামী হচ্ছে একটা মেয়ের জন্য পোষাকস্বরুক, মাথার উপর ছাদ, দুঃসময়ের বন্ধু আর সারাজীবনের সঙ্গী।

তোমার জীবনে হয়তো এমন এমন বন্ধু থাকবে যাদেরকে অসময়ে পাবে না, তবে একজন প্রকৃত স্বামী সেইসময় তোমাকে ছায়ার মতো আগলে রাখবে। সারাটা জীবন তোমার মাথার উপর ঢাল হয়ে থাকবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে স্বামীর ভালোবাসা পাওয়া, যেটা ধরা কিংবা ছোয়া যাই না। শুধু হৃদয় দ্বারা অনুভব করা যায়। আর একমাত্র স্বামীরাই পারে, এটি অনুভব করাতে।

এই যে তোমার একটা মেয়ে আছে, তুমি যতোই বলো না কেন, তোমার সন্তানের পরিচয় তুমি নিজেই হবে, কিন্তু একবার বাইরের প্রেক্ষাপটের দিকে তাকাও। বাবার ছায়া যে সন্তানের উপর নেই, সমাজে সে সন্তান মূল্যহীন। সমাজ তাকে নানা কটু কথা শোনায়, চরিত্র নিয়ে কথা উঠায়।

স্বামী হচ্ছে এমন একজন মানুষ, যিনি সারাজীবন স্ত্রী সন্তানের ঢাল হয়ে থাকেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। সমাজের সবাই তো আর মানুষ না, কিছু কিছু অমানুষও থাকে। কেউ সবকিছু পায় না, ওটা ওদের দুর্ভাগ্য। কেউ পেয়েও সেটার কদর করেনা। তবে যে পেয়েও কদর করে না, সে দুর্ভাগা। আল্লাহ হয়তো চেয়েছেন, নীল তোমার জীবনে আসুক, তাই এমন একটা দুর্ঘটনার মাধ্যমে তোমাদের বিয়েটা হয়ে গেছে। এখন তোমার উচিত, যেটা পেয়েছো সেটাকে দুহাতে আগলে রাখা। বাকিটা তোমার ইচ্ছা। আমরা তোমাকে বুঝাতে পারবো, কিন্তু তোমার মতামতের বাইরে যেতে পারবোনা। এখন তুমি দেখো কি করতে চাও। তবে, তুমি যদি এটাকে আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত হিসেবে গ্রহণ করো, আশা করি তোমার ভালোই হবে। সবচেয়ে বড় কথা মুনিয়া একটা পরিবার পাবে, যেটা ওর জন্য খুবই দরকার।

মনি চিন্তায় পরল। কথাগুলো ভুল নয়। কিন্তু একটা সংকোচ মনের মধ্যে এখনো কাজ করেই যাচ্ছে। যতদিন এই সংকোচের বেড়া থেকে সে বেরিয়ে আসতে না পারবে ততোদিন কিভাবে সে তার মায়ায় জড়াবে?

গল্পগুজবে আরো কিছু মুহূর্ত পার হয়ে গেলো। পুরনো কথা বাদ দিয়ে সবাই খোশগল্প করতে লাগলো। এমন সময় বেজার মুখ নিয়ে ঘরে আসলো রাবেয়া। দেখে মনে হচ্ছে তিনি খুব রেগে আছেন, আর চিন্তাও করছেন কিছু একটা নিয়ে। আশা আর হিমা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে কি হয়েছে। এমনিতে মাকে তেমন বেশি রাগতে দেখা যায়না। আজ হটাৎ কি হলো মায়ের?

মনির আর তর সইলো না। রাবেয়াকে এমন বেজার মুখে ভালো লাগছেনা। তাই সে প্রশ্ন করেই বসলো।
-আন্টি কি হয়েছে।
রাবেয়া বিছানার এক কোনায় বসতে বসতে বললো
-আমার কিছু হয়নি মনি।।
-তাহলে? এভাবে রেগে আছো যে? পাশ থেকে বললো আশা।
-রেগে আছি তোর ভাইয়ের কান্ডে।
-কোন ভাই?
-বাড়িতে আর কোনটা আছে এখন? নিলয় কি আছে বাসায়?
রাবেয়ার কথা বলার ধরনে বুঝা যাচ্ছে উনি উত্তেজিত হয়ে পরছেন।

হিমা উনাকে শান্তনা দিয়ে বললো
-আহ মা, এভাবে চটে যেয়ো না তো। কি হইছে সেটা বলো। নীল কি কিছু বলেছে?
-ওর যাওয়ার ডেট ছিলো কবে হিমা?
-এই মাসের শেষ নাগাদ।
-আর কতোদিন বাকি ছিলো?
-আরো চৌদ্দ পনেরো দিন পর ও যাবে মা।
-না, ও আরো চৌদ্দ পনেরো দিন পর যাবেনা। দুইদিনের মধ্যে যাবে। পরশু নাকি ওর ফ্লাইট।
-মানে? চমকে উঠলো আশা। হতভম্ব হয়ে গেলো মনিও। হিমা বললো
-ও হয়তো মজা করে বলেছে এটা।
-না, সিরিয়াসলি বলেছে। সবকিছু ব্যাগপ্যাক করে ফেলছে এখনই। কাল নাকি সময় পাবেনা। কোথায় কোথায় নাকি যেতে হবে। এটা কোনো কথা, তোরাই বল। হুট করে একটা কথা বলে দিলেই হলো? কি এমন হয়েছে যে যাওয়ার ডেইট এভাবে নিজে থেকে এগিয়ে এনেছে।

কারো মুখে কোনো কথা নেই। রাবেয়া উঠে চলে গেলো হটাৎ। আশার মুখটাও থমথমে হয়ে আছে। হিমা উঠে দাঁড়িয়ে আশাকে বললো
–আয় তো আশা, দেখে আসি নীলের কি হয়েছে। হটাৎ যাওয়ার তারিখ এগিয়ে এনেছে, কারণটা কি?

উনারা চলে গেলে মনি একা হয়ে গেল। নীল চলে যাবে, তাও আবার পরশু, কথাটা শোনামাত্রই বুকের ভিতর ধক করে উটলো ওর। ভালোবাসে কিনা। কিন্তু সে কেন চলে যেতে চাইছে এভাবে? আজ কি সে বেশিই খারাপ আচরণ করে ফেলেছে নীলের সাথে?

এইসব ভাবনাচিন্তার মাঝে হটাৎই মনির মনে উদয় হল, নীল চলে যাবে। অনেক দূরে চলে যাবে। চাইলেও যখন তখন আসতে পারবেনা সে। চাইলেও মনি তাকে আর দেখতে পাবেনা কয়েক বছরের মধ্যে। আর কেউ তাকে পুঁচকে মেয়ে বলবেনা, আর কেউ তাকে বউ বলে আদরের সাথে ডাক দিবেনা। মনির মনের মধ্যে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হলো। কি করে থাকবে সে? তাকে একদন্ড না দেখে থাকাটা কি আদৌ সম্ভব? মনির চোখ বেয়ে হটাৎ নোনাজলের ধারা বেয়ে চললো। মনের মধ্যে আগত হলো, তাকে বলতে হবে, বলতেই হবে।

চলবে…

[আগের পর্বে ভালো রিয়েক্ট আসেনি। তাও দিলাম। এখন তোমরা বলতে পারো, গল্প দেওয়ার সাথে রিয়েক্ট কমেন্টের সম্পর্ক কি। গল্প দেওয়ার সাথে রিয়েক কমেন্ট গল্পের রিভিউ ইত্যাদির সম্পর্ক আছে। কেননা, এগুলোই একজন রাইটারকে উৎসাহ যোগায়। আজ পর্যন্ত তোমরা আমার গ্রুপ কিংবা কোনো আলোচনা, সসমালোচনা আর গল্পের রিভিউ গ্রুপগুলোতেও #মন_মুনিয়া দিয়ে একটা রিভিউ দাও নি। আমি কি এতোটুকু আশা করতে পারিনা তোমাদের কাছ থেকে?

আর তোমরা অনেকেই কমেন্টে লিখো, নাইস/নেক্সট। প্লিজ এগুলো না লিখে গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দিও🙏। ভালো থেকো সবাই🙂 ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here