মন মুনিয়া পর্ব-৪৮

0
948

#মন_মুনিয়া
তন্বী ইসলাম -৪৮

জানলা ভেদ করে বাইরের ফুরফুরে হাওয়া ভেতরে ঢুকছে। ট্রেন চলার ঝাকুনিতে চোখে ঘুম মহাশয় এসে ভর করা শুরু করে দিয়েছে ইতোমধ্যেই। আশা আর কোনো কিছু না ভেবে ঘুমের দুনিয়ায় পাড়ি দিলো।

ঠিক কতোটা সময় সে ঘুমিয়েছে তার জানা নেই। যখন সে সজাগ হলো, তখন দেখলো ট্রেন এখনো দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইচ্ছে করলো না মাথাটা তুলে বসার। কিন্তু মাথার নিচে থাকা জিনসটা কিছুটা শক্ত, আর সে কারণে মাথায় ব্যাথাও পাচ্ছে কিছুটা। ঘুম চোখে ব্যাথা পাবার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সে দেখলো শ্রাবনের ঘাড়ে তার মাথাটা রাখা।

আশা চটপট উঠে পরলো। শ্রাবণ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে তার দিকে। আশা কিছু না জানার ভান করে বললো
– এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
-দেখছি।
-কি দেখছেন।
-নিজেকে এখন শাকচুন্নি থাকার আবাসস্থল মনে হচ্ছে। আমিই বুঝি সেই লোমহর্ষক গাছ, যেখানে পেত্নীরা বসবার করে।
আশা চোখ বাকিয়ে বললো
-মানে কি?
-কিছুই না। কি আর হবে।
-দেখুন, আমি কিন্তু ইচ্ছে করে আপনার ঘাড়ে মাথা রাখিনি।
-তাহলে কি আমি রেখেছি?
-হয়তো। আমি ঘুমিয়ে যাবার পর আপনিই হয়তো আমার মাথাটা টেনে আপনার ওখানে রেখেছেন।

শ্রাবণ অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বললো
-ট্রাস্ট মি, তোমাকে যতোই দেখছি, ততোই অবাক হচ্ছি। একটা মানুষ কিভাবে এমন হতে পারে। আল্লাহ আমায় কি বাঁচানো টা যে বাঁচিয়েছেন।
-আপনার সাথে আমি আর কথাই বলবো না।
-তোমার সাথে কথা না বললে বোধহয় আমি মরেই যাবো।
আশা মুখ বাকালো। এ লোকের সাথে কথা বলা মানে, যেচে গিয়ে তর্ক করা। সে আর তর্কে জড়াতে চায় না।
বাকি রাস্টাটুকু আর কেউ কারো সাথে কথা বলেনি। নির্দিষ্ট গন্তব্যে ট্রেন এসে থামলো। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। আশা তার ব্যাগপত্র গুলো হাতে নিয়ে ট্রেন থেকে নামার মুহূর্তে ওকে পাশ কাটিয়ে শ্রাবণ নেমে পরলো।

আশা কিছুক্ষণ সেদিকে বাকা ভাবে তাকিয়ে থেকে নিজের কাজে মন দিলো।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মটা এতোটা বড় যে ব্যাগগুলো নিয়ে হেটে যেতে বেশ ঝামেলা হচ্ছিলো ওর। এই মধ্যে আশেপাশে কোনো কুলিও দেখতে পাচ্ছিলো না। যারা আছে, তারা অন্যদের ব্যগ টানতে ব্যাস্ত।
পুরো রাস্তা জার্নি করে আসার কারণে শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পরেছে। আর সে কারণে ব্যাগগুলো টানতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো তার। এক সময় ক্লান্ত হয়ে সে দাঁড়িয়ে পরলো। কি করবে না করবে ভেবে চারপাশে চোখ বুলাতে লাগলো। যদি কোনো কুলির সন্ধ্যান পায়।

এমন সময় কোনদিক থেকে এসে যেনো শ্রাবণ ওর ব্যাগদুটো দুহাতে নিয়ে সামনে হাটা শুরু করলো। আশা অবাক। সে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে রইলো শ্রাবণের দিকে। শ্রাবণ ততক্ষণে কিছুটা সামনে চলে গেছে৷

আশা এবার দৌড় দিলো। দৌড়ে শ্রাবণের কাছাকাছি গিয়ে বললো
-এটা কি হলো?
-কি?
-আপনি আমার ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
-জানিনা।
-আপনি কি চুরি করার ট্রেনিং নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছেন?
শ্রাবণ হাটতে হাটতে কিছুটা রাগী চোখে তাকালো আশার দিকে। আশা সামান্য ভয় পেলো ওর তাকানোর ধরণ দেখে। ঢোক গিলে বললো
-এভাবে তাকাচ্ছেন কেন।

শ্রাবণ কোনো জবাব না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো। এবার আশা নিশ্চুপ। সে আর কোনো কথা বাড়ালো না। একটা সময় স্টেশনের বাইরে এসে ব্যাগগুলো নিয়ে দাঁড়িয়ে পরলো শ্রাবণ। কোনো দিকে না তাকিয়ে আশাকে বললো
-ব্যাগগুলো নিয়ে তো শুকনো জায়গায় হাবুডুবু খাচ্ছিলে দেখছিলাম। তাই সাহায্য করছিলাম শুধু, চুরি নয়।
-আপনি ঢাকায় কেন এসেছেন?
হটাৎ এমন প্রশ্নে ভ্রু কুচকায় শ্রাবণ। এটা আবার কি ধরনের কথা। সে তীব্র কন্ঠে বললো
-কেন, এই শহরটা কি তোমার একার? আমি আসাতে প্রব্লেম হচ্ছে?
-সেটা নয়, কিন্তু আপনি তো গ্রামেই জব করেন। তাই বলছিলাম।
-এতো বলাবলি বাদ দিয়ে তুমি এবার তোমার রাস্তা ধরো তো।
-শুনুন মিস্টার খাম্বা, এভাবে আমাকে অপমান করে কথা বলতে পারেন না। আমি আপনাকে ডাকিনি। আপনি নিজে থেকেই এসেছে। এখন আবার ভাব ধরে বলছেন আমার রাস্তা ধরার জন্য। রাস্তা তো ধরবোই। সে কি আপনাকে বলে দিতে হতে।
-বড্ড বেশি কথা বলো তুমি।
-মুখ টা আছে কি করতে?
-তোমার মুখ নিয়ে তুমি থাকো। আমি গেলাম।

শ্রাবণ আর কোনো কথা না বাড়িয়ে সামনের দিকে হাটা ধরলো। আশা কিছুক্ষণ কি যেনো ভেবে পিছন থেকে শ্রাবণকে বললো
-আরেকটু হেল্প করলে কি এমন ক্ষতি হতো?
শ্রাবণ ঘুরে দাড়ালো আশার কথায়। শ্রাবণকে দাড়াতে দেখে আশা এগিয়ে গেলো তার দিকে। গম্ভীরমুখে শ্রাবণ বললো
-কি করতে হবে?
-একটা সিএনজি ভাড়া করে দেন!
শ্রাবণ কপাল কুচকে তাকালো আশার দিকে। আশা কন্ঠস্বর নরম করে বললো
-দেখুন, ঠিকঠাক ভাবে বিয়েটা হলে এতোদিনে আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে দিন যাপন করতাম। সেই অধিকার থেকে এতোটুকু দাবি করতেই পারি।
-তার মানে, আমাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছে তোমার ছিলো। তাও এতো অভিনয় করেছিলে!

আশা চোখ পাকিয়ে বললো
-মোটেও না।
শ্রাবণ একবার আশার পা থেকে মাথা পর্যন্ত অবলোকন করলো। মনে মনে ভাবলো, “এতোটাও পেত্নীমার্কা চেহারা নয়, ভালোই দেখতে।”
আশা বুঝার চেষ্টা করলো শ্রাবণের মনের মধ্যে কি চলছে। সে ভ্রু বাকিয়ে বললো
-কিছু ভাবছেন?
-হুম।
-কি?
-শাকচুন্নি হিসেবে তুমি ঠিকঠাক।
আশা আর কোনো কথা না বাড়িয়ে বললো
-ওকে, মেনে নিলাম আমি শাকচুন্নি। এবার তো আমাকে একটা সিএনজি করে দেন প্লিজ।
-ভাড়া করে দিবো?
-ভাড়াটা আমিই দিবো। আপনি শুধু সিএনজি এনে দেন।

আশাকে দাড় করিয়ে শ্রাবণ চলে গেলো সিএনজি আনতে। এদিকে একা একা দাঁড়িয়ে রইলো আশা। এমন সময় কয়েকজন ছেলে যাচ্ছিলো ওর সামনে দিয়েই। যদিও কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে ছেলেপুলে থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে ছেলেগুলো আশার দিকে বাজেভাবে তাকাচ্ছিলো। বার বার ওর দিকে তাকিয়ে শিশ বাজাচ্ছিলো আর অশ্লীল বাক্যালাপ করছিলো। আশা কিছুটা বিরক্ত বোধ করছিলো তাতে। ইচ্ছে করছে মুখ বরাবর কয়েকটা কিল গুতো দেক। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। তার উপর শহরের এইসব বখাটে ছেলে মানেই ডেঞ্জারাস কিছু। পাছে, রেগে গিয়ে উল্টাপাল্টা কিছু যদি করে বসে। আশা তাই মুখ বুজে সব হজম করলো।

এদিকে ছেলেগুলো অনবরত ওর চারপাশে ঘুরে যাচ্ছে। ওকে নিয়ে এটা ওটা বলছে। আশা না পারছে কিছু বলতে আর না পারছে সইতে। ব্যাগগুলো রেখে এদিক থেকে সরেও যেতে পারছেনা। এমন সময় শ্রাবণ চলে এলো আশার সামনে। ছেলেগুলোকে দেখেই সে বুঝতে পারলো কি হচ্ছে এখানে। এই মুহূর্তে কি করা উচিত সে বুঝে গেছে। শ্রাবণের ক্যারেক্টারের মধ্যে অন্যতম একটা দিক হলো সে প্রতিবাদী, কিন্তু কারো সাথে ঝামেলায় জড়ানো একদমই সে পছন্দ করে না। শ্রাবণ স্বাভাবিকভাবেই আশার কাছে এলো। খানিক জোরে বললো
-ওগো, তারাতাড়ি করো। সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের আরো কতটা রাস্তা যেতে হবে বলো।

শ্রাবণের কথায় অবাক হলো আশা। এসব কি বলে এই লোক। উনার সাথে আবার সে কোথায় যাবে? খানিক বাদে শ্রাবণ তাড়া দিয়ে জোর গলায় বললো
-কি গো, এখনো দাঁড়িয়ে আছো যে?
-আপনি এভাবে চিল্লাছেন কেন?
-কি ঝামেলা। আস্তে করে বললে তো তুমি শুনো না। জোরে বললেও দোষ। তোমার কানে সমস্যা আছে আমি জানি। জন্মগতভাবেই বয়ড়া হয়ে জন্মেছো। তা না হলে আর কম জায়গায় তো তোমাকে নিয়ে গেলাম না। সব খানেই তো ডাক্তার বলে দিয়েছে এটা আর ঠিক হবেনা কখনো। তাই তো এবার তোমার পুলিশ কমিশনার মামার কাছে যাচ্ছি। উনি নাকি ভালো এক ডক্টরের কাছে আমাদের নিয়ে যাবেন।

শ্রাবণ খেয়াল করলো ছেলেগুলো ততোক্ষণে চুপচাপ সেখান থেকে সরে গেছে। সে মুচকি হাসলো। ততক্ষণে আশাও বুঝে গেলো শ্রাবণের এইসব বলার কারণ। সেও মুখ টিপে হাসলো। শ্রাবণের কাছাকাছি গিয়ে বললো
-কৌশলে আমাকে বউ বানিয়ে দিলেন!
-তোমার জন্যই।
-হিরো সেজে একটু যদি মারপিট করতেন, তাহলে ভেবে দেখতাম।
-কি ভাবতে? ভ্রু বাকিয়ে বললো শ্রাবণ।
-ভাবতাম, বাস্তবে আপনার বউ হওয়া যায় কিনা।
শ্রাবণ হেসে বললো
-যার নামটা আমার কপালে লেখা আছে, সে আমাকে দেখেই আমার জীবনে আসবে, আমার ফাইট দেখে নয়।

আশা এবার আর কিছু বললোনা। শ্রাবণ আশার ব্যাগদুটো নিজের হাতে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বললো
-এসো, গাড়ি সামনেই দাঁড়ানো।
-একটা ব্যাগ আমার কাছে দিন।
-যে নিজেকেই সামলাতে পারে না, সে ব্যাগ সামলাবে কি করে। এসো তো তাড়াতাড়ি।
ব্যাগগুলো সিএনজির পিছনে রেখে আশা উঠে পরলো সেখানে। শ্রাবণের কাছ থেকে বিদায় নিতে যাবে তখন দেখলো শ্রাবণ নিজেও সিএনজিতে উঠে বসছে। আশা অবাক হয়ে বললো
-আপনি উঠছেন কেন? আপনার রাস্তাও কি ওইদিকে?
-উঠছি, মনের খুশিতে।
-দেখুন, ছ্যাড়াব্যাড়া কথা আমার ভালো লাগেনা। যেটা জিজ্ঞাসা করেছি, সেটার উত্তর দেন।

সিএনজি ছেড়ে দিয়েছে। বাতাশের বেড়া ছিড়ে সেটা এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। চারিদিকে ধুলোবালি আর অনবরত গাড়ির হর্ণ। কি একটা বাজে অবস্থা। আশা এখনো জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শ্রাবণের দিকে।।শ্রাবণ আশার মনের খচখচানি দূর করতে বললো
-সন্ধে হয়ে গেছে। তোমার লোকেশন অনুযায়ী যেতে যেতে রাত হয়ে যাবে অনেক। কিছুক্ষণ আগেও দেখলাম ছেলেরা ঝামেলা করছে। আমার সাথে যেহেতু এসেছো, কিভাবে একা ছাড়ি বলো। প্রফেসর মানুষ, দায়িত্বটা একটু বেশিই কিনা।
আশা ভ্রু বাকালো। বললো
-রাত হয়েছে তো কি হয়েছে। আমি এর আগেও অনেক বার রাতে এসেছি।
-তখন তো আমি ছিলাম না। এবার যেহেতু আছি, নিজের দায়িত্ব টা পালন করতে দাও। আর বিপদ বার বার হয় না। একবারই হয়। আল্লাহ না করুক, আজ আমি তোমাকে একা ছাড়ার কারণে রাস্তায় যদি কোনো বিপদে পড়তে আর সে বিপদের কারণে যদি তোমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়, তখন আমি কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব?

আশা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো শ্রাবণের দিকে। মানুষটা সত্যিকার অর্থে মন্দ নয়। বরং যথেষ্ট ভালো মনের অধিকারী। সে এক নজরে তাকালো শ্রাবণের দিকে। এই প্রথম সে শ্রাবণকে এতো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখছে। লোকটা যথেষ্ট লম্বা, গায়ের রঙ শ্যামবর্ণ। খোচাখোচা দাড়ি আছে। চোখের মনিটা যথেষ্ট গভীর। মায়ায় ভরা। ভালোই লাগছে। আশা মনে মনে ভাবলো, “যেসব মেয়েদের মনে মায়া থাকে, তাদের মায়াবতী বলে, ছেলেদের কি বলে?”

শ্রাবণ খেয়াল করলো, আশা একভাবে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। সে সামান্য কাশি দিয়ে বললো
-পরপুরুষের দিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে নেই।
আশা উত্তর দিলোনা। সে তাকিয়ে রইলো আগের মতো করেই।

________
মাগরিবের নামাজ পরে জায়নামাজ থেকে উঠে বিছানায় এসে বসলো মনি। মুনিয়াকে সেই বিকেল থেকে রাবেয়ার কাছে নিয়ে গেছে। এখনো সেখানেই আছে। ঘুমোচ্ছে বোধহয়। মনি ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। এমন সময় ফোনের রিংটোন টা বেজে উঠল। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো নীল ভিডিওতে কল করেছে। মনির ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসির রেখা দেখা গেলো। এই ফোনটা বিদেশ যাবার আগে নীলই ওকে দিয়ে গিয়েছিলো। বউটার সাথে কথা না বলে, না দেখে নাকি সে থাকতে পারবেনা।

মনি হাসিটা ঠোঁটে ঝোলানো অবস্থাতেই কল রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে নীল বলে উঠলো
-আজ বোধহয় আমার বাকি সময়টা ভালোই কাটবে। ফোন করেই সর্বপ্রথম বউ এর হাসিমুখটা দেখতে পেলাম।
-কি করছেন?
-তোমাকে দেখছি।
-আপনি বড্ড দুষ্টু।
-যে বর বউ এর সাথে দুষ্টুমি করে না, সে কিসের বর। তার বর হবার কোনো অধিকার নেই।
মনি হাসলো নীলের কথায়। নীল বললো
-মুনিয়া কোথায়?
-আন্টির কাছে?
-কোন আন্টি?
-জানেন না?
-নাহ। বলো।
-আপনার আম্মু।
-তোমার কি?
মনি লজ্জায় পেলো এবার। সে লাজুক মুখে বললো
-আপনি আজ আমাকে লজ্জায় ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন কেন?
-তোমার লজ্জালজ্জা ফেইসটা দেখার জন্য।
মনি লাজুক মুখে নিচের দিকে তাকালো।

নীল বললো,
“আমি যতোবার এ চোখে তাকাই, ততোবার হারিয়ে যাই দূর অজানায়।
আমি ডুবে যাই তোমাতে, আমি মিলিয়ে যাই তোমার অস্তিত্বে।
এক চিলতে লাজুকতা,
আমার মনিকোঠরে নেশা ধরায়।
ওহে প্রিয়া, এমন ভাবে তুমি মেরো না আমায়।
আমি যে বড্ড ভালোবাসি তোমায়””

চলবে……

[অনেক দিন অপেক্ষা করিয়েছি। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার আব্বুর হার্টে ইনফেকশন হয়েছে, লিভার ড্যামেজ হয়ে গেছে। চর্বি জমে গেছে অনেক। সব মিলিয়ে অনেক বাজে একটা অবস্থা হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন আমার আব্বুর জন্য 🙂🙂]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here