মন ময়ূরী’ পর্ব-২০

0
1347

#মন_ময়ূরী
#Tahmina_Akther

শেষাংশের (প্রথম খন্ড)

সকাল এগারোটায় অসুস্থ ফায়েজকে দেখতে চলে আসে খেয়ার মা এবং দাদি।
খেয়ার বাবা কবির খাঁন সকালে সচিবালয়ে চলে যায়। তাই উনারা দু’জন ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে চলে আসেন চৌধুরী বাড়িতে।

উনারা এসে দেখেন ফায়েজ সুস্থভাবে চলাফেরা করছে। ফায়েজ ওর শ্বাশুড়ি এবং দাদিকে হাসিমুখে সালাম দিয়ে কাজের লোকদের ডেকে খাবার দিতে বললে, খেয়ার মা বারণ করে দেয় কিন্তু কে শুনে কার কথা ফায়েজের অনুরোধে খেয়ার মা বারণ করেননি।

খেয়ার মা চারদিকে চোখ ঘুরেফিরে দেখতে লাগলেন হয়তো খেয়াকে খুঁজছেন। ফায়েজ বুঝতে পেরে খেয়ার মোবাইল নাম্বারে কল করে।

খেয়া তখন ঘরে পায়চারি করছিল এমন সময় মোবাইলে কল আসে। খেয়া হেঁটে গিয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো, ফায়েজ কল করছে। খেয়া ভ্রু কুঁচকে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে উঠলো,

-বাড়িতে থেকে আমাকে কল করছেন কেন উনি!শরীর খারাপ হলো না-কি আবার?

চিন্তিত ভঙ্গিতে কল রিসিভ করতেই ফায়েজ ওপাশ থেকে বললো,

-আপনার মা এবং দাদি এসেছেন। আপনি নিচে চলে আসুন তাছাড়া নওশিন আপনাকে খুঁজছে।

কথাগুলো শেষ হওয়া মাত্র কল কেটে দিলো ফায়েজ আর খেয়া ওর মা এবং দাদির এই বাড়িতে আসার খবর পেয়ে খুশি হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে ড্রইংরুমে চলে গেলো।

খেয়াকে দেখতে পেয়ে খুশি হয়ে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরলো খেয়ার মা। খেয়া ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,

-মা, তোমাদের ছাড়া আমার কিছু ভালো লাগছে না।

-তোকে ছাড়া আমারও ভালো লাগছিল না। তাই তো চলে এলাম তোকে আর ফায়েজকে দেখতে।

-দাদীবু,খালি তোর মায়ের সাথে কথা বলবি আমাকে চোখে দেখছিস না?

খেয়ার ওর দাদির কথা শুনে হেসে ফেললো এরপর ওর মাকে ছেড়ে ওর দাদির সামনে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো,

-তুমি হচ্ছো আমার কথা জমা রাখার ব্যাংক তোমাকে ভুলবো কি করে?

-ভালো আছিস খেয়া?

খেয়া ওর দাদির কাছ থেকে এমন প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

-কেন দাদি আমাকে দেখে মনে হচ্ছে না আমি ভালো আছি?

-তুই ভালো থাকার ভান করছিস?কি হয়েছে বলবি না তোর দাদীবুকে?

-তুমি বেশি বুঝো ঘুম হয়নি রাতে তাই হয়তো ওমন দেখাচ্ছে আমাকে।

দাদি আমার কথা বিশ্বাস করলো কি না জানি না কিন্তু ফায়েজের দৃষ্টি বলে দিচ্ছে সে উত্তরে সন্তুষ্ট নয়। তাতে আমার কি সে যা বোঝার বুঝুক!

দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর নওশিন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় তবে যাবার আগে ফায়েজকে বারবার অনুরোধ করে সময় করে একবার যেন খেয়াকে সাথে নিয়ে ওদের বাড়িতে যায়।

ড্রইংরুমে বসে আছে খেয়ার বাবা-মা,দাদি, ফায়েজের বাবা-মা। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছে আর ফায়েজ চুপচাপ বসে বড়োদের কথা শুনছে। এমন সময় খেয়া এসে সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে,

-আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি আমার সিদ্ধান্ত জানার কর আপনারা আমাকে সার্পোট করবেন।

খেয়ার কথার মর্ম বুঝতে পেরে খেয়ার বাবা নড়েচড়ে বসেছেন। ফায়েজের বাবা হাসিমুখে খেয়াকে বলেন,

-কি বলবে খেয়া বলে ফেলো আমাদের? এতক্ষণ তোমার অপেক্ষায় ছিলাম আমরা।

-আসলে বাবা আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার বাকি পড়াশোনা হোস্টেলে থেকে পূরণ করতে চাই, যদি আপনারা সকলে অনুমতি দিন তবে।

খেয়ার কাছ থেকে হোস্টেলের কথা শুনে উপস্থিত সবাই অবাক হলো, বিশেষ করে ফায়েজ। ফায়েজ ভাবছে আজকের আচরণের জন্য হয়তো খেয়া হোস্টেল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

-দু’দুটো বাড়ি থাকতে তুমি হোস্টেল গিয়ে থাকবে এটা কেমন কথা, খেয়া?কিছু হয়েছে আমাকে বলো নাকি ফায়েজ তোমাকে কিছু বলেছ? ফায়েজের মা বলে উঠলো।

-হোস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত পুরোটাই আমার।আর যদি কোনো কারণ থাকে আমি আপনাদের বলতে পারবো না।

খেয়ার সিদ্ধান্তে সবাই যখন আশাহত ঠিক তখনি ফায়েজকে উদ্দেশ্য করে ফায়েজের বাবা বলেন,

-খেয়ার সিদ্ধান্তে তুমি কিছু বলবে না,ফায়েজ?

-আমার কি বলার আছে বাবা! খেয়ার যা ভালো লাগে ও তাই করছে। এখন যদি ওর মনে হয় বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে ও হোস্টেলে ভালো থাকতে পারবে তবে ওকে হোস্টেলে থাকার অনুমতি দেয়া ভালো হবে।

কথাগুলো বলে ড্রইংরুম ছেড়ে চলে গেলো ফায়েজ। বাড়ির সকলেই ফায়েজের কথার অর্থ বুঝতে পেরেছে কিন্তু কেউই কিছু বলেনি। কি দরকার কিছু বলার? ওদের ঝামেলা ওরা মিটিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবে।

খেয়া এবং ওর পরিবার সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলো খাঁন বাড়িতে। কারণ, আর দু’সপ্তাহ পর খেয়ার পরীক্ষা। বিয়ের কারণে মোটেও ওর প্রিপ্রারেশন ঠিক নেই।

****************

এরইমাঝে কেটে গেছে একসপ্তাহ। ফায়েজ সুস্থ হয়ে আগের মতো শুটিংয়ে ব্যস্ত। খেয়া এখন হোস্টেলে আছে। সময় করে তিনবেলা দু’পরিবারের লোকদের সাথে কথা বলছে শুধুমাত্র ফায়েজকে ছাড়া। এই একসপ্তাহে না ফায়েজের সাথে খেয়ার দেখা হয়েছে না কথা হয়েছে। একপ্রকার বলা চলে দু’জন দু’জনকে এড়িয়ে যাচ্ছে।

এমনি এক সকালে খেয়া বসে বসে ল্যাপটপে কি যেন দেখছিল। রিমি এসে খেয়ার পাশে বসে বললো,

-তোদের বিয়ে হলো আজ প্রায় একমাস হতে চললো কিন্তু তোদের হাবভাবে দেখে মনে হচ্ছে তোরা ত্রিশবছর সংসার করে হাঁপিয়ে গেছিস, উপায় না পেয়ে তুই বনবাসে এসে চিল মারছিস। কি হয়েছে বল না খেয়া?

রিমির রোজকারের মতো আজও এমন প্রশ্নে খেয়া কিছুটা বিরক্তবোধ করলো। কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে এমন সময় ওর মোবাইলের মেসেজ টোন বেজে উঠলো।খেয়া মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলো ফায়েজের মেসেজ।

হুট করে ওর হৃদপিণ্ড কাঁপতে লাগলো,শ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে খেয়ার।পাষাণ একটা, আজ এতদিন ধরে একটিবারের জন্য কল দিয়ে বলেনি, খেয়া প্লিজ তুমি হোস্টেল থেকে বাড়িতে ফিরে এসো। আহাম্মক একটা!আমি যা বলবো সেই কথাতে তিনি মাথা কাত করে সায় দিবে কেন?একটিবার জোর খাটাতে পারে না। তার এত অহংকার নিয়ে সে থাকুক আমি আর নায়ক সাহেবের কাছে যাচ্ছি না।

অভিমানী কন্ঠে কথাগুলো মনে মনে বলছে খেয়া। দু’চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে কিন্তু রিমির সামনে কান্না করা যাবে না। তাই শক্ত কন্ঠে রিমিকে বলে

-রিমি তুই যা আমি পরে তোর কথা শুনবো?

-তুই সবসময় আমি প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যাস। কিছু প্রবলেম থাকলে বল, কোনো না কোনো সলিউশন অবশ্যই পাবি।

-তুই যা তো এখন। আমার কোনো সলিউশনের দরকার নেই।

রিমি উঠে চলে গেলো।রিমি চলে যাবার পর খেয়া বলে উঠলো,

– রিমি,চাইলেও তোকে আমি আমার সমস্যার কথা কাউকে খুলে বলতে পারবো না এমনকি আমার বাবা-মা, দাদীবুকেও না। আমার সলিউশন আমি নিজেই খুঁজে বের করবো।

খেয়া উঠে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো। কারণ,এই রুমে আরও দুজন মেয়ে থাকে ওরা এখন ক্লাসে গিয়েছে যেকোনো মূহুর্তে চলে আসতে পারে।

ফায়েজের মেসেজটি পড়তে লাগলো খেয়া। লেখা আছে,

“তোমার ইমেইল এ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পাঠিয়েছি। সময় হলে দেখো, তুমি তো অনেক ব্যস্ত মানুষ।”

-হ্যা,আমি ব্যস্ত মানুষ আর আপনি ভাদাইম্মা। সারাদিন ওমুক নায়িকাদের সাথে ফটোশুটে ব্যস্ত থাকে। সেই মানুষ কি-না আমাকে বলছে আমি নাকি ব্যস্ত।

খানিকটা রাগীস্বরে কথাটি বলে ল্যাপটপ কোলে নিয়ে ইমেইলের ইনবক্স চেক করে দেখলো, সত্যি সত্যি ফায়েজ ভিডিও সেন্ড করেছে।

দুরুদুরু বুকে ভিডিও প্লে করে দিলো খেয়া।

ভিডিও প্লে হবার পর ল্যাপটপের স্ক্রীণে ফায়েজের চেহারা ভেসে উঠেছে। খেয়া তৃষ্ণার্ত চোখে তাকিয়ে আছে ফায়েজের দিকে। আচ্ছা, উনি কি রাত জাগেন?হয়তো,চোখের নিচে কালি বলে দিচ্ছে উনি কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন!

ফায়েজের কন্ঠ শোনামাত্র খেয়ার ভ্রম দূর হলো, মনযোগ হলো কথা শোনার জন্য। ফায়েজ বলছে,

“খেয়া,তুমি হয়তো ভাবছো কেন আমার কথার ভিডিও রেকর্ডিং করে তোমার কাছে সেন্ড করেছি? আসলে,আজ যে কথাগুলো বলব সেসব কথাগুলো কখনো তোমার সামনে আমি বলতে পারবো না। তুমি হোস্টেলে যাবার পর থেকে আমি বহুবার তোমার হোস্টেলের পাশের মেইন রোডে দাঁড়িয়ে থাকতাম,এই কথাগুলো বলার জন্য। কিন্তু সাহস পায়নি তোমাকে কল করে বলতে,খেয়া তুমি নিচে এসো তোমার সাথে আমি কিছু কথা বলব।

আজ হুট করে সকালে মনে হলো আজ এতদিন হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তু আমাদের দুজন দুজনকে জানার কোনো ইচ্ছা নেই।আমি তোমাকে জানতে চাই খেয়া, খুব ভালো করে জানতে চাই কিন্তু অদৃশ্য এক বাঁধায় আমি তোমার কাছ থেকে বারবার দূরে সরে যাচ্ছি।

তোমাকে দেখতে যেদিন আমি তোমাদের বাড়িতে গেলাম, সেদিন বলতে পারো কোনো এক কারণে আমার মুড অনেক খারাপ ছিল কিন্তু তোমাকে দেখার পর অটোমেটিক আমার মুড ভালো হয়ে গেলো।তোমাকে দেখার পর ভাবছিলাম এত মিষ্টি একটা মেয়ের মুখ দেখে অনায়াসে না খেয়ে জীবন পাড় করা যাবে। কিন্তু, আমার আশায় গুড়েবালি দিয়ে তুমি আমার ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন করলে। আমার অনেক রাগ হয়েছিল তোমার উপর কেন হয়েছিল জানি না, হয়তো তুমি বলতে পারো আমার ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন করাতে আমার তোমার প্রতি রাগ জমেছিল। কিন্তু, বিষয়টা মোটেও এমন ছিল না।

তোমাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আমি গাজীপুর এলাকায় গিয়ে রাত দশটা পর্যন্ত আমার রাগের কারণ খুঁজছিলাম,কারণটা খুঁজে পেয়েছিলাম। আমার রাগের কারণ ছিল তোমার আমাকে রিজেক্ট করে দেয়া শুধুমাত্র নায়ক হবার কারণে।
সোজাসাপ্টা কথা বলা মেয়েটা,মিষ্টিচোখে তাকিয়ে থাকা মেয়েটা আমার হবে না। এই কারনটা যখন আমার সামনে পরিষ্কার হয়ে গেলো, তখন বিতৃষ্ণায় আমার পুরো শরীর কেমন যেন করছিল?আমি তোমাকে সেই অনুভূতি বোঝাতে পারবো না।
তোমার জন্মদিনের পার্টিতে আমাদের হুট করে এনগেইজমেন্ট হওয়া, তোমার শর্ত মেনে নেয়া এরপর বিয়ে সবই যেন আমার কাছে স্বপ্নের মতো। বিয়ে হবার আগমুহূর্ত পর্যন্ত আমি তোমার সাথে কথা বলিনি যদি তুমি আমার কোনো কথায় রেগে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দাও। বিয়ে হলো আমাদের।
বিয়ের রাতে মা তোমাকে একটি লাল শাড়ী দিয়েছিল মনে আছে? ওটা আমি মাকে দিয়ে তোমাকে দিয়েছিলাম যেন তুৃমি এই শাড়িটা পড়ো আর ওই শাড়িতে জড়িয়ে থাকা তুমিটাকে দেখে ক্লান্ত হতে চেয়েছিলাম।জানো, সে রাতে আমি একটুও ক্লান্ত হয়নি বরং মনে হয়েছে আমি ঘুমিয়ে পড়লে লাল শাড়ী পরিহিতা, মায়াময় চেহারা নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা আমার মন-ময়ূরীকে কেউ নিয়ে যাবে পরীর রাজ্যে। তুমি জানতে না অব্দি সে রাতে কেউ তোমার দিকে তাকিয়ে রাত পার করেছে।
এরপর,আমার সময় হলো ইন্ডিয়ায় যাওয়ার। তোমাকে না জানিয়ে যেতে চেয়েছি আমি কিন্তু ফাহিম তোমাকে এয়ারপোর্ট অব্দি নিয়ে এসেছে।
জানো,এয়ারপোর্টে যখন তুমি হলুদ শাড়ি পড়ে আমার সামনে এসে আমার অনুরোধ রাখতে আমায় জড়িয়ে ধরলে ঠিক তখন মনে হয়েছে, এই জীবনে বুঝি কাউকে বুকে জরিয়ে নিলে এত শান্তি অনুভব করা যায়!
জীবনের সব শান্তি বুঝি তোমাকে বুকে জড়িয়ে অনুভব করেছি। তোমাকে ছেড়ে আমি সেদিন প্লেইনে তো উঠেছিলাম কিন্তু আমার মন রেখে গিয়েছিলাম তোমার কাছে।
ইন্ডিয়ায় যাবার পর আমার কঠিন জ্বর এলো ভালোবাসার জ্বর।
তোমাকে হলুদ শাড়িতে দেখার পর আমার দুচোখে সর্ষে ফুল দেখছিলাম। এত অসুস্থের মাঝে আমি বারবার তোমার সাথে কথা বলতে চেয়েছি কিন্তু তুমি কথা বলতে চাওনি। হুট করে এক দুপুরে তুমি ভিডিও কল করে কথা বললে, ব্যস সে রাতে আমি হাড় কাঁপানো জ্বরে কাতর হয়ে সোজা বাংলাদেশে পৌঁছে গেলাম।
ঘুম থেকে জাগার পর তোমাকে দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম জানো কিন্তু প্রকাশ করতে পারিনি।
খেয়া আমি জানি না তোমার মনে কেন এত ঘৃনা নায়কদের প্রতি?তোমার সেই ঘৃনার রোষানলে পড়ে আমি বারবার আহত হয়েছি তোমার ধারালো কথার অস্ত্রের আঘাতে। সহ্য করতে না পেরে তোমার সাথে ওরকম আচরণ করে ফেলেছিলাম আমি। বাট,ট্রাস্ট মি খেয়া আমার কোনো ইনটেনশন ছিল না তোমাকে কষ্ট দেয়ার। কিন্তু, তুমি আমার কথায় কষ্ট পেয়েছো। আমার উপর রাগ মেটাতে যেয়ে তুমি তোমার পরিবারের কাছ থেকে দূরে গিয়ে হোস্টেলে গিয়ে থাকছো। আমি তোমার সাথে খারাপ কিছু করেছি তাই বলে নিজের পরিবারের কাছ থেকে তুমি দূরে থাকবে?
এতদিন ছিলে কিন্তু আর দূরে থেকো না খেয়া।তোমাকে আমি কখনোই কিছুর জন্য জোর করবো না কিন্তু তুমি দয়া করে বাড়িতে ফিরে এসো। তোমার পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না দরকার হলে তোমাদের বাড়িতে গিয়ে থেকো তুমি। আমি একবার হলেও তোমাকে চোখের দেখা দেখতে পারবো।
খেয়া তোমাকে দেখার পর থেকে আমি কাঙাল হয়ে গিয়েছি। তোমাকে একনজর দেখার জন্য কাঙাল হয়ে গিয়েছি।
তোমাকে একপলক দেখার সুযোগ করে দিও ফায়েজ নামক কাঙালটাকে।

উত্তরের অপেক্ষায় থাকবো। ভালো থেকো খেয়া।

ভিডিও শেষ হয়ে গেলো। খেয়া ততক্ষণে হিচকি তুলে কান্না করছে।

#চলবে

সম্পূর্ন গল্প পড়তে চাইলে পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here