#মন_তুমি_ছুঁয়ে_দেখো_না
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি
#পর্বঃ২৩
ভার্সিটি থেকে ফিরে এসে মাত্রই ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো রিধি।ভালো লাগছে না কিছু।প্রাণপ্রিয় বান্ধুবীর সেই বিধ্বস্ত অবস্থা মনে করলে এখনও বুকে ব্যথা উঠে।না জানি কি করছে মেয়েটা?একবার কি কল করে দেখবে?ফোনকলের কথা চিন্তা করতেই।ওর মোবাইল ফোনটা তীব্র শব্দে বেজে উঠল।রিধি হাতের তোয়ালেটা চেয়ারে রেখে এগিয়ে যায়।মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার থেকে কল এসেছে।সচরাচর তার ফোনে আননোন নাম্বার থেকে কল আসে না।কিছুটা চিন্তিত হয়ে উঠল রিধি।কল কেটে যাওয়ার আগেই রিসিভ করে কানে ধরল।সাথে সাথে কানে এসে বারি খেল গম্ভীর পুরুষালি কণ্ঠস্বর,
‘ রিধি,আমি রুদ্রিক বলছি।আজ ভার্সিটিতে অথৈয়ের সাথে কি হয়েছে।সবটা আমায় বলো।ইচ এন্ড এভ্রি ডিটেইলস!’
আচমকা রুদ্রিকের এহেন কথায় থতমত খেয়ে গেল রিধি।রুদ্রিক যে তাকে কল করেছে ব্যাপারটা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে।রুদ্রিকের কণ্ঠস্বর আবারও শোনা গেল,
‘ রিধি?শুনছ?’
‘ হ..হুঁ!’
‘ ভার্সিটিতে কি হয়েছে?’
রিধি একটা লম্বা শ্বাস ফেলে একে একে সব বলল রুদ্রিককে।ফোনের অপাশ হতে রুদ্রিক সব শুনে রাগে ওর চোয়াল শক্ত হয়ে গেল।দাঁতেদাঁত চিপে বলে উঠল,
‘ এই মেয়েকে অনেক ছাড় দিয়েছি।কিন্তু আর দিবো না।আমার অথৈয়ের চোখের পানি ঝরেছে ওর জন্যে।ওকে আজ আমার হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’
রুদ্রিকের রাগমিশ্রিত কথায় ভয় পেয়ে যায় রিধি।আমতা আমতা করে বলে উঠল,
‘ ভাইয়া?অথৈয়ের কি কিছু হয়েছে? আর এখন ও কোথায়?’
রুদ্রিক বলল,’ ও বাড়ি চলে গিয়েছে।ঘটনাটায় বেশ আঘাত পেয়েছে ও।স্বামী হিসেবে আমি ব্যর্থ।আমি আমার স্ত্রীকে প্রটেক্ট করতে পারিনি।’
‘ এভাবে বলবেন না ভাইয়া।তবে আমি এটাও বলব না যে আপনার একেবারেই দোষ নেই।আপনার দোষ একটাই আপনি বিয়েটা গোপন রেখে কাজটা ভালো করেননি।’
রিধিও রাগ লাগছে রুদ্রিকের উপর।কেন সে এমন করল?এটা না করলে তো আর অথৈ এতো কষ্ট পেতো না।রুদ্রিক হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে বলে,’ হ্যা আমি মানছি আমার দোষ।তবে আমিও পরিস্থিতির স্বিকার।তবে বুঝতে পারিনি এমন কিছু ঘটবে।অথৈ আমার উপর তীব্র অভিমান করেছে।রাগ করলে রাগ ভাঙানো যায়।তবে অভিমানের পাহাড় এতো সহজে ভাঙা যায় না।’
‘ অথৈয়ের অভিমান ভাঙাতে আপনার অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে ভাইয়া।’
‘ তা তো আমি জানিই।বুঝতে হবে না ও বউটা কার।তবে চিন্তা নট।আমার দুটো সালিসাহেবা আর দুটো সালাবাবু আছেন না?তারা তো আছেই আমাকে হেল্প করার জন্যে।’
লাস্ট কথাগুলো দুষ্টুমির স্বরে বলল রুদ্রিক।রিধি হেসে ফেলল রুদ্রিকের কথায়।বলল,’ তা তো অবশ্যই।আমরা আপনাকে সবরকম হ্যেল্প করতে প্রস্তুত।’
‘ থ্যাংক ইউ।’
‘ ইয়্যুর মোস্ট ওয়েলকাম ভাইয়া।’
‘ হুম ভালো থেকো।রাখছি।’
‘ আচ্ছা ভাইয়া।ভালো থাকবেন।’
কথপোকথন শেষ করে কান থেকে মোবাইল সরালো রুদ্রিক।তারপর নিজের রুম থেকে বের হয়ে যায় রেগে।বসার ঘরে বসে আছেন সবাই।আরহাম সাহেব আর আরিয়ান মাত্রই অফিস থেকে এসেছেন লাঞ্চ টাইমে।ছেলেকে রাগে চোখ মুখ লাল করে নিচে নামতে দেখে,হাতের থাকা চায়ের কাঁপতে টি-টেবিলে রাখলেন।আরহাম সাহেব চিন্তিত গলায় বলেন,’ রুদ্রিক?কি হয়েছে তোর?এতো রেগে আছিস কেন?’
রুদ্রিক রাগ চেপে রেখে কোনোরকমে বলে,’ বাবা সব বলব।কিন্তু আপাততো তোমার বোন আর তার মেয়েকে এক্ষুনি এই বাড়িতে আসতে বলো।আর নাহলে যদি আমি যাই। তো তোমার বোনের মেয়ের কপালে বহুত দুঃখ আছে।’
আরহাম সাহেব ভড়কে গেলেন ছেলের কথায়।তার মন একশ পার্সেন্ট সিউর জেনি কিছু করেছে।তাই তো তার ছেলে এমন রেগে আছে।আরহাম সাহেব প্রশ্ন করলেন,’ কিন্তু কি হয়েছে সেটা তো জানতে পারি নাকি?’
‘ সেটা নাহয় তারা আসলেই বলব।’
আরহাম সাহেব কিছু বলবেন তার আগেই আরিয়ান চোখের ইশারায় ওর বাবাকে বলে রুদ্রিক যা বলেছে তাই যেন করে।রুদ্রিকের চিৎকারে আতিক মাহাবুব আর রোজা রুম থেকে বেড়িয়ে আসলেন।রোজা মেডিসিন নিয়ে গিয়েছিলো আতিক মাহাবুবের কাছে।রুদ্রিকের রাগি গলার আওয়াজ শুনে তারা ছুটে এসেছেন।রোজা অস্থির হয়ে প্রশ্ন করল,’ কি হয়েছে?রুদ্রিক তুই এতো রেগে কেন?’
‘ তা একটু পরেই বুঝতে পারবে ভাবি।একটু অপেক্ষা করো।’
আতিক মাহাবুব সোফায় আয়েশ করে বসলেন।ছেলের উদ্দেশ্যে বলেন,’ আরহাম!শেফাকে ফোন দিয়ে আসতে বল।আর সাথে যেন রাগিবকেও নিয়ে আসে।আর হ্যা জেনি তো অবশ্যই যেন আসে।’
আরহাম সাহেব বাবার কথামতো ফোন করলেন তার বোন,মানে শেফাকে।আরহাম সাহেব বেশ শান্তভাবেই তাদের এক্ষুনি এই বাড়িতে আসার কথা বলেন।শেফা বেগম ভাইয়ের এমন জরুরি তল্লবে।একমুহূর্তের জন্যে মনে করলেন।তিনি বোধহয় রুদ্রিক আর জেনির বিয়ের বিষয়ে কথা বলবেন।তাই ভাইয়ের কথামতো সবাইকে নিয়ে হাজির হলেন। অবশ্য জেনি আসতে চায়নি।অথৈয়ের হাতে মার খেয়ে তার গাল ফুলে ফ্যাপে উঠেছে।অবস্থা বেশ খারাপ।যা মেক-আপের আস্তরণে ঢেকে রেখেছে।কাউকে বুঝতে দেয়নি।সে যদি ওর মা বা বাবাকে বিষয়টা জানায়।তো তারা গিয়ে রুদ্রিকদের বাড়ি গিয়ে ঝামেলা করবে।আর রুদ্রিক এসব জানলে তো তার করা কীর্তির কথা যেনে যাবে।তখন রুদ্রিক রেগে মেগে যে কি করবে সেটার ভয়ে ও যেতে চাইছে না।এইযে এখন ও বাড়ি থেকে খবর এসেছে।জেনির ভয় করছে।সে যেটার ভয় পাচ্ছে।তা যদি হয়ে থাকে তবে ওর কপালে শনি আছে।কিন্তু মায়ের জোড়াজুড়িতে ওকে বাধ্য হয়ে যেতে হলো।মির্জা বাড়িতে ওরা এসে হাজির হলো।তারা এসে সোফায় বসবে।তার আগেই রুদ্রিক প্রচন্ড রেগে জেনির হাত টেনে কাছে এনে ওর গাল চেপে ধরল।চিৎকার করে বলে উঠল,’ তোর সহস কিভাবে হলো?তুই রুদ্রিকের জানে আঘাত করিস।আমার স্ত্রীকে যা নয় তাই বলে অপমান করেছিস। তোর এই মুখটা দিয়েই তো সব বলেছিস?তাই নাহ?এখন যদি তোর এই মুখটাই আমি ভেঙে দেই কি বলিস?’
রুদ্রিকের এহেন কান্ডে সবাই চমকে উঠেন।শেফা দৌড়ে মেয়ের কাছে যান।রুদ্রিকের কাছ থেকে ওকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করতে লাগলেন কিন্তু পারলেন না।কারন রুদ্রিক ঠিক এতোটাই জোড় প্রয়োগ করেছে।রোজা এইবার এগিয়ে যায়।রুদ্রিকের কাছ থেকে জেনিকে ছাড়াতে এসে বলে,’ ছেড়ে দে রুদ্রিক।কি করছিস এসব?ছাড়,নাহলে ও ম’রে যাবে তো।’
রুদ্রিকের কঠোর কণ্ঠস্বর,’ যাক ম’রে।’
রুদ্রিক এইবার ধমকে উঠেন আরহাম সাহেব।বাবার ধমকে জেনিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।আরহাম সাহেব রাগি গলায় বলে উঠেন,’ এটা ধরনের ব্যবহার রুদ্রিক?ও সম্পর্কে তোমার বোন ভুলে যেও না।আর আমরা সবাই এখানে আছি।আমাদের সামনে এরকম জালিমদের মতো আচরণ করার কারন কি?’
রুদ্রিক গলা ফাটিয়ে চিৎকার করল, ‘ কারন জানতে চাইছ?আর এ আমার বোন?রিডিকিউলাস! এ আমার বোন কেন?এই মেয়ে আমার কিছুই নাহ।’
শেফা মেয়েকে আঁকড়ে ধরে আছেন।সারাদিনে এতো এতো মার খেয়ে জেনি পুরো নিস্তেজ।শেফা মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে বলেন, ‘ এইভাবে অপমান করার জন্যে এই বাড়িতে ডেকেছিস আমাদের ভাই।আর বাবা তুমি কিছু বলছ না কেন?’
আতিক মাহাবুব বেশ শান্ত গলায় বলেন,’ তুই আর তোর মেয়ে কেমন ধাচের মানুষ।তা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।রুদ্রিকের এমন ব্যবহারের পিছনে যে বিশাল বড়ো কারন আছে।তা ওর কথাতেই বুঝতে পেরেছি। আর বিষয়টা যদি আমার বাড়ির, মানে মির্জা বাড়ির ছেলের বউয়ের বিষয়ে হয়।তো ফল তোদের জন্যে খারাপ হবে।কারন আমার বাড়ির ছেলের বউরা হলো আমার বাড়ির সম্মান।আর এই বাড়ির সম্মানে যে আঘাত করবে।তাকে শাস্তি তো পেতেই হবে। যেটা যেই হোক না কেন! ‘
আতিক মাহাবুবের কথায় শেফা কান্না থামিয়ে অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকান।অবাক হয়ে বলেন,’ ছেলের বউরা মানে?আর রুদ্রিক ও তখন বললো ওর স্ত্রী।কিন্তু রুদ্রিক তো এখনও বিয়ে করেনি।’
রুদ্রিক বলে উঠল,’ ঠিকই শুনেছ তুমি ফুপি।আমি বিয়ে করেছি।আমার স্ত্রী আছে।’
‘ মানে?’
‘ মানে আমার বিয়ে হয়েছে।এই বিষয়ে আপনাদের জানানো হয়নি।দাদু আমাকে মেয়ে দেখাতে নিয়ে গিয়ে।হুট করে সেই মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই বাড়িতে উঠিয়ে আনলে আপনাদের জানাবো ভেবে রেখেছিলাম।’
রুদ্রিক বেশ শান্তভাবে কথাগুলো বললেও।শেফা শান্তভাবে তা হজম করতে পারল না।চিল্লিয়ে উঠেন তিনি,’ এটা হতে পারে না।আমি ভাইকে বলেছিলাম না।জেনির সাথে তোর বিয়ে দিব।এটা আমার স্বপ্ন।তাহলে?ভাই তুই এসব কিভাবে করতে পারলি?’
শেষের বাক্যটা আরহাম সাহেব উদ্দেশ্য করে বললেন তিনি।আরহাম সাহেব ভাবলেসহীনভাবে বলে,’ তোর বা আমার কথাতে তো হবে না?আমার ছেলে যা চাইবে তাই হবে।তাছাড়া বিয়েটা বাবার ইচ্ছেতে হয়েছে।আর বাবার কথাই এই বাড়িতে শেষ কথা।তিনি যা বলবেন তাই হবে।’
রোজা এই সুযোগে রুদ্রিককে প্রশ্ন করল,’ রুদ্রিক কি এমন হয়েছে যে তুমি জেনিকে এইভাবে মারলে?অথৈকে জেনি কি করেছে?’
রুদ্রিক রক্তচক্ষু নিয়ে তাকায় জেনির দিকে।জেনি ভয়ে একদম গুটিয়ে গেল মায়ের কাছে।রুদ্রিক রাগকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে বলতে লাগল,’ অথৈ আমি যেই ভার্সিটিতে পড়ি সেখানেই পড়ে।তো এখন যেহেতু আমরা স্বামি স্ত্রী।আমি চাইছি আমাদের সম্পর্কটা আর পাঁচটা কাপলদের মতো স্বাভাবিক করতে।সেইজন্যেই অথৈ আর আমার ক্লাস শেষে। আমি আর অথৈ দুজন মিলে ভার্সিটির পিছনে নদীর পাড়ে একান্তভাবে কিছু সময় কাটাই।সেটা বোধহয় এই রাস্কেলটা দেখেছে।ও তো ছ্যাছড়ার মতো আমার পিছনে পরে থাকে। আমার থেকে পাত্তা না পেয়ে আজ সকালে অথৈকে ভার্সিটিতে মানুষের সামনে যা নয় তাই বলেছে।ওর চরিত্রের দিকে আঙুল তুলেছে।আরও অনেক বাজে কথা বলেছে।অথৈ রেগে গিয়ে ওকে মেরেছে।ও নিজেও মারতে গিয়েছিল। কিন্তু পারেনি।মেয়েটা অসুস্থ এই অবস্থাতেই ওর সাথে পারলি না।সুস্থ্য থাকলে তুই এখনও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি পেতি না।’
শেষের কথায় জেনিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করল রুদ্রিক।ফের বলতে লাগল,’ আমি একটা কারন বশত ওর কাছ থেকে মানে আমার ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে বিয়ের বিষয়টা গোপন রেখেছি।ভেবেছিলাম সঠিক সময় এলে।সুযোগ মতো সবাইকে জানাবো।জানে শুধু ইহান।ও নিজেও জানত না যদি না ও অথৈয়ের ভাই না হতো।অথৈ বুঝতে পেরেছে আমি ওদের জানায়নি আমাদের বিয়ের বিষয়।তাই আমি দেখা করতে গেলে।আমার সাথে রাগ দেখালো।আমাকে ভুল বুঝল।আমার সাথে নরম স্বরে কথা বলা অথৈ। আজ কঠোরভাবে আমার সাথে কথা বলেছে।অভিমান করে চলে গিয়েছে।মানলাম ও জানে অথৈ আমার স্ত্রী।কিন্তু! ও কেনই বা একটা মেয়েকে না জেনে শুনে এইসব বিশ্রি কথা বলবে?কেন বলবে?আর ও বলেছে আমি নাকি ওকে ভালোবাসি।এই তোকে আমি কবে বলেছি ভালোবাসি?তোর দিকে তো আমার তাকাতেই ঘৃনা লাগে।মন তো চাচ্ছে তোকে গলা টি’পে মেরে ফেলি।আজ তোর কারনে আমার অথৈ এতোটা কষ্ট পেলো।’
নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আবারও তেড়ে মারতে চলে গেল রুদ্রিক।আরিয়ান দ্রুত উঠে ওকে আটকালো।আতিক মাহাবুব বললেন,’ রুদ্রিক বিশৃঙ্খলা আর সৃষ্টি করিস না। যা বলার আমি বলব।’
দাদার কথায় থেমে যায় রুদ্রিক।তবে রাগে এখনও হিসফিস করছে।আতিক মাহাবুব গম্ভীর গলায় বলেন,’ তুমি এই বাড়ির মেয়ে তাই তোমাকে এইখানে আসার জন্যে আমি বাধা দিতে পারব না।তবে আমি প্রচন্ড খুশি হবো যদি তুমি তোমার মেয়েকে রেখে তবেই আসো।কারন এতো এতোটা অভদ্র,অসভ্য নাতনির আমার কোনো দরকার নেই।যেদিন নিজেকে সুধরাতে পারবে সেদিনই আমার বাড়িতে পা রাখবে।আর তুমি শেফা মেয়েকে সঠিক শিক্ষা তো দিতে পারোনি।এইজন্যেই আজ এই অবস্থা।মেয়ে আর মা দুজন ভালো হতে পারলেই এই বাড়িতে আসবি।আর যদি এতো নোংরা মনকে আজীবন ধরে রাখতে চাস। তবে মির্জা বাড়ির দরজা তোমাদের জন্যে চিরকালের জন্যে বন্ধ।’
শেফা আতিক মাহাবুবের কথায় তেজ দেখিয়ে বলে,’ এতো বড়ো অপমান। ঠিক আছে আসবো না আর এই বাড়িতে।চল জেনি।আজ থেকে আমার বাবা আর ভাই আমার জন্যে মরে গিয়েছে।’
আরহাম সাহেব আর আতিক মাহাবুব বেশ কষ্ট পেলেন তার কথায়।একজনের একমাত্র বোন আরেকজনের একমাত্র মেয়ে। কষ্ট তো পাওয়ারই কথা।তবে অন্যায় যেহেতু করেছে শাস্তি তাদের পেতে হবেই।রাগিব এতোক্ষন চুপই ছিলেন।এটা তাদের বিষয় তাই আর তিনি কিছু বলেননি।তিনি এসে নিজের স্ত্রী আর মেয়ের ব্যবহারের জন্যে ক্ষমা চাইলেন।আতিক মাহাবুব উনাকে ছোটো হতে মানা করলেন।কারন এতে উনার কোনো দোষ নেই।তার নিজের মেয়ে খারাপ।পরের ছেলেকে আর দোষ দিয়ে লাভ কি?
#চলবে__________
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।পরিস্থিতি বিবেচনা করেই গল্প আগাবে।সব পর্বেই যে নায়ক নায়িকা একসাথে থাকা লাগবে এমন কোনো কারন নেই।