মন_পাড়ায়
পর্ব_৫৬
#নিলুফার_ইয়াসমিন_ঊষা
এক সময় এমন আসবে যে একে অপরের সাথে কথা বলতেও হাজারো দ্বিধা ঘিরে বসবে দুইজনকে, তা কে জানতো?
দুইজনের ধ্যান তখন ভাঙে যখন অর্ক ঝিনুকের সামনে বসে তার হাত নিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“ঝিনুক তোমার হাতে কী হয়েছে?”
ঝিনুক চকিতে তাকায় অর্কের দিকে। সাথে সাথে হাতটা সরিয়ে ওড়নার নিচে লুকিয়ে নেয়। বলে,
“ভুলে কেটে গিয়েছিলো।”
অর্ক ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,
“এত গভীর আঘাত তোমার ভুলে লেগেছে? এই আঘাত দেখে মনে হয় ভুলে লেগেছে? আর ব্যান্ডেজ করোনি কেন? আমি নার্সকে বলছি ব্যান্ডেজ করে দিতে।”
বলে অর্ক উঠে গেল।
ঝিনুককে সংশয়ে ভুগতে দেখা গেল। সে ভীত দৃষ্টিতে একপলক প্রভার দিকে তাকায় আবার সৈকতের দিকে। দুইজনের চোখে মুখে হাজারো প্রশ্ন। সে জানে ব্যান্ডেজ করা শেষেই তাকে কতগুলো প্রশ্ন করা হবে।
ঝিনুক তাকাল তার খালামণির দিকে। সে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো ঝিনুকের দিকে। তার মুখেও চিন্তার রেখা ফুটে উঠেছে। ঝিনুক এই অসহায় দৃষ্টি ও চিন্তার কারণ বুঝলো। আর সাজাতে শুরু করল তার বোন ও স্বামীর করা প্রশ্নের মিথ্যা উওর।
অর্ক নিয়ে ব্যান্ডেজ করিয়ে আনলো ঝিনুককে। ঝিনুক এসে প্রভার পাশে বসতেই প্রভা প্রশ্ন করল,
“তোর হাত কীভাবে কাটলো ঝিনুক?”
“ভুলে আপু।” মাথা নামিয়ে উওর দিলো ঝিনুক।
“ভুলে কীভাবে?”
“রাতে খিদে লেগেছিল। ফল কাটতে রান্নাঘরে গিয়েছি আর……”
সৈকত তার কথা কেটে বলল,
“ফল কাটতে গিয়ে তোমার কব্জির পাশে কেটে গেছে। মিথ্যেটা তো সাজাতে পারো বলার আগে।”
ঝিনুককে অনেকটা অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা গেল। কিছু সময় নিয়ে সে বলল,
“আমি সুসাইড করার চেষ্টা করেছিলাম।”
কথাটা শুনতেই প্রভা ঝিনুকের গালে সজোরে এক চড় মারল। ঝিনুক তার সম্পূর্ণ জীবনে এই প্রথম প্রভার কাছ থেকে থাপ্পড় খেল। কিন্তু তাকে মোটেও অবাক দেখাল না। যেন সে প্রস্তুত ছিলো এই পরিস্থিতির জন্য।
সে অর্ক ও তার খালামণির দিকে তাকাল। অর্কের দৃষ্টি ছিলো বিস্মিত ও তার খালামণির চোখে ছিলো চিন্তা মুক্তির সন্তুষ্টি। ঝিনুক তাকায় সৈকতের দিকে। সৈকত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ঝিনুকের দিকে। ঝিনুক সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিলো।
পাশ হতে প্রভা উঁচু স্বরে বলল,
“তুমি পাগল হয়ে গিয়েছিলি? কেন করতে গিয়েছিলি এমন কান্ড। আত্নহত্যা মহাপাপ তা কী জানিস না?”
অর্ক প্রভার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করল। প্রভা সাধারণত এমন ক্রোধে আসে না। তার রাগ খুব কম মানুষ দেখেছে।
প্রভা নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে আবার জিজ্ঞেস করল,
“কেন করেছিস এমন কাজ?”
“আপি তুমি জানো, আমার বাবা যাকে আমি সারাজীবন ঘৃণা করে এসেছি সে তো কখনো আমার মা’য়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেই নি। তারা ভালোবেসেছিলো, বিয়ে করেছিলো, হাজারো স্বপ্ন বেঁধেছিল কিন্তু তা সম্পূর্ণ হয় নি। আমার বাবা তো মা’য়ের জন্য সবার বিরুদ্ধে গিয়েছিলো অথচ তারা কেউ তাদের ভালোবাসা পায় নি কেন আপু? ভাগ্য এত অকরুণ কেন?
বাবা তো জানতেও পারে নি তাদের ভালোবাসার অংশ আছে এই পৃথিবীতে, না মা জানতে পেরেছে বাবা তাকে অন্যকোনো মেয়ের জন্য ছেড়ে যায় নি। তাকে তো মৃত্যু আপন করে নিয়েছিলো।”
কথাগুলো শুনতেই প্রভা চমকে উঠে। সে কখনোই এইসব জানতো না। সে তো জানতো অন্য ঘটনা। সে তার বামে তাকায় তার মা’য়ের দিকে। জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে। তার মা’য়ের চেহেরাটাতেও বিস্ময়। সম্ভবত সেও এইসব কিছুই জানত না।
ঝিনুক আবারও বলল,
“আর আমি তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ঘিরে বিশ্বাসকে তুচ্ছ করে নিয়েছিলাম ভালোবাসায়। যাকে ভালোবেসেছি তাকে বিশ্বাসই করতে পারি নি। অথচ সে আমাকে বেহিসেবী হয়ে ভালোবেসেছে।”
ঝিনুক সৈকতের দিকে তাকাল চোখ তুলে। সৈকত তাকিয়ে ছিলো তার দিকেই। একে অপরের চোখে চোখ ডুবিয়ে ছিলো।
ঝিনুক আবারও বলল,
“একবার নয়, দুইবার নয়, বারবার আঘাত করেছি তাকে। ভাগ্যের জোরে এতবার পেয়েও সুখটাকে আপন করতে না পারা অভাগী আমি। এমন নির্বোধদের বাঁচার অধিকার আছে?”
সৈকত ও ঝিনুকের একে অপরের এমন দৃষ্টি এবং ঝিনুকের কথা শুনে প্রভা অবাক হয়। বারবার? ঝিনুক কি বিয়ের পূর্ব হতে সৈকতকে ভালোবাসতো না বিয়ের পরের কথাই বলছে ও?
অর্ক প্রভার কাঁধে হাত রাখতেই তাকাল প্রভা সেদিকে। অর্ক ইশারায় বলল আপাতত কোনো প্রশ্ন না করতে বা কিছু না বলতে।
সময় কাটলো অনেকখানি। সন্ধ্যা এলো ঘনিয়ে। প্রভার বাবা আউট অফ ডেঞ্জার ছিলো। প্রভার বাবার যে কেবিনে ছিলো সেখানে বসে ছিলো প্রভা, প্রভার মা ও ঝিনুক। অর্ক ও সৈকত ডাক্তারের সাথে। প্রভার মা’য়ের তো কাঁদতে কাঁদতে অবস্থা খারাপ। এরইমধ্যে প্রভা তার মা’কে জিজ্ঞেস করল,
“মা ভাইয়া কোথায়? বাবার এত বাজে অবস্থা ছিলো অথচ ভাইয়া একবারও দেখা করতে এলো না।”
ঝিনুক দাঁড়িয়ে ছিলো প্রভার মা’য়ের পাশেই। প্রভার মা আড়চোখে তাকাল তার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে। তারপর তার স্বামীর দিকে তাকাল। প্রভার বাবা কিছু বলার আগেই সে বলল,
“পরিশকে জানানো হয় নি। ও বন্ধুর সাথে কোথাও গিয়েছিলো।”
“সে’কি বাবার এত বাজে অবস্থা অথচ তাকেই জানাও নি?” প্রভা আবার ঝিনুকের দিকে তাকিয়ে বলল,
“ঝিনুক ভাইয়াকে কল দিয়ে জানিয়ে দে, নাহয় রাগ করবে।”
ঝিনুক মাথা নাড়িয়ে কেবিনের বাহিরে গেল।
রুম থেকে বের হতেই সে বসে পড়লো সেখানে রাখা বেঞ্চেতে। চোখ বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস ফেললো কতগুলো।
চোখ খুলতেই দেখে সামনে দাঁড়ানো অর্ক। অর্ক জিজ্ঞেস করল,
“বসি?”
“অনুমতি নেওয়ার কী আছে দুলাভাইয়া?”
অর্ক ঝিনুকের পাশে বসলো। অনেকক্ষণ চুপ থেকে তারপর বলল,
“জানো ঝিনুক, আমি ছোট থেকেই কাজ করে এসেছি। ছোট থাকতে আমার মা মারা গেছে, বাবার অনেক আশা ছিলো আমার উপর, ছোট থেকে কাজ শুরু করেছি। যখন জীবন উপভোগ করার আসল অর্থ বুঝেছি তার আগের থেকেই। পড়াশোনা, কাজ, দায়িত্ব এতকিছুর চাপ সামলাতে যেয়ে মাঝেমধ্যে মনে হতো এভাবে বেঁচেই বা কী লাভ? এর থেকে বেশি মৃত্যুটাই ভালো। জীবনের কোনো এক মোড়ে সবার মৃত্যুটা সহজ লাগে। কিন্তু তা জীবন থেকে শতগুণ ভয়ংকর। আর তা যদি আত্নহত্যা হয় তার হিসেব আর নেই। জীবনে কষ্ট না থাকলে সে জীবনের অর্থই বা কী? তোমার কাছে হয়তো আমার স্ট্রাগল এতটা কষ্টদায়ক মনে হচ্ছে না। হয়তো ভাবছ তোমার কষ্টের কাছে এটা কিছুই না।”
“না ভাইয়া। আমি…..”
অর্ক ঝিনুকের কথা কেটে বলল,
“এটা স্বাভাবিক ঝিনুক। আমাদের সবারই নিজের কষ্টের কাছে অন্যের কষ্ট তুচ্ছ মনে হয়। এটা সত্য যে আমরা আপনদের কষ্ট অনুভব করি, কিন্তু আমরা তা উপভোগ করি না। তাই নিজের কষ্টকে সবচেয়ে বেশি মনে হয়। কিন্তু আমরা কি এটা আশা রাখতে পারি না যে এই কষ্টমাখা দিনগুলো একদিন শেষ হবে এবং নতুন দিন নিয়ে আসবে সুখের হাওয়া। কষ্ট ছাড়া সুখের আশা থাকে না আর আশা ছাড়া মানুষ জীবন বাঁচতে শিখে না। জীবন বাঁচতে শিখে নেও ঝিনুক, কষ্টগুলো তুচ্ছ লাগবে।”
ঝিনুক মৃদু হেসে বলল,
“আপনার লাগছে ভাইয়া?”
অর্ক মাথা নাড়িয়ে বলল,
“ভীষণ। অতীতে যদি সেই কষ্টগুলো না করতাম আজ তার এত সুন্দর ফল পেতাম না। নিজের যোগ্যতায় করা এতকিছু দেখলে সে কষ্টের দিনগুলোকে তুচ্ছ মনে হয় আর নিজের প্রতি গর্ব হয়। তখন পরাজিত হয়ে গেলে আজ আমি নিজের উপর গর্ব করতে পারতাম না। আর বিশ্বাস করো, এ অনুভূতিটা ভীষণ সুন্দর। নিজের লক্ষ্য সেট করবে, যখন তা অর্জন করবে তখন বুঝবে এই অনুভূতি অনেক সুন্দর।”
“তাহলে এখনই করলাম।”
অর্ক জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
“কী?”
“আপনার ভাইকে আবার নিজের করার লক্ষ্য।”
কথাটা শুনতেই অর্ক হেসে দিলো। বলল,
“আর্শীবাদ রইলো, সফল হও বাছা।”
আবার দুইজনে একসাথে হেসে দিলো।
সৈকত যখন ঔষধ নিয়ে এলো তখন দুইজনকে হাসতে দেখে খানিকটা অবাক হলো বটে। তবে সেদিকে ধ্যান দিলো না। অর্কের সামনে যেয়ে বলল,
“ভাইয়া ঔষধ এনেছি, চলো।”
অর্ক উঠে ঔষধের প্যাকেট হাতে নিয়ে বলল,
“আমি যাচ্ছি। তুই ঝিনুকের সাথে কথা বল।”
“প্রয়োজন নেই ভাইয়া।”
“আমি তোকে জিজ্ঞেস করি নি, আদেশ দিয়েছি।”
অর্ক যাওয়ার সময় ঝিনুকের দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে ‘বেস্ট অফ লাক’ বলে গেল।
অর্ক যেতেই সৈকতও যেতে নিলো আর ঝিনুক উঠে তার হাত ধরে তাকে আটকালো। সৈকতের সামনে যেয়ে অপরাধীর মতো মুখ করে বলল,
“আই এম সরি। আমি জানি আমি যা করেছি তারপর সরি বললেই ক্ষমা পাওয়া সম্ভব না কিন্তু….. ”
“তুমি মোটেও সরি না। তুমি সরি ফিল করলে এইভাবে মিথ্যা বলতে না।”
সৈকত ঝিনুকের হাতের থেকে নিজের হাত সরিয়ে নিলো।
ঝিনুক হতবাক। সে আমতা-আমতা করে বলল,
“আমি কী মিথ্যা বলেছি?”
“তুমি সুসাইড করার চেষ্টা করো নি। তুমি আমার জীবনে শেষ মানুষ যে এইসব চিন্তা তোমার মাথায় আনবে। এই চিন্তাকেও তুমি অহেতুক মনে করো। কারণ তুমি জানো, সুসাইড একটি মানুষ করলেও তার পিছনে কষ্টটা তার আপন মানুষ ভোগ করে। যা তুমি করেছ। তুমি সারাজীবন তোমার মা’কে দুর্বল ভেবে এসেছ কারণ সে জীবন থেকে হেরে সুসাইড করার চেষ্টা করেছে। তুমি যতই বোকা, গাঁধা, নির্বোধ হও না কেন দুর্বল নও যে আত্নহত্যা করার চেষ্টা করবে।”
“তুমি কী আমার প্রশংসা করছ না অপমান?”
বিস্মিত কন্ঠে প্রশ্ন করল ঝিনুক। সৈকত বলল,
“তুমি এখন ফাইজলামি করার অবস্থায় নেই। আমার তোমাকে একটা থাপ্পড় মারতে মন চাইছিল তখন।”
“তো মারতে। না করেছে কে?”
“আমি কারও উপর বিনা অধিকারে হাত তুলি না।”
“আমার উপর তোমার অধিকার নেই?”
“ছিলো একসময়। কিন্তু সে রাতেই আমার সকল অধিকার শেষ হয়ে গিয়েছিলো যখন তুমি বলেছিলে যে আমি কাছে থাকলেও তোমার ঘৃণা হয়।”
ধাক্কা খেল ঝিনুক। সে চোখ দুটো বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“আজকের মিথ্যেটা ধরতে পারলে অথচ ওদিনেরটা নয়?”
সৈকত তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
“সত্য হোক বা মিথ্যা আমাদের ভালোবাসার অপমান তো করেছিলে। তাই না?”
ঝিনুক মাথা নামিয়ে নিলো। তার চোখদুটো অশ্রুতে ভিজে গেল।
সৈকত বলল,
“আমি তো তোমার চোখে জলই দেখতে পারি না। তো ভেবে দেখ একটু আগে তোমার দেহে এত বড় আঘাত দেখে আমার ভেতর কি গেছে! এর উপর তোমার মিথ্যে। কাকে বাঁচানোর জন্য আমি জানি না। কিন্তু আগে যেমন তোমার একটুখানি আঘাত দেখে অস্থির হয়ে যেতাম তা দেখাতে পারতাম। আজ আর পারি না। কষ্ট না দেখানোরও আলাদা বেদনা আছে। তুমি যে সে অধিকার নিয়ে গিয়েছ বহুত আগেই। আমি জানি আমার ভুল ছিলো বিয়ের পর। তোমাকে সত্যি বলাটা প্রয়োজন ছিলো যে আমি জ্যোতির সাথে সম্পর্কে কেন আছি। কিন্তু অতীতে তোমার অবিশ্বাস দেখে সাহসই হয় নি। আশা করি, এরপর যাকে ভালোবাসবে সে যদি ভুল করে তার সাথে একটিবার কথা বলবে, অন্যের কথা শুনে তার থেকে না।”
কথাটা শুনতেই চমকে উঠে ঝিনুক। বিস্মিত দৃষ্টিতে তাকায় সৈকতের দিকে। কাঁপা-কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“আরেকজনকে ভালোবাসব?”
“আমাদের ডিভোর্সের পর তো কেউ আসবেই তোমার জীবনে।”
সৈকত যেতে নিলেই ঝিনুক সামনে এসে দাঁড়ায় তাই। তার হাতদুটো শক্ত করে ধরে কান্নামাখা গলায় বলে,
“আমি জানি আমি অনেক ভুল করেছি কিন্তু প্লিজ একটিবার সুযোগ দেও। আর কখনো ভুল করব না, আই প্রমিজ। শুধু একটিবার। এতকিছুর পর তোমায় ফিরে পেয়েছি। হারিয়ে যাওয়ার কথা বলো না।”
সৈকত ঝিনুকের হাত থেকে হাত ছাড়িয়ে তার গালে এক হাত রাখতে নিলো কিন্তু তাকে ছোঁয়ার পূর্বেই হাত আবার পিছিয়ে নেয়। বলে,
“আমি চাইলেই তোমাকে জীবনে রাখতে পারি ঝিনুক কিন্তু আমার জন্য তোমার থেকে তোমার সুখ বেশি দামী। জেদ করো না।”
“তোমার মনে হয় তোমার থেকে দূর থেকে আমি সুখে থাকব?”
“পরে এই বিষয়ে কথা বলব। আশেপাশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তুমি বসো, আমি কফি আনছি তোমার জন্য।”
সৈকত আর এক মুহূর্তের জন্যও সেখানে দাঁড়ায় না।
ঝিনুক আবারও চেয়ারে বসে যায়। আর তার চোখ দিয়ে বইতে শুরু করে অঝোর অশ্রু। এই কিছু ঘন্টা আগেও ভেবেছিল সৈকতকে আবার পেয়ে গেছে সে, অথচ তার পাওয়াটা আর হলো না।
চলবে…….
[আশা করি ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন ও ভুল হলে দেখিয়ে দিবেন।]
পর্ব-৫৫ঃ
https://www.facebook.com/828382860864628/posts/1276703266032583/