মম চিত্তে পর্ব_২০

0
1045

#মম_চিত্তে
#পর্ব_২০
#সাহেদা_আক্তার

আদ্রিতাদের সন্ধ্যায় ফ্লাইট। ওকে নিয়ে নিজের বাড়ি গিয়েছিল আলিফ। গিয়ে বাবাকে পায়নি। তালা মারা ছিল বাসায়। আশেপাশে জিজ্ঞেস করে বুঝতে পেরেছে রাতের আগে ফিরবে না। তাই অপেক্ষা না করে রওনা দিয়েছে এয়ারপোর্টের দিকে। বের হওয়ার সময়ই বলে গিয়েছিল ওরা ওখান থেকে সোজা এয়ারপোর্টে চলে যাবে। এয়ারপোর্টে গিয়ে দেখল অনেকে এসেছে ওদের বিদায় জানাতে। ভাই বোন সবগুলো উপস্থিত। আলিফের সবাইকে ছাড়িয়ে আগে মমর দিকে নজর পড়ল। রিয়ানের পাশে মুখ লাল করে দাঁড়িয়ে আছে। সাদা শাড়িতে ওকে অন্য রকম সুন্দর লাগছে। ভাবনাটা মাথায় আসতেই আলিফ প্রিয়ান্তুর দিকে মনযোগ দিল। ওর কোলে আপন মনে খেলছে বাচ্চাটা। এসব ভাবাটা এখন তার জন্য বিষের মতো যার প্রভাবে ধীরে ধীরে মরে যায় মানুষ।

প্রিয়ান্তুর সাথে খেলতে খেলতে হঠাৎ রিয়ান আর মমর হাতের দিকে নজর পড়ল। এত মানুষের মাঝেও রিয়ান শক্ত করে মমর হাত ধরে আছে। এখন মমর লজ্জায় থাকার কারণ বুঝল। দেখে আলিফ হালকা হেসে মনে মনে ভাবল, ভালোই আছে তাহলে। ও আদ্রিতাকে তাড়া দিয়ে বলল, চলো, লেট হয়ে যাচ্ছে। আদ্রিতা সবার থেকে বিদায় নিয়ে নিল। সবাই ওকে আবার দেশে আসার কথা বলল। প্রিয়ান্তুকে আদর করল। তারপর দুজনে এয়ারপোর্টের ভেতরে রওনা দিয়ে দিল।

সবাই ওদের বিদায় দিচ্ছে; এই ফাঁকে রিয়ান মমর কানে ফিসফিস করে বলল, চলো আজকে আমরা ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করি। মম কিছু বলার আগেই ওদের পেছন থেকে নিক্বণ বলল, খালি তোরা একলা একলা করবি? আমাদেরও করা। ওর কথা শুনে সবাই জানতে চাইল, কি? নিক্বণ ঘোষণা দিয়ে বলল, আজকে রিয়ান ওর বিয়ে উপলক্ষে আমাদের ডিনার করাবে। শুনেই সবাই খুশিতে লাফালাফি শুরু করল। কে কি খাবে এখন থেকেই ঠিক করা শুরু করে দিল। রিয়ান মুখ গোমড়া করে তাকাল নিক্বণের দিকে। নিক্বণ একটা কিলার হাসি দিল। মম মুচকি হেসে এয়ারপোর্টের দিকে তাকালো। আদ্রিতার জন্য মন খারাপ লাগছে। আজ আলিফ না থাকলে হয়ত ও সবার মাঝে থাকতো!

সবাই জোর করে রিয়ানকে নিয়ে ফাইভ স্টার একটা রেস্টুরেন্টে চলে এসেছে। রিয়ান আর মম বসল এক কোণায়। আর ভাইবোনগুলো একসাথে একজায়গায় বসেছে। রিয়ান অর্ডার বই হাতে নিয়ে মমকে জিজ্ঞেস করল, কি অর্ডার করব? মম প্রতিউত্তরে বাকিদের দিকে তাকিয়ে বলল, আপনার যেটা ভালো লাগে। ও অর্ডার বইয়ে চোখ বুলাতে বুলাতে মমর দিকে চোখ গেল। মম ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। ভাই বোন সবগুলো একসাথে মজা করছে। রিয়ান ব্যাপারটা লক্ষ্য করে বলল, ওদিকে কি দেখছো?

– সবাই কত মজা করছে!

– তোমার সামনে তোমার জামাই বসে আছে। ভালো লাগছে না?

মম নিচের ঠোঁট কামড়ে টেবিলের দিকে তাকালো। তোমার জামাই করতে করতে লোকটা পাগল হয়ে যাচ্ছে। ওকেও একদিনে পাগল বানিয়ে ফেলছে। রিয়ান অর্ডার বই থেকে ভাইবোনগুলোর দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। এত জোরে ফেলল যে মম স্পষ্ট শুনতে পেল। তাই জিজ্ঞেস করল, কি হয়েছে? রিয়ান সোফায় হেলান দিয়ে বলল, কি হয়নি তাই বলো। ভাইবোন গুলো রাক্ষসের মতো খাবার অর্ডার দিচ্ছে। যেন কয় বছর খায়নি। মম ওর কথা শুনে হেসে বলল, হয়তো আপনি কিপটামি করে কখনো খাওয়ান না। তাই আজকে সবাই ভুঁড়িভোজ করছে।

– মোটেই না। এই শোনো, তোমার জামাই এতটাও কিপটা না। বইটা নাও। কি খাবে অর্ডার দাও৷

– আপনি দিয়ে দিন যেটা খুশি।

– কি আর দিবো! আমাদের ক্যান্ডেলের লাইট তো ওরা ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। এখন ফকির হওয়ার অপেক্ষা।

মম একটা নকল হাসি দিল। হঠাৎ মনে পড়েছে এমন ভাবে রিয়ান বলল, আচ্ছা, ভালো কথা। কিছু খাবার পার্সেল নিতে হবে তো। আমি তো জানি না তোমার বাসার কে কি খায়। আমাকে বলে দাও। আমি পার্সেল করতে বলে দেই। মম মানা করে দিয়ে বলল, লাগবে না। আব্বুর তো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাইরের কোনো খাবার খাবে না। খালা খালুও খাবে না। জিজ্ঞেস করেছিলাম ফোন দিয়ে। বলল আমরা খেয়ে আসতে।

– ওকে। এখন অর্ডার তো দাও। খিদে পেয়েছে।

মম একটা সেট মেন্যু অর্ডার দিলো। ওরা খাবারের জন্য বসে আছে আর এদিকে সবাই হাসি ঠাট্টা করছে। মমর হাত দুটো টেবিলের উপর। বাম হাতের অনামিকা আঙ্গুলে চকচক করতে থাকা ছোট সোনার আংটিটার দিকে তাকিয়ে আছে। বিয়েটা নিতান্তই বাবার ইচ্ছায় করা। কিন্তু একদিনেই যেন সুখের সাগরে ভেসে গেছে ও। যার হাত ধরে সংসারে পা রাখা তাকে পাশে পাওয়ার সৌভাগ্য মনে হয় এত আনন্দের। মমর নিজেকে এত সৌভাগ্যবতী ভাবতে ভয় হয়। কখন আবার ক্ষণিকের ঝড়ে নতুন সাজানো বাগানটা তছনছ হয়ে যায়!

খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে দশটার উপরে বাজল। সবাই ওদের বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ওদের ছাড়া নাকি ভালো লাগছে না। কিন্তু রিয়ান মানা করে দিয়ে বলল সে আগে ভালোমতো শ্বশুর বাড়িতে ভুঁড়িভোজ করবে তারপর বাড়ি ফিরবে। ওরা কলিংবেল বাজতে মাধুরী খালা দরজা খুলে দিয়ে নিজের রুমে চলে গেছেন। রায়হান সাহেব নাকি খেয়েই শুয়ে পড়েছেন।

রিয়ানের কথাটা শোনার পর থেকে মম সারা রাস্তা ওর দিকে চোখ সরু করে তাকিয়ে ছিল। রুমে এসেও একইভাবে তাকিয়ে আছে। রিয়ান কোটটা খুলতে খুলতে বলল, তোমার কি হয়েছে বলো তো। সেই রেস্টুরেন্ট থেকে আমার দিকে গোয়েন্দাদের মতো তাকিয়ে আছো। ব্যাপার কি? মম কিছু বলছে না দেখে কাছে এসে গালে হাত দিয়ে বলল, আজকে কত সুন্দর করে সেজেছি। একবারও তো বললে না সুন্দর লাগছে। মম পলকহীনভাবে ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে। মুহুর্তে ওর অজান্তে চোখের কোণা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল। রিয়ান সাথে সাথে বলল, আরে, কাঁদছো কেন? আমি কি তোমাকে বকেছি? আচ্ছা আর মজা করব না। সরি। রিয়ানকে অবাক করে দিয়ে মম হঠাৎ জাপটে জড়িয়ে ধরল ওকে। বুকে মুখ গুঁজে রইল। কোনো শব্দ নেই। কিন্তু রিয়ান টের পাচ্ছে ওর শার্ট একটু একটু করে ভিজছে মমর চোখের পানিতে। হঠাৎ কান্না করার কোনো কারণ ও খুঁজে পেল না। জড়িয়ে ধরা মমর মাথায় সযত্নে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল, আমি কি কষ্ট দিয়েছি? মম উপর নিচে মাথা নাড়ল। তারপর ওর বুক থেকে মাথা তুলে জলভরা চোখে তাকিয়ে বলল, তোমার ভালোবাসায় খুব কষ্ট হচ্ছে। আগে কেন আসোনি? কেন সবার আগে এসে আগলে রাখোনি? তাহলে এত কিছু সহ্য করতে হতো না আমাকে। বলে আবার মুখ গুঁজে দিল ওর বুকে। রিয়ানও এবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। অকারণেই ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, সরি, দেরি করে ফেলেছি তোমাকে খুঁজে পেতে, মম। ওর ফিসফিসানি এত কান্নার মাঝেও মমকে কাঁপিয়ে দিল। অজানা কারণে ও রিয়ান থেকে সরে এল। কি যে হল ওর! বোকার মতো হঠাৎ কান্না করার মানে নিজেও খুঁজে পেল না। মনের ভেতরের পাথরটা গলিয়ে ফেলেছে একদিনে। ঝর্ণার পানি বেরিয়ে এসে ওর মন বাগানটাকে তরতাজা করে দিয়েছে। সেই প্রভাব হয়তো দুই চোখেও পড়েছে৷ তাই তাল সামলাতে পারেনি।

রিয়ান ওর মুখ উঁচু করে দুই হাত দিয়ে পানি মুছে দিয়ে বলল, দেখো তো। আমার পরীর মতো বউটা কান্না করে কাজলের কালোয় পেত্নী হয়ে গেছে। ইস! বউটা আমার! মম ওকে সরিয়ে দিয়ে বাকি পানিটুকু মুছে বলল, হয়েছে, আর ঢং করতে হবে না। পোশাক বদলে নিন। আমিও যাই। কালকে অফিস যেতে হবে। আর তো ছুটি কাটানো যাবে না। রিয়ান বিরক্তির সুরে বলল, ধুর, বিয়ের কথা সবাই জানলে আরাম করে ছুটি কাটাতে পারতাম। মম আলমারি থেকে একটা থ্রিপিস নিয়ে বলল, ক’দিন থাকবে এখানে?

– তুমি যতদিন থাকবে।

– পাগল নাকি!? সবাই কি বলবে! কালকেই বাড়ি চলে যাবেন।

– আমি গেলে তুমিও যাবে। আমি আমার বউকে ফেলে যাবো না। আমার বউ তো আমাকে একটুও ভালোবাসে না। ছেড়ে চলে গেলে আমাকে ভুলেই যাবে।

– হয়েছে। কোথায় থেকে যে এত পাগলামি শিখেছেন!

রিয়ান দাঁত বের করে হাসি দিল। মম ওয়াশরুম চলে গেল। রিয়ান একটা নাইটড্রেস পরে নিল পোশাক বদলে। প্রচুর খাওয়া দাওয়া করে শরীরটা ক্লান্ত। কিন্তু মম বের হওয়া পর্যন্ত ওর শুতে ইচ্ছে করছে না। মমকে জ্বালাতে ভালো লাগে। লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখটা ওর সবচেয়ে পছন্দ। কতদিন এই মুখটা দেখার অপেক্ষায় ছিল! ভাবতে ভাবতে রিয়ানের দেয়ালের ছবিটার দিকে আবার চোখ পড়ল। দুটো বাচ্চার রঙিন হাতের ছাপ বাঁধায় করা। এক জোড়া সামান্য বড় অপর জোড়া থেকে। তাই আলাদা বোঝা যায়।

“ওটা আমাদের দুই বোনের”। কথাটা শুনে রিয়ান মমর দিকে তাকালো। একটা পাতলা পিচ কালারের সুতি জামা পরেছে। ভালো লাগছে দেখতে। মম বারান্দায় গিয়ে শাড়ি মেলে দিয়ে এল। একবার ভেবেছিল চুলটা খুলবে। কিন্তু পরমুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল। ভালোবাসায় বেঁধে দেওয়া জিনিসটা না হয় আরেকটু থাকুক। বিছানায় উঠতে উঠতে বলল, শুয়ে যাননি কেন? রিয়ান ছবিটার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তোমার যে বোন আছে বলোনি তো। মম বালিশে মাথা রেখে বলল, আছে না ছিল। রিয়ান অভিযোগ করে বলল, কালকেই বালিশ একটাকে মামা বাড়ি পাঠিয়ে দেবো। মম অবাক হয়ে বলল, কেন? রিয়ান ওর মাথার নিচ থেকে বালিশটা কেড়ে নিয়ে ওটাতে নিজে শুয়ে পড়ল। তারপর ওর মাথা বুকে রেখে বলল, কারণ আমার বউয়ের মাথা আমার। বালিশের না। মম হেসে বলল, হিংসুটে।

– হুম, অনেক৷ আচ্ছা, ছিল কেন বললে? এখন কোথায়?

– বেঁচে নেই। রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। জানেন, আমরা জমজ বোন ছিলাম। ও আমার থেকে এক মিনিটের বড় ছিল। কত স্মৃতি আছে ওকে নিয়ে! কত ঝগড়া করতাম! আব্বু আম্মু বিরক্ত হয়ে যেত। আমি যখন বজ্রপাতে ভয় পেতাম, আম্মু কাছে না থাকলে ওর বুকে মুখ লুকিয়ে শুয়ে থাকতাম। ও ছিল ডানপিটে। হাজার দুষ্টুমি ওর মাথায় গিজগিজ করতো।

– আর এখন থেকে আমার লক্ষ্মী বউটা আমার বুকে মুখ লুকাবে।

– ধুর, গল্পের মাঝে দিলেন তো বাম হাত ঢুকিয়ে? লাইটটা অফ করেন গিয়ে।

– থাক না। অফ করলে তোমার লজ্জাভরা মুখটা মিস করব। দেখতে পাবো না।

মম ওর পেটে ছোট করে গুঁতো মেরে বলল, যান বলছি। আলোয় আমার ঘুম হবে না। রিয়ান বাধ্য হয়ে আলো নিভিয়ে এল৷ মম বুকে মাথা রাখতে রিয়ান এমনভাবে ধরে রইল যেন ও হারিয়ে যাবে ছেড়ে দিলে। ওর বুকে মাথা রেখে এত শান্তি লাগল যে কখন ঘুমিয়ে গেল টের পেল না।

সাতটার দিকে মমর ঘুম ভাঙল। বাইরের আলো জানালা দিয়ে রুমে ঢুকছে। রিয়ান এখনো ওকে জড়িয়ে ধরে আছে আগের মতো। ঘুমে থাকায় বাঁধন আলগা হয়ে আছে। মম সরিয়ে উঠতে লাগল রিয়ান নড়ে উঠে চিৎ হয়ে শুলো। মম সাবধানে নেমে এল বিছানা থেকে। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাতে গেল। এর মাঝে মাধুরী খালাও এসে হাত লাগালেন।

রিয়ান আরাম করেই ঘুমাচ্ছিল। এর মাঝে মুখে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে হাতটা ধরে টান দিয়ে বলল, মম আরেকটু ঘুমাতে দাও। তুমিও ঘুমাও৷ হঠাৎ নাকে সুড়সুড়ি লাগলে আবার বলল, নাকে সুড়সুড়ি দিচ্ছো কেন? উঠবো তো। আরেকটু ঘুমিয়ে নেই। বলতে বলতে একটা হাঁচি দিয়ে দিল। সাথে সাথে মেও করে উঠল বুকে জড়িয়ে থাকা মম৷ রিয়ান তাকাতেই এক চিৎকার দিয়ে উঠল। মম রান্নাঘরে রুটি শেকছিল। ওর চিৎকার শুনে দৌঁড়ে এসে বলল, কি হয়েছে? ওর পাশ দিয়ে নিনি ভয়ে দৌঁড়ে বেরিয়ে গেল। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মম রিয়ানকে ওষুধ এগিয়ে দিল। রিয়ানের হাঁচতে হাঁচতে নাক দিয়ে পানি পড়ছে। টিস্যু দিয়ে নাক মুখে ওষুধটা খেয়ে নিয়ে বলল, তোমার এটা বিড়াল না বাদর? এসে আমার মুখে হাত ঢলছে। ভাবলাম তুমি। টান দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুম দিতে যাচ্ছিলাম।

– ভালো করেছে। ও আমার আদরের নিনি। একদম বাদর বলবে না।

– আর আমি যে তোমার আদরের জামাই। তোমার নিনি যে আমার বেহাল দশা করছে।

– বলেছিই তো বাড়ি চলে যাও। কথা না শুনলে কার দোষ? এইরে, আমার রুটি!

মম রান্নাঘরে দৌঁড়ে গেল। আরেকটুর জন্য রুটিটা পুড়েনি। রিয়ান হতাশ ভঙ্গিতে নিজেকে বলল, মম আমাকে একটুও পাত্তা দেয় না। দরজার কাছে দাঁড়িয়ে তখনই নিনি মেঁও করে একটা করুণ সুরে ডাক দিল। ওকে দেখে তড়িঘড়ি করে ওয়াশরুম চলে গেল রিয়ান। না হলে হাঁচতে হাঁচতে আবার অবস্থা কাহিল হয়ে যাবে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here