মরিচাধরা মনের খাঁচা পর্বঃ ০৪

0
420

#মরিচাধরা_মনের_খাঁচা
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ০৪

কথায় আছে পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না।

দরজায় দাঁড়িয়ে কথাটা বলে উঠলো রিনি। সাথী রিনিকে দেখে এগিয়ে এলো।

রিনি তুমি এইহানে ?

তুমি কেমন আছো ভাবি আর আমার পরীটা কেমন আছে ?

সাথীর কাছ থেকে তিথিকে কোলে নিলো রিনি। সারা মুখে অসংখ্য চুমু খেলো।

কেমন আছে আমার মা টা ? ফুপিকে মনে পরে না তোমার একটুও ?

সাথী মলিন মুখে বললো, তুমি এইহানে আইছো তোমার ভাই জানলে তো, তোমারে মারতেও পিছপা হইবো না।

রিনি গম্ভীর গলায় বললো, আমি এখন আর কারো ধার ধারি না ভাবি। বাসায় তো থাকি না, থাকি ভার্সিটির হোস্টেলে।

সাথী প্রায় টলমলে চোখে তাকালো রিনির দিকে, তোমার ভাই তো মাইয়াডারে দেখতেই পারে না। এহন আবার নেওয়ার জন্যে উঠে পরে লাগছে কেন ?

রিনি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বললো, ভাবি ঐ যে বললাম না পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না। তোমাকে ডিভোর্স দেওয়ার কারণ তিথি ছিলোই না কখনো। তুমি প্রেগনেন্ট থাকতে ভাইয়া ঐ মহিলার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলো। ঐ মহিলা ডিভোর্সি, ভাইয়ার সাথেই কাজ করতো আর ভাইয়ার থেকে বয়সেও বড়। তিথির যখন জন্ম হয় তখন ঐ মহিলা দুই মাসের প্রেগনেন্ট। বিয়ের জন্য ভাইয়াকে চাপ দিতে থাকে। ভাইয়া কী করবে দিশা না পেয়ে তিথিকে কারণ বানিয়ে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করে। একমাস আগে বাথরুমে পরে গিয়েছিলো আর পেটে প্রচন্ড আঘাত পায়। বাচ্চা তো মারা গেছেই আর কখনো মাও হতে পারবে না। ভাইয়া চাইলেও কখনো তাকে ডিভোর্স দিতে পারবে না তাই তিথিকে নিতে চাইছে এখন।

সাথী কঠিন গলায় বললো, আমার সংসার কাইড়া নিয়া শান্তি হয় নাই। এহন আমার মাইয়ার দিকে হাত বাড়াইছে। সংসার সহজে ছাইড়া দিছি তয় আমার মাইয়ারে আমার থেইকা কেউ কাইড়া নিতে পারবো না।

কথাটা বলে সাথি নিজের মেয়েকে কোলে নিয়ে বুকের সাথে আঁকড়ে ধরলো। রিনি তাকিয়ে আছে সাথীর দিকে। সাথী রিনির থেকেও বয়সে ছোট। সাথীকে সে সবসময় শান্তশিষ্ট মেয়েই জানে। তবে আজ হয়তো একজন মায়ের মমতাই তার শক্তি হয়েছে।

জমিলা বেগম বললো, সাথী মাইয়াডারে কিছু খাইতে দে।

রিনি ব্যস্ত হয়ে বললো, না আন্টি তার প্রয়োজন নেই। আমি তিথিকেই দেখতে এসেছিলাম একটু। আর এটা বলতে এসেছিলাম ভাইয়া বোধহয় পুলিশের কাছে যাবে তিথিকে পাওয়ার জন্য। তাহলে আমি বরং আজ আসি। ভাবি নিজের খেয়াল রেখো আর তিথিকে সামলে রেখো।

রিনি তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে বের হয়ে গেলো। সাথী পাশে পাতানো বিছানায় ধপ করে বসে পড়লো। রানার সাথে সে টাকার জোরে পারবে না। তাহলে কীভাবে নিজের মেয়েকে ধরে রাখবে ?

৯.
নয়নার সাথে ব্রেকফাস্ট করে অফিসে এসেছে অয়ন। তার সাথে থেকে নিঝুমের কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছে। কিন্তু দুপুরের লাঞ্চের সময় হতেই নিঝুমের কথা মনে পরে গেলো। বারবার মানা করা সত্বেও নিজে হাতে রান্না করে দুপুরের খাবার নিয়ে সবসময় হাজির হতো নিঝুম। কাজে ডুবে থাকা অয়নকে টেনে তুলে খাবার খেতে বসিয়ে দিতো। একদিন অয়ন খুব অপমান করেছিলো নিঝুমকে। হয়তো তখন বিয়ের তিন মাস হয়েছে। নিঝুমের কান্ডকারখানায় অয়ন পুরো অতিষ্ঠ। সেদিন বড় একটা লস হয়েছিলো কোম্পানির। কেবিনে কপালে হাত রেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে ছিলো অয়ন। তখনই দুপুরের খাবার নিয়ে হাজির হয় নিঝুম।

নক ছাড়া কেবিনে ঢুকেই বলে, সরি সরি আজ একটু লেট হয়ে গেছে। আসলে আজ সব আপনার পছন্দের খাবার রান্না করেছি তাই একটু লেট হয়েছে। আপনি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসুন আর গরম গরম খেয়ে নিন।

অয়ন তখনো একই ভঙ্গিতে বসে আছে। নিঝুম টেবিলে খাবার সাজিয়ে অয়নের দিকে তাকালো।

একই ভঙ্গিতে বসে থাকতে দেখে কপাল কুঁচকে বললো, কী হলো এখনো বসে আছেন কেনো ? খাবারগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে কিন্তু ভালো লাগবে না খেতে। তখন তো বলবেন জঘন্য রান্না করি আমি।

অয়ন শান্ত গলায় বললো, আমি খাবো না। তুমি এসব নিয়ে চলে যাও।

নিঝুম এগিয়ে গিয়ে অয়নের হাত টান দিয়ে বললো, খাবো না মানে কী ? আমি কতো কষ্ট করে রান্না করলাম।

মুহূর্তে যেনো অয়নের রাগ আকাশ সমান হয়ে গেলো। এক ঝটকায় নিঝুমের হাত ছাড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো। নিঝুম হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে অয়নের দিকে।

অয়ন রেগে বললো, What is your problem yaar ? কেনো পিছে পরে আছো আমার ? আমি তোমাকে বলেছি আমার জন্য রান্না করতে ? আমি তোমাকে বলেছি আমার জন্য খাবার নিয়ে এখানে আসতে ? তোমার জন্য আমি কোথাও একটু শান্তিতে থাকতে পারি না। বাসায় যতক্ষন থাকি মাথা খেয়ে ফেলো এটা ওটা বলে। অফিসে একটু শান্তিতে থাকবো তার উপায়ও রাখনি। এতবার মানা করার পরও বেহায়ার মতো চলে আসো খাবার নিয়ে। দয়া করে আমাকে একটু শান্তিতে থাকতে দাও।

লজ্জা আর অপমানে চোখে পানি চলে আসে নিঝুমের, এতোটা অপমানিত হয়তো এর আগে কখনো হয়নি সে।

তবু চোখের পানি মুছে বললো, আমার উপরের রাগ খাবারের উপর কেনো দেখাচ্ছেন ? খাবারটা খেয়ে নিন দয়া করে, নাহলে শরীর খারাপ করবে।

অয়ন দিগুণ রেগে খাবারের প্লেট তুলে আছাড় মারলো আর সেটা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো মুহুর্তে। নিঝুম ভয়ে কেঁপে উঠে দু’কদম পিছিয়ে গেলো।

অয়ন নিজের মাথা চেপে ধরে বললো, সহজ কথা বুঝতে পারছো না তুমি ? এখনই চলে যাও আমার সামনে থেকে।

নিঝুম দু’হাতে মুখ ঢেকে একবার অয়নের দিকে তাকিয়ে বের হয়ে গেলো কেবিন থেকে। বাইরে আসতেই সবাই অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে। নিঝুম কোনোদিকে না তাকিয়ে, সোজা বের হয়ে গেলো অফিস থেকে। নিঝুম চলে যেতেই আবার চেয়ারে বসে পড়লো অয়ন। চোখ গেলো ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের দিকে। টেবিলে সাজানো তার পছন্দের বিভিন্ন খাবার। অয়নের হঠাৎই মনে হলো নিঝুমের সাথে সে অনেক বেশি খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছে। এতোটা খারাপ আচরণ সে ডিজার্ভ করে না। শান্ত ভঙ্গিতে চোখ বন্ধ করে ফেললো অয়ন। ঠিক করলো বাসায় গিয়ে সবার আগে নিঝুমকে সরি বলবে। কিন্তু রাতে বাসায় গিয়ে দেখলো নিঝুম বাসায় নেই। অহনার কাছে জিজ্ঞেস করলে সে বললো বাবার কথা মনে পড়ছে বলে বাবার বাড়ি গেছে। কিন্তু অয়ন ঠিক বুঝতে পারলো নিঝুমের যাওয়ার কারণ। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো কিন্তু কিছুতেই শান্তি লাগছে না। একসময় নিজের উপর বিরক্ত হয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে নিঝুমের বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হলো। কলিংবেল চাপলে একটু পর নিঝুমের মা সেলিনা দরজা খোলে দিলো।

ব্যস্ত গলায় বললো, আরে অয়ন বাবা যে।

অয়ন মুচকি হেসে বললো, আসসালামু আলাইকুম আন্টি।

ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা। বাইরে দাঁড়িয়ে রইলে কেনো ভেতরে এসো। কেমন আছো তুমি আর তোমার মা কেমন আছে ?

আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালো আছে। আপনারা কেমন আছেন ?

আমরাও ভালো আছি বাবা।

আন্টি নিঝুম কোথায় ?

ও তো ওর রুমে আছে। বললো মাথাটা ধরেছে বিরক্ত না করতে।

আমি একটু যেতে পারি ?

আমার পারমিশন নেওয়ার কী আছে ? তোমার বউ তুমি যাবে।

সেলিনা মুচকি হাঁসলো আর অয়ন খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।

আচ্ছা তুমি যাও আমি তোমার খাবারের ব্যবস্থা করছি।

কিছু করার প্রয়োজন নেই আন্টি, আমি খেয়ে এসেছি।

ঠিক আছে তাহলে যাও।

অয়ন নিঝুমের রুমে এসে দেখে পুরো রুম অন্ধকার। ফোনের ফ্ল্যাশ দিয়ে দেখে সুইচবোর্ড খোঁজে লাইট অন করলো।

সাথে সাথেই নিঝুম বললো, মা বললাম না বিরক্ত করো না। ক্ষুধা নেই আমার খাবো না।

অয়ন দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো, মাত্র তিন মাসে হেরে গেলে ?

অয়নের গলা শুনে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলো নিঝুম, সামনে তাকিয়ে অয়নকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।

আপনি এখানে ?

অয়ন সোজা গিয়ে সোফায় বসে বললো, কেনো অন্যকারো আসার কথা ছিলো নাকি ?

তা কেনো থাকবে ।

তো মিস উপস সরি মিসেস নিঝুম, কোনোদিন হার মানবে না বলে মাত্র তিন মাসে হার মেনে চলে এলে ?

হার মেনে চলে এসেছি কে বললো ? ক্লান্ত হয়ে গেছি তাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে এসেছি।

অয়ন মলিন গলায় বললো, আসলে দুপুরের ব্যবহারের জন্য সরি। একটা বড় লস হয়েছে কোম্পানিতে তাই মেজাজ খারাপ ছিলো। তোমার সাথে এতোটা খারাপ আচরণ করা উচিত হয়নি আমার, সত্যি দুঃখীত আমি।

১০.
পুরনো কথা ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো অয়ন। সেদিন নিঝুম হাতে মাফ করেছিলো কিনা তার জানা নেই। অয়ন ভেবেছিলো নিঝুম আর কখনো তার খাবার নিয়ে অফিসে যাবে না কিন্তু তাকে মিথ্যা প্রমাণ করে নিঝুম পরদিনই তার জন্য খাবার নিয়ে যায়। অয়নও কোনোরকম কথা বলা ছাড়া ভদ্র ছেলের মতো খেয়ে নিয়েছিলো। আজ অফিসের ক্যান্টিনের খাবার খেতে হবে ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। খাওয়া শেষে ফোন হাতে বসে আছে অয়ন। ইচ্ছে করছে নিঝুমকে একটা ফোন করে তার অবস্থা জানতে। আবার কোথাও একটা বাঁধা কাজ করছে। এর আগে নিঝুম ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফোন দিয়ে তার খোঁজ নিতো। সে কখনো নিঝুমকে আগে কল দেয়নি। অয়ন প্রচন্ড দোটানায় ভুগছে, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে এই হার জিতের খেলায় মত্ত হয়ে সে ভুল করছে। আবার মনে হচ্ছে ভুল কোথায় সে তো নয়নাকে ভালোবাসে। কিন্তু যখন নয়নার সাথে সময় কাটাচ্ছে তখন নয়নার মাঝে সে নিঝুমকে খোঁজার চেষ্টা করছে। অয়ন নিজেই বুঝে উঠতে পারছে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাদ দিয়ে অয়ন কল দিলো নিঝুমের নাম্বারে। প্রথমবার রিং হয়ে কেটে গেলো রিসিভ হলো না। অয়ন আর একবার দিবে কিনা ভেবে পাচ্ছে না। ফোনটা হাতে ঘুরিয়ে যাচ্ছে, মিনিট পাঁচেক পর আবার কল দিলো। এবার দু’বার রিং হতেই রিসিভ হলো।

ওপাশ থেকে দূর্বল আওয়াজে বললো, আসসালামু আলাইকুম।

অয়ন একবার চোখ বন্ধ করে আবার খুলে বললো, ওয়ালাইকুম আসসালাম।

নিঝুম তাচ্ছিল্যের সুরে বললো, এতো ব্যস্ত মানুষের আবার আমাকে কী প্রয়োজন হলো ? আমি আপনার জন্য যা করতে পারতাম তা তো করে দিয়েছি।

অয়ন মলিন মুখে বললো, সব সময় এমন বাঁকা কথা না বললে হয় না তোমার ?

কী করবো বলুন ? আমি যে মানুষটাই এমন, তাই হয়তো এতো ভালোবাসা দিয়েও একটা মন জয় করতে পারলাম না। থাক সেসব পুরনো কথা, কী প্রয়োজনে আমাকে মনে পড়লো সেটা বলুন।

তোমার শরীর এখন কেমন, জ্বর কমেছে ?

এটা তো আপনার প্রয়োজনীয় কোনো বিষয়ে পরে না। শুধু জ্বর কেনো এখন তো আমি মারা গেলেও আপনার কিছু আসে যাওয়ার কথা নয়।

নিঝুমের এমন কথায় কেনো যেনো অয়নের বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠলো। মনে হলো কেউ একদম হৃদয়ে আঘাত করেছে।

অয়ন রেগে ধমক দিয়ে বললো, নিঝুম একদম বাজে কথা বলবে না।

নিঝুম তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, বা রে বাজে কথা কোথায় বললাম ? যা সত্যি তাই তো বললাম মিস্টার অ্যাটিটিউট।

অয়ন অবাক হলো নিঘুমের মুখে মিস্টার অ্যাটিটউট ডাক শুনে। কারণ এটা বলে বিয়ের আগে ডাকলেও বিয়ের পর মিস্টার হাসবেন্ড বলেই ডাকতো।

অয়ন অবাক কণ্ঠে বললো, মিস্টার অ্যাটিটিউট ?

নিঝুম ব্যাথিত গলায় বললো, মিস্টার হাসবেন্ড ডাকার অধিকার ঠিক সেই সময় হারিয়েছি যখন নয়নার আপুর হাতে আপনাকে তুলে দিয়েছিলাম। যখন নয়নার আপুর হাতে হাত রেখে আপনি হারিয়ে গিয়েছিলেন অন্য কোনো ভূবনে।

নিঝুমের কথাগুলো আজ বারবার অয়নের হৃদয়ে আঘাত করছে। মনে হচ্ছে নিঝুম একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে তার থেকে। তাদের মাঝে দুরত্বটা একটু একটু করে বাড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে নিঝুম তার জীবন থেকে, তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মেয়েটা।

অয়ন নিজেকে যথেষ্ট স্বাভাবিক রেখেই বললো, তোমার জন্য কী কী আনবো ? জ্বর হলে তো তোমার বাড়ির খাবার খেতে ইচ্ছে করে না।

মনে রাখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আমার জন্য আপনার আর এক বিন্দু পরিমাণ কষ্টও করতে হবে না মিস্টার অ্যাটিটিউট।

অয়নের কোনো উত্তরের অপেক্ষা না করে নিঝুম কল কেটে দিলো। অয়ন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো ফোনের দিকে। এ কোনো নিঝুমের সাথে কথা বললো সে। একটা বার এটাও জানতে চাইলো না সে দুপুরে খেয়েছে কিনা। এই কী সেই নিঝুম, যে তাকে না খাইয়ে এক পাও নড়তো না, যে তাকে দিয়ে সারারাত একটার পর একটা জিনিস আনিয়েছিলো জ্বর হয়েছিলো বলে ? অয়নের বুকের বা পাশে হঠাৎ চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে।

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here