মেঘকন্যা☁️
Part_09
#Writer_NOVA
মেঘরাজ্য…….
রাজদরবারে উপস্থিত সব গণ্য মান্য ব্যক্তি। রাজা সিংহাসনে চিন্তিত মুখে বসে আছেন। তিনি তার পুত্রের প্রাণ সংকট নিয়ে ভয়ে আছেন।তার হাতের পাশে একটা কবুতর।সেটা আর অন্য কোন পাখি নয়।মেঘপুত্রের পোষা পাখি কুহুকলি।কহুকলি এখন কবুতরের রূপে আছে।সে একটা অদ্ভুত পাখি।যার কিনা কোন নির্দিষ্ট রূপ নেই। যেকোন পাখির রূপ সে নিতে পারে। সেনাপতি রাকিন দ্রুত পায়ে রাজ দরবারে প্রবেশ করে তলোয়ার কোষমুক্ত করে কুর্নিশ করলো।
রাকিনঃ আসালামু আলাইকুম মহারাজ।
রাজাঃ অলাইকুম আস সালাম। কোন জরুরি সংবাদ?
রাকিনঃ আমাদের কাছে গোপন সূত্রে তথ্য এসেছে, সামনে আমাদের রাজ্যে হামলা হতে পারে।খুব শীঘ্রই আমাদের মেঘরাজ্যের সাথে অঙ্গরাজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করবে।ঐ রাজ্যের রাজার পরবর্তী পরিকল্পনা এটা।
রাজাঃ আমাদের সৈন্যদের আরো ভালো করে প্রশিক্ষণ দেও সেনাপতি রাকিন।আমাদের হেরে গেলে চলবে না।মনে রেখো হেরে যাবে তো মরে যাবে।পুরো রাজ্য ওদের অধীনে চলে গেল আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোন গতি হবে না।
রাকিনঃ আপনি চিন্তিত হয়েন না মহারাজ। আমি যুদ্ধের জন্য আমাদের সৈন্য প্রস্তুত করে রেখেছি।
রাজাঃ চিন্তা কি আর শুধু শুধু করি সেনাপতি রাকিন?এবার যদি যুদ্ধ আরম্ভ হয় তাহলে মেঘপুত্র শরীক হতে পারবে না।পুত্র আবরার আওসাফ যদি যুদ্ধে শরীক হয় তাহলে অন্যদিকে মেঘকন্যার ক্ষতি হতে পারে। মেঘকন্যার কিছু হওয়া মানে আমার পুত্রের প্রাণ সংকট। আবার যুদ্ধে আমাদের সতর্ক না হলে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। একটু অসতর্ক হলেই সর্বনাশ। আমি দুদিক দিয়ে পিছলে যাচ্ছি। এদিকে গেলে ঐদিকে সর্বনাশ।ঐদিকে গেলে এদিকে সর্বনাশ।নিজের রাজ্য বা পুত্র কারোর ক্ষতি আমি চাইছি না।দুটো জিনিস আমার কাছে আমানত।তাদের আমি হারাতে চাই না।
রাকিনঃ আপনি শুধু শুধু চিন্তিত হয়ে নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি করছেন মহারাজ। আমরা আছি, আমাদের সৈন্য আছে,সাথে রাজ্যের প্রজারা আছে।সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সাথে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আছে। তিনি যদি না চান তাহলে কারো সাধ্যি নেই আমাদের ক্ষতি করার।আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন,ইনশাল্লাহ জয় আমাদেরি হবে।
রাজাঃ সবসময় যে শক্তি দিয়ে জয় হবে এমনটাকি কোথাও লিখা আছে সেনাপতি রাকিন?অঙ্গরাজ্যের রাজা,মন্ত্রী, সেনাপতি এমনকি প্রজারাও অনেক ধূর্ত।গত যুদ্ধে আমাদের সাথে মিথ্যে সন্ধি করে পেছন থেকে কাপুরুষের মতো আক্রমণ করেছিলো।এবার যে করবে না তার নিশ্চয়তা কি?
রাকিনঃ আপনি দুশ্চিন্তা মুক্ত হোন মহারাজ। আমরা সকল দিক দিয়ে তৈরি হয়েই যুদ্ধ ময়দানে যাবে।যেহেতু এবার মেঘপুত্র নেই সেহেতু আমাদেরকে অনেক সতর্ক হয়ে যুদ্ধ ময়দানে নামতে হবে।
মন্ত্রীঃ মহারাজ আমরা কি কোনভাবে পুত্রকে যুদ্ধের কিছু দিন আমাদের কাছে রাখতে পারি না?পুত্র না হয় পৃথিবী থেকে আমাদের পুত্রবধূকে সাথে করে রাজ্য নিয়ে আসবে।
রাজাঃ নাহ্ মন্ত্রী। এমনটা হওয়ার নয়।মেঘকন্যা ও পুত্র এখানে এলে তাদেরকে আক্রমণ করার সম্ভাবনা আরো বেশি। আমরা তাদের সুবর্ণ সুযোগ করে দিবো।একসাথে দুই কাজ হাসিল করে নিতে পারবে।যুদ্ধ করার পাশাপাশি তারা কন্যা,পুত্র দুজনের ক্ষতি করে নিবে।তখন যতটুকু রাজ্য বাঁচানোর সম্ভাবনা থাকবে সেটাও আমরা হারাবো।
রাকিনঃ শান্ত হোন মহারাজ। আপনি এসব নিয়ে চিন্তিত হয়ে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করেন না।আমার ওপর ভরসা করে সব ছেড়ে দিন।আপনি এখন কহুকলিকে নিয়ে অন্দরমহলে গিয়ে বিশ্রাম নিন।
রাজাঃ রাজ্যের ঘোর বিপদ ঘনিয়ে আসছে সেনাপতি রাকিন।আর এই সময় আমি অন্দরমহলে গিয়ে বিশ্রাম নিবো। এটা নিতান্ত হাস্যকর কথা ছাড়া কিছুই নয়।
মন্ত্রীঃ আমরা ময়ূর রাজের থেকে সাহায্য চাইতে পারি মহারাজ? উনারা নিশ্চয়ই আমাদের ফিরিয়ে দিবে না।তাদের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান।
রাজাঃ আমাদের গোপন সূত্র কাজে লাগিয়ে দেও।তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি দেখে আমরা তার দ্বিগুণ হারে সৈন্য নিয়োগ দিবো।
কুহুকলিঃ মহারাজ, আমাদের মেঘকন্যা ও পুত্রের সামনে ঘোর বিপদ ঘনিয়ে আসছে। ইশাল তাদের এতো সহজে ছেড়ে দিবে না।সে নতুন করে ফন্দি আঁটছে কন্যা ও পুত্রের ক্ষতি করতে।
রাজাঃ এই জন্য তো আমি আরো বেশি চিন্তিত কুহুকলি।কন্যা যদি আমাদের শক্তির বিষয়ে জ্ঞান থাকতো তাহলে কোন সমস্যা হতো না।এখন আল্লাহর ওপর ভরসা করা ছাড়া আমার হাতে কোন উপায় নেই। আমি এখন নামাজ পড়ে কন্যা ও পুত্রের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারবো।তছাড়া আর কিছু নয়।তিনি যদি চান সব ঠিক করে দিবেন।
পুরো রাজদরবারে কিছু মুহূর্ত পিনপিনে একটা নিরবতা বিরাজ করলো।কারো মুখে কোন কথা নেই। সবাই স্তব্ধ হয়ে আছে।সামনের যুদ্ধের জন্য সবার মনে ভয় ঢুকে গেছে। সাথে মেঘপুত্রের প্রাণ সংকটের ভয়ও গ্রাস করেছে।
🌨️🌨️🌨️
কেটে গেছে বেশ কিছুদিন।সেদিনের ঘটনার পর আমি কলেজে যায়নি।আয়িশের সাথে কোন কথা বা দেখা হয়নি।আমি নিজেকে রুমে আটকে রেখেছি কিছু দিন ধরে। আমার রুমে ঐ জ্বীনটার জ্বালাতন আরো বেড়ে গেছে। আমি তাকে কিছুতেই কাবু করতে পারছি না।ছাদে দাঁড়িয়ে মনে মনে ফন্দি আঁটেছি কিভাবে ঐ জ্বীন ব্যাটাকে ধরবো।অনেকদিন পর খোলা আকাশের নিচে এভাবে দাঁড়ালাম। দুই হাত মেলে, চোখ বন্ধ করে রইলাম।আশেপাশের পরিবেশটাকে চোখ বন্ধ করে অনুভব করছি।সাথে চিন্তা করছি।
আমিঃ কি করি কি করি?আমার মাথায় কোন আইডিয়া আসছে না কেন?কি করবো আমি? রুমটা কি কোন হুজুর এনে বন্ধ করে দিবো?ফজর ও মাগরিবের পর নিজের শরীর বন্ধ করে রাখি।তারপরেও আমি ঐ বজ্জাত ব্যাটার জ্বালানি থেকে বাঁচতে পারছি না।তাহলে রুম বন্ধ করে কি ফায়দা হবে?আব্বিকে কি বলবো আমাকে একটা তাবিজ এনে দিতে।তারপরেও যদি এর হাত থেকে রেহাই পাই।আর ভালো লাগে না।
তখনি আমাকে পেছন থেকে শক্ত করে জাপটে ধরে চুলে কেউ মুখ গুঁজে দিলো। আমার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে এলো।কাঁপা কাঁপা চোখে পেছনে তাকিয়ে দেখতে পেলাম বেশ বডি ওয়ালা একটা ছেলে আমাকে জরিয়ে ধরে রেখেছে। কিন্তু তার মুখ আমি দেখতে পাচ্ছি না। তার হাত ছুটানোর জন্য আমি হাত ধাক্কাতে লাগলাম।কিন্তু রডের মতো হাত দুটোর একটাও আমি সরাতে পারলাম না।
—-বউ ডিস্টার্ব করছো কেন?আমাকে আমার কাজ করতে দেও।তোমার চুলের স্মেল-টাতো দারুণ। কি শ্যাম্পু ব্যবহার করো?স্মেল টায় আমি কিন্তু ঘোরে চলে যাচ্ছি। এখন যদি আমি রোমান্সের মুডে চলে যাই তবে আমার কোন দোষ নেই।
তার কথা শুনে আমি বরফে জমে গেছি। বলে কি এসব?তোওবা তোওবা।আল্লাহ বাঁচাও।আমি কি শ্যাম্পু লাগিয়েছি তা নাকি এই ব্যাটাকে বলবো।হু হু একটুও বলবো না।তারপরে সে শ্যাম্পু তার চুলেও ব্যবহার করবে।আমি এখনো তার হাত আমার পেটের থেকে সরানোর জন্য নিজের সর্বস্ব শক্তি দিয়ে ধাক্কাতে লাগলাম।কিন্তু এক চুলও নাড়াতে পারলাম না।ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিলাম।
— শুধু শুধু নিজের শক্তিগুলো নষ্ট করে কোন লাভ নেই। আমি তোমাকে না ছারলে তুমি কখনো আমার কাছ থেকে ছাড়া পাবে না।তাই ব্যর্থ চেষ্টা করো না।চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো।আমার সাথে কুস্তি না করে শত্রুদের সাথে তো এই শক্তি ব্যয় করতে পারো।তাহলে তোমার আশেপাশে কোন শত্রু ভুলেও ঘেঁষতে
পারতো না।
আমিঃ কে কে কে আপনি?আমাকে এমন জ্বালাচ্ছেন কেন?ছাড়ুন আমায়। আমার অনেক অস্বস্তি লাগছে। আপনার শরীর এতো ঠান্ডা কেন?যার কারণে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে।ওয়েট,আমি তো ছাদের দরজা আটকে রেখেছি। আপনি ভেতরে ঢুকলেন কি করে?
—আস্তে বউ।এতো প্রশ্ন একসাথে করলে উত্তর দিবো কিভাবে?একে একে প্রশ্ন করো।
আমিঃ ভনিতা না করে কথার উত্তর দিন।
—নিজের বরকে চিনো না বউ।আমি আমার বউকে জ্বালাবো না তো কাকে জ্বালাবো।আমার শরীরের তাপমাত্রা ঠান্ডা তাই আমার শরীর ঠান্ডা। লাস্ট প্রশ্নের উত্তর, আমি ভেতরে কিভাবে ঢুকলাম?তুমি তো দরজা বন্ধ করে রেখেছিলে।আমার তোমার কাছে আসতে কোন দরজা লাগে না। তাহলে দরজা খোলা থাকুক বা বন্ধ থাকুক আমার কি?
আমিঃ আআআআপপপপনি কি ঐ বজ্জাত জ্বিন?আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ। আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?আমিতো একটা ছোট, কিউট বাচ্চা মেয়ে।ছোট কিউট বাচ্চা মেয়েটার সাথে কি আপনি এমন করতে পারুন বলুন তো।আপনার চেহারা দেখান না কেন?আমাকে ভয় পান নাকি?(মুখ টিপে হেসে)
—- কি-ই-ই-ই??? আমি তোমাকে ভয় পাই? তুমি আমাকে ভয় পেয়ে উল্টো পাল্টা কথা বলো।আর সেখানে আমি তোমাকে ভয় পাবো?আমি কোন জ্বীন নই বউ।তুমি আমার অনেক বড় ক্ষতি করেছো।তাই তোমাকে আমি জ্বালাতন করি।
আমিঃ আমি কি ক্ষতি করেছি?(অবাক হয়ে)
— আমাকে বিয়ে করেছো সাথে আমার মন চুরি করে নিয়ে গেছো।তাই তো তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্তও ভালো লাগে না।
🌨️🌨️🌨️
হঠাৎ আমার চোখটা আমাদের বাসার গেইটের দিকে চলে গেল। সেখানে দেখলাম কেউ আমাকে দেখে দেয়ালের আড়াল হয়ে গেলো। আমি এদিক সেদিক তাকে খুঁজতে লাগলাম।কিন্তু সে একবার উঁকি দিয়ে পুনরায় আড়ালে চলে গেল।
ইশাল গেইটের আড়াল থেকে মেঘা ও আবরারকে দেখে রাগে ফুঁসতে লাগলো।সে আবরারের পেছন পেছন এসেছিলো মেঘার খোঁজে। কিন্তু বাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারছে না।কারণ আবরার সারা বাড়ি তার শক্তি দিয়ে ঘিরে রেখেছে।
আমাকে এখন জড়িয়ে ধরে রেখেছে সে।চুলের থেকে মুখ সরিয়ে কানের সামনে ফিসফিস করে বললো।
—- আল্লাহ হাফেজ বউ। আমার এখন মসজিদে মাগরিবের নামাজ পরতে যেতে হবে।
আমিঃ ওয়েট,আপনার চেহারা দেখিয়ে যান।ভয় না পেলে আপনার মুখ আমার চুলে লুকিয়ে রেখেছেন কেন?ভীতু কোথাকার?
—-নিজের মনের ভাবটা কি আমাকে দিয়ে প্রকাশ করছো বউ?নিজের উপাধিটা আমাকে কেন দিচ্ছো বল তো? এখনো তোমার সামনে আসার সময় হয়নি।তবে খুব শীঘ্রই তোমার সামনে আসবো।তখন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবে না। আমি তোমার অনেক কাছের মানুষ। চিন্তা করতে থাকো কে হতে পারি?
কথাগুলো বলে সে হাওয়া হয়ে গেলো। আমি পেছন ফিরে কাউকে দেখতে পেলাম না।এতটা জোরে কাউকে ধরে?এভাবে যদি আমাকে জরিয়ে না ধরতো তাহলে আমি একটু পেছনে ঘুরে তাকে দেখতে পেতাম।তবে তার শরীরের এক পাশ আমি দেখেছি।সাদা টি-শার্টের সাথে গ্রে কালার প্যান্ট।আমি শয়তানি হাসি দিয়ে সামনের গাছের আড়াল থেকে নিজের মোবাইলটা নিলাম।ভিডিও অন করে মোবাইল লুকিয়ে রেখেছিলাম।আমি জানতাম ছাদে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে নিশ্চয়ই বজ্জাত ব্যাটা আমার কাছে আসবে।
খুশি মনে মোবাইলটা হাত নিয়ে ভিডিও অন করেই মুখটা মেঘে ঢেকে গেল।কি হলো এটা? আজ তো আমি তার শরীর দেখেছি।মানে হলো তার অস্তিত্ব টের পেয়েছি।কিন্তু মোবাইলে আমি ছাড়া আর কাউকে দেখা যাচ্ছে না। আমার পুরো প্ল্যানে পানি ঢেলে দিলো।ধূর,এত কষ্ট করে কি লাভ হলো?রাগে বিরবির করতে করতে রুমে চলে গেলাম।
___________
মাঝরাতে একটা দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে গেলাম।আশেপাশে চোখ বুলিয়ে ঘোর অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখতে পেলাম না।শরীর ঘামছে প্রচুর। একটু নড়াচড়া করতেই নিজের ওপর ভীষণ ভারী ওজন অনুভব করলাম। এক ফোঁটাও নড়তে পারছিলাম না।কেউ তার শরীরের অর্ধেক ভার আমার ওপর দিয়ে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। তার নিশ্বাস আমার গলায় আছরে পরছে।তার মাথা আমার গলার পাশে ডান কাঁধে রেখেছে। আরেক হাতে আমাকে জরিয়ে মাথার দিয়ে রেখেছে। আমি অন্ধকারে হাতড়ে তার হাতটাকে ধরতে পারলাম।শরীরে এতটুকুও শক্তি নেই যে তাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের উপর থেকে সরাবো।
আমিঃ আমাকে কি বালিশ পেয়েছে নাকি?কি শুরু করেছে। এর হেস্তনেস্ত কবে করবো আমি।সবাই আমাকে পেয়েছেটা কি?আমার ঘুম হারাম করে নিজে পরম শান্তিতে ঘুমাচ্ছে। একেই বলে ভাগ্য। আল্লাহ কবে যে আমাকে এই জ্বালাতন থেকে মুক্তি করবে।বিয়েই মানি না আমি।আর উনি এসেছেন স্বামীগিরি দেখাতে।যত্তসব ফাউল কাজকর্ম। আমি চকলেট হরলিক্স খেয়ে যা শক্তি করেছিলাম, তা বোধহয় এবার এই বজ্জাত ব্যাটার ওপর প্রয়োগ করতে করতে চলে যাবে। আমার চকলেট হরলিক্সের শক্তি😭।
অন্ধকারে তার শরীরের ভর সহ্য করা এবং কুতকুত করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আপাতত আমার কোন কাজ নেই। এই অবস্থায় ঘুমও আসবে না। আমার হয়েছে সবদিক থেকে জ্বালা।
#চলবে