মেঘে ঢাকা চাঁদ পর্ব-১৮

0
1232

#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ১৮)
সায়লা সুলতানা লাকী

সকালে রুশকে টিফিন গুছিয়ে দিচ্ছিল লাবন্য ঠিক তখনই লিখন বের হল রুম থেকে। ওর চোখে চোখ পড়তেই বলে উঠল
“তুই কি তোর পড়াশোনা ছেড়ে দিলি না কি? নিজের ক্লাসেতো যাস’ই না। সেমিস্টারের খবর কি কিছু জানিস ? সারাদিন রুশের পিছনে ঘুরলেই কি হবে? নিজেরটা দেখতে হবে না?”

“হ্যা আব্বু, নিজেরটাতে অবশ্যই দেখতে হবে। কিন্তু এই মুহুর্তে রুশেরটা দেখা বেশি জরুরি। ওতো এখনও নিজেরটা নিজে গুছিয়ে করতে পারে না।”

“এতেতো তোর নিজের পড়াশোনায়টা গ্যাপে পড়ে যাচ্ছে… ”

“আব্বু আমি আমার গ্যাপটা কাভার করতে পারব। এটা নিয়ে চিন্তা করো না।”

“এভাবেতো আর চলে নারে লাবু। এর একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা উচিৎ।”

“কি রকম?”

“আমার বাসাতেতো আম্মার থাকার অধিকার আছে, কিন্তু তুই বারবার এমন করলি কেন?”

“আমি কখন দাদির বিষয়ে কিছু বললাম? আমি যা বলছি তা ছোট ফুপুর কথা বলছি।”

“আম্মা আম্মার অধিকারে থাকবে তখনতো সেই অধিকারে তার মেয়েও থাকতে পারে। তাতে ও রুশের পড়াশোনাটা দেখতে পারল আর তুই তোরটা দেখলি।”

“দাঁড়াও আব্বু! তুমি সবার অধিকার দেখছো কিন্তু আমার আর রুশের কোনো অধিকার দেখছো না কেন? আমরা কেন আমাদের অধিকার ছাড়বো, তা বলতে পারো?”

“তোরা না ছাড়লে ও এসে থাকবে কীভাবে? এটাতো বাড়ি না যে রুম বাড়াবো।এটা একটা ফ্ল্যাট। ”

” তাইতো, এটা একটা ফ্ল্যাট। আমার আম্মুর পরিশ্রম মশে আছে এখানে। ফুপুরতো এখানে আসার দরকার নাই। আমিতো বলছি না আমার আর রুশের জন্য কাউকে দরকার, তাই না? এটা আমার আম্মুর অনেক কষ্টের সংসার এখানে অন্য কারউ কর্তৃত্বের দরকার নাই বলেই মনে হয়। আচ্ছা আব্বু দেরি হচ্ছে আমাদের, আমি রুশকে নিয়ে বের হলাম। তোমার সাথে এ বিষয়ে পরে কথা বলব যদি তুমি প্রয়োজন মনে কর।”
কথাটা শেষ করে লাবন্য ভাইকে নিয়ে বের হয়ে গেল, একটুও সুযোগ দিলো না লিখনকে কিছু বলার। রিকশায় বসে স্কুলের দিকে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু মাথায় কাজ করছে অন্যসব চিন্তা। সব কিছু কেমন জানি মেসি মেসি লাগগে লাগল ওর কাছে। ওর আব্বুর মনে আসলে যে কি চলছে তা নিয়ে ও প্রচন্ড দ্বন্দ্বে রইল।

এরপর থেকে লিখন মোটামুটিভাবে লাবন্যকে একটু এড়িয়ে যাওয়া শুরু করল। আর ওর এই আচরনটা লাবন্য ঠিই বুঝতে পারল। তাই নিজেও আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যায় না। লাবন্য রুশকে নিয়ে বাসা থেকে বেড় হয়ে গেলে পরে লিখন রুম থেকে বের হয়। আবার অনেক রাত করে বাসায় ফিরে। লাবন্য ইচ্ছে করেই কিছু জিজ্ঞেস করে না তবে মাঝেমধ্যে রুশ জিজ্ঞেস করে তখন ওকে জানায় যে ওর দাদি অসুস্থ তাই তাকে প্রতিদিন ওই বাসায় যেতে হয়। এই করে করে নিরবে এক সপ্তাহ চলে গেল। শুক্রবার দুই ভাইবোন মিলে গেল বাহিরে খেতে। অনেকদিন হল দুইজন একটা কঠিন রুটিনের মধ্যে চলছিল তাই একটু রিফ্রেশ হতেই বের হল। বাসায় ফিরে দেখল লিখন ড্রয়িং রুমে বসা। ওদের দুজনকে ফিরতে দেখেই জিজ্ঞেস করল
“কোথায় গিয়েছিল? ”

“এইতো কাছেই, “কাচ্চি ভাই” এ। ”

“কেন বাসায় রান্না করা যায় নাই। বাজারতো সবই ছিলো। ”

“না আব্বু বিষয়টা তা না, মাঝে মাঝে আমাদেরও বাহিরের খাবার খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু কেউতো নাই এনে দেওয়ার তাই আমরা দুই ভাইবোনই চলে গেলাম। এখন খেয়ে ফিরলাম।”

“এভাবে যখন তখন হুটহাট বাহিরে চলে যাস না কি? আমিতো কিছুই টের পাই না।”

“দরকার হলে যাই। দরকার ছাড়া বাহিরে গিয়ে কি করব?”

“তুই একটু বেশি বেয়ারা হয়ে যাচ্ছিস।রুশের টেককেয়ারের নামে উচ্ছন্নে যাচ্ছিস বলে মনে হচ্ছে ইদানিং ।”

” তাহলে রুশের দেখাশোনাটা তুমি কর! করবে? তোমার সময় হবে? আমি করব নাতো কে করবে? ভাইটাকেতো আর একা ছাড়তে পারব না। ”

“যার কাজ তাকেই করতে দিতে হবে। তুই তোর কাজ কর।সেমিস্টারটা এবার মিসই হবে বুঝতে পারছি। এসবও কি ইচ্ছে করেই করছিস?”

“যার কাজ সেতো পরোপারে আছে। হাজার ডাকলেও ফিরবে না। আর তার জায়গাটা কেউ নিতেও পারবে না। আর তোমারতো কোন সময় নাই আমাদেরকে দেখার…”

“মানে?”

“তুমিতো তোমার সময় এখন বড় ফুপুর বাসাতেই কাটাও।…”

“ওখানে কি সাধে যাই? আম্মা অসুস্থ… ”

“একজেকটলি, আগে দাদি অসুস্থ হলে তুমি আম্মুর হাতে টাকা দিয়েই খালাস হতে। এখন কেন পারছো না? এখন তোমার এত দায়িত্ব জ্ঞান কোত্থেকে আসল? ”

“এক চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দিব বেয়াদব মেয়ে, বাবার সাথে কথা বলার স্টাইলটা কি হইছে দিনদিন! বেয়াদবির একটা সীমা আছে বুঝছিস? তোদের জন্যইতো এত ঝামেলা হচ্ছে। তোরা কেউ সেক্রিফাইজ করতে চাইবি না। কেন আম্মার সাথে শেয়ার করে রুমটা ছেড়ে দিলে কি হয়? তাহলেতো আর আমাকে দিনরাত ওখানে দৌড়াতে হতো না!”

“সরি আব্বু, চড় দাও আর মেরে ফেলো তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে আমরা দুই ভাইবোন আমাদের প্রাপ্য থেকে কোন রকম সেক্রিফাইজ করতে পারব না। এগেন সরি।”
কথাটা বলেই লাবন্য আর দাঁড়ালো না নিজের রুমে চলে এল। মনটা এক কঠিন বিষন্নতায় ছেঁয়ে রইল। আজ প্রথম ওর আব্বু ওকে চড় মারার কথা বলল। এর আগে গায়ে হাত তোলার কোন কথা কখনও বলেছে বলে মনেও পড়ে না। কথাটা হজম হল না দুচোখ ছাপিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে শুরু করল।

ইদানিং লিখনের আচরণ লাবন্যের কাছে খুব একটা সুবিধার বলে মনে হল না। নিজেই অনেকটা ইনসিকিউরড ফিল করতে লাগল। চোখ বন্ধ করলেই শুধু ওর মায়ের এতদিনে পরিশ্রম ত্যাগ সব কিছু নদীর জলে ধুয়ে যাচ্ছে, এমনটাই দেখতে লাগল। এমনটা হোক তা ও কোনদিনই চায় না। রেশমার ত্যাগকে কোনভাবেই বিফলে যেতে দিতে পারে না। এর জন্য যত কিছু করতে হয় ও করতে প্রস্তুত।
ঠিক এসময়তে ও কি করবে তা ভাবতেই হিমেলকে একটা কল দিল। কয়েকবার রিং হয়ে বন্ধ হয়েগেল। তার একটু পরই আবার হিমেল কল দিল। রিং বাজতেই লাবন্য রিসিভ করল
“হ্যালো”
“কি ব্যাপার আজ চাঁদ কোন দিকে উঠেছে! আমি কল দিলেতো এখন রিসিভ করিস না। সেখানে নিজেই কল দিলি, ঘটনা কি?”

“তোমার এখন পৌষ মাস
তখন আমি দেখি আমার সর্বনাশ। ”

“যাক এখনও কাব্য আছে তাহলে? বল কি খবর। নিজের জগতের বাহিরে আসতে পেরেছিস?”

“কীভাবে আসব? আমি যে পথ হারিয়ে ফেলেছি।”

“তুই? বন্য? হাসালি।”

“ইদানিং আমি খুব ইনসিকিউর ফিল করছি।চারপাশ থেকে কালো অন্ধকার আমাকে গ্রাস করে ফেলছে। আমি অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছি।”

“চারপাশে চেয়ে দেখ, তোর মতো কত ছেলেমেয়ের এই বয়সেও মা মারা যাচ্ছে। কই তারাতো অন্ধকারে ডুবে যায় না! তারা তার পরিবারের আপনজনের সাথে মিলেমিশে সুন্দর জীবন যাপন করছে। তুইও মন খুলে অন্ধকার ঠেলে বের হ, সবার সাথে মিশে যা, তাতে ভালো থাকবি।”

“কার সাথে মিশবো? কে আছে আমার চারপাশে? সব স্বার্থপর, যে যারটা শুধু বুঝতে ব্যস্ত। আমাদের দুই ভাই বোনের কথা ভাববার মতো কেউ নাই।”

“কি আজব কথা! খালুজি তোদের কত ভালোবাসে! খালামনি শুধু নাই কিন্তু এখন খালুজি আছেন। তাতে শুকরিয়া কর। কত কত এক্সিডেন্টে বাবা মা দুজনই চলে যায় এক সাথে। তোদের মাথার উপর এখনও খালুজি আছেন শুধু শুধু এত ভয় পাচ্ছিস কেন?”
“শুধু শুধু বলছো? তুমিতো বলবাই, বাহির থেকে না দেখে সবাই এমনটাই ভাববে। আব্বু এখন আর আগের আব্বু নাই।” বলেই কেঁদে ফেলল লাবন্য। এরপর এই কয়দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সবটাই খুলে বলল হিমেলকে। আর হিমেলও মনোযোগ দিয়ে শুনল। সবটা শুনে আস্তে ধীরে বলল
“দেখ বন্য আমি কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে খালুজির তেমন কোন দোষ দেখছি না। খালুজি তার মায়ের জন্য খুব বেশি টেনসড আছেন এখন। এই অবস্থায় তিনি তাই বলছেন যা তার মাথায় আসছে। আর বিয়ের কথাটা কিন্তু তোর ফুপা বলেছেন, খালুজি কিন্তু তার পক্ষে কিছু বলেন নাই। আমি যতদূর তাকে চিনি তিনি জীবনেও দ্বিতীয় বিয়ে করবেন না। তিনি খালামনিকে দুর্দান্তভবে ভালোবাসতেন। তিনি আমার ভালোবাসার আইকন। আমার বিশ্বাস তিনি এই বিশ্বাসের মূল্য রাখবেন। তুই শুধু শুধু হীনমন্যতায় ভুগছিস। মনটাকে ফ্রেশ কর। চল কোথাও থেকে ঘুরে আসি। একটহ দেখ বমি কেমন প্রেশারে আছি। সব কিছু দেখ পজেটিভলি। মন থেকে সব অন্ধকার ঝেড়ে মুছে ফেল।”

“তুমি বিষয়টাকে অনেক হালকা করে দেখছো। এটা মোটেও হালকা না। এখানে আমার আর রুশের ভবিষ্যত জড়িয়ে আছে। আমাদের অস্তিত্বের বিষয়। ফুপু একবার ঢুকলে আর বের হবে না।…. ”

“উফফ, কি শুরু করলি? এত নেগেটিভ মন নিয়ে চলবি কীভাবে? কী হবে উনি এখানে থাকলে? তুই দুদিন পর বিয়ে করে চলে আসবি।তোর রুমের কি দরকার? সমস্যা কি?”

“মানে? তোমার কি মনে হয় আমি এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করব? আমার মা মারা গেছে। আমার খালা বা ফুপু না। আমি এখনই বিয়ে নিয়ে ভাবতে পারছি না। আমি এখন আমার আর আমার ভাইয়ের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবছি। ”

“ও কে, তুই তাই ভাব। একটু বেশিই ভাব। যা ভালো বুঝিস তাই কর। তোর নিজের জগতে ভালো থাক। ” বলেই কলটা কেটে দিল।
কেন জানি লাবন্য হিমেলের এই আচরনটাকে সহ্য করতে পারল না। কিছুক্ষন গলা ছেড়ে কেঁদে নিল। এটা করলে তাৎক্ষণিকভাবে মনে শান্তি ফিরে আসে ওর।

রুশের স্কুলের বেশ কয়েকজন অভিভাবকের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে উঠেছে এই কয়দিনে। প্রথম প্রথম সবাই রেশমার অকাল মৃত্যুতে আফসোস করতেন।ওদের দুই ভাইবোনকে নানান রকম সমবেদনা জানাতেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ গায়ে পড়ে নানান উপদেশও দিতেন। ঘরে কি চলে তা জিজ্ঞেস করতেন তখন লাবন্যের খুব বিরক্ত লাগতো। কিন্তু ইদানিং লিখনের আচরনে ও কিছুটা দ্বিধান্বিত হওয়ায় মনে মনে এমন মানুষ খুঁজতে লাগল যে ওকে সঠিক উপদেশ দিয়ে উপকার করতে পারবে কারন ও এখন মানসিকভাবে একেবারেই একা হয়ে পড়েছে হিমেলের সাথে আলোচনার পর।
আসলে ওর ফুপা বিয়ের কথা বলার পর যখন লিখন শক্ত ভাবে তার প্রতিবাদ করল না তখন থেকেই ওর উপর লাবন্যের ট্রাস্ট উঠে গেলআড । বিভিন্ন ফিল্ম দেখে যে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছিল, একটা সময় ভেবেছিল তা আসলে বাস্তব জীবনে ঠিক না।ওর আব্বু আম্মুর মধ্যে ভালেবাসার বন্ধনটা অতি মজবুত। কেউ লিখনকে আবার বিয়ের কথা বললে ও রেগে টেগে আগুন হয়ে যাবে কিন্তু তা হলো না। বরং লাবন্যের নানান দোষ দেখতে লাগল ইদানিং যা কিনা ও সাধারণত কখনও করতো না। আগে রেশমা দোষ বললেও ও লাবন্যের সাইড নিত। কিন্তু এখন লিখনের আচরন বড়ই সন্দেহজনক। তাই ওর এমন কোন মানুষের উপদেশ বা পরামর্শ দরকার যার এসব বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আছে।
খুঁজলে সব মিলে, লাবন্যও একজন এডভোকেট আন্টি পেয়ে গেল। উনি সবসময় আসেন না তবে পেরেন্টস মিটিং এর সময় আসেন। দেখা হতেই যখন মায়ের মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন তখনই লাবন্য তার কাছে হেল্প চেয়ে বসল। ভদ্রমহিলা বেশ আন্তরিক , তাই তার সাথে ওর সমস্যা গুলো শেয়ার করল অকপটে।

লাবন্য আর রৌশন ইদানিং অনেকটাই ওর আব্বুর কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। লিখন হুটহাট নতুন নতুন শার্ট, পাঞ্জাবি পরে বাহিরে যায়। আবার আগের মতোই নিজেকে বেশ গুছিয়ে চলে তবে এখন আর রেশমাকে দরকার পরে না। নিজেরটা নিজেই করতে পারে। লাবন্য দেখে আর ভাবে, “আব্বু বড় তাই একটু বেশিই দক্ষ। কিন্তু আমরা ছোট তাই আম্মুকে ছাড়া এখনও অভ্যস্ত হতে পারিনি, চলতে গেলে হোঁটচ খাই।”

আজ শুক্রবার, সকালে উঠেই লিখন বাসা থেকে বের হয়ে গেছে, কখন ফিরবে তা বলে যায়নি। লাবন্য আর রুশও নিজেদের মতো করেই ছুটির সারাদিনটা পার করল। এখন আর ইচ্ছে করলেও ওর আব্বুকে কল দিয়ে বিরক্ত করে না। ওদের যা যা দরকার তা রুশ গিয়ে বললেই লিখন দিয়ে দেয়, তাই লাবন্যও বেশি একটা ঘেষে না কাছে।

সন্ধ্যার দিকে ডোরবেলের শব্দ পেয়ে বুঝল যে ওর আব্বু ফিরছে। এরই মধ্যে বুয়া খালা দৌড়ে এল লাবন্যের রুমে, চোখেমুখে হতাশা মিশিয়ে করুন স্বরে বলল
“লাবু মা, বাইরে আসো। দেখো কি সর্বনাশ হইছে। আল্লাহগো, এখন কি হইবি?”
বুয়াখালার কথাটা শুনে লাবন্য স্থির হয়ে দাঁড়াল। মনের মধ্যে ভয়, “তবে কি এডভোকেট আন্টি যা সন্দেহ করেছিলেন তাই ঠিক!” একবার ভেবে সাথে সাথে বের হয়ে এল মোবাইলটা হাতে নিয়ে।

ড্রয়িং রুমে ওর দাদি সোফায় বসে আছেন আর তার পাশেই একজন মহিলা বউ সেজে বসে আছেন। লিখন তখনই বাহির থেকে দুইটা লাগেজ টেনে টেনে ভিতরে ঢুকল। লাবন্য প্রথমে একটু শক্ খেল।এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে মোবাইলে কিছু একটা টাইপ করতে করতে শক্ত গলায় বলে উঠল
“আব্বু খুব ইমপোর্টেন্ট একটা কথা ছিল। তুমি একটু তোমার রুমে আসো।”
লাবন্যের কথায় এমন কিছু ছিলো যে সবাই ঘাড় ঘুরিয়ে লাবন্যের দিকে তাকাল।
“এখনই? একটু দাঁড়া, এগুলো একটু…. ”
“এখনই মানে এখনই” এবার আরও শক্ত গলায় কথাটা বলল।
আসিরে লাবু, বলে লিখনও একটু ভরকে গেল বলে মনে হল।

লাবন্যের পেছনে পেছনে লিখনও ওর রুমে ঢুকল। লাবন্য সাথে সাথে দরজাটা জোরে শব্দ করে বন্ধ করে দিল।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here