#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ ( পর্ব ২)
সায়লা সুলতানা লাকী
“কি তোর পা ভেঁজানো হলো ? এবার উঠ। ঘাটে এতক্ষণ বসে থাকার কোনো মানে হয় না।” হিমেল পাশে দাঁড়িয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে একটু বিরক্ত নিয়েই বলল।
লাবন্য বেশ কিছুক্ষন হিমেলের দিকে তাকিয়ে থেকে একটু আবদারি স্বরে বলল “কি আশ্চর্য তুমি বাদাম না এনে এখানে দাঁড়িয়ে বলছো উঠতে, তুমি কি আমার কথাটা বোঝো নাই? আমি কি চাইলাম আর তুমি কি বলছো? ”
এবার হিমেল চোখে মুখে আরও বিরক্ত ফুটিয়ে বলল
“এই সকালে তোর জন্য বাদাম কই পাবো? আর কাজ নাই আমার, এখন তোর জন্য বাদাম খুঁজতে দৌড়াব”।
“রেগে যাচ্ছো কেন? লাগবে না বাদাম। বাদাম অন্য আরেকদিন দিও।হলোতো! এবার আমার পাশে একটু বসো।”
“এখানে কি শুটিং হচ্ছে? ঢং করিস না। এখানে আমার অনেক পরিচিত মুখ আছে। স্যার ম্যাডামরাও দেখতে পাবে। আমি বসবো না।”
“উফফ তুমি একটা আস্ত ভীতুর ডিম। তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না বুঝচ্ছো?”
“আচ্ছা লাবন্য তোর কি মনে হয় না তুই একটু বেশিই পাকনা হয়ে যাচ্ছিস? হটাৎ হটাৎ এমন সব কাজ করিস যা তোকে মানায় না। কেন এমন করিস? ”
“তোমার অবগতির জন্য বলছি, আমার তিনটা বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের একজনের তিনমাসের এক বাচ্চা ছেলে আছে। আরেকজন মাত্র কনসিভ করছে। আরেকজন বরের সাথে হানিমুনে আছে। আর খালামনিরও আমার এই বয়সে হোমায়রা আপু কোলে ছিল আর আমার আম্মু এই বয়সেই অঘটনটা ঘটিয়েছিল। সোওওওওও বলতে পারো আমি মোটেও বয়সের আগে পাকনা হয়নি। আমার মনে হয় তুমি নিজেই বয়সের তুলনায় একটু ভীতু বেশি। একদম পুরাই হাবলু টাইপের।”
“দেখ আম্মু এমনিতেই তোকে নিয়ে সন্দেহ করে, খালামনির জন্য তোকেও মনে করে তুই—”
“আরে বাহ! খালামনিতো আমাকে একদম ঠিকই ধরতে পেরেছেন! আমিতো একদম আমার আম্মুর মতোই, আপনি মার্জি কা মালিক, আপনি মার্জিকা গোলাম।”
“হুমম এভাবে বললে আম্মু একদিন ঠিকই তোকে আমাদের বাসায় আসতে নিষেধ করে দিবে।আমি বলে রাখলাম তুই লিখে রাখ।”
“লিখতে হবে না। এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে সমস্যা কী? আমি থোরাই না কেয়ার করি কারো বাঁধা। আমি করি আমার যা মন চায়।” বলে হিহিহি করে হেসে উঠল লাবন্য।
“প্লিজ তুই আর কম্পলিকেট করিস না আমার লাইফটাকে। জ্বালাইস না আর, উঠ। আমার ডিপার্টমেন্টে যেতে হবে কিছু কাজ আছে। উঠ বলছি।”
“তোমার ডিপার্টমেন্টে যাবো না। ছেলেগুলো যেনো কেমন ড্যাবড্যাব করে তাকায় থাকে। ওখানে দাঁড়াতে কমফোর্ট ফিল করি না। তুমি যাও আমি এখানেই বসে থাকি। ”
“মাত্থা খারাপ! ডিপার্টমেন্টে কেউ তোকে কিছু বলবে না।সামনে এসে ডিস্টার্ব করবে না। কিন্তু এখানে একা রেখে গেলে মাছের ঝাঁকের মতো ঘিরে ধরবে। পাশে দাঁড়িয়ে আছি তাও কত কত চোখ দেখতে পাচ্ছি —”
“দারুন না ব্যাপারটা বলোতো! তোমার সাথে আছি অথচ তুমি একবারও আমাকে দেখলে না, কিন্তু কত কত চোখ এদিক ওদিক দিয়ে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে, একটু আমাকে দেখার জন্য । ”
“তোর দিকে না তাকালে দেখলাম কীভাবে যে তুই আজও ছোট্ট কালো টিপটা বাঁকা পরেছিস।”
“ইন্না-লিল্লাহ! তুমি দেখছো? তাহলে ঠিক করে দেওনি কেন?”
“তুই কবে বুঝবি লাবন্য, এসব ঠিক না। সব কিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় কাল পাত্র আছে। এসব মেইনটেইন করা খুব জরুরি।”
“উফফ! আমি অস্থির হয়ে উঠেছি তোমার এতসব জ্ঞানের কথায়। নাও উঠলাম, চল এবার যাই। হয়েছে আমার স্বপ্ন পূরণ খায়েশ মিটছে। এই চোখের যত দোষ। বন্ধ করলেই সব উলোটপালোট স্বপ্ন দেখা শুরু করে। আরে বাবা দেখবি যখন ভালো কিছু দেখ, শাহরুখ খান না দূর ওতো এখন অনেকটা আংকেল এইজের, বরুন, আদিত্য ফাদিত্য কাউকে নিয়া দেখ তা না সব আজব পাবলিক এসে ভীড় করে স্বপ্নের মধ্যে। আর এই পাবলিক কোন সময় যেন বলে বসে হে বালিকা তোমার স্বপ্ন দেখা বারন। তুমি আর কখনও স্বপ্ন দেখবা না।”
বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালো লাবন্য ।
“এই এখন আবার মুখটা ফোলায় রাখবি কতক্ষণ, রাখ তাও ভালো। এখন চল”। বলে হিমেল নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে হাঁটা শুরু করল। লাবণ্য ইচ্ছে করেই ওর পাশাপাশি না হেঁটে পিছনে আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগল। হিমেল জানে এখন হাজারবার বললেও ও শুনবে না। যদিও ওর এই গাল ফোলানোটা বেশি সময় স্থায়ী হয় না। লাবন্য কখনোই রাগ ধরে রাখতে পারে না। কিছুক্ষন পর ভুলেই যায় যে কেন রাগ করেছিল। হিমেল দেরি না করে ডিপার্টমেন্টের ভিতরে ঢুকে গেল।লাবন্য সামনের বারান্দার সিড়িতে ওড়না বিছিয়ে বসে পড়ল। কিছুক্ষণ পর হিমেল ফিরল সাথে ওর ক্লাসমেইট এক বন্ধুর সাথে। সিড়ির কাছে এসে দাঁড়িয়ে দুজন যেনো কি বিষয়ে কথা বলছিল হটাৎ করেই হিমেল হা হা হা করে হেসে উঠল। লাবন্য আড় চোখে তাকিয়ে তাই দেখছিল বারবার। যদিও ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে হিমেলেরই দুই বন্ধু। ওরা লাবন্যকে চিনে আর তাই ওকে একা বসে থাকতে দেখে গল্প জুড়ে দিয়েছিল। লাবন্য হু, হা করে গল্প শুনছিল শুধু। মুড অফের কারনে তাদের সাথে কথা বলতে মন চাচ্ছিলো না।
হিমেল এগিয়ে আসতেই ওর বন্ধুরা হায় হ্যালো বলে চলে গেল নিজেদের কাজে।
“চল, আমার কাজ শেষ।”
“তোমার কাজ শেষ তুমি যাও, আমার অনেক কাজ আছে আমি এখন যাবো না।”
“চল, এখন তোর কাজই করব। কোন ভবনে সীট পড়ছে চল দেখে আসি।”
“আমি দুদিন আগেই দেখে গেছি।”
“আচ্ছা চল তাহলে তোকে নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস রিকশায় চড়ে ঘুরি।”
“সত্যি বলছো! চল চল” বলে লাবন্য লাফিয়ে উঠে হিমেলের হাতটা জড়িয়ে ধরে হাঁটা শুরু করল।
“দেখ আশেপাশের সবাই কেমন ড্যাবড্যাব করে দেখছে। আমাকে চিনে বলে রক্ষা নইলে খোঁজ করত ক্যামেরা কোথায়, আর কোন নাটকের শুটিং চলছে এখানে।”
“ভাবুকরা যা খুশি ভাবুক,
ভাবতে তাদের কে করেছে মানা।
মনটা আমার, মর্জিও আমার
নাই কি তাদের জানা?”
শেষ করেই চিৎকার দিয়ে উঠল “ওই মামা”
“কি আশ্চর্য তুই এইভাবে চিৎকার দিলি কেন? রিকশা কি আমি ডাকতে পারতাম না?”
“তুমি ডাকতে ডাকতে সমনের জোড়া রিকশাটা নিয়ে নিত।” বলেই রিকশায় লাফ দিয়ে উঠে বসল লাবন্য। হিমেল একটু ওর দিকে তাকিয়ে পরে নিজেও উঠে বসল।
হিমেলের হাতটা ধরে ওর মাথাটা কাত করে কাঁধে ঠেকিয়ে লাবন্য আস্তে আস্তে করে বলল
“এটা কিন্তু স্বপ্নে ছিলো না। এই সুখটা কিন্তু তুমি আমাকে বোনাস দিচ্ছো।”
“আম্মু ঠিকই বলে তুই একটা ঢংয়ের ডিব্বা। এত ঢং কোথায় রাখিস?”
“আচ্ছা ওই মেয়েটা কে? যার সাথে দাঁড়িয়ে প্রান খুলে হাসলে? আমার পাশে থেকেওতো তুমি কখনও অমন করে হাসো না?”
“কি এখন আবার হিংসায় জ্বলছিস? এত হিংস কেন তোর পেটে?”
“বারে আমার সাথে যে তোমার বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলো তা দেখে তোমার হিংসা লাগে নাই?”
“না লাগে নাই। আমার এত বেশি হিংসা নাই।”
“আমার আছে, আমার অন্তর জ্বলে, ফাঁতফাঁতাইয়া জ্বলে।”
“এই সব শব্দ কই পাস? শোন একটা কথা বলি নিজের দুর্বলতাকে কখনও কারউ সামনে প্রকাশ করতে হয় না। তাতে নিজের কষ্ট পাওয়ার চান্স বেরে যায়। যেমন এখন আমি জানলাম তোর হিংসার বিষয়টা। এখন থেকে তুই যখনই আমাকে আনলিমিটেড জ্বালাবি তখনই আমি —-”
“চুপ একদম চুপ, তুমি কি আমাকে শাবানা পাইছো? আমি কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে মাথা ফাটায় দিবো।”
“কার?”
“যখন ফাঠাই তখন উত্তরটা পাবা কার?”
“ইন্না-লিল্লাহ ” বলে নিজের বুকে থু থু দিল হিমেল।
“হুমম, ভয় পাওয়া ভালো। আমাকে সবসময় ভয় পাবা তাহলেই ঠিক থাকবা।” বলে খিলখিল করে হেসে উঠল লাবন্য।
“কপালের টিপটা ফেলে দিছিস কেন?”
“ওখানে অন্য কেউ নজর দিলো তাই।”
“এটা কোন কথা হলো? যে কেউ নজর দিতেই পারে তাই বলে—”
“উঁহু, আমার আর আমার মনের মাঝে আর কাউকে আমি জায়গা দিব না। কারো নজরও না।”
“তোকে নিয়ে বড় ভয় হয়? বাদ দে চল খেয়ে নেই। জলদি জলদি বাসায় ফিরতে চাই। ” বলেই রিকশা থামিয়ে নেমে পড়ল দুজন।
যদিও বাহিরের খাবার খেতে হিমেলের একটুও ভালো লাগে না তারপরও লাবণ্যের জন্য এমন মাঝে মধ্যে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় হানা দিতে হয়। আজও খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু লাবন্যর মন ভাঙার ইচ্ছে হলো না। খাওয়া শেষ করে হিমেল বিল দিতেই লাবন্য চেঁচিয়ে উঠলো
“আরে আরে আরে তুমি দিচ্ছো কেন? বললাম না আমি দিব?”
“চুরির টাকায় হিমেল কিছু খায় না।”
“চুরি ছাড়া আমি টাকা পাবো কোথায়?”
“চেয়ে নিবি। তাই বলে চুরি করবি? এই অভ্যাস থেকে যাবে পরে।”
“একশোবার করবো, হাজারবার করবো। সবসময় করব। পকেট মারিংটা দারুন মজার একটা বিষয়। ”
“সে পরে দেখা যাবে, কিন্তু আজ বাসায় ফিরে খালুজির কাছে টাকাটা ফেরত দিবি।”
“মোটেও না। ”
“এক চড়ে চাপার দাঁত ফেলে দিব চুন্নি তোর! পেয়েছিস কি তুই হ্যা? আর জায়গা পেলি না চুরি করার? খালুজির পকেট থেকে? আজ খালুজি নিশ্চয়ই খালামনিকে চোর ভাবছে। এই দুইটা মানুষের মাঝে গ্যাঞ্জাম লাগানের কোন চেষ্টা করবি না বলে দিলাম।”
“কি আশ্চর্য! তুমি রেগে যাচ্ছো কেন? আব্বু কোনদিনও আম্মুকে চোর ভাববে না। আম্মুকে আব্বু পুরোপুরি বিশ্বাস করে। আব্বু বুঝবে যে কাজটা আমার। এই দুইজন মানুষের মাঝে কখনোই কোন গ্যাঞ্জাম হয় নাই আর হবেও না। আম্মু আর আব্বুকে দেখেইতো ভালোবাসাটা শিখেছি। ভালোবেসে একজন আরেকজনকে আঁকড়ে বাঁচার স্বাদ উপলব্ধি করতে শিখছি। ভালোবাসার চেয়ে শক্ত কোন বাঁধন নাই তা জেনেছি। তুমি শুধু শুধু আমার উপর রাগ করছো!”
“যা শিখছিস তা নিজের জীবনে ধরে রাখতে পারবিতো?”
“খুব পারবো! আমি আমার মায়ের মেয়ে না!” কথাটা বলে লাবন্য একটু হাসল। হিমেল আর কোন কথা বলল না। লাবন্যকে টেনে উঠিয়ে বের হয়ে এল।
লাবন্যকে ওদের বাড়ির গেইটের কাছে নামিয়ে দিয়ে হিমেল চলে গেল নিজের গন্তব্যে।
লাবন্য বাসার ভিতরে ঢুকতেই সামনে পেল ও মা’কে। কোন রকম কথা না বলে পাশ কাটিয়ে নিজের রুমে চলে এল। যা ভেবেছিল তাই হল ওর মা রেশমাও ওর পেছন পেছন মেয়ের রুমে ঢুকলেন।
“ও তুমি এখনই এসেগেছো, আমি ভেবেছিলাম আমাকে ফ্রেশ হতে কিঞ্চিৎ সময় দিবে।”
“এটা কি হল লাবন্য? তুই কি এখনও ছোট আছিস, যে যা মন চায় তাই করবি?”
“ঠিক বলছো আম্মু এখন আমি আর ছোট নাই। আর তাই মনও একটু একটু ডানা মেলতে শিখেগেছে। এখন সে শুধু রঙিন স্বপ্নে উড়তে চায় তাকে কি করে থামাই বলতো ডিয়ার আম্মু। ”
“হেয়ালি রাখ। তুই জানিস কয়দিন পর হিমেলের পরিক্ষা, এর মধ্যে ছেলেটার পড়াশোনার সময় নষ্ট করলি কেন?”
“রিল্যাক্স আম্মু, তোমার ভাগ্নেটার একটু রিফ্রেশমেন্টের দরকার ছিল। ওই গাধাতো সেটাও বোঝে না। শুধু জানে বই নিয়ে পড়ে থাকতে।”
“এবার কিন্তু তুই চড় খাবি আমার হাতে। যা মুখে আসে তাই বলিস।সকালে তোর আব্বুর পকেট —-”
“আস্তে আস্তে বলেন ম্যাম, এক টাকাও খরচ করিনি। পুরোটাই রয়ে গেছে আর হুকুম হয়েছে ফেরত দেওয়ার, আমি এখনই তোমাকে তা দিয়ে দিচ্ছি। ”
“আমাকে কেন, যার থেকে নিছিস তাকে ফেরত দিবি। এবং সরিও বলবি।”
“ওকে, আমি পকেট থেকে নিয়েছি আর তা পকেটকেই ফেরত দিব আর হ্যা পকেটকেই একটা সরি বলে আসব। যদিও ওই জড় বস্তু সরি-টরি কিছু বুঝবে না। তবুও বলব, কারন তুমি বলতে বলছো। এবার খুশি?”
“মোটেও না। তুই জানিস তোর খালামনি এগুলো একেবারেই পছন্দ করেন না, তারপরও তুই এগুলা কেন করিস? শুধু শুধু নিজের কষ্ট কেন বাড়াচ্ছিস?”
“আচ্ছা আম্মু তুমিতো জানতে আব্বুর সাথে এই সম্পর্ক টানলে তোমার অনেক কষ্ট বাড়বে তার পরও কেন তুমি তা টেনে নিলে?”
“লাবন্য এটা এত সহজ না। জীবনে আমি অনেক কিছু হারিয়েছি।”
“যা পেয়েছো তার চেয়ে কি বেশি হারিয়েছো?”
“সে হিসাব এত সহজ না, যে তোকে তার উত্তর এভাবে দেওয়া যাবে। তোকে নিয়ে আমার বড্ড ভয় হচ্ছে। ”
“তুমি ভয় পাচ্ছো? ভয় পেয়ো না। কোন কষ্টই কষ্ট না আমার কাছে।আমি তোমারই মেয়ে” বলে হিহিহি করে হেসে উঠল লাবন্য।
“জানি তোর সাথে কথায় পারব না। তুই থাক তোর কষ্ট পাওয়ার আশায়। আমি আমার কাজে যাই।”
“আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি তাই——”
লাবন্য গানটা আর গাইতে পারলো না, রেশমা মেয়ের মুখ চেপে ধরল।
“চুপ একদম চুপ, যা ফ্রেশ হয়ে আয়।” বলে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
চলব
https://m.facebook.com/groups/Anyaprokash/permalink/1291811658000525/