#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ৪০)
সায়লা সুলতানা লাকী
রাতেই মামারা চলে গেলেন। নাজমুল সাহেব একাই ফিরলেন কারন রেহেনা বেগম তার মায়ের কাছে রাতটা থাকতে চাইলেন। আসলে সে যে মায়ের জন্য থাকছেন না তা তার বিচক্ষণ মা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু কিছু বললেন না। সমস্যাটা বাঁধিয়েছে হিমেল। ও নাছোড়বান্দার মতো আটকে রইল নিজের ডিসিশনে। নানুমনির দায়িত্ব সে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে তাই তার এই সময়ে নানুকে একা রেখে কোথাও যাবে না। নানুমনির পাশেই থাকবে। ব্যস এই কথাতেই রেহেনা বেগম তার বাসায় ফেরার ডিসিশন চেঞ্জ করলেন। ছেলেকে একা এখানে থাকতে দিতে পারেন না তিনি। এখানে লাবন্য আছে, ওর সামনে ছেলেকে কখনওই একা রাখা যাবে না। লাবন্য সব বুঝল কিন্তু খালামনিকে মুখ ফোটে কিছু বলল না। বরং তারা থাকলে ওর মনে একটু সাহস পাবে সেটাই এখন মুখ্য ওর কাছে।
খালামনি নানির পাশে ঘুমানোর জন্য লাবন্য আর এই বিছানায় শুঁতে পারল না। নিজের রুমেও ঠিক মতো ঘুম আসলো না। মাঝ রাতে উঠে ডাইনিংএ আসতেই নানির নাক ডাকা শব্দে ভয় পেয়ে গেলো। সাধারণত তিনি নাক ডাকেন না। তাই আস্তে আস্তে নানির রুমে ঢুকল। গা’টা গরম তাই থার্মোমিটার নিয়ে নানির পাশে বসল তাপমাত্রাটা দেখতে। তখনই
রেহেনা বেগম নড়েচড়ে উঠলেন। রুমে ওকে দেখে বলে উঠলেন
“কি করিস? কি, আবার জ্বর উঠছে? কি আশ্চর্য আমিতো টের পেলাম না। আম্মা আমাকে ডাকবেন না?”
“খালামনি নানি আমাকে ডাকেনি, নানির নিঃশ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনে আসছি।গা’টা গরম তাই দেখছি টেম্পারেচারটা কত?”
“হিমেল কোথায়? ও কি করে?”
“রুশের রুমে ঘুমায়। ডেকে দিব?”
“না না না ডাকার দরকার নাই, ওর সকালে অফিস আছে, ঘুমাক ঘুমাক। ওকে কেউ ডিস্টার্ব করিস না।”
“তুমিও ঘুমাও।” বলে লাবন্য থার্মোমিটারে রিডিংটা দেখে আবার ওটাকে ঝাঁকি দিয়ে রেখে দিল। নানির মাথায় হাতটা বুলিয়ে দিতে দিতে পাশেই বসল।
“আম্মা ঘুমাচ্ছে, তুই আবার এখানে বসছিস কেন? যা ঘুমাতে যা। নিজের রুমে যা। শুধু শুধু বসে থেকে আবার তুইও অসুস্থ হবি পরে আম্মার কষ্ট হবে।”
রেহেনা বেগমের কথাটা শুনে লাবন্যের আর কোন উত্তর দিতে ইচ্ছে করল না। বুঝলো যে এখানে বসাটাকে সে ভালো চোখে দেখছে না। তাই আর দেরি না করে নিজের রুমে ফিরে এল। কিছু সময় কিছু বিষয়ে মন বিদ্রোহ ঘোষনা করলেও অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছুই আমরা মেনে নেই, চুপ থাকি। মনে হয় মেনে নেওয়াই ভালো। আসলে তা কতটুকু ভালো তা জানি না। বিক্ষিপ্ত চিন্তা ভাবনাগুলো মাথার মধ্যে ঘুরতে লাগল ঘুম আর আসল না শুধু কিছু সময় চোখ বুঝে রইল।
সকালে লিখন গরম গরম নাস্তা নিয়ে হাজির হল বাসায়। এমন সব আয়োজন দেখে লাবন্যের মন মেজাজ দুটোই নাস্তার মতো গরম হয়ে গেল। মিনমিন করে বলে উঠল
“এসবের কি দরকার ছিলো? মনে হচ্ছে এখানে কোন উৎসব চলছে? ”
“আহ লাবু এভাবে বলে না। তোর কাছে তোর খালামনি এসেছেন, তা কি একবার ভেবেছিস? তোর মায়ের মনে খুব ইচ্ছে ছিল ওর কাছে ওর বোন এসে থাকুক।কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। তোর খালামনির প্রিয় নাস্তাটাই আনলাম। নেহারি আর তন্দুরি রুটি। রেশমা প্রায় সময় গল্প করত আপার পছন্দের খাবার নিয়ে। ওর খুব ইচ্ছে ছিল নিজ হাতে ওর স্পেশাল নেহারি রান্না করে আপাকে খাওয়াবে। তাই নিয়ে এলাম তুই সামনে বসিয়ে খাওয়াবি তাহলে তোর মায়ের আত্মা খুশি হবে।”
লাবন্য চুপ হয়ে গেল ওর আব্বুর কথায়। মনটা কেমন জানি ব্যাকুল হয়ে উঠল মায়ের জন্য। এমন হাজারও ইচ্ছে মনে পুশে রাখতো আম্মু, যা মনের মধ্যে নিয়েই চলে গেল, পূরণ করতে পারল না। মনে হল আম্মুর সাথে সাথে এমন হাজারও স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটেছিল সেদিন যার কথা কেউ জানে না,জানবেও না।
নানির রুমে নানিকে ফ্রেশ করিয়ে ডাইনিংএ এসে দেখল লিখন হিমেল আর রুশ নাস্তা করগে বসেছে। রুশ ড্রেস পরে রেডি হয়ে আসছে। কিছু একটা বলতে গিয়ে থেমে গেলো। নানি অসুস্থ এই অবস্থায় ওর স্কুলে যাওয়ার কি দরকার? আর ওকে না হয় আব্বু দিয়ে আসবে কিন্তু আনতেতো হবে লাবন্যকেই। খালামনি যদি বাসায় ততক্ষণ না থাকে তবেতো ঝামেলা হয়ে যাবে। আর ভাবতে পারলো না মেজাজ গরম হয়ে গেল রুশের উপর। পাশেই হিমেল নাস্তা করতে বসছে দেখে কথা না বাড়িয়ে কিচেনে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর চা নিয়ে এসে দেখল রুশ আর ওর আব্বু চলে গেছে। একটা কাপ হিমেলের দিকে এগিয়ে দিয়ে নানিকে খাওয়াতে চলে গেল। হিমেল চা-টা হাতে নিয়ে চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো আনন্দে একটা হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকাল কিন্তু সেদিকে যেনো লাবন্যের কোন খেয়াল নেই, ও তা একবার ফিরেও দেখল না।
বিছানায় বসিয়ে নানিকে নেহারিতে রুটি ভিজিয়ে ভিজিয়ে মুখে তুলে দিচ্ছিলো লাবন্য এমন সময় হিমেল ঢুকল রুমে
“নানুমনি আমি এখন যাচ্ছি, তোমার শরীর একটু খারাপ লাগলেই আমাকে জানাবে। শুনলাম এখন জ্বর নাই। যদি জ্বর আসে তবে ঔষধটা খেয়ো।আগামীকাল ব্লাড টেস্ট করাতে নিয়ে যাব।”
“কিছুই করাতে হবে না। আমি ভালো আছি। তোদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমি ভয়ানক কোনো রোগের রুগি। যা তোরা যে যার কাজে। আমি ঠিক আছি। রাতে জ্বরটাও উঠে নাই। এক কাজ কর তুই তোর মা’কে সাথে নিয়ে যা। ওতো তোর চিন্তায় এখানে পরে আছে। শুধু শুধু ওকে টেনশন দিচ্ছিস কেন?”
“না মা এইটা কি কথা! আমি কি বলছি যে আমি ওর জন্য এখানে আছি? আমিতো…”
“শোন তুই আমার জন্য এখানে বসে নাই তা আমি জানি। এখানে বসে ছেলেকে পাহারা দিতে হবে না।”
“আম্মুকে আব্বু এসে নিয়ে যাবে। আমি এখন অফিসে যাচ্ছি। আমার একটু তাড়া আছে।” কথাটা বলেই আবার লাবন্যের দিকে তাকিয়ে বলল
“বন্য একটু আয় দরজাটা আটকে যা”।
“পারব না, দেখছো না আমি নানি কে খাওয়াচ্ছি। তোমার যাওয়া তুমি যাও বুয়া খালা আটকে দিবে দরজা।”
“কি আশ্চর্য এটা কোনো কথা হল! একটু এলে কি এমন ক্ষতি হয় তোর?”
“এই তুই আমাকে খাওয়াচ্ছিস কেন? আমি কি নিজে নিজে খেতে পারি না?”
“না পারো না। একদম কথা বলবা না। গত দুদিনই দেখছি এক চামচ দুই চামচ ব্যস শেষ তোমার খাওয়া। এমন চললে তুমি সোজা হবে কীভাবে আমাকে ধমকানোর জন্য? ”
“তুই যা হিমু আমি আটকে দিচ্ছি দরজা।” বলে রেহেনা বেগম বসা থেকে উঠতে চাইলেন।
“আরে না না না তুমি বসো, বুয়াখালাই আটকাতে পারবে। ” বলে হিমেল মুখটা একটু বাঁকা করে চলে গেল। রেহেনা বেগমও ছেলের পিছে পিছে বের হল রুম থেকে।
“এমন করলি কেন?”
“কেমন করেছি সব আবদার মানতে হবে নাকি? অত পারব না। ”
“তুইতো দেখি বিয়ের আগেই ঝাড়ি দেস ওকে।”
“হুম দেই এখন তুমি চুপচাপ খাও না হলে তুমিও খাবে।”
“নাস্তার টেবিলে বসে রেহেনা বেগমের চোখ ছলছল হয়ে উঠল। পুরোনো অনেক স্মৃতি ভেসে উঠল স্মৃতির পাতায়। নেহারি আর তুন্দরি হলে আর কিছু লাগতো না রেহেনা বেগমের। তার বাবা মাঝে মধ্যে এটা রেস্তোরাঁ থেকে এনে খাওয়াতেন। রেশমার তেমন একটা পছন্দ ছিলো না তাই ও এগুলো দেখলেই কান্না জুড়ে দিত।এরপর থেকে ওর জন্য আলাদা করে ঘিয়ের হালুয়া, বুন্দিয়া আর পরোটা নিয়ে আসতেন সাঘে করে। এই নেহারি নিয়ে রেশমার সাথে প্রায় সময় রাগারাগি করতেন রেহেনা।অথচ এই রেশমাই চুপিচুপি মাঝে মধ্যে নিজের হাতে রান্না করে হিমেলকে দিয়ে পাঠিয়ে দিতো বাসায়। আর তারজন্য ফোন করে বোনকে কি সব কথাই না শুনিয়েছেন জীবনে। আজ সব কষ্ট একসাথে চেপে বসল মনে। এমনটা না করলে হয়ত আজ এত কষ্ট লাগতো না। বোনের সাথে সম্পর্কটা ভালো হত। লাবন্য খালামনির চোখ দেখে আস্তে আস্তে বলল
“তুমি নাকি খুব পছন্দ কর, তাই আব্বু নিয়ে এসেছে। গরম গরম খাও, ভালো লাগতে পারে।”
“হুমম, কীভাবে খাই। এগুলো যে মুখে তুলতে পারছি নারে।” বলে হুহু করে কেঁদে ফেললেন তিনি।
লাবন্য এই প্রথম ওর খালামনিকে এভাবে কাঁদতে দেখল।
নাজমুল সাহেব এসে রেহেনা বেগমকে নিয়ে গেলেন। হিমেল কল দিয়ে ওর আব্বুকে বলেছে তাকে বাসায় নিয়ে যেতে। তারপরও রেহেনা বেগম কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন পরে তার মা’ই তাকে আশ্বস্ত করলেন যে হিমেলকে বাসায় পাঠিয়ে দিবেন বলে।
দুপুরে রুশকে নিয়ে ওর আব্বুই বাসায় ফিরলেন। লাবন্যকে বের হতে হলো না। যদিও আজ লাবন্যের কথা ছিল ওর নানির রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার।কিন্তু নানি নিজেই তেমনটা সাহস পেলেন না দুপুরে বের হতে। তাই আর যাওয়া হলো না। লিখনকে পেয়ে নানি জিজ্ঞেস করলেন বাসায় এখন কে আছে। উত্তরে লিখন জানালো যে বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়ে দিয়েছে। আর এখানে থাকবে না ওরা। মা’কে বোনদের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। বৌয়ের সেবা পেতে হলে তার আরও কিছু ধৈর্যের দরকার, বুদ্ধির দরকার। আর বৌকেও বাবার বাসায় দিয়ে আসছে। বিয়েটার আগেই বলা হয়েছিলো শাশুড়িকে দেখে রাখবে ছেলেমেয়ে দেখে রাখবে সাংসারিক হবে। কিন্তু এখন যখন বলছে সে এগুলো করবে না তখন আর তাকে এখানে রাখার দরকার নাই। বাবার বাড়িতেই থাক আর আলাদা সংসারের ঝামেলায় যাওয়ার দরকার কি? দুই পক্ষ নিজ নিজ জায়গায় বসে বুঝুক তারা কি চায়। তারপর ডিসিশন নেওয়া যাবে কে কোথায় থাকবে।
লাবন্যের নানি আগ বাড়িয়ে আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না। চুপচাপ শুনলেন শুধু। যাওয়ার সময় লিখনকে শুধু বললেন “এখানে যতদিন আছো আলাদা করে রান্না করো না। রুশের সাথেই থেকো।”
সন্ধ্যার পর হিমেল এসে হাজির হল বাসায়। ওকে দেখেই লাবন্য ফিক করে হেসে উঠল। আর তা দেখে হিমেল জিজ্ঞেস করল
“হাসছিস কেন?”
“তুমি এখানে আসছো কেন?”
“আসবো না কেন? নানুমনি অসুস্থ…. ”
“আহা নানি এখন সুস্থ, সারাদিনে জ্বর আসেনি।”
“তো”
“তো, তুমি এখন এখনে কেন আসছো? খালামনি হাইপার হয়ে যাবেন জানলে।”
“হোক, হওয়ারই দরকার।”
“কি আবোল তাবোল বলছো, মাথা ঠিক আছে?”
“হুমম আছে, হান্ড্রেড পারসেন্ট ঠিক আছে। আমি এখানে আসবো, বারবার আসবো।”
“কেন?”
“সুখ পাই তাই।”
“সুখ পরে অসুখ হয়ে যাবে।”
“কিছু অসুখেও সুখ থাকে।”
“তুমি বড় বেশি ঢং কর।”
“সকালে চা দিয়েই চলে গেলি কেন? এক দন্ড আমার পাশে বসা যেতো না?”
“উঁহু, ভয় ছিল ভেতরে।”
“ভয় আর তুই?”
“হুমম, মাঝে মাঝে কোত্থেকে জানি সুখ হারাবার ভয়টা বড় তাড়া করে বেড়ায় আমাকে।”
“তোর এই কথায় একটা আদর হবে । কাছে আয়।”
“একদম না, দূরে থাকো। বাসায় যাও।”
“যাবো না।”
“খালামনি কাঁদবে তাহলে। ”
“কাঁদুক, এমন কাঁদা আমিও কেঁদেছি। আম্মু বুঝুক যতই বাঁধা দেওয়া হোক না কেন আমি আমার সিদ্ধান্তেই অটল আছি আর থাকবো। ”
“জোর করে মানিয়ে নিলে কি সেই সম্পর্কে মধুরতা থাকবে?”
“আগে মানুক পরে গুড় চনি মধু সব ঢালবো।কোন সমস্যা নাই।”
“জানো, আজ খালামনি আম্মুর কথা মনে করতে করতে কেঁদে ফেলছে। আমি এই প্রথম দেখলাম খালামনি একবারও আম্মুর কোন দোষ বলেনি। খুব অবাক হয়েছি।”
“দারুন একটা নিউজ দিলিতো এই খুশিতেতো অবশ্যই মুখ মিষ্টি করতে হবে বলে লাবন্যকে জড়িয়ে ধরল।”
“আরে আরে করো কি? দেখো পেছনে কে? ধরল ধরল তোমার কান ধরল।” বলতে বলতে নানি হিমেলের কান টেনে ধরল।
“কি হচ্ছে এখানে শুনি?”
“কিছু না নানুমনি। এমনি একটু… ”
“আমি কি বয়রা, কানে শুনি না?”
“শোনো যুগে যুগে কাবাবে হাড্ডি মিলে আর মিলবে। এটা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি। ”
“হয়েছে আর ঢং করতে হবে না। কাবাবে যেনো হাড্ডি না থাকে তেমন করে কাবাব বানালেই হয়। তেমন যদি পারিস তবেই আসিস। এখন যা। রেহেনা অপেক্ষা করছে তোর জন্য। ”
“নানুমনি তুমি অন্তত একটু আমাকে বোঝো!”
“বুঝি আমি সবই বুঝি। জয় করতে শিখেনে। চুরি করা মহাপাপ। জয় করা প্রাপ্তিতে সুখ থাকে বেশি। যেদিন জয় করতে পারবি সেদিন লাবুও তোকে বরন করতে ফুলের মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।”
“ঠিক আছে জয় করেই নিবো, দেখে নিও। তবে মালাটা কি ফুলের হবে তা বন্যকে আমি বলে দিব। ওকে বিশ্বাস করা যায় না। বন্যতো কাঁটা যুক্ত ফুলের মালা পড়ায় দিবে গলায় এরপর সারাজীবন ওই কাঁটা শুধু গলায় খোঁচাবে। এতটা রিস্ক নেওয়া যাবে না।”
“চান্দু যেই ফুলের মালাই পরো না কেন তোমাদের ছেলেদের মালা পরার পর শুধু গলাটা চুলকায়। এটা আর নতুন কি? যাও এখন বাসায় যাও। এত রংঢংয়ের কথার দরকার নাই।”
“আচ্ছা যাচ্ছি, তবে তোমার শরীর খারাপ হলে জানিও।” বলে বাসা থেকে বের হল। দরজায় দাঁড়িয়ে ইশারায় একটা চুমু ছুড়ে দিল ওর বন্য বরাবর। এরপর দিল দৌড়।
“এটা কি হল?”
“আমি কি জানি? তোমার সামনেইতো করল তাকে জিজ্ঞেস কর? ”
“তুই লাফিয়ে নিলি যে?”
“আমার জিনিস আমিইতো নিবো, অন্যের জন্য ছেড়ে দিবো নাকি?”
নানি কোন কথা না বলে লাবন্যের দিকে তাকাল। একটু পর নানি ফিক করে হেসে ফেলল আর তার সাথে সাথে লাবন্যও ওর নানিকে জড়িয়ে ধরে হাসতে লাগল।
চলবে।