#মোহঘোর
#পর্বঃ১৫
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
স্নিগ্ধ প্রভাতের মিহি, মিষ্টি, পেলব রোদের খেলা চলছে রেহাংশীর চোখে মুখে। খানিক তাপ অনুভূত হতেই নড়ে উঠে সে। রোদের সারথি ফিনফিনে বায়ুতে তার মুখের উপর ছড়িয়ে থাকা কেশ ক্রমশ দুলে যাচ্ছে নিজস্ব ভঙ্গিতে। আধো জাগ্রত রেহাংশীর কর্ণকুহর হলো মৃদু শব্দ। অলস ভঙ্গিতে চোখ মেলে তাকাল। চোখের কোটরে হানা দিলো এক পশলা রোদ। রেহাংশীর শোয়ার ভঙ্গি বদলাল। ইনজাদের দিকে কাত হয়ে শুতেই দেখল উপুড় হয়ে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে সে। রেহাংশী অলস হাসে। ঘুমো ঘুমো চোখ প্রস্ফুটিত করে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। দরজা থেকে পূণরায় সেই ক্ষীণ শব্দ। রেহাংশী ধীরে উঠে বসে। অগোছালো শাড়ি ঠিক করে নরম সুরে ডাকল—
“শুনছেন! এই যে, শুনছেন!”
রেহাংশীর আদুরে গলার স্বর পৌঁছাল না ইনজাদে গাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন মস্তিষ্কে। চুলগুলো হাত খোঁপা করে অলসতা ছাড়িয়ে এগিয়ে আসে ইনজাদের শায়িত দেহের কাছে। জড়িভূত নজরে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। পেলব গলায় ফের ডাকে—
“শুনছেন! আপনাকে ডাকছে!”
ইনজাদ নড়ল না। সেভাবেই পড়ে রইল। রেহাংশী কাঁপা কাঁপা হাত ইনজাদের পিষ্ঠদেশের পাটাতনে রাখে। উষ্ণ ছোঁয়ায় চমকে উঠে সে। হাত নামিয়ে ধ্যানমগ্ন হয়ে বসে থাকে। মেহমাদ আবারও দরজায় শব্দ করল। খুবই আহ্লাদের সাথে। অন্যসময় হলে হয়তো দরজা ভেঙ্গেই ঢুকে যেত। কিন্তু এখন পরিবেশ অন্য।
রেহাংশী তটস্থ হয়। জড়তা আর সংকোচ পানিতে ডুবিয়ে ইনজাদের পিঠে হাত রেখে কিঞ্চিৎ ধাক্কা মেরে বলল—
“এই যে শুনছেন! উঠুন না। আপনাকে ডাকছে।”
ইনজাদের ঘুম ছুটল। ঘুমে নিভুনিভু চোখ দুটো আমিলীত করে ঘাড় ঘুরাল। জড়ো গলায় বলল—
“কী হয়েছে? ঘুমাও তো প্লিজ।”
“আপনাকে ডাকছে। শুনতে পারছেন না?”
বিরক্তি ঝুলে চোখের তারায়। নাক কুঁচকায় ইনজাদ। দুই হাতে ভর দিয়ে উঠে বসে। চোখ কচলে তাকায় রেহাংশীর দিকে। মেহমাদ আবারও শব্দ করল। ইনজাদ দরজার দিকে তাকাল। ঝুঁকে গিয়ে টেবিলের ওপর থেকে মোবাইল ফোন নিল। সাইড বাটনে চাপ দিতেই স্ক্রিন জ্বলে উঠল। ভোর ছয়টা! খিস্তি মেরে উঠে ইনজাদ। এত সকালে ডাকার কী হলো!
দরজা খুলে বাইরে আসে সে। এক চোখে হাত। হামি তুলে যাচ্ছে সমানতালে। কিন্তু মেহমাদকে দেখে উবে গেল ঘুম। ব্যগ্রতা নিয়ে বলল—
“কীরে, এই ভোরবেলা সাহেববাবু সেজে কোথায় যাচ্ছিস?”
মেহমাদ সরল গলায় বলল—
“বাড়ি যাচ্ছি। আম্মা ফোন করে বলল, আব্বার শরীর খারাপ করেছে।”
ইনজাদ ত্রস্তে বলল—
“বলিস কি!”
“হ্যাঁ, আমি যাচ্ছি। সাবধানে থাকিস।”
“আচ্ছা, পৌঁছে আমাকে ফোন করিস।”
“হুম।”
মেহমাদ যেতেই দরজা লক করে নিজের কক্ষে প্রবেশ করে ইনজাদ। বিছানার ওপর কৌতূহলী চোখে বসে আছে রেহাংশী। দরজা ভেজিয়ে বিছানায় বসল সে। মাথার দিকে বালিশটা একটু উঁচু করে পিঠ আর মাথার সন্ধিস্থলে রাখল। পা দুটো টান টান করে রেহাংশীর দিকে তাকাল। তার প্রশ্নবিদ্ধ চোখের প্রত্যুত্তর করল সে।
“মেহমাদ বাড়ি যাচ্ছে। ওর বাবা অসুস্থ।”
সচল হলো রেহাংশীর কৌতূহল। নতমুখী হয়ে শাড়ির আঁচল কচলাতে থাকল। ইনজাদ চোখ খিচে বলল—
“তোমার অন্ধকারে কী সমস্যা?”
“কোনো সমস্যা নেই?”
“তাহলে?”
“অন্ধকারে আমি ঘুমাতে পারি না।”
ইনজাদ হালকা শব্দে হাসল। চোখ তুলে তাকাল রেহাংশী। মুখ গম্ভীর করতেই ইনজাদ রসালো গলায় বলল—
“তাহলে অন্ধকারে রাতে হাঁটাহাঁটি করো কেন?”
“ভালো লাগে।”
“আজব তো! অন্ধকারে ঘুমাতে পারো না, কিন্তু হাঁটতে পার! এ কেমন কথা?”
“এমন কথা।”
আচানক রেহাংশীর হাত টেনে তাকে বুকের পাটাতনে নিয়ে নেয় ইনজাদ। খরগোশ ছানার মতো তুলতুলে দেহের ছোঁয়ায় আবেশিত সে। রেহাংশী দ্রুত সরতে গেলে তার কোমরে সজোরে চাপ দিয়ে ধরে সে। হতবাক হয়ে যায় রেহাংশী। তার শরীরের সমস্ত ভার ইনজাদের বক্ষস্থলে। ইনজাদ এক হাতে রেহাংশীর হাত খোঁপা খুলে দেয়। ছড়িয়ে পড়ে রেশম কালো চিকুর। ইনজাদ প্রগাঢ় মায়ায় ছড়ানো চুলে গুঁজে দেয় রেহাংশীর কানের পেছনে। উষ্ণ চুম্বন করে তার ললাটে। ছটফটানো রেহাংশীর অন্তঃকরণ অনুপলেই নিভে যায়। অতলান্ত ভালোবাসার ঘোর লাগে তার পদ্মাক্ষীতে। অনিমেষ চেয়ে থাকে স্বামী নামক ব্যক্তিটির দিকে। হৃৎস্পন্দন যেন গুনে গুনে চলছে। শ্বাস ভারী হচ্ছে। ইনজাদ নিগূঢ় হাসল। প্রশ্ন করল—
“ভালোবাসো আমাকে?”
সলজ্জ চোখ অবনত করে রেহাংশী। উত্তাল সায়রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে তার অনভূতির শিখরে। ইনজাদের স্পর্শ গাঢ় হলো। প্রশ্নের উত্তরের জন্য আকুলিবিকুলি করছে তার মন। কিন্তু প্রিয়তমা নির্লিপ্ত। ইনজাদ ফের বলল—
“অধিকার নেই আমার?”
লতানো দেহ শিথিল হলো। কণ্ঠ হারাল স্বর। চোখ উঠল ভিজে। অভাবিত এই অনুভূতির আস্বাদন তো ভয়ংকর! রেহাংশী নেতিয়ে গেল ইনজাদের বুকের ওপর। সহসা অবিশ্বাস্য কাজ করে বসল ইনজাদ। রেহাংশীকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার ওপর নিজের ভর ছেড়ে দেয়। বিভ্রান্ত, বিমূঢ় রেহাংশী। ইনজাদ বলল—
“নীরবতা সম্মতির লক্ষণ। ভালোবাসি আমৃত্যু। এখন আমার অধিকার চাই। শুদ্ধ পুরুষ হয়ে থাকাটা বড্ড কঠিন!”
রেহাংশীকে অবাকের শীর্ষে পৌঁছে দিয়ে তার ওষ্ঠাধরে গাঢ় স্পর্শ আঁকতে থাকে ইনজাদ। রেহাংশী আড়ষ্ট হয়ে গেল। তার নারীসত্তায় ঝংকার শুরু হলো। শিরা-উপশিরায় বয়ে গেল বিষ। যার ক্রিয়ায় সে কাতর, অসহায়। রেহাংশীর কাতরতা আরও বাড়িয়ে দিলো ইনজাদ। চোখের পাতায়, নাকের ডগা থেকে কণ্ঠদেশ পর্যন্ত ভিজিয়ে তুলল ভালোবাসার গহন ছোঁয়ায়। বিবশ রেহাংশীর সমস্ত দেহ শ্রান্ত। ইনজাদ হাসল। রেহাংশীর চোখে চোখ রেখে বলল—
“মাশা আল্লাহ! ধন্যবাদ আমার জীবনে আসার জন্য। আমাকে পূর্ণতার শিখরে চড়ার আহ্বান করার জন্য। ”
রেহাংশী মাথা কাত করে। তার শ্বাসে চলছে বাঁধা। তাকাতে পারছে না। ইনজাদ ঝুঁকে গেল পুরোদস্তুর। প্রিয়তমার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল—
” ও বিষবাণ!
হৃৎপিন্ডের ব্যবচ্ছেদ ঘটিয়ে যার করেছ সর্বনাশ, বিনা দোষে যে হয়েছে নির্বাসিত। যার নিরপদ্রুপ, অবিমিশ্র অন্তঃকরণের প্রণয়িনী তুমি, তোমার নেত্রযুগলের নিঃসৃত নীল বিষ যার বক্ষস্পন্দন থমকে দেয়, গহন বিষক্রিয়ায় জীবন্মৃত সে।
রেহাই দাও, করুণা করো, বাঁচতে দাও তাকে!
তার বিষাক্ত অঙ্গে ঢেলে দাও তোমার অমৃত। তার খন্ডিত হৃৎপিন্ড জুড়ে দাও তোমার অমৃতবাণে।
ও বিষবাণ!
ও বিষবাণ!
ও বিষবাণ!
,
,
,
ব্যস্ত হাতে থালা-বাসন ধুয়ে তা রেকের ওপর সাজিয়ে রাখছে রেহাংশী। অদূরে দাঁড়িয়ে আছে ইনজাদ। নগ্ন বুক জুড়ে জলকণার আবাসস্থল। পায়ের গোড়ালি আড়াআড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে সে। তাকে দেখেও যেন দেখল না রেহাংশী। চোখ তুলল না ভয়াবহ লজ্জায়। নত মস্তিষ্কে চলছে দ্রুত হস্তের কাজ। ইনজাদ গা দুলিয়ে হাসল। রেহাংশীর কোমরে গুঁজে রাখা শাড়ি ভেদ করে উদর দৃশ্যমান। ভেজা চুল লেপ্টে আছে মসৃণ, পেলব কোমরে। ইনজাদ নরম পায়ে রেহাংশীর পাশ ঘেঁষে দাঁড়াল। কম্পন শুরু হলো ত্রস্ত দেহে। ইনজাদ ঘাড় নিচু করল। চুলে ডোবাল ঘ্রাণেন্দ্রিয়। লম্বা নিঃশ্বাস টেনে নিল। তুষ্ট হলো হৃদয়। রেহাংশী হাসল। লজ্জামিশ্রিত গূঢ় হাসি। তার গলার দিকটায় ঘাম জমেছে, জমেছে নাকের ডগায়। ইনজাদ চুল থেকে নাক সরালো। অসংবৃত কোমরে হাত গলিয়ে দিতেই শিউরে উঠল রেহাংশী। মরমর চোখে চাইতেই মিইয়ে গেল তার সচল ভঙ্গি । ইনজাদ ঠোঁট ছোঁয়াল গালে। কপালের ঘাম মুছে দিলো। কোমরে গুঁজে থাকা আঁচল খুলে নিল। হালকা হাতে চেপে চেপে গলদেশের ঘাম মুছে দিলো। আদেশের সুরে বলল–
“রান্নাঘরে কাজ করলে অ্যাডজাস্ট ফ্যান অন করে নেবে। তাতে গরম বাতাস বের হয়ে যাবে।”
রেহাংশী হালকা করে মাথা দুলালো। ইনজাদ নিজের হাতে রেহাংশীর ভেজা চুলগুলো কাঁধের একপাশে নিয়ে আসে। চোখ তুলল রেহাংশী। অর্ধ নিমীলিত চাহনি। ইনজাদের স্পর্শে দূর্বল হতে লাগল সে। অস্ফুট আওয়াজে বলে উঠল—
“কাজে যাবেন না?”
“যাব।”
“কখন?”
“সময় হলে।”
“সময় হয়নি?”
“তোমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।”
ক্ষীণ চাহনি নিভে এলো। স্বামীর বুকে মাথা রাখল রেহাংশী। এত সুখ তার কপালে ছিল! ভাবতে ইচ্ছে হয় না। যদি মিথ্যে হয়ে যায়? এই প্রেম, এই ভালোবাসা, এত এত অনুভূতি, একটু ছুঁয়ে দেওয়ার সুখ যদি মোহঘোর হয়! চোখ ফেটে জল আসে রেহাংশীর। অচিরেই শক্ত হয় হাতের বাঁধন। ইনজাদ শব্দ করে ওঠে।
সচেতন হয় রেহাংশী। ইনজাদের বুক থেকে হাত নামিয়ে আনে। ইনজাদ মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় চেয়ে রইল রেহাংশীর ঘামের নহরে যা ছড়িয়ে আছে তার চোখের আশেপাশে। স্নেহার্দ্র সুরে বলল—
“শুধু ভালোবাসলে হয় না, তার যত্ন নিতে হয়।”
চট করেই রেহাংশীকে কোলে তুলে নেয় ইনজাদ। ভীতসন্ত্রস্ত রেহাংশী চেঁচিয়ে ওঠে।
কীঈঈঈকী করছেন? পড়ে যাব!”
আদুরে ভঙ্গিতে রেহাংশীর নাকে নাক ঘষে বলল—
“চিন্তা করো না। নিজের স্ত্রীকে সামলানোর মতো ক্ষমতা তোমার স্বামীর আছে। শুধু শারীরিক তৃপ্তি নয় আমি চাই তুমি আমার মানসিক প্রশান্তির কারণ হও।”
স্বামীর স্নেহময়ী বাক্যে আপ্লুত রেহাংশী। নিজের কক্ষে এনে তাকে বিছানায় বসায় ইনজাদ। কাবার্ভের ড্রয়ার থেকে কিছু একটা বের করে এনে রেহাংশীর সামনে বসে। স্বাভাবিক সুরে বলল—
“আঁচল তোলো?”
রেহাংশী হতভম্ব গলায় বলল—
“কেন?”
“এত প্রশ্ন কেন করো?”
একটানে রেহাংশীর পুরো আঁচল উঠিয়ে কাঁধে তুলে দেয় ইনজাদ। কিছু একটা তার কোমরে পরিয়ে দেয়। রেহাংশী কৌতূহল দমাতে নিম্নমুখী দৃষ্টি রাখে। তার কোমরে শোভা পাচ্ছে একটা কোমরবন্ধনী। ইনজাদ ঠোঁট ছড়াল। আবেশিত গলায় বলল—
“দেখো পছন্দ হয় কি না?”
একটা সরু চেইন। তার সাথে লাগোয়া সাদা রঙের পাথর যা ইনটেক করা তামার বেষ্টনে। রেহাংশী উৎসুক গলায় বলল—
“এইটা কখন এনেছেন?”
“অনেক আগে। মেহমাদ একবার ওর গার্লফ্রেন্ডের ডান্স কম্পিটিশনের জন্য কিনেছিল। সেইটা অবশ্য আরও গর্জিয়াস ছিল। এইটা একদম সিম্পল। তুমি সবসময় পরতে পারবে। ব্যস, আমার কাজের সময় সমস্যা না হলেই হলো।”
রেহাংশী দাঁত-মুখ খিঁচে দুর্বল ধাক্কা মারে ইনজাদের বুকে। অসচেতনতায় নিচে বসে পড়ে সে। খলখল করে হেসে উঠে দাঁড়ায়। কাবার্ড থেকে ফিকে শৈবাল রঙের একটা শার্ট বের করে গায়ে গলিয়ে নিয়। বোতাম আটকে টাইয়ের নব বাঁধতে বাঁধতে বলল—
“দুপুরে খেয়ে নেবে কিন্তু। খেয়ে আমাকে ফোন করবে। টেবিলে মোবাইল চার্জে আছে। এইটা আমার পুরোনো সেট। বাইরে গেলে রিচার্জ করিয়ে দেবো। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলেই আমাকে জানাবে। নাম্বার সেভ করে দিয়েছি। শুনেছ কী বলেছি?”
“হুম।”
“হুম, হ্যাঁ বললে চলবে না। ঠিক মতো খেতে হবে। আর না হলে….।”
“না হলে কী?”
“না হলে সাজা পেতে হবে।”
জলেসিক্ত আঁখিযুগল বন্ধ করে নিল রেহাংশী। অদ্ভুত মাদকতায় সম্মোহিত সে। ইনজাদ গাল ছুঁইয়ে দিলো। জাগ্রত হলো বদ্ধ নয়ন। চোখের মনিতে চোখ রেখে মখমলে গলায় বলল—
“প্লিজ খেয়ে নিয়ো।”
রেহাংশী অনুগত সহচরের মতো মাথা দুলালো। আগ্রহী গলায় বলল—
“সেদিন নুহাশ ভাইয়া আসেনি কেন?”
ইনজাদ নিভন্ত গলায় উত্তর করল।
“জানি না।”
“বাড়ির সবাই আমার ওপর রেগে আছে তাই না?”
ইনজাদ কণ্ঠ তীক্ষ্ম করে বলল—
“বলতে পারব না। তোমাকে ওসব নিয়ে ভাবতে হবে না। সময় ক্ষত পূরণ করে। সময় দাও।”
রেহাংশীর কপালে ছোট্ট চুমু খায় ইনজাদ। গাঢ় মায়ায় বলল—
“আসি, খেয়াল রেখো নিজের।”
এক বুকভরা চিন্তা নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বের হয় ইনজাদ। তার অবশ চলাচলে মস্তিষ্কের কোণায় কোণায় আচ্ছন্ন রেহাংশীর ওই মুখশ্রী। মেয়েটাকে সে এই জনমে আর ভুলতে পারবে না!
চলবে,,,