মোহ মুক্তি ~ ১
লেখা : Azyah(সূচনা)
“অত্যন্ত কুৎসিত এক নারীর সাথে সাতদিন যাবৎ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আমি। সুদর্শনতো আমিও নই।তবে তার ব্যাপার সম্পুর্ণ আলাদা। জীর্ণশীর্ণ দেহ তার,হাতের চামড়া অনেকটা কুচকে গেছে।শ্যাম বর্ণের মেয়ে নয় কালো সে,হাতে,পায়ে অজস্র দাগ,চোখদুটো হলদেটে,মুখটা বর্ণহীন।কথায় আছে আগে দর্শনধারী পড়ে গুন বিচারি।এবার তার গুনের কথা বলি। বিগত সাত দিনে তার কোনো গুনই আমার চোখে পড়েনি।রান্না জানে না,ঘরের কোনো কাজ পারে না,একদম মিশুক নয়,মাঝেমধ্যে মানুষ আমার বাড়ি এসে তাকে বোবা মনে করে,সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই বললেই চলে।তার চেয়ে অদ্ভুত তার মুখের ভঙ্গি।তার দিকে আমি তাকাই না।তবে যখন চোখ পড়ে তার অদ্ভুত শ্রী আমাকে ভাবায়।সে হাসে না,কোনো প্রতিক্রিয়া দেয় না,রাগ করে না,কাদে না,কষ্টের ছাপ মুখে দেখাই যায় না।আর অভিমান?সেটা করার অধিকার আমি তাকে দেইনি।কি যেনো ভাবে সারাদিন, খাতা কলম নিয়ে কিছু একটা লিখতে থাকে।তাকে কিছু বলা হলে একটা রোবটের মতন মুখোভঙ্গি করে তার বিশাল ভাসমান চোখে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে”
দশতলা বিশিষ্ট অফিস।অষ্টম তলার বিশাল করিডোরে দাড়িয়ে সিগারেট হাতে খুবই তাচ্ছিল্য করে বলে ফেললো কথাগুলো অরন্য মোর্শেদ।পাশে দাড়িয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে কথাগুলো শুনছে আবিদ।তার কলিগ কম বন্ধু।একই সাথে পাঁচ বছর আগে এই অফিসে জয়েন করেছিলো তারা।তখন থেকেই বন্ধুত্ত্বের শুরু।আজও টিকে আছে।
“বিয়েটা করলি কেনো? তুইতো বাচ্চা না যে তোকে জোর করে বিয়ে দিবে!নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার মতন যোগ্য তুই।তারপরও!” আবিদ বললো।
মুখ শক্ত করে আবিদের দিকে চায় অরণ্য।চোখে মুখে ক্রোধ। জেদি কণ্ঠে বলল,
“আজ পর্যন্ত সত্যিই আমার মা আমার কাছে কোনো আবদার করেনি।একটা আবদার করেছে।এই আবদার হাসি মুখে পূরণ করতে গিয়ে আমার জীবনে আঁধার নেমে এসেছে!সত্যিকারের আঁধার!”
সাত দিন পূর্বে,
সদ্য বিবাহিত অরণ্য।ঘরে নতুন বউকে সহ্য হচ্ছে না।দম বন্ধ লাগছে তার মুখখানা দেখে।যেনো আঁধার নেমে এসেছে পুরো ঘরে। বিবাহের সাজসজ্জা তাকে মানাচ্ছে না।ঘেমে একাকার বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে।চুলগুলো এলোমেলো।মাথার কাপড়টাও ঠিকঠাক মাথায় রাখতে পারছে না সে।মুখ গোমড়া করে ঘরে প্রবেশ করেছে।এসেই ধপ করে বসে পড়লো তার তথাকথিত স্ত্রী।নাম তার সন্ধ্যা। কাজী বিয়ে পড়ানোর সময়ই নামটা শুনেছে।একেবারে মিলে যাচ্ছে তার গায়ের রঙের সাথে।
“আপনার সাথে আমি সরাসরি কিছু ব্যাপারে কথা বলতে চাই।”
গোলগোল বিশাল চোখগুলো তুলে দেয় অরণ্যের পানে।স্বাভাবিকভাবেই উত্তর দেয়,
“জ্বি বলেন”
“আপনি জানেন আমি আপনাকে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করিনি।”
সন্ধ্যা আবারো চোখ নামিয়েছে।বললো, “আগে জানতাম না।আপনার সাথে এবাড়িতে আসার সময় আন্দাজ করেছি।”
“আপনাকে আমার পছন্দ নয়!”
“ঠিক আছে”
“কেনো পছন্দ নয় জানেন?”
“সৌন্দর্যের বিপরীতে যে শব্দটি আছে।ঠিক সেই কারণে বোধহয়”
কথার জোর থেমে গেলো অরণ্যের।কি অবলীলায় বলে ফেললো মেয়েটি।তারমধ্যে কোনো দুঃখ,কষ্ট, ক্ষোভ কিছুই দেখা যাচ্ছে না।নাই সে গুরুত্বহীনভাবে উত্তর দিচ্ছে।মুখের ভাবভঙ্গি বলছে সে মন থেকে সত্যটা বলছে।আর এই সত্য বলতে তার মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই।
দীর্ঘ গরম নিঃশ্বাস ছাড়লো।
সময় নিয়ে পূনরায় মুখ খুললো অরণ্য,
“আপনার সকল দায়িত্ব নিবো।তবে দুঃখিত ভালোবাসার দায়িত্বটা বোধহয় নিতে পারবো না।”
“সমস্যা নেই।”
সোজা উত্তরে চমকায় অরণ্য।অবাক সুরে প্রশ্ন করে, “সমস্যা নেই?”
“২৬ বছরের এক কুৎসিত মেয়েকে বিয়ে করে নিজের পরিচয় দিয়েছেন,দায়িত্ব নিয়েছেন।আপনার থেকে এর চেয়ে বেশি আশা করলে লোভী বলে আখ্যায়িত হবো।আমি লোভী হতে চাই না।আর নাই আমি মনের কষ্ট থেকে বলছি।আমার সত্যিই কোনো চাহিদা নেই।আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।”
মুখের শব্দে সচ্ছতা।ভাবতে বাধ্য হচ্ছে কোনো মান,অভিমান, বিরোধ ছাড়াই মেয়েটি সব মেনে নিচ্ছে।হয়তো নিজের উপরই তার মান।কোনো কথাই তার ফেলে দেওয়ার মতো না। দ্বিতীয়বার ভাবার সুযোগ নেই।তার কথার সুর বলছে সে সত্য বলছে।আর এই সত্যকে সঙ্গে নিয়েই চলবে হয়তো।
ভাবনার চিন্তার ব্যাঘাত ঘটলো ভারী কণ্ঠে,
“আপনি যদি অনুমতি দেন আমি ফ্রেশ হবো”
“ঠিক আছে”
শাড়ি আর ওড়না সামলে বিছানা থেকে নেমে পড়লো সন্ধ্যা।মাথা দুদিকে ঘুরিয়ে নিজের লাগেজটা খুঁজে নেয়।বারান্দার পাশে এক কোণায় বেগুনি রঙের লাগেজ।ধীর পায়ে হেঁটে যায় সেদিকে।নিচু হয়ে বসে সুতির একটি সেলওয়ার কামিজ বের করে ওয়াশরুমে চলে গেলো। অরণ্য কোনোকিছু চোখ তুলে না দেখলেও উপলব্ধি করতে পারছে। পনেরো মিনিট পর বিয়ের গহনা,শাড়ি এনে সামলে নিজের লাগেজে রেখে দেয়।ততক্ষনে বিছানায় ছড়িয়ে থাকা গোলাপের পাপড়ি সরিয়ে নিয়েছে অরণ্য।চোখ বুজে একহাত কপালে রেখে।
অরণ্য থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো,
“আপনার ঘরে আলাদা বালিশ আর কম্বল আছে?”
অপ্রস্তুত অরণ্য কপাল থেকে হাত নামালো।সামান্য উঠে বসে ইশারা করলো আলমারির দিকে।বললো,
“আলমারিতে আছে”
“আপনার আলমারিতে আপনার ব্যক্তিগত জিনিস থাকতে পারে।যদি কষ্ট করে আমাকে বের করে দিতেন ভালো হতো”
কোনো কথা না বাড়িয়ে আলমারির দিকে এগিয়ে গেলো অরণ্য।একটা বালিশ আর আর কম্বল এগিয়ে দেয়। সন্ধ্যার মুখের দিকে চেয়ে মেজাজ আরও খারাপ হয়ে গেলো তার।মুখটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।সদ্য গোসল সেরে আসা রমণীদের মনোমুগ্ধকর দেখায়।সেখানে তারই বিবাহিতা স্ত্রী উল্টো!শক্ত মুখে উল্টো ঘুরে বিছানায় শুয়ে পড়লো।
বিছানা থেকে ঠিক সোজা,পা বরাবর জমিনে শুয়ে পড়েছে সন্ধ্যা।ঘরটা নিমিষেই অন্ধকারে তলিয়ে গেল। মরিচা বাতির আবছা আলো অন্ধকার অনেকাংশে কাটিয়ে তুলতে সক্ষম।এই সামান্য আলোটুকুইতো দরকার।অর্ধ খোলা জানালা ভেদ করে আসছে দমকা হাওয়া।হাওয়ার দাপটে উড়ে চলেছে পর্দাগুলো।বৃষ্টি হবে বোধহয়?মাটির ঘ্রাণ ভেসে আসছে যে!তার সাথে মিলেমিশে একাকার ফুলের সুভাষ।এত ভালোলাগায় ভরপুর চারপাশ। সন্ধ্যার মন! শুধু অরণ্যের মস্তিষ্ক ভার।যেনো ভারী কোনো বস্তু এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে মাথার উপর।শ্বাস আটকে নিচ্ছে। ধীরেসুস্থে হয়তো জীবনটাও কেড়ে নিবে।শান্তি হরণ হয়েছে “কবুল” শব্দটা উচ্চারণ এর মধ্য দিয়েই।
___
মন বলেছিলো বাদল ধারা বইবে।সন্ধ্যার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃতি নিজেকে তার মন মোতাবেক সাজিয়েছে।রাতভর ঝিরঝির বৃষ্টি নামিয়েছে ধরণীর বুকে।বড্ড ক্লান্ত শরীর!তারই সাথে মনটাও।চোখ খুলে তাকাতেই দিনের সামান্য আলোর দেখা মিললো।প্রভাতের প্রারম্ভিক অংশ।অম্বরে কালো মেঘেদের রাজত্ব।উঠে বসে পড়ে সন্ধ্যা।দুহাত তুলে চুলগুলো পেঁচিয়ে খোঁপা করে নেয়।আজকাল এই কেশমালাও ছলনাময়ী হয়ে উঠেছে। কৃষ্ণ রঙের ছোঁয়া পেতেই ঝড়তে থাকে। সাদা ফ্লোর থেকে ঝড়ে পড়া চুলগুলো তুলে উঠে পড়লো।কম্বল পেঁচিয়ে বালিশসহ একপাশে রেখে দিয়েছে।লাগেজ থেকে ব্রাশ নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়।বেরিয়ে এসে অরণ্যের দিকে একবার চেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
“তোমাকে আমার ছেলে কিছু বলেছে মা?”
“না আন্টি”
জাহানারা বেগম সন্ধ্যার কথায় বিশ্বাস করতে পারছেন না।তিনি বললেন, “যদি কিছু বলে কথা কানে নিও না।এটা এখন তোমার সংসার।স্বামীও তোমারই।কয়লা পুড়ে স্বর্ণ হয়। কথাটি মনে রাখবে।”
সন্ধ্যা স্মিথ হাসির রেখা ঠোঁটে টেনে বললো, “আমি আর কত কয়লা হবো?”
কথার ধাঁচ বুঝতে পারছেন জাহানারা বেগম।কাছে এসে সন্ধ্যার কাধে হাত রাখলেন।হাত বোলাতে বোলাতে বললেন,
“আমি অরণ্যের জন্য সাতজন মেয়ে দেখেছি।সবাই ছিলো সুন্দরী,যোগ্য,ধার্মিক,গুনের।শেষে আমার তোমাকে পছন্দ হয়েছে।”
“কেনো?”
“এর উত্তর আমি জানি না। একটু হেসে দেখাবে?”
কি করুন আবদার! চোখজোড়া জ্বলজ্বল করে উঠলো সন্ধ্যার। এভাবেও কেউ বলে?কেউ আবদার করে?আপনাআপনি সামান্য হাসি ফুটেছে মুখে।জাহানারা বেগম সন্ধ্যার সারামুখে হাত বুলিয়ে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালেন।পিছু নিলো সন্ধ্যাও।
জাহানারা বেগম কাজে হাত লাগালে সন্ধ্যা বলে উঠে,
“আমি কি সাহায্য করবো?”
“নাহ নাহ!আমি পারবো”
“ঘরে মেহমান আছে।এত কাজ একা করে ক্লান্ত হয়ে যাবেন”
জাহানারা বেগম হেসে বললেন, “তোমার শ্বশুররা ৬ ভাই ৩ বোন ছিলেন।আমি হলাম বড় বউ। যৌথ পরিবার একহাতে সামলেছি”
সন্ধ্যা রান্না ঘরে এগিয়ে এলো। শাশুড়ির পাশে দাড়িয়ে বললো, “পাশে দাঁড়াতে পারবোতো অন্তত”
“বেশ! সেটা করতেই পারো।কথা বলতে বলতে কাজগুলো সেরে ফেলি।”
“ঠিক আছে”
“তা এত সকালে উঠলে যে?”
“অভ্যাস”
“ভালো অভ্যাস।সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর স্বাস্থ্য মন সবটাই ভালো থাকে।”
চায়ের কাপগুলো জাহানারা বেগমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
“সকালে উঠে হাটি আমি।এরপর মাকে সাহায্য করে গল্পের বই পড়তাম।নাস্তা করতাম তারপর আবার একঘন্টার ঘুম”
“আর পড়ালেখা?”
“পড়ালেখাতো শেষ”
“ওহ হ্যা!”
__
নাস্তার টেবিলে একসাথে বসেছে সবাই।সকল মেহমানদের নাস্তা শেষে বিদায় জানিয়ে পরিবারের সকলে খেয়ে বসেছে।অরণ্য,তার বাবা মারুফ মোর্শেদ।টুকটাক আলোচনা চলছে তাদের মধ্যে।সবার মধ্যে মুখ গোমড়া করে আছে অরণ্যের ফুপি সাবরিনা খানম।বারবার ঘুরে তাকাচ্ছেন সন্ধ্যার দিকে।তার দিকে চা এগিয়ে দিলে হাত তুলে না করে দেন।
বিরক্ত ভঙ্গীতে অরণ্যের দিকে চেয়ে বললেন,
“তোর মাকে চোখের ডাক্তার দেখাতে পারিস না?”
খাওয়া থামিয়ে অরণ্য বলে উঠলো, “কেনো?”
“আজকাল চোখে বোধহয় ঠিকঠাক দেখছে না।ভালোকে খারাপ আর খারাপকে ভালো দেখে”
গতকাল থেকেই মেজাজ বিগড়ে আছে তার।এরমধ্যে ফুপির পেঁচানো কথা পছন্দ হলো না।সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো সাবরিনা খানমের দিকে,
“সোজাসুজি বলো ফুপি।ঘুরানো পেঁচানো কথা আমার বোধগম্যতার বাহিরে।”
“কত ভালো মেয়ে দেখালাম তোর মাকে।শেষমেশ কিনা?”
কথার মধ্যে বাঁধ সাধলেন মারুফ মোর্শেদ, “কাল আমরা গ্রামে ফিরছি। ঢাকায় যে কাজের জন্য এসেছিলাম সেটাতো হলোই।এখন বাচ্চারা নিজেদের সংসার নিজেদের মতন করে সমলাক।আমরা নাহয় কয়দিন পরপর এসে দেখে যাবো ওদের।সাবরিনা তোমার টিকেট করবো?”
ইচ্ছেকৃত তার কথার মধ্যে বাঁধা দেওয়া হয়েছে বুঝতে বাকি নেই।তারসাথে অনেকটা অপমানিত বোধ করলেন।আকার ইঙ্গিতে হয়তো তাকে চলে যাওয়ার কথা বললো তারই আপন ভাই। ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লেন সাবরিনা খাতুন।খাবার শেষ না করেই বললেন,
“তার প্রয়োজন নেই।আমি এমনিতেও আজ বিকেলে আমার বড় ছেলের বাড়ি যেতাম।”
শুক্র-শনি ছুটির দিন।দুইদিন ছুটি পায় অরণ্য।এই দুইদিন বিশ্রামের পাশাপাশি নিজের মতন আরাম আয়েশে সময় কাটায়।আজ ঘরে ঢুকে বিছানার একপাশে সন্ধ্যাকে বসে থাকতে দেখে এই ছুটিকেও কাল মনে হচ্ছে।অরণ্যকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ালো সন্ধ্যা।এপাশ ওপাশ চেয়ে বুঝে উঠতে পারলো না কি করবে।
অগ্যতা প্রশ্ন করে বসলো, “আপনার বাবা মা গ্রামে থাকে?”
“কেনো শুনেননি নাস্তার টেবিলে বাবা কি বললো?”
“আমি আসলে জানতাম না।”
“আপনার জানার কথা? একদিন হয়েছে এবাড়িতে এসেছেন।না জানাটাই স্বাভাবিক তাই না?”
মানিব্যাগ হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো অরণ্য।তার যাওয়ার পানে কিছুক্ষণ চেয়ে ফিরে তাকায়।একটা ছোট বারান্দা আছে ঘরের পাশে।একপা দুপা করে দাড়ায় সেখানে।এত সুন্দর বারান্দা অথচ কোনো গাছ নেই।কেমন যেনো বিবর্ণ দেখাচ্ছে!বারান্দার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে গাছ।রং বেরংয়ের ফুলের গাছ।নিজের চিন্তার লাগাম টেনে ঠান্ডা জমিনে পা গুটিয়ে বসেছে।মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে আজকের উক্তি লিখে পোস্ট করলো তার পেজে।যায় নাম “হীন”।অনেক ভেবে চিন্তে নামটি বেছে নিয়েছে সে।”হীন”শব্দের সাথে তার সম্পর্ক অনেকটা গভীর। ওতপ্রোতভাবে জড়িত তার প্রত্যেকটা নিঃশ্বাসে।
“পৃথিবীতে রং নামক শব্দটা না থাকলে কেমন হতো?”
চলবে..