যদি তুমি জানতে’পর্ব-১৭

0
719

#যদি_তুমি_জানতে
#ইসরাত_জাহান_তানজিলা
#পর্ব_17
সকাল হয়ে গেছে প্রায়। চারদিকে এখনো অন্ধকার। আস্তে আস্তে আবছা আলোয় চারদিকের পরিবেশটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আধার কেটে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। রুপা তুরানের কাঁধের উপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে। রুপার নিঃশ্বাসের শব্দ তুরানের বুকে ভিতর কাঁপিয়ে তোলে। তুরান আদুরে গলায় বলল,
-‘রুপা… উঠো। সকাল হয়ে গেছে।’
কয়েক বার ডাকার পর রুপা ঘুম ঘুম চোখে বলল,
-‘ ঘুমাবো আমি ডিস্টার্ব করেন না। চোখ জ্বলছে।’
-‘ আরে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে। সকাল হয়ে গেছে। প্রবলেম হবে তো।’
-‘ বাসায় না তো কোথায়? নড়াচড়া করেন না। ঘুমে ডিস্টার্ব হচ্ছে।’
এলোমেলো ভাবে কথা বলছে রুপা। জড়িয়ে যাচ্ছে কথা। ঘুম ঘুম চোখে রুপার বলা প্রতিটি কথা ধারালো ছুরির মতো আঘাত করছে তুরানের বুকে। মেয়ে মানুষের ঘুম ঘুম চোখে বলা কথা নেশার মত যেন। এই মেয়েটা কি আদৌ বুঝতে পারবে ও যে ঝড় হয়ে বয়ে যাচ্ছে আমার বুকে? নিঃশব্দে হাসছে তুরান।
-‘ রুপা ওই দেখো.. দেখো সাহেলা আন্টি।’
তুরান কথাটা বলার সাথে সাথে হকচকিয়ে চোখে খুলে রুপা। ভয়ার্ত কন্ঠে বলল,
-‘ কোথায় আম্মু?’
তুরান হেসে বলে,
-‘বাসায়।’
রুপা এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি মারতে থাকে তুরানের গায়ে। কান্নার ভাব করে বলল,
-‘ মিথ্যা বললেন কেন?’
-‘ তো কি বাসায় যেতে হবে না?’
রুপা কিছুক্ষণ ভেবে বলল,
-‘ ও তাইতো আমি সব ভুলে যাই ধেৎ। আমি তো ভাবছিলাম আমি বাসায় ঘুমাচ্ছি।’
তুরানের দিকে গভীর মনোযোগ সহকারে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রুপা। দৃষ্টিটা কেমন তীক্ষ্ণ।
-‘ এভাবে তাকিয়ে আছো কেন? খেয়ে ফেলবে মনে হচ্ছে।’
রুপা তুরানের দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘ আপনি খুব ভালো। তাই আপনায় অনেক ভালবাসি।’
-‘ হয়েছে আমি সাইকেলের চাক্কা না। পাম দিতে হবে না।’
রুপা মুখ ভার করে ফেলে। তুরান এবার মুচকি হেসে বলল,
-‘ আমিও ভালোবাসি রুপা পাগলি টাকে।’
.
ফযরের নামাজ শেষ করে রান্না ঘরে ঢুকে সাহেলা বেগম।
আজিজ চৌধুরীর জন্য এক কাপ চা তৈরি করে নেয় দ্রুত।
রুপা কে ছাড়া বাসাটা একদম ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাহেলা বেগম।
হঠাৎ চোখে পরলো তুরান আর রুপা কে। দুই জনে কথা বলতে বলতে আসছে। রুপা এ সময় কোথা থেকে আসলো? ওর মা তো বলেছিল রুপা কয়টা দিন ওর মায়ের কাছে থাকবে। সাহেলা বেগম দ্রুত পায়ে গেটের সামনে গেল।
সাহেলা বেগম কে দেখে ঘাড়বে যায় তুরান। উনি কি তুরান কে কড়া কথা শুনাতে আসছে? মুহূর্তের মধ্যে নিজেকে সামলে নিলো তুরান। রুপা একদম ভাবলেশহীন। সাহেলা বেগম ওঁদের সন্দেহ করতে পারে এরকম কোন ভাবনা চিন্তা নেই রুপার চেহারায়। ও একদম স্বাভাবিক যেন এটা হওয়ার ছিলো।
সাহেলা বেগম উদগ্রীব হয়ে জিজ্ঞেস করল,
-‘ কোথা থেকে আসলি তুই? আর তুরান কে কোথায় পেলি? কোন ঝামেলা করে আসিস নি তো?’
রুপা স্বাভাবিক গলায় বলল,
-‘ ভালো লাগে না তাই চলে আসছি। আর উনি জগিং করতে বেড়িয়েছিল উনার সাথে দেখা হলো পথে।’
তুরান হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। কি সুন্দর যুক্তিযথ মিথ্যা কথা বলবো রুপা। এগুলো কে বলে খাঁটি মিথ্যা কথা।
সাহেলা বেগম আর রুপা কথা বলছে তুরান ওর রুমে চলে গেল।
-‘ তোর আম্মু কে বলে আসছিস তো? তুই নাকি বেড়াবি কয়দিন?’
-‘ আমি কি যেতে চেয়েছিলাম উনার সাথে? তুমিই তো জোর করে পাঠালে।’
এ পর্যায়ে মুখ ভারী হয়ে যায় রুপার। যেন কেঁদে দিবে।
-‘ কিছু হয়েছে তোর? মারছে তোকে আবার?কোন অঘটন করে চলে আসিস নি তো?’
কিছুক্ষণ চুপ থেকে রুপা বলে,
-‘ উনাকে ফোন দিয়ে বলে দিও আমি চলে আসছি। আর যেন কখনো আমায় নিতে না আসে। উনারা খুব নির্দয়।’
-‘ কি করেছে উনারা বলবি তো?’
কোন কথা না বলে চুপ করে আছে রুপা। কোন কথার উত্তর দিচ্ছে না।
সাহেলা বেগম বার বার জিজ্ঞেস করছে,
-‘ চুপ করে আসিস কেন? কিছু তো বল।’
এর ভেতর রুপার মায়ের ফোন আসে। সাহেলা বেগম রুপার রুম থেকে বেরিয়ে ফোনটা রিসিভ করে।
ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে চিন্তিত কন্ঠে বলল,
-‘ রুপা কি তোদের ওখানে চলে গিয়েছে?’
-‘ হ্যাঁ এই তো মাত্র আসলো। ভাবছি তোকে ফোন দিবো, এর ভেতর তুই ই ফোন দিলি।’
ফোনের ওপাশ থেকে কান্নাভেজা কন্ঠে বলল,
-‘আমার মেয়েটা কখনো কি স্বাভাবিক হবে না বল? এবার তো ওর সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করি নি। আর ওকে আগে মারতাম ওর পাগলামির কারনে, যখন একদম ধৈর্য হারা হয়ে যেতাম। এবার কেন ও চলে গেল?’
-‘ দেখ ও তো মানসিক রোগী,ওর মন বড্ড সেনসেটিভ। যখন যা ইচ্ছা হয়….।’
সাহেলা বেগমের কথা শেষ না হতেই রুপার মা বলে,
-‘ এত বড় সাইকিয়াট্রিস্ট তুই! আমার মেয়েটা কে এতদিনে ভালো করতে পারলি না?’
সাহেলা বেগম দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
-‘ ও তো আগের থেকে অনেক বেশি স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। ওকে আমি হসপিটালে না রেখে নিজের বাসায় রেখে ট্রিটমেন্ট করাচ্ছি। তোর থেকে কি আমি ওকে নিয়ে কম ভাবি?’
রুপার মায়ের কান্না আরো বেড়ে যাচ্ছে। কথা বলার শেষে রুপার রুমে আসে সাহেলা বেগম। মেজাজ খারাপ হচ্ছে রুপার উপর। দুই টা দিন ওর মায়ের কাছে থাকলে কি হত?
সাহেলা বেগম রাগান্বিত কন্ঠে বলল,
-‘ তুই কেন আসছিস না বলে? এরকম একরোখা হচ্ছিস কেন দিন দিন? তোর মা কাঁদতেছে বুঝিস তুই ব্যাপারটা?’
-‘ তুমি আমার আম্মু। উনারা আমার কেউ না। বিরক্ত লাগে উনাদের। উনারা মানুষ পোড়ে। এত নির্দয় কেন?’
চেঁচিয়ে উঠলো রুপা। সাহেলা বেগম রুপার পাশে বসে। নরম গলায় বলল,
– এজন্য চলে এসেছিস? শোন মা তোদের ধর্মের নিয়ম এটা। এখানে নির্দয়ের কিছু নেই। এক একটা ধর্মের এক রকম নিয়ম।’
রুপা কোন কথা বুঝার চেষ্টা করল না। সাহেলা বেগম এ বিষয়ে আর কিছু বলল না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
-‘ প্রনয়নের কথা একটুও মনে নেই তোর?’
-‘ কত বার বলবো আমি চিনি না।’
-‘ একটু মনে করার চেষ্টা কর।’
রাগে ফুঁসছে রুপা। কিছুক্ষণ চুপ থেকে চিৎকার করে বলল,
-‘ জ্বালাচ্ছ কেন আমায়? তোমাদের প্রবলেম কি? বাঁচতে দিবে না আমায়? ভাংচুর করব এটা চাও? প্রনয় রায়ের ফোন কখনো আমায় দিবে না। উনার সাথে কিসের কথা আমার?’
সাহেলা বেগম আর কিছু বলল না। রুপাকে আর উত্তেজিত না করাই ভালো। রুম থেকে চলে গেল সাহেলা বেগম।
সাহেলা বেগম চলে যাওয়ার পর রুপা কিছুক্ষণ শুয়ে রইল। একটু পরে উঠে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসল। আজকে চুল গুলোর জন্য বড্ড আফসোস হচ্ছে রুপার। কেন কাটতে গেল? এরকম বড় চুল সচারআচার দেখা যায় না।
রুপা চোখে গাঢ় করে কাজল দিলো। তুরান বলেছে কাজলে নাকি ওকে একদম অপ্সরীর মত লাগে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। তুরানের ভার্সিটি তে যাওয়ার সময় হয়েছে। কাল রাতের কথা ভেবে অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে রুপার।
তুরান তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বেরালো। রুপার দিকে তাকিয়ে চোখ আটকে যায়।
তুরান কিছু না বলে একটা কাগজ বারান্দার দিকে ছুঁড়ে মারলো। আর ইশারায় বললো,
-‘ লেট হয়ে যাচ্ছে। সময় নেই যাচ্ছি।’
রুপা মুচকি হেসে কাগজের ভাঁজ খুলে। কাগজে লেখা,
‘ তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে রুপা মনি ’
রুপা হেসে উঠে। তুরানের চলে যাওয়া দেখছে তাকিয়ে। রুপা মনি? আবার হেসে উঠলো রুপা। সুন্দর নাম তো!
তুরানের দেওয়া সব গুলো টুকরো টুকরো কাগজ একটা বাক্সে ভরে ড্রেসিং টেবিলের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে। এগুলো কে চিঠি বলা যাবে না, চিরকুট বলা যেতে পারে। কারন এই কাগজ গুলোর কোনটিতেই দুই এক লাইনের বেশি কিছু লেখা নেই।
কিছুক্ষণ পর সাহেলা বেগম হসপিটালে আর আজিজ চৌধুরী তাঁর অফিসে চলে যায়।
আবার একা ঘরে নিঃসঙ্গতা ভিড় করে রুপার মনে। তুরানের দেওয়া শাড়িটা ড্রয়ার থেকে বের করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। কি সারপ্রাইজ হতে পারে? সময় যাচ্ছে না রুপার।
চিরকুটের বক্সটা খুলে একটা একটা করে সব গুলো চিরকুট পড়ছে আর আনমনে হাসছে।
দুপুরে সাহেলা বেগম আর আজিজ চৌধুরী চলে আসলো। তুরান প্রতিদিন আজিজ চৌধুরী আর সাহেলা বেগম আসার দেড় থেকে দুই ঘন্টা পরে আসে।
রুপা ওর রুমে বসে আছে। খাওয়ার রুম থেকে আজিজ চৌধুরী রুপাকে ডাকছে। সরিষা ইলিশ আর পোলাও। সাহেলা বেগমের হাতের রান্নার স্বাদের প্রশংসা করে রুপা সব সময়।
খাওয়া শেষে নিজেদের রুমে গিয়ে চলে গেল সাহেলা বেগম আর আজিজ চৌধুরী। এখন তাঁরা একটু ঘুমাবেন। রুপা পা টিপে টিপে নিঃশব্দে ডাইনিং রুমে গিয়ে এক প্লেট খাবার নিয়ে তুরানের রুমের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিল। মাত্র বাসায় ফিরছে তুরান।
রুপা ঠোঁট বাঁকিয়ে বললো,
-‘ একটু তাড়াতাড়ি আসতে পারেন না? বুঝেন না আমি ওয়েট করি।’
-‘ আমি তো যত সম্ভব তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করি। আমি তো জানি রুপা আমার জন্য বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকবে।’
হাতের প্লেট টা টেবিলের উপর রেখে তুরানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো রুপা। নির্দ্বিধায় বলে,
-‘ জড়িয়ে ধরি আপনায় একটু?’
তুরানের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুপা। আবেগঘন কণ্ঠে বলে,
-‘ জানেন আপনায় কেন জড়িয়ে ধরি?’
-‘ কেন?’
-‘ আপনার বুক টা শান্তিমহল।’
হেসে দেয় তুরান। কত সহজ সরল ভাবে কথা বলে রুপা। কোন ভনিতা ছাড়াই।
-‘ হয়েছে, হয়েছে ছাড়ুন! দুপুরে তো খাননি কিছু খেয়ে নিন।’
টেবিলের উপর রাখা প্লেট টার দিকে তাকিয়ে তু্রান বলে,
-‘ কি এনেছো প্লেটে করে?’
-‘ সরিষা ইলিশ আর পোলাও। আম্মু আপনার জন্য পাঠিয়েছে।’
একটু থেমে রুপা বলে,
-‘ আমি খাইয়ে দিব কিন্তু।’
তুরান হেসে বলে,
-‘ এটা তো আমার সাত জনমের সৌভাগ্য।’
-‘ হয়েছে ঢং।’
পাগলি একটা মেয়ে! এত ভালোবাসতে পারে জানা ছিল না তুরানের। এই ধরনের মেয়েদের ভালোবাসার স্বাদ অন্য রকম হয়।
খাওয়ার এক পর্যায়ে তুরান বলে,
-‘ আমার মনে হচ্ছে এগুলো সাহেলা আন্টি পাঠায়নি। তুমি নিজে লুকিয়ে এনেছো।’
হেসে দেয় রুপা।
-‘ আপনি এত কিছু বুঝেন কিভাবে বলেন তো?’
-‘ তার মানে তুমি লুকিয়ে এনেছো?’
রুপা মাথা ঝাঁকিয়ে বলে,
-‘ হ্যাঁ।’
-‘ আর কখনো এমন করবে না বুঝলে?’
-‘ করবো হাজার বার করবো।’
রুপা যে কেন এমন একরোখা! নিজে একবার যা বলবে তাই।
-‘ রুপা কালকে সারা রাত কথা বলে কাটালে। এত কথা বলো কিভাবে?’
-‘ আমি ভালো বক্তা আপনি ভালো শ্রোতা।’
বলেই হেসে উঠলো রুপা। হাসি থামিয়ে বলে,
-‘ কালকে রাতে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে।’
আবার হেসে উঠলো রুপা। তুরান বলে,
-‘ সারপ্রাইজ দেখবে না তোমার?’
মাথায় হাত দিয়ে জিহ্বায় কামড় দিয়ে রুপা বলে,
-‘ সারা দিন সারপ্রাইজের কথা ভাবলাম অথচ এখন ভুলে গেলাম।’
তুরান ব্যাগ থেকে এক জোড়া নুপুর বের করলো। রুপার চোখ মুখ চিকচিক করে উঠলো।
-‘ আপনি তো চাকরি করেন না। এগুলো এনেছেন টাকা কোথায় পেয়েছেন?’
-‘ টিউশির টাকা জমিয়ে এনেছি। এই তো আর একটা বছর তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বের হবো। তারপর অনেক ভালো চাকরি নিবো। রুপা টা কে বিয়ে করে রাজরানী করে রাখবো।’
নুপুর জোড়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে রুপা।
-‘ আচ্ছা রুপা শুধু একটা কথা বলো তুমি কি মোটেও লেখাপড়া করো নি?’
রুপা মাথা ঝাঁকিয়ে বলে,
-‘ করতাম বোধ হয়! এখন করি না।’
তুরান হতাশ মনে ভাবতে লাগলো কি অদ্ভুত প্রেম ওর! ভালোবাসার মানুষটার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না।
-‘ লেখাপড়া না করলে কি ভালোবাসবেন না?’
তুরান রুপার হাত ধরে বলে,
-‘ সবাই ই তো সব কিছু জেনে প্রেম করে। আমাদের প্রেমটা না হয় খানিকটা অজানা প্রেম হোক। তুমি যেমন আছো তেমনই ভালোবাসি। দেও দেও নুপুর পড়িয়ে দেই।’
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here