রেড রোজ (পর্ব ১)

#রেড_রোজ (পর্ব ১)

বাজারে নতুন লাল টমেটো ওঠেছে। তাকিয়ে থাকতে থাকতে কেমন একটা ঘোর লেগে যায়। রয়া ধারালো একটা কিচেন নাইফ দিয়ে টমেটো কাটছিল। ছুরিটা কিছুদিন আগেই রায়ান কিনে এনে দিয়েছিল। বলেছিল, ‘সাবধানে কাটাকুটি করো, অনেক ধার ছুরিটায়।’

রয়া হেসেছিল, এই কাটাকুটি ওর নিত্যদিনের কাজ। অভ্যস্ত হাতে টমেটো কাটতে কাটতে ও একবার দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকায়। পুরনো আমলের দেয়াল ঘড়ি, কাঠের ফ্রেম, লম্বা পেন্ডুলাম দুলছে। দশটা বাজতে চলল। ইদানিং রায়ান বেশ দেরি করেই বাড়ি ফেরে। ও কি ঘরে ফেরার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে? তা হতেই পারে। গত এগারো বছর ধরে একই রুটিন, একই মুখ। অনেক চেষ্টা করেও বাচ্চা হয়নি। এই নিয়ে একটা অশান্তি তো আছেই। রায়ান বোধ করি সে জন্যই অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চায়।

কথাটা ভাবতে ভাবতে রয়া একটু আনমনে হয়ে যায়। ঠিক তখনই ‘টুন’ করে মোবাইলে মেসেজ আসার শব্দ হয়। ঘাড় ঘুরিয়ে মোবাইলের স্ক্রিণের দিকে তাকাতেই বুকটা ধক করে ওঠে। সেই অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। কিছুদিন আগে ঠিক রাতের এই সময়ে সেদিন মেসেজ এসেছিল,
‘You will be killed soon’

মেসেজ পড়ে ভয়ে রয়ার হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। রায়ান বাসায় ফেরা না অব্দি ও নিজের রুমে দরজা আটকে বসেছিল। অনেকবার বেল বাজানোর পরেও ও যখন মূল দরজা খুলছিল না, রায়ান তখন মোবাইলে ফোন দিয়েছিল। রয়া দরজা খুলেই রায়ানকে জড়িয়ে ধরে কাঁপতে কাঁপতে মেসেজের কথা বলেছিল। সে রাতে ওই নাম্বারে বার বার ফোন দিয়েও ফোনটা বন্ধ পাওয়া যায়। রায়ান তো পারলে রাতেই পুলিশের কাছে যায়, কিন্তু রয়া শেষ পর্যন্ত থামায়। নিশ্চয়ই কেউ ওকে মজা করে ভয় দেখাতে চেয়েছে। এরপর ক’টা দিন আর মেসেজ আসেনি। ভয়টা ধীরে ধীরে কেটে গিয়েছিল।

কিন্তু আজ নতুন করে আবার মেসেজ আসতেই রয়ার বুকটা কেউ যেন খামচে ধরে। প্রথমেই ও দরজার ছিটকিনির দিকে তাকায়, নাহ, নিচের, উপরের দুটোই আটকানো আছে। ওদের ফ্ল্যাটটা একদম টপ ফ্লোরে, তাই হুট করে অপরিচিত কেউ ঢোকার কথা না। নিচে পালা করে প্রফেশনাল সিকিউরিটি গার্ড থাকে। কথাগুলো ভাবতে একটু নিরাপদ অনুভব করে।

রয়া সাবধানে হাতের ছুরি একপাশে নামিয়ে রাখতে যেয়েও কী মনে করে ডান হাতে ছুরিটা বাগিয়ে ধরে। এরপর বাঁ হাত হ্যান্ড টাওয়ালে মুছে নিয়ে মোবাইল আনলক করে কাঁপা হাতে মেসেজটা খোলে। স্থির চোখে তাকিয়ে থাকে মেসেজের দিকে –

‘a murdrer at your door with red rose’

রয়া টের পায় বুকের ভেতর কেমন হাতুড়ি পেটা চলছে, নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে। হাতের মুঠোতে ধরে থাকা ছুরির হাতলে চাপ বাড়তে থাকে। ওকে কেউ মেরে ফেলতে চায়! প্রথম যেদিন এমন মেসেজ আসে ও ভেবেছিল কেউ মজা করছে ওর সাথে। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে এটা মজা না। রয়া ভেবে পায় না, কেন ওকে কেউ খুন করবে। ও মেসজটার দিকে আরেকবার তাকায়। শিরশির করে উঠে পিঠটা, ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে।

ঠিক এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠতেই রয়ার বুক চলকে ওঠে, ঝট করে দরজার দিকে তাকায়। কলিং বেল আবার বেজে ওঠে। রয়া টের পায় পা দুটো কেমন অবশ আর ভারী লাগছে।

লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিয়ে হাতের ছুরি বাগিয়ে দরজার কাছে এসে পীপহোলে চোখ রাখতেই চেপে রাখা নিঃশ্বাস ছাড়ে, রায়ান! মুহুর্তেই রয়া যেন প্রাণ ফিরে পায়। দ্রুত টেবিলের কাছে যেয়ে ছুরিটা রেখে এসে দরজা খুলে দিতেই রায়ান বিরক্তির সাথে বলে, ‘এত দেরি হলো কেন?’

রয়া উত্তর দিতে যেয়ে থেমে যায়, রায়ানের এক হাতে অফিসের কালো চামড়ার হ্যান্ডব্যাগ, আরেক হাতে টকটকে লাল একটা গোলাপ ফুল! মাথাটা কেমন এলোমেলো হয়ে যায়। রায়ান ওকে মেরে ফেলতে চায়! তার মানে কেউ ওকে মেসেজ দিয়ে সাবধান করতে চেয়েছিল?

তীক্ষ্ণ গলায় রয়া চেচিয়ে উঠে, ‘তোমার হাতে গোলাপ ফুল কেন?’

রায়ান মাত্রই ব্যাগটা রেখে ফুল হাতে রয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল। তীক্ষ্ণ চিৎকারে ও অবাক হয়ে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে দেখে রয়ার হাতে সেদিনের কিনে আনা সেই ধারালো কিচেন নাইফটা।

বিস্মিত গলায় বলে, ‘এ্যাই, কী হয়েছে তোমার?’

কথাটা বলে এগিয়ে যেতেই রয়া এবার বিপদজনক ভঙ্গিতে ছুরিটা বাগিয়ে ধরে কর্কশ গলায় বলে, ‘খবরদার কাছে আসবে না। আমাকে তুমি খুন করতে চাও, না?’

রায়ান বিমূঢ় হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে, রয়ার চোখেমুখে কেমন একটা পাগলাটে দৃষ্টি। পায়ে পায়ে পিছু হটছে ও, তারপর হঠাৎ ঘুরে এক দৌড়ে ওদের বেডরুমে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দেয়।

রায়ান ঠিক বুঝতে পারে না, কী হলো? দ্রুত পায়ে দরজার কাছে যেয়ে নক করে, ‘এ্যাই র‍য়া, কী হয়েছে? এমন করছ কেন?’

ওপাশ থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। রায়ান এবার বেশ জোরেই ধাক্কা দেয় দরজায়। এবার ভয় লাগছে রায়ানের। সেদিনের সেই উটকো মেসেজ আসার পর থেকে রয়া কেমন যেন তটস্থ থাকে, অল্পতেই চমকে ওঠে।

দরজায় বেশ জোরে জোরে শব্দ হচ্ছে। প্রতিবার শব্দে রয়া কেঁপে কেঁপে ওঠছে। তাড়াহুড়ো করে ছুরি হাতে দরজা লাগাতে যেয়ে ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে গেছে। প্রথমটায় ব্যথা টের পায়নি। কিন্তু এখন জ্বালা করছে। টপ টপ করে রক্ত ঝরে পড়ছে, রায়ানের নিয়ে আসা গোলাপের মতোই লাল। দরজা বন্ধ করে প্রথমেই ভাইয়াকে ফোন করেছে রয়া। ভাইয়ার বাসা কাছেই, এখনই চলে আসবে নিশ্চয়। রয়া কেটে যাওয়া হাতে শক্ত করে ছুরি ধরে বসে থাকে মেঝেতে, চোখে শূন্য দৃষ্টি। রায়ান ওকে মেরে ফেলতে চাইবে কেন? একটা ভাবনা উঁকি দিয়ে যায়, রায়ান কি তাহলে..।

ভাইয়ার ফোন আসে, উত্তেজিত গলা পাওয়া যায়, ‘রয়া, দরজা খোল। আমরা সবাই এসেছি। কী সব পাগলামি করছিস।’

রয়া মুখ তুলে বন্ধ দরজার দিকে তাকায়, তাকিয়েই থাকে। উঠতে ইচ্ছে করছে না। এবার ভাবির গলা পাওয়া যায়, ‘এই রয়া, প্লিজ দরজা খোল। আমরা সবাই ভীষণ চিন্তা করছি।’

রয়ার ঘোর কাটে, উঠে দাঁড়িয়ে প্রথমে ছুরিটা রাখে। বাম হাতে কষ্ট করে ছিটকিনি খোলে, সন্তর্পণে উঁকি দিয়ে নিশ্চিত হয়, রাশেদ ভাইয়া, সাজিয়া ভাবির উদ্বিঘ্ন মুখ দেখা যায়। ওদের পেছনে রায়ানকে দেখা যায়, উদভ্রান্তের মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছে। অফিসের জামা কাপড় আর খোলেনি। শার্ট, চুলগুলো এলোমেলো। ভীষণ চিন্তিত দেখাচ্ছে মুখটা, এখন আর ওকে খুনি মনে হচ্ছে না।

সাজিয়া এগিয়ে গিয়ে রয়াকে ধরতেই ও কেঁদে ফেলে, ‘ভাবি, রায়ান আমাকে মেরে ফেলবে।’

পাশ থেকে রাশেদ একটা জোরে ধমক দেয়, ‘এ্যাই, তুই এসব উল্টাপাল্টা কথা থামাবি। রায়ান তোকে মারবে! মাথা গেছে তোর। কী হয়েছে, খুলে বল তো।’

রায়ান বিব্রত চোখে একবার ভাইয়ার দিকে আরেকবার রয়ার দিকে তাকায়।

সাজিয়া ওকে ধরে নিয়ে সোফায় বসাতেই, ও ফুঁপিয়ে বলে, ‘রায়ান আমাকে মেরে ফেলবে। দেখো ও আজ অফিস থেকে লাল গোলাপ নিয়ে এসেছে।’

রাশেদ অবাক হয়ে বলে, ‘লাল গোলাপ দিয়ে মেরে ফেলবে!’

সবাই অবাক হয়ে রয়ার মুখের দিকে তাকাতেই এবার ও সব খুলে বলে।

রায়ান দ্রুত রয়ার মোবাইল হাতে নেয়, মেসেজটা খুলে থমকে যায়। তারপর কয়েকবার ফোন করে, নাহ বন্ধ নাম্বারটা।

রাগের গলায় বলে, ‘আমি এখনই পুলিশের কাছে যাব, এর একটা বিহিত করতেই হবে। কেউ ইচ্ছে করে রয়ার সাথে এমন করছে। রয়া, প্লিজ আমাকে এমন মিথ্যে, বাজে সন্দেহ করো না।’

রয়া চোখমুখ শক্ত করে বলে, ‘তাহলে তুমি আজই এমন লাল গোলাপ হাতে বাসায় ঢুকলে কেন?’

এবার সব ক’টা চোখ ওর দিকে ঘুরে যায়, একটা ভীষণ অস্বস্তি টের পায় রায়ান। তারপর জবাবদিহিতার ভঙ্গিতে বলে, ‘ইয়ে মানে, আর কিছুক্ষণ পরেই তো রাত বারোটা বাজবে। মানে ফেব্রুয়ারির সাত তারিখ। ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের শুরু। আর কাল তো রোজ ডে। এজন্যই লাল গোলাপ নিয়ে আসা তোমার জন্য। ভেবেছিলাম, এবার এই সাতটা দিন এমন করেই উদযাপন করব।’

কথাটা বলে একটু সংকুচিত হয়ে ও তাকিয়ে থাকে। ভাইয়া ভাবির সামনে এই কথাটা বলতেই হলো।

ওর কথা শুনে রাশেদ ভাই আর ভাবি এখন মিটিমিটি হাসছে। রয়া বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে থাকে, তারপর ভাইয়া ভাবির দিকে তাকাতেই ঝপ করে লজ্জা পায়, মুখটা নিচু হয়ে যায়। গাল দু’টো কেমন লাল হয়ে যেতে থাকে।

পাশ থেকে রাশেদ বলে, ‘রয়া, তুই পারিসও বটে। কে না কে এমন উটকো মেসেজ দিচ্ছে, তার জন্য তুই ভেবে নিলি রায়ান তোকে মেরে ফেলবে। তোকে তো ডাক্তার দেখানো দরকার।’

সাজিয়া মাথা নাড়ে,’হ্যাঁ, এটা তো ভালো না। কিন্তু রায়ান যে আজ লাল গোলাপ নিয়েই বাসায় ঢুকবে এটা সেই অচেনা লোকটা জানল কী করে? রায়ান, তোমার অফিসের কাউকে বলেছিলে এটা?’

রায়ান মাথা নাড়ে, ‘হ্যাঁ, অনেকেই জানে। ফেরার পথে তো আমার বন্ধু সাজিদের সাথেও দেখা হলো। বলল বিকেলে রয়াকে গান শেখাতে এসেছিল।’

গত ছ’মাস ধরে রয়া গান শেখে। রায়ানই একদিন বলেছিল, ‘তুমি সারাদিন বাসায় একা একা থাকো, তার চেয়ে গানটা আবার শুরু করতে পারো। আমার বন্ধু সাজিদ তো দারুণ গান করে, ওর একাডেমিও আছে।’

হ্যাঁ, রয়া এক সময় খুব ভালো গান করত। কিন্তু দিন দিন কেমন করে যেন সব ফিকে হয়ে যেতে থাকল। একটা বাচ্চার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল। ডাক্তারের পাশাপাশি কবিরাজ, হোমিওপ্যাথি, কোনটাই বাদ যায়নি। ফলাফল শুন্য। শরীরের শুন্যতা, মনের শুন্যতা ওকে সত্যিই যেন খাদের কিনারে নিয়ে গিয়েছিল। তাই সাজিদের কাছে যখন গান শেখার কথা বলেছিল, রয়া রাজি হয়েছিল।

সেদিন রাতে ভাইয়া ভাবি চলে যাবার আগে রয়াকে ভালোমতো বুঝিয়ে যায়। রায়ানকেও খেয়াল রাখতে বলে। কাজটা পরিচিত কেউই করছে এ ব্যাপারে কারও সন্দেহ থাকে না। রায়ান আশ্বাস দেয়, ও কালই পুলিশের কাছে যাবে।

ভাইয়া ভাবি চলে যাবার পর রায়ান লাল গোলাপটা ওকে দেয়, তারপর জড়িয়ে ধরে গাঢ় গলায় বলে, ‘ভালোবাসি রয়া। তুমি ভেব না, আমি কালই পুলিশকে জানাব।’

রয়ার ভীষণ অনুতাপ হচ্ছে, ও রায়ানের বুকের ভেতর ঢুকে যেতে যেতে ভাবে কিসব উল্টোপাল্টা ভাবনা ও ভাবছিল!

রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ একটা কথা মনে হয়, আচ্ছা পুলিশকে জানালে তো ওর কল লিস্ট নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করবে। ভাবনাটা ভাবতেই রয়া অস্থির হয়ে ওঠে। নাহ, পুলিশের কাছে যাবার কোনো মানেই নাই। রায়ানকে কাল না করতে হবে ব্যাপারটা।

রাত বাড়ে, রায়ান ঘুমোচ্ছে নিশ্চিন্তে। রয়ার আবার ভয়টা ফিরে আসছে। আচ্ছা, এতদিন ধরে ওর যে বাচ্চা হয় না সেজন্য কি রায়ান ওর উপর হতাশ? ওকে এই অজুহাতে ছাড়তে পারছে না, তাই কি ওকে কৌশলে মেরে ফেলতে চায়? মনটা আবার এলোমেলো হয়ে যেতে থাকে। আচ্ছা ও কি পাগল হয়ে যাচ্ছে?

সে রাতে রয়া সারা রাত একটা অজানা ভয় নিয়ে জেগে থাকে।

পরদিন সকালে রায়ান যখন অফিসে যায় রয়া তখনও ঘুমোচ্ছিল। ও আর ডাকেনি, বেচারা একটু ঘুমাক। নিশ্চয়ই রাতে ঘুম হয়নি ঠিকঠাক।

সেদিন সকালে রয়ার ঘুম ভাঙে মন খারাপ নিয়ে। আড়মোড়া ভেঙে দেয়ালের ঘড়ির দিকে তাকায়, সকাল দশটা বেজে গেছে। ইশ, এত বেলা হয়ে গেছে! দ্রুত উঠে হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা করে নেয়। তারপর রায়ানকে ফোন করে বলে, ‘শোনো, পুলিশের কাছে যাবার কোনো দরকার নেই। মাঝখান দিয়ে শুধু শুধু হয়রানি হবে।’

ওপাশ থেকে রায়ান রাগী গলায় বলে, ‘তাহলে তুমি অমন পাগলামি কেন করো? আশ্চর্য! এসব মেসেজের পাত্তা না দিলেই হয়। কেউ তোমাকে হরর সিনেমার মতো ভয় দেখিয়ে মজা পেতে চাচ্ছে।’

রয়ারও তাই মনে হয়। ও কথা দেয়, আর এমন করবে না। ফোনটা রেখে এবার ও বিছানাগুলো গোছায়।

একটু পরেই ছুটা বুয়া আসে। ঘরদোর মুছে, হাড়ি পাতিল ধুয়ে ফেলে। রয়া দুপুরেই সব রান্না সেরে ফেলে। সব কাজ গুছিয়ে গোসল করতে করতে বিকেল হয়ে যায়। আজ একটু সাজবে। রায়ান ফোন দিয়েছিল, সন্ধ্যায় বাইরেই খাবে।

রয়া আয়নার সামনে বসে যখন চুল সেট করছিল ঠিক তখন কলিং বেল বেজে ওঠে। এ সময় তো আজ কেউ আসার কথা না। উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই দেখে সাজিদ দাঁড়িয়ে আছে হাসিমুখে, হাতে লাল গোলাপ!

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
২৭/০২/২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here