রৌদ্রদেশে মেঘের বেশে পর্ব-৩০

0
497

#রৌদ্রদেশে_মেঘের_বেশে
#পুষ্পিতা_প্রিমা
[৩০]

মুননা সেইদিন থেকে সাহিলের সাথে একবার ও কথা বলেনি। দৌড়ে কোলে উঠতে চায়নি। সাহিল অবাক। একটু বকেছে বলে এইটুকুনি ছেলের এত রাগ। এত অভিমান?
তাননাকে যখন সাহিল আদর করছে, তাননা বলল,
‘ আব্বা মুননু তুমাল সাথি লাগ কচচে। ওকে আদোল কলো।
সাহিল ডাকল,
‘ মুননা, আব্বা এদিকে এসো। মুননা এলোনা। জিনিয়ার পিছু পিছু এলো। তাও জিনিয়ার পেছনে মুখ ফুলিয়ে লুকিয়ে থাকল। বলল,
‘ মুননু গুড্ডুর সাথি কুথা বুলেনা।
জিনিয়া বলল,
‘ আমার ছেলেকে বকা দিয়েছেন কেন? সরি বলেছেন?
সাহিল উঠল। মুননার দিকে এগোতেই দৌড়ে চলে যেতে লাগল মুননা। সাহিল ও দৌড় লাগাল। পাঁজাখোলা করে তুলে আদর দিতে দিতে হাসল। মুননা কথা বলতে পারল না। সাহিল তার গালে গাঢ় চুম্বন বসাতে বসাতে বলল
‘ সরি আব্বা। গুড্ডুর সাথে কেউ রাগ করে?
মুননা সাহিলের গালের সাথে লেগে থাকল। বলল,
‘ মুননু লাগ কলে। মুননুকে গুড্ডু বুকা দিছে। মুননু বিথা পাছে।
সাহিল আওয়াজ করে হাসল। মুননাকে আর আদর করতে করতে বুকের সাথে চেপে ধরে। জিনিয়াকে বলে,
‘ জিনি এটুকুনি এটার এত রাগ কেন?
জিনিয়া হেসে বলল,
‘ একদম বাপের কার্বন কপি

_____________

লন্ডনের কিংস কলেজের প্রফেসর ডায়ানা রোজের এক গবেষণায় দেখা যায়, অনেকেই বৈদ্যুতিক শকের কারণে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। এলি স্মিথ নামে এক রোগীর কথা লিখেছেন তিনি। বৈদ্যুতিক শক থেরাপির পর সে রোগী এতটাই স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে যে সে নিজের জিনিসগুলোকেও চিনতে পারে না। এরপর পরিস্থিতি আরো অবনতি হয় এমনকি সে আত্মহত্যার চেষ্টাও করে।

ডক্টরের কথা শুনে চিন্তায় পড়ল জায়িদ। ডক্টরকে বলল,
‘ কিন্তু এই ট্রিটমেন্টটি না দিলে আনহা,
মানে পূজারিণী চ্যাটার্জির আগের কোনো কিছুই মনে পড়বে না। ও তো এমনিতেই সব ভুলে গিয়েছে। ভুলে যায়নি মানে,
ওর কিছুই মনে পড়েনা। এমতাবস্থায় যদি এই শক থেরাপি দেওয়া হয়?
ডক্টর বললেন
‘ দিতে পারি কিন্তু রিস্ক নেবনা আমরা। আপনাদের উপর সবকিছু।
মিঃ চ্যাটার্জি এসে বললেন,
‘ অফিসার আমি চাইনা পূজার কোনো ক্ষতি হোক। ওর আজ না হোক কাল সব মনে পড়বে।
জায়িদ বলল,
‘ সেই আজ আর কাল কখন মিঃ চ্যাটার্জি? আনহার সরি পূজার সব মনে পড়তে হবে। এটা একটা কেস। আনহার কাছেই সিফাতের সব ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। আনহাকে ওর মা বাবার কাছে ফিরতে হবে।

প্রণয় দাঁড়িয়ে থাকল এককোণায়। ফোন আসল তার কাছে। ফোন রিসিভ করে সে বলল
‘ বাড়ি ফিরেছ পূজা?
পূজা নরম কন্ঠে বলল,
‘ হ্যা। তোমার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন?
প্রণয় অনেক্ক্ষণ পর বলে উঠল।
‘ পূজারিণী মুসলিম পূজা।
ফোনের ওপাশে পূজা অবাক হলো। বলল,
‘ পূজারিনী? তুমি কি করে জানলে?
প্রণয় বলল,
‘ ওর ভাই ওকে নিয়ে যেতে এসেছে। ওনারা ভেবেছেন পূজারিণী মারা গিয়েছে।
পূজা বলল,
‘ ওহ। আচ্ছা তুমি চিন্তা করোনা। পূজারিনী তোমাকে ভুলে যাবেনা। তুমি ওর দাভাই। দাভাই থাকবে।
প্রণয় বলল,
‘ আমার খারাপ লাগছে পূজা। আমি এত ঝগড়া কার সাথে করব? আমার মন খারাপ পূজা। এই দুই পূজা আমাকে এত কষ্ট কেন দেয় বলোতো?
পূজা হাসল। বলল,
‘ পূজারিণী চ্যাটার্জি আপনার বোন। আর পূজা দস্তিদার আপনার হবু বউ। বোন আর বউয়ের অপর নামই প্যারা।
হাসার চেষ্টা করল প্রণয়। বলল,
‘ আচ্ছা রাখছি।

__________

পূজাকে হসপিটালে আনা হয়। ডক্টরকে দেখলেই চেঁচিয়ে উঠে পূজা। দৌড়ে পালাতেই এসে বাড়ি খায় জায়িদের সাথে। জায়িদ মাথার ক্যাপ ভালোভাবে পড়তে পড়তে বলে,
‘ হাউ স্টুপিট গার্ল।
পূজারিনী বড় বড় চোখ করে তাকায়। বলে,
‘ এই পুলিশ তোমাকে আমি মেরে,
জায়িদ বলল,
‘ জাস্ট শাটআপ।
পেছন পেছন দৌড়ে আসে দুইতিনজন নার্স। পূজাকে ধরে নিয়ে যেতে থাকে। পূজা জায়িদকে বলল,
‘ এই পুলিশ আমাকে ধরো। চকলেট দেব তোমাকে।
জায়িদ বলল,
‘ তোমার চকলেট তুমি খাও।
পূজা চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কাঁদে। প্রমিতা যেতে চায় পূজার কাছে। আটকায় মিঃ চ্যাটার্জি। সান্ত্বনা দিয়ে বলে,
‘ প্রমিতা আমরা তো শুরু থেকেই চেয়ে এসেছি যে পূজা সু্স্থ হোক। এখন এমন করোনা প্লিজ। পূজা ওর মা বাবাকে ফিরে পাক।
প্রমিতা কাঁদে। বলে,
‘ আমি ওর কেউ নই? এতদিন এই দুই আড়াই বছর যে মিশে গিয়েছে একদম। তাকে কি করে ভুলব? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। পূজা আমাকে আর মা ডাকবেনা। ওর গায়ের যে লাল শাড়িটা ছিল ওটা আমি কাউকে দেবনা। কাউকে না। রেখে দেব। মিঃ চ্যাটার্জি বলেন,
‘ ঠিক আছে। কাউকেই দিওনা ওই শাড়ি। রেখে দিও। পূজার স্মৃতি হিসেবে।
প্রমিতা কাঁদলেন। এদিকওদিক পায়চারি করল নাহিল৷ জায়িদ এসে বলল,
‘ নাহিল সাহিল কোথায়?
নাহিল বলল
‘ আমি তো দেখিনি জায়িদ ভাই।
জায়িদের ভ্রুকুটি হলো।
সাহিল হাজির হলো অনেকক্ষণ পরে। জায়িদকে বলল,
‘ ডক্টর কি রাজী হয়েছে জায়িদ?
জায়িদ বলল,
‘ হ্যা, এন্ড চেকআপ করানোর এটা ও বলেছে
যে ওর যেহেতু এখন কোনোকিছু মনে নেই সেহেতু শক থেরাপি কাজে লাগতে পারে। তবে ডক্টর বলেছে, ওর কিছু মনে পড়লে ও যেটা চায় সেটাই দিতে হবে।
সাহিল বলল
‘ ওর সব মনে পড়ে যাক। আমি আমার মায়ের কোলে তাকে ফিরিয়ে দিই। তোর প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ জায়িদ। কি বলে যে তোকে,
জায়িদ মাথা নামাল। বলল,
‘ দিস ইজ মাই ডিউটি দোস্ত। চিল।
সাহিল হাসল। বলল,
‘ জিনি তোর কথা বলছিল। তোর সাথে নাকি কথা আছে।
জায়িদ বলল,
‘ ও হ্যা। আচ্ছা তোরা থাক আমি যাই। কেমন?
সাহিল মাথা নাড়াল। জায়িদ চলে গেল। আনহাকে যেখানে নেওয়া হয়েছে ওই কেবিনে উঁকি দিতে চাইল সাহিল। নার্স এসে তাকে সরিয়ে দিল। বলল,
‘ বি পেশেন্স স্যার।

____________

কোর্ট থেকে বের হয়ে মাত্রই গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিল জিনিয়া। হাতে তাননা আর মুননার জন্য চকলেটস,চিপস। খালি হাতে ফিরলে সারাক্ষণ প্রশ্ন ছুঁড়তে থাকে কেন আম্মা কিছু নিয়ে যায়নি। বাচ্চা দুটোর জন্যই বাড়ি ফেরার তাড়া জিনিয়ার। সে থাকলে সালেহা বেগম আর সাগর সাহেব নিশ্চিন্তে থাকেন। বাচ্চাদের, মা যেভাবে সামলাতে পারে অন্য কেউ তা পারেনা। দুইজন মিলে সবাইকে নাকানিচুবানি খাওয়ায়। সোরাকে ও এখন জ্বালিয়ে মারে। রাহাকে নিয়ে টানাটানি। কাল তো আদর করতে করতে গালের পাশটা লাল বানিয়ে ফেলেছে। কি কান্না রাহার? সে কি জানে তার বড় আপু আর ভাই তাকে আদর করছে?
এসব ভেবেই আনমনে হাসল জিনিয়া। তখনি তার সামনে এসে থামল একটি কালো গাড়ি। গাড়ির কাচ নেমে এল ধীরে ধীরে। গাড়ি ভেতর থাকা লোকটার মুখাবয়ব স্পষ্ট হলো। কপালে ভাঁজ পড়ল জিনিয়ার। অধর ছড়িয়ে হাসল ইয়ামিন। হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
‘ হাই মিসেস আহম্মেদ! কেমন আছেন?
জিনিয়া সৌজন্যেবোধে হাসল। বলল,
‘ জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?
ইয়ামিন গাড়ির স্টিয়ারিং হাতের ভর বসিয়ে সোজা হয়ে বসে বলল,
‘ ভালো থাকতেই হচ্ছে। তো গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছেন?
জিনিয়া বলল,
‘ জ্বি রিকশা নেব?
ইয়ামিন বলল,
‘ উঠুন না। লিভ দেই?
জিনিয়া না না করে উঠল।
‘ সরি, আমি রিকশায় যাব। আর আমার ভাইয়া আসবে কিছুক্ষণের মধ্যে।
ইয়ামিন হেসে উঠল হো হো করে।
‘ পুলিশের কথা বলে ভয় না দেখালে ও পারতেন মিসেস।
জিনিয়া হেসে হেসে বলল,
‘ ভয় কেন পাচ্ছেন? অপরাধীরাই কিন্তু ভয় পায়!
সতর্ক চোখে তাকাল ইয়ামিন।
‘ আমি অপরাধীকে খুঁজে বেড়ায়। আর সেই আমিই অপরাধী?
হাসল ইয়ামিন। জিনিয়া বলল
‘ চিন্তা করবেন না। শীঘ্রই সব খোলাসা হতে যাচ্ছে। কে ভালো কে খারাপ সেটা আদালতকেই নাহয় বিচার করতে দিন।
ইয়ামিন বলল,
‘ ঠিক সেটাই। অল দ্য বেস্ট। আপনার মিশন সফল হোক।
জিনিয়া চোখ বন্ধ করে সায় জানিয়ে বলল,
‘ থেংকিউ।
‘ মোস্ট ওয়েলকাম।
গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার আগ-মুহুর্তেই ইয়ামিন আবার জিনিয়ার দিকে ফিরে তাকাল। বলল,
‘ যা হচ্ছে হয়ত তা আপনি দেখছেন না।
আর যা দেখছেন তা হয়ত হচ্ছেই না।
বলেই গাড়ি টানল ইয়ামিন। নিমেষেই নিরুদ্দেশ হলো।
জিনিয়া চিন্তিত হলো। কি বলে গেল?
আর ইয়ামিনের চোখে লেন্স পড়া ছিল কিনা টের ও তো পায়নি। ইয়ামিন কি এসবের সাথে জড়িত? কিন্তু বাবলুকে সে খুন কেনই বা করবে?

___________

রাতে বাড়ি ফিরল সাহিল। জিনিয়াকে ঘরে দেখল না৷ কোথায় গেল মেয়েটা?
খুঁজতে খুঁজতে ছাদে গেল সাহিল। জায়িদের সাথে কথা বলছে জিনিয়া। সাহিলকে দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে চাইল জিনিয়া। ভড়কে গেল। সাহিল জায়িদের দিকে তাকাল। চলে গেল জায়িদ। জিনিয়া সাহিলের দিকে ফিরল। বলল
‘ আনহার কি অবস্থা?
সাহিল বলল,
‘ এখনো হসপিটালে। কালকেই সব জানা যাবে। মাকে কিছু জানায়নি।
জিনিয়া হাঁফ ছাড়ল। চোখ তুলে দেখল সাহিল তার দিকে একইভাবে চেয়ে আছে। অসহায় দৃষ্টি। জিনিয়ার মন খারাপ হলো। চলে যেতেই সাহিল তার হাত ধরে আটকালো। বলল,
‘ সরি জিনি। জায়িদ তোমাকে সব বলে দিয়েছে?
জিনিয়া বলল,
‘ আপনি ইয়ামিনকে কেন মেরেছেন? ভাইয়া না দেখলে,না ছাড়ালে আজ কি হতো? আপনি কি দিন দিন সাইকো হয়ে যাচ্ছেন? কেন এমন করছেন?
সাহিল মুখ কালো করে বলল,
‘ ও তোমার দিকে বাজেভাবে তাকায়। আমার সহ্য হয়না। মেরে ফেলব,,,
সাহিল থেমে গেল জিনিয়ার চোখে চোখ পড়ায়। টলমলে চোখে তাকাল জিনিয়া। বলল,
‘ তো খুন করেননি কেন? খুন করে জেলে যান না? আপনার কি কারো চিন্তা আছে? যান।
সাহিল জিনিয়াকে ধরে ফেলল। জড়িয়ে ধরে বলল,
‘ সরি জিনি। আর হবেনা। সরি।
জিনিয়া ছাড়াছাড়ি করতে চাইলে ও পারল না। ব্যর্থ হলো। সাহিলের বুকে পড়ে কেঁদে দিল। বলল
‘ ইয়ামিন যদি আপনার কোনো ক্ষতি করে এখন? আমার মনে হচ্ছে ওনার সাথে অনেক বড় কিছুর হাত আছে। আপনি ওনার বাবার কাছে মানুষ হয়েছেন।
সাহিল বলল,
‘ ওর বাবা আমাকে স্নেহ করে। ও আস্ত একটা শয়তান। আমাকে তখন থেকেই হিংসে করে। অস্ট্রেলিয়া থাকতে ও কম করেনি। ও আমার ভালো দেখতে পারেনা।
জিনিয়া বলল,
‘ কিন্তু আপনি ওনাকে মারলেন কেন? হাত নাকি ভেঙে দিয়েছেন? এমন কেউ করে?
সাহিল জিনিয়াকে ছেড়ে দিল। দূরে সরে গিয়ে বলল,
‘ তোমার এখন ওর জন্য মায়া হচ্ছে? ও কিভাবে তাকায় তোমার দিকে। আমি ওর দুচোখ নিয়ে,,,
আবার ও আটকে গেল সাহিল। জিনিয়া মাথায় হাত দিল। বলল,
‘ আপনি জানেন আপনার জন্য আমি চিন্তায় থাকি? আমার কথা ভাবেন আপনি?
সাহিল মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল। বিমর্ষ, পাংশুটে মুখখানা। বিড়বিড় করে বলল,
‘ তোমাকে নিয়ে আমি চিন্তায় থাকি জিনি। কোন কেস টেসের সাথে তুমি জড়িয়ে গেছ, আমার ভয় করে।
জিনিয়া বলল,
‘ সেসব আমার উপর ছেড়ে দিননা। আপনি কেন নিজেকে জড়াচ্ছেন? আমি আর ভাইয়া মিলে সব সলভ করব। আপনি এমন করবেন না প্লিজ।
জিনিয়া সাহিলের কাছে গিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। বলল,
‘ কথা দিন আমায়।
সাহিল গম্ভীরসুরে বলল,
‘ দিলাম। কিন্তু ও যদি আবার অমন করে একদম মেরে ফেলব।
জিনিয়া কাঁদল। বলল,
‘ আবার?
সাহিল বলল,
‘ আচ্ছা। বলব না আর৷

__________

হসপিটাল থেকে নিখোঁজ হলো পূজা । সবাই চিন্তিত, পাগলপারা হলো। প্রমিতা কেঁদে কেঁদে সারা হলেন। মেয়েটা তার কাছেই ভালো ছিল। আর মিস্টার চ্যাটার্জি
হয়ে পড়লেন দিশেহারা। বাবা বাবা ডাকটা যেন কানেই বাজছে। নিপ্পি কোল থেকে নেমে ঘুরে ঘুরে খুঁজছে পূজাকে। জায়িদ খোঁজ লাগাল। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ দিল। সাহিল বসে থাকল হসপিটালের করিডোরে। নাহিল আশ্বাস দিল
‘ কিচ্ছু হবেনা ভাই। সব ঠিক হয়ে যাবে।
সাহিল বলল,
‘ পেয়ে ও আবার হারিয়ে ফেললাম। কোথায় যাবে সে? সীমান্ত ও তো নেই যে তাকে নিয়ে যাবে। সীমান্তকে তো আমি নিজ হাতে মেরেছি।
আঁতকে উঠল নাহিল।
‘ তুমি মেরেছ মানে? ভাই?
সাহিল বলল
‘ আমি একটু একা থাকব নাহিল।
নাহিল একরাশ উৎকন্ঠা নিয়ে চলে গেল।
‘ ভাই এটা কি বললো?

প্রায় পনের দিন ধরে পুরো শহর জুড়ে পুলিশের তল্লাশি চলল। পূজাকে পাওয়া গেল তবে পূজারূপে নয়। জায়িদ তার রূপ বাহার দেখে স্তব্ধ, শিহরিত। এ পূজা ও নয়। আনহা ও নয়। আনহা হতেই পারেনা। জায়িদ দুই পা পিছু হাঁটল।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here