রৌদ্রদেশে মেঘের বেশে পর্ব-৩৯

0
647

#রৌদ্রদেশে_মেঘের_বেশে
#পুষ্পিতা_প্রিমা
[৩৯]

কাঁধে পেছনে ঠেলে দেওয়া শার্ট ঠিক করে সাহিল এগোয় দ্রুত। হাতের পিস্তল পকেটে ডুকিয়ে এগিয়ে আসে জিনিয়ার কাছে৷ জিনিয়া কেঁদে উঠে দুই তিন পা পিছু হাঁটতেই সাহিল শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরল। বলল
‘ এসব মিথ্যে। সব মিথ্যে।
জিনিয়া চিৎকার করে কাঁদে। মাথার হিজাব এলোমেলো হয়ে পড়ে। সাহিল হালকা হয়ে থাকা হিজাব টেনে খুলে জিনিয়ার হাত বেঁধে ফেলে পেছনে৷ জিনিয়া আর ও চিৎকার করে কেঁদে বলে
‘ বিশ্বাসঘাতক৷ প্রতারক৷ ঘেন্না করি আপনাকে।
সাহিল হাত বেঁধে ফেলে ছেড়ে দেয় জিনিয়াকে। জিনিয়ার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলোকে সরে যেতে বলে। সরে যায় তারা। জিনিয়া কাঁদতে থাকে। চুলে আটকে রাখা কাঠি খুলে লম্বা কালো চুলগুলো জপ করে পড়ে যায়। অগ্নিরূপ প্রকাশ পায় জিনিয়ার।
‘ বিশ্বাসঘাতক। মিথ্যেবাদী। প্রতারক। বেঈমান। আমাকে ঠকিয়েছেন আপনি।

______

জিনিয়াকে আলাদা একটি রুমে নিয়ে যায় এক মহিলা৷ নাম তার রিজমা। সাহিল তো সেটাই ডাকলো। কে মহিলাটি? অপরূপা সুন্দরী। কিন্তু এই মহিলা হাতকাটা ব্লাউজ পড়েছে কেন? জিনিয়া আর কিছু ভাবতে পারলো না। চেয়ারে বসিয়ে বাঁধা হলো তাকে। চিৎকার করার কারণে মুখে ট্যাপ লাগিয়ে দেওয়া হলো। পা বাঁধা হলো। নিস্তেজ হয়ে পড়ল জিনিয়া। এরিজমা মিটিমিটি হেসে বলল
‘ তোমাকে সামনাসামনি দেখার স্বাদ মিটল অবশেষে।
জিনিয়া কিছু বলতে চাইল৷ কিন্তু আওয়াজ বের হলোনা৷ এরিজমা বলতে গেল
‘ আমি তোমার,
সাহিলের ডাক ভেসে আসল।
‘ রিজমা!
রিজমা সতর্ক হয়ে গেল। বলল
‘ দেখো আমাকে কি সুন্দর করে ডাকে। যাই দেখে আসি। চোখে হারায় আমাকে বেচারা। আর তোমাকে না দেখে সপ্তাহের পর সপ্তাহ থাকতে পারে। তাহলে বুঝতে পারছ তো আমি কে হই তোমার? দন্তস্য, ত ঈ কার দন্তন্য। মিটমিট করে হাসল এরিজমা। এই যে হাসছে হাসিটা ও দেখার মতো। জিনিয়া চোখ বেয়ে শুধু অবিরত জল পড়তে লাগল। সাহিলের ডাক আবার ভেসে আসল।
‘ রিজমা!
রিজমা যেতে যেতে বলল
‘ আরেহ আসছি তো। কোথায় কি হারিয়ে যাচ্ছি?
বুকের রক্তক্ষরণ থামেনা জিনিয়ার। তার কষ্ট হচ্ছে ভীষণ মানুষটা সহ্য করছে কিভাবে? সে এভাবে কাঁদছে কিন্তু মানুষটার কোনো ভাবাবেগ কেন নেই ৷ কেন? জিনিয়াকে কি কখনো ভালোবাসেনি? এই মহিলা এসব কি বলে গেল? সব ভুলভাল বলল। ওনি জিনিকে ছাড়া কারো দিকেই তাকাবেন না কখনো। ওনি শুধু জিনিকেই ভালোবাসে। কিন্তু ওভাবে ডাকছে কেন ওই মহিলাকে। কেন ডাকছে? কিজন্য ডাকছে?
জিনিয়ার মনে হলো এরিজমা অপূর্ব সুন্দরী। না না এসব ভাবা ও পাপ। ভীষণ পাপ। সাহিল শুধু জিনিকেই ভালোবাসে।

_____________

রাগ গভীর হলো। রুমের দরজা বন্ধ করে কে কোথায় গেল কে জানে? জিনিয়ার চোখের জল শুধু নীরবে গড়ালো। প্রায় রাত সাড়ে দশটার দিকে দরজা খোলার শব্দ হলো। জিনিয়া দুর্বলচিত্তে তাকালো। সাথে সাথে মুখ দিয়ে উঃ উঃ শব্দ বের হলো। ধীরপায়ে এগিয়ে আসলো সাহিল। টেবিলের উপর কিছু একটা রেখে হেঁটে আসলো জিনিয়ার কাছে। অন্য আরেকটি চেয়ার টেনে নিয়ে বসল জিনিয়ার সামনাসামনি। চোয়াল ফোলা। গলার শক্ত ভেসে উঠেছে। চোখের দৃষ্টি ধারালো। সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে জিনিয়ার জন্য। সবটা। কালকেই সব ঠিক হয়ে যাচ্ছিল। সাহিলের মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। সে দিশেহারা। জিনিয়া কি করে এখানে চলে আসলো? এত সহজে সে কি করে জিনিয়ার কাছে ধরা পড়ে গেল?
জিনিয়া নড়াচড়া করতে লাগলো। সাহিল মুখ খুলে দিল জিনিয়ার। সাথেসাথে আওয়াজ করে কেঁদে দিল জিনিয়া। না তার কান্না ছুঁতে পাচ্ছেনা সাহিলকে। পাচ্ছেনা। আঘাত করতে পারছেনা। সাহিল তার কান্না চোখ তুলে দেখলনা। শুধু ত্যাড়া কন্ঠে বলল
‘ তোমার চোখের জল ফেলতে এখানে এসেছ?
জিনিয়া আরও জোরে কেঁদে দেয়।
‘ আমার হাত পা খুলে দিননা। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
‘ কষ্ট সহ্য করা শিখে নাও।
কেঁদে ফেলল জিনিয়া।
‘ পায়ে ভীষণ ব্যাথা করছে। হাতে ও। শক্ত করে বেঁধেছে ওই মহিলা।
‘ মনে হচ্ছেনা। চালাকি করার চেষ্টা করবেনা।
জিনিয়া হতাশ। ক্লান্ত।
‘ বিশ্বাসঘাতক আপনি। আমাকে ঠকিয়েছেন। আমার বিশ্বাস নিয়ে দিনের পর দিন খেলেছেন। আপনি শুধু সীমান্তকে নয় আপনি হাজারো ও মানুষের খুনি। বাবলুর খুনি, এজন্য আপনি আমার কোর্টে যাওয়া পছন্দ করতেন না। আপনি তো লেন্স ও পড়েন, আর আমি সেই লেন্সটাই পেয়েছিলাম। তারমানে লেন্সটা আপনি নিয়ে ফেলেছিলেন তাই আমি আর খুঁজে পাইনি। বাবলুকে কেন মেরেছেন?
‘ দোষ করেছে তাই।
জিনিয়া কাঁদল জোরে। হিঁচকি উঠল। বুক, গলা ভিজে উঠল চোখের জলে। সাহিল এবার তাকালো তার দিকে। জিনিয়া বলল
‘ আমাকে যে ছবি পাঠানো হয়েছিল তারমানে ওগুলো শুধু অভিনয় ছিল। শুধুই অভিনয়।
সাহিল বলল
‘ হ্যা।
আমাকে কেন অন্ধকারে রেখেছিলেন?
‘ ভালো রাখার জন্য কিন্তু ভালো থাকতে পারোনি।
মিথ্যের আঁধারে রেখে ভালো রাখতে চেয়েছিলেন?
‘ সফল হয়েছিলাম। তুমি শেষমেশ সব নষ্ট করে দিলে। কিছু মানুষ নিজের ভালো চায়না, তুমি তাদের মধ্যে একজন। তাই এমন হয়েছে।
‘ আমার বাচ্চাদের কি হবে? আপনি তাদের ও ঠকালেন। আমার ঘেন্না হয় বলতে ওরা আমার আপনার সন্তান।
‘ ঘেন্না লাগলে কিছু করার নেই। ওরা আমাদের সন্তান।
‘ আমাদের কথাটা বলবেন না। দোহাই লাগে বলবেন না।
সাহিল নড়েচড়ে বসল।
‘ গলার আওয়াজ ছোট করো। তোমারই কষ্ট হচ্ছে।
জিনিয়া মাথা এলিয়ে দিল চেয়ারে। সাহিল উঠে দাঁড়ালো। জিনিয়া বলল
‘ যাবেন না।
‘ থাকার কোনো রাস্তা রাখোনি।
‘ আমার এই একলা ঘরে থাকতে ভয় করছে। আপনি আমাকে কষ্ট দিচ্ছেন।
‘ ভালোই তো ছিলে। নিজ কর্মদোষে সব শেষ হলো।
‘ আমার খিদে ও পেয়েছে।
সাহিল হেঁটে টেবিলের কাছে গেল। খাবারের প্যাকেট থেকে বিরিয়ানি বের করল। প্লেটে নিয়ে চামচে করে নিয়ে আসলো। জিনিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল
‘ আমার সাথে লড়তে হলে তোমাকে খেয়ে শক্ত থাকতে হবে।
জিনিয়া বহুকষ্টে গালে নেয়। খেতে গিয়ে আবারও কেঁদে দেয়।
‘ আপনি বলেছিলেন আমার চোখের জল আপনার সহ্য হয়না।
‘ এখন সহ্য করে নিতে হবে।
জিনিয়া কাঁদল। খেতে চাইল না আর। সাহিল জোর করে খাওয়ালো। জিনিয়া কেঁদে কেঁদে বলল
‘ পায়ে খুব ব্যাথা করছে। একটু খুলে দিননা। আপনি তো ভালোবাসেন আমায়।
‘ কথায় কথায় ভালোবাসার কথা আনবেনা।
জিনিয়া বলল
‘ খুলে দিননা। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
সাহিল পায়ের রশি খুলে দিল। বলল
‘ হাতের খোলা যাবেনা।
জিনিয়া স্বস্তি পেল৷ পা জোড়া ফুলে যাচ্ছে আবার। জিনিয়া আর কিছু বলল না। সাহিল খাবারের প্যাকেট রেখে দিল। জিনিয়া উঠে দাঁড়ালো। বন্ধ হাতে দৌড়ে গেল সাহিলের কাছে। সাহিলের বুকে পড়ে গিয়ে বলল
‘ আপনি এসব মিথ্যে প্রমাণ করে দিন। সব মিথ্যে। আপনি আমার আগের স্বামী হয়ে যান। সত্যি হোক আপনি শুধু আমায় ভালোবাসেন।
সাহিল পিছু হাঁটে। জিনিয়া থেমে যায় সেখানে। চোখের জল গড়ানো বন্ধ হয়ে যায়। সাহিল বলল
‘ পা খুলে দিয়েছি বলে এমন না যে দৌড়াদৌড়ি করবে। চুপচাপ গিয়ে বসে থাকো। ঘুম আসলে এই খাটে এসে শুয়ে পড়বে।
‘ নরম বালিশ ছাড়া ঘুম হয়না আমার।
‘ নরম বালিশ ছাড়া ঘুমানোর অভ্যাস করো।
‘ আপনার কঠোরতা আমি সইতে পারছিনা৷
‘ পারতে হবে৷
জিনিয়া চেঁচালো।
‘ পারবনা। পারবনা আমি।
সাহিল এসেই তার বাহু ধরে। বলে,
‘ চেঁচাবে না একদম৷ তোমাকে ভালো রেখেছিলাম আমি, তুমি ভালো থাকতে পারোনি।
আপনি কালো পয়সায় ভালো রেখেছেন আমাকে।
‘ পয়সা পয়সায় হয়৷ কালো আর ভালো বলতে কিছুই নেই।
জিনিয়া শক্ত কন্ঠে বলল
‘ আমার আব্বার সাথে কি করেছেন আপনি?
‘ কিছুই করিনি। তোমার আব্বা এসবে জড়াচ্ছিল তাই আমি পুলিশকে ফোন করে ধরিয়ে দিয়েছি৷
‘ মহৎ কাজ করে ফেললেন৷
‘ চেষ্টা করলাম মাত্র। আর বুজে নিলাম মহৎ কাজ আমাকে দিয়ে হবেনা।
জিনিয়া কান্নার মাঝে হাসল৷
‘ তাননা মুননাকে আনিনি কেন? তারা দেখতো তাদের আব্বার রূপ।
শক্ত করে জিনিয়ার বাহু চেপে ধরল সাহিল।
‘ কথায় কথায় ওদের নাম নেবেনা।
জিনিয়া মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল
‘ ছিঃ। ধিক্কার নিজের উপর, আপনাকে ভালোবেসেছি বলে। ধিক্কার আপনাকে বিশ্বাস করেছি বলে। ধিক্কার আপনাকে অন্ধবিশ্বাস করেছি বলে। ঘৃণা হয় নিজের প্রতি। ঘৃণা হয় আমার বিশ্বাস ভালোবাসার প্রতি। এতটা অন্ধ কি করে হলাম আমি?
সাহিল গায়ের শার্ট খুলে ঝেড়ে দেয় বিছানা। আবার শার্ট গায়ে দিয়ে বলল
‘ শুয়ে পড়ো। আমাকে বেরোতে হবে।
জিনিয়া নড়ল না।
সাহিল বলল’ কি বললাম?
জিনিয়া বলল
‘ আমার হাতটা ওভাবে ধরেছেন। ব্যাথা লেগেছে।
‘ ব্যাথা পাওয়ার মতো কাজ করো কেন?
জিনিয়া কাঁদল।
‘ বেশি কাঁদছ বোধহয়?
‘ চার চারটা বছর আমাকে অন্ধকারে রেখেছেন আপনি। আমার সাথে মিথ্যে সংসার করেছেন।
সাহিল তাকে টেনে আনলো৷ কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলল
‘ চুপচাপ ঘুমাও। আমাকে রাগিওনা। ভালো হবেনা।
জিনিয়া কেঁদে উঠে বলল
‘ হাতটা সামনে এনে বাঁধুন। পেছনে থাকলে ঘুমোবো কি করে?
সাহিল বাঁধন খুলে দিল। হাত সামনে এনে বাঁধতেই জিনিয়া তার গলা জড়িয়ে ধরল শক্ত করে৷ সাহিল ছাড়াতে চেয়ে ও পারলনা৷ জিনিয়া বলল
‘ না না।
সাহিল ধস্তাধস্তি করতে করতে বলল
‘ ছাড়ো জিনি। পাগলামি নয়৷
জিনিয়া সর্বশক্তি দিয়ে ধরল সাহিলকে। গলা টেনে ধরে দাঁত বসিয়ে দিল গিজগিজে। মুখ বুঁজে সহ্য করে নিল সাহিল। তার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে এল। গলার রগ আর ও ফুলে উঠল। জিনিয়া কামড় বসানো অংশটুকু দেখে আর ও জোরে কেঁদে উঠল। বলল
‘ আমি আপনাকে আঘাত করেছি। আমি?
সাহিল চুপ। জিনিয়া কেঁদে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। বলল
‘ আমাকে এভাবে নিঃস্ব করবেন না। এসব ছেড়ে দিন। আমার কাছে চলে আসুন। আমার বাচ্চাদের কথা ভাবুন। এমন করবেন না। জিনিয়া দেখে সাহিলের চোখজোড়া হয়ে আসে শীতল। চাহনি নরম। সাহিল ধীরেধীরে ঝুঁকে পড়ে তার দিকে। এলোমেলো চুলের ভাঁজে মুখ লুকোতেই জিনিয়া হয়ে পড়ে সর্বশান্ত। সেই সুযোগে সাহিল তার হাত বেঁধে ফেলে আবার। জিনিয়া এবার শান্ত হয়ে চেয়ে থাকে সাহিলের দিকে। মানুষটা তাকে এইমুহূর্তে ও ঠকালো? এইভাবে? সে এখন কি করে হেরে গেল? এত নিঁখুত অভিনয় কি করে? সাহিল উঠে দাঁড়াল জিনিয়ার উপর থেকে। গলার পাশটা জ্বলছে। জিনিয়া শান্ত চোখে চেয়ে রয়েছে তার দিকে। চোখ দিয়ে শুধু জল গড়াচ্ছে। সাহিল বলল
‘ আমার দেওয়া আঘাত সহ্য করতে পারবেনা বলেই তোমার কাছে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলাম৷ কিন্তু তোমার ভালোটা চাওনি।
জিনিয়া তেঁতো কন্ঠে বলে উঠে
‘ তাহলে কবরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন।
সাহিল অবাক চোখে চেয়ে রইল জিনিয়ার দিকে। না তার বিশ্বাস হয়নি এই কথা।
জিনিয়া আবার ও খেঁকিয়ে উঠে বলল
‘ আমার পড়নে সাদা শাড়িকে আমি স্থায়ী করব।
দৌড়ে রুম থেকে বের হয় সাহিল। কোথাথেকে যেন একমুঠো হলুদের গুড়ো এনে ছিটিয়ে দেয় জিনিয়ার শাড়িতে। জিনিয়াকে বিছানায় ধপ করে ফেলে দিয়ে মুখ চেপে ধরে বলল
‘ আমি কোথাও যাচ্ছিনা।
জিনিয়া পড়ে থাকল। চোখ বন্ধ করে বলল
‘ আল্লাহ! আপনি আমার এ কেমন পরীক্ষা নিচ্ছেন? কেমন পরীক্ষা!
সাহিল বের হয়ে গেল রুম থেকে। দরজায় তালা মেরে চাবি পকেটে রাখল। পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরাতেই এরিজমা হাজির। সাহিলের গলা জড়িয়ে ধরে ঝুলিয়ে থেকে বলল
‘ ওখানে এতক্ষণ কি করছিলে? ভুলে যাচ্ছ আমি তোমার বিয়ে করা বউ?
সাহিল ধোঁয়া উড়ালো এরিজমার মুখের উপর। এরিজনা সহ্য করে নিল। সাহিল সিগারেট নামাতেই এরিজমা আর ও কাছে ঘেষে দাঁড়ালো। মুখ এগিয়ে নিতেই সাহিল বাঁকা হাসল। এরিজমা কামড়ের দাগ দেখে বলল
‘ কিভাবে কামড়েছে? আর আমি ছুঁলেই!
সাহিল নিজেই ঝুঁকল এরিজমার দিকে। তারপর আস্তে করে বাকি সিগারেটটুকু লাগিয়ে দিল এরিজমার ধবধবে ফর্সা হাতের উপর। চিৎকার করে উঠল এরিজমা। সাহিলকে ছেড়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। সিগারেট টুকু ফেলে আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে এগোলো সাহিল। এরিজমা চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। ইয়ামিন এসে ধরল। বলল
‘ তাড়াতাড়ি পেপসোডেন্ট লাগা। তাড়াতাড়ি।
এরিজমা কাঁদল। রাগে ফুঁসল। জিনিয়ার রুমের দরজায় ধপ করে লাতি বসিয়ে বলল
‘ আমি খুন করব এই মেয়েকে। ও আসাতেই সাহিল এমন করছে আমার সাথে। আমি খুন করব ভাইয়া।
ইয়ামিন শান্ত স্বরে বলল
‘ করিস। সাহিল ওর বাচ্চাদের কাছে যাক। আমার কাছে এই রুমের নকল চাবি আছে।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here