রৌদ্রর শহরে রুদ্রাণী পর্ব -৫১

#রৌদ্রর_শহরে_রুদ্রাণী
#পর্বঃ৫১
#Saiyara_Hossain_Kayanat

“আমি তোমাকে ভালোবাসি নীলাদ্রি।”

নীলা এবারও কিছু বলল না। অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে আছে। নীলাকে এভাবে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে নির্বান প্রচন্ড ক্ষেপে যায়। রাগে চোখমুখের অবস্থা পালটে চোয়ালে শক্ত হয়ে আসছে তার। নীলার ডান হাতের কনুইয়ের কিছুটা উপরের দিকে শক্ত করে চেপে ধরলো। দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত গলায় বলল-

“আমি এতক্ষণ ধরে কথা বলে যাচ্ছি আর তুমি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে! আমি তোমাকে কিছু বলেছি সেটার উত্তর দাও নীলা।”

নীলা কটমট চোখে নির্বানের দিকে ফিরে তাকালো। নির্বান তার রাগান্বিত চোখ নীলার দিকে নিক্ষেপ করে আছে। নীলা গাল ফুলিয়ে এক ঝাটকায় হাত ছাড়িয়ে নিল। হাত ঘষতে ঘষতে নাক ফুলিয়ে রাগী কন্ঠে বলল-

“আপনি তো দেখছি বেজায় নির্লজ্জ মানুষ। একে তো ফুল না এনে খালি হাতে এসে কিপটে মানুষের মতো ভালোবাসার কথা বলছেন। তার উপর আবার আমাকে রাগ দেখাচ্ছেন! যত্তসব নিরামিষ মার্কা পাব্লিক।”

নীলার কথায় নির্বান রাগে গর্জে উঠে তেজি কন্ঠে বলল-

“কিহহহ… আমি নির্লজ্জ? কিপটা? নিরামিষ মার্কা মানুষ? সামান্য ফুল আনিনি বলে….”

নির্বান থেমে যায়। রাগান্বিত ভাব কেটে দুচোখে কৌতুহলের তারা খেলে গেল। এক দমকা হাওয়ায় এলোমেলো করে দিয়ে গেল সবকিছু। শীতল হাওয়া বয়ে গেল নির্বানের মনে। এই শীতল হাওয়ায় যেন নির্বানের চোখে জ্বলতে থাকা রাগের আগুন নিমিষেই নিভিয়ে দিল। নির্বান নিম্ন স্বরে বিস্ময় নিয়ে জিজ্ঞেস করল-

“আমি ফুল আনিনি বলে তুমি রাগ করেছো নীলা?”

নীলা দু’হাতে ভাজ করে গুটিয়ে নেয়। গোমড়া মুখে বলল-

“হুম হুম”

নির্বান উৎসাহী চোখে নীলার দিকে চেয়ে উৎকন্ঠিত হয়ে জিজ্ঞেস করল-

“যদি ফুল এনে দিতাম তাহলে আমাকে মেনে নিতে!!”

নীলা মুখ ঘুরিয়ে উল্টো পথে হাঁটতে হাঁটতে ভাব নিয়ে বলল-

“সেটা না হয় ফুল দিলেই ভেবে দেখতাম।”

চোখেমুখে খুশির ঝলক দেখা দিলো নির্বানের। খুশির বাধ ভেঙেছে আজ। নির্বান অস্থিরতায় আশেপাশে তাকালো। বড্ড আফসোস হচ্ছে তার। কেন ফুল নিয়ে আসলো না আজ! এতো বড় বোকামি কেউ করে না-কি! নিজেকে এই মুহূর্তে আস্ত এক গাধা মনে হচ্ছে। নিজের প্রতি প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। ডান হাতে মাথা চুলকে চারপাশে ফুল খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরলো নির্বান। এই নির্জন নদীর পাড়ে কেই-বা ফুল নিয়ে আসবে তার জন্য!! হঠাৎই নির্বানের চোখ পরলো দূরের একটা লালচে-হলুদ রঙের ফুলের উপর। ঝোপঝাড়ের দিকটায় কিছু লালচে-হলুদ রঙের ফুল ফুটে আছে। ফুল গুলোর পাপড়ি খুব ছোট ছোট। ফুলের নাম তার জানা নেই। হবে হয়তো কোনো নাম না জানা এক ফুল। নির্বান দ্রুত পায়ে ফুল গুলোর দিকে এগিয়ে যায়। আলতো হাতে প্রায় চার পাঁচটা ফুল ছিড়ে হাতের মুঠোয় একত্র করে দৌড়ে নীলার কাছে আসলো। খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছে নির্বান। দু হাঁটুতে হাত দিয়ে ঝুঁকে বড়সড় কয়েকটা শ্বাস নিল। নীলা তার গোলগোল আঁখিদুটি দিয়ে নির্বানের দিকে চেয়ে আছে। নির্বান সোজা হয়ে দাঁড়ালো। একত্রিত করা ফুলগুলো নীলার দিকে এগিয়ে দিয়ে উত্তেজনার সাথে বলল-

“ভালোবাসি নীলাদ্রি৷ এই দেখো ফুল। নাম জানা নেই তবে ফুলটা দেখতে খুব সুন্দর একদম তোমার মতো। এবার আমায় ভালোবাসবে তো! মেনে নিবে আমায়! প্রমিজ করছি প্রতিদিন ফুল কিনে দিবো। তুমি চাইলে ফুলের বাগানও করে দিব। শুধু এভাবের মতো এই নাম না জানা ফুলেই রাজি হয়ে যাও প্লিজ।”

নীলা লাজুক হাসি দিয়ে নির্বানের হাত থেকে ফুল নিয়ে নেয়। ফুল গুলোতে হাত ছুঁয়ে দিয়ে দেখতে দেখতে শান্ত গলায় বলল-

“ফুল গুলো সুন্দর তাই নিয়ে নিলাম তবে প্রেম করার জন্য কিন্তু রাজি হইনি।”

“প্রেম করে সময় নষ্ট করার মতো বোকামি আমি করবো না। সময় ব্যয় না করে রৌদ্র ভাইয়ের মতো ডিরেক্ট বিয়ে করে নিব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোমাকে নিজের নামে লিখে নিবো। আমার অর্ধাঙ্গিনী করে নিবো তোমায়।”

নীলার কথার সাথে সাথেই নির্বান ফটাফট করে কথা গুলো একনাগাড়ে বলে দিল। নীলা ড্যাবড্যাব করে নির্বানের দিকে চেয়ে আছে। নির্বানের কথার প্রতিত্তোরে কিছু না বলে একটা মুচকি হাসি উপহার দিয়ে হাঁটতে লাগলো। নির্বান একটা তৃপ্তির হাসি দিয়ে নীলার পাশে হাঁটা শুরু করলো। দূর থেকে নীল ফোনে কথা বলতে বলতে তাদের দু’জনের দিকে তাকিয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।

—————————

গোধূলির শেষ বিকেল। পশ্চিম আকাশের লালচে বর্ণের সূর্যের আলো ছড়িয়ে পরছে চারপাশে। ধীরে ধীরে অন্ধকার নেমে আসছে। আরশি আর রৌদ্র নদীর পাড়ে কাঠের পুরনো একটা বেঞ্চিতে বসে আছে। দুজনের মাঝে নিরবতা বিরাজমান। চারপাশে শুধু পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর দমকা হাওয়া গাছের পাতায় বারি খাওয়ায় সৃষ্টি ঝিরিঝিরি শব্দ। আরশি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নদীর দিকে। আর রৌদ্র!! সে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে তার রুদ্রাণীর দিকে। রুদ্রাণী আজ রৌদ্রর শার্টের সাথে মিলিয়ে লাল রঙের জামদানী শাড়ি পরেছে। দু’হাতে মুঠ ভর্তি লাল চুড়ি। কাজলহীন চোখ আর ঠোঁটে হাল্কা লিপস্টিক। পিঠে ছড়িয়ে রাখা উন্মুক্ত চুল গুলো বাতাসে ঝাপ্টা এসে উড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। ব্যস এতেই রৌদ্রর অবাধ্য হৃদয় ঘায়েল হয়ে যাচ্ছে বার বার। রৌদ্র নিরাশ হয়ে একটা শ্বাস ফেলে বলল-

“রুদ্রাণী তুমি কি আমাকে মেরে ফেলতে চাও!”

রৌদ্র মুখে আচমকা এমন উদ্ভট কথা শুনে আরশি তৎক্ষনাৎ রৌদ্রর দিকে ফিরে তাকালো। জিজ্ঞাসুক দৃষ্টিতে চেয়ে বলল-

“মানে! কি বলতে চাচ্ছেন?”

রৌদ্র একটা হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে। শার্টের হাতা ঠিক করে বেঞ্চিতে হেলান দিয়ে আরাম করে বসলো। নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে আরশির দিকে চেয়ে বলল-

“আর কতো আমার হৃদয়টাকে ঘায়েল করবে তুমি! বিয়ের দু বছর হয়ে গেছে অথচ তুমি এখনো বুড়ি হচ্ছো না কেন? দিন দিন আরও সুন্দর হয়ে যাচ্ছো অদ্ভুত!! আমার মনে হচ্ছে তুমি দিন দিন রাগান্বিত রুদ্রাণীর মতো জ্বলজ্বল করে আমাকে ভিতর ভিতর ঝলসে দিচ্ছো। এভাবে চলতে থাকলে আমি নির্ঘাত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবো রুদ্রাণী।”

রৌদ্র অসহায় কন্ঠে কথা গুলো বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আরশি রৌদ্র দিকে ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে মুহুর্তেই লজ্জায় চোখ দুটো নামিয়ে ফেলে। শাড়ির আঁচল হাতের মুঠোয় রেখেই দু’হাত কচলাতে শুরু করে দিল। রৌদ্রর চোখ দুটো ছোট ছোট হয়ে গেল। নিখুঁতভাবে পরক্ষ করছে তার রুদ্রাণীকে। আরশির হলদে ফর্সা গাল গুলো লাল আভা ধারণ করছে। রৌদ্র নিজের মাথায় একটা চাপড় মেরে উঠে দাঁড়ালো। বুকের বা পাশে ডান হাত দিয়ে চেপে ধরে অসহায় কন্ঠে বলল-

“এই মেয়ে কি করছো তুমি! আমার বুকে হাতুড়ি পেটাচ্ছে তোমার এই লজ্জারুণ চেহারা। হার্টের ডক্টর-ই যদি হার্ট এট্যাক করে মারা যায় তাহলে আমার রুগীদের চিকিৎসা কে করবে রুদ্রাণী!!”

আরশি রৌদ্র কথা শুনে অবাক চোখে তার দিকে তাকালো। রৌদ্র আরশির সামনেই বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রৌদ্রর গাঁয়ের জড়ানো লাল শার্ট, কালো প্যান্ট আর হাতে কালো বেল্টের ঘড়ি। রৌদ্রর অবাধ্য চুল গুলো সব সময়ের মতোই কপালে এসে পড়ে আছে। রৌদ্র দ্রুত আরশির কাছে এসে আরশির শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথায় বড় করে ঘোমটা টেনে দেয়। আরশির চোখ মুখ পর্যন্ত ঢেকে যায় ঘোমটায়। রৌদ্র ছোট্ট করে একটা শ্বাস ফেলে বলল-

“উফফ আরু এভাবে তাকাবে না। তুমি বরং আজ থেকে এভাবে ঘোমটা দিয়েই আমার সামনে থাকবে। ঠিক আছে!!”

আরশি ঘোমটা খানিকটা পেছনে ঢেলে দিয়ে মাথা তুলে রৌদ্রর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। উঠে দাঁড়িয়ে রৌদ্র বুকে আস্তে করে একটা ধাক্কা দিয়ে ক্ষিপ্ত গলায় বলল-

“দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছেন আপনি জানেন!!”

আরশি কথাটা বলেই হাঁটা শুরু করে দিল। রৌদ্র মুচকি হেসে আরশির পাশে হাঁটতে হাঁটতে বলল-

“রৌদ্র তার রুদ্রাণীর জন্য পাগল হবে এটা স্বাভাবিক।”

আরশি আড় চোখে রৌদ্র দিকে চেয়ে মনে মনে হাসলো। আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ হেঁটে যাচ্ছে। রৌদ্র আরশির গাঁ ঘেঁষে আরশিকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাতে লাগলো।

——————————

আরশি মলিন মুখে কাসফিয়ার রুমে বসে আছে। গতকালই আরশিরা সবাই ঢাকায় এসেছে। এই প্রথম কাসফিয়াকে ছাড়া ঈদ কাটিয়েছে তাই আরশির মনটা ছটফট করছিল কাসফিয়াকে দেখার জন্য। এই কারনেই ঢাকায় এসে সময় নষ্ট না করেই সকাল সকাল এসে পরলো আদ্রাফদের বাসায়। আদ্রাফ তার বাবার সাথে হাঁটতে বেরিয়েছে। কাসফিয়া আরশিকে রুমে বসিয়ে দিয়ে কাজের বাহানা দেখিয়ে বাহিরে চলে গেছে। প্রায় পনেরো হয়ে গেছে অথচ এখনো কাসফিয়া রুমে আসেনি। আরশি বোরিং হয়ে গেছে এভাবে একা একা বসে থেকে। পুরো রুমে পায়চারি করছে। কিছুটা সময় বাদেই কাসফিয়া রুমে আসলো। আরশির কাসফিয়ার হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে নিজেও তার পাশে বসে পরে। এক পাশ থেকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে মলিন কন্ঠে বলল-

“কখন থেকে বসে অপেক্ষা করছি তোর জন্য। কিন্তু তোর তো আসার কোনো নামগন্ধই নেই। আচ্ছা কেমন আছিস আর আমাদের পুচকি-টা কেমন আছে? জানিস তোকে খুব মিস করেছি ঈদের দিন। আমরা তো ছোট থেকে সবগুলো ঈদে একসাথেই ছিলাম। একসাথে ঘুরেছি, এটা ওটা রান্না করার চেষ্টা করে আম্মুদের কাছে বকা খেয়েছি আরও কতো মজা করেছি। সব থেকে বেশি কি মিস করি জানিস!! আমরা দু’জন ঈদের দিন যখন আমাদের আব্বু আম্মুর কাছ থেকে জোর করে সালামি হাতিয়ে নিতাম ওই মুহূর্তটা অনেক বেশি মিস করি কাসফি।”

আরশি একনাগাড়ে কথা গুলো বলেই বড় করে একটা শ্বাস নিল। আবারও মলিন কন্ঠে বলল-

“তুই আর আদ্রাফ আমাদের সবার সাথে গেলেই পারতি কাসফি। বেশি দিন তো না মাত্র পাঁচ দিনেরই কথা ছিল।”

কাসফিয়া আরশির কাছ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যায়। গম্ভীর গলায় বলল-

“আমি আগের মতো অবিবাহিত নেই আশু। আমার স্বামী সংসার আছে। সব সময় তোর সাথে আগের মতো থাকতে পারবো না এটাই স্বাভাবিক। এখন এসব বাদ দিয়ে বল এখানে কেন এসেছিস?”

কাসফিয়ার এমন ব্যবহারে আরশির চোখে নোনাপানি গুলো চিকচিক করে উঠছে। আরশি কাসফিয়ার কাছে এসে অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে বলল-

“তুই আমার সাথে এভাবে কথা বলছিস কেন কাসফি? আমি তোকে মিস করছিলাম তাই এসেছি। এখন কি তোর সাথে একটু দেখাও করতে পারবো না আমি!!”

কাসফিয়া গম্ভীর পায়ে রুমের জানালার দিকে চলে যায়। বাহিরের দিকে দৃষ্টি দিয়ে গম্ভীর্যতার সাথে বলল-

“শোন আশু আমি তোকে আবারও বলছি আমি এখন আর আগের মতো সব সময় ফ্রি থাকি না। আমার নানানরকমের কাজ থাকে এখন। আমি তো সংসারের কাজ বাদ দিয়ে তোর সাথে আড্ডা দিতে পারবো না তাই না!!”

কাসফিয়ার কথায় আরশির চোখ থেকে কয়েক ফোটা গরম অশ্রুজল গাল গড়িয়ে পরলো। কাসফিয়ার এমন ব্যবহার আরশি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। আরশি আর কাসফিয়া নিজেদের ফ্যামিলির সাথেও এতোটা সময় কাটায়নি যতটা সময় তারা ছোট থেকে একে অপরের সাথে কাটিয়েছে। সব সুখ, দুঃখের স্মৃতি তারা একে অপরের সাথে শেয়ার করেছে। একজনের কষ্টে অন্য জনের চোখ দিয়ে পানি ঝরেছে। কিন্তু এভাবে তাদের মাঝে কখনো এতটা দূরত্ব সৃষ্টি হবে এটা যেন কল্পানা করাও বেমানান।

চলবে…

[নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা সবাইকে। আমি কখনো এসব সেলিব্রেট করি না তাই ভালো করে হয়তো উইশ করতে পারছি না। তবে সকলের উদ্দেশ্যে অল্প কিছু কথা বলবো..

❤️”পুরনো সকল কালো অধ্যায় মুছে রঙিন মুহুর্ত গুলোই স্মৃতির পাতায় আগলে রাখুন। সকল প্রাপ্তির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন আর ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।” সবাকে৷ আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসায়া আর ধন্যবাদ আমার পাশে থাকার জন্য।❤️❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here