লাল নীল সংসার পর্ব -১০

#_লাল_নীল_সংসার_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_১০_

শিশির অফিসে নিজের ডেস্কে বসে আছে। কাজেও মন বসছে নাহ। বার বার ফোন অন করে ছোয়ার আউডি ঘুরে আসছে। গতকাল থেকে এই কাজ অনেক বারই করছে। ভাগ্যিস! আইডি ভিউ করলে নোটিফিকেশন যায় নাহ, তাহলে ছোয়ার নোটিফিকেশন বক্স ভরে যেতো শিশিরের জন্য।

শিশিরের নিজের উপর এখন নিজেরই রাগ লাগতেছে। কি করছে এইসব? আচ্ছা! ছোয়াকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলে সেইটা কি অন্যায় হয়ে যাবে? না না, অন্যায় কেন হবে? আজকাল তো অচেনা মানুষ সব ফেসবুকে এ্যাড হচ্ছে, পরিচয় হচ্ছে। সেখানে শিশির তো ছোয়াকে চেনে। তাহলে, তাকে রিকোয়েস্ট পাঠালে সমস্যা কোথায়?

নাহ! অনেক হয়েছে। আর নিজেকে মানাতে পারছে নাহ শিশির। এমন অনুভুতি হচ্ছে কেন তার? সে তো কখনো এরকম অনুভূতি দিয়ে নিজেকে জড়াতে চায় নি। তাহলে, আজ কেন নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়েও জড়িয়ে যাচ্ছে? বুঝতে পারছে না শিশির। কিছু সময় চুপ করে থেকে আর কিছু নাহ ভেবেই ছোয়াকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দেয় শিশির। তারপর তাড়াতাড়ি ফেসবুক থেকে বেরিয়ে এসে ওয়াইফাই অফ করে দেয়। চারিদিকে একবার চোখ বুলিয়ে ফোন উল্টো করে রেখে দেয় টেবিলে। তারপর কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে।


সাঝ পড়ছে। আহিয়া রহমান সোফায় বসে বসে টিভি দেখছে। আজিজ রহমান সোফায় বসে পেপার পড়ছে। আহিয়া রহমান টিভি বন্ধ করে দিয়ে আজিজ রহমানের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” শিশিরের বাপ!”

আজিজ রহমান পেপারে চোখ রেখেই বলে ওঠে,
–” কউ।”

আহিয়া রহমান একটু চুপ করে থেকে বলে ওঠে,
–” আমার এইভাবে আর ভালো লাগে নাহ। শিশিরের বিয়ের কথা ভাবো কিছু।”

আজিজ রহমান পেপার ভাজ করতে করতে বলে ওঠে,
–” তুমি আবার একই কথা বলছো, আহিয়া! কি করবো বলতে পারো? নিজের তো আর কোনো কিছু করারই ক্ষমতাই নেই।”

–” তাও, আমি তো মা বলো। ছেলেটাহ চোখের সামনে নিজের সব কিছু ছেড়ে দিয়ে শুধু পরিবারের পিছনে ছুটছে। আমি মা হয়ে কিভাবে মেনে নিবো বলো?”

–” আচ্ছা! মেয়ে দেখো, তোমার ছেলেকেও বলো৷ তার কাছেও তো শুনতে হবে। তার অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু করা ঠিক হবে নাহ। তারপর বিয়ের একটা কথা উঠলে, বাসা বাড়ি দেখা যাবে।”

আহিয়া রহমান সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়ে রান্নাঘরে চলে যায়। সাঝ একটু উকি দিয়ে মাঝের রুমের দিকে দেখলো। ভাইয়ার বিয়ের পরিকল্পনা চলছে। ব্যাপার টাহ সাঝের বেশ ভালোই লাগছে। ভাইয়ার বিয়ে হবে, তার বড় ভাবি আসবে, আরও একটা আদরের জায়গা, সাঝ বেশ মজাই পেলো।


আদনান বাসের জন্য ওয়েট করছে। এমন সময় ফোন বেজে উঠতেই ফোন বের করে দেখে স্নেহা ফোন দিচ্ছে। এতো সময়ে অন্যদিনে আদনান স্নেহার বাসায় চলে যায়। আজ যায় নি। সেইদিন স্নেহার মায়ের কথা বলার ধরনে আদনান বুঝেছে, ঐ বাড়িতে তার বন্ধুত্বের অবস্থানও মানায় নাহ। কিন্তু, আদনান তো নিজে থেকে যেতে চায় নি, শুধুমাত্র তার বারবিডল কে হেল্প করতে গিয়েছিলো। কিন্তু, সেই যোগ্যতাও হয়তো তার নেই।

গতকাল আসার পর থেকেই আদনান অনলাইনে যায় নি। স্নেহা কয়েকবার কল দিয়েছিলো, পরে আদনান ফোন অফ করে রেখেছিলো। পরে ফোন অন করতেই দেখে স্নেহার ম্যাসেজ এসে রয়েছে। আদনান জানে স্নেহা কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু, তার কি করার আছে? এইসব ভাবতে ভাবতে আবার কল আসে স্নেহার। আদনান একটু সময় নিয়ে রিসিভ করে কানে রাখতেই ঐপাশ থেকে কান্নাভেজা কন্ঠে স্নেহা বলে ওঠে,
–” আদনান! তুই আমাকে এইভাবে কেন এভোয়েড করছিস? মা যে প্রশ্নগুলো করেছে তার জন্য কি আমি দায়ী?”

স্নেহার কন্ঠ শুনে আদনানের খারাপ লেগে উঠে। কষ্ট হতে থাকে। তাও নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলে ওঠে,
–” স্নেহা! আমি তোকে এভোয়েড কেন করবো? আসলে আমি একটু ব্যস্ত আছি।”

–” আজ আসলি নাহ কেন তাহলে? আমার ফোন কেন তুলিস নি?”

আদনান কিছু সময় চুপ করে থেকে বলে ওঠে,
–” স্নেহা! আসলে, আমার ফোনে একটু ডিসর্টাব দিচ্ছে বুঝলি৷ তাই রিসিভ করতে পারছিলাম নাহ। আর স্টাডির জন্য ফোন টাহ বেশির ভাগ সময় সাইলেন্ট থাকে। তাই খেয়াল করতে পারি নি। আর, এক্সামের তো বেশি দেরি নেই, আমাকে পড়তে হবে। আর তোরও বেশি বেশি পড়তে হবে। এই তিনদিনে তো বুঝে গেছিস নোট গুলো কিভাবে পড়তে হবে। ঐগুলো পড় আর যেগুলা হার্ড আমি ভিডিও করে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিবো।”

–” আদনান!”

–” শোন! আমার বাস এসে গেছে। পরে কথা বলছি। ওকে বাই।”

আদনান ফোন কল কেটে দিয়ে বাসে উঠে যায়। জানালার পাশে একটা সিটে বসে বাহিরের দিকে তাকায় আদনান। ফোন টাহ অন করে একবার স্নেহার নাম্বার টাহ দেখে নেয়। এখন কল নাহ কাটলেও আদনানের কোনো সমস্যা হতো নাহ। কিন্তু, কল নাহ কাটলে আদনান বেশি সময় নিজের খারাপ লাগা টাহ চাপা দিয়ে রাখতে পারতো নাহ। তাই কল কেটে দিছে। স্নেহা এখন কি করছে কে জানে? কান্না করছে কি? আদনান চোখ বুজে সিটে হেলান দেয়।

এইদিকে….
স্নেহা ফোন টাহ সামনে এনে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ টাহ ছলছল করছে তার। গতকাল আদনান যাওয়ার পর ডিনার নাহ করেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলো। মায়ের সাথে খুব একটা কথাও বলে নি। আদনান কে ফোন দিয়েছে, ম্যাসেজ করেছে।

মায়ের কথা গুলো স্নেহার নিজেরই খারাপ লেগেছে৷ আদনানের তো অবশ্যই খারাপ লেগেছে৷ কিন্তু তার সামনে প্রকাশ করছে নাহ। কান্না পাচ্ছে স্নেহার। মানুষটাহ তাকে এভোয়েড করছে। ভাবতেই কান্না পাচ্ছে স্নেহার। এমন সময় দরজায় আওয়াজ হতেই তাকিয়ে দেখে মিসেস. আখি হাতের দুধের গ্লাস নিয়ে এসেছে। স্নেহা একবার নিজের মায়ের দিকে তাকিয়ে আবার অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। আহিয়া রহমান গ্লাস টাহ বিছানার পাশে থাকা ছোট্ট রাউন্ড টেবিলের উপর রেখে বলে ওঠে,
–” রাতে নাহ খেয়ে ঘুমিয়েছিস, সকালে, দুপুরে ভালোভাবে খাইলিও নাহ। কি হয়েছে তোর? এমন করার কারন কি? অন্য কোনো কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বল।”

স্নেহা মিসেস. আখির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” আদনানকে এইসব প্রশ্ন করার কি দরকার ছিলো, মামনি? এইসব তো ওর পারসোনাল ম্যাটার। তুমি কেন এমন ভঙ্গিতে এইসব জিজ্ঞেস করছিলে?”

মিসেস. আখি একটু ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে,
–” তো কি করতাম? ছেলেটাহ কে প্রথম দিন দেখেই তার পোশাক দেখে কম দামি মনে হয়েছিলো। তখনই বুঝেছিলাম, তার আর্থিক অবস্থা কেমন। শুধু একটু শিওর হয়ে নিলাম।”

স্নেহা ভ্রু কুচকিয়ে বলে ওঠে,
–” ওর আর্থিক অবস্থা দিয়ে তোমার কি মামনি? তুমি ওকে কেন হ্যারেজ করলে?”

মিসেস. আখি একটু তাচ্ছিল্যপূর্ন ভাবে বলে ওঠে,
–” তোকে এইটাই বোঝানোর জন্য যে, কাদের সাথে মিশছিস তুই। এইসব বন্ধুবান্ধব দের সাথে মিশছিস তুই? তুই জানিস নাহ, তুই কোন সোসাইটি থেকে বিলং করিস? তোর বন্ধুরা হবে তোর লেভেলের। এইসব ফকির নাহ।”

–” মামনি!”

চেচিয়ে উঠে স্নেহা। কি বলছে এইসব তার মা? তারপর আবার আদনানকে নিয়ে। মিসেস. আখি স্নেহার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” দুধ টাহ খেয়ে নিস।”

কথাটাহ বলেই মিসেস. আখি চলে যায়। স্নেহা অবাক হয়ে মায়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখে একরাশ পানি ভর করে তার। তার মা এইভাবে মানুষদের বিচার করে? এইভাবে? টাকা পয়সা দিয়ে? কোনোদিন ভাবতেও পারে নি সে। আদনান কে এইভাবে অপমান করলো তার মা? যে ছেলে কে নিয়ে স্নেহা নিজের মনে একরাশ শান্তির স্থান তৈরি করে রেখেছে। সেই ছেলেকে নিয়ে তার মা এমন সব মন্তব্য করলো? ভাবতে পারছে নাহ স্নেহা।

চোখের পানি মুছে নেয় স্নেহা। হাত বাড়িয়ে একটা বই এগিয়ে নেয়। পড়তেও ইচ্ছে করতেছে নাহ। কিন্তু, পরীক্ষারও আর সময় নেই। পড়তে হবে তাকে। তাই চোখ বন্ধ করে নিজেকে একটু সামলিয়ে নেয় স্নেহা। তারপর পড়াতে থাকে। পড়ার মাঝে নিজের মন দিতে থাকে। পড়ায় মনোযোগী হতে থাকে সে।


শিশির বিছানায় শুয়ে আছে। আর বার বার ফোন চেক করছে মেয়েটাহ কি একবারও অনলাইনে আসে নি আজ? নাকি এসেছিলো কিন্তু তাকে এক্সেপ্ট করে নি? না না, এক্সেপ্ট করবে নাহ কেন? তাহলে কি অনলাইনে আসে নি? মাথায় আসছে নাহ শিশিরের।

আদনান বিছানার আর এক পাশে বসে পড়ছে। মন মেজাজ একদম ভালো নেই তার। শুধু স্নেহা কে মনে পড়ছে। কথা বলতে মন চাইছে। কিন্তু, স্নেহার সাথে কথা বলতে গেলেই তার মায়ের করা হ্যারেজ মাথায় আসছে তার। আর সেই মুহুর্তে খুব কষ্ট হয় আদনানের। কিন্তু, তার বারবিডল কে এইভাবে এভোয়েড করা কি ঠিক হচ্ছে? তার তো কোনো দোষ নেই। তাহলে? আদনান পাশ থেকে ফোন টাহ হাতে নিয়ে একবার কল লগে গিয়ে স্নেহার নাম্বার টাহ দেখে। ফোন দিতে গিয়েও ফোন দেয় নাহ আদনান। তখন কথা বলার পর স্নেহা আর ফোন বা ম্যাসেজ কিছুই দেয় নি। আদনানের অনেক খারাপ লাগছে। ফোন টাহ পাশে উল্টো করে রেখে আবার পড়ায় মন বসায় আদননা।

আহিয়া রহমান সবাইকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ডাক দেয়। আজও টেবিলে আদনান চুপচাপ খাচ্ছে। ভাইয়ের চুপচাপ থাকাটা ভালো লাগছে নাহ শিশিরের। কিন্তু, আদনানকে জিজ্ঞেস করলে বলছে পরীক্ষা নিয়ে চিন্তায় আছে। তাই শিশির আর কিছু বলে নি। সবাই খেয়ে রুমে চলে আসে। আদনান আবার পড়তে শুরু করে। শিশির ফোন হাতে নিয়ে আবার চেক করে দেখে রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট হয়েছে কি না, কিন্তু নাহ! এখনো এক্সেপ্ট হয় নি।

এইদিকে….
মাত্র বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো ছোয়া। সারাদিন আজ তার অনেক ধকল গেছে। মামার বাড়ি থেকে লোকজন এসেছিলো। মায়ের জ্বর নাহ থাকলেও শরীর টাহ বেশ দূর্বল, তাই নিজের হাতে সব সামলাতে হয়েছে। সারাদিন একটুও রেস্ট নেওয়ার সময় পায় নি ছোয়া। কিছু সময় আগে সবাই চলে যেতেই দম ফেলার সুযোগ পেলো ছোয়া।

ফোন টাহ হাতে নিয়ে দেখে জারিফা দুইটা কল দিয়েছিলো। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১২:৩০ বাজে৷ তাই আর ফোন দিলো নাহ জারিফাকে। খুব ক্লান্ত লাগছে ছোয়ার। ঘুমানোর দরকার কিন্তু ঘুম পাচ্ছে নাহ। ফোন টাহ পাশে রেখে মায়ের রুমে গিয়ে দেখে মা ঘুমিয়ে গেছে। তারপর ভাইয়ের রুমে গিয়ে দেখে তার ছোট্ট আদরের ভাইটাও ঘুমে বিভোর। ছোয়া মুচকি হেসে নিজের রুমে চলে আসে।

রুম লাইট অফ করে দিয়ে ড্রিম লাইট জ্বালিয়ে শুয়ে পড়ে ছোয়া। শরীরে ক্লান্তি থাকলেও ঘুম আসছে নাহ দেখে ফোন টাহ হাতে নিয়ে ডাটা অন করতেই বেশ কয়েকটা নোটিফিকেশন আসে ছোয়ার। ফেসবুকে গিয়ে দেখে চার জন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে তাকে। কে কে পাঠিয়েছে দেখার জন্য রিকোয়েস্ট আইকনে যেতেই চমকে বসে পড়ে ছোয়া।

এ কি দেখছে ছোয়া? শিশির তাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে। তাও সকাল বেলা। লোকটা কি ভাবছে আল্লাহ জানে। সময় টাহ আবার দেখে নিলো ছোয়া। রাত ১ টাহ বেজে গেছে। মানুষ টাহ মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। ছোয়ার খারাপ লেগে উঠে। কি করবে এখন সে? রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করবে? কিন্তু, ছোয়া যে লোকটাহ কে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। এক্সেপ্ট করলে কথা বলতে মন চাইবে। তারপর যদি নিজের অনুভূতি কে আটকাতে নাহ পারে, তখন কি করবে সে?

সে যে চাই নাহ তার এমন জীবনের সাথে মানুষটাহ কে জড়াতে। মানুষটাহ যে বড্ড ভালো। আজ আবার ছোয়ার অতীত যেন ছোয়াকে ঘিরে ধরছে। আবারও যদি একই কান্ড হয়, তাহলে বাঁচতে পারবে নাহ ছোয়া। মরে যাবে সে। ছোয়ার দুচোখ বয়ে অশ্রুর বন্যাতে ভেসে যাচ্ছে। ডাটা অফ করে শুয়ে পড়ে ছোয়া।

পারছে নাহ ঘুমাতে ছোয়া। আবার উঠে বসে কান্না করতে থাকে ছোয়া। নিজের চোখ মুছে নিলো ছোয়া। বিছানা থেকে ফোন টাহ হাতে নেয়। লক খুলে অন করে ডাটা। ফেসবুকে গিয়ে শিশিরের আইডিতে গিয়ে এক্সেপ্ট করে রিকোয়েস্ট। আবার চোখ ভিজে যাচ্ছে তার। ডাটা অফ করে, ঘুমানোর চেষ্টা করতে থাকে ছোয়া। তাকে ঘুমাতে হবে এখন। যেভাবেই হোক ঘুমাতে হবে। নাহলে তার অতীত তাকে সারা রাত তাড়া করে বেড়াবে। সারা রাত!!!

#_চলবে……….🌹

{{ ভুল, ত্রুটি সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি। 😊 }}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here