লুকোচুরি ভালোবাসা💖পর্ব:১৯

0
3207

#লুকোচুড়ি_ভালোবাসা💖
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্বঃ- ১৯

রাজ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে শুনার জন্য কি বলবে মিষ্টি। কিছু টা আনধাজ ও করতে পারছে রাজ তখন কার বিষয়ে নয়তো আচ্ছা আক্ম করলে কি বলবে? তখন রাজ কেন কিছু বলেনি এটা নিয়েই প্রশ্ন করবে আমি সিউর। মিষ্টির মুখের দিকে তাকিয়ে আছে তখন মিষ্টির ওমন কড়া কথা শুনে রাজ এটুকু বুঝতে পারছে যে মিষ্টির মনে হাজার কষ্ট অভিযোগ আমাকে নিয়ে। আমার ব্যবহারের জন্য কি এই কষ্ট হতেই পারে। সুজনের সাথে দেখা করে আমি যা বুঝেছি এতে এতো দিন আমার করা অপমানের যোগ্য ছিলো না মিষ্টি শুধু শুধু ওকে আমি ভুল বুঝে কষ্ট দিয়েছি। এটা একদমী ঠিক হয় নি আমাকে আমার ভুল সুধরে নিতে হবে। আর কখনো আমি মিষ্টি কে কষ্ট দেবো না এখন থেকে শুধু ভালোবাসা খুব তারাতারি এই ভালোবাসি কথা টা ভলে দেবো। আচ্ছা ওকি এখন ও আমাকে ভালোবাসে নাকী আমার ব্যবহারের জন্য শেষ হয়ে গেছে তা তো দেখতেই হবে। রাজ মিষ্টির দিকে তাকিয়ে এতো কিছু ভাবলো এদিকে মিষ্টি ডেকে হয়রান….

–এই আপনি কি শুনছেন আমার কথা। ওফ কি এতো ভাবছেন বলুন তো আরে শুনুন না !

–হুম বলো।

–বলতেই তো চাইছি আপনি ই তো শুনছিলেন না।

–এখন বলো।

–আপনি তুমি করে বলছেন। সত্যি আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।

–হোয়াট?

–এই যে তুই থেকে তুমি বলছেন। আবার তখন এতো কিছু বললাম তবুও কিছু বললেন না আমাকে এখন এতো শান্ত হয়ে আছেন।

রাজ চিন্তিত হয়ে ভাবছে কি বলবে জানতে এটাই হবে।

–তোমাকে কি আমার সব কিছুর কৈইফত দিতে হবে এখন!

–না তেমন না কিন্তু আপনাকে অন্য রকম লাগছে?

–এই অন্য রকম টা কি তোমার ভালো লাগছে না? আমার থেকে কি তুমি ভালো কিছু নিতে পারছো না কি চাও আবার আগের মতো হয়ে যায়। বলো যদি চাও তো……..

রাজ কথা বলছে এরমাঝেই মিষ্টি বলে উঠে,,, আমি কি পাগল নাকি আপনাকে আগের মতো হতে বলে নিজের বিপদ ডেকে আনবো। আর এমন শান্ত হওয়ার কারণে টা ও আমি জানি।

মিষ্টির মুখে জানি শুনে রাজ নরে চরে অফাক হ।য়ে তাকালো মিষ্টি ও তাকিয়ে আছে। কি জানে মিষ্টি আমি যে ওকে ভালোবাসি সেটা কি জেনে গেছে কিন্তু কি ভাবে জানলো এই খবর তো শুধু মাএ একজন জানে। মিষ্টি কিভাবে জানলো, ভাবনার মাঝে মিষ্টি আবার কথা বলে উঠলো,,,

–কি ভাবে জানলাম ভাবছেন তো? আমি কি এতো বোকা নাকি যে চোখ এরিয়ে যাবে। আমি প্রথমে সিউর ছিলাম না কিন্তু যখন মারিয়া আপু বলল তখন হালকা বিশ্বাস হয় কিন্তু আজ তো একবারে বি…..

রাজ মারিয়া নাম শুনে আকাশ থেকে পরলো মারিয়া জানলো কেমনে আমি মিষ্টিকে ভালোবাসি ওকে তো কখনো এ ব্যাপারে কিছু বলি নি।

–মারিয়া বলেছে তোমাকে।

–হুম আপুই তো বলল আপনাদের….

মিষ্টি বলতে যাচ্ছিলো এর মাঝে নিচে থেকে মামুনিরসডাক কানে এলো যার জন্য মিষ্টি কথা বাদ দিয়ে শুনতে চেষ্টা করলো কি বলছে? যা শুনলো তাতে মিষ্টি লাফিয়ে উঠলো আম্মু আর মিনা এসেছে এসব বলছে আমি তো মনে হয় ভুল শুনছি তাই মামুনি কে আবার জিগ্গেস করলাম,

–মামুনি তুমি ঠিক বলছো।

–এসে দেখে যা।

মিষ্টি একবার উপরে থেকেই দেখলো সত্যি এসেছে। এখানে এসেছে আট মাস চলছে এখন পযর্ন্ত মা কখনো আসে নি তাহলে আজ। যে জন্যই আসুক মিষ্টি আর না ভেবে দৌড়ে নিচে নেমে এলো,,,,,

রাজ হা করে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছেকি হলো কিছু মাথায় ঢুকলো না ওর।
সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলো মাথায় একটা কথায় ঘুরপাক খাচ্ছে মারিয়া জানলো কিভাবে? আর ও বলেছে মিষ্টি কে যে আমি ওকে ভালোবাসি কেমন জানি গোলমাল লাগছে।
নিচে এসে রাজ দেখলো মিষ্টি একটা মহিলা কে জরিয়ে ধরে আছে কাদছে পাশে একটা মেয়ে ও আছে দেখতে মিষ্টির মতোই। আম্মুর থেকে জানতে পারলাম এরা মিষ্টি আম্মু আর ছোট বোন। আমি সোফায় বসে ফোন টিপছি আর একবার ওদের দিকে তাকাচ্ছি ওরা আমার সামনের সোফায় বসে আছে মিষ্টির কোন দিকে খেয়াল নেই হাসি খুশি ভাবে কথা বলে যাচ্ছে মুখে হাসি কতো দিন পর হাসি দেখলাম জানা নেই। ওর হাসি বলে দিচ্ছে এদের এখানে দেখে খুব খুশি হয়ে ছে ও।

হঠাৎ ওর ছোট বোনের দিকে চোখ গেল আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি তাকাতেই ফট করে চোখ মারলো এতো দ্রুত ঘটলো যে আমি কিছু বলতে ও পারলাম না আমার চাওয়ায় অপেক্ষায় ছিলো বুঝা গেল। কিন্তু এমন করলো কেন বয়স ও তো বেশি না ১৩ কিবা ১৪ হবে। এমন করলো কেন আমি অন্য দিকে তাকিয়ে আছি ভয়ে ভয়ে আরেক বার তাকালাম এবার যা করলো আমি উঠে দাড়ালাম,,, মেয়েটা তো বহুত পাজি এবার কিনা চুমু দেখালো উঠে আর কোন দিক না তাকিয়ে সিড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। পেছনে থেকে মা ডেকে উঠলো,

— বাবুন কই যাস খাবি না। না খেয়ে চলে যাচ্ছিস কেন?

–আম্মু আমার খাবার টা রুমে পাঠিয়ে দাও।

–এসেছিস যখন খেয়ে যা না।

–ওকে পাঠাতে হবে না আমি খাবো না।

–আরে রাগিস কেন?

কথার মাঝে উচচ সরে হাসির শব্দ এলো তাকিয়ে দেখি ওই মেয়েটা হাসছে,

–এই এতো বড় ছেলেটাকে তুমি বাবু বলছো।

বলেই আবার হেসে উঠলো, আমি রাগী চোখে তাকিয়ে আছি মেয়েটার দিকে সাথে অম্মুর দিকে ও তাকালাম। আম্মুর জন্য সব সময় আমাকে এই সিসিউশনে পরতে হয় কতো বার বলেছে আমাকে এইসবে ডেকো না। এই মেয়েকে মনে চাইছে কিযে করি একে তে এতোক্ষণ যা করলো আবার এখন মেয়ে বড় পাজি এর থেকে দূরে থাকতে হবে। বোনের মতো একটু ও হয় কোথায় শান্ত শিষ্ট মিষ্টি আর কোথায় এই। মিষ্টি ওর কাছে এসে দিলো এক দমক আর মেয়ে হাসি থামিয়ে শান্ত হয়ে গেল।

–আরে ধমকাচ্ছিস কেন মিষ্টি?[ মামুনি]

–কেমন অসভ্যতার মতো হাসছে।

–থাক না বুজে নি তাই বকবি।

বুঝতে পারি নি নাকি অসভ্য মেয়ে একটা।
রাজ সিড়ি বে য়ে নিজের রুমে চলে এলো। খাবার রুমে পাঠিয়েছে রুমে খেয়ে ঘুম দিলো একটা। কিছু পরার শব্দ জেগে গেল রাজ সাথে রাগ সাত আসমানে উঠে গেল। আমার রুমে কে আছে? সহজে কেউ আসে না আমার ভকা খেতে হবে বলে তাকিয়ে দেখে ওর মেয়ে টা আর পরে আছে ফুল দানী যেটা আমার খুব পছন্দের। রাগ আর ধরে রাখতে পারলাম না চিৎকার করে উঠলাম,,,

–এই মেয়ে তুমি আমার রুমে কি করছো? আর কি করলে ইডিয়েট মেয়ে আমার পছন্দের জিনিস টা ভেঙে দিলে ডাফার, তোমাকে এ রুমে আসতে কে বলেছে বলো ইস্পিক আপ?

চিৎকার করে কথা গুলো বলল রাজ বলে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে কিন্তু সে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে কাপছে কিছু বলছে ভ য় পেয়েছে মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে। রাজ এবার নিজেকে শান্ত করলো নাহ এর সাথে বাজে বিহেভ করা যাবে না তাহলে মিষ্টির ব্যাপারে কিছু জানা সম্ভব হবে না একে কাজে লাগাতে হবে।
তার জন্য বিহেভ ও ভালো করতে হবে।

–এই মেয়ে এদিকে আসো।

কিন্তু আসছে না ওই ভাবে দাড়িয়ে আছে।

— কিহলো আসো বলছি।[ জোরে]

মিনা গুটিগুটি পায়ে এসে রাজের সামনে দাড়ালো……

চলবে❤

[১০টার দিকে আরেকটা পার্ট দেবো। দুইদিন দেয় নি আজই দুইটা পার্ট পাবেন ধন্যবাদ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here