লুকোচুরি ভালোবাসা💖পর্ব:৩২

0
2030

#লুকোচুড়ি_ভালোবাসা 💖
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্বঃ- ৩২

গাড়ি থেকে রাজ আর মিষ্টি দুজনে নেমেই অবাক হয়ে বাসার দিকে তাকিয়ে আছে পেছনে বাগানে কয়েকজন অপরিচিত লোক বাগান পরিষ্কার করছে। বাগান তো পরিষ্কার ই তাহলে আবার আজ কেন করছে আর দরজা খুলা কেন। রাজ কথা গুলো ভাবছে সাথে মিষ্টি ও পুরো বাসা পরিষ্কার কথা হয়েছে মনে হচ্ছে ভেতরের লোকগুলো সাজাচ্ছে মনে হয়। একটু এগিয়ে দেখতে লাগলো ঠিক তাই তো। বাসা সাজানো হচ্ছে কিন্তু কেন কোন অনুষ্ঠান আছে নাকি কি অনুষ্ঠান রাজ তো কিছু বলল না, এর জন্যই কি এতো তারাহুরা করে নিয়ে আশা কিন্তু রাজ আমাকে বলল না কেন, ইচ্ছে করে কিছু বলে নাই ইডিয়েট। মিষ্টি আবার পেছনে ফিরে রাজকে ডেকে কদা শুনাতে যাবে তার আগেই রাজের চিৎকার কানে এলো কাউকে ইচ্ছে মতো ঝারছে। তারাতারি মিষ্টি পিছনে ফিরলো দেখলো রাজ বাগানে চলে গেছে আর একটা লোককে বকে যাচ্ছে হাতে একটা গাছ এটা কেটে ফেলেছে বুঝি যাচ্ছে তাই এমন আমি এগিয়ে যাবো তার আগেই রাজ আমার দিকে ত।আসতে লাগলো। রেগে আছে মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে নিজের ইচ্ছে ধমিয়ে রেখে চুপ করে থাকলাম কিন্তু মনে ভিতরে আকুবিকু করছে কথা গুলো না বলে থাকতে পারবো না তাই রাজ আসতেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম তার দিকে।

–বাসায় কি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে আপনি তো আমাকে কিছু বললেন না। এই জন্যই কি এতো তারাহুরা করে আসলেন।

রাজ না বুঝার মতো করে তাকিয়ে আছে কারণে ও তো এসব কিছুই জানে না।

–এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন অবাক হয়ে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি কিছু জানেন না।

–বুঝানোর কি আছে আমি তো জানিই না সত্যি কি হচ্ছে এসব আববু আম্মু কিসের আয়োজন করছে আমাকে কিছু জানালো না কেন?

–আবার মিথ্যা বলছেন একদম মিথ্যে বলবেন না তাহলে কিন্তু ভালো হবে না। মামুনি আপনাকে না জানিয়ে কিছু টি করে না আজ বলছেন আপনাকে বলে নি সারা বাসার এতো বড় আয়োজন করছে আপনাকে না বলে এটা বিশ্বাস করবো আমি অসম্ভব।

–ওফ মিষ্টি বিলিভ মি সত্যি আমি এসবের কিছু জানি না। আর জানলে তোমার মতো অবাক হতাম বলো যাওয়ার সময় আমি আম্মুকে জিগ্গেস করেছিলাম কেন তোমাকে আনতৈ পাঠাচ্ছে কিন্তু সে বলে নি। আর এই সব তখন ছিলো না তাই এইসবের কিছু জিগ্গেস ও করি নি।

— সত্যি বলছেন তো।

–তুমি আমায় বিশ্বাস করো না একটু ও। আর তোমাকে জানালে প্রবলেম কি আমার বলো তো। কি অনুষ্ঠান বলো তো আম্মু আববু আমাকে বলল না, কেন?

— কারো জম্মদিন নাকি আচ্ছা আপনার নাতো হয়তো সারপ্রাইজ দিতে বলে নি। আজকে বা কালকি আপনার জম্মদিন।

–না আমার এই মাসেও না আর ও দুই মাস পর।

–তাহলে কি আচ্ছা মামুনি আন্কেল তাদের বিবাহ বার্ষিকী নাতো।

–নাহ মিষ্টি সেটা তো ঊনএিশ তারিখ এ আর আজ একুশ তারিখ।

–তাহলে এটা কিসের অকেশন।

মিষ্টি চিন্তা করতে লাগল আর সামনে এগুতে লাগলো।
রাজ ও পেছনে আসছে হঠাৎ রাজ কিছু ভেবে ফেলল সাথে খুশি ও হলো কথা মনে আসতেই দৌড় লাগালো মিষ্টির দিকে মিষ্টি পেছনে হাটছিল কিন্তু রাজ পেছনে ছিলো বেশি। আর কথাটা মনে আসতেই রাজ বেশি এক্মাইডেড হয়ে তারাতারি মিষ্টি কাছে গেল মিষ্টি সে পযর্ন্ত দরজা কাছে চলে এসেছে। ভেতরে ঢুকতে যাবে রাজ দৌড়ে এসে মিষ্টি সামনে দাঁড়ালো। হঠাৎ রাজ সামনে আসাতে মিষ্টি খানিকটা পিছিয়ে গেল।

— আবার কি হলো এভাবে দৌড়ে এলেন কেন? আমি তো ভয় পেয়ে গেছি এভাবে কেউ সামনে এসে দাড়ায়।

–তুমি এতো ভয় কেন পাও বুঝি না মিষ্টি। একটু তেই কী ভয় পায় বলো তো কেউ তুমি না। আচ্ছা এখন কিছু বললাম না কারণে আমি অনেক খুশি এখন। আমি যা ভাবছি তাই যদি হয় আম্মু আববু যদি সেই সারপ্রাইজ দেয়।

–কি সারপ্রাইজ কী ভাবছেন আপনি বলুন তো শুনি? আর এতো খুশি কি নিয়ে হচ্ছে আমার মাথায় কিন্তু কিছু ঢুকে নি আমি বুঝিনি কিছু। পরিষ্কার করে বলুন।

–মিষ্ঠি আমার মনে হচ্ছে আববু আম্মু আমাদের নিয়ে কিছু ভাবছে।

–মানে কি বলছেন? আমাদের নিয়ে ভাবছে মানে কি আমাদের নিয়ে আবার কি ভাববে।

মিষ্টি কিছু বুঝতে পারছে না ভ্রু কুচকে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে বুঝার জন্য কি বলছে রাজ।

–ওফ বুঝতে পারছো না। শুনো আমার মনে হচ্ছে তোমার আর আমার…….

–মিষ্টি নাকি রে হ্যা তো মিষ্টি বাবুন তোরা কখন এলি আর এখানে দাঁড়িয়ে কি বলছিস। মিষ্টি তারাতারি আয় মা একা হাতে এতো কিছু কি করা যায় বল। তাই তো সকাল সকাল পাঠিয়ে দিয়েছি তোকে আনতে। তবুও কতো দেরি হয়ে এসেছীস তারাতারি আয়।

রাজের কথার মাঝেই মামুনির এন্টি তাই রাজ কথা শেষ করতে পারলো না। মামুনি এসেই বলতে লাগলো নানা কথা আমাকে ছাড়া তিনি খুব কষ্ট ছিলেন একা নাকি বাসায় ভালো লাগে না তার উপর আবার এই আয়োজন করতে দৌড়াদৌড়ি করছেন আমি থাকলে চিন্তা মুক্ত হতে পারতো।
এক ভাবে বলে যাচ্ছে থামছেই না। রাজ এসে অফ করলো মামুনি কে তার পর জিগ্গেস করতে লাগলো।

–এসব কি আম্মু? বাসায় পার্টির এরেন্জমেন্ট করছো আর আমি কিছু জানি না আমাকে না জানিয়ে করছো। কীসের পার্টি আমাকে বলো তারাতারি।

মামুনি চুপ করে আছে কিছু বলছে না মুখে তার খুশি ও চিন্তার ছাপ। আমি একবার মামুনি ও একবার রাজের দিকৈ তাকাচ্ছি। রাজ বারবার জিগ্গেস করছে মামুনি চুপ করে আছে কিছু বলছে না। হঠাৎ বলে উঠলো, সারপ্রাইজ দেবে এখন কিছু বলবে না যা জানার কাল জানতে পারবে আজ কিছু বলবে না বলেই মামুনি আমাকে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসতে বলে চলে গেল।

রাজের দিকে তাকালাম ওকে কিছু বলে নি বলে রেগে আছে তাই কারণে ওল রাগ অনেক আবার এখন বললো না তাই রাজের দিকে তাকিয়ে আমি ৪৪০ ভোল্টেজের শক খেলাম একি এই ছেলে রেগে নাই আমার দিকে তাকিয়ে চুমু দেখেচ্ছে আমি তো চিন্তা পরে গেলাম। রাজ না রেগে এ সব কি করে করছে তাহলে ও কি সব জানে মামুনি যে বললে রাজকে সারপ্রাইজ দিবে এখন কিছু বলবে নাসতার মানে কিছু জানে না না জেনে এতো হ্যাপি কি করে থাকতে পারছে।

–আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন নাকি?

–হুম পাগল হয়ে গেছি শুধু তোমার জন্য।

— কি বলছেন পাগলের মতো? এখন কি এসব বলার সময় আপনাকে কিছু বলল না মামুনি না রেখে এইসব বলছেন।

–রাগবো কেন?

–[মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে।] রাগবেন কেন জানেন না।

–এখন নো রাখা রাগি আমার যা মনে হচ্ছে সেটাযদি সত্যি হয় তাহলে তো আমার থেকে ও তুমি বেশি খুশি হবে। কিছু না করতেই সব কিছু হয়ে যাব মনে হয়।

–কী হয়ে যাবে?

–আমাদের বিয়ে।

–বিয়ে

–ইয়েজ মাই ডেয়ার ওয়াইফ। একবার একা করেছি এবার সবার সামনে মতে করবো তার ব্যবস্থা করছে।

মিষ্টি হা করে তাকিয়ে আছে কি শুনলো ও বিয়ের কথা। মামুনিরা কি তাহলে আমাদের বিয়ে নিয়ে ভাবছে রাজ কি কিছু বলেছে।

— আপনি কি কিছু বলেছেন আমাদের কথা মামুনিদের।

–না আমি কিছু বলিনি।

–তাহলে

মিষ্টি চিন্তা পরে গেল সাথে লজ্জা এসে ঘিরে ধরলো মামুনির সামনে যাবো কেমনে মামুনি কি আমাদের দেখে বুঝতে পেরেছে আমাদের মাঝে সম্পর্কে আছে। মামুনির সামনে যাবো কিভাবে আমি।

সারাদিন মামুনির কাছে কম ঘেষলাম দূরে থেকে যা বলেছে করে গেছি।

রাতে

–কে কে

মিষ্টি আচমকা ভয় পেয়ে যায় কেউ ওর পাশে শুয়ে পরেছে আর শুয়েই ক্ষান্ত হয় নি জরিয়ে ধরেছে। প্রথম ভয় পেলে ও পরে বুঝতে পারে এটা আর কেউ না রাজ।

–ওফ ছারুন ধুম বন্ধ হয়ে গেল।

–উহহু

–ছারুন ওফ ছারুন না আপনি এখানে কেন এসেছে মামুনি আন্কেল বাসায় আছে সেই খেয়াল আছে আপনি। ছারুন আর নিজের রুমে যান।

–নরো না তো আর এতো জোরে কথা বলো না তোমার কথায় ই সবাই বুঝে যাবে। চুপ করে থাকো। আমি খুব টায়ার্ড ঘুমাবো নো ডিসটার্ব ওকে। গুড নাইট।

চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here