#লুকোচুড়ি_ভালোবাসা 💖
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি
#পর্বঃ- ৩৮
মিষ্টি ভ্রু কুচকে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে এভাবে টেনে আনলো বই পযর্ন্ত অফ করতে পারিনি। রাজ কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে কিছু বলবো না থাক চুপ থাকি দেখি কি বলে। মিষ্টি কি কিছু বললো না একটা জিনিস এগিয়ে দিলো যা দেখে মিষ্টি চোখ মুখ বড় বড় করে থাকালো,,
রাজ হাতে দুধের গ্লাস যেটা মিষ্টির দিকে ধরে আছে। আর মিষ্টি দুধ জিনিস টা একদম সহ্য করতে পারে না। চোখ মুখ খিচে ছোট্ট করে ঢোক গিলছে কিছু তেই খাবেনা এটা সন্ধ্যায় ও খাইয়েছে মামুনি জোর করে। বমি করে দিতো কিন্তু মামুনিকে মানানো গেছে অর্ধেক খেয়েছি বাকিটা না কিন্তু রাজকে কে তো আমি কিছু বলতে পারবো না।
–কি হলো নিচ্ছো না কেন? কতোক্ষণ এভাবে ধরে থাকবো তারাতারি শেষ করো তারপর ঘুমিয়ে পরবে। এতো রাত অবধি পড়ার কী দরকার সকাল হয়ে আসছে এভাবে ঘুম নষ্ট করলে অসুস্থ হয়ে পরবে তখন আর এক্মাম ই দিতে পারবে না তখন এতো পড়া কি দাম থাকবে। লেখাপড়ার সাথে শরীরের দিকে ও যত্ন বান হতে হবে তোমাকে একটু নিজের যত্ন নিচ্ছো না। ভালো করে আয়নার সামনে গিয়ে মুখ দেখেছো এক সপ্তাহে চোখ নিচে কালি পরে গেছে তোমার। ঠিক মতো খাচ্ছো না আজ ও তো রাতে খাও নি এতো বলার পর ও এখন তারাতারি এটা শেষ করো আর কোন বাহানা না পুরো টা শেষ করতে হবে।
মিষ্টি হাত মুচরাচ্ছে কিছুতেই হাতে নিবে না এটা খাবে না একে তে ক্ষিদে পেয়েছে এখন এটা খেলে বমি হয়ে যাবে। মিষ্টি নিচ্ছে না তাই রাছ এবার ধমকের সুরে বলে উঠে….
–কি হলো এভাবে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছো কেন? তাকিয়ে না থেকে যা বলছি তাই করো আমাকে আর রাগিয়ু না মিষ্টি। পরিক্ষা আর কেউ দেয় না তো শুধু তুমি একমাত্র স্টুডেন্ট তাই না।
মিষ্টি মাথা নেড়ে না জানালো,,
–তাহলে এমন করছো কেন তোমার মতো করতে আমি কাউকে দেখি নি। নিচ্ছো না কেন?
–আমি এটা কিছুতেই খাব না এটা খেলেই বমি হয়ে যাবে। আর আপনি ভালো করে জানেন যে আমি দুধ খাই না একদম বিচ্ছিরি গালে।
–কোন এক্মকিউজ শুনছিনা খাও দ্রুত না হলে ছারা পাবে না।
–অসম্ভব একবার খেয়েছি একেতে এটা আমার পছন্দ না তার উপর মামুনি সন্ধ্যায় খাইয়েছে। এখন কিছুতেই না বললাম তো খেলে বমি হবে আপনি কি চান আমি বমি করে অসুস্থ হয়ে পরি একে তো খিদে পেয়েছে।
আনমনে মিষ্টি খিদে পেয়েছে কথা টা বলে উঠে……
রাজ তো কঠিন চোখে মিষ্টির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে। ওর কানে মিষ্টি খিদে পেয়েছে কথা টা যেতে রাগে কপাল কুচকে উঠে কী অসভ্য মেয়ে খিদে নিয়ে বসে আছে। আবার খাওয়ার সময় আম্মু আমি এতো করে খেতে বললাম তখন কি বলল,,
আমার খিদে পায়নি বিকেলে খেয়েছি আর খেতে পারবো না।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকিয়ে ছিলো রাজের হঠাৎ কঠিক চেহারা দেখে মিষ্টির ভয় হতে লাগে এতোক্ষন রাগ নিয়ে কথা বললে ও এতো রাগি লাগে নি। এখন এমন করে রেখেছে কেন?
–কি হয়েছে আপনার এরকম করে রেখেছেন কেন মুখটা। আগের মতো কি ভয়ংকর লাগছে?
— মিষ্টি তুমি কোন কথা বলবে না আমি প্রচণ্ড রেগে আমি এতোটা রেগে আছি আমার এখন কি করতে মন চাইছে জানো তুমি।
–কি?
–থাটিয়ে একটা চর মারতে মন চাইছে তোমার গালে এতোটা কেয়ারলেস কেন তুমি? ডিনারের জন্য যখন ডাকলাম কি বলেছিলে আমার খিদে নেই অথচ, এখন বলছো তোমার খিদে পেয়েছে তার মানে ইচ্ছে করে তুমি খাওনি। এমন কেন করছো কি করেছি তোমার
আমি এভাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছো কেন?
–আপনি আমাকে মারবেন। এটা করতে পারেন না আগে কিছু ছিলাম না তাই কিন্তু এখন ও।
–এখন আবার কি হয়েছে আর মারতে পারিনা। আগের মার গুলো ভুলে গেছ তাইনা তোমাকে।
–কি তোমাকে আগে মেরেছেন কিছু বলিনি কিন্তু এখন এমন কিছু থেকে দূরে থাকুন না হলে বউ নিযাতনের জন্য আমাকে আমি….
–কি বললে নির্যাতন আমি তোমায় নির্যাতন করি। ওকে তোমার এই কেয়ারলেসের জন্য মারাটা নির্যাতন হো তাহলে তাই করবো।
মিষ্টি হা হয়ে তাকিয়ে আছে এই ছেলে একটু ও শুধরাবে না সাথে সাথে মনের কথায়ই জ্বিভ কাটলো,,
এই ছেলে কেন বলছি এটা তো আমার একটা মাএ হাজবেন্ট এই ছেলে বলাটা একেবারে বেমানান। উনি কি পাগল হয়ে গেল নাকি কি বলছে কষ্ট উনাকে কখন কিভাবে দিলাম। কি সব আবুল তাবুল বলছে।
–আবার বিড়বিড় করছো তুমি?
–কই না তো,,,, আপনি কি বলছেন আপনাকে কখন কষ্ট দিলাম না খেলে তো কষ্ট আমার হবে তাই না।
–হুম কিন্তু তুমি একা না আমার ও হবে।
–মানে
–এতো মানে বুঝাতে পারবো না দুষ্টু মিষ্টি বউ আমার। চলো,,
–কোথায়, আরে এভাবে টানছেন কেন আর বাইরে কোথায় যাচ্ছে ছারুন হাত। ওফ ছারুন না।
–কথা কম। আর ঠিক মতো হেটে আসো হাটছো না বলেই মনে হচ্ছে টানছি।
মিষ্টি রাজের কথায় হাটা ধরলো রাজ একা হাতে দুধের গ্লাস আরেক হাত দিয়ে মিষ্টি কে টেনে নিচে নিয়ে যাচ্ছে। পরনে কালো টাউজার আর হাতে খয়রি গেন্জি পরে আছে। খয়রি রং এ অপূর্ব লাগছে মিষ্টি যাচ্ছে আর হা করে রাজকে দেখছে আর ভাবছে এই লোকটা শুধু আমার হ্যা আমার ভাবতে খুশিতে মনটা নেচে উঠছে। রাজ তাকে আজ আর পরতে দিবে না বুঝেছে মিষ্টি সকালের জন্য কিছু পড়া রাখে না সব রাতেই শেষ করতে চাই তাই এখন ও জেগে ছিলো। কিন্তু হলো না রাজের এন্টি শুরু। রাজ নিচে ডায়নিং টেবিলের কাছে এসে হাত ছেড়ে দিলো তারপর দুধের গ্লাস টেবিলের পাশে রেখে আমাকে নিয়ে চেয়ারে বসালো।
–এখানে নিয়ে এলেন কেন?
–খাবে বলে।
–মানে আমি এখন খাবো না।
–খাবি না আবার এবার সত্যি মারবো কিন্তু। চুপচাপ খেতে বসবে।
মিষ্টি আর কথা বাড়ালো না ওর সত্যি খিদে পেয়েছে কিন্তু তবুও খায়নি। আসলে খেতে চেয়েছিল খেতে পারেনি। বিকেলের দিকে মামুনি জোর করে খাইয়ে দেয়। আবার সন্ধ্যায় দুধ হাফ খেলে ও খেয়েছে তাই দশটায় যখন সবাই খত বসে আমাকে জিগ্গেস করলে পেট ভরা বরা লাগে না করে দেয়। আর পড় নিয়ে বেশি বিজি ছিলাম দুপুরে খাওয়া বিকেলে মামুনি খাইয়ে দিয়েছে তাই আর রাতে খাইনি পড়ার ছিল পেট আমার ভরায় লেগেছে। পরতে পরতে ঘুমে জোকে পরি আর ধরফরিয়ে উঠে দেখি দশ মিনিট ছিলাম তাই ঘরির দিকে তাকায় একটা বাজে। এখন পেটে হাত চলে যায় হ্যা ঠিক ধরেছে এখন খিদে পেয়েছে কিন্তু এতো রাতে একা একা আর খেতে ইচ্ছে হয় না সবাই কি ভাবে। বলবে তখন ডাকলাম খেলো না এখন আবার সবার পরে খাচ্ছে নিজের কাছে লজ্জা লাগলো খাওয়া থেকে বিরত থাকলাম খাব না ঠিক করলাম।
রাজ খাবারের পিলেট সামনে দিয়ে আরে চেয়ার আমার পাশে ঘেষে বসে খেতে বলে। কিন্তু একটু হাত দিয়ে খেতে মন চাইছে না এই এক সপ্তাহে মামুনি আমাকে খাইয়ে দিয়েছে হাত দিয়ে খেতে না খেতে এখন পেটে খিদে থাকলে ও খাচ্ছি না। যদি রাজ খাইয়ে দেয় সেই আসায়। রাজ তো বিরক্ত হয়ে বকে যাচ্ছে হাত দিতে বলছে আমি হাত উঠাছি না।
–কি হলো এমন করছো কেন? হাত কই লুকিয়ে রেখেছো বের করো আমি খাও।
হাত টেবিলের তশে দিয়ে রেখেছি বের করছি না।
–তুমি আমাকে এতো জালাও কেন মিষ্টি খাবে না?
এবার মিষ্টি মুখ খুলল আগে ও কিছু হলেই খাইয়ে দিতো কিন্তু আজ কেন দিচ্ছে না এতো বার বলছে না বলে খাইয়ে দে না। কিন্তু রাজ ভুলে ও সে কথা বলছে না। এবার মিষ্টি লজ্জার মাথা খেয়ে বলল,,
— এতো বার বলছেন খেতে খাইয়ে কেন দিচ্ছেন না।আমার হাত দিয়ে খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না সেটা কী বুঝতে পারছেন না। আগে তো একটু কিছু হলেই খাইয়ে দিতেন আর এখন। কালো হয়ে গেছী একটু আগেই বলেছেন তার মানে কি আপনি এখন আর আগের মতো ভালোবাসেনা আমাকে। চর মারতে চান সেই আগের রুপে চলে এসেছেন।
মিষ্টি কাদোকাদো মুখ করে তাকালো রাজের দিকে রাজ অসম্ভব রাগ নিয়ে তাকিয়ে আছে মিষ্টির দিকে। সব সময় এক কথা ভালোবাসেন না আজ এটা শুনতেই রাগটা চরাও হয়ে উঠেছে রাজের রাগে রাজ মিষ্টির চেয়ার টেনে একদম কাছে নিয়ে এলো মিষ্টি মাথাটা কাছে টেনেই এমন একটা কাজ করে ফেলল যে মিষ্টি ঘটনা আকষমিক হতদম্ভ হয়ে গেল। ঠোটে হাত দিয়ে চোখের জল ফেলছে এটা করবে মিষ্টি কল্পনা ও করেনি। কষ্ট হচ্ছে রাজকে বলেছিল এখন যাতে কিছু না করে কিন্তু রাজ,, মিষ্টির চোখ দিয়ে নোনা জল পরছে।
রাজ রাগে কি করেছে বুঝতে পেয়ে নিজেকে ছোট্ট মনে করছে। এটা কি করে ফেলল এভাবে ওর বিশ্বাস ভেঙে ফেললাম এখন কি হবে মিষ্টি কি আমাকে ক্ষমা করবে,
–মিষ্টি আই আম সরি আমি ইচ্ছে করে করি নি বি লিভ মি। তুমি বারবার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন করো যা আমি মেনে নিতে পারিনা। তোমাকে কতোটা ভালোবাসি জানো তো বলো তাহলে কেন সন্দেহ করো বারবার।
মিষ্টি রাজের দিকে তাকাচ্ছে না রাজ কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। মিষ্টি দু গালে হাত দিয়ে,
–প্লিজ জান সরি আমি ইচ্ছে করে করিনি তোমাকে কখন এভাবে টাচ করতে চাইনি কিন্তু আজ কি করে ফেললাম আমি নিজেই বুঝতে পারিনি।
মিষ্টির দিক থেকে কোন সারা শব্দ নেই রাজ কি করবে ও পাগলের মতো এটা ওটা বলে যাচ্ছে মিষ্টি কি ওর সাথে কথা বলবে না আর। ভাবতেই বুক কেপে উঠে না এই মেয়েটাকে খুব ভালোবাসে ও কি ভুলে বুঝে সরে যাবে তাহলে রাজের কি হবে। মরে যাবে।
হঠাৎ মিষ্টি রাজের ভাবনার মাঝেই রাজকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে কান্না করে দেয়।
রাজ কিছু বুঝতে পারছে না মিষ্টি কান্না কারণ ওই জন্য কী রাজ মিষ্টিকে ধরে, আর ও কয়েকে বার সরি বলতে থাকে এমন কখনো করবে না বলতে থাকে। মিষ্টি হঠাৎ মাথা উচু করে রাজের মুখের দিকে গভীর ভাবে তাকায় রাজের চোখে পানি। ওর জন্য কাদছে কি এমন করছে যার জন্য আমি রাগ করে ওকে কষ্ট দিচ্ছি। এঈ তো আমার স্বামী তার সম্পূর্ণ অধিকার আছে টার্চ করার তবুও রাজ আমার কথার মূল্য দিয়ে নিজেকে দূরে রেখে। এবং চেষ্টা ও করেছে আর আমি তার এই ভালোবাসা বার বার ভুলে কষ্ট দেয়।
মিষ্টি দুহাত রাজের গালে রেখে চোখের পানি মুছে দেয়। সাথে সাথে রাজ আবার সরি বলে উঠে,,
মিষ্টি রাজে মুখে হাত দিয়ে আটকে ধরে,,
—–চুপ আর না আমি সরি। আপনাকে বুঝতে পারিনা সরি ক্ষমা করে দেন আমি কিছু মনে করি নি আপনি আমাকে টার্চ করতে পারেন কিছু বলবো এতে আপনার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।
—-এভাবে বলো না জান আমি কষ্ট পাচ্ছি তোমার কথা রাখতে পারলাম না। আর অধিকার সেটা আমি কখনো দেখাবো না জান তুমি না চাইলে কখনো তোমার কাছে আসবো না কিন্তু আমাকে ভুল বুঝো না আমি,
–বলছি না সাফাই দিতে হবে না। আমার কিন্তু খিদে পেয়েছে এবার ছারেন খাবো।
–ওকে দাড়াও খাঈয়ে দিচ্ছি।
বলেই রাজ মিষ্টি কে ছেড়ে খাবার পিলেন হাতে নেয়। মিষ্টি নিতে চাইলে নিতে দেয়না। একলোকমা ভাত মাখতে গিয়ে হাত জ্বলে উঠে ওর কিন্তু মুখে হাসি নিয়ে মিষ্টি মুখে ভাত এগিয়ে দেয়। মিষ্টি ভাত নেয় কিন্তু ভাবে রাজ তখন তাহলো খাইয়ে দিল না। অবশ্য আমি খাইয়ে দিতে বলে চুপ ছিলাম কখন এক নাগাড়ে আজেবাজে বকে গেছি রাজ তো তার পর যা করলো। খুশি মনে খাচ্ছে আর এদিকে রাজের হাতে জ্ফলে পুরে শেষ মিষ্টি কে বলতে ও পারছে না ওর হাতে কাটা আছে। মিষ্টি জানে না কারণে হাতে ব্যান্ডেজ করেনি মিষ্টি বুঝে যাবে যে কিছু হয়েছে হাতে তাই এই ব্যবস্থা। এইজন্য খাইয়ে দিতে চায়নি। কষ্ট সহ্য করছে রাজ দাতে দাত চেপে। খাওয়ানো শেষের দিকে এবার আর রাজ চুপ থাকতে পারলো না আহ করে উঠলো,,
মিষ্টি সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া অফ করে দেয় ও তো বেশি জোরে কামড় দেয়নি হালকা করে দিতেছে এতে রাজ এমন করে ব্যাথায় কুকরে উঠলো কেন। এই কাজ তো মিষ্টি আগেও করেছে রাজ আঙুল নিজের মুখের কাছে এনে ফূ দিতে লাগলো মিষ্টি ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে। হতের দিকে রাজ ফূ দিয়েই হাত ওই ভাবেই ব্যাসিং চলে গেল মিষ্টি বুঝতে পারছে না কি হয়েছে এভাবে গেল কেন। আমার কামড় কি এতো জোরে লেগেছে যে উনি এভাবে গেলেন মিষ্টি ও রাজের পেছনে গেল হাত ধুয়ে ফূ দিচ্ছে। মিষ্টি কে আসতে দেখেই রাজ হাত লুকিয়ে ফেলে।
–মিষ্টি তুমি এখানে কেন আমি তো হাত ধুতে এলাম তুমি কেন এলে।
—-আপনি এভাবে চলে এলেন কেন হাতে কি বেশি জোরে লেগেছে আমি তো এতো জোরে দিতে চাইনি দেখি কেটে গেছে কি?
—তেমন না একটু তরকারি ছিলো তো তাই একটু লেগেছে চলো।
–না দেখি আগে আমাকে হাত দেখান লুকিয়ে রেখেছেন কেন?
রাজ হাত দেখাচ্ছেনা দেখে মিষ্টি সন্দেহ হয় আবার তা বাদ দিয়ে দেয় রাজ কষ্ট পায় ওইসব বললে।
মিষ্টি আর কিছু না বলে হাত টেনে নিলো আর যা দেখলো তাতে আতকে উঠলো,, কি জখম হাতে কেটে গেছে দুই আঙুল এ আবার তালুতেও আছে এভাবে কাটলো কিভাবে আমার কামড় তো আঙুল এ দিয়ে ছি তাহলে তালুতে আসলে কি করে। মিষ্টি ভ্রু কুচকে তাকায় রাজ কি বলবে তা ভেবেই মাথা নষ্ট কি বলবে মিষ্টি কে?
চলবে❤