লুকোচুরি ভালোবাসা💖পর্ব:৯

0
3636

#লুকোচুড়ি_ভালোবাসা💖
#লেখিকা: তানজিনা আক্তার মিষ্টি ( Tanjina Akter Misti)
#র্পব- ৯

— আপনি আমাকে একা রেখে চলে যাবেন না প্লিজ আমি একা বাসায় ফিরবো কেমনে?

— ফিরবে কিভাবে মানে যে ভাবে আসলে সেভাবে।

— আপনি চলে গেলে সেভাবে কি করে যাব?

— সেভাবেই যাবে শুধু আমি থাকবো না বাইরে থেকে তুমি গাড়ি নিয়ে চলে আসবে। আমার তো আর তোমার জন্য কোচিং শেষ হওয়া পযর্ন্ত বসে থাকা পসিবল না।

— হুম তা জানি কিন্তু আমার তো ভয় করছে আমি রাস্তা ভুলে যাব নিশ্চিত।

— হুয়াট রাস্তায় কেন ভুলবে?

–দেখুন আমি শহরে একদম প্রথম বার এসেছি এর আগ ছোট থাকতে আববুর সাথে এসেছিলাম তারপর আর আসা হয় নি। গাড়িতে আপনার সাথে এসেছি তাই আমি রাস্তা ঠিক রাখি নি এখন রেখে গেলে আমি ভুল রাস্তায় চলে যাব। প্লিজ রেখে যাবেন না?

— আর ইউ ম্যাড তুমি কি বলতে চাইছো আমি দু ঘন্টা তোমার জন্য ওয়েট করে থাকি? ঠিক আসতে পারবে? বাই টেক কেয়ার!

বলেই আমার কথার অপেক্ষা না করে বাই বলে যেতে নিলো আমি হা করে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে
আছি।

💙

রাজ ফোন কানে নিয়ে কথা বলতে বলতে হেটে চলেছে আর ভাবছে মেয়েটা একেক সময় একেক রুপ একবার রেগে রাগিনী হয়ে যায় আবার এখন ভীতু হয়ে গেছে ও কি সত্যি হারিয়ে যাবে। এতো বড় মেয়ে সে সামান্য কারণে কান্না কান্না মুখ করে ফেলেছে। রাজ মিষ্টির ভীতু চেহারার কথা ভাবছে খুব সুইট লাগছিল দেখতে।

কথা গুলো ভাবছে আর মুচকি হেসে লিফটের ভেতরে যাবে এমন সময় ঝরের গতীতে মিষ্টি দৌড়ে হাত টেনে ধরলো আচমকা ঘটনায় ভয় পেয়ে যায় রাজ এমন ভাবে দৌড়ে আসার কারণ কি?

— দাড়ান আমাকে রেখেই তো ঢুকে যাচ্ছে নিয়ে জান?

–হুয়াট যাবে মানে তোমার না ক্লাস আছে।

— নাহ নেই আমার ক্লাস বিকেলে !

— মিথ্যে বলছো না তো একা যেতে ভয় পাও বলে।

— না মিথ্যে বলছি না বিশ্বাস না হলে জিগ্গেস করে আসতে পারেন।

রাজ বিশ্বাস করলো মিথ্যে বললে জিগ্গেস করতে বলতো না। রাজ বিশ্বাস করে নিল কথা।
মিষ্টি রাজের সাথে লিফটে উঠে পরলো…..

মিষ্টি সারা রাস্তায় জিগ্গেস করে করে সব চিনে এসেছে সিড়ি ও দেখে এসেছে সেখানে দিয়ে আশা যাওয়া করবে মিষ্টি দেরি হলে হবে এসবে উঠবে না ভয় করে ওর।

রাতে
মামুনির সাথে গল্প করলাম সব কিছু নিয়ে আজকের বিষয়ে।

💙

একাই এলাম কোচিং করতে আজ।
গেটের কাছে দাড়িয়ে আছি সব কিছু দেখতে দেখতে ভেতরে ঢুকছি হঠাৎ কেউ ধাক্কা দিলো তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে দৌড়ে আসায় খেয়াল করে নি আমি তাকাতেই সরি বলল। তারপর মেয়েটি আমার থেকে দ্রুত গতিতে চলে গেল। ব্যস্ত খুব এমন ভাবে গেল আমি ধীরে সুস্থ সিড়ি বেয়ে এলাম। ক্লাসে ঢুকেই সব অচেনা মেয়ে ছেলে বসে আছে। আমাকে দেখে সবাই ভূত দেখার মতো করে তাকালো সবাই সবার এমন ভাবে তাকানোতে লজ্জা লাগছিল আমি মাথা নিচু করে সিট খুজতে লাগলাম পেছনের দিকের একটা সিট বসে পরলাম পাশে কেউ আছে খেয়াল না করে ই। হঠাৎ মনে হলো কেউ পাশে আছে তাকিয়ে দেখি এটা তো সেই মেয়ে যার সাথে ধাক্কা লেগেছিলো।

মেয়েটি ও আমাকে দেখে অবাক হলো এখানে দেখে। দুজন অবাকের সীমা পেরিয়ে পরিচিত হলাম খুব ভালো মেয়েটি নাম কোয়েল। প্রথম দিনেই ফ্রেন্ড হয়ে উঠলাম।
ছুটির পর আমাকে নিয়ে নিচ তালার দোকান এলো কি বলে কিনবে আমি যেতে চাইলে অনুরোধ করে রেখে দিলো পাচঁটা পনেরো য় ওর হলো পনেরো মিনিট ছিলাম।

সরি বলে চলে গেল আমার জন্য দাড়াতে চেয়েছিল কিন্তু গাড়ি আসায় আমি ই বলেছি চলে যেতে। এখন সাড়ে পাচঁটার উপরে বাজে।

কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না যা পাচ্ছি সেগুলো থামছে না ভরা একদম।

কিছুদূর হার্ট দিলাম হেটে যাওয়া সম্ভব না কিন্তু এগিয়ে যদি গাড়ি পায় তাই।হেটে যে আসতে আসতে কখনো নিরিবিলি জায়গায় এসেছি খেয়াল ই করিনি এবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ছয়টা পনের বাজে আশে পাশে অন্ধকার হয়ে আসছে গাড়ি ও পাচ্ছি না। কোন বিপদে পরলাম।

হঠাৎ পেছনে কিছু লোকের আওয়াজ পেলাম বাজে কথা বলছে আমি হাটার গতী বাড়িয়ে দিলাম। তারা আমাকে থামতে বলছে আমি থামছি না উষ্ঠা খেয়ে বসে পরলাম তারাতারি করতে গিয়ে উষ্টা খেয়েছি। এবার ছেলে গুলো আমার কাছে এসে গিরে ধরলো আমি বসে তাদের দিকে তাকিয়ে আছি আশেপাশে কেউ নেই। ভয়ে আমার আত্মা শুকিয়ে আসছে এখন কি করবোএরা তো ঘিরে ধরলো কোয়েলের সাথে কেন দেরি করলাম এখন কি বাচাবে আমাকে? আমি উঠে দাড়িয়ে গেলাম সবাইকে বলছি ছেড়ে দিতে তারা আমার পথ ছারছে না একজন আমার হাত ধরতে এগিয়ে আসতে লাগে আমি কি করবো না ভেবে ব্যাগ দিয়ে বারি মারি। চিৎকার করছি আমি লোক ডাকছি কেউ যাতে আসে দৌড়ে এগিয়ে গেলাম।

চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here