শরতের বৃষ্টি পর্ব-২০

0
2276

#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–২০

সুন্দর সকাল। ডাইনিং টেবিলে বসে নাস্তা করছেন আমিনুর রহমান। নিজের স্ত্রীর সাথে কথা বলতে বলতে খাচ্ছেন। আমিনুর রহমানের খাওয়াও প্রায় শেষ। আজ শুক্রবার তাই আঁখি আর আতিক এখনও ঘুম থেকে উঠেনি। আমিনুর রহমানেই ডাকতে নিষেধ করেছেন। তিনি ছেলে মেয়েদের অনেক সুযোগ দিয়েছেন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা সকলের শরীরের জন্য ভালো। মাঝে একটু ছাড় দেওয়া খারাপ কিছু বলে মনে করেন না তিনি। মিসেস রোকেয়া রহমান ডাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমিনুর রহমান নিষেধ করে বললেছেন প্রতিদিন ওরা সকালে ওঠে আজ একদিন ঘুমাক। আমিনুর রহমান খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু খবর দেখতে বসলেন। এর মাঝেই কলিং বেল বেজে উঠলো। মিসেস রোকেয়া রহমান একটু অবাক হলেন। এই সময়ে কে আসতে পারে? তবুও তিনি অতটা না ভেবে উঠে গিয়ে দরজা খুললেন। দরজার বাইরে আশিকুর রহমান আর নুরজাহান বেগম হাসি মুখে দাড়িয়ে আছেন। রোকেয়া রহমান তাদের দেখে একটু অবাক হলেন। তারা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া উপরে আসেন না। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে তাদের সমস্যা হয়। ড্রইংরুম থেকে আমিনুর রহমান জোরে নিজের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন।

“আঁখির মা! কে এসেছে?”

তিনি স্বামীর প্রশ্নের উওর দিলেন না। মুচকি হেসে আশিকুর রহমান আর নুরজাহান বেগমকে উদ্দেশ্য করে বললেন।

“বাইরে দাড়িয়ে আছেন কেনো? ভিতরে আসেন! ভিতরে আসেন ভাবি!”

মুচকি হেসে কথাটা বলতে বলতে ভিতরে গিয়ে স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বললেন।

“দেখো কে এসেছে! নিচ তলার ভাই ভাবি এসেছে।”

আমিনুর রহমান কথাটা শুনে মুচকি হেসে সামনে তাকালেন। আশিকুর রহমান মুখে হাসি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আমিনুর রহমান টিভি অফ করতে করতে বললেন।

“আরে ভাই বসুন! আমাদের বাড়িতে আবার বসতে বলা লাগে? আসবেন আর নিজের বাসা মনে করে বসে পড়বেন। সংকোচের কি আছে?”

“আরে না! সংকোচের কি আছে? এই বিল্ডিংয়ের সবাই তো আত্নীয়র মতো।”

মুচকি হেসে কথাটা বলতে বলতে সোফায় বসলেন আশিকুর রহমান। পাশে নুরজাহান বেগমও বসলেন। রোকেয়া রহমান মুচকি হেসে বললেন আপনারা গল্প করেন আমি আসছি। কথাটা বলে তিনি রান্না ঘরে চলে গেলেন। এখানে তারা বিভিন্ন বিষয় কতাবার্তা বলছেন। কিছুক্ষণ পর রোকেয়া রহমান রান্না ঘর থেকে ট্রে হাতে ফিরে এলেন। ট্রে টা টি টেবিলের উপর রেখে স্বামীর পাশে বসে পড়লেন। নুরজাহান বেগম হাসতে হাসতে বললেন।

“এসবের কি দরকার ছিলো ভাবি? শুধু শুধু কষ্ট করতে গেলেন কেনো?”

“এটুকে আর কিসের কষ্ট ভাবি? মহিলাদের সারাদিন কত কাজ করতে হয়। এতো তার তুলনায় খুবেই সামান্য!”

“ঠিক বলেছেন ভাবি! সারাদিন ঘরের কাজ করতে করতে আমরা হাপিয়ে যাই। তার তুলনায় এটা কিছুই না।”

রোকেয়া রহমানের কথা শুনে নুরজাহান বেগমও তার সাথে তাল মিলালেন। আশিকুর রহমান আমিনুর রহমানের দিকে তাকিয়ে বললেন।

“এই নাও শুরু হয়ে গেছে এদের কাজের হিসাব। আরে ভাই আমরাও তো করি নাকি? তা না এরা সারাদিন বলে বেড়ায় ওরা কাজ করে দুনিয়া উল্টে ফেলছে৷ আরে এরাই যদি সব করে আমরা সারাদিন কি করি?”

আশিকুর রহমানের কথা শুনে নুরজাহান বেগম চোখ পাকিয়ে তাকালেন। আমিনুর রহমান হাসতে হাসতে বললেন।

“বুঝতে হবে ভাই! দেশে প্রধান মন্ত্রীই মহিলা। শিক্ষা মন্ত্রী মহিলা! তাই এদের রাজত্বই বেশি।”

কথাটা বলেই হেসে উঠলেন আমিনুর রহমান। তার কথায় সবাই হাসলো। নুরজাহান বেগম কিছুক্ষণ পর সবার মাঝে সিরিয়াস হয়ে বললেন।

“আমরা একটা দরকারী কথা বলতে এসেছি ভাই! আসলে আমারা এত তাড়াতাড়ি আসতাম না কিন্তু নিপার সাথে আর পারলাম না। ওর জ্বালায় এখনেই আসতে হলো।”

কথাটা শুনে রোকেয়া রহমান অতটা অবাক হলেন না। তিনি আগেই বুঝেছেন তারা কোনো জরুরি কথা বলতেই এসেছে। আমিনুর রহমান একটু অবাক হলেন। নুরজাহান বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেন।

“কি কথা ভাবি?”

নুরজাহান বেগম জোর পূর্বক হেসে স্বামীর দিকে তাকালেন। মানে তাকে বলতে বলছেন। আশিকুর রহমান মুচকি হেসে বললেন।

“আমার ছেলে নিরব কে তো আপনারা দেখেছেন। কদিন আগেই বাড়ি ফিরেছে। পুলিশ অফিসার এবার এই এলাকায় বদলি হয়েছে এখন থেকে এখানেই থাকবে।”

নিরবের কথা বলায় রোকেয়া রহমান আর আমিনুর রহমান একটু বুঝে গেলেন কি বলতে এসেছে তারা। আমিনুর রহমান উৎসাহ নিয়ে মুচকি হেসে বললেন।

“হ্যাঁ নিরবকে তো আমি দেখেছি। ওইদিন আমার সাথে ওর কথাও হলো। যথেষ্ট ভদ্র, অমায়িক সুন্দর করে কথা বলে।”

আশিকুর রহমান বলতে সংকোচ করছিলো তবুও তা সাইডে রেখে বললো।

“আমরা ওকে এবার বিয়ে করাতে চাচ্ছি। নিরব ওইদিন আঁখি মাকে দেখেছে। ওর নাকি খুব পছন্দ হয়েছে। নিপাকে কথাটা বলেছে নিপাও অনেক পছন্দ করে আঁখি কে। তাই আর দেরি করলাম না। শুভ কাজে দেরি করে লাভ কি? যদি আঁখি মাকে নিরবের জন্য আমাদের দিতেন ভালো হতো।”

কথাটা শুনে মিসেস রোকেয়া রহমান স্বামীর দিকে তাকালেন। তিনি গম্ভীর হয়ে বসে আছেন। রোকেয়া রহমান ভাবছেন তার স্বামী কি বলতে পারে। তিনিও নিরবকে ওইদিন ছাদে দেখেছেন। কাপড় চোপর ছাদ থেকে আনার সময় নিরব তাকে সাহায্য করেছিলো। নিরবকে তার খুবেই পছন্দ হয়েছে। তার ভাবনার মাঝেই আমিনুর রহমান বলে উঠলেন।

“আমি এখনেই কিছু বলতে পারছি না ভাই। আমার একটাই মেয়ে। ও বড় হয়েছে ওর নিজেরও মতামতের ব্যাপার আছে। তারপর ওর পড়ালেখাও শেষ হয়নি।”

আমিনুর রহমানের কথাটা শেষ হওয়ার আগেই নুরজাহান বেগম তাড়াহুড়ো করে বললেন।

“পড়ালেখা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আঁখি যতদূর পড়তে চায় পড়বে। এতে আমাদের সমস্যা নাই। পড়ালেখা করাটা তো ভালো কাজ!”

” তবুও ওকে জিজ্ঞাসা করে, একটু ভেবে তারপর আপনাদের জানাই কেমন?”

আমিনুর রহমানের কথাটা শুনে আশিকুর রহমান তৃপ্তির হাসি দিলেন। নুরজাহান বেগম একটু হতাশ হলেন। যদি না বলে তো তার ছেলে কষ্ট পাবে। তারা কিছুক্ষণ কথা বলে চলে গেলেন। তারা যেতেই মিসেস রোকেয়া রহমান স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন।

“তোমার কি মতামত বলো তো? আমার কাছে তো ভালোই মনে হয়। নিরব যথেষ্ট ভদ্র, শিক্ষিত আর ভালো জবও করে। সব দিক পরিপূর্ণ আছে। ওর মা বাবা বোনও খুব ভালো। তাছাড়া আমাদের নিচ তলার ফ্লাটেই থাকে। মেয়েটা কাছে কাছেই থাকবে। বিপদে আপদে দেখতে পারবো। দিনে অন্তত একবার দেখতে না পারলেও সপ্তায় তো দেখা পাবো। এর মতো ভালো প্রস্তাব আর পাবে না। আমার মনে হয় হ্যাঁ বলে দিলেই পারতে।”

আমিনুর রহমান বেশ গম্ভীর। তিনি হুটহাট সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন না। সব কিছু ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। আর বিয়েটা কোনো একদিনের বিষয় না। তার মেয়ের সারাটা জীবনের প্রশ্ন। যদি ভুল মানুষের হাতে চলে যায় তবে জীবন বরবাদ হয়ে যাবে। তিনি নিজের মেয়ের কাছে দোষী হয়ে থাকতে চান না। তিনি নিজের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললেন।

“এটা আঁখির জীবনের প্রশ্ন। ওর কাছে না জিজ্ঞাসা করে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিবো না। ও যথেষ্ট বুদ্ধিমাতী! বিয়েতে ওর মতামত সবার আগে দরকার। যেনো ভুল হয়ে কাউকে দোষারোপ করতে না পারে। বুঝেছো? এবার আঁখি আর আতিককে ডাকো। দশটা বাজতে চললো। খাওয়া শেষে আঁখি কে আমার রুমে পাঠিও!”

কথাটা বলে আমিনুর রহমান নিজের রুমে চলে গেলেন। আজ শুক্রবার একটু পড়াশোনা করতে হবে। পড়ালেখার কোনো বয়স নাই। শিক্ষা অর্জন টাই জরুরি। রোকেয়া রহমান বিরক্ত চোখে স্বামীর দিকে তাকালেন। তার এই বেশি আদিখ্যেতা তার ভালোলাগে না। তিনি ভাবছেন আঁখি কি বলবে? যদি না করে দেয়? তিনি আর ভাবলেন না। কপাল কুচকে ছেলে মেয়েকে ডাকতে গেলেন।

—————————-

সাজ্জাদদের বাড়িতে সকাল থেকেই চলছে রান্নার আয়োজন। মিসেস শাহনাজ কাজে মহা ব্যস্ত। আশরাফ খানের বন্ধু আসবে বলে কথা। তিনি চান না আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি হোক। মেহমানের ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন। তিনি মেহমানদারী করতে পছন্দ করেন। সবঠিক মতো হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করতে রান্নাঘরে গেলেন। রান্না ঘরে মিসস শাহনাজ ও দুজন কাজের লোক কাজ করছে। সাদিয়া বড় আদরের তাই রান্না ঘরে আসেনা বললেই চলে। তবুও সাদিয়া এসেছিলো কিন্তু মিসেস শাহনাজ ওকে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনি কখনই নিজের মেয়েকে দিয়ে কাজ করাতে চান না। অনেক ভালোবাসেন সন্তানদের। মিসেস শাহনাজ রান্না করছে আর দুজন তাকে সাহায্য করছে। মিসেস শাহনাজ একেবারে ঘামিয়ে গেছেন। যদিও হালকা হালকা শীত পড়ছে তবুও চুলোর তাপে ঘেমে একাকার। তবুও কোমড়ে আচল গুঁজে রান্নায় ব্যস্ত তিনি। আশরাফ খান নিজের স্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে বললেন।

“তুমি একেবারে হাঁপিয়ে গেছো। একটু বসে জিরিয়ে নেও তারপর আবার রান্না করো!”

মিসেস শাহনাজ খুন্তি হাতে ঘামাক্ত চেহারায় স্বামীর দিকে তাকালেন। রেগে কপালের ঘামটা মুছে বললেন।

“আমাকে নিয়ে এত চিন্তা হলে এত রান্না করতে বলতা না। এখন দরদ দেখাতে আসছে। যাও নিজের কাজে!”

স্ত্রীর কথায় মুচকি হাসলেন আশরাফ খান। বুঝতে পারছে তার স্ত্রী বেজায় রেগে আছে। তিনি মিসেস শাহনাজ কে জোর করে ড্রইংরুমে নিয়ে গেলেন। তাকে জোর করে সোফায় বসিয়ে দিলেন। মিসেস শাহনাজ গরম চোখে আশরাফ খানের দিকে তাকালেন। আশরাফ খান মুচকি হেসে তার পাশে বসে বললেন।

“শোনো! মেহমানদারি একটি মহৎ গুণ, যা আত্মীয়তার বন্ধনকে মজবুত করে, বন্ধুত্বকে করে সুদৃঢ় এবং সামাজিক সৌহার্দ্য সৃষ্টিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। আমাদের সব নবী ও রাসুল অতিথিপরায়ণ ছিলেন। মেহমানদারি ছিল আমাদের নবীজি (সা.) –এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ইসলামের এ মেহমানদারির মর্যাদা অনেক বেশি। কিন্তু মেহমানদারির ফজিলত ও মর্যাদা অনেকেরেই জানা নেই। আবার কয় দিন, কোন কোন ক্ষেত্রে মেহমানদারি করা আবশ্যক, তাও অনেকে জানে না। এ সম্পর্কে ইসলামে রয়েছে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা। মেহমানদারি সমাজের একটি ব্যপক প্রচলিত নিয়ম। এটাকে অনেকে সমাজ রক্ষার বিষয় হিসেবে জানে। অথচ মেহমানকে সম্মান দেয়া, কদর করা, আপ্যায়ন করা, কুশলাদি বিনিময় করা বিশ্বনবির অন্যতম সুন্নাত। হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতে, মেহমানদের ভালো খাবার দেয়া একজন গোলাম মুক্ত করে দেয়ার চেয়ে বেশি পছন্দনীয়। আবার কাউকে খাবারের মেহমানদারি করা উত্তম চরিত্রের অংশ বলে মনে করতেন সাহাবায়ে কেরাম। মেহমানদারি নির্দেশনাইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যগুলোর মধ্যে মেহমানদারি অন্যতম। মেহমানদারির কারণে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের সময়েও বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবিশ্বাসীদের কাছে প্রশংসিত ছিলেন। এ কারণে মেহমানকে সম্মান করা একজন মুসলমানের জন্য ঈমানি দায়িত্ব। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একাধিক হাদিসে তা প্রমাণিত– নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে উদ্দেশ্য করে বলেনম ‘নিশ্চয়ই তোমার ওপর তোমার মেহমানের হক রয়েছে।’ (বুখারি)- অন্য বর্ণনায় বিশ্বনবি বলেছেন, ‘যে মেহমানদারি করে না তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ)- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের প্রতি যে ঈমান রাখে সে যেন মেহমানের সমাদর করে।’ (বুখারি)”

মিসেস শাহনাজ মন দিয়ে কথাগুলো শুনলেন। কথাগুলো শুনে তার খুবেই ভালো লাগছে। তিনি মেহমানদারী করেন তবে বেশি করতে বিরক্ত হয়ে যান। তিনি কথাগুলো শুনে মুচকি হেসে বললেন।

“আমিও মেহমানদারী করাকে অপছন্দ করিনা বুঝলে?”

কথাটা বলে তিনি রান্নাঘরে চলে গেলেন। আশরাফ খান মুচকি হেসে নিজের রুমে চলে গেলেন।

সকাল ১০টা বাজতেই ঘুম থেকে উঠলো সাজ্জাদ। আজ বাড়ির বাইরে যাবেনা বলে দেরি করেই উঠেছে। ওর বাবার আদেশ ওই প্রথম মান্য করছে বলে ওর মনে হচ্ছে। কেনো বাড়িতে রয়েছে সেটা বুঝতে পারছেনা। কেনো জানি আজ ওর বাইরে যেতে ইচ্ছে করেনি। কালকে বিষয়ে এখনও রেগে আছে ও। সুযোগ বুঝে নিরবের উপর প্রতিশোধ নিতে হবে নাহলে ওর কিছুতেই ভালো লাগবে না। সাজ্জাদ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কালো টাওজার আর এ্যাশ কালারের একটা টি শার্ট পড়ে নিলো। সকালের নাস্তা করতে ড্রইংরুমে আসতেই রান্নার ঘ্রানে ওর পেট ভরে গেলো। রান্নার কথা মনে পড়তেই ওর বিয়ের কথা মনে পড়ে গেলো। ও কিছু না খেয়েই রেগে আবার নিজের রুমে চলে গেলো। ও বুঝেনা কেনো ওকে জোর করে। ও চায়না বিয়ে করতে, চায়না ওর পরিবারটা নষ্ট হোক। এই সমাজে প্রতিটা বাড়িতে চলছে অশান্তি। বউর কাছে শাশুড়ি ভালো না আর শাশুড়ির কাছে বউ ভালো না। বউয়ের কথা শুলনে মার মন পাওয়া যায়না আবার মায়ের কথা শুনলে কখনই আদর্শ স্বামী হওয়া যায়না। কি করবে ভেবেই পায় না সাজ্জাদ। ও এমন বিন্দাস লাইফেই থাকতে চায়। সাজ্জাদ রেগে বেলকনিতে চলে গেলো। শক্ত করে রেলিং ধরে দূরে দৃষ্টি দিয়ে দাড়িয়ে রইলো।

ইনশাআল্লাহ চলবে….

(রি চেইক করিনি ভুল হতে পারে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here