শরতের বৃষ্টি পর্ব-২৮

0
2156

#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–২৮

অপেক্ষা করাটা বরাবরই অনেক কঠিন। যে অপেক্ষা করে সেই এর মর্মটা বুঝতে পারে। অপেক্ষার প্রহর যেনো কাটতেই চায়না। প্রতিটা মিনিটও তখন অনেক বড় হয়ে যায়। আর যদি অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয় তবে অপেক্ষা করতে কি বা এসে যায়? তবে যদি ক্ষুধা পেটে অপেক্ষা করতে হয় তবে তো কথাই নেই। তখন তো সেকেন্ড ও বড় হয়ে যায়। কথায় আছে ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা সংকট মূহুর্তে মারে ঠ্যালা। আঁখির এখন চুরি করে খাবার খেতে ইচ্ছে করছে। এক বেলা না খেতে পেয়ে আঁখির এই অবস্থা তাহলে গরীব মানুষের কি হয়? তারা তো সবসময় খাওয়ার কষ্ট করে। তাহলে তারা তো চুরি ডাকাতি করবেই। আঁখির মতে এতে তাদের দোষ হওয়ার কথা না। মানুষ নিজে সংকটে না পড়লে অন্যের কষ্ট কিছুতেই উপলব্ধি করতে পারেনা। আঁখি পেট চেঁপে চুপচাপ বসে প্রহর গুনছে। সাজ্জাদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ওর জান বেড়িয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। মনে মনে হাজার গালাগালি করেও এর শোধ তোলা হবেনা। আশরাফ খান একটু আগেই বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেন। তার জরুরি কাজ আছে। মিসেস শাহনাজ চেয়েছিলেন সাজ্জাদের বিয়ের কথা সবাইকে বলে মিষ্টি খাওয়াতে। তবে তাতে আশরাফ খানের ঘোর আপত্তি। যেই বিয়ে এতে মিষ্টি খাওয়াতে গেলেও লোকে হাসবে। যদিও অনেকে জানেনা তবে তারা যেভাবে জেনেছে তেমন ভাবেই এক কান দু কান করে ব্যাপারটা সবাই যেনে যাবে। তবুও মিসেস শাহনাজের কথার কাছে হেরে গিয়ে বলেছেন আসার সময় মিষ্টি নিয়ে আসবেন। আশরাফ খান বাইরে যেতেই মিসেস শাহনাজ রান্না ঘরে চলে গেছেন। দুপুরের রান্না করতে হবে। আঁখি একা সোফায় বসে আছে। রান্না ঘরে এখন যাওয়ার একেবারেই ইচ্ছা নেই ওর। পেটে ক্ষুধা থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা। ঘন্টা পেরিয়ে যাচ্ছে তাও সাজ্জাদের আসার নাম নেই। আঁখি বারবার রুমের দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু রুম তো খুলছেই না। পরক্ষনেই আঁখি মনে মনে ভাবলো। ” ব্যটা কি মরে গেলো? হায় হায় তবে আমার কি হবে? লোকে তো বলবে বিয়ে না করতেই জামাইকে খেয়ে ফেলছি। আল্লাহ গো আমি তো রাক্ষস না। জামাই খাওয়ার এই অপবাদ দিও না। ওই বেটা কে নিলে কদিন পর নিও। শুধু দেখো যেনো দোষটা আমার ঘারে না পরে।” আঁখি বসে বসে এসব ভাবছে এর মাঝেই সাজ্জাদ ওর পাশে সোফায় পা ছড়িয়ে বসলো। আঁখির দিকে তাকিয়ে বললো।

“ওভাবে বোয়াল মাছের মতো হা করে আছো কেনো? তোমার মুখ তো আসলেই বোয়াল মাছের মতো বড়। মুখটা বন্ধ করো। নাহয় মুখে শুধু মশা না বড় সাইজের আরশোলা বা ইদুর টিদুর ঢুকে যেতে পারে।”

সাজ্জাদের কথা শুনে আঁখি ওর দিকে বিরক্ত নিয়ে তাকালো। ও আবার হুট করে কোথা থেকে উদয় হলো? পরক্ষনেই আখি ভাবলো থাক যেভাবেই হোক এসেছে তো। এবার রাগ করে লাভ নেই ক্ষুধা নিধন হলেই যথেষ্ট। সাজ্জাদ আঁখি কে ওভাবে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে টিভিটা অন করতে করতে বললো।

“এই মিস চক্ষু! নাহ সরি মিসেস চক্ষু! আপনার তো কাল বিয়ে হয়েছে। যাই হোক আমার দিকে ওভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেনো? দেখে তো মনে হয় আমাকেই গিলে ফেলবে। ওমন কোনো প্লান আছে নাকি?”

কথাগুলো বলে সাজ্জাদ হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সোফায় আরাম করে বসলো। আঁখি এবার খুব রেগে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে তাকিয়ে আছে। ওর এবার সত্যি সত্যি সাজ্জাদ কে গিলে ফেলতে ইচ্ছে করছে। শালা হনুমানের বংশোদ্ভূত। সেয়ানা লেজ বিশিষ্ট। সুযোগ পেয়ে ওকে আচ্ছা করে ধুইছে। আঁখির ক্ষুধা লাগছে আর ও এখানে এসে আরামে টিভি দেখছে। একবার জিজ্ঞাসা করলোও না খেয়েছে কিনা? এর চেয়ে তো নিরবেই ভালো ছিলো। আঁখির এবার সত্যি সত্যি কান্না পেলো। এবার এই সাজ্জাদকে কিভাবে উঠাবে এখান থেকে? আঁখি একে তো রেগে আছে তার উপর ক্ষুধায় কাতর। আঁখি রেগে কিছু বলতেও পারছেনা। কিছু বললে রান্নাঘর থেকে মিসেস শাহনাজ শুনতে পাবে। তিনি শুনলে বলবে কেমন মেয়ে মুখে মুখে তর্ক করে। আঁখি রাগকে কোনোমতে ভিতরে দমন করে ফোসফাস করতে লাগলো। সাজ্জাদ দারুন মজা পেয়েছে আবারও কিছু বলতে যাবে তার আগেই মিসেস শাহনাজ এসে বললেন।

“সাজ্জাদ! দুপুর হয়ে যাচ্ছে খাবি কখন? আঁখিকে নিয়ে খেতে আয়! আঁখি টেবিলে এসো!”

আঁখি যেনো এক আকাশ হাতে পেলো। এখন এর চেয়ে খুশির বাক্য ওর কান শুনতে চায়নি। ঠিকঠাক বাক্যই ওর কর্নভেদ করেছে। সাজ্জাদ আলসামি ঝেড়ে উঠে ডাইনিং টেবিলে গেলো। আখিও ওর পিছনে পিছনে গিয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়লো। সাজ্জাদ চুপচাপ খেতে লাগলো। মিসেস শাহনাজ টেবিলের উপর রুটি, পরোটা, আলুভাজি আর ডিমভাজি করে রেখেছে। টেবিলের উপর কলাও আছে তিন চারটা। মিসেস শাহনাজ আঁখির দিকে তাকিয়ে বললেন।

“যা লাগে নিয়ে খেও কেমন? আমি রান্না ঘরে আছি যদি কিছুর দরকার হয় ডাক দিও।”

কথাটা বলে মুচকি হেসে তিনি আবারও রান্না ঘরে গেলেন। বেলা ১২টার বেশি বেজেছে দুপুরের খাবার তো রান্না করতে হবে। আঁখি চোখ ঘুরিয়ে সাজ্জাদের দিকে তাকাতেই দেখলো ও গপাগপ করে খাচ্ছে। আঁখি কপাল কুচকে তাকালো। বিরক্ত নিয়ে মনে মনে বললো। “দেখো কিভাবে একা একা গিলছে? পাশের মানুষটা যে খাচ্ছে না তাকে একবার খেতেও বলছেনা। শালা লেজ ছাড়া হনুমান।” আঁখি চুপ করে গালে হাত দিয়ে বসে আছে। হাত বাড়িয়ে নিতেও ওর আনিজি লাগছে। আঁখি রুটি দিয়ে কলা খুব পছন্দ করে। বাসায় হলে গপাগপ নিয়ে এতক্ষণে দুটো শেষ করে দিতো কিন্তু এখানে যদি কেউ খারাপ ভাবে তাই কিছুক্ষন চুপ থেকে একপিস রুটি ও কলা নিয়ে আস্তে আস্তে খেতে লাগলো। আঁখি খেতে খেতে মনে মনে বললো। “বাবার বাড়িতে যে মেয়েটাও অনেক কড়া শাসনে থাকে শ্বশুর বাড়ি আসলে সে মেয়েটা বুঝতে পারে সে বাবার বাড়ি কতটা স্বাধীন ছিলো আর এখন কতটা পরাধীন। বাবার বাড়ি এত ভেবে চলতে হয়না কে কি বলবে তা ভাবতে হয়না। আর শ্বশুর বাড়ি প্রতিটা মেয়েকে ভেবে চিন্তে পা ফেলতে হয় কথা বলার সময় ভেবে বলতে হয়। না জানি কখন কোন কথায় দোষ হয়ে যায়।” আঁখি চুপচাপ খাচ্ছে আর ভাবছে খেয়ে এখন কি করবে? আগে তো কোনোদিনও ভাবেনি কিন্তু আজ ভাবতে হচ্ছে। রান্না ঘরে যাবে নাকি নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়বে? রান্না ঘরে গিয়েই কি করবে কিছুই তো পারেনা। পরিচিত মানুষের ঘরে বৌ হয়ে এসেও এই অবস্থা যদি অপরিচিত বাসায় যেতো তবে নাজানি কি হতো ওর। এসব ভেবেই আঁখির দম বেরিয়ে যাচ্ছে।

—————————–

সাদিয়া ছাঁদে যেতেই আনিকাকে দেখতে পেলো। আনিকা ছাদে হাটা হাটি করছে। সাদিয়া এতক্ষণ নিচে ঘোরাঘুরি করছিলো দেখছিলো নিরব ওখানে আসে কি না? কিন্তু নিরব নিচে ছিলোই না। সাদিয়া বাধ্য হয়ে ছাঁদে চলে এসেছে৷ সাজ্জাদ আর আঁখির খবর এই বিল্ডিংয়ের কেউই হয়তো জানেনা এখনও। তার মানে আনিকাও জানে না। সাদিয়া খুশিতে লাফিয়ে উঠে বললো।

“আরে আপু তুমি এখানে একা একা কি ঘোরাঘুরি করছো? তোমার বান্ধবীর মতো ডবল হয়ে যায় তো দুজনে একসাথে ঘুরতে পারবে। তোমার বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে সেই খবর আছে তোমার কাছে?”

হঠাৎ করে কথাটা শুনতে পেয়ে আনিকার ঠিক বোধগম্য হলো না। ও কপাল কুচকে সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। ওর বান্ধবী বলতে কার বিয়েছে? ওর কোন বান্ধবীর কথা বলছে? ওদের কলেজে তো অনেকেই পড়ে তাদের সাবার বিয়েতে তো ওকে দাওয়াত দিবে না। সাদিয়া কর কথা বলছে? আনিকাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সাদিয়া ওর কাছে যেতে যেতে বললো।

“আরে ওভাবে তাকিয়ে কি দেখছো? আঁখি আপুর বিয়ে হয়েছে সাজ্জাদ ভাইয়ার সাথে।”

খবরটা যেনো তীরের চেয়েও জোরে আনিকার কান আঘাত করলো। আহাম্মকের মতো সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে ভাবছে সাদিয়াকি ওকে ঢব দিচ্ছে? কিন্তু ওকে মিথ্যে বলেই সাদিয়ার লাভ কি? কিন্তু সাজ্জাদ আর আঁখির বিয়ে তো ইম্পসিবল। আঁখির বিয়ে হলে তো ওকে বলতো সবার আগে ও নিজেই জানতো। নিরবের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সেটা তো বলছে। তার মানেকি নিরবের সাথেই বিয়ে হয়েছে? সাদিয়া নিরব বলতে গিয়ে সাজ্জাদ বলে ফেলেছে? আনিকা এসব জল্পনা কল্পনা করছে। এর মাঝেই সাদিয়া আবারও বললো।

“তোমার বিশ্বাস হচ্ছে না? চলে আমাদের বাসায় সবটা নিজের চোখে দেখবে। আঁখি আপু এখন আমাদের বাসায়।”

আনিকা এখনও বোকার মতো হা করে তাকিয়ে আছে। সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। সাদিয়া ওকে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। আনিকা ভাবলেশহীন ভাবে ওর পিছনে পিছনে যাচ্ছে। দু সিঁড়ি নিচে নামতেই সাদিয়া নিরবকে দেখতে পেলো। নিরব হাসি মুখে ছাঁদে উঠছে। সাদিয়া ওকে দেখে মুচকি হেসে বললো।

“কোথায় যাচ্ছেন ভাইয়া?”

ওদের দেখে নিরব এমনিতেই দাড়িয়ে পড়লো। এখন সাদিয়ার কথায় একটু অবাক হলো। সাদিয়ার সাথে দুষ্টামি করে বললো।

“আমার জানা মতে সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদে যাও যায়। আমি ছাদেই যাচ্ছি। তুমি কি অন্য কোথাও যাও?”

নিরবের কথায় সাদিয়াও হাসলো। হাসলে নিরবকে অনেক ভালোলাগে ওর কাছে। এমনিতেও নিবরকে ওর খুবেই ভালোলাগে। যখন শুনছে আঁখির সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে তখন অনেক কষ্ট পেয়েছে। আল্লাহর কাছে বলেছে যেনো বিয়েটা ভেঙে যায়। আল্লাহ নিমিষেই ওর কথা রেখেছে। সাদিয়া মুচকি হেসে নিরবকে বললো।

“আপনাকে ছাঁদে যেতে হবে না ভাইয়া। আমাদের বাসায় চলেন আপনার জন্য বিরাট সারপ্রাইজ আছে।”

নিরব ভ্রু কুচকে তাকালো। সারপ্রাইজ মানে? ও সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে হাসি ঝুলিয়ে বললো।

“নাহ! এখন তোমাদের বাসায় যাবো না।” এটুক বলে আনিকার দিকে তাকিয়ে বললো। ” আনিকা তুমি যাওয়ার সময় আঁখি কে একটু ছাঁদে বসতে বইলো তো। ওকে বলো আমি খুব আর্জেন্ট ডেকেছি ওকে।”

আনিকা আহত দৃষ্টিতে তাকালো। নিবরের হাসি দেখে ওর খুব খারাপ লাগছে। যদি সাদিয়ার কথা সত্যি হয় তবে নিরব অনেক কষ্ট পাবে। কি থেকে কি হলো সেটাই আনিকার মাথায় ডুকছে না। সাদিয়া মুচকি হেসে বললো।

“আঁখি আপুকে পেতে হলে আমাদের বাসায় চলুন পেয়ে যাবেন।”

“আঁখি তোমাদের বাসায় কেনো?”

কপাল কুচকে সাথে সাথেই কথাটা বললো নিরব। সাদিয়া একটুও দম নিলো না এক শ্বাসে বলে দিলো। কি কি হয়েছে। নিরব শুধু চুপ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। সবটা শুনে মুচকি হেসে বললো।

“কি যা তা বলছো? আঁখির সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আজ বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার কথা আছে। বলা নেই কওয়া নেই বললেই বিয়ে হয়ে গেলো? তুমি মিথ্যে বলছো। যদি হয়ও আমি মানিনা এই বিয়ে। আংকেল আমার সাথে বিয়ে দিবে বলছে এটা কিছুতেই হতে পারেনা।”

কথাটা বলেই নিরব সাদিয়া আর আনিকার আগে আগে চললো। সাদিয়া মুখ বাকিয়ে আনিকাকে নিয়ে নিজেও চললো। আঁখির প্রতি নিরবের ভালোবাসা দেখে ও খুব বিরক্ত হচ্ছে। আঁখিকে কেমন যেনো লাগছে ওর।

—————————

“বুকে চিন চিন করছে হায়
মন তোমায় কাছে চায়”

খাওয়া দাওয়া শেষে আঁখি রুমে এসে দেখলো সাজ্জাদ বেলকনিতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মনের সুখে গান করছে। আঁখি কোমরে হাত দিয়ে মনে মনে বললো। ” আমার সুখের বারোটা বাজিয়ে এ গান গাইছে? দাড়া তোর বুকের ব্যথা কমাতে আসছে।” আঁখি বেলকনিতে সাজ্জাদের পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে বললো।

“বুকে এত ব্যথা? তো মন এখন আবার কারে চায় শুনি? শ্বশুর আব্বা জানে এসব কথা? নাকি জানিয়ে আসবো?”

সাজ্জাদ আঁখির কথা শুনে বিরক্ত হয়ে পিছনে তাকালো। ওর জন্য শান্তিতে বাসাও থাকা যাবেনা। সাজ্জাদ বিরক্ত নিয়ে বললো।

“এই মেয়ে তোমার সমস্যা কি? আমায় জ্বালানো ছাড়া আর কাজ নেই তোমার? যখন তখন চলে আসে আমায় বিরক্ত করতে।”

আঁখি চোখ চোট ছোট করে তাকালো। মানে ও বিরক্ত করে। আর এ ধোয়া তুলসীপাতা? আঁখি রেগে বললো।

“আমি কোথায় জ্বালাইছি? গোসল করবো ড্রেস লাগবে ড্রেস এনে দিন! বাসা থেকে তো বাবা কিছুই আনতে দেয়নি। এখন গোসল করে কি পড়বো?”

সাজ্জাদ ভ্রু কুচকে তাকালো। এতো মহা ঝামেলা। ওকে যখন বাসায় এনেছে তখন মনেই ছিলোনা এত কিছুর কথা। ওর খরচেই তো ওর বাবা দেয় এবার আঁখির খরচ। সাজ্জাদ গভীর ভাবনায় পড়লো। ওর খরচ বাবার থেকে নিতে পারবে কিন্তু আঁখির টা? এখন তো ওর বাবার সাথেও ঝগড়া। কি করবে এবার? এবার মনে হচ্ছে চাকরি করতেই হবে। সাজ্জাদ কিছু না বলে চুপচাপ ভাবছে। হঠাৎ ওর ফোনে কল আসলো। সাজ্জাদ ফোনটা ধরেই রেগে বললো।

“শালা কই তোরা? আজ তোদের পাই তুলো তুলো করে ফেলবো৷ আমার সুখের জীবন নরক বানিয়ে দিছোছ। তোরা বন্ধু নামের অভিশাপ, আমার আসল শত্রু। দাড়া আমি আসছি!”

কথা বলতে বলতে সাজ্জাদ বেড়িয়ে গেলো। আঁখি দরজা লাগাতে গেলো। দরজা দিবে তার আগেই দেখলো নিরব ওর সামনে দাড়ানো। নিরবের চেহারা কেমন যেনো হয়ে আছে। চোখ দুটো লাল লাল আঁখি ভয়ে হালকা ঢোক গিলে ওর দিকে তাকালো। এবার কি হবে? নিরবকে কি উওর দিবে ও?

ইনশাআল্লাহ চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here