#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৩৫
“ভাবি তোকে ঠকাচ্ছে ভাইয়া! একসাথে দু নৌকায় পা দিয়ে চলছে। তোর পিছনে পিছনে কি করে করে বেড়াচ্ছে তার খবর আছে? একনও সময় আছে বৌকে সামলে রাখ! না হয় কদিন পর তোকেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাবে।”
রাগি তেজি গলায় কথাগুলো বললো সাদিয়া। রাগ ওর মাথায় টগবগ করছে। নিজের ভাইকে কি বলছে সেটাও বুঝতে পারছেনা ওর মস্তিস্ক। সাজ্জাদ কপাল কুচকে তাকিয়ে আছে। সাদিয়ার কথার তিল পরিমানও বুঝতে পারছেনা। আঁখিকে নিয়ে এসব বলছে? এগুলো বলার কারন কি? সাদিয়ার সাথে তো আঁখির অনেক মিল ছিলো। হঠাৎ কি হলো যে আঁখির ব্যপারে এসব বলছে? আঁখি কি সাদিয়ার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে? একটু আগে দেখলো আঁখি কাঁদছে। এখন আবার সাদিয়া এসব বলছে। সাজ্জাদ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো। ওর মস্তিষ্ক কিছুই বুঝতে পারছেনা। হ্যাং হয়ে রয়েছে। সাজ্জাদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে সাদিয়াকে জিজ্ঞাসা করলো।
“কি হয়েছে রে সাদু? এভাবে কথা বলছিস কেনো? আঁখি কি কিছু করেছে নাকি? সরাসরি বল!”
“নিজের বৌকে জিজ্ঞাসা করে নিস্। এখন সময় আছে লাগাম দে! কোথায় যায় কি করে তার দিকে নজর দে! গরুকে এভাবে ছেড়ে রাখলে সে তো অন্যের ফসল খাবেই। তখন দোষটা তো মালিকেরেই হবে তাইনা?”
রাগি গলায় কথাটা বলেই সাদিয়া রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। সাজ্জাদ এখনও হ্যাং মেরে দাড়িয়ে আছে। সাদিয়া রেগে গেলে ওর মাথা ঠিক থাকেনা সেটা ও জানে। তাই বলে ওর সাথে এভাবে কথা বলবে? কখনও তো এভাবে কথা বলেনা। আজ হঠাৎ কি এমন হলো যার জন্য এতটা ক্ষেপে গেছে? অনেকটাই ভাববার বিষয়। আঁখি নিশ্চয়ই কিছু করেছে ওকে জিজ্ঞাসা করতেই হবে। নাহলে সাদিয়ার এত ক্ষেপার কথা না। সাজ্জাদ ড্রেসগুলো বেলকনিতে শুকাতে দিয়ে রুম থেকে বের হলো। দেখলো মিসেস শাহনাজ কাজ শেষ করে নিজের ঘরে যাচ্ছেন। সাজ্জাদ ভাবলো আঁখি হয়তো রান্না ঘরে কিন্তু রান্নাঘরে উকি দিতেই দেখলো আঁখি ওখানেও নেই। সাজ্জাদ মিসেস শাহনাজকে জিজ্ঞাসা করলো।
“আম্মু তুমি একা কাজ করছো? আঁখি কোথায়? ও কিছু করলেও তো পারে!”
মিসেস শাহনাজ ভ্রু কুচকে তাকালেন। জোরে শ্বাস ছেড়ে বললেন।
“তোরা দু ভাই বোন কি শুরু করছোছ বলতো? সাদিয়া বলে কাজ করাতে তুইও বলছিস? মেয়েটা নতুন এসেছে। আগেও তো আমি একাই করতাম তখন তো তোদের দরদ লাগতো না। এখন একজন আসতে না আসতেই এত দরদ? আঁখি কাজ করতে এসেছিলো। আমিই পাঠিয়ে দিয়েছি। পুরাতন হোক তারপর নাহয় কাজ করবে।”
সাজ্জাদ ‘ওহ’ বলেই চুপ করে রইলো। একটা কথাই ওর মাথায় বাজছে ‘সাদিয়াও বলে কাজ করাতে’। তারমানে সাদিয়া আঁখি কে কিছু বলেছিলো সেজন্যই আঁখি কাঁদছে কিন্তু আঁখি কি বলেছে যে সাদিয়া এসব বললো। আঁখি ওকে ঠকাচ্ছে মানে? সাজ্জাদ কিছুই বুঝতে পারছেনা। ওর মাথায় সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। আঁখিকে জিজ্ঞাসা করতেই হবে। কিন্তু আঁখি কোথায়? ও কি রেগে ওদের বাসায় গেছে? ওর জানা মতে আঁখির বাবা তো ওকে ঢুকতে দিবে না। সাজ্জাদ দাড়িয়ে দাড়িয়ে এসব ভাবছে এর মাঝেই মেইন দরজা ঠেলে আঁখি বাসার ভিতরে প্রবেশ করলো। সাজ্জাদ শব্দ পেয়ে সামনে তাকালো। দেখলো আঁখি বাসায় এসেছে। তারমানে ও বাসার বাইরে গেছে৷ আঁখির মুখ কেমন ভার হয়ে আছে। আঁখি এক পলক সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে হনহন করে নিজের রুমে চলে গেলো। সাজ্জাদ নিজেও ওর পিছে পিছে রুমে গেলো। আঁখি রুমে গিয়েই ওয়াশ রুমে গেলো। নিজের ওয়াশ করে রাখা ড্রেসগুলো বেলকনিতে শুকাতে দিলো। বেলকনিতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাজ্জাদের ড্রেস সরিয়ে শুকাতে দিলো। সাজ্জাদ ওর পিছনে পিছনে বেলকনিতে গেলো। ওর কাজ দেখে রেগে তাকিয়ে রইলো। আঁখি পিআনে সাজ্জাদের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো।
“কি ব্যাপার? এভাবে পিছনে পিছনে ঘুরছেন কেনো? আমি কি যাদু করেছি নাকি? মানুষে তো বলবে আমি জামাইকে আঁচলে বেধে রাখি। দেখি সামনে থেকে সরেন!”
কতাটা বলে আঁখি সাজ্জাদ কে হাত দিয়ে সরিয়ে রুমে এসে পড়লো। সাজ্জাদ ওর পিছনে যেতে যেতে রেগে বললো।
“এটা কি হলো? তুমি আমার পোশাক সরিয়ে নিজেরটা দিলে কেনো? এটা কোন ধরনের দূর্নীতি?”
“জায়গা নেই তো কি করবো?”
ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে মুখ বাকিয়ে কথাটা বললো আখি। সাজ্জাদ এ বিষয়ে কথা বাড়ালো না। এমনিতেই রেগে আছে কথা বললে আরও রেগে যাবে। ও কথা না বাড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো৷
“তুমি সাদিয়াকে কি বলেছো?
আঁখি অবাক হয়ে তাকালো। ও যেনো আকাশ পরিমান অবাক হলো। ও আবার সাদিয়াকে কি বলেছে? ও তো কিছুই বলেনি বরং সাদিয়া নিজেই ওকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলো। সাদিয়া কি ওর ভাইয়ের কাছে নালিশ করেছে? কি নালিশ করবে? ও কিছু বললে তো নালিশ করবে। সাদিয়াকে ও খুবেই ভালো জানতো, ও এতটা খারাপ বুৃতে পারেনি। ননদরা এত খারাপ থাকে তা ও আজ জানতে পারলো। সাদিয়ার প্রতি আঁখির একরাশ ঘৃণা কাজ করলো। আঁখি এটা ওটা ভাবছে। এর মাঝেই সাজ্জাদ রেগে জোরে বললো।
“কি জিজ্ঞাসা করছি কানে যায়না? এমনি সময় তো ফটরফটর করো! কাজের বেলায় মুখে তালা লাগাও কেনো? সাদিয়াকে কি বলেছো? এসেছো দুদিন হয়নি তার মাঝেই ওকে কষ্ট দিচ্ছ? ওকে কথা শোনানোর তুমি কে? কোন সাহসে তুমি ওকে কষ্ট দিয়েছো বলো? ও তোমারটা খায়ও না পড়েও না বুঝেছো?”
আঁখি অসহায় চোখে সাজ্জাদের দিকে তাকালো। ওর কথায় খুব কষ্ট পেলো। দোষ না করেও কথা শুনছে? শ্বশুরবাড়িটা বোধহয় এমনেই। এরা এমন কেনো? সবাই কথায় কথায় খাওয়ার কথা টেনে আনে। ও কি সাদিয়ারটা খায়? যে সাদিয়া ওকে এসব বললো? সেই থেকে সবাই ওকে কথা শুনিয়েই যাচ্ছে। কি পেয়েছে সবাই? আঁখি এবার আর চুপ থাকতে পারলো না। ভেবেছিলো সাদিয়ার কথা ওকে বলবেনা কিন্তু না বলে এখন পারছেনা। আঁখি নিজেকে শক্ত করে রেগে সাজ্জাদের দিকে তাকিয়ে বললো।
“আপনি কাকে কি বলছেন হু? সাদিয়া কি বলেছে আপনাকে? আপনাদের বাড়ি আসছি দুদিনও হয়নি এর মাঝেই খাওয়া পড়ার খোটা শুড়ু হয়ে গেছে। সাদিয়াকে আমি কিছু বলি নি। ও নিজেই আমাকে হাজার কথা শুনিয়েছে। আমি তো কথাই বলিনি। ও বলেছে আমি বাসার কাজ করিনা কেনো? বসে বসে আপনার বাবার টাকায় খাচ্ছি। আপনি জব করেন না কেনো? আপনার বেকার বলে আজ আমায় এসব শুনতে হচ্ছে। ও নিজের বাবার টাকায় খায় আমি কার টাকায় খাই? আমি কাজ করতে রান্নাঘরে গিয়েছিলাম। আমার নূন্যতম কমনসেন্স আছে। আপনার মায়েই কিছু করতে দেয়নি। এসব সত্যি কিনা তা আপনার মাকে জিজ্ঞাসা করেন। তিনিই বলবেন সাদিয়া বলছে নাকি আমি বলছি। না জেনে কিছু বলা ঠিক না!”
কথাটা বলেই আঁখি বেলকনিতে চলে গেলো। সাজ্জাদ চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে৷ ও কিছুই বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে। আঁখি বেলকনির দরজা আটকে চুপ করে দোলনায় বসে পড়লো। ও এ কোথায় এসে পৌছালো? যেখানে উঠতে বসতে কথা শুনতে হয়। সবাই শুধু কথাই শোনায়। শ্বশুরবাড়ি টা এত আতংকের জায়গা কেনো? সবসময় ভয়ে থাকতে হয়। দোষ না করেও নিজের কাঁধে দোষ নিতে হয়? নিজের বাসাটাই তো ভালো ছিলো। আঁখি দোলনায় বসে অঝোরে কাঁদতে লাগলো। ওর বিয়ে না হলেই ভালো হলো। কেনো যে ওইদিন সাজ্জাদের পিছু নিয়েছিলো? আজ খুবেই আফসোস হচ্ছে ওর। সাজ্জাদ চুপ করে সোফায় বসে পড়লো। আঁখি যেভাবে বলছে তাতে মনে হচ্ছে ও সত্যি বলছে। তবে সাদিয়া ওভাবে বললো কেনো? এখন সাদিয়াকে জিজ্ঞাসা করলেও তো আঁখিকে খারাপ ভাববে। ওরা বুঝবে আঁখি ওর কাছে নালিশ করেছে। তাই সাজ্জাদ কিছুই বললো না। চুপচাপ গম্ভীর হয়ে ভাবতে লাগলো।
—————————-
সকাল বেলা। রান্নাঘরে কাজ করছেন মিসেস শাহনাজ। তিনি রুটি বেলছেন। আরিবা সমান তালে রুটি ভেজে যাচ্ছে। সকল কথা ভুলে সকালেই উঠে এসেছে শ্বাশুড়ির সাথে কাজ করতে। সাদিয়া এখনও ঘুম থেকেই উঠেনি। তাই আঁখি কিছুই বলছেনা। ও নিজের মতো কাজ করছে। কাল আশরাফ খান ওর সব বই এনে দিয়েছে। আজ থেকে আঁখি কলেজে যাওয়ার প্লান করছে। আশরাফ খান সোফায় বসে অফিসের কাজ করছেন আর মাঝে মাঝে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। হঠাৎ সাজ্জাদ কে ড্রইংরুমে দেখে চমকে গেলেন তিনি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চোখ ঠলে আবারও সাজ্জাদের দিকে তাকালো। নাহ তিনি ভুল দেখছেন না। এ তো সাজ্জাদেই। আশরাফ খান হাক ছেড়ে মিসেস শাহনাজ ও আঁখি কে ডাকলেন। মিসেস শাহনাজ আর আঁখি কাজ ফেলে রান্নাঘর থেকে ছুটে এলেন। হয়তো আশরাফ খান জরুরি ডাকছেন। কিন্তু ড্রইং রুমে এসেই দুজনে চমকে গেলো। সাদা শার্ট ইন করে পড়ে রেডি হয়ে দাড়িয়ে আছে সাজ্জাদ। মিসেস শাহনাজ অবাক হয়ে ঘড়ির দিকে তাকালেন। ঘড়িতে ৮টার কাছাকাছি বেজেছে। আরশ তো নয়টার আগে উঠেই না। আজ হঠাৎ কি মনে করে? আখিও অবাক যে, সাজ্জাদ কে কখনও শুধু শার্ট পড়া দেখেনি ও। নিচে গেঞ্জি পড়ে উপড়ে জ্যাকেট পড়ে সবসময়। আর শার্ট পড়লেও নিচে গেঞ্জি পড়ে উপড়ে শার্টের বোতাম খোলা রাখে। আজ হঠাৎ ইন করে ভদ্র সেজেছে কেনো? সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। সাজ্জাদ সবার অবাক হওয়ার কারন বুঝতে পারলো। ওকে এত সকালে উঠতে দেখেই এমন করছে। মিসেস শাহনাজ ছেলের কাছে গিয়ে কপালে হাত দিয়ে বললেন।
“বাবা! তোর শরীর ঠিক আছে? কি হয়েছে? এত তাড়াতাড়ি উঠলি যে?”
সাজ্জাদ বিরক্ত নিয়ে ওর মায়ের দিকে তাকালো। আশরাফ খান হাসতে হাসতে বললেন।
“তোমার ছেলের ঘড়ি হয়তো ফাস্ট হয়ে গেছে। তাই বুঝতে পারেনি কয়টা বেজেছে। ভুল করে উঠে পড়েছে।”
সাজ্জাদ আরও বিরক্ত হলো কিন্তু তা প্রকাশ না করে চুপ করে রইলো। আঁখি মুখ বাকিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলো। আশরাফ খান নিজের স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললো।
“দেখছো শাহনা? বিয়ে করতে না করতেই কত চেঞ্জ! আমি আগে জানলে ১০ বছর আগেই বিয়ে করাতাম। আসলেই বৌ শব্দের মধ্যে যাদু আছে হয় তো।”
আশরাফ খানের কথা শুনে মিসেস শাহনাজ ঠোঁট চেপে হাসলেন। সাজ্জাদ এবার একটু লজ্জা পেলো। ও ডাইনিং টেবিলে বসতে বসতে বললো।
“আম্মু! তাড়াতাড়ি খাবার দেও! আমার কাজ আছে যেতে হবে।”
মিসেস শাহনাজ আর আশরাফ খান একটু অবাক হলেন। ওর আবার কি কাজ? পরক্ষনেই ভাবলো হয়তো বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবে টাবে। তাই কথা না বাড়িয়ে রান্নাঘরে এসে মুচকি হেসে বললেন।
“দেখছো তুমি আসতে না আসতেই কত চেঞ্জ? যে ছেলেকে ৯ টার আগে পিটিয়েও উঠানো যায়না সেই ছেলে ৭টায় উঠেই তৈরি! ভাবা যায়?”
আঁখি লজ্জামাখা হাসি দিয়ে মাথা নুয়িয়ে ফেললো। মিসেস শাহনাজ তৃপ্তির হাসি দিয়ে আঁখির কাধে হাত রেখে বললেন।
“যাও! খাবারটা সাজ্জাদ কে দিয়ে এসো। ওর সাথে সাথে তুমিও খেয়ে নিও।”
আখি খাবারের প্লেট নিয়ে সাজ্জাদের কাছে রাখলো। খাবারটা রেখে এটা ওটা ঠিক করছে কিন্তু সাজ্জাদের দিকে তাকাচ্ছেই না। সাজ্জাদ আঁখির দিকে তাকাতেই দেখলো ও মুখ ভার করে আছে। আঁখি কাল থেকে ওর সাথে কথাই বলেনি। প্রতিদিন সবসময় ঝগড়া করে। রাতে শোয়ার সময় তো বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করে এটা ওটা নিয়ে। কাল কিছুই বলেনি। হয়তো ওর উপর রাগ করছে। কাল অনেক কথাই শুনিয়েছে মেয়েটাকে। এতে রাগ করারেই কথা। ওভাবে বলা ঠিক হয়নি ওর। সাজ্জাদের অনুশোচনা হতে লাগলো। আঁখি খাবার ঠিক করে চলে যেতে নিলো। এর মাঝেই সাজ্জাদ খপ করে ওর হাতটা ধরে ফেললো। আঁখি চমকে উঠলো। কি হলো তা বুঝতে ওর একটু সময় লেগে গেলো। সাজ্জাদ ওর হাত ধরেছে এটা ভাবতেই ওর মনের ভিতরে কেমন করে উঠলো। সাজ্জাদ নিজেও বুঝতে পারেনি এভাবে ও আঁখির হাত ধরবে। ওকে আটকাতে গিয়ে ততক্ষণাত ধরে ফেলেছে। আঁখি আস্তে করে ওর হাতের দিকে তাকালো। পরক্ষনেই হাত অনুসরন করে সাজ্জাদের দিকে তাকাতেই দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেলো।
“সাজ্জাদ! কিছু লাগবে তোর?”
কথাটা বলে মিসেস শাহনাজ রান্নাঘর থেকে সাজ্জাদের কাছে আসতে লাগলেন। তার কথা শুনেই চমকে সাজ্জাদ আঁখির হাত ছেড়ে দিলো। আঁখি একটু পিছিয়ে গেলো। ওরা দু’জনেই থতমত খেয়ে গেলো। তিনি এখানে এসেও একটা অস্বস্তিতে পড়লেন। বুঝতে পারেন নি এসব চলছে এখানে। আঁখি আমতা আমতা করে মাথা নিচু করে রান্নাঘরে চলে গেলো। সাজ্জাদও কিছু না বলে চুপচাপ খেতে লাগলো। মিসেস শাহনাজ বোকার মতো দাঁড়িয়ে রইলেন। পরক্ষনেই কিছু ভেবে স্বামীকে খেতে ডাকলেন।
ইনশাআল্লাহ চলবে…..