#শরতের_বৃষ্টি
#লেখনীতে_তাশরিফা_খান
পর্ব–৪৭
আঁখি সকাল থেকেই কিছু খায়নি। খাওয়া তো বাদ ও শোয়া থেকেই উঠেনি। সাজ্জাদ দুপুর ২টায় মার্কেট থেকে এসেও দেখলো যেমন দেখে গিয়েছিল আঁখি ওমন ভাবেই শুয়ে আছে। সাজ্জাদের মনে মোচর দিয়ে উঠলো। তার মানে এখনও কিছুই খায়নি? ওর নিজেরেই ভুল হয়েছে। উচিত ছিলো আঁখিকে খাবার খাইয়ে দিয়ে মার্কেটে যাওয়া কিন্তু ও ঘুমিয়ে আছে বলে ডাকেনি। সাজ্জাদ শপিং ব্যাগগুলো রেখে আঁখির পাশে বসলো। আখির চোখমুখ ফোলা ফোলা। চেহারা মলিন হয়ে আছে। হয়তো আবারও কেঁদেছিলো। আঁখির ঘুমন্ত ফোলা ফোলা চেহারা খুবেই আকর্ষনীয় লাগছে সাজ্জাদের কাছে। চেহারার উপর ছোট ছোট চুলগুলো ছড়িয়ে আছে। সাজ্জাদ আস্তে করে আঁখির চেহারা থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিলো। আঁখি একটু নড়েচড়ে উঠলো। সাজ্জাদ মুচকি হেসে আঁখির গালে হাত দিতে গেলো, অগত্যা আবার হাত সরিয়ে ফেললো। ওর মনে হলো এটা ঠিক হবে না। তাছাড়া আঁখি জেগে গেলে রেগে যাবে। সাজ্জাদ ওকে আস্তে করে ডাক দিলো। কিন্তু আঁখি উঠলো না। সাজ্জাদ উপায় না পেয়ে ওয়াশরুম থেকে পানি এনে আখির চেহারায় হালকা পানির ছিটে দিলো। আঁখি লাফিয়ে উঠলো। সামনে সাজ্জাদ কে দেখে বিরক্ত মাখা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। যদিও আঁখির বিরক্তের কারন সাজ্জাদ জানে। ওর জন্য কথা শুনতে হয়েছে বলেই আঁখি এমন করছে। সাজ্জাদ এসবে পাত্তা না দিয়ে বললো।
“তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নাও! খাওয়া দাওয়া করে আমরা কমিউনিটি সেন্টারে যাবো। আমরা কাছের লোক তাই তাড়াতাড়িয়েই যাবো বুঝেছো?”
“আমি আপনার সাথে যাবো না” কথাটা আঁখি মিখের আগায় এনেও বাইরে প্রকাশ করলো না। বিরক্ত নিয়ে নিজের মাঝেই চেঁপে রাখলো। এই ঝগড়ার জন্যই ওকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে আর কখনও ঝগড়া করবে না ও। ঝগড়া না করলে কি হবে? আঁখি কিছু না বলে গাল ফুলিয়ে বিছানা থেকে উঠে গেলো। সাজ্জাদকে সম্পূর্ন এড়িয়ে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ওর দিকে একবার তাকালোও না। সাজ্জাদ ওর কাজ দেখে মুচকি হেসে তিনটা শপিং ব্যাগ নিয়ে বাইরে বের হলো। আজ সাদিয়া আর ওর মা বাবার জন্যও ড্রেস কিনেছে। সাদিয়া আর আশরাফ খান ড্রইংরুমেই বসা ছিলো। সাজ্জাদ শপিং গুলো নিয়ে একটা সাদিয়াকে দিলো। আরেকটা ওর বাবার হাতে দিয়ে বললো।
“আমার জীবনের প্রথম ইনকাম দিয়ে কিনেছি। দেখোতো কেমন হয়েছে?”
আশরাফ খান অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। খুশিতে তার মনটা ভরে গেলো। তাড়াতাড়ি করে প্যাকেটটা খুললেন। দেখলেন হালকা জলপাই রংয়ের একটা পান্জাবী। খুবেই সুন্দর কাজ করা। ছেলের দেওয়া উপহার খুশিতে তার চোখে পানি চলে এলো। সাদিয়া প্যাকেটটা খুলেই দেখলো সুন্দর একটা মিষ্টি কালার গাউন সাথে একটা হিজাব। ও খুশিতে গদগদ হয়ে বললো।
“ওয়াও ভাইয়া! তোর চয়েস খুব সুন্দর! এখন থেকে তুইয়েই আমায় মার্কেট করে দিবি। খুব সুন্দর হয়েছে গাউনটা। আজ বিয়েতে আমি এটাই পরবো। থ্যাংকু!”
সাজ্জাদ তৃপ্তির হাসি হাসলো। আপন মানুষকে উপহার দেওয়ার মাঝে এতটা তৃপ্তি ও আজ অনুভব করতে পারলো। প্রিয়জনের মুখে হাসি দেখা কতটা আনন্দের সেটাও আজ বুঝতে পারলো। একটু আগেও সাদিয়ার সাথে কত ঝগড়া, রাগারাগি হলো সেটা ওর মনেই নেই এখন। হেসে হেসে কথা বলছে। বোন মানেই তো ঝগড়াঝাটি আর ভালোবাসায় ঘেরা একটি সম্পর্ক! সাজ্জাদ ব্যাগটা নিয়ে ওর মায়ের রুমে গেলো। দেখলো ওর মা রেগে গাল ফুলিয়ে বসে আছে। সাজ্জাদ ওর মায়ের কাছে যেতেই তিনি মুখ ঘুড়িয়ে নিলেন। সাজ্জাদ পিছন থেকে ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বললো।
“আম্মু! তুমি আমার সাথে এমন রেগে আছো কেনো? তুমি আমার সাথে কথা না বললে কি আমার ভালো লাগে বলো? দেখো কানে ধরছি সরি! এবার তো কথা বলো?”
মিসেস শাহনাজ তবুও গাল ফুলিয়ে আছেন। তিনি সাজ্জাদের উপর খুবেই রেগে আছেন। গাল ফুলিয়ে বললেন।
“একন আমায় দিয়ে কি করবি? তোর বউ আছে না? যাহ ওর সাথেই কথা বল! ওয়েই তো এখন তোর সব!”
সাজ্জাদ জোরে একটা শ্বাস ছাড়লো। বুঝতে পেরেছে ওর মা বেশ অভিমান করেছে। সাজ্জাদ জোর করে ওর মাকে ওর দিকে ঘোরালো। অগত্যা ওর মায়ের হাতের উপর হাত রেখে শান্ত স্বরে বললো।
“দেখো আম্মু! আমি জানি তুমি রাগ করেছো। কিন্তু দেখো আমি ভুল করিনি। আমার কাছে সবাই সমান। আমি তোমাদেরও ফেলতে পারবো আঁখিকেও ফেলতে পারবো না। ও ওর পরিবার ছেড়ে এখানে এসেছে ওর সবটা দেখার দায়িত্ব আমার। আমি যদি ওকে সাপোর্ট না দেই তাহলে ও একা হয়ে যাবে না বলো? আচ্ছা আম্মু! তুমিয়েই দেখো! সাদিয়ার বিয়ের পর যদি ওর স্বামী ওকে ভালো না বেসে ওর শ্বাশুড়িকে নিয়ে পরে থাকে তখন সাদিয়ার কতটা খারাপ লাগবে? তখন তোমার খারাপ লাগবে না? তুমি নিজেও চাইবে তোমার মেয়ের জামাই সাদিয়াকে সাপোর্ট দেক! আর ফ্যামিলিতে স্বামী স্ত্রী ঝগড়া হবেই এতে দোষের কি বলো? এখন যদি তুমি ওকে এর জন্য কথা শোনাও ওর খারাপ লাগবে না? সাদিয়ার লাগতো না? তুমিও তো মেয়ে তাহলে তো বোঝই, একটা মেয়ে শ্বশুরবাড়ি কতটা আনিজি ফিল করে। আঁখিরও তো খারাপ লাগে। তোমরা এমন করলে ও কোথায় যাবে বলো? ও সকাল থেকে খায়নি তুমি একবারও তো খবর নেউনি। সাদিয়া হলে পারতা? ওকে বকতা আবার ডেকে খাওয়াই তা। আমি জানি মেয়ে আর বৌ এক হয়না। এটা মন থেকেই আসেনা। তাই বলে কি আমরা পারিনা একটু চেষ্টা করতে? নিজের দিক দিয়ে ভাবো! অন্যের জায়গায় নিজেকে দাড় করিয়ে দেখো! আমরা কি পারিনা একে অন্যের দোষ স্যাক্রিফাইস করতে? যদি একজন আরেক জনের দোষ নিয়ে পরে থাকি তবে পরিবারে সুখ আসবে না। আমাদের উচিত হাসি মুখে সবার দোষ ক্ষমা করা নাহয় বুঝিয়ে বলা। আজ তুমি বুঝিয়ে বললে এসব হতোই না। যাই হোক যা যাওয়ার তা গেছে!”
কথাগুলো বসে সাজ্জাদ একটু থামলো। মিসেস শাহনাজ চুপ করে আছেন। হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পারছেন তিনি। সাজ্জাদ আবারও বললো।
“দেখো আম্মু! আমি তোমার ছেলে আর সারাজীবন সেটাই থাকবো। আমি জানি তুমি আমায় কত ভালোবেসে মানুষ করেছো। আমার কাছে তোমার সাদিয়ার বাবার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমি সবাইকেই তার প্রাপ্প ভালোবাসাটা দিবো। দেখো! ঝগড়া আমি আঁখি দুজনেই করেছি তোমার ওকে বকাটা কি ঠিক হয়েছে? আজ আমি আঁখির পক্ষ হয়ে না বললে ওর প্রতি জুলুম হতো। মেয়েটা খুবেই ভালো। তোমার ব্যাপারে এখনও কিছু বলেনি। সকাল থেকে কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলাইছে। কতটা কষ্ট পেয়েছে বলো? ওর তো মন খুলে কথা বলারও কেউ নেই। আছে বলো? তোমার তো আমি আছি, বাবা আছে, সাদিয়া আছে। এখন ওর পাশে আমি না দাড়ালে কে দাড়াবে বলো?”
মিসেস শাহনাজ নিজের ভুলটা বুঝতে পারলেন। তার ভিতরে অনুশোচনা কাজ করতে লাগলো। মন খারাপ করে নিজের হাতগুলো মোচড়া মুচড়ি কররতে লাগলো। অগত্যা আমতা আমতা করে বললো।
“আসলে কাল রাতে তোকে মন খারাপ করে বাসা থেকে বের হতে দেখে ভাবছিলা তুই সুখে নেই৷ এজন্য আমার মাথা ঠিক ছিলো না। একজন মা কখনও তার ছেলের কষ্ট দেখতে পারেনা। তাই ওসব বলে ফেলেছি এত কিছু ভেবে বলিনি। ওকে তো আমি ভালোই জানি বল!”
কথাটা শুনে সাজ্জাদ মুচকি হাসলো৷ ও জানে ওর মা অন্যদের মতো খারাপ না। শুধু ওকে বেশি ভালোবাসে বলে ভুল করে ফেলছে। সাজ্জাদ আবারও ওকে মাকে জড়িয়ে ধরে বললো।
“তোমাকে এত মন খারাপ করতে হবে না আম্মু! আমি জানি আমার আম্মু কত ভালো। শোনো তুমি এখন থেকে ওর মা শ্বাশুড়ি। ভুল হলে তুমি শাসন করবে আবার রাগ করলে তুমিয়েই রাগ ভাঙাবে ওকে?”
মিসেস শাহনাজ মুচকি হাসলেন। সাজ্জাদ ওর মায়ের দিকে শপিংটা এগিয়ে দিয়ে বললো।
“নেও আমার টাকায় কেনা তোমার জন্য প্রথম উপহার!”
মিসেস শাহনাজ উত্তেজিত হয়ে শপিংটা নিলেন। খুশিতে গদগদ হয়ে শপিংটা কুলে দেখলেন বেগুনি রংয়ের জামদানি একটা শাড়ি। তিনি অবাক হয়ে শাড়িতে হাত বুলালেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে শাড়িটা তার অনেক পছন্দ হয়েছে। খুশিতে সাজ্জাদ কেঁদেই ফেললেন।
“আম্মু! কি শুরু করছো?”
মিসেস শাহনাজ ওকে ছেড়ে দিয়ে শাড়ি নিয়ে ড্রইংরুমে গেলেন। আশরাফ খানকে দেখিয়ে বললেন।
“দেখো আমার ছেলে আমার জন্য শাড়ি কিনে আনছে৷ আমার ছোট্ট ছেলে আজ বড় হয়ে গেছে। আগে আমি ওকে দিতাম এখন ও আমাকে কিনে দিচ্ছে।”
আবেগপ্রুত হয়ে কথাগুলো বলছেন মিসেস শাহনাজ। তাকে দেখে মনে হচ্ছে আজ ঈদের দিন। আশরাফ খান মুচকি হাসছেন। তার মনেও আনন্দ বইছে। সাজ্জাদ দূরে দাড়িয়ে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে। আজ ওর নিজেরও অনেক ভালো লাগছে। এবার দেখার দরকার ওর প্রিয় মানুষটা কত খুশি হয়। সাজ্জাদ ওর মায়ের কাছে গিয়ে বললো।
“আম্মু! আঁখি সকাল থেকে খায়নি যদি ওকে ডেকে আনতে। তুমি ডাকলে ওর মন থেকেও অভিমান চলে যেত!”
সাদিয়া মুখ বাকালো ওর মনে হচ্ছে ওর ভাই বৌ নিয়ে বেশি বেশি করছে। মিসেস শাহনাজ মুচকি হেসে শাড়িটা নিয়েই রুমে গেলেন। আঁখি গোসল করে ড্রেসিং টেবিলের সামনে চুল আঁচড়াচ্ছিল। মিসেস শাহনাজ কে দেখে চুপ করে দাড়িয়ে গেলো। ও মনেও সংশয় কাজ করছে। ভয়ও লাগছে আবার কিছু বলবে নাতো? কিন্তু ওর ধারনা ভুল প্রমানিত করে মিসেস শাহনাজ ওর কাছে গিয়ে শাড়িটা দেখিয়ে হাসি মুখে বললেন।
“দেখো সাজ্জাদ আমার জন্য শাড়িটা আনছে সুন্দর না? কত ভালো ওর চয়েস! তোমার জন্য কি আনছে?”
মিসেস শাহনাজকে হাসতে দেখে আঁখির মনেও ভয় কেটে গেলো। ও নিজেও অনেকটা পাতলা হয়ে গেলো। সাজ্জাদ ওর মায়ের জন্য শাড়ি আনছে শুনে আঁখিও খুশি হয়েছে। কিন্তু ওর জন্য তো কিছুই আনেনি এবার কি বলবে? আঁখি মাথা নিচু করে চুপ করে রইলো। সাজ্জাদ তখনেই রুমে ঢুকলো। মিসেস শাহনাজ ওর দিকে তাকিয়ে রেগে বললো।
“কিরে? আঁখির জন্য কিচ্ছু আনোছ নি?”
“এনেছি আম্মু! দেওয়ার সময় পাইনি। দিবো তো!”
“ওহ!” মিসেস শাহনাজ মুচকি হেসে কতাটা বললেন। অগত্যা আঁখির দিকে তাকিয়ে বললেন।
“সকাল থেকে খাওনি কেনো? একটু বকেছি বলে খাবেনা? না খেলে বকা না, মাইর আছে। তাড়াতাড়ি খেতে এসো সবাই এক সাথে খাবো।”
কথাটা বেশ ধমকের সাথে বললেন। ধমক হলেও আঁখির খুব ভালো লাগলো। অনেক সময় ধমকে কথা না বললেও খারাপ লাগে। আর অনেক সময় ধমকের মাঝেও ভালোবাসা থাকে। আঁখি মুচকি হেসে বললো।
“আপনি যান মা! আমি আসছি!”
কথাটা শুনে মিসেস শাহনাজ চলে গেলেন। আঁখি বুঝতে পারলো না হঠাৎ কেনো তিনি এত ভালো হয়ে গেলেন। সাজ্জাদের দিকে তাকাতেি দেখলো ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। তারমানে সাজ্জাদ কিছু করেছে? আঁখি মনে মনে অনেক খুশি হলো। সাজ্জাদের উপর একটা ভালোলাগা কাজ করলো। ওর মনে সাজ্জাদের অনেক সম্মান বেড়ে গেলো। তা আঁখি প্রকাশ না করে মুখ বাঁকিয়ে খাটে বসে পড়লো। সাজ্জাদ নিজেও মুচকি হাসলো। অগত্যা শপিং ব্যাগটা ওর দিকে এগিয়ে দিলো। আঁখি ব্যাগটা ধরলো না। ও কিছুতেই এটা নিবে না, ও সাজ্জাদের উপর রেগে আছে। আঁখি অন্য দিকে তাকিয়ে গাল ফুলিয়ে বললো।
“আমি কি কাউকে আমার জন্য ড্রেস আনতে বলেছি? এত আলগা দরদ দেখানোর কি দরকার?”
সাজ্জাদ ওর কথার উওর না দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। সাজ্জাদ ওয়াশরুমে ঢুকতেই আঁখি উকি মেরে দেখলো সাজ্জাদ গিয়েছে কিনা? ও যেতেই তাড়াতাড়ি করে ব্যাগটা খুললো। দেখলো মেজেন্টা কালারের একটা সুন্দর গাউন। উপরে সিলভার কালার জরি সুতোর কাজ করা। সাথে সিলভার কালা হিজাব। আঁখি ড্রেসটা নাড়তেই একটা চিরকুট পেলো। ওটা খুলতেই গুটি গুটি অক্ষরেলেখা দেখলো। “কালকের জন্য সরি! ড্রেসটা কেমন হয়েছে? ভালো লাগলে আজ অনুষ্ঠানে এটা পড়ে যাবে।” চিঠিটা পড়ে ওর মুখে হাসি ফুটলো। ড্রেসটা নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলো। মুখে হাসি নিয়ে ড্রেসটায় আলতো হাতে পরশ বোলাচ্ছে। সাজ্জাদ ওয়াশরুম থেকে উকি দিয়ে এসব দেখেই আনমনে হাসলো। ও জানে, ও ওখানে থাকলে আঁখি ওটা ধরবে না। উপরে উপরে রাগ দেখাবে। তাই তো চলে এসেছে। না এলে কি আঁখির ওই উজ্জ্বল হাসিটা দেখতে পেতো? সাজ্জাদ ঠোঁট বাকিয়ে হেসে মনে মনে বললো।
“আম খাবে ঠিকই কিন্তু স্বীকার করবে না ওটা আম গাছে হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে গিয়ে বলবে ওটা জাম গাছে হয়েছে। ভালো তো আমায় বাসো শুধু স্বীকার করছো না। আসলেই তোমার ঘাড়ের রগ দুটোই বাকা!”
কথাটা বলে সাজ্জাদ তৃপ্তির হাসি দিয়ে ফ্রেশ হতে লাগলো। ওর খুব তাড়া আছে। খাওয়া দাওয়া করে আবার অনুষ্ঠানে যেতে হবে। অর্নব তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে।
ইনশাআল্লাহ চলবে…..